সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২১৫

পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের ফযীলত সম্পর্কে

১২১৫. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের উপমা হলো তোমাদের কারোর (বাড়ির) দরজার সামনে দিয়ে প্রবাহিত সুমিষ্ট (পানির) নদীর মতো যাতে সেই ব্যক্তি প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে।[1]

بَاب فِي فَضْلِ الصَّلَوَاتِ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوبَاتِ كَمَثَلِ نَهَرٍ جَارٍ عَذْبٍ عَلَى بَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ

اخبرنا يعلى بن عبيد حدثنا الاعمش عن ابي سفيان عن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم مثل الصلوات المكتوبات كمثل نهر جار عذب على باب احدكم يغتسل منه كل يوم خمس مرات

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২১৬

পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের ফযীলত সম্পর্কে

১২১৬. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেছেন: “আচ্ছা, বলো তো দেখি, তোমাদের মধ্যকার কারো দরজার সামনে যদি একটি নদী থাকে আর সে ব্যক্তি পাঁচবার তাতে গোসল করে, তবে তোমরা কী বলো, তার (শরীরে) কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকতে পারে কি? তারা বললো, কোনো ময়লাই থাকতে পারে না। তিনি বললেন: “এমনটি-ই হলো পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উপমা, এগুলোর দ্বারা আল্লাহ পাপসমূহ মোচন করে দেন।”[1]

بَاب فِي فَضْلِ الصَّلَوَاتِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهَرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ مَاذَا تَقُولُونَ ذَلِكَ مُبْقِيًا مِنْ دَرَنِهِ قَالُوا لَا يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ قَالَ كَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا

اخبرنا عبد الله بن صالح حدثني الليث حدثني يزيد بن عبد الله عن محمد بن ابراهيم عن ابي سلمة عن ابي هريرة انه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ارايتم لو ان نهرا بباب احدكم يغتسل كل يوم خمس مرات ماذا تقولون ذلك مبقيا من درنه قالوا لا يبقي من درنه قال كذلك مثل الصلوات الخمس يمحو الله بهن الخطايا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২১৭

পরিচ্ছেদঃ ২. সালাতের ওয়াক্তসমূহ

১২১৭. ‍মুহাম্মদ ইবনু আমর ইবনুল হাসান ইবনু আলী রিদ্বওয়ানুল্লাহি আলাইহিমা বলেন: হাজ্জাজের শাসনামলে আমরা জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাকে সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, কারণ, সে (হাজ্জাজ) বিলম্বে সালাত আদায় করতো। তখন জাবির রা: বললেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুহর সালাত আদায় করতেন, যখন সূর্য হেলে পড়তো; আর আসর সালাত আদায় করতেন আর তখনও সূর্য সজীব থাকতো কিংবা স্বচ্ছ-পরিষ্কার থাকতো; আর মাগরিবের সালাত সূর্য অস্ত যেতেই আদায় করতেন এবং ’ইশার সালাত কখনো সকাল সকাল আদায় করতেন, আবার কখনো দেরীতে আদায় করতেন। যখন লোকেরা সমবেত হতো, তখন তিনি সকাল সকাল আদায় করতেন, আবার যখন লোকেরা দেরীতে আসতো, তখন তিনিও বিলম্বে আদায় করতেন। আর সকালের (ফজরের) সালাত কথনো তারা অথবা তিনি ’গালাসে’ (রাতের শেষভাগের অন্ধকার অবস্থায়) আদায় করতেন।[1]

بَاب فِي مَوَاقِيتِ الصَّلَاةِ

أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ سَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فِي زَمَنِ الْحَجَّاجِ وَكَانَ يُؤَخِّرُ الصَّلَاةَ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ فَقَالَ جَابِرٌ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَالْعَصْرَ وَهِيَ حَيَّةٌ أَوْ نَقِيَّةٌ وَالْمَغْرِبَ حِينَ تَجِبُ الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ رُبَّمَا عَجَّلَ وَرُبَّمَا أَخَّرَ إِذَا اجْتَمَعَ النَّاسُ عَجَّلَ وَإِذَا تَأَخَّرُوا أَخَّرَ وَالصُّبْحَ رُبَّمَا كَانُوا أَوْ كَانَ يُصَلِّيهَا بِغَلَسٍ

اخبرنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة عن سعد بن ابراهيم قال سمعت محمد بن عمرو بن الحسن بن علي قال سالنا جابر بن عبد الله في زمن الحجاج وكان يوخر الصلاة عن وقت الصلاة فقال جابر كان النبي صلى الله عليه وسلم يصلي الظهر حين تزول الشمس والعصر وهي حية او نقية والمغرب حين تجب الشمس والعشاء ربما عجل وربما اخر اذا اجتمع الناس عجل واذا تاخروا اخر والصبح ربما كانوا او كان يصليها بغلس

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২১৮

পরিচ্ছেদঃ ২. সালাতের ওয়াক্তসমূহ

১২১৮. ইবনু শিহাব (যুহুরী) রাহি. হতে বর্ণিত, একদিন উমার ইবনু আব্দুল আযীয রাহি. বিলম্বে সালাত আদায় করলেন। তখন উরওয়া ইবনুয যুবাইর রাহি. তাঁর নিকট প্রবেশ করে তাঁর নিকট বর্ণনা করলেন, মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একদিন বিলম্বে সালাত আদায় করলে আবু মাসউদ আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর নিকট প্রবেশ করে তাকে বললেন: হে মুগীরাহ, এটা কি হলো? তুমি কি অবগত নও যে, (একদিন) জীবরীল আলাইহি সালাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট অবতীর্ণ হয়ে সালাত আদায় করলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করলেন। এরপর তিনি সালাত আদায় করলেন, ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি সালাত আদায় করলেন, ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি সালাত আদায় করলেন, ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি সালাত আদায় করলেন, ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করলেন। অতঃপর জীবরীল আলাইহিস সালাম বললেন, আমি এজন্য আদিষ্ট হয়েছি।

তখন উমার ইবনু আব্দুল আযীয উরওয়াহকে বললেন: হে উরওয়াহ, তুমি কী বর্ণনা করছো, তা ভালভাবে ভেবে দেখো। জীবরীল আলাইহিস সালাম কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য সালাতের ওয়াক্ত নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন? উরওয়াহ বললেন, বাশীর ইবনু আবী মাসউদ তাঁর পিতা হতে এরূপই বর্ণনা করে থাকেন।উরওয়াহ বলেন: আয়িশা রা: আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যে, সূর্য (রশ্মি) তখনও তার হুজরার মধ্যে থাকতো। তবে তা উপরে দিকে উঠে যাওয়ার পূর্বেই।[1]

بَاب فِي مَوَاقِيتِ الصَّلَاةِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْحَنَفِيُّ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَخَّرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَخَّرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيُّ فَقَالَ مَا هَذَا يَا مُغِيرَةُ أَلَيْسَ قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ جِبْرِيلَ نَزَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ بِهَذَا أُمِرْتَ قَالَ اعْلَمْ مَا تُحَدِّثُ يَا عُرْوَةُ أَوَ أَنَّ جِبْرِيلَ أَقَامَ وَقْتَ الصَّلَاةِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كَذَلِكَ كَانَ بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ عُرْوَةُ وَلَقَدْ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا قَبْلَ أَنْ تَظْهَرَ

اخبرنا عبيد الله بن عبد المجيد الحنفي حدثنا مالك عن ابن شهاب ان عمر بن عبد العزيز اخر الصلاة يوما فدخل عليه عروة بن الزبير فاخبره ان المغيرة بن شعبة اخر الصلاة يوما فدخل عليه ابو مسعود الانصاري فقال ما هذا يا مغيرة اليس قد علمت ان جبريل نزل على رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلى فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم صلى فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم صلى فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم صلى فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم صلى فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال بهذا امرت قال اعلم ما تحدث يا عروة او ان جبريل اقام وقت الصلاة لرسول الله صلى الله عليه وسلم قال كذلك كان بشير بن ابي مسعود يحدث عن ابيه قال عروة ولقد حدثتني عاىشة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يصلي العصر والشمس في حجرتها قبل ان تظهر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২১৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. আযানের সূচনা

১২১৯. মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে (আবু মুহাম্মদ দারেমী বলেন: তখা মদীনায়) আগমণ করলেন, তখন সালাতের ওয়াক্ত হলে লোকেরা তাঁর নিকট কোনো আহ্বান ছাড়াই তার নিকট সালাতের জন্য একত্রিত হতো। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মনস্থ করলেন যে, ইয়াহুদীরা যেমন শিঙ্গা বাজিয়ে তাদের সালাতের জন্য আহবান করে থাকে, তেমনি একটি শিঙ্গা নির্ধারণ করে দিবেন। তারপর তিনি তা অপছন্দ করলেন। তারপর তিনি একটি ঘন্টা বানানোর নির্দেশ দিলেন, ফলে তা বানানো হলো যাতে তা বাজানোর মাধ্যমে মুসলিমদেরকে সালাতের দিকে আহবান করা যায়। তারা যখন এমন অবস্থায় রয়েছে, তখন আল হারিস ইবনুল খাযরাজ -এর ভাই আব্দুল্লাহ ইবনু যাইদ ইবনু আব্দি রব্বিহ (স্বপ্নে) দেখলেন। এরপর সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট আগমণ করে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, রাতে আমি বারবার স্বপ্নে দেখলাম যে, দু’টি সবুজ কাপড় পরিহিত এক ব্যক্তি হাতে ’নাকুস’ (শিঙ্গা) নিয়ে আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দা! আপনি কি ’নাকুস’টি বিক্রি করবেন? সে বললো, আপনি এটি দিয়ে কী করবেন?

আমি বললাম, আমি এটি দিয়ে সালাতের জন্য (লোকদেরকে) আহ্বান করবো। তখন সে বললো, আমি কি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম (বস্তু) বলে দেবো না? আমি বললাম: সেটা কি? তিনি বললেন, আপনি বলুন: ’আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ। হাইয়্যা আলাস সালাহ, হাইয়্যা আলাস সালাহ, হাইয়্যা আলাল ফালাহ, হাইয়্যা আলাল ফালাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

তারপর সামান্য সময় বিরতি দিয়ে সে তার (আযানের বাক্যগুলোর) অনুরূপ পূণরায় বললো, তবে সেগুলি বিজোড় বানিয়ে (একবার করে) বললো। তবে সে (শেষের দিকে এ বাক্যগুলিও) বললো: ’ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ’ ’ক্বাদ ক্বমাতিস সালাহ’, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’।

যখন সে এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হলো, তখন তিনি বললেন: “ইনশা আল্লাহ এটি সত্য স্বপ্ন। তাই তুমি উঠে বিলালের সাথে যাও, এবং একথাগুলি তাকে বলে দাও। কেননা, সে তোমার চেয়ে উচ্চ কন্ঠেস্বরের অধিকারী।” তখন বিলাল আযান দিতে আরম্ভ করলো। আর উমার ইবনু খাত্তাব আযান শুনতে পেলো। তখন সে তখন বাড়িতে ছিলো। ফলে তিনি (বাড়ি থেকে) বেরিয়ে তার ’ইযার’ (লুঙ্গি) ধরে টানতে টানতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে উপস্থিত হলেন এবং বলতে লাগলেন, ইয়া নবীয়্যাল্লাহ, যে মহান সত্ত্বা আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর শপথ! আমিও তার অনুরূপ (স্বপ্ন) দেখেছি, যা সে দেখেছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “সকল প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, ফলে এ বিষয়টি অধিকতর শক্তিশালী হলো।[1]

بَاب فِي بَدْءِ الْأَذَانِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ قَالَ وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَدِمَهَا قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَعْنِي الْمَدِينَةَ إِنَّمَا يُجْتَمَعُ إِلَيْهِ بِالصَّلَاةِ لِحِينِ مَوَاقِيتِهَا بِغَيْرِ دَعْوَةٍ فَهَمَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَجْعَلَ بُوقًا كَبُوقِ الْيَهُودِ الَّذِينَ يَدْعُونَ بِهِ لِصَلَاتِهِمْ ثُمَّ كَرِهَهُ ثُمَّ أَمَرَ بِالنَّاقُوسِ فَنُحِتَ لِيُضْرَبَ بِهِ لِلْمُسْلِمِينَ إِلَى الصَّلَاةِ فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى ذَلِكَ إِذْ رَأَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ أَخُو بَلْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ طَافَ بِيَ اللَّيْلَةَ طَائِفٌ مَرَّ بِي رَجُلٌ عَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَخْضَرَانِ يَحْمِلُ نَاقُوسًا فِي يَدِهِ فَقُلْتُ يَا عَبْدَ اللَّهِ أَتَبِيعُ هَذَا النَّاقُوسَ فَقَالَ وَمَا تَصْنَعُ بِهِ قُلْتُ نَدْعُو بِهِ إِلَى الصَّلَاةِ قَالَ أَفَلَا أَدُلُّكَ عَلَى خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ قُلْتُ وَمَا هُوَ قَالَ تَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَأْخَرَ غَيْرَ كَثِيرٍ ثُمَّ قَالَ مِثْلَ مَا قَالَ وَجَعَلَهَا وِتْرًا إِلَّا أَنَّهُ قَالَ قَدْ قَامَتْ الصَّلَاةُ قَدْ قَامَتْ الصَّلَاةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَلَمَّا خُبِّرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّهَا لَرُؤْيَا حَقٌّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَقُمْ مَعَ بِلَالٍ فَأَلْقِهَا عَلَيْهِ فَإِنَّهُ أَنْدَى صَوْتًا مِنْكَ فَلَمَّا أَذَّنَ بِلَالٌ سَمِعَهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ فِي بَيْتِهِ فَخَرَجَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَجُرُّ إِزَارَهُ وَهُوَ يَقُولُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ مَا رَأَى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلِلَّهِ الْحَمْدُ فَذَاكَ أَثْبَتُ

اخبرنا محمد بن حميد حدثنا سلمة حدثني محمد بن اسحق قال وقد كان رسول الله صلى الله عليه وسلم حين قدمها قال ابو محمد يعني المدينة انما يجتمع اليه بالصلاة لحين مواقيتها بغير دعوة فهم رسول الله صلى الله عليه وسلم ان يجعل بوقا كبوق اليهود الذين يدعون به لصلاتهم ثم كرهه ثم امر بالناقوس فنحت ليضرب به للمسلمين الى الصلاة فبينما هم على ذلك اذ راى عبد الله بن زيد بن عبد ربه اخو بلحارث بن الخزرج فاتى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله انه طاف بي الليلة طاىف مر بي رجل عليه ثوبان اخضران يحمل ناقوسا في يده فقلت يا عبد الله اتبيع هذا الناقوس فقال وما تصنع به قلت ندعو به الى الصلاة قال افلا ادلك على خير من ذلك قلت وما هو قال تقول الله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله حي على الصلاة حي على الصلاة حي على الفلاح حي على الفلاح الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله ثم استاخر غير كثير ثم قال مثل ما قال وجعلها وترا الا انه قال قد قامت الصلاة قد قامت الصلاة الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله فلما خبر بها رسول الله صلى الله عليه وسلم قال انها لرويا حق ان شاء الله فقم مع بلال فالقها عليه فانه اندى صوتا منك فلما اذن بلال سمعها عمر بن الخطاب وهو في بيته فخرج الى رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو يجر ازاره وهو يقول يا نبي الله والذي بعثك بالحق لقد رايت مثل ما راى فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم فلله الحمد فذاك اثبت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২২০

পরিচ্ছেদঃ ৩. আযানের সূচনা

১২২০. মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু যাইদ ইবনু আব্দি রব্বিহ তার পিতা হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।[1]

بَاب فِي بَدْءِ الْأَذَانِ

قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنِيهِ سَلَمَةُ قَالَ حَدَّثَنِيهِ ابْنُ إِسْحَقَ قَالَ حَدَّثَنِي هَذَا الْحَدِيثَ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ عَنْ أَبِيهِ بِهَذَا الْحَدِيثِ

قال محمد بن حميد حدثنيه سلمة قال حدثنيه ابن اسحق قال حدثني هذا الحديث محمد بن ابراهيم بن الحارث التيمي عن محمد بن عبد الله بن زيد بن عبد ربه عن ابيه بهذا الحديث

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২২১

পরিচ্ছেদঃ ৩. আযানের সূচনা

১২২১. মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু যাইদ ইবনু আব্দি রব্বিহ বর্ণনা করেছেন, আমার পিতা আব্দুল্লাহ ইবনু যাইদ বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’নাকুস’ (ঘন্টা) বানানোর নির্দেশ দিলেন.... ।’ অতঃপর তিনি এর অনুরূপ উল্লেখ করেন।[1]

بَاب فِي بَدْءِ الْأَذَانِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ ابْنِ إِسْحَقَ قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ قَالَ لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاقُوسِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ

اخبرنا محمد بن يحيى حدثنا يعقوب بن ابراهيم بن سعد قال حدثنا ابي عن ابن اسحق قال حدثني محمد بن ابراهيم بن الحارث التيمي عن محمد بن عبد الله بن زيد بن عبد ربه قال حدثني ابي عبد الله بن زيد قال لما امر رسول الله صلى الله عليه وسلم بالناقوس فذكر نحوه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২২২

পরিচ্ছেদঃ ৪. ফজরের আযানের ওয়াক্ত সম্পর্কে

১২২২. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফু’ হিসেবে (তথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে) বর্ণিত, তিনি বলেছেন: “বিলাল রাত থাকতেই আযান দেয়, কাজেই ইবনু উম্মু মাকতুম আযান না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার করতে পারো।”[1]

بَاب فِي وَقْتِ أَذَانِ الْفَجْرِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ يَرْفَعُهُ قَالَ إِنَّ بِلَالًا يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُؤَذِّنَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ

اخبرنا محمد بن يوسف حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن سالم عن ابيه يرفعه قال ان بلالا يوذن بليل فكلوا واشربوا حتى يوذن ابن ام مكتوم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২২৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. ফজরের আযানের ওয়াক্ত সম্পর্কে

১২২৩. নাফিঈ’ হতে বর্ণিত, তিনি ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে,[1]

এবং কাসিম রাহি. হতে বর্ণিত, আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দু’জন মুয়াযযিন ছিল: বিলাল ও ইবনু উম্মু মাকতুম। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “বিলাল রাত থাকতেই আযান দেয়, কাজেই ইবনু উম্মু মাকতুম আযান না শোনা পর্যন্ত তোমরা পানাহার করতে পারো।”[2]তারপর কাসিম বলেন, আর উভয়ের মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল মাত্র এতটুকু যে একজন নামতেন এবং আরেকজন (আযান দিতে) উঠতেন।

بَاب فِي وَقْتِ أَذَانِ الْفَجْرِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَعَنْ الْقَاسِمِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُؤَذِّنَانِ بِلَالٌ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ بِلَالًا يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى تَسْمَعُوا أَذَانَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَقَالَ الْقَاسِمُ وَمَا كَانَ بَيْنَهُمَا إِلَّا أَنْ يَنْزِلَ هَذَا وَيَرْقَى هَذَا

اخبرنا اسحق حدثنا عبدة اخبرنا عبيد الله عن نافع عن ابن عمر وعن القاسم عن عاىشة قالت كان للنبي صلى الله عليه وسلم موذنان بلال وابن ام مكتوم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان بلالا يوذن بليل فكلوا واشربوا حتى تسمعوا اذان ابن ام مكتوم فقال القاسم وما كان بينهما الا ان ينزل هذا ويرقى هذا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২২৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. ফজরের আযানে ‘তাছবীব’ (‘আস সালাতু খইরুম মিন আন নাওম’ উচ্চারণ) করা

১২২৪. মুয়াযযিন হাফস ইবনু উমার ইবনু সা’দ হতে বর্ণিত, আর সা’দ ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মসজিদের মুয়াযযিন। হাফস বলেন, আমার পরিবার আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, (একদা) বিলাল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ফজরের সালাতের জন্য ডাকতে আসলেন। তখন সে বললো, তিনি তো ঘুমিয়ে আছেন। তারপর বিলাল অতি উচ্চ স্বরে এ বলে ডেকে উঠলেন: ’সালাতু খইরুম মিনান্নাওম’ (ঘুম হতে সালাত উত্তম)। তখন ফজরের আযানে এটি বজায় রাখা (অনুমোদিত) হলো।[1]

بَاب التَّثْوِيبِ فِي أَذَانِ الْفَجْرِ

أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ بْنِ فَارِسٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ حَفْصِ بْنِ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ الْمُؤَذِّنِ أَنَّ سَعْدًا كَانَ يُؤَذِّنُ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَفْصٌ حَدَّثَنِي أَهْلِي أَنَّ بِلَالًا أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُؤْذِنُهُ لِصَلَاةِ الْفَجْرِ فَقَالُوا إِنَّهُ نَائِمٌ فَنَادَى بِلَالٌ بِأَعْلَى صَوْتِهِ الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنْ النَّوْمِ فَأُقِرَّتْ فِي أَذَانِ صَلَاةِ الْفَجْرِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد يُقَالُ سَعْدٌ الْقَرَظُ

اخبرنا عثمان بن عمر بن فارس حدثنا يونس عن الزهري عن حفص بن عمر بن سعد الموذن ان سعدا كان يوذن في مسجد رسول الله صلى الله عليه وسلم قال حفص حدثني اهلي ان بلالا اتى رسول الله صلى الله عليه وسلم يوذنه لصلاة الفجر فقالوا انه ناىم فنادى بلال باعلى صوته الصلاة خير من النوم فاقرت في اذان صلاة الفجر قال ابو محمد يقال سعد القرظ

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২২৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. আযান (এর বাক্য) হবে জোড়া জোড়া এবং ইকামত (এর বাক্যগুলি) হবে বিজোড় সংখ্যায়

১২২৫. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়ে আযানের বাক্যগুলি দু’বার করে এবং ইকামতের বাক্যগুলি একবার করে বলা হতো। কিন্তু ইকামতের মধ্যে ’ক্বদ ক্বমাতিস সালাহ’ বলার সময় এ বাক্যটি দু’বার বলা হতো। আমরা যখন (মুয়াযযিনের) ইকামত শুনতাম, তখন আমাদের কেউ উযু করতে যেত, এরপর (সালাতের আদায় করতে) বের হতো।[1]

بَاب الْأَذَانُ مَثْنَى مَثْنَى وَالْإِقَامَةُ مَرَّةً

أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ عَنْ مُسْلِمٍ أَبِي الْمُثَنَّى عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ كَانَ الْأَذَانُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَثْنَى مَثْنَى وَالْإِقَامَةُ مَرَّةً مَرَّةً غَيْرَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَالَ قَدْ قَامَتْ الصَّلَاةُ قَالَهَا مَرَّتَيْنِ فَإِذَا سَمِعْنَا الْإِقَامَةَ تَوَضَّأَ أَحَدُنَا وَخَرَجَ

اخبرنا سهل بن حماد حدثنا شعبة حدثنا ابو جعفر عن مسلم ابي المثنى عن ابن عمر انه قال كان الاذان على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم مثنى مثنى والاقامة مرة مرة غير انه كان اذا قال قد قامت الصلاة قالها مرتين فاذا سمعنا الاقامة توضا احدنا وخرج

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২২৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. আযান (এর বাক্য) হবে জোড়া জোড়া এবং ইকামত (এর বাক্যগুলি) হবে বিজোড় সংখ্যায়

১২২৬. আবী কিলাবা হতে বর্ণিত, আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে আযান বাক্যসমূহ জোড়া জোড়া এবং ইকামাতের বাক্যসমূহ বিজোড়ভাবে বলার নির্দেশ প্রদান করা হয়।[1]

بَاب الْأَذَانُ مَثْنَى مَثْنَى وَالْإِقَامَةُ مَرَّةً

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ وَعَفَّانُ قَالَا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ أُمِرَ بِلَالٌ أَنْ يَشْفَعَ الْأَذَانَ وَيُوتِرَ الْإِقَامَةَ

اخبرنا ابو الوليد الطيالسي وعفان قالا حدثنا شعبة عن خالد الحذاء عن ابي قلابة عن انس قال امر بلال ان يشفع الاذان ويوتر الاقامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ কিলাবাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২২৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. আযান (এর বাক্য) হবে জোড়া জোড়া এবং ইকামত (এর বাক্যগুলি) হবে বিজোড় সংখ্যায়

১২২৭. (অপর সূত্রে) আবী কিলাবা হতে বর্ণিত, আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে আযান বাক্যসমূহ জোড়া জোড়া এবং ইকামাতের বাক্যসমূহ বিজোড়ভাবে বলার নির্দেশ প্রদান করা হয়, তবে ’ইকামত (এর অতিরিক্ত বাক্যগুলি)[1] ব্যতীত।[2]

بَاب الْأَذَانُ مَثْنَى مَثْنَى وَالْإِقَامَةُ مَرَّةً

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ سِمَاكِ بْنِ عَطِيَّةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ أُمِرَ بِلَالٌ أَنْ يَشْفَعَ الْأَذَانَ وَيُوتِرَ الْإِقَامَةَ إِلَّا الْإِقَامَةَ

حدثنا سليمان بن حرب حدثنا حماد بن زيد عن سماك بن عطية عن ايوب عن ابي قلابة عن انس قال امر بلال ان يشفع الاذان ويوتر الاقامة الا الاقامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ কিলাবাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২২৮

পরিচ্ছেদঃ ৭. আযানে ‘তারজী’ করা

১২২৮. আবী মাহযুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশজন লোককে এভাবে আযান দিতে নির্দেশ দেন, ফলে তারা আযান দিতে থাকে। তখন আবী মাহযুরার কণ্ঠস্বর তাঁকে মুগ্ধ করে; ফলে তিনি তাকে (এ বাক্যসমূহ দ্বারা) আযান শিক্ষা দেন: ’আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ।

আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ। হাইয়্যা আলাস সালাহ, হাইয়্যা আলাস সালাহ, হাইয়্যা আলাল ফালাহ, হাইয়্যা আলাল ফালাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’আর ইকামত (শিক্ষা দেন) জোড়া জোড়া বাক্যে।[1]

بَاب التَّرْجِيعِ فِي الْأَذَانِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ هَمَّامٍ عَنْ عَامِرٍ الْأَحْوَلِ عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ نَحْوًا مِنْ عِشْرِينَ رَجُلًا فَأَذَّنُوا فَأَعْجَبَهُ صَوْتُ أَبِي مَحْذُورَةَ فَعَلَّمَهُ الْأَذَانَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَه إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَالْإِقَامَةَ مَثْنَى مَثْنَى

اخبرنا سعيد بن عامر عن همام عن عامر الاحول عن مكحول عن ابن محيريز عن ابي محذورة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم امر نحوا من عشرين رجلا فاذنوا فاعجبه صوت ابي محذورة فعلمه الاذان الله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان لا اله الا الله اشهد ان محمدا رسول الله اشهد ان محمدا رسول الله حي على الصلاة حي على الصلاة حي على الفلاح حي على الفلاح الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله والاقامة مثنى مثنى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবু মাহযুরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২২৯

পরিচ্ছেদঃ ৭. আযানে ‘তারজী’ করা

১২২৯. আবী মাহযুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে ঊনিশটি বাক্যে আযান এবং সতেরোটি বাক্যে ইকামাত শিক্ষা দেন।[1]

بَاب التَّرْجِيعِ فِي الْأَذَانِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ وَحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ قَالَا حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ قَالَ حَجَّاجٌ فِي حَدِيثِهِ عَامِرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ قَالَ حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ أَنَّ ابْنَ مُحَيْرِيزٍ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا مَحْذُورَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَّمَهُ الْأَذَانَ تِسْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً وَالْإِقَامَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً

اخبرنا ابو الوليد الطيالسي وحجاج بن المنهال قالا حدثنا همام حدثنا عامر الاحول قال حجاج في حديثه عامر بن عبد الواحد قال حدثني مكحول ان ابن محيريز حدثه ان ابا محذورة حدثه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم علمه الاذان تسع عشرة كلمة والاقامة سبع عشرة كلمة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবু মাহযুরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২৩০

পরিচ্ছেদঃ ৮. আযানের সময় (মুখমণ্ডল ডানে ও বামে) ফিরানো

১২৩০. আবী জুহাইফা তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বিলাল কে আযান দিতে দেখেছেন। তিনি বলেন, তারপর থেকে (তার অনুসরণ করে) আযানে আমি মুখ এদিক সেদিক (ডানে-বামে) ফিরাই।[1]

بَاب الِاسْتِدَارَةِ فِي الْأَذَانِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ رَأَى بِلَالًا أَذَّنَ قَالَ فَجَعَلْتُ أَتْبَعُ فَاهُ هَاهُنَا وَهَاهُنَا بِالْأَذَانِ

اخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن عون بن ابي جحيفة عن ابيه انه راى بلالا اذن قال فجعلت اتبع فاه هاهنا وهاهنا بالاذان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ জুহাইফাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২৩১

পরিচ্ছেদঃ ৮. আযানের সময় (মুখমণ্ডল ডানে ও বামে) ফিরানো

১২৩১. আবী জুহাইফার পিতা হতে বর্ণিত, বিলাল বর্শা পুঁতে দিলেন, তারপর আযান দিলেন, আর তার ‍দু’টি আঙ্গুল তার দু’কানে স্থাপন করলেন। অতঃপর আমি তাকে আযানের মধ্যে (ডানে-বামে) ঘুরতে দেখলাম।’[1] আব্দুল্লাহ বলেন: ছাওরী’র হাদীস অধিক সহীহ।

بَاب الِاسْتِدَارَةِ فِي الْأَذَانِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبَّادٌ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ بِلَالًا رَكَزَ الْعَنَزَةَ ثُمَّ أَذَّنَ وَوَضَعَ أُصْبُعَيْهِ فِي أُذُنَيْهِ فَرَأَيْتُهُ يَدُورُ فِي أَذَانِهِ قَالَ عَبْد اللَّهِ حَدِيثُ الثَّوْرِيِّ أَصَحُّ

اخبرنا عبد الله بن محمد حدثنا عباد عن حجاج عن عون بن ابي جحيفة عن ابيه ان بلالا ركز العنزة ثم اذن ووضع اصبعيه في اذنيه فرايته يدور في اذانه قال عبد الله حديث الثوري اصح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২৩২

পরিচ্ছেদঃ ৯. আযানের সময় দু’আ করা

১২৩২. সাহল ইবনু সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “দু’টি বিষয় ফেরত দেওয়া হয়না” অথবা, তিনি বলেন, “দু’টি সময়ের (দু’আ) কদাচিতই ফেরত দেওয়া হয়: আযানের সময়ের দু’আ এবং যুদ্ধকালীন সময়ের দু’আ, যখন তারা একে অপরকে হত্যা করতে থাকে।[1]

بَاب الدُّعَاءِ عِنْدَ الْأَذَانِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا مُوسَى هُوَ ابْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمِ بْنُ دِينَارٍ قَالَ أَخْبَرَنِي سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثِنْتَانِ لَا تُرَدَّانِ أَوْ قَلَّ مَا تُرَدَّانِ الدُّعَاءُ عِنْدَ النِّدَاءِ وَعِنْدَ الْبَأْسِ حِينَ يُلْحِمُ بَعْضُهُ بَعْضًا

اخبرنا محمد بن يحيى حدثنا سعيد بن ابي مريم اخبرنا موسى هو ابن يعقوب الزمعي قال حدثني ابو حازم بن دينار قال اخبرني سهل بن سعد ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ثنتان لا تردان او قل ما تردان الدعاء عند النداء وعند الباس حين يلحم بعضه بعضا

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২৩৩

পরিচ্ছেদঃ ১০. আযানের (জবাবে) যা বলতে হয়

১২৩৩. আবী সাঈদ রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন তোমরা মুয়াযযিনকে (আযান দিতে) শুনবে, তখন সে যা বলে, (তার জবাবে) তোমরাও সেরূপই বলবে।”[1]

بَاب مَا يُقَالُ عِنْدَ الْأَذَانِ

أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ

اخبرنا عثمان بن عمر اخبرنا يونس عن الزهري عن عطاء بن يزيد عن ابي سعيد ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اذا سمعتم الموذن فقولوا مثل ما يقول

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
১২৩৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. আযানের (জবাবে) যা বলতে হয়

১২৩৪. ঈসা ইবনু তালহা বলেন, আমরা মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট প্রবেশ করলে মুয়াযযিন আযান দিতে আরম্ভ করল: ’আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার’। তখন মুয়াবিয়া রা:ও বলতে লাগলেন: ’আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার’। যখন সে (মুয়াযযিন) বললো, আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, তখন মুয়াবিয়া রা:ও বলতে লাগলেন: আমিও বলছি, আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, যখন সে (মুয়াযযিন) বললো, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ, তখন মুয়াবিয়া রা:ও বলতে লাগলেন: আমিও (অনুরূপ) সাক্ষ্য দিচ্ছি।’[1](রাবী) ইয়াহইয়া বলেন: আমাদের কোনো কোনো সাথী আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, সে যখন ’হাইয়্যা আলাস সালাহ’ বললো, তখন তিনি ’লা হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বললেন। তারপর মুয়াবিয়া রা: বললেন, আমি তোমাদের নবীকে এরূপই বলতে শুনেছি।’[2]

بَاب مَا يُقَالُ عِنْدَ الْأَذَانِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ عَنْ يَحْيَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى مُعَاوِيَةَ فَنَادَى الْمُنَادِي فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَه إِلَّا اللَّهُ قَالَ وَأَنَا أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ قَالَ وَأَنَا أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ قَالَ يَحْيَى وَأَخْبَرَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا أَنَّهُ لَمَّا قَالَ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ قَالَ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ ثُمَّ قَالَ مُعَاوِيَةُ سَمِعْتُ نَبِيَّكُمْ يَقُولُ هَذَا

اخبرنا يزيد بن هارون اخبرنا هشام الدستواىي عن يحيى عن محمد بن ابراهيم بن الحارث عن عيسى بن طلحة قال دخلنا على معاوية فنادى المنادي فقال الله اكبر الله اكبر فقال معاوية الله اكبر الله اكبر قال اشهد ان لا اله الا الله قال وانا اشهد ان لا اله الا الله قال اشهد ان محمدا رسول الله قال وانا اشهد ان محمدا رسول الله قال يحيى واخبرني بعض اصحابنا انه لما قال حي على الصلاة قال لا حول ولا قوة الا بالله ثم قال معاوية سمعت نبيكم يقول هذا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ঈসা ইবনু তালহা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৩৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 · · · 19 20 21 22 পরের পাতা »