আল-লুলু ওয়াল মারজান ৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৭৯৭

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৭৯৭. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নাম প্রবৃত্তি দিয়ে বেষ্টিত। আর জান্নাত বেষ্টিত দুঃখ-ক্লেশ দিয়ে।

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: حُجِبَتِ النَّارُ بِالشَّهَوَاتِ، وَحُجِبَتِ الْجَنَّةُ بِالْمَكَارِهِ

حديث ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: حجبت النار بالشهوات، وحجبت الجنة بالمكاره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৭৯৮

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৭৯৮. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেছেন, আমি আমার নেককার বান্দাদের জন্য এমন জিনিস তৈরি করে রেখেছি, যা কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কান শুনেনি এবং যার সম্পর্কে কোন মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি। তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পারঃ কেউ জানে না, তাদের জন্য তাদের চোখ শীতলকারী কী জিনিস লুকানো আছে- (সূরাহ সিজদাঃ ৩২/১৩)।

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ اللهُ: أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ، وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ، وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ فَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ (فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنِ)

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: قال الله: اعددت لعبادي الصالحين ما لا عين رات، ولا اذن سمعت، ولا خطر على قلب بشر فاقرءوا ان شىتم (فلا تعلم نفس ما اخفي لهم من قرة اعين)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৭৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১. জান্নাতে এক বৃক্ষ আছে যার ছায়ায় কোন আরোহী শত বছর চললেও তা অতিক্রম করতে পারবে না।

১৭৯৯. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, জান্নাতের মধ্যে এমন একটি বৃক্ষ আছে, যার ছায়ায় একজন সওয়ারী একশত বছর চলতে থাকবে, তবুও সে এ ছায়া অতিক্রম করতে পারবে না।

إِن في الجنة شجرة يسير الراكب في ظلها مائة عام لا يقطعها

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: إِنَّ فِي الْجَنَّةِ شَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ عَامٍ لاَ يَقْطَعُهَا

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، يبلغ به النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ان في الجنة شجرة يسير الراكب في ظلها ماىة عام لا يقطعها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮০০

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১. জান্নাতে এক বৃক্ষ আছে যার ছায়ায় কোন আরোহী শত বছর চললেও তা অতিক্রম করতে পারবে না।

১৮০০. সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ জান্নাতের মাঝে এমন একটি বৃক্ষ হবে যার ছায়ার মাঝে একজন আরোহী একশ’ বছর পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবে, তবুও বৃক্ষের ছায়াকে অতিক্রম করতে পারবে না।

إِن في الجنة شجرة يسير الراكب في ظلها مائة عام لا يقطعها

حديث سَهْلِ بْنِ سَعْدِ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَشَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ عَامٍ لاَ يَقْطَعُهَا

حديث سهل بن سعد، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ان في الجنة لشجرة يسير الراكب في ظلها ماىة عام لا يقطعها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮০১

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১. জান্নাতে এক বৃক্ষ আছে যার ছায়ায় কোন আরোহী শত বছর চললেও তা অতিক্রম করতে পারবে না।

১৮০১. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই জান্নাতের মাঝে এমন একটি বৃক্ষ হবে যার ছায়ায় উৎকৃষ্ট, উৎফুল্ল ও দ্রুতগামী ঘোড়ার একজন আরোহী একশ’ বছর পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবে। তবুও তার ছায়া অতিক্রম করতে পারবে না।

إِن في الجنة شجرة يسير الراكب في ظلها مائة عام لا يقطعها

حديث أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَشَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ الْجَوَادَ الْمُضَمَّرَ السَّرِيعَ مِائَةَ عَامٍ مَا يَقْطَعُهَا

حديث ابي سعيد، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ان في الجنة لشجرة يسير الراكب الجواد المضمر السريع ماىة عام ما يقطعها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮০২

পরিচ্ছেদঃ ৫১/২. জান্নাতবাসীদের উপর আল্লাহর রেজামন্দি ও সন্তুষ্টি এবং তিনি কখনও কোনদিন তাদের উপর রাগান্বিত হবেন না।

১৮০২. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা জান্নাতীগণকে সম্বােধন করে বলবেন, হে জান্নাতীগণ! তারা জবাবে বলবে, হে আমাদের প্রভু! হাযির, আমরা আপনার সমীপে হাযির। এরপর আল্লাহ্ তাআলা বলবেন, তোমরা কি সন্তুষ্ট হয়েছ? তারা বলবে, আপনি আমাদেরকে এমন বস্তু দান করেছেন যা আপনার মাখলুকাতের ভিতর থেকে কাউকেই দান করেননি। অতএব আমরা কেন সন্তুষ্ট হব না? তখন তিনি বলবেন, আমি এর চেয়েও উত্তম কিছু তোমাদেরকে দান করব। তারা বলবে, প্রভু হে! এর চেয়েও উত্তম সে কোন্ বস্তু? আল্লাহ্ তাআলা বলবেন, তোমাদের ওপর আমি আমার সন্তুষ্টি অবধারিত করব। এরপর আমি আর কখনও তোমাদের ওপর অসন্তুষ্ট হব না।

إِحلال الرضوان على أهل الجنة فلا يسخط عليهم أبدًا

حديث أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللهَ يَقُولُ لأَهْلِ الْجَنَّةِ: يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ يَقُولُونَ: لَبَّيْكَ، رَبَّنَا وَسَعْدَيْكَ فَيَقُولُ: هَلْ رَضِيتُمْ فَيَقُولُونَ: وَمَا لَنَا لاَ نَرْضى وَقَدْ أَعْطَيْتَنَا مَا لَمْ تُعْطِ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ فَيَقُولُ: أَنَا أُعْطِيكُمْ أَفْضَلَ مِنْ ذلِكَ قَالُوا: يَا رَبِّ وَأَيُّ شَيْءٍ أَفْضَلُ مِنْ ذَلِكَ فَيَقُولُ: أُحِلُّ عَلَيْكُمْ رِضْوَانِي، فَلاَ أَسْخَطُ عَلَيْكُمْ بَعْدَهُ أَبَدًا

حديث ابي سعيد الخدري، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان الله يقول لاهل الجنة: يا اهل الجنة يقولون: لبيك، ربنا وسعديك فيقول: هل رضيتم فيقولون: وما لنا لا نرضى وقد اعطيتنا ما لم تعط احدا من خلقك فيقول: انا اعطيكم افضل من ذلك قالوا: يا رب واي شيء افضل من ذلك فيقول: احل عليكم رضواني، فلا اسخط عليكم بعده ابدا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮০৩

পরিচ্ছেদঃ ৫১/৩. জান্নাতবাসীরা বিশেষ বাসস্থানের লোকদের সেভাবে দেখবে যেমন তোমরা আকাশে তারকা দেখে থাক।

১৮০৩. সাহ্‌ল বিন সা’দ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতীরা জান্নাতে বালাখানাগুলো দেখতে পাবে, যেমন তোমরা আকাশে তারকাগুলো দেখতে পাও। (সানাদে অন্তর্ভুক্ত) রাবী ’আবদুল আযীয বলেন, আমার পিতা বলেছেন যে, আমি এ হাদীসটি নুমান ইবনু আবূ আইয়্যাশকে বলেছি। অতঃপর তিনি বলেছেন, আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, অবশ্যই আবূ সাঈদকে এ হাদীস বর্ণনা করতে আমি শুনেছি এবং এতে তিনি এটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন “যেরূপ অস্তমান তারকাকে আকাশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে তোমরা দেখে থাক।”

ترائى أهل الجنة أهل الغرف كما يرى الكوكب في السماء

حديث سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ لَيَتَرَاءَوْنَ الْغُرَفَ فِي الْجَنَّةِ، كَمَا تَتَرَاءَوْنَ الْكَوْكَبَ فِي السَّمَاءِ قَالَ: فَحَدَّثْتُ النُّعْمَانَ ابْنَ أَبِي عَيَّاشٍ فَقَالَ: أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ يُحَدِّثُ وَيَزِيدُ فِيهِ كَمَا تَرَاءَوْنَ الْكَوْكَبَ الْغَارِبَ فِي الأفُقِ الشَّرْقِيِّ وَالْغَرْبِيِّ

حديث سهل بن سعد، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ان اهل الجنة ليتراءون الغرف في الجنة، كما تتراءون الكوكب في السماء قال: فحدثت النعمان ابن ابي عياش فقال: اشهد لسمعت ابا سعيد يحدث ويزيد فيه كما تراءون الكوكب الغارب في الافق الشرقي والغربي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮০৪

পরিচ্ছেদঃ ৫১/৩. জান্নাতবাসীরা বিশেষ বাসস্থানের লোকদের সেভাবে দেখবে যেমন তোমরা আকাশে তারকা দেখে থাক।

১৮০৪. আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই জান্নাতবাসীরা তাদের উপরের বালাখানার বাসিন্দাদের এমনভাবে দেখতে পাবে, যেমন তোমরা আকাশের পূর্ব অথবা পশ্চিম দিকে উজ্জ্বল দীপ্তিমান নক্ষত্র দেখতে পাও। এটা হবে তাদের মধ্যে মর্যাদার পার্থক্যের কারণে। সাহাবীগণ বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! এ তো নবীগণের জায়গা। তাদের ব্যতীত অন্যরা সেখানে পৌছতে পারবে না । তিনি বললেন, হ্যাঁ, সে সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ, যেসব লোক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে এবং রাসূলগণকে সত্য বলে স্বীকার করবে।

ترائى أهل الجنة أهل الغرف كما يرى الكوكب في السماء

حديث أَبِي سَعِيدٍ الْخدْرِيِّ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ يَتَرَاءَيُونَ أَهْلَ الْغُرَفِ مِنْ فَوْقِهِم كَمَا يَتَرَاءَيُونَ الْكَوْكَبَ الدُّرِّيَّ الْغَابِرَ فِي الأُفُقِ مِنَ الْمَشْرِقِ أَوِ الْمَغْرِبِ، لِتَفَاضُلِ مَا بَيْنَهُمْ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ تِلْكَ مَنَازِلُ الأَنْبِيَاءِ، لاَ يَبْلُغُهَا غَيْرُهُمْ قَالَ: بَلَى، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ رِجَالٌ آَمَنوا بِاللهِ، وَصَدَّقُوا الْمُرْسَلِينَ

حديث ابي سعيد الخدري رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ان اهل الجنة يتراءيون اهل الغرف من فوقهم كما يتراءيون الكوكب الدري الغابر في الافق من المشرق او المغرب، لتفاضل ما بينهم قالوا: يا رسول الله تلك منازل الانبياء، لا يبلغها غيرهم قال: بلى، والذي نفسي بيده رجال امنوا بالله، وصدقوا المرسلين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮০৫

পরিচ্ছেদঃ ৫১/৬. যে দলটি জান্নাতে প্রথমে প্রবেশ করবে তারা পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় জ্বলজ্বল করবে, তাদের ও তাদের স্ত্রীদের বর্ণনা।

১৮০৫. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বপ্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের মুখমণ্ডল হবে পূর্ণিমার রাতের চন্দ্রের মত উজ্জ্বল। অতঃপর যে দল তাদের অনুগামী হবে তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের সর্বাধিক দীপ্তিমান উজ্জ্বল তারকার ন্যায়। তারা পেশাব করবে না, পায়খানা করবে না। তাদের থুথু ফেলার প্রয়োজন হবে না এবং তাদের নাক হতে শ্লেষ্মও বের হবে না। তাদের চিরুণী হবে স্বর্ণের তৈরী। তাদের ঘাম হবে মিস্কের মত সুগন্ধযুক্ত। তাদের ধনুচি হবে সুগন্ধযুক্ত চন্দন কাষ্ঠের। বড় চক্ষু বিশিষ্ট হুরগণ হবেন তাদের স্ত্রী। তাদের সকলের দেহের গঠন হবে একই। তারা সবাই তাদের আদি পিতা আদম (আঃ)-এর আকৃতিতে হবেন। উচ্চতায় তাদের দেহের দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত।

أول زمرة تدخل الجنة على صورة القمر ليلة البدر وصفاتهم وأزواجهم

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَوَّلَ زُمْرَةٍ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، عَلَى أَشَدِّ كَوْكَبٍ دُرِّيٍّ فِي السَّمَاءِ إِضَاءَةً؛ لاَ يَبُولُونَ، وَلاَ يَتَغَوَّطُونَ، وَلاَ يَتْفِلُونَ، وَلاَ يَمْتَخِطُونَ أَمْشَاطُهُمُ الذَّهَبُ، وَرَشْحُهُمُ الْمِسْكُ، وَمَجَامِرُهُمُ الأَلُوَّةُ الأَنجُوجُ عُودُ الطِّيبِ وَأَزْوَاجُهُمُ الْحُورُ الْعِينُ عَلَى خَلْقِ رَجُلٍ وَاحِدٍ عَلَى صُورَةِ أَبِيهِمْ آدَمَ سِتُّونَ ذِرَاعًا فِي السَّمَاءِ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان اول زمرة يدخلون الجنة على صورة القمر ليلة البدر، ثم الذين يلونهم، على اشد كوكب دري في السماء اضاءة؛ لا يبولون، ولا يتغوطون، ولا يتفلون، ولا يمتخطون امشاطهم الذهب، ورشحهم المسك، ومجامرهم الالوة الانجوج عود الطيب وازواجهم الحور العين على خلق رجل واحد على صورة ابيهم ادم ستون ذراعا في السماء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮০৬

পরিচ্ছেদঃ ৫১/৯. জান্নাতের তাবুসমূহ এবং ওগুলোতে বসবাসরতা বিশ্বাসীদের স্ত্রীগণ।

১৮০৬. আবু মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’গুণসম্পন্ন মোতির তাঁবু থাকবে যার উচ্চতা ত্রিশ মাইল। এর প্রতিটি কোণে মুমিনদের জন্য এমন স্ত্রী থাকবে যাদেরকে অন্যরা কখনো দেখেনি।

صفة خيام الجنة وما للمؤمنين فيها من الأهلين

حديث أَبِي مُوسى الأَشْعَرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الْخَيْمَةُ دُرَّةٌ مُجَوَّفَةٌ، طُولُهَا فِي السَّمَاءِ ثَلاَثُونَ مِيلاً فِي كُلِّ زَاوِيَةٍ مِنْهَا لِلْمُؤْمِنِ أَهْلٌ، لاَ يَرَاهُمُ الآخَرُونَ

حديث ابي موسى الاشعري، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: الخيمة درة مجوفة، طولها في السماء ثلاثون ميلا في كل زاوية منها للمومن اهل، لا يراهم الاخرون

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮০৭

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১১. কতক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে যাদের অন্তর হবে পাখীর অন্তরের মত।

১৮০৭. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করলেন। তাঁর দেহের দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত। অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তাঁকে (আদমকে) বললেন, যাও, ঐ ফেরেশতা দলের প্রতি সালাম কর এবং তারা তোমার সালামের জওয়াব কিভাবে দেয় তা মনোযোগ দিয়ে শোন। কারণ এটা হতেই তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের রীতি। অতঃপর আদম (আঃ) (ফেরেশতাদের) বললেন, “আস্‌সালামু আলাইকুম। ফেরেশতামণ্ডলী তার উত্তরে "আস্‌সালামু আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ" বললেন। ফেরেশতারা সালামের জওয়াবে "ওয়া রহমাতুল্লাহ" শব্দটি বাড়িয়ে বললেন। যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন তারা আদম (আঃ)-এর আকৃতি বিশিষ্ট হবেন। তবে আদম সন্তানের দেহের দৈর্ঘ্য সর্বদা কমতে কমতে বর্তমান পরিমাপে এসেছে।

يدخل الجنة أقوام أفئدتهم مثل أفئدة الطير

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: خَلَقَ اللهُ آدَمَ، وَطُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا، ثُمَّ قَالَ: اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ، فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكِ فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ فَقَالُوا: السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ فَزَادُوهُ، وَرَحْمَةُ اللهِ فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ آدَمَ، فَلَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الآنَ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: خلق الله ادم، وطوله ستون ذراعا، ثم قال: اذهب فسلم على اولىك من الملاىكة، فاستمع ما يحيونك تحيتك وتحية ذريتك فقال: السلام عليكم فقالوا: السلام عليك ورحمة الله فزادوه، ورحمة الله فكل من يدخل الجنة على صورة ادم، فلم يزل الخلق ينقص حتى الان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮০৮

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১২. জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ, তার গভীরতা এবং এর ভিতরে শান্তি।

১৮০৮. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র। বলা হল, ’হে আল্লাহর রাসূল! জাহান্নামীদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্য দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ট ছিল। তিনি বললেন, ’দুনিয়ার আগুনের উপর জাহান্নামের আগুনের তাপ আরো ঊনসত্তর গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক অংশে তার সমপরিমাণ উত্তাপ রয়েছে।

في شدة حر نار جهنم وبعد قعرها، وما تأخذ من المعذبين

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: نارُكمْ جُزْءٌ مِنْ سَبْعِينَ جُزْءًا مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كَانَتْ لَكَافِيَةً قَالَ: فُضِّلَتْ عَلَيْهِنَّ بِتِسْعَةٍ وَسِتِّينَّ جُزْءًا، كلُّهُنَّ مِثْلُ حَرِّهَا

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ناركم جزء من سبعين جزءا من نار جهنم قيل يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ان كانت لكافية قال: فضلت عليهن بتسعة وستين جزءا، كلهن مثل حرها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮০৯

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১৩. অত্যাচারী ও উদ্ধৃতরা জাহান্নামের আগুনে এবং দুর্বল ও বিনীতা জান্নাতে প্রবেশ করবে।

১৮০৯. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাত ও জাহান্নাম পরস্পর বিতর্ক করে। জাহান্নাম বলে দাম্ভিক ও পরাক্রমশালীদের দ্বারা আমাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। জান্নাত বলে, আমার কী হলো? আমাতে কেবল মাত্র দুর্বল এবং নিরীহ ব্যক্তিরাই প্রবেশ করছে। তখন আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা’আলা জান্নাতকে বলবেন, তুমি আমার রহমত। তোমার দ্বারা আমার বান্দাদের যাকে ইচ্ছে আমি অনুগ্রহ করব। আর তিনি জাহান্নামকে বলবেন, তুমি হলে আযাব। তোমার দ্বারা আমার বান্দাদের যাকে ইচ্ছে শাস্তি দেব। জান্নাত ও জাহান্নাম প্রত্যেকের জন্যই রয়েছে পূর্ণতা। তবে জাহান্নাম পূর্ণ হবে না যতক্ষণ না তিনি তাঁর পা তাতে রাখবেন। তখন সে বলবে, বাস, বাস, বাস। তখন জাহান্নাম পূর্ণ হয়ে যাবে এবং এর এক অংশ অপর অংশের সঙ্গে মুড়িয়ে দেয়া হবে। আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টির কারো প্রতি যুলম করবেন না। অবশ্য আল্লাহ্ তা’আলা জান্নাতের জন্য অন্য মাখলুক সৃষ্টি করবেন।

النار يدخلها الجبارون والجنة يدخلها الضعفاء

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَحَاجَّتِ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ فَقَالَتِ النَّارُ: أُوثِرْتُ بِالْمُتَكَبِّرِينَ وَالْمُتَجَبِّرِينَ وَقَالَتِ الْجَنَّةُ: مَا لِي لاَ يَدْخُلُنِي إِلاَّ ضُعَفَاءُ النَّاسِ وَسَقَطُهُمْ قَالَ اللهُ، تَبَارَكَ وَتَعَالَى، لِلْجنَّةِ: أَنْتِ رَحْمَتِي أَرْحَمُ بِكِ مَنْ أَشَاءُ مِنْ عِبَادِي وَقَالَ لِلنَّارِ: إِنَّمَا أَنْتِ عَذَابٌ أُعَذِّبُ بِكِ مَنْ أَشَاءُ مِنْ عِبَادِي وَلِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا مِلْؤُهَا فَأَمَّا النَّارُ فَلاَ تَمْتَلِىءُ حَتَّى يَضَعَ رِجْلَهُ فَتَقُولُ قَطٍ قَطٍ قَطٍ فَهُنَالِكَ تَمْتَلِىءُ، وَيُزْوَى بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ وَلاَ يَظْلِمُ اللهُ، عَزَّ وَجَلَّ، مِنْ خَلْقِهِ أَحَدًا وَأَمَّا الْجَنَّةُ، فَإِنَّ اللهَ، عَزَّ وَجَلَّ، يُنْشِىءُ لَهَا خَلْقًا

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: تحاجت الجنة والنار فقالت النار: اوثرت بالمتكبرين والمتجبرين وقالت الجنة: ما لي لا يدخلني الا ضعفاء الناس وسقطهم قال الله، تبارك وتعالى، للجنة: انت رحمتي ارحم بك من اشاء من عبادي وقال للنار: انما انت عذاب اعذب بك من اشاء من عبادي ولكل واحدة منهما ملوها فاما النار فلا تمتلىء حتى يضع رجله فتقول قط قط قط فهنالك تمتلىء، ويزوى بعضها الى بعض ولا يظلم الله، عز وجل، من خلقه احدا واما الجنة، فان الله، عز وجل، ينشىء لها خلقا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮১০

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১৩. অত্যাচারী ও উদ্ধৃতরা জাহান্নামের আগুনে এবং দুর্বল ও বিনীতা জান্নাতে প্রবেশ করবে।

১৮১০. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নাম সর্বদাই বলতে থাকবে— আরও কি আছে? এমন কি রাব্বুল ইয্‌যত তাতে তার পা রাখবেন। জাহান্নাম বলবে, ’বাস, বাস’ তোমার ইয্‌যতের কসম! সেদিন তার একাংশ অপরাংশের সঙ্গে মিলিত হয়ে যাবে।

النار يدخلها الجبارون والجنة يدخلها الضعفاء

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ تَزَالُ جَهَنَّمُ تَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ، حَتَّى يَضَعَ رَبُّ الْعِزَّةِ فِيهَا قَدَمَهُ فَتَقُولُ قطِ قَطِ وَعِزَّتِكَ وَيُزْوَى بَعْضُهَا إِلَى بَعْض

حديث انس بن مالك قال النبي صلى الله عليه وسلم: لا تزال جهنم تقول هل من مزيد، حتى يضع رب العزة فيها قدمه فتقول قط قط وعزتك ويزوى بعضها الى بعض

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮১১

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১৩. অত্যাচারী ও উদ্ধৃতরা জাহান্নামের আগুনে এবং দুর্বল ও বিনীতা জান্নাতে প্রবেশ করবে।

১৮১১. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামত দিবসে মৃত্যুকে একটি ধূসর রঙের মেষের আকারে আনা হবে। তখন একজন সম্বােধনকারী ডাক দিয়ে বলবেন, হে জান্নাতবাসী! তখন তারা ঘাড় মাথা উঁচু করে দেখতে থাকবে। সম্বােধনকারী বলবে, তোমরা কি একে চিন? তারা বলবেন হ্যাঁ, এ হল মৃত্যু। কেননা সকলেই তাকে দেখেছে। তারপর সম্বােধনকারী আবার ডেকে বলবেন, হে জাহান্নামবাসী! জাহান্নামীরা মাথা উঁচু করে দেখতে থাকবে, তখন সম্বােধনকারী বলবে তোমরা কি একে চিন? তারা বলবে, হ্যাঁ, এ তো মৃত্যু। কেননা তারা সকলেই তাকে দেখেছে। তারপর (সেটি) যবেহ করা হবে। আর ঘােষক বলবেন, হে জান্নাতবাসী! স্থায়ীভাবে (এখানে) থাক। তোমাদের আর কোন মৃত্যু নেই। আর হে জাহান্নামবাসী! চিরদিন। (এখানে) থাক। তোমাদের আর মৃত্যু নেই। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করলেন- ’তাদের সতর্ক করে দাও পরিতাপের দিবস সম্বন্ধে যখন সকল ফয়সালা হয়ে যাবে অথচ এখন তারা গাফিল, তারা অসতর্ক দুনিয়াবাসী-অবিশ্বাসী।

النار يدخلها الجبارون والجنة يدخلها الضعفاء

حديث أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُؤْتَى بِالْمَوْتِ كَهَيْئَةِ كَبْشٍ أَمْلَحَ، فَيُنَادِي مُنَادٍ، يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ فَيَشْرَئِبُّونَ وَيَنْظُرونَ فَيَقُولُ: هَلْ تَعْرِفُونَ هذَا فَيَقُولُونَ: نَعَمْ هذَا الْمَوْتُ وَكلُّهُمْ قَدْ رَأَوْهُ ثُمَّ يُنَادِي: يَا أَهْلَ النَّارِ فَيَشْرَئِبُّونَ وَيَنْظُرُونَ فَيَقُولُ: هَلْ تَعْرِفُونَ هذَا فَيَقُولُونَ: نَعَمْ هذَا الْمَوْتُ وَكُلُّهُمْ قَدْ رَآه فَيُذْبَحُ ثُمَّ يَقُولُ: يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ خُلُودٌ، فَلاَ مَوْتَ وَيَا أَهْلَ النَّار خُلُودٌ، فَلاَ مَوْتَ ثُمَّ قَرَأَ (وَأَنْذِرْهُمْ يَوْمَ الْحَسْرَةِ إِذْ قُضِيَ الأَمْرُ وَهُمْ فِي غَفْلَةٍ، وَهؤُلاَءِ فِي غَفْلَةٍ، أَهْل الدُّنْيَا، وَهُمْ لاَ يُؤْمِنُونَ)

حديث ابي سعيد الخدري رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يوتى بالموت كهيىة كبش املح، فينادي مناد، يا اهل الجنة فيشرىبون وينظرون فيقول: هل تعرفون هذا فيقولون: نعم هذا الموت وكلهم قد راوه ثم ينادي: يا اهل النار فيشرىبون وينظرون فيقول: هل تعرفون هذا فيقولون: نعم هذا الموت وكلهم قد راه فيذبح ثم يقول: يا اهل الجنة خلود، فلا موت ويا اهل النار خلود، فلا موت ثم قرا (وانذرهم يوم الحسرة اذ قضي الامر وهم في غفلة، وهولاء في غفلة، اهل الدنيا، وهم لا يومنون)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮১২

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১৩. অত্যাচারী ও উদ্ধৃতরা জাহান্নামের আগুনে এবং দুর্বল ও বিনীতা জান্নাতে প্রবেশ করবে।

১৮১২. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন জান্নাতীগণ জান্নাতে আর জাহান্নামীগণ জাহান্নামে চলে যাবে, তখন মৃত্যুকে উপস্থিত করা হবে, এমন কি জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী স্থানে রাখা হবে। এরপর তাকে যব্‌হ করে দেয়া হবে এবং একজন ঘোষণাকারী এ মর্মে ঘোষণা দিবে যে, হে জান্নাতীগণ! (এখন আর) কোন মৃত্যু নেই। হে জাহান্নামীগণ! (এখন আর কোন) মৃত্যু নেই। তখন জান্নাতীগণের আনন্দ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। আর জাহান্নামীদের বিষন্নতাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।

النار يدخلها الجبارون والجنة يدخلها الضعفاء

حديث ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا صَارَ أَهْلُ الْجَنَّةِ إِلَى الْجَنَّةِ، وَأَهْلُ النَّارِ إِلَى النَّارِ؛ جِيءَ بِالْمَوْتِ حَتَّى يُجْعَلَ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ ثُمَّ يُذْبَحُ ثُمَّ يُنَادِي مُنَادٍ: يَا أَهْلَ الْجنَّةِ لاَ مَوْتَ، وَيَا أَهْلَ النَّارِ لاَ مَوْتَ فَيَزْدَادُ أَهْلُ الْجَنَّةِ فَرَحًا إِلَى فَرَحِهِمْ، وَيَزْدَادُ أَهْلُ النَّارِ حُزْنًا إِلَى حُزْنِهِمْ

حديث ابن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اذا صار اهل الجنة الى الجنة، واهل النار الى النار؛ جيء بالموت حتى يجعل بين الجنة والنار ثم يذبح ثم ينادي مناد: يا اهل الجنة لا موت، ويا اهل النار لا موت فيزداد اهل الجنة فرحا الى فرحهم، ويزداد اهل النار حزنا الى حزنهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮১৩

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১৩. অত্যাচারী ও উদ্ধৃতরা জাহান্নামের আগুনে এবং দুর্বল ও বিনীতা জান্নাতে প্রবেশ করবে।

১৮১৩. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কাফিরের দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানের দূরত্ব একজন দ্রুতগামী অশ্বারোহীর তিন দিনের ভ্রমণের সমান হবে।

النار يدخلها الجبارون والجنة يدخلها الضعفاء

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَا بَيْنَ مَنْكِبَيِ الْكَافِرِ مَسِيرَةُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ لِلرَّاكِبِ الْمُسْرِعِ

حديث ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ما بين منكبي الكافر مسيرة ثلاثة ايام للراكب المسرع

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮১৪

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১৩. অত্যাচারী ও উদ্ধৃতরা জাহান্নামের আগুনে এবং দুর্বল ও বিনীতা জান্নাতে প্রবেশ করবে।

১৮১৪. হারিস ইবনু ওয়াহাব খুযাঈ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আমি কি তোমাদেরকে জান্নাতী লোকদের পরিচয় বলব না? তারা দুর্বল এবং অসহায়; কিন্তু তারা যদি কোন ব্যাপারে আল্লাহর নামে কসম করে বসেন, তাহলে তা পূরণ করে দেন। আমি কি তোমাদেরকে জাহান্নামী লোকদের পরিচয় বলব না? তারা রূঢ় স্বভাব, অধিক মোটা এবং অহংকারী তারাই জাহান্নামী।

النار يدخلها الجبارون والجنة يدخلها الضعفاء

حديث حارِثَةَ بْنِ وَهْبٍ الْخُزَاعِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِأَهْلِ الْجَنَّةِ كُلُّ ضَعِيفٍ مَتَضَعِّفٍ، لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللهِ لأَبَرَّهُ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِأَهْلِ النَّارِ كُلُّ عُتُلٍّ جَوَّاظٍ مُسْتَكْبِرٍ

حديث حارثة بن وهب الخزاعي قال: سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول: الا اخبركم باهل الجنة كل ضعيف متضعف، لو اقسم على الله لابره الا اخبركم باهل النار كل عتل جواظ مستكبر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮১৫

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১৩. অত্যাচারী ও উদ্ধৃতরা জাহান্নামের আগুনে এবং দুর্বল ও বিনীতা জান্নাতে প্রবেশ করবে।

১৮১৫. আবদুল্লাহ ইবনু যাম’আ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খুতবাহ দিতে শুনেছেন, খুতবায় তিনি কওমে সামূদের প্রতি প্রেরিত উষ্ট্রী ও তার পা কাটার কথা উল্লেখ করলেন। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (إِذِ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا) এর ব্যাখ্যায় বললেন, ঐ উষ্ট্রীকে হত্যা করার জন্য এক হতভাগ্য শক্তিশালী ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠল যে সে সমাজের মধ্যে আবু যামআর মত প্রভাবশালী ও অত্যন্ত শক্তিধর ছিল। এ খুতবায় তিনি মেয়েদের সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছেন, আমাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যে তার স্ত্রীকে ক্রীতদাসের মত মারপিট করে; কিন্তু ঐ দিনের শেষেই সে আবার তার সঙ্গে এক বিছানায় মিলিত হয়। তারপর তিনি বায়ু নিঃসরণের পর হাসি দেয়া সম্পর্কে বললেন, তোমাদের কেউ কেউ হাসে সে কাজটির জন্য যে কাজটি সে নিজেও করে।

النار يدخلها الجبارون والجنة يدخلها الضعفاء

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ زَمْعَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ، وَذَكَرَ النَّاقَةَ وَالَّذِي عَقَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِذِ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا) انْبَعَثَ لَهَا رَجُلٌ عَزِيزٌ عَارِمٌ مَنِيعٌ فِي رَهْطِهِ، مِثْلُ أَبِي زَمْعَةَ وَذَكَرَ النِّسَاءَ فَقَالَ: يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ، يَجْلِدُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْعَبْدِ، فَلَعَلَّهُ يُضَاجِعُهَا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ ثُمَّ وَعَظَهُمْ فِي ضَحِكِهِمْ مِنَ الضَّرْطَةِ، وَقَالَ لِمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يَفْعَلُ

حديث عبد الله بن زمعة، انه سمع النبي صلى الله عليه وسلم يخطب، وذكر الناقة والذي عقر فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (اذ انبعث اشقاها) انبعث لها رجل عزيز عارم منيع في رهطه، مثل ابي زمعة وذكر النساء فقال: يعمد احدكم، يجلد امراته جلد العبد، فلعله يضاجعها من اخر يومه ثم وعظهم في ضحكهم من الضرطة، وقال لم يضحك احدكم مما يفعل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
১৮১৬

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১৩. অত্যাচারী ও উদ্ধৃতরা জাহান্নামের আগুনে এবং দুর্বল ও বিনীতা জান্নাতে প্রবেশ করবে।

১৮১৬. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি ’আমর ইবনু ’আমির খুয’আইকে তার বহির্গত নাড়ি-ভঁড়ি নিয়ে জাহান্নামের আগুনে চলাফেলা করতে দেখেছি। সেই প্রথম ব্যক্তি যে সাইবা উৎসর্গ করার প্রথা প্রচলন করে।

النار يدخلها الجبارون والجنة يدخلها الضعفاء

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رَأَيْتُ عَمْرَو بْنَ عَامِرِ بْنِ لُحَيٍّ الْخُزَاعِيَّ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَيَّبَ السَّوَائِبَ

حديث ابي هريرة، قال النبي صلى الله عليه وسلم: رايت عمرو بن عامر بن لحي الخزاعي يجر قصبه في النار، وكان اول من سيب السواىب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫১/ জান্নাত, তার বিবরণ, আনন্দ-উপভােগ ও তার বাসিন্দা (كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »