পরিচ্ছেদঃ ১৫. দাজ্জালের গোয়েন্দা সম্পর্কে।
৪২৭৫. হাজ্জাজ ইব্ন ইয়াকুব (রহঃ) .... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুআয্যিন-কে বলতে শুনি, ’সালাত একত্রকারী; (অর্থাৎ সালাতের জন্য একত্রিত হও।) এরপর আমি বের হয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করি। সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসি মুখে মিম্বরের উপর আরোহণ করে বলেনঃ সবাই নিজ-নিজ স্থানে বসে থাক। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমরা কি জান, কি জন্য আমি তোমাদের একত্রিত করেছি? তাঁরা বলেনঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল এ ব্যাপারে অধিক অবগত। তিনি বলেনঃ এখন আমি তোমাদের দীনের কাজে উৎসাহিত ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য একত্রিত করিনি, বরং আমি তোমাদের (একটি ঘটনা শুনাবার জন্য) একত্রিত করেছি।
তাহলোঃ তামীমদারী খৃষ্টান ছিল, সে এসে বায়আত হয়ে ইসলাম কবূল করেছে। আমি দাজ্জাল সম্পর্কে তোমাদের কাছে যা বর্ণনা করেছি, সে বলেছেঃ একবার সে ’লাখাম’ ও ’জুযাম’ গোত্রের ত্রিশজন লোকের সাথে জাহাজ যোগে সমুদ্র ভ্রমণে বের হয়। এক মাস সমুদ্রে চলার পর তাদের জাহাজটি একটি দ্বীপে গিয়ে পৌছায়। সেখানে তাঁরা লম্বা চুল বিশিষ্ট একটি আশ্চর্য ধরনের প্রাণীর সাক্ষাৎ পায়। তারা তাকে বলেঃ তুমি ধ্বংস হও, তুমি কে? তখন সে বলেঃ আমি একজন গোয়েন্দা। তোমরা এই প্রসাদে অবস্থানকারী ব্যক্তির কাছে চলো; কেননা, সে তোমাদের খবরের জন্য খুবই উদগ্রীব।
রাবী বলেনঃ যখন সে আমাদের কাছে সে ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে, তখন আমরা সে প্রাণী সম্পর্কে শংকিত হয়ে পড়ি যে, হয়তো সে শয়তান। আমরা সেখান থেকে দ্রুত চলে যাই এবং উক্ত প্রসাদে প্রবেশ করি এবং সেখানে বিশাল আকৃতির এমন এক ব্যক্তিকে দেখি, যার মত আর কাউকে এর আগে দেখিনি। সে শিকলে বাধা ছিল এবং তার দু’হাত ঘাড়ের সাথে আবদ্ধ ছিল। এরপর পূর্ববতী হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
এরপর সে তাদের কাছে ’বায়সান’ নামক স্থানের খেজুর, ’যাআর নামক কূপ এবং উম্মী-নবী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। সে বলেঃ আমি মাসীহ দাজ্জাল। অতি সত্বর আমাকে বের হওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে।
তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দাজ্জাল শাম অথবা ইয়ামনের সমুদ্রে অবস্থিত একটি দ্বীপে বন্দী অবস্থায় আছে। এরপর তিনি বলেনঃ না, বরং সে পূর্বের দিকে আছে, আর তিনি তার হাত দিয়ে সে দিকে দু’বার ইশারা করেন। ফাতিমা (রাঃ) বলেনঃ আমি এ হাদীছ রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি এবং মনে রেখেছি।
باب فِي خَبَرِ الْجَسَّاسَةِ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ حُسَيْنًا الْمُعَلِّمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، حَدَّثَنَا عَامِرُ بْنُ شَرَاحِيلَ الشَّعْبِيُّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، قَالَتْ سَمِعْتُ مُنَادِيَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنَادِي أَنَّ الصَّلاَةَ جَامِعَةٌ . فَخَرَجْتُ فَصَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَضْحَكُ قَالَ " لِيَلْزَمْ كُلُّ إِنْسَانٍ مُصَلاَّهُ " . ثُمَّ قَالَ " هَلْ تَدْرُونَ لِمَ جَمَعْتُكُمْ " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " إِنِّي مَا جَمَعْتُكُمْ لِرَهْبَةٍ وَلاَ رَغْبَةٍ وَلَكِنْ جَمَعْتُكُمْ أَنَّ تَمِيمًا الدَّارِيَّ كَانَ رَجُلاً نَصْرَانِيًّا فَجَاءَ فَبَايَعَ وَأَسْلَمَ وَحَدَّثَنِي حَدِيثًا وَافَقَ الَّذِي حَدَّثْتُكُمْ عَنِ الدَّجَّالِ حَدَّثَنِي أَنَّهُ رَكِبَ فِي سَفِينَةٍ بَحْرِيَّةٍ مَعَ ثَلاَثِينَ رَجُلاً مِنْ لَخْمٍ وَجُذَامٍ فَلَعِبَ بِهِمُ الْمَوْجُ شَهْرًا فِي الْبَحْرِ وَأَرْفَئُوا إِلَى جَزِيرَةٍ حِينَ مَغْرِبِ الشَّمْسِ فَجَلَسُوا فِي أَقْرَبِ السَّفِينَةِ فَدَخَلُوا الْجَزِيرَةَ فَلَقِيَتْهُمْ دَابَّةٌ أَهْلَبُ كَثِيرَةُ الشَّعْرِ قَالُوا وَيْلَكِ مَا أَنْتِ قَالَتْ أَنَا الْجَسَّاسَةُ انْطَلِقُوا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فِي هَذَا الدَّيْرِ فَإِنَّهُ إِلَى خَبَرِكُمْ بِالأَشْوَاقِ . قَالَ لَمَّا سَمَّتْ لَنَا رَجُلاً فَرِقْنَا مِنْهَا أَنْ تَكُونَ شَيْطَانَةً فَانْطَلَقْنَا سِرَاعًا حَتَّى دَخَلْنَا الدَّيْرَ فَإِذَا فِيهِ أَعْظَمُ إِنْسَانٍ رَأَيْنَاهُ قَطُّ خَلْقًا وَأَشَدُّهُ وَثَاقًا مَجْمُوعَةٌ يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ " . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَسَأَلَهُمْ عَنْ نَخْلِ بَيْسَانَ وَعَنْ عَيْنِ زُغَرَ وَعَنِ النَّبِيِّ الأُمِّيِّ قَالَ إِنِّي أَنَا الْمَسِيحُ وَإِنَّهُ يُوشِكُ أَنْ يُؤْذَنَ لِي فِي الْخُرُوجِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَإِنَّهُ فِي بَحْرِ الشَّامِ أَوْ بَحْرِ الْيَمَنِ لاَ بَلْ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ مَا هُوَ " . مَرَّتَيْنِ وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ قِبَلَ الْمَشْرِقِ قَالَتْ حَفِظْتُ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
Fatimah, daughter of Qais, said:
I heard the crier of the Messenger of Allah (ﷺ) calling : Assemble for the prayer. I Then came out and prayed along with the Messenger of Allah (ﷺ): When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer, he sat on the pulpit laughing, and he said : Everyone should remain where he had said his prayer. He then asked : Do you know why I have assembled you because Tamim al-Dari, a Christian, who came and accepted Islam, told me something which agrees with what I was telling you about Lakhm and judhism and that they were storm-tossed for a month. They drew near to an island when the sun was setting. They sat in a boat nearest to them and entered the island where they were met by a very hairy beast. They said: Woe to you! What can you be ? It repled : I am the Jassasah. Go to this man in the monastery, for he is anxious to get news of you. He said : When it named a man to us we were afraid of it least it should be a she-devil. So we went off quickly and entered the monastery, where we found a man with the hugest and strongest frame we had ever seen with his hand joined to his neck. He then narrated the rest of the tradition. He asked them about the palm-trees of Baisan and the spring of Zughar and about the unlettered prophet. He said: I am the messiah (the Antichrist) and will be soon Syrian sea or the Yemen sea: No, on the contrary, it is towards the east that he is. He said it twice and pointed his hand to the east. She said: I memorized this (tradition) from the Messenger of Allah (ﷺ), and she narrated the tradition.