মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১৮ টি

পরিচ্ছেদঃ ৪. মসজিদ নির্মাণের ফযীলত এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান

১০৭৩। যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... মাহমূদ ইবনু লাবীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) যখন নতুনভাবে মসজিদ-ই নববী নির্মাণের সংকল্প করলেন, লোকে তা পছন্দ করল না। তারা সেটি আগের মত রাখাই ভাল মনে করেছিল। তখন উসমান (রাঃ) বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ব্যাক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরী করবেন।

باب فَضْلِ بِنَاءِ الْمَسَاجِدِ وَالْحَثِّ عَلَيْهَا ‏

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، أَرَادَ بِنَاءَ الْمَسْجِدِ فَكَرِهَ النَّاسُ ذَلِكَ فَأَحَبُّوا أَنْ يَدَعَهُ عَلَى هَيْئَتِهِ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لِلَّهِ بَنَى اللَّهُ لَهُ فِي الْجَنَّةِ مِثْلَهُ ‏"‏ ‏.‏


Mahmud b. Labid reported: When 'Uthman b. 'Affan intended to build the mosque (of the Prophet) the people did not approve of it. They liked that it should be kept in the same state. Thereupon he said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: He who built a mosque for Allah, Allah would build a house for him like it in Paradise.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩. মসজিদ নির্মাণের ফযীলত

৭২০১। যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ... মাহমুদ ইবনু লাবীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) মসজিদ নির্মাণের ইচ্ছা করলে লোকেরা এটাকে অপছন্দ করল। তারা চাচ্ছিল যে, তিনি উহাকে পূর্বের অবস্থায় রেখে দেন। তখন তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে একথা বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ (ঘর) নির্মাণ করবেন।

باب فَضْلِ بِنَاءِ الْمَسَاجِدِ

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، كِلاَهُمَا عَنِ الضَّحَّاكِ، - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، أَرَادَ بِنَاءَ الْمَسْجِدِ فَكَرِهَ النَّاسُ ذَلِكَ وَأَحَبُّوا أَنْ يَدَعَهُ عَلَى هَيْئَتِهِ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لِلَّهِ بَنَى اللَّهُ لَهُ فِي الْجَنَّةِ مِثْلَهُ ‏"‏ ‏.‏


Mahmud b. Labid reported that 'Uthman b. 'Affan decided to rebuild the mosque (of Allah's Apostle in Medina) but the people did not like this idea and they wished that it should be preserved in the same (old) form. Thereupon he (Hadrat 'Uthman) said: I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: He who builds a mosque for Allah, Allah would build for him (a house) in Paradise like it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৭/ ভোর ফর্সা হওয়ার পরে ফজরের নামায পড়া।

৫৫০। ইবরাহীম ইবনু ইয়াকুব (রহঃ) ... মাহমুদ ইবনু লবীদ (রহঃ) এর মাধ্যমে তাঁর আনসার সম্প্রদায়ের কতিপয় ব্যক্তি হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ফজরের সালাত যতঈ ফর্সা হওয়ার পর আদায় করবে, ততই তোমাদের অধিক সওয়াবের কারণ হবে।

أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، عَنْ رِجَالٍ، مِنْ قَوْمِهِ مِنَ الأَنْصَارِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَا أَسْفَرْتُمْ بِالْفَجْرِ فَإِنَّهُ أَعْظَمُ بِالأَجْرِ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Mahmud bin Labid, from some men among his people who were of the Ansar, that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The more you delay Fajr, the greater the reward."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৩. যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে মসজিদ বানায়

১৪২৯. মাহমূদ ইবনু লাবীদ হতে বর্ণিত, যখন উছমান মসজিদ নির্মানের ইচ্ছা করলেন, তখন লোকেরা এটি অপছন্দ করলো। তখন উছমান রা: বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি: “যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মান করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ (ঘর) নির্মান করেন।”[1]

بَاب مَنْ بَنَى لِلَّهِ مَسْجِدًا

حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ أَنَّ عُثْمَانَ لَمَّا أَرَادَ أَنْ يَبْنِيَ الْمَسْجِدَ كَرِهَ النَّاسُ ذَلِكَ فَقَالَ عُثْمَانُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ بَنَى لِلَّهِ مَسْجِدًا بَنَى اللَّهُ لَهُ فِي الْجَنَّةِ مِثْلَهُ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪. মাসজিদ নির্মাণের ফযীলত এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান

১০৭৭-(২৫/...) যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) [শব্দাবলী তার] ... মাহমূদ ইবনু লাবীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেছেন) উসমান ইবনু আফফান (রাযিঃ) মাসজিদ নির্মাণ করতে মনস্থ করলে লোকজন তা করা পছন্দ করলো না। বরং মাসজিদ যেমন আছে তেমন রেখে দেয়াই তারা ভাল মনে করলো। তখন উসমান বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে কেউ মাসজিদ নির্মাণ করলে আল্লাহ তা’আলাও তার জন্য জান্নাতের মধ্যে অনুরূপ একখানা ঘর তৈরি করেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৭১, ইসলামীক সেন্টার ১০৭৯)

باب فَضْلِ بِنَاءِ الْمَسَاجِدِ وَالْحَثِّ عَلَيْهَا ‏

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، أَرَادَ بِنَاءَ الْمَسْجِدِ فَكَرِهَ النَّاسُ ذَلِكَ فَأَحَبُّوا أَنْ يَدَعَهُ عَلَى هَيْئَتِهِ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لِلَّهِ بَنَى اللَّهُ لَهُ فِي الْجَنَّةِ مِثْلَهُ ‏"‏ ‏.‏


Mahmud b. Labid reported: When 'Uthman b. 'Affan intended to build the mosque (of the Prophet) the people did not approve of it. They liked that it should be kept in the same state. Thereupon he said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: He who built a mosque for Allah, Allah would build a house for him like it in Paradise.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩. মাসজিদ নির্মাণের ফযীলত

৭৩৬১-(৪৪/...) যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... মাহমুদ ইবনু লাবীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উসমান ইবনু আফফান (রাযিঃ) মাসজিদ তৈরির মনস্থ করলে লোকেরা এটাকে পছন্দ করল না। তারা কামনা করছিল যে, তিনি সেটাকে পূর্বাবস্থায় রেখে দেন। তখন তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশে মসজিদ তৈরি করবে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২০১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৫৪)

باب فَضْلِ بِنَاءِ الْمَسَاجِدِ

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، كِلاَهُمَا عَنِ الضَّحَّاكِ، - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، أَرَادَ بِنَاءَ الْمَسْجِدِ فَكَرِهَ النَّاسُ ذَلِكَ وَأَحَبُّوا أَنْ يَدَعَهُ عَلَى هَيْئَتِهِ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لِلَّهِ بَنَى اللَّهُ لَهُ فِي الْجَنَّةِ مِثْلَهُ ‏"‏ ‏.‏


Mahmud b. Labid reported that 'Uthman b. 'Affan decided to rebuild the mosque (of Allah's Apostle in Medina) but the people did not like this idea and they wished that it should be preserved in the same (old) form. Thereupon he (Hadrat 'Uthman) said: I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: He who builds a mosque for Allah, Allah would build for him (a house) in Paradise like it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৯২-[১৯] মাহমূদ ইবনু লাবীদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, তিনি তার স্ত্রীকে একসঙ্গে তিন তালাক দিয়েছেন। এটা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ভীষণভাবে রাগের সাথে দাঁড়িয়ে বললেন- আমি তোমাদের মধ্যে থাকাবস্থায় আল্লাহর কিতাব (শারী’আতের বিধান)-এর সাথে খেলা (অবজ্ঞা-অবহেলা) করছ? এ কথা শুনে জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তাকে হত্যা করব? (নাসায়ী)[1]

حَدِيث رِجَاله ثِقَات وَعَن مَحْمُود بن لبيد قل: أَخْبَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثَ تَطْلِيقَاتٍ جَمِيعًا فَقَامَ غَضْبَانَ ثُمَّ قَالَ: «أَيُلْعَبُ بِكِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَأَنَا بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ؟» حَتَّى قَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا أَقْتُلُهُ؟ . رَوَاهُ النَّسَائِيّ

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসের বর্ণনাকারী মাহমূদ ইবনু লাবীদ বানী আশহাল গোত্রের আনসারী ছিলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তার থেকে বেশ কিছু হাদীসও বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহচার্য লাভ করেছেন। ইমাম হাকিম বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সহচার্যের কথা জানা যায় না। ইমাম মুসলিম তাকে তাবি‘ঈনদের মধ্যে উল্লেখ করেছেন। ইবনু ‘আব্দিল বার (রহঃ) বলেন, ইমাম বুখারীর কথাটি সঠিক।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوْفٍ أَوْ تَسْرِيْحٌ بِاحْسَانٍ

তালাক দুইবার মাত্র। অতঃপর স্ত্রীকে হয় বিধিমত রেখে দিবে, না হয় স্বহৃদয়তার সাথে মুক্ত করে দিবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ ‘‘অতঃপর সে যদি স্ত্রীকে তালাক দেয়, তবে সে তার জন্য বৈধ হবে না, যে পর্যন্ত না সে অন্য স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে।’’ (সূরা আল বাকারা ২ : ২২৯-৩০)

অতঃপর আল্লাহ বলেনঃ ‘‘তোমরা আল্লাহর আয়াতকে খেল-তামাশা হিসেবে গ্রহণ করো না।’’ (সূরা আল বাকারা ২ : ২৩১)

উপরে উল্লেখিত তিনটি আয়াত উল্লেখপূর্বক মুল্লা ‘আলী কারী (রহঃ) ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন এভাবে,

التَّطْلِيقُ الشَّرْعِيُّ تَطْلِيقَةٌ بَعْدَ تَطْلِيقَةٍ عَلَى التَّفْرِيقِ دُونَ الْجَمْعِ وَالْإِرْسَالِ دَفْعَةً وَاحِدَةً

শারী‘আত তালাক হলো একটির পর একটি পৃথক পৃথকভাবে প্রদান করা, (দু’টি বা তিনটি) একত্রে প্রদান না করা। এজন্য ‘উলামাগণ সাধারণভাবে একত্রে তিন তালাক প্রদানকে অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করেছেন। কেননা এতে কুরআনে উল্লেখিত التَّطْلِيقُ الشَّرْعِيُّ এর যথাযথ সুযোগ থাকে না।

মুল্লা ‘আলী কারী (রহঃ) বলেনঃ অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, একত্রে তিন তালাক প্রদান করা হারাম। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর গোস্বা ও প্রত্যাখ্যান পাপের কারণ ছাড়া হয়নি। তিনি শুনে গোস্বায় অগ্নিশর্মা হয়ে দাঁড়িয়ে যান এবং বলে উঠেন: (أَيُلْعَبُ بِكِتَابِ اللّٰهِ) আমি তোমাদের মধ্যে বর্তমান থাকতেই আল্লাহর কিতাব নিয়ে খেল তামাশা? তিনি আরও বলেনঃ এটা বড় ধরনের অস্বীকার, বরং পূর্ণ চূড়ান্ত প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ একত্রে তালাক প্রদান না করে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পৃথক পৃথক ভাবে তালাক প্রদান করার হিকমাত বা গুরুত্ব হলো আল্লাহর কুরআনের এই আয়াতের দাবী বাস্তবায়ন। আল্লাহর বাণী : ‘‘আশা করা যায় আল্লাহ এর পরেও (অর্থাৎ ‘ইদ্দত মোতাবেক বা দুই ত্বলাকের পরও সমঝোতার) কোনো পথ বের করে দিতে পারেন।’’ (সূরা আত্ব তালাক ৬৫ : ০১)

স্বামী যখন তাকে ‘ইদ্দত অনুযায়ী তালাক দিয়ে পৃথক করে দিবেন আল্লাহ তখন তার রাগ-গোস্বাকে মুহববাত দ্বারা পরিবর্তন করে দিবেন। তার প্রতি ঘৃণার স্থলে ভালোবাসা সৃষ্টি করে দিবেন এবং চূড়ান্ত ত্বলাকের দৃঢ় ইচ্ছা বা সংকল্পকে আল্লাহ অনুতপ্তে পরিবর্তন করে দিবেন, ফলে সে তার স্ত্রীকে রজ্‘আহ্ বা প্রত্যাহার করে নিবে। ইমাম নববী (রহঃ) বলেনঃ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে- ‘‘তুমি তিন তালাক’’ তার ব্যাপারে ইমাম ও ফুকাহাগণ মতবিরোধ করেছেন।

ইমাম মালিক, শাফি‘ঈ, আবূ হানীফাহ্, আহমাদ এবং জুমহূর সালাফ ও খলাফ বলেনঃ এ ক্ষেত্রে তিন তালাক-ই পতিত হবে। সহাবা তাবি‘ঈগণ থেকে শুরু করে সালাফ ও খলাফের কতিপয় মুহাক্কিক ‘উলামাহ্ বলেন, এ ক্ষেত্রে এক তালাক পতিত হবে। ইমাম ত্বাউস ও আহলুয্ যাহিরগণও এই মতের প্রবক্তা। এ মতের অনুকূলে একাধিক বিশুদ্ধ হাদীস রয়েছে। ৩২৮৩ নং হাদীসে এর কিঞ্চিৎ প্রমাণ পেশ করা হয়েছে।

ইবনু মুকাতিল এবং ইসহক-এর (এক বর্ণনা) মতে এ ক্ষেত্রে কোনো তালাক-ই পতিত হবে না। কারণ একত্রে তিন তালাক দেয়া হারাম এবং গুনাহের কাজ। আর সেই হারাম পদ্ধতিতে কোনো কাজ করলে তা কার্যকর হবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গরীবদের ফযীলত ও নবী (সা.) -এর জীবন-যাপন

৫২৫১-[২১] মাহমূদ ইবনু লাবীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী (সা.) বলেছেন: আদম সন্তান দুটি জিনিসকে অপছন্দ করে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে অথচ মু’মিনের পক্ষে ফিতনায় পতিত হওয়ার চেয়ে মৃত্যু অনেক উত্তম। আর সে মাল-সম্পদের স্বল্পতাকে অপছন্দ করে অথচ মালের স্বল্পতায় (পরকালে) হিসাবনিকাশ কম হয়। (আহমাদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ - (بَابُ فَضْلِ الْفُقَرَاءِ وَمَا كَانَ مِنْ عَيْشِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ)

وَعَن مَحْمُود بن لبيد أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اثْنَتَانِ يَكْرَهُهُمَا ابْنُ آدَمَ: يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَالْمَوْتُ خَيْرٌ لِلْمُؤْمِنِ مِنَ الْفِتْنَةِ وَيَكْرَهُ قِلَّةَ الْمَالِ وَقلة المَال أقل لِلْحسابِ . رَوَاهُ أَحْمد

اسنادہ حسن ، رواہ احمد (5 / 427 ح 24024) ۔
(صَحِيح)

ব্যাখ্যা : মানুষের অপছন্দের এ দুটি বস্তু হলো তার স্বভাবগত অথচ তা তার জন্য কল্যাণকর। সে অপছন্দের বস্তু দুটি হলো মৃত্যু এবং স্বল্প সম্পদ।
ইবনুল মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, মানুষের যে ফিতনাহ্ থেকে মৃত্যুই উত্তম তা হলো শিরকে পতিত হওয়া।
রাগিব ইস্পাহানী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: কর্মর্গত ফিতনাহ্ যা আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং বান্দার পক্ষ থেকে হয় যেমন বিভিন্ন বালা-মুসীবত, হত্যা, শাস্তিসহ নানা অপছন্দনীয় বিষয়।
‘আল্লামাহ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, মু'মিনের দীনী ফিতনাহ্ হলো মুরতাদ বা ধর্মচ্যুত হওয়া এবং অন্যকে গুনাহের জন্য বাধ্য করা। আবূ নু'আয়ম হিলয়াহ গ্রন্থে আবু আবদুল্লাহ আস সানাবিহী থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, দুনিয়া ফিতনার দিকে আহ্বান করছে, আর শয়তান আহ্বান করছে পাপের দিকে অথচ আল্লাহর সাক্ষাৎ এ দুয়ের সাথে অবস্থানের চেয়ে অধিক কল্যাণকর। মানুষের দ্বিতীয় অপছন্দনীয় বস্তুটি হলো স্বল্প সম্পদ। অথচ এটা তার পরকালের হিসাবের ক্ষেত্রে অতীব সহজতর ব্যবস্থা এবং আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচার একান্ত পন্থা।
(মিরক্বাতুল মাফাতীহ; আল কাশিফ ১০ম খণ্ড, ৩৩১৬ পৃ.)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

৫৩৩৪-[২১] মাহমূদ ইবনু লাবীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন: আমি তোমাদের জন্য যে ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা বেশি আশঙ্কা করছি তা হলো ছোট শিরক। লোকেরা প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রসূল! ছোট শিরক কি? তিনি (সা.) বললেন, লোক দেখানো ’আমল। (আহমাদ)

আর ইমাম বায়হাক্কী (রহিমাহুল্লাহ) শুআবূল ঈমানে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, বান্দাদের ’আমালের বিনিময়ের দিন আল্লাহ তা’আলা ঐ সমস্ত লোকেদেরকে বলবেন, যাও তোমরা সেই সমস্ত লোকদের কাছে, যাদেরকে দেখিয়ে দুনিয়াতে ’আমল করেছিলে আর লক্ষ্য করো তাদের নিকট থেকে কোন বিনিময় বা কোন কল্যাণ পাও কি না?

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

وَعَن مَحْمُود بن لبيد أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمُ الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ» قالول: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ؟ قَالَ: «الرِّيَاءُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ. وَزَادَ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ» : يَقُولُ اللَّهُ لَهُمْ يَوْمَ يُجَازِي الْعِبَادَ بِأَعْمَالِهِمْ: اذْهَبُوا إِلَى الَّذِينَ كُنْتُمْ تُرَاؤُونَ فِي الدُّنْيَا فَانْظُرُوا هَلْ تَجِدُونَ عِنْدَهُمْ جَزَاءً وَخَيْرًا؟

اسنادہ حسن ، رواہ احمد (5 / 428 ح 24036) و البیھقی فی شعب الایمان (6831 ، نسخۃ محققۃ : 6412) ۔
(صَحِيح)

ব্যাখ্যা : (إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمُ الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ) নিশ্চয় আমি তোমাদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ভয় করছি শিরকে আসগরের। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন : শিরকে আসগর কি? তিনি (সা.) উত্তর দিলেন: রিয়া বা লোক দেখানো ‘আমল। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ‘রিয়া’ (লোক-প্রদর্শনমূলক কার্যকলাপ) হারাম

(১৭৪) মাহমূদ বিন লাবীদ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা স্বগৃহ হতে) বের হয়ে বললেন, হে মানবমণ্ডলী! তোমরা গুপ্ত শির্ক হতে সাবধান হও। সকলে বলল, হে আল্লাহর রসূল! গুপ্ত শির্ক কী? তিনি বললেন, মানুষ নামায পড়তে দাঁড়িয়ে তার নামাযকে চেষ্টার সাথে সুশোভিত করে (সুন্দর করে পড়ে); এই কারণে যে, লোকেরা তার প্রতি দৃক্‌পাত করে দেখে তাই। এটাই (লোকেদের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে নামায পড়া) হল গুপ্ত শির্ক।

وعَن مَحْمُودِ بْنِ لَيِيدٍ قَالَ: خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيُّهَا النَّاسُ إِيَّاكُمْ وَشِرْكَ السَّرَائِرِ قَالُوْا : يَا رَسُولَ اللهِ وَمَا شِرْكُ السَّرَائِرِ ؟ قَالَ يَقُومُ الرَّجُلُ فَيُصَلِّي فَيُزَيِّنُ صَلاَتَهُ جَاهِدًا لِمَا يَرَى مِنْ نَظَرِ النَّاسِ إِلَيْهِ فَذَلِكَ شِرْكُ السَّرَائِرِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ‘রিয়া’ (লোক-প্রদর্শনমূলক কার্যকলাপ) হারাম

(১৭৫) মাহমূদ বিন লাবীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের উপর আমার সবচেয়ে অধিক যে জিনিসের ভয় হয় তা হল ছোট শির্ক। সাহাবাগণ প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রসূল! ছোট শির্ক কী জিনিস? উত্তরে তিনি বললেন, রিয়া (লোকপ্রদর্শনের উদ্দেশ্যে আমল)। আল্লাহ আযযা অজাল্ল যখন (কিয়ামতে) লোকেদের আমলসমূহের বদলা দান করবেন তখন সকলের উদ্দেশ্যে বলবেন, তোমরা তাদের নিকট যাও, যাদেরকে প্রদর্শন করে দুনিয়াতে তোমরা আমল করেছিলে। অতঃপর দেখ, তাদের নিকট কোন প্রতিদান পাও কি না!

وعَن مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ قَالُوْا وَمَا الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ الرِّيَاءُ يَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِذَا جُزِيَ النَّاسُ بِأَعْمَالِهِمْ اذْهَبُوا إِلَى الَّذِينَ كُنْتُمْ تُرَاءُونَ فِي الدُّنْيَا فَانْظُرُوا هَلْ تَجِدُونَ عَندَهُمْ جَزَاءً


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মরণকে স্মরণ

(১২৫৩) মাহমূদ বিন লাবীদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দু’টি জিনিসকে আদম-সন্তান অপছন্দ করে; (তার মধ্যে প্রথম হল) মৃত্যু, অথচ মু’মিনের জন্য ফিতনা থেকে মৃত্যুই উত্তম। আর (দ্বিতীয় হল) ধন-স্বল্পতা, অথচ ধন-স্বল্পতা হিসাবের জন্য কম (প্রশ্ন হবে)।

عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ اثْنَتَانِ يَكْرَهُهُمَا ابْنُ آدَمَ الْمَوْتُ وَالْمَوْتُ خَيْرٌ لِلْمُؤْمِنِ مِنْ الْفِتْنَةِ وَيَكْرَهُ قِلَّةَ الْمَالِ وَقِلَّةُ الْمَالِ أَقَلُّ لِلْحِسَاب


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭. তালাক্বের বিবরণ - এক শব্দ দ্বারা তিন তালাক দেওয়ার বিধান

১০৭২। মাহমুদ ইবনু লাবীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কোন লোক সম্বন্ধে সংবাদ দেয়া হলো যে, লোকটি তার স্ত্রীকে একই সাথে তিন তালাক দিয়ে ফেলেছে। (এরূপ শুনে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগাম্বিত হয়ে উঠে দাঁড়ালেন, অতঃপর বললেন, তোমাদের মধ্যে আমি বিদ্যমান থাকা অবস্থাতেই কুরআন নিয়ে কি খেলা করা হচ্ছে? এমনকি এক ব্যক্তি (সাহাবী) দাঁড়িয়ে গিয়ে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তাকে হত্যা করব না? -হাদীসটির রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।[1]

وَعَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ قَالَ: أُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَنْ رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثَ تَطْلِيقَاتٍ جَمِيعًا, فَقَامَ غَضْبَانَ ثُمَّ قَالَ: «أَيُلْعَبُ بِكِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى, وَأَنَا بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ». حَتَّى قَامَ رَجُلٌ, فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! أَلَا أَقْتُلُهُ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَرُوَاتُهُ مُوَثَّقُونَ

-

ضعيف. رواه النسائي (6/ 142 - 143)، ورواته ثقات، ولكنه من رواية مخرمة بن بكير، عن أبيه، ولم يسمع منه


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪. মন্দ চরিত্র সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন

১৪৮৪। মাহমুদ ইবনু লাবীদ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের ব্যাপারে আমার সর্বাপেক্ষা ভয়ের বস্তু যা আমি ভয় পাচ্ছি তা হচ্ছে ছোট শিরক- রিয়া (অর্থাৎ লোক দেখানো ধর্মকর্ম)।[1]

وَعَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ: الرِّيَاءُ». أَخْرَجَهُ أَحْمَدُ بِسَنَدٍ حَسَنٍ

-

حسن. رواه أحمد (5/ 428 و 429) وزاد: «يقول الله -عز وجل- لهم يوم القيامة -إذا جزى الناس بأعمالهم-: اذهبوا إلى الذين كنتم تراءون في الدنيا فانظروا هل تجدون عندهم جزاء


Mahmud bin Labid (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “The thing I fear most for you is the lesser shirk (polytheism), showing-off (of good deeds).” Related by Ahmad with a good chain of narrators.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. অসুস্থ ব্যক্তির মোক্তাদীর সাথে বসে নামায পড়া

১৪৫০(১). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উসাইদ ইবনে হুদাইর (রাঃ) কোমরের বাতরোগে আক্রান্ত হলেন। তিনি ছিলেন আমাদের ইমাম। তিনি আমাদের নিকট এসে তার হাত দ্বারা আমাদের ইশারা করে বলতেন, তোমরা বসো। অতএব আমরা বসতাম। তিনি আমাদেরকে বসা অবস্থায় নামায পড়াতেন এবং আমরাও বসা অবস্থায় থাকতাম।

بَابُ صَلَاةِ الْمَرِيضِ جَالِسًا بِالْمَأْمُومِينَ

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْأَنْمَاطِيُّ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ كَثِيرِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ قَالَ : كَانَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ قَدِ اشْتَكَى عِرْقَ النَّسَا وَكَانَ لَنَا إِمَامًا وَكَانَ يَخْرُجُ إِلَيْنَا فَيُشِيرُ إِلَيْنَا بِيَدِهِ أَنِ اجْلِسُوا فَنَجْلِسُ فَيُصَلِّي بِنَا جَالِسًا وَنَحْنُ جُلُوسٌ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৭: ভোর ফর্সা হওয়ার পরে ফজরের সালাত আদায় করা

৫৪৯. ইবরাহীম ইবনু ইয়াকুব (রহ.) ..... মাহমূদ ইবনু লাবীদ (রহ.)-এর মাধ্যমে তার আনসার কওমের কতিপয় ব্যক্তি হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যতই ভোর ফর্সা হওয়ার পর ফজরের সালাত আদায় করবে ততই তোমাদের অধিক নেকীর কারণ হবে।

الإسفار

أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ أَخْبَرَنَا أَبُو غَسَّانَ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، ‏‏‏‏‏‏عَنْعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ رِجَالٍ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ الْأَنْصَارِ، ‏‏‏‏‏‏أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ مَا أَسْفَرْتُمْ بِالْفَجْرِ، ‏‏‏‏‏‏فَإِنَّهُ أَعْظَمُ بِالْأَجْرِ .

تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، تحفة الأشراف: ۱۵۶۷۰) (صحیح الإسناد)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 550 - صحيح الإسناد

27. Al-Isfar (Praying Fajr When It Has Become Lighter)


It was narrated from Mahmud bin Labid, from some men among his people who were of the Ansar, that the Messenger of Allah (ﷺ) said: The more you delay Fajr, the greater the reward.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২) রিয়া থেকে সতর্কীকরণ, কোন ব্যাক্তি রিয়ার আশংকা করলে কি বলবে

৩১. (হাসান) মাহমূদ বিন লাবীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে এসে বললেনঃ

’’হে লোক সকল! তোমরা গোপন শির্ক থেকে সাবধান!’’ তাঁরা জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! গোপন শির্ক কি? তিনি বললেনঃ

’’এক ব্যাক্তি সালাতে দন্ডায়মান হবে অতঃপর মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তার সালাতকে সুন্দর করবে। আর এটাই হল গোপন শির্ক।’’

(ইবনু খুযায়মা [সহীহ্] গ্রন্থে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترهيب من الرياء وما يقوله من خاف شيئا منه

(حسن ) وَعَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِيَّاكُمْ وَشِرْكَ السَّرَائِرِ" قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَمَا شِرْكُ السَّرَائِرِ ؟ قَالَ:" أَنْ يُتِمَّ رُكُوعَهَا وَسُجُودَهَا لِمَا يَلْحَظُهُ مِنَ الْحَدَقِ وَالنَّظَرِ فَذَلِكَ شِرْكُ السَّرَائِرِ "رواه ابن خزيمة في صحيحه


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২) রিয়া থেকে সতর্কীকরণ, কোন ব্যাক্তি রিয়ার আশংকা করলে কি বলবে

৩২. (সহীহ্) মাহমূদ বিন লাবীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

’’তোমাদের উপর সবচেয়ে ভয়ানক যে বিষয়ের আমি আশংকা করছি তা হল শির্ক আসগার (ছোট শির্ক)।’’ তারা বললেনঃ ছোট শির্ক কী হে আল্লাহর রাসূল?

তিনি বললেনঃ ’’রিয়া। সম্মানিত আল্লাহ যখন মানুষকে তাদের কর্মফল দান করবেন তখন বলবেনঃ দুনিয়ায় যাদেরকে দেখানোর উদ্দেশ্যে তোমরা আমল করতে তাদের কাছে যাও। দেখ, তাদের কাছে কোন প্রতিদান পাও কি না?’’

(উত্তম সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ, আরো বর্ণনা করেন বায়হাকী ও ইবনু আবীদ্ দুনিয়া)

الترهيب من الرياء وما يقوله من خاف شيئا منه

(صحيح) عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمُ الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ قَالُوا وَمَا الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: الرِّيَاءُ، يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِذَا جُزِيَ النَّاسُ بِأَعْمَالِهِمُ اذْهَبُوا إِلَى الَّذِينَ كُنْتُمْ تُرَاءُونَ فِي الدُّنْيَا فَانْظُرُوا هَلْ تَجِدُونَ عِنْدَهُمْ جَزَاءً (رواه أحمد بإسناد جيد وابن أبي الدنيا والبيهقي في الزهد وغيره)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাহমূদ ইবনে লাবীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে