পরিচ্ছেদঃ ৪৩৭। যিনি কেবলমাত্র রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সালাত ও তাঁর সুন্নাত শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন।
৬৪৩। মূসা ইবনু ইসমাইল (রহঃ) ... আবু কিলাবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার মালিক ইবনু হুয়াইরিস (রাঃ) আমাদের এ মসজিদে এলেন। তিনি বললেন, আমি অবশ্যই তোমাদের নিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবো, বস্তুত আমার উদ্দেশ্য সালাত আদায় করা নয় বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছি, তা তোমাদের দেখানোই আমাদের উদ্দেশ্য। (আইয়ুব (রহঃ) বলেন) আমি আবূ কিলাবা (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কি ভাবে সালাত আদায় করতেন? তিনি বললেন, আমাদের এই শাইখের মত আর শাইখ প্রথম রাকা’আতের সিজদা শেষ করে যখন মাথা উঠাতেন, তখন দাঁড়াবার আগে একটু বসে নিতেন।
باب مَنْ صَلَّى بِالنَّاسِ وَهْوَ لاَ يُرِيدُ إِلاَّ أَنْ يُعَلِّمَهُمْ صَلاَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَسُنَّتَهُ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ جَاءَنَا مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ فِي مَسْجِدِنَا هَذَا فَقَالَ إِنِّي لأُصَلِّي بِكُمْ، وَمَا أُرِيدُ الصَّلاَةَ، أُصَلِّي كَيْفَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي. فَقُلْتُ لأَبِي قِلاَبَةَ كَيْفَ كَانَ يُصَلِّي قَالَ مِثْلَ شَيْخِنَا هَذَا. قَالَ وَكَانَ شَيْخًا يَجْلِسُ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ قَبْلَ أَنْ يَنْهَضَ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى.
Narrated Aiyub:
Abu Qilaba said, "Malik bin Huwairith came to this Mosque of ours and said, 'I pray in front of you and my aim is not to lead the prayer but to show you the way in which the Prophet (s) used to pray.' " I asked Abu Qilaba, "How did he use to pray?' " He replied, "(The Prophet (s) used to pray) like this Sheikh of ours and the Sheikh used to sit for a while after the prostration, before getting up after the first rak`a. "
পরিচ্ছেদঃ ৪৭৬. তাকবীরে তাহরীমা, রুকুতে যাওয়া এবং রুকু থেকে উঠার সময় উভয় হাত উঠানো।
৭০১। ইসহাক ওয়াসিতী (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি মালিক ইবনু হুওয়ায়িরিস (রাঃ) কে দেখেছেন, তিনি যখন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং তাঁর দু’ হাত উঠাতেন। আর যখন রূকূ’ করার ইচ্ছা করতেন তখনও তাঁর উভয় হাত উঠাতেন, আবার যখন রুকূ’ থেকে মাথা উঠাতেন তখনও তাঁর উভয় হাত উঠাতেন এবং তিনি বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করেছেন।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ إِذَا كَبَّرَ وَإِذَا رَكَعَ وَإِذَا رَفَعَ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ الْوَاسِطِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، أَنَّهُ رَأَى مَالِكَ بْنَ الْحُوَيْرِثِ إِذَا صَلَّى كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ، وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَ يَدَيْهِ، وَحَدَّثَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَنَعَ هَكَذَا.
Narrated Abu Qilaba:
I saw Malik bin Huwairith saying Takbir and raising both his hands (on starting the prayers and raising his hands on bowing and also on raising his head after bowing. Malik bin Huwairith said, "Allah's Messenger (s) did the same."
পরিচ্ছেদঃ ৫১৮. রুকূ’ থেকে মাথা উঠানের পর স্থির হওয়া। আবূ হুমাইদা (র.) বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) উঠে এমনভাবে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন যে, মেরুদন্ডের হাড় যথাস্থানে ফিরে আসতো।
৭৬৬। সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মালিক ইবনু হুওয়ইরিস (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত (নামায/নামাজ) কেমন ছিল তা আমাদের দেখালেন। তখন সালাতের কোন ওয়াক্ত ছিল না। তিনি সালাতে দাঁড়ালেন এবং পুর্ণাঙ্গরূপে কিয়াম করলেন। তারপর রুকূ’তে গেলেন এবং ধীরস্থিরভাবে রুকূ’ আদায় করলেন; তারপর তাঁর মাথা উঠালেন এবং কিছুক্ষণ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন। তারপর তিনি আমাদের নিয়ে আমাদের এই শায়খ বুরাইদ (রহঃ)-এর ন্যায় সালাত আদায় করলেন। আর আবূ বুরাইদ (রহঃ) দ্বিতীয় সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে বসতেন, তারপর দাঁড়াতেন।
باب الاِطْمَأْنِينَةِ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ رَفَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاسْتَوَى جَالِسًا حَتَّى يَعُودَ كُلُّ فَقَارٍ مَكَانَهُ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ كَانَ مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ يُرِينَا كَيْفَ كَانَ صَلاَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَذَاكَ فِي غَيْرِ وَقْتِ صَلاَةٍ، فَقَامَ فَأَمْكَنَ الْقِيَامَ، ثُمَّ رَكَعَ فَأَمْكَنَ الرُّكُوعَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَنْصَبَ هُنَيَّةً، قَالَ فَصَلَّى بِنَا صَلاَةَ شَيْخِنَا هَذَا أَبِي بُرَيْدٍ. وَكَانَ أَبُو بُرَيْدٍ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ الآخِرَةِ اسْتَوَى قَاعِدًا ثُمَّ نَهَضَ.
Narrated Aiyub:
Abu Qilaba said, "Malik bin Huwairith used to demonstrate to us the prayer of the Prophet (s) at times other than that of the compulsory prayers. So (once) he stood up for prayer and performed a perfect Qiyam (standing and reciting from the Holy Qur'an) and then bowed and performed bowing perfectly; then he raised his head and stood straight for a while." Abu Qilaba added, "Malik bin Huwairith in that demonstration prayed like this Sheikh of ours, Abu Yazid." Abu, Yazid used to sit (for a while) on raising his head from the second prostration before getting up.
পরিচ্ছেদঃ ৫৩১. দু' সিজদার মধ্যে অপেক্ষা করা।
৭৮১। আবূ নু’মান (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মালিক ইবনু হুয়াইরিস (রাঃ) তাঁর সাথীদের বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত (নামায/নামাজ) সম্পর্কে আমি কি তোমাদের অবহিত করব না? (রাবী) আবূ কিলাবা (রহঃ) বললেন, এ ছিল সালাতের সময় ছাড়া অন্য সময়। তারপর তিনি (সালাতে) দাঁড়ালেন, তারপর রুকূ’ করলেন, এবং তাকবীর বলে মাথা উঠালেন আর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। তারপর সিজদায় গেলেন এবং সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে কিছুক্ষণ বসে পুনরায় সিজদা করলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন। এভাবে তিনি আমাদের শায়খ আমর ইবনু সালমোর সালাতের মত সালাত আদায় করলেন।
আইয়ূব (রহঃ) বলেন, আমর ইবনু সালিমা (রহঃ) এমন কিছু করতেন যা অন্যদের করতে দেখিনি। তা হল তিনি তৃতীয় অথবা চতুর্থ রাকাআতে বসতেন। মালিক ইবনু হুয়াইরিশ (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে কিছু দিন অবস্থান করলাম। তিনি আমাদের বললেন, তোমরা তোমাদের পরিবার পরিজনদের মধ্যে ফিরে যাওয়ার পর অমুক সালাত অমুক সময়, অমুক সালাত অমুক সময় আদায় করবে। সময় হলে তোমাদের একজন আযান দেবে এবং তোমাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যাক্তি ইমামতী করবে।
باب الْمُكْثِ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، أَنَّ مَالِكَ بْنَ الْحُوَيْرِثِ، قَالَ لأَصْحَابِهِ أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَذَاكَ فِي غَيْرِ حِينِ صَلاَةٍ، فَقَامَ، ثُمَّ رَكَعَ فَكَبَّرَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ، فَقَامَ هُنَيَّةً، ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ هُنَيَّةً، فَصَلَّى صَلاَةَ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ شَيْخِنَا هَذَا. قَالَ أَيُّوبُ كَانَ يَفْعَلُ شَيْئًا لَمْ أَرَهُمْ يَفْعَلُونَهُ، كَانَ يَقْعُدُ فِي الثَّالِثَةِ وَالرَّابِعَةِ. قَالَ فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ فَقَالَ " لَوْ رَجَعْتُمْ إِلَى أَهْلِيكُمْ صَلُّوا صَلاَةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، صَلُّوا صَلاَةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ أَحَدُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ "
Narrated Abu Qilaba:
Once Malik bin Huwairith said to his friends, "Shall I show you how Allah's Messenger (s) used to offer his prayers?" And it was not the time for any of the compulsory congregational prayers. So he stood up (for the prayer) bowed and said the Takbir, then he raised his head and remained standing for a while and then prostrated and raised his head for a while (sat up for a while). He prayed like our Sheikh `Amr Ibn Salama. (Aiyub said, "The latter used to do a thing which I did not see the people doing i.e. he used to sit between the third and the fourth rak`a). Malik bin Huwairith said, "We came to the Prophet (after embracing Islam) and stayed with him. He said to us, 'When you go back to your families, pray such and such a prayer at such and such a time, pray such and such a prayer at such and such a time, and when there is the time for the prayer then only of you should pronounce the Adhan for the prayer and the oldest of you should lead the prayer."
পরিচ্ছেদঃ ৫৩৪. রাকাআত শেষে কিভাবে জমিতে ভর দিয়ে দাঁড়াবে।
৭৮৬। মু’আল্লা ইবনু আসা’দ (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু হুয়াইরিস (রাঃ) এসে আমাদের এ মসজিদে আমাদের নিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। তিনি বললেন, আমি তোমাদের নিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করব। এখন আমার সালাত আদায়ের কোন ইচ্ছা ছিল না, তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছি তা তোমাদের দেখাতে চাই। আইয়ূব (রহঃ) বলেন, আমি আবূ কিলাবা (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, তাঁর [মালিক ইবনু হুয়াইরিস (রাঃ)] এর সালাত কিরূপ ছিল? তিনি [আবূ কিলাবা (রহঃ)] বলেন, আমাদের এ শায়খ অর্থাৎ আমর ইবনু সালিমা (রাঃ) এর সালাতের মত। আইয়ূব (রহঃ) বললেন, শায়খ তাকবীর পূর্ণ বলতেন এবং যখন দ্বিতীয় সিজদা থেকে মাথা উঠাতেন তখন বসতেন, তারপর মটিতে ভর দিয়ে দাঁড়াতেন।
باب كَيْفَ يَعْتَمِدُ عَلَى الأَرْضِ إِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَةِ
حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ جَاءَنَا مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ فَصَلَّى بِنَا فِي مَسْجِدِنَا هَذَا فَقَالَ إِنِّي لأُصَلِّي بِكُمْ، وَمَا أُرِيدُ الصَّلاَةَ، وَلَكِنْ أُرِيدُ أَنْ أُرِيَكُمْ كَيْفَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي. قَالَ أَيُّوبُ فَقُلْتُ لأَبِي قِلاَبَةَ وَكَيْفَ كَانَتْ صَلاَتُهُ قَالَ مِثْلَ صَلاَةِ شَيْخِنَا هَذَا ـ يَعْنِي عَمْرَو بْنَ سَلِمَةَ ـ قَالَ أَيُّوبُ وَكَانَ ذَلِكَ الشَّيْخُ يُتِمُّ التَّكْبِيرَ، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ عَنِ السَّجْدَةِ الثَّانِيَةِ جَلَسَ وَاعْتَمَدَ عَلَى الأَرْضِ، ثُمَّ قَامَ.
Narrated Aiyub:
Abu Qilaba said, "Malik bin Huwairith came to us and led us in the prayer in this mosque of ours and said, 'I lead you in prayer but I do not want to offer the prayer but just to show you how Allah's Apostle performed his prayers." I asked Abu Qilaba, "How was the prayer of Malik bin Huwairith?" He replied, "Like the prayer of this Sheikh of ours-- i.e. `Amr bin Salima." That Sheikh used to pronounce the Takbir perfectly and when he raised his head from the second prostration he would sit for a while and then support himself on the ground and get up.
পরিচ্ছেদঃ ২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ মু’মিনগণ যখন গাছের নিচে আপনার নিকট বায়াত গ্রহণ করল তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন...... (৪৮:১৮)
৩৮৬২। ইসহাক (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, সাবিত ইবনু দাহহাক (রাঃ) তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি গাছের নিচে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে বায়াত করেছেন।
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ ـ هُوَ ابْنُ سَلاَّمٍ ـ عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، أَنَّ ثَابِتَ بْنَ الضَّحَّاكِ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، بَايَعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَحْتَ الشَّجَرَةِ.
Narrated Abu Qilaba:
that Thabit bin Ad-Dahhak had informed him that he was one of those who had given the Pledge of allegiance (of Al-Hudaibiya) beneath the Tree.
পরিচ্ছেদঃ ২৩৫৭. আল্লাহর বাণীঃ যারা আল্লাহ ও তার রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্য করে বেড়ায় তাদের শাস্তি এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা বিপরীত দিক হতে তাদের হাত পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে (দুনিয়ায় এটাই তাদের লাঞ্চনা ও আখিরাতে তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে) (৫ঃ ৩৩) [ الْمُحَارَبَتُ لِلَّهِ الْكُفْرُبِهِ ]-আল্লাহর সাথে কুফরী করা।
৪২৫৫। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) এর পেছনে উপবিষ্ট ছিলেন। তাঁরা কিসামাত দন্ড সম্পর্কিত হাদীসটি আলোচনা করলেন এবং এর অবস্থা সম্পর্কে আলাপ করলেন, তারা মৃত্যুদন্ডের পক্ষে বললেন এবং এও বললেন যে, খুলাফায়ে রাশেদীন এ পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছেন। এরপর তিনি আবূ কিলাবার প্রতি তাকালেন, আবূ কিলাবা তাঁর পেছনে ছিলেন। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ নামে কিংবা আবূ কিলাবা নামে ডেকে বললেন, এই ব্যাপারে তোমার মতামত কি? আমি বললাম বিয়ের পর ব্যভিচার, কিসাসবিহীন খুন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনার কোন একটি ব্যতীত অন্য কোন কারণে কাউকে মৃত্যুদন্ড দেয়া ইসলামে বৈধ বলে আমার জানা নেই।
আনবাসা বললেন, আনাস (রাঃ) আমাদেরকে এভাবে হাদীস বর্ণনা করেছেন (অর্থাৎ হাদীসে আরনিন।) আমি (আবূ কিলাবা) বললাম, আমাকেও আনাস (রাঃ) এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, একদল লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে এসে তাঁর সাথে আলাপ করল, তারা বলল, (প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে) আমরা এদেশের সাথে মিলতে পারছি না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এগুলো আমার উট, ঘাস খাওয়ানোর জন্য বের হচ্ছে, তোমরা এগুলোর সাথে যাও এবং এদের দুধ ও পস্রাব পান কর। তারা ওগুলোর সাথে বেরিয়ে গেল এবং দুধ ও প্রসাব পান করে সুস্থ হয়ে উঠল, এরপর রাখালের উপর আক্রমন করে তাকে হত্যা করে পশুগুলো লুট করে নিয়ে গেল।
মৃত্যুদন্ড ভোগ করার অপরাধসমূহ তাদের থেকে কতটুকু দূরে ছিল? তারা নর হত্যা করেছে,আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ভয় দেখিয়েছে। আনবাসা আশ্চর্য হয়ে বলল, সুবহানাল্লাহ! আমি বললাম, আমার এ হাদীস সম্পর্কে তুমি কি আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেবে? আনবাসা বলল, আনাস (রাঃ) আমাদেরকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, আবূ কিলাবা বললেন, তখন ’আনবাসা বলল, হে দেশবাসী (অর্থাৎ সিরিয়াবাসী) এ রকম ব্যাক্তিবর্গ যতদিন তোমাদের মধ্যে থাকবে ততদিন তোমরা কল্যাণের মধ্যে থাকবে।
باب إنما جزاء الذين يحاربون الله ورسوله ويسعون في الأرض فسادا أن يقتلوا أو يصلبوا إلى قوله أو ينفوا من الأرض المحاربة لله الكفر به
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، قَالَ حَدَّثَنِي سَلْمَانُ أَبُو رَجَاءٍ، مَوْلَى أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا خَلْفَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَذَكَرُوا وَذَكَرُوا فَقَالُوا وَقَالُوا قَدْ أَقَادَتْ بِهَا الْخُلَفَاءُ، فَالْتَفَتَ إِلَى أَبِي قِلاَبَةَ وَهْوَ خَلْفَ ظَهْرِهِ، فَقَالَ مَا تَقُولُ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَيْدٍ أَوْ قَالَ مَا تَقُولُ يَا أَبَا قِلاَبَةَ قُلْتُ مَا عَلِمْتُ نَفْسًا حَلَّ قَتْلُهَا فِي الإِسْلاَمِ إِلاَّ رَجُلٌ زَنَى بَعْدَ إِحْصَانٍ، أَوْ قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ، أَوْ حَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم. فَقَالَ عَنْبَسَةُ حَدَّثَنَا أَنَسٌ بِكَذَا وَكَذَا. قُلْتُ إِيَّاىَ حَدَّثَ أَنَسٌ قَالَ قَدِمَ قَوْمٌ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمُوهُ فَقَالُوا قَدِ اسْتَوْخَمْنَا هَذِهِ الأَرْضَ. فَقَالَ " هَذِهِ نَعَمٌ لَنَا تَخْرُجُ، فَاخْرُجُوا فِيهَا، فَاشْرَبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا ". فَخَرَجُوا فِيهَا فَشَرِبُوا مِنْ أَبْوَالِهَا وَأَلْبَانِهَا وَاسْتَصَحُّوا، وَمَالُوا عَلَى الرَّاعِي فَقَتَلُوهُ، وَاطَّرَدُوا النَّعَمَ، فَمَا يُسْتَبْطَأُ مِنْ هَؤُلاَءِ قَتَلُوا النَّفْسَ وَحَارَبُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَخَوَّفُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. فَقَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ. فَقُلْتُ تَتَّهِمُنِي قَالَ حَدَّثَنَا بِهَذَا أَنَسٌ. قَالَ وَقَالَ يَا أَهْلَ كَذَا إِنَّكُمْ لَنْ تَزَالُوا بِخَيْرٍ مَا أُبْقِيَ هَذَا فِيكُمْ أَوْ مِثْلُ هَذَا.
Narrated Abu Qilaba:
That he was sitting behind `Umar bin `Abdul `Aziz and the people mentioned and mentioned (about at-Qasama) and they said (various things), and said that the Caliphs had permitted it. `Umar bin `Abdul `Aziz turned towards Abu Qilaba who was behind him and said. "What do you say, O `Abdullah bin Zaid?" or said, "What do you say, O Abu Qilaba?" Abu Qilaba said, "I do not know that killing a person is lawful in Islam except in three cases: a married person committing illegal sexual intercourse, one who has murdered somebody unlawfully, or one who wages war against Allah and His Apostle." 'Anbasa said, "Anas narrated to us such-and-such." Abu Qilaba said, "Anas narrated to me in this concern, saying, some people came to the Prophet (ﷺ) and they spoke to him saying, 'The climate of this land does not suit us.' The Prophet (ﷺ) said, 'These are camels belonging to us, and they are to be taken out to the pasture. So take them out and drink of their milk and urine.' So they took them and set out and drank of their urine and milk, and having recovered, they attacked the shepherd, killed him and drove away the camels.' Why should there be any delay in punishing them as they murdered (a person) and waged war against Allah and His Apostle and frightened Allah's Messenger (ﷺ) ?" Anbasa said, "I testify the uniqueness of Allah!" Abu Qilaba said, "Do you suspect me?" 'Anbasa said, "No, Anas narrated that (Hadith) to us." Then 'Anbasa added, "O the people of such-and-such (country), you will remain in good state as long as Allah keeps this (man) and the like of this (man) amongst you."
পরিচ্ছেদঃ ২৮৮৭. ‘কাসামাহ’ (শপথ)। আশআছ ইবনু কায়স (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) আমাকে বলেছেন, তুমি দু’জন সাক্ষী পেশ করবে, নতুবা তার কসম! ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) বলেন, মু’আবিয়া (রাঃ) কাসামা অনুযায়ী কিসাস গ্রহণ করতেন না। উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) তাঁর তরফ থেকে নিযুক্ত বসরার গভর্নর আদী ইবনু আরতাত (রহঃ) এর কাছে একজন নিহত ব্যক্তির ব্যাপারে পত্র লিখেন, যাকে তেল ব্যবসায়ীদের বাড়ীর কাছে পাওয়া গিয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন, যদি তার আত্মীয়-স্বজনরা প্রমান পেশ করতে পারে তবে দন্ড প্রদান করবে নতুবা লোকদের ওপর জুলম করবে না। কেননা, তা এমন ব্যাপার, যার কিয়ামত পর্যন্ত ফায়সালা করা যায় না।
৬৪৩২। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) তার সিংহাসন জনসাধারণকে প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে বের করলেন। এরপর লোকদেরকে তার নিকট আসার অনুমতি প্রদান করলেন। তারা প্রবেশ করল। তারপর বললেন, তোমরা কাসামা (কসম) সম্বন্ধে কি মত পোষণ কর? তারা বলল আমাদের মতে কাসামার ভিত্তিতে কিসাস গ্রহণ করা বিধেয়। খলীফাগণ এর ভিত্তিতে কিসাস কার্যকর করেছেন। তিনি আমাকে বললেন, হে আবূ কিলাবা। তুমি কি বল? তিনি আমাকে লোকদের সামনে দাঁড় করালেন। আমি বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার কাছে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ ব্যাক্তিবর্গ ও আরব নেতৃবৃন্দ রয়েছেন, বলুন তো, যদি তাদের থেকে পঞ্চাশ ব্যাক্তি দামেশকের একজন বিবাহিত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করে যে সে যিনা করেছে, অথচ তারা তাকে দেখেনি, তাহলে আপনি তাকে রজম করবেন কি? তিনি বললেনঃ না। আমি বললাম, বলুন তো, যদি তাদের মধ্য থেকে পঞ্চাশ জন হিমস নিবাসী এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করে যে, সে যিনা করেছে। অথচ তারা তাকে দেখেনি, তাহলে কি আপনি তার হাত কাটবেন? তিনি বললেনঃ না।
আমি বললাম, আল্লাহর কসম! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন কারনের কোন একটি ব্যতীত কাউকে হত্যা করেননি। (যথা) (অন্যায়ভাবে) কাউকে হত্যা করলে তাকে হত্যা করা হবে। অথবা যে ব্যাক্তি বিয়ের পর যিনা করে, অথবা যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ও ইসলাম থেকে ফিরে মুরতাদ হয়ে যায়।
তখন লোকেরা বলল, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) কি বর্ণনা করেননি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুরির ব্যাপারে হাত কেটেছেন, লৌহশলাকা দ্বারা চক্ষু ফুড়ে দিয়েছেন, তারপর তাদেরকে উত্তপ্ত রৌদ্রে ফেলে রেখেছেন। তখন আমি বললাম, আমি তোমাদেরকে আনাস (রাঃ) এর হাদীস বর্ণনা করছি।
আমাকে আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, উকাইল গোত্রের আটজন লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এল। তারা তার হাতে ইসলামের বায়আত গ্রহন করল। কিন্তু সে এলাকার আবহাওয়া তাদের অনুকূলে হল না এবং তাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ল। তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এর অভিযোগ করল। তিনি তাদেরকে বললেন তোমরা কি আমার রাখালের সাথে তার উটপালের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করবে না? তারা বলল, হ্যাঁ। তারপর তারা তথায় গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করল। ফলে তারা সুস্থ হয়ে গেল। এরপর তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাখালকে হত্যা করে উটওলো হাঁকিয়ে নিয়ে চলল।
এ সংবাদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পৌছলে তিনি তাদের পশ্চাদ্ধাবনের লক্ষ্যে লোক পাঠালেন। তারা ধরা পড়ল এবং তাদেরকে নিয়ে আসা হল। তাদের সম্বন্ধে নির্দেশ প্রদান করা হল। তাদের হাত-পা কাটা হল, লৌহশলাকা দ্বারা তাদের চক্ষু ফুড়ে দেওয়া হল। এরপর উত্তপ্ত রৌদ্রে তাদেরকে ফেলে রাখা হল, অবশেষে তারা মারা গেল। আমি বললাম তারা যা করেছে এর চেয়ে জঘন্য আর কি হতে পারে? তারা ইসলাম থেকে মুরতাদ হল, হত্যা করল, চুরি করল। তখন আমবাসা ইবনু সাঈদ বললেনঃ আল্লাহর কসম! আজকের ন্যয় আমি আর কখনো শুনিনি। আমি বললাম, হে আমবাসা! তাহলে তুমি আমার বর্ণিত হাদীসটি প্রত্যাখ্যান করছ কি? তিনি বললেনঃ না। তুমি হাদীসটি যথাযথ বর্ণনা করেছ। আল্লাহর কসম! এ লোকগুলো কল্যাণের উপর থাকবে যতদিন এ শায়খ (বুযর্গ) তাদের মধ্যে বর্তমান থাকবেন।
আমি বললাম, এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে একটা নিয়ম রয়েছে। আনসারদের একটি দল তাঁর কাছে প্রবেশ করল। তারা তার কাছে আলোচনা করছিল। ইতিমধ্যে তাদের সামনে তাদের এক লোক বেরিয়ে গেল এবং নিহত হল। অতঃপর তারা বের হল। তখন তারা তাদের সঙ্গীকে দেখতে পেল যে, রক্তের মধ্যে নড়াচড়া করছে। তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ফিরে এল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের সঙ্গী যে আমাদের সাথে আলোচনা করছিল এবং সে আমাদের সামনেই বের হয়ে গিয়েছিল। আমরা এখন তাকে রক্তের মাঝে নড়াচড়া করতে দেখতে পাচ্ছি। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে গেলেন এবং বললেনঃ তাকে হত্যা করার ব্যাপারে কাদের সমন্ধে তোমাদের ধারণা? তারা বললা আমরা মনে করি! ইহুদীরা তাকে হত্যা করেছে।
তিনি ইহুদীদেরকে ডেকে পাঠালেন। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা ওকে হত্যা করেছ? তারা বলল, না। তিনি আনসারদের বললেনঃ তোমরা কি এতে সম্মত আছ যে, ইহুদীদের আরো পঞ্চাশজন লোক কসম করে বলবে যে, তারা তাকে হত্যা করেনি। আনসাররা বলল, তারা এতে কোন পরওয়া করবে না, তারা আমাদের সকলকে হত্যা করে ফেলার পরও কসম করে নিতে পারবে। তিনি বললেনঃ তাহলে তোমরা কি এজন্য প্রস্তুত আছ যে, তোমাদের থেকে পঞ্চাশজনের কসমের মাধ্যমে তোমরা দীয়াতের অধিকারী হবে? তারা বলল, আমরা কসম করব না। তখন তিনি নিজের পক্ষ থেকে দীয়াত প্রদান করে দেন।
(রাবী আবূ কালাবা বলেন) আমি বললাম, হুযায়ল গোত্র জাহিলী যুগে তাদের গোত্রের লোকেরা এক ব্যাক্তিকে সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। এক রাতে সে ব্যাক্তি বাহহা নামক স্থানে ইয়ামনের এক পরিবারের উপর আকম্মিক হামলা চালায়। কিন্তু সে পরিবারের এক ব্যাক্তি তা টের পেয়ে যায়। এবং তার প্রতি তরবারী নিক্ষেপ করে তাকে হত্যা করে ফেলে। অতঃপর হুযায়ল গোত্রের লোকেরা এসে ইয়ামনী ব্যাক্তিটিকে ধরে ফেলে এবং (হাজ্জের (হজ্জ) মৌসুমে উমর (রাঃ) এর কাছে তাকে নিয়ে পেশ করে। আর বলে সে আমাদের এক সাথীকে হত্যা করেছে। ইয়ামনী লোকটি বলল, তারা কিন্তু ওকে সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তখন তিনি বললেন, হুযায়ল গোত্রের পঞ্চাশ ব্যাক্তি এ মর্মে কসম করবে যে তারা ওকে সকল দায়-দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিচ্ছিন্ন করেনি।
বর্ণনাকারী বলেনঃ তাদের মধ্য থেকে উনপঞ্চাশ ব্যাক্তি কসম করে নিল, অতঃপর তাদের একজন সিরিয়া থেকে এলো, তারা তাকে কসম করতে বলল। কিন্তু সে এক হাজার দিরহামের বিনিময়ে কসম থেকে তাদের সাথে আপোস করে নিল। তখন তারা তার স্থলে অপর একজনকে যোগ করে নিল। তারা তাকে নিহত ব্যাক্তির ভাইয়ের কাছে পেশ করল। তারা উভয়ই করমর্দন করল। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা এবং ঐ পঞ্চাশ ব্যাক্তি, যারা কসম করেছে, চললাম। যখন তারা নাখলা নামক স্থানে পৌছলাম, তাদের উপর বৃষ্টি নেমে এল। তখন তারা পাহাড়ের এক গুহায় প্রবেশ করল। কিন্তু গুহা ঐ পঞ্চাশজন কসমকারীর উপর ভেঙ্গে পড়ল। এতে তারা সকলেই মারা গেল।
তবে করমর্দনকারী দু’জন শুধু বেঁচে গেল। কিন্তু একটি পাথর তাদের উভয়ের প্রতি নিক্ষিপ্ত হল এবং নিহত ব্যাক্তির ভাইয়ের পা ভেঙ্গে ফেলল। আর সে এক বছর জীবিত থাকার পর মারা গেল। (রাবী বলেন) আমি বললাম, আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ান (এক সময়) কাসামার ভিত্তিতে এক ব্যাক্তির কিসাস গ্রহণ করেন। এরপর আপন কৃতকর্মের উপর তিনি লজ্জিত হন এবং ঐ পঞ্চাশ ব্যাক্তি সম্বন্ধে নির্দেশ দিলেন যারা কসম করেছিল, তাদেরকে রেজিষ্ট্রার থেকে খারিজ করে দিয়ে সিরিয়ায় নির্বাসন দিলেন।
باب القسامة وقال الأشعث بن قيس قال النبي صلى الله عليه وسلم شاهداك أو يمينه وقال ابن أبي مليكة لم يقد بها معاوية وكتب عمر بن عبد العزيز إلى عدي بن أرطاة وكان أمره على البصرة في قتيل وجد عند بيت من بيوت السمانين إن وجد أصحابه بينة وإلا فلا تظلم الناس فإن هذا لا يقضى فيه إلى يوم القيامة
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الأَسَدِيُّ حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ أَبِي عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي أَبُو رَجَاءٍ، مِنْ آلِ أَبِي قِلاَبَةَ حَدَّثَنِي أَبُو قِلاَبَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَبْرَزَ سَرِيرَهُ يَوْمًا لِلنَّاسِ، ثُمَّ أَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا فَقَالَ مَا تَقُولُونَ فِي الْقَسَامَةِ قَالَ نَقُولُ الْقَسَامَةُ الْقَوَدُ بِهَا حَقٌّ، وَقَدْ أَقَادَتْ بِهَا الْخُلَفَاءُ. قَالَ لِي مَا تَقُولُ يَا أَبَا قِلاَبَةَ وَنَصَبَنِي لِلنَّاسِ. فَقُلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عِنْدَكَ رُءُوسُ الأَجْنَادِ وَأَشْرَافُ الْعَرَبِ، أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ خَمْسِينَ مِنْهُمْ شَهِدُوا عَلَى رَجُلٍ مُحْصَنٍ بِدِمَشْقَ أَنَّهُ قَدْ زَنَى، لَمْ يَرَوْهُ أَكُنْتَ تَرْجُمُهُ قَالَ لاَ. قُلْتُ أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ خَمْسِينَ مِنْهُمْ شَهِدُوا عَلَى رَجُلٍ بِحِمْصَ أَنَّهُ سَرَقَ أَكُنْتَ تَقْطَعُهُ وَلَمْ يَرَوْهُ قَالَ لاَ. قُلْتُ فَوَاللَّهِ مَا قَتَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَطُّ، إِلاَّ فِي إِحْدَى ثَلاَثِ خِصَالٍ رَجُلٌ قَتَلَ بِجَرِيرَةِ نَفْسِهِ فَقُتِلَ، أَوْ رَجُلٌ زَنَى بَعْدَ إِحْصَانٍ، أَوْ رَجُلٌ حَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَارْتَدَّ عَنِ الإِسْلاَمِ. فَقَالَ الْقَوْمُ أَوَلَيْسَ قَدْ حَدَّثَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَطَعَ فِي السَّرَقِ وَسَمَرَ الأَعْيُنَ، ثُمَّ نَبَذَهُمْ فِي الشَّمْسِ. فَقُلْتُ أَنَا أُحَدِّثُكُمْ حَدِيثَ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي أَنَسٌ أَنَّ نَفَرًا مِنْ عُكْلٍ ثَمَانِيَةً قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَايَعُوهُ عَلَى الإِسْلاَمِ، فَاسْتَوْخَمُوا الأَرْضَ فَسَقِمَتْ أَجْسَامُهُمْ، فَشَكَوْا ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَفَلاَ تَخْرُجُونَ مَعَ رَاعِينَا فِي إِبِلِهِ، فَتُصِيبُونَ مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا ". قَالُوا بَلَى، فَخَرَجُوا فَشَرِبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا فَصَحُّوا، فَقَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَطْرَدُوا النَّعَمَ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ فِي آثَارِهِمْ، فَأُدْرِكُوا فَجِيءَ بِهِمْ، فَأَمَرَ بِهِمْ فَقُطِّعَتْ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ، وَسَمَرَ أَعْيُنَهُمْ، ثُمَّ نَبَذَهُمْ فِي الشَّمْسِ حَتَّى مَاتُوا. قُلْتُ وَأَىُّ شَىْءٍ أَشَدُّ مِمَّا صَنَعَ هَؤُلاَءِ ارْتَدُّوا عَنِ الإِسْلاَمِ وَقَتَلُوا وَسَرَقُوا. فَقَالَ عَنْبَسَةُ بْنُ سَعِيدٍ وَاللَّهِ إِنْ سَمِعْتُ كَالْيَوْمِ قَطُّ. فَقُلْتُ أَتَرُدُّ عَلَىَّ حَدِيثِي يَا عَنْبَسَةُ قَالَ لاَ، وَلَكِنْ جِئْتَ بِالْحَدِيثِ عَلَى وَجْهِهِ، وَاللَّهِ لاَ يَزَالُ هَذَا الْجُنْدُ بِخَيْرٍ مَا عَاشَ هَذَا الشَّيْخُ بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ. قُلْتُ وَقَدْ كَانَ فِي هَذَا سُنَّةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهِ نَفَرٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَتَحَدَّثُوا عِنْدَهُ، فَخَرَجَ رَجُلٌ مِنْهُمْ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ فَقُتِلَ، فَخَرَجُوا بَعْدَهُ، فَإِذَا هُمْ بِصَاحِبِهِمْ يَتَشَحَّطُ فِي الدَّمِ، فَرَجَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ صَاحِبُنَا كَانَ تَحَدَّثَ مَعَنَا، فَخَرَجَ بَيْنَ أَيْدِينَا، فَإِذَا نَحْنُ بِهِ يَتَشَحَّطُ فِي الدَّمِ. فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " بِمَنْ تَظُنُّونَ أَوْ تَرَوْنَ قَتَلَهُ ". قَالُوا نَرَى أَنَّ الْيَهُودَ قَتَلَتْهُ. فَأَرْسَلَ إِلَى الْيَهُودِ فَدَعَاهُمْ. فَقَالَ " آنْتُمْ قَتَلْتُمْ هَذَا ". قَالُوا لاَ. قَالَ " أَتَرْضَوْنَ نَفَلَ خَمْسِينَ مِنَ الْيَهُودِ مَا قَتَلُوهُ ". فَقَالُوا مَا يُبَالُونَ أَنْ يَقْتُلُونَا أَجْمَعِينَ ثُمَّ يَنْتَفِلُونَ. قَالَ " أَفَتَسْتَحِقُّونَ الدِّيَةَ بِأَيْمَانِ خَمْسِينَ مِنْكُمْ ". قَالُوا مَا كُنَّا لِنَحْلِفَ، فَوَدَاهُ مِنْ عِنْدِهِ. قُلْتُ وَقَدْ كَانَتْ هُذَيْلٌ خَلَعُوا خَلِيعًا لَهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَطَرَقَ أَهْلَ بَيْتٍ مِنَ الْيَمَنِ بِالْبَطْحَاءِ فَانْتَبَهَ لَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَحَذَفَهُ بِالسَّيْفِ فَقَتَلَهُ، فَجَاءَتْ هُذَيْلٌ فَأَخَذُوا الْيَمَانِيَ فَرَفَعُوهُ إِلَى عُمَرَ بِالْمَوْسِمِ وَقَالُوا قَتَلَ صَاحِبَنَا. فَقَالَ إِنَّهُمْ قَدْ خَلَعُوهُ. فَقَالَ يُقْسِمُ خَمْسُونَ مِنْ هُذَيْلٍ مَا خَلَعُوهُ. قَالَ فَأَقْسَمَ مِنْهُمْ تِسْعَةٌ وَأَرْبَعُونَ رَجُلاً، وَقَدِمَ رَجُلٌ مِنْهُمْ مِنَ الشَّأْمِ فَسَأَلُوهُ أَنْ يُقْسِمَ فَافْتَدَى يَمِينَهُ مِنْهُمْ بِأَلْفِ دِرْهَمٍ، فَأَدْخَلُوا مَكَانَهُ رَجُلاً آخَرَ، فَدَفَعَهُ إِلَى أَخِي الْمَقْتُولِ فَقُرِنَتْ يَدُهُ بِيَدِهِ، قَالُوا فَانْطَلَقَا وَالْخَمْسُونَ الَّذِينَ أَقْسَمُوا حَتَّى إِذَا كَانُوا بِنَخْلَةَ، أَخَذَتْهُمُ السَّمَاءُ فَدَخَلُوا فِي غَارٍ فِي الْجَبَلِ، فَانْهَجَمَ الْغَارُ عَلَى الْخَمْسِينَ الَّذِينَ أَقْسَمُوا فَمَاتُوا جَمِيعًا، وَأَفْلَتَ الْقَرِينَانِ وَاتَّبَعَهُمَا حَجَرٌ فَكَسَرَ رِجْلَ أَخِي الْمَقْتُولِ، فَعَاشَ حَوْلاً ثُمَّ مَاتَ. قُلْتُ وَقَدْ كَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ أَقَادَ رَجُلاً بِالْقَسَامَةِ ثُمَّ نَدِمَ بَعْدَ مَا صَنَعَ، فَأَمَرَ بِالْخَمْسِينَ الَّذِينَ أَقْسَمُوا فَمُحُوا مِنَ الدِّيوَانِ وَسَيَّرَهُمْ إِلَى الشَّأْمِ.
Narrated Abu Qilaba:
Once `Umar bin `Abdul `Aziz sat on his throne in the courtyard of his house so that the people might gather before him. Then he admitted them and (when they came in), he said, "What do you think of Al-Qasama?" They said, "We say that it is lawful to depend on Al-Qasama in Qisas, as the previous Muslim Caliphs carried out Qisas depending on it." Then he said to me, "O Abu Qilaba! What do you say about it?" He let me appear before the people and I said, "O Chief of the Believers! You have the chiefs of the army staff and the nobles of the Arabs. If fifty of them testified that a married man had committed illegal sexual intercourse in Damascus but they had not seen him (doing so), would you stone him?" He said, "No." I said, "If fifty of them testified that a man had committed theft in Hums, would you cut off his hand though they did not see him?" He replied, "No." I said, "By Allah, Allah's Messenger (ﷺ) never killed anyone except in one of the following three situations: (1) A person who killed somebody unjustly, was killed (in Qisas,) (2) a married person who committed illegal sexual intercourse and (3) a man who fought against Allah and His Apostle and deserted Islam and became an apostate." Then the people said, "Didn't Anas bin Malik narrate that Allah's Messenger (ﷺ) cut off the hands of the thieves, branded their eyes and then, threw them in the sun?" I said, "I shall tell you the narration of Anas. Anas said: "Eight persons from the tribe of `Ukl came to Allah's Messenger (ﷺ) and gave the Pledge of allegiance for Islam (became Muslim). The climate of the place (Medina) did not suit them, so they became sick and complained about that to Allah's Messenger (ﷺ). He said (to them ), "Won't you go out with the shepherd of our camels and drink of the camels' milk and urine (as medicine)?" They said, "Yes." So they went out and drank the camels' milk and urine, and after they became healthy, they killed the shepherd of Allah's Messenger (ﷺ) and took away all the camels. This news reached Allah's Messenger (ﷺ) , so he sent (men) to follow their traces and they were captured and brought (to the Prophet). He then ordered to cut their hands and feet, and their eyes were branded with heated pieces of iron, and then he threw them in the sun till they died." I said, "What can be worse than what those people did? They deserted Islam, committed murder and theft." Then 'Anbasa bin Sa`id said, "By Allah, I never heard a narration like this of today." I said, "O 'Anbasa! You deny my narration?" 'Anbasa said, "No, but you have related the narration in the way it should be related. By Allah, these people are in welfare as long as this Sheikh (Abu Qilaba) is among them." I added, "Indeed in this event there has been a tradition set by Allah's Messenger (ﷺ). The narrator added: Some Ansari people came to the Prophet (ﷺ) and discussed some matters with him, a man from amongst them went out and was murdered. Those people went out after him, and behold, their companion was swimming in blood. They returned to Allah's Messenger (ﷺ) and said to him, "O Allah's Apostle, we have found our companion who had talked with us and gone out before us, swimming in blood (killed)." Allah's Messenger (ﷺ) went out and asked them, "Whom do you suspect or whom do you think has killed him?" They said, "We think that the Jews have killed him." The Prophet (ﷺ) sent for the Jews and asked them, "Did you kill this (person)?" They replied, "No." He asked the Al-Ansars, "Do you agree that I let fifty Jews take an oath that they have not killed him?" They said, "It matters little for the Jews to kill us all and then take false oaths." He said, "Then would you like to receive the Diya after fifty of you have taken an oath (that the Jews have killed your man)?" They said, "We will not take the oath." Then the Prophet (ﷺ) himself paid them the Diya (Blood-money)." The narrator added, "The tribe of Hudhail repudiated one of their men (for his evil conduct) in the Pre-lslamic period of Ignorance. Then, at a place called Al-Batha' (near Mecca), the man attacked a Yemenite family at night to steal from them, but a. man from the family noticed him and struck him with his sword and killed him. The tribe of Hudhail came and captured the Yemenite and brought him to `Umar during the Hajj season and said, "He has killed our companion." The Yemenite said, "But these people had repudiated him (i.e., their companion)." `Umar said, "Let fifty persons of Hudhail swear that they had not repudiated him." So forty-nine of them took the oath and then a person belonging to them, came from Sham and they requested him to swear similarly, but he paid one-thousand Dirhams instead of taking the oath. They called another man instead of him and the new man shook hands with the brother of the deceased. Some people said, "We and those fifty men who had taken false oaths (Al-Qasama) set out, and when they reached a place called Nakhlah, it started raining so they entered a cave in the mountain, and the cave collapsed on those fifty men who took the false oath, and all of them died except the two persons who had shaken hands with each other. They escaped death but a stone fell on the leg of the brother of the deceased and broke it, whereupon he survived for one year and then died." I further said, "`Abdul Malik bin Marwan sentenced a man to death in Qisas (equality in punishment) for murder, basing his judgment on Al-Qasama, but later on he regretted that judgment and ordered that the names of the fifty persons who had taken the oath (Al-Qasama), be erased from the register, and he exiled them in Sham."
পরিচ্ছেদঃ ৯. তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরূপ করতে হবে না
৭৫০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ)... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি মালিক ইবনুল হুওয়ায়রিস (রাঃ) কে দেখলেন, তিনি যখন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে দাঁড়ালেন তখন তাকবীর বলে উভয় হাত উঠালেন। আর যখন রুকু করার ইচ্ছা করলেন তখন উভয় হাত উঠালেন। আর রুকু থেকে যখন মাথা উঠালেন তখন আবারও হাত উঠালেন এবং (পরে) বর্ণনা করলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরুপ করতেন।
باب اسْتِحْبَابِ رَفْعِ الْيَدَيْنِ حَذْوَ الْمَنْكِبَيْنِ مَعَ تَكْبِيرَةِ الإِحْرَامِ وَالرُّكُوعِ وَفِي الرَّفْعِ مِنَ الرُّكُوعِ وَأَنَّهُ لاَ يَفْعَلُهُ إِذَا رَفَعَ مِنَ السُّجُودِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، أَنَّهُ رَأَى مَالِكَ بْنَ الْحُوَيْرِثِ إِذَا صَلَّى كَبَّرَ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَ يَدَيْهِ وَحَدَّثَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُ هَكَذَا .
Abu Qilaba reported that he saw Malik b. Huwairith raising his hands at the beginning of prayer and raising his hands before kneeling down, and raising his hands after lifting his head from the state of kneeling, and he narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) used to do like this.
পরিচ্ছেদঃ ৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশংকা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশংকা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে সাওম ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর সাওম পালন করা নিষেধ এবং একদিন সাওম পালন করা ও একদিন সাওম পালন না করার ফযীলত
২৬১২। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে আবূল মালীহ (রহঃ) অবহিত করেছেনঃ তিনি বলেছেন, আমি তোমার পিতার সাথে আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি আমাদের নিকট বললেন, যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আমার সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) সম্পর্কে উল্লেখ করা হলে তিনি আমার কাছে এলেন। আমি তাঁর জন্য একটি চামড়ার তাকিয়া পেতে দিলাম। যাতে খেজুরগাছের আঁশ ভর্তি ছিল। তিনি মাটির উপর বসে গেলেন এবং তাকিয়াটি তাঁর ও আমার মাঝে পড়ে থাকল।
তিনি আমাকে বললেন প্রতি মাসে তিন দিন সাওম পালন করা কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ (আমি এর অধিক সাওম পালন করতে সক্ষম)! তিনি বললেন, তাহলে পাঁচদিন। আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ (আমি এর চেয়ে বেশি সামর্থ্য রাখি)! তিনি বললেন, তাহলে সাত দিন? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! (আমি এর অধিক সামর্থ্য রাখি।) তিনি বললেন, তাহলে নয় দিন! আমি বললাম। ইয়া রাসুলাল্লাহ (আমি এর অধিক সামর্থ্য রাখি)। তিনি বললেন, তাহলে এগার দিন। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! (আমি এর অধিক সামর্থ্য রাখি)।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর সাওমের উপর কোন সাওম নেই। তিনি বছরের অর্ধেক অর্থাৎ একদিন যদি এ সাওম পালন করতেন, আরেক দিন বাদ দিতেন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الْمَلِيحِ، قَالَ دَخَلْتُ مَعَ أَبِيكَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو فَحَدَّثَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذُكِرَ لَهُ صَوْمِي فَدَخَلَ عَلَىَّ فَأَلْقَيْتُ لَهُ وِسَادَةً مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ فَجَلَسَ عَلَى الأَرْضِ وَصَارَتِ الْوِسَادَةُ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَقَالَ لِي " أَمَا يَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " خَمْسًا " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " سَبْعًا " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " تِسْعًا " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " أَحَدَ عَشَرَ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ صَوْمَ فَوْقَ صَوْمِ دَاوُدَ شَطْرُ الدَّهْرِ صِيَامُ يَوْمٍ وَإِفْطَارُ يَوْمٍ " .
Abu Qatada reported that Abu al Malih informed me:
I went along with your father to 'Abdullah b. Amr, and he narrated to us that the Messenger of Allah (ﷺ) was informed about my fasting and he came to me, and I placed a leather cushion filled with fibre of date-palms for him. He sat down upon the ground and there was that cushion between me and him, and he said to me: Does three days' fasting in a month not suffice you? I said: Messenger of Allah, (I am capable of observing more fasts). He said: (Would) five (not suffice for you)? I said: Messenger of Allah, (I am capable of observing more fasts) He said: (Would) seven (fasts) not suffice you? I said: Messenger of Allah, (I am capable of observing more fasts). He (the Holy Prophet) then said: (Would) nine (fasts not suffice you)? I said: Messenger of Allah, (I am capable of observing more fasts). He said: (Would) eleven (fasts not suffice you)? I said: Messenger of Allah, (I am capable of observing more fasts than these). Thereupon the Messenger of Allah (ﷺ) said: There is no fasting (better than) the fasting of David which comprises half of the age, fasting a day and not fasting a day.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. সুদ
৩৯১৬। উবায়দুল্লাহ ইবনু উমর কাওয়ারীরী (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শামে (সিরিয়ায়) এক মজলিসে উপস্থিত ছিলাম। তথায় মুসলিম ইবনু ইয়াসার (রাঃ)ও ছিলেন। এমন সময় আবূল আশ’আস আগমন করলেন। তারা বলল, আবূল আশ’আস, আমিও বললাম, আবূল আশ-আস (এসেছেন)। অতঃপর তিনি বসলেনঃ আমি তাঁকে বললাম, আমাদের ভাইদের নিকট উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) এর হাদীসটি শোনান। তিনি বললেন, আচ্ছা; আমরা একবার এক যুদ্ধে অবতীর্ণ হই। মুআবিয়া (রাঃ) ছিলেন সেনাপতি। প্রচুর পরিমাণ গনীমত আমাদের হস্তগত হয়। আমাদের এই গনীমতের মধ্যে রূপার একটা পাত্রও ছিল। মুআবিয়া (রাঃ) সেটি লোকদের বেতন-ভাতার বিনিময়ে বিক্রি করার জন্য একজনকে আদেশ দান করেন। লোকজন এ ব্যাপারে সকলেই আগ্রহ প্রকাশ করল।
উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) এর নিকট এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি দণ্ডায়মান হন এবং বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিষেধ করতে শুনেছি- স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ, রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য, গমের বিনিময়ে গম, যবের বিনিময়ে যব, খেজুরের বিনিময়ে খেজুর ও লবনের বিনিময়ে লবন বিক্রি করতে, পরিমাণে সমান সমান ও নগদ নগদ ব্যতিরেকে। যে অতিরিক্ত দিবে বা অতিরিক্ত গ্রহণ করবে সে সুদের কাজ কারবার করল।
এরপর লোকজন যা কিছু নিয়েছিল তা ফেরত দিল এবং মুআবিয়া (রাঃ) এর নিকট এ সংবাদ পৌছে দিল। তিনি ভাষণ দিতে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং বললেন, মানুষের একি আবস্থা হল, তাঁরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এমন বহু হাদীস বর্ণনা করেন যা আমরা তাঁর থেকে শুনি নাই অথচ আমরা তাঁর নিকট উপস্থিত থাকতাম এবং তাঁরই সান্নিধ্য লাভ করতাম। এরপর উবাদা (রাঃ) দাঁড়ালেন এবং বর্ণনার পুনরাবৃত্তি করে বললেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা কিছু শুনেছি তা অবশ্যই বর্ণনা করব, যদিও মুআবিয়া (রাঃ) তা অপছন্দ করেন অথবা বলেছেন যে, যদিও মুআবিয়া তাতে অপমানিত বোধ করেন। আমি পরোয়া করি না যে, তার বাহিনীতে এক কালো রাত্র না থাকি। হাম্মাদ (রহঃ) বলেন, তিনি এ কথাই বলেছেন কিংবা এর অনুরূপ কিছু।
باب الرِّبَا
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ كُنْتُ بِالشَّامِ فِي حَلْقَةٍ فِيهَا مُسْلِمُ بْنُ يَسَارٍ فَجَاءَ أَبُو الأَشْعَثِ قَالَ قَالُوا أَبُو الأَشْعَثِ أَبُو الأَشْعَثِ . فَجَلَسَ فَقُلْتُ لَهُ حَدِّثْ أَخَانَا حَدِيثَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ . قَالَ نَعَمْ غَزَوْنَا غَزَاةً وَعَلَى النَّاسِ مُعَاوِيَةُ فَغَنِمْنَا غَنَائِمَ كَثِيرَةً فَكَانَ فِيمَا غَنِمْنَا آنِيَةٌ مِنْ فِضَّةٍ فَأَمَرَ مُعَاوِيَةُ رَجُلاً أَنْ يَبِيعَهَا فِي أَعْطِيَاتِ النَّاسِ فَتَسَارَعَ النَّاسُ فِي ذَلِكَ فَبَلَغَ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ فَقَامَ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْ بَيْعِ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ بِالْفِضَّةِ وَالْبُرِّ بِالْبُرِّ وَالشَّعِيرِ بِالشَّعِيرِ وَالتَّمْرِ بِالتَّمْرِ وَالْمِلْحِ بِالْمِلْحِ إِلاَّ سَوَاءً بِسَوَاءٍ عَيْنًا بِعَيْنٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى . فَرَدَّ النَّاسُ مَا أَخَذُوا فَبَلَغَ ذَلِكَ مُعَاوِيَةَ فَقَامَ خَطِيبًا فَقَالَ أَلاَ مَا بَالُ رِجَالٍ يَتَحَدَّثُونَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَادِيثَ قَدْ كُنَّا نَشْهَدُهُ وَنَصْحَبُهُ فَلَمْ نَسْمَعْهَا مِنْهُ . فَقَامَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ فَأَعَادَ الْقِصَّةَ ثُمَّ قَالَ لَنُحَدِّثَنَّ بِمَا سَمِعْنَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنْ كَرِهَ مُعَاوِيَةُ - أَوْ قَالَ وَإِنْ رَغِمَ - مَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَصْحَبَهُ فِي جُنْدِهِ لَيْلَةً سَوْدَاءَ . قَالَ حَمَّادٌ هَذَا أَوْ نَحْوَهُ.
Abi Qilabah reported:
I was in Syria (having) a circle (of friends). in which was Muslim b. Yasir. There came Abu'l-Ash'ath. He (the narrator) said that they (the friends) called him: Abu'l-Ash'ath, Abu'l-Ash'ath, and he sat down. I said to him: Narrate to our brother the hadith of Ubada b. Samit. He said: Yes. We went out on an expedition, Mu'awiya being the leader of the people, and we gained a lot of spoils of war. And there was one silver utensil in what we took as spoils. Mu'awiya ordered a person to sell it for payment to the people (soldiers). The people made haste in getting that. The news of (this state of affairs) reached 'Ubada b. Samit, and he stood up and said: I heard Allah's Messenger (ﷺ) forbidding the sale of gold by gold, and silver by silver, and wheat by wheat, and barley by barley, and dates by dates, and salt by salt, except like for like and equal for equal. So he who made an addition or who accepted an addition (committed the sin of taking) interest. So the people returned what they had got. This reached Mu'awiya. and he stood up to deliver an address. He said: What is the matter with people that they narrate from the Messenger (ﷺ) such tradition which we did not hear though we saw him (the Holy Prophet) and lived in his company? Thereupon, Ubida b. Samit stood up and repeated that narration, and then said: We will definitely narrate what we heard from Allah's Messenger (ﷺ) though it may be unpleasant to Mu'awiya (or he said: Even if it is against his will). I do not mind if I do not remain in his troop in the dark night. Hammad said this or something like this.
পরিচ্ছেদঃ ২. শত্রু সৈন্য এবং মুরতাদের বিচার
৪২০৯। মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) আহমাদ ইবনু উসমান নাওফিলী (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি উমার ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) এর পিছনে বসা ছিলাম। তিনি জনগণকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা "কাসামাহ" (খুনের ব্যাপারে হলফ করা) সম্পর্কে কি বল? আম্বাসাহ (রহঃ) বললেনঃ আমাদের কাছে আনাস ইরন মালিক (রাঃ) (এ বিষয়ে) এমন এমন হাদীস বর্ণনা করেছেন। আমি বললাম, আনাস (রাঃ) বিশেষ করে আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একদল লোক আগমন করল। এরপর আনাস আইউব এবং হাজ্জাজ এর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
আবূ কিলাবা (রহঃ) বলেনঃ, আমি যখন (হাদীসের বর্ণনা) শেষ করলাম, তখন আম্বাসাহ (রহঃ) সুবহানাল্লাহ বললেনঃ। (অর্থাৎ আশ্চর্যান্বিত হলেন।) আবূ কিলাবা (রহঃ) বর্ণনা করে বলেন, আমি তখন বললাম, হে আম্বাসাহ! আপনি কি আমাকে (মিথ্যার ব্যাপারটি) সন্দেহ করছেন? তখন তিনি বললেন, না। আমার কাছে আনাস (রাঃ) এরূপেই হাদীস বর্ণনা করেছেন। হে সিরিয়াবাসী! তোমরা সর্বদাই কল্যাণের মধ্যে থাকবে যতদিন তোমাদের মাঝে এই লোক বিদ্যমান থাকবেন। অথবা (রাবীর সন্দেহ) তার মত লোক তোমাদের মাঝে অবস্থান করবেন। (অর্থাৎ এ দ্বারা তিনি আবূ কিলাবা (রহঃ) এর প্রশংসা করলেন।)
باب حُكْمِ الْمُحَارِبِينَ وَالْمُرْتَدِّينَ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، حَدَّثَنَا أَزْهَرُ السَّمَّانُ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ، مَوْلَى أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا خَلْفَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَالَ لِلنَّاسِ مَا تَقُولُونَ فِي الْقَسَامَةِ فَقَالَ عَنْبَسَةُ قَدْ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ كَذَا وَكَذَا فَقُلْتُ إِيَّاىَ حَدَّثَ أَنَسٌ قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَوْمٌ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ أَيُّوبَ وَحَجَّاجٍ . قَالَ أَبُو قِلاَبَةَ فَلَمَّا فَرَغْتُ قَالَ عَنْبَسَةُ سُبْحَانَ اللَّهِ - قَالَ أَبُو قِلاَبَةَ - فَقُلْتُ أَتَتَّهِمُنِي يَا عَنْبَسَةُ قَالَ لاَ هَكَذَا حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ لَنْ تَزَالُوا بِخَيْرٍ يَا أَهْلَ الشَّامِ مَادَامَ فِيكُمْ هَذَا أَوْ مِثْلُ هَذَا.
Abu Qilaba reported:
I was sitting behind 'Umar b. 'Abd al-'Aziz and he said to the people: What do you say about al-Qasama? Thereupon 'Anbasa said: Anas b Malik narrated to us such and such (hadith pertaining to al-Qasama). I said: This is what Anas had narrated to me: People came to Allah's Apostle (ﷺ), and the rest of the hadith is the same. When I (Abu Qilaba) finished (the narration of this hadith), 'Anbasa said: Hallowed be Allah. I said: Do you blame me (for telling a lie)? He ('Anbasa) said: No. This is how Anas b Malik narrated to us. O people of Syria, you would not be deprived of good, so long as such (a person) or one like him lives amongst you.
পরিচ্ছেদঃ ১২৫. নাপাকী অবস্থায় তায়াম্মুম সম্পর্কে।
৩৩৩. মূসা ইবনু ইসমাঈল .... আবূ কিলাবা থেকে বর্ণিত। আমরের এক ব্যক্তির সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইসলাম কবুল করার পর তা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়। আমি আবূ যার (রাঃ) এর নিকট যাই। তিনি বলেন, মদ্বীনায় যাওয়ার পর আমি সেখানে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে উট ও বকরীর পাল চরানোর নির্দেশ দেন এবং বলেন, তুমি এর দুধ পান করবে। পেশাব পানের ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছিলেন কিনা তা জানা নাই। আবূ যার (রাঃ) বলেন, আমি পানি থেকে অনেক দুরে অবস্থান করতাম এবং এ সময় আমার স্ত্রীও আমার সাথে ছিল। এমতাবস্থায় আমি অপবিত্র হই এবং পবিত্রতা অর্জন করা ছাড়াই নামায আদায় করি।
অতঃপর আমি দুপুরের সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমতে হাযির হই, যখন তিনি একদল সাহাবীর সাথে মসজিদের পাশে আলাপে রত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে আবূ যার! আমি বলি- ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি হাযির এবং আমি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেনঃ কিসে তোমাকে ধ্বংস করেছে? আমি বলি, আমি পানি হতে অনেক দূরে ছিলাম এবং আমার স্ত্রীও আমার সাথে ছিল। এমতাবস্থায় আমি অপবিত্র হই এবং পবিত্রতা অর্জন ব্যতিরেকেই নামায আদায় করি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার জন্য পানি আনার নির্দেশ দেন। সাওদা নাম্নী দাসী আমার জন্য পানি ভর্তি একটি পাত্র আনে।
আমি উটকে আঁড়াল করে গোসল করি। অতঃপর তার নিকট আসি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ হে আবূ যার! নিশ্চয়ই পাক মাটি পবিত্রতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট, যদি তুমি দশ বৎসর পর্যন্তও পানি না পাও। অতঃপর যখন তুমি পানি পাবে তখন তোমার শরীর পরিষ্কার করবে।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাম্মাদ ইবনু যায়েদ (রহঃ) আইউবের সূত্রে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সেখানে পেশাব পানের কথা উল্লেখ নাই এবং তা সহীহ নয়। আনাস (রাঃ) হতেই কেবলমাত্র পেশাব সম্পর্কিত হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। এই হাদীছ কেবলমাত্র বসরার অধিবাসীরাই বর্ণনা করে থাকেন।
باب الْجُنُبِ يَتَيَمَّمُ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي عَامِرٍ قَالَ دَخَلْتُ فِي الإِسْلاَمِ فَأَهَمَّنِي دِينِي فَأَتَيْتُ أَبَا ذَرٍّ فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ إِنِّي اجْتَوَيْتُ الْمَدِينَةَ فَأَمَرَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِذَوْدٍ وَبِغَنَمٍ فَقَالَ لِي " اشْرَبْ مِنْ أَلْبَانِهَا " . قَالَ حَمَّادٌ وَأَشُكُّ فِي " أَبْوَالِهَا " . هَذَا قَوْلُ حَمَّادٍ . فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ فَكُنْتُ أَعْزُبُ عَنِ الْمَاءِ وَمَعِي أَهْلِي فَتُصِيبُنِي الْجَنَابَةُ فَأُصَلِّي بِغَيْرِ طُهُورٍ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنِصْفِ النَّهَارِ وَهُوَ فِي رَهْطٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُوَ فِي ظِلِّ الْمَسْجِدِ فَقَالَ " أَبُو ذَرٍّ " . فَقُلْتُ نَعَمْ هَلَكْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " وَمَا أَهْلَكَكَ " . قُلْتُ إِنِّي كُنْتُ أَعْزُبُ عَنِ الْمَاءِ وَمَعِي أَهْلِي فَتُصِيبُنِي الْجَنَابَةُ فَأُصَلِّي بِغَيْرِ طُهُورٍ فَأَمَرَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَاءٍ فَجَاءَتْ بِهِ جَارِيَةٌ سَوْدَاءُ بِعُسٍّ يَتَخَضْخَضُ مَا هُوَ بِمَلآنَ فَتَسَتَّرْتُ إِلَى بَعِيرِي فَاغْتَسَلْتُ ثُمَّ جِئْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا أَبَا ذَرٍّ إِنَّ الصَّعِيدَ الطَّيِّبَ طَهُورٌ وَإِنْ لَمْ تَجِدِ الْمَاءَ إِلَى عَشْرِ سِنِينَ فَإِذَا وَجَدْتَ الْمَاءَ فَأَمِسَّهُ جِلْدَكَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ لَمْ يَذْكُرْ " أَبْوَالَهَا " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا لَيْسَ بِصَحِيحٍ وَلَيْسَ فِي أَبْوَالِهَا إِلاَّ حَدِيثُ أَنَسٍ تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ الْبَصْرَةِ .
A man from Banu 'Amir said:
I embraced Islam and my (ignorance of the) religion made me anxious (to learn the essentials). I came to Abu Dharr. Abu Dharr said: The climate of Medina did not suit me. The Messenger of Allah (ﷺ) ordered me to have a few camels and goats. He said to me: Drink their milk. (The narrator Hammad said): I doubt whether he (the Prophet) said: "their urine." Abu Dharr said: I was away from the watering place and I had my family with me. I would have sexual defilement and pray without purification. I came to the Messenger of Allah (ﷺ) at noon. He was resting in the shade of the mosque along with a group of Companions. He (the Prophet) said: Abu Dharr. I said: Yes, I am ruined, Messenger of Allah. He said: What ruined you ? I said: I was away from the watering place and I had family with me. I used to be sexually defiled and pray without purification. He commanded (to bring) water for me. Then a black slave-girl brought a vessel of water that was shaking as the vessel was not full. I concealed myself behind a camel and took bath and them came (to the Prophet). The Messenger of Allah (ﷺ) said: Abu Dharr, clean earth is a means of ablution, even if you do not find water for ten years. When you find water, you should make it touch your skin.
Abu Dawud said: This is transmitted by Hammad b. Zaid from Ayyub. This version does not mention the words "their urine." This is not correct. The words "their urine" occur only in the version reported by Anas and transmitted only by the people of Basrah.
পরিচ্ছেদঃ ১৪৮. প্রথম ও তৃতীয় রাকাতের পর দাঁড়ানোর নিয়ম।
৮৪২. মুসাদ্দাদ ..... আবূ কিলাবা হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আবূ সুলায়মান মালিক ইবনুল হুআয়রিছ (রাঃ) আমাদের মসজিদে এসে বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি নামায আদায়ের মাধ্যমে তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পদ্ধতিতে নামায আদায় করতেন তা প্রদর্শন করতে চাই। রাবী বলেনঃ অতঃপর আমি আবূ কিলাবাকে বলি, তিনি কিভাবে নামায আদায় করতেন? জবাবে তিনি বলেনঃ আমাদের শায়েখ আমর ইবনু সালমা (রহঃ) এর নামাযের ন্যায়, যিনি তাদের ইমাম ছিলেন। বর্ণনা প্রসঙ্গে রাবী আরো বলেছেনঃ তিনি যখন প্রথম রাকাতের শেষ সিজদা হতে মাথা উঠাতেন তখন একটু বসে অতঃপর দন্ডায়মান হতেন। (বুখারী, নাসাঈ)।
باب النُّهُوضِ فِي الْفَرْدِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ - عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ جَاءَنَا أَبُو سُلَيْمَانَ مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ إِلَى مَسْجِدِنَا فَقَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لأُصَلِّي بِكُمْ وَمَا أُرِيدُ الصَّلاَةَ وَلَكِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُرِيَكُمْ كَيْفَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي . قَالَ قُلْتُ لأَبِي قِلاَبَةَ كَيْفَ صَلَّى قَالَ مِثْلَ صَلاَةِ شَيْخِنَا هَذَا يَعْنِي عَمْرَو بْنَ سَلِمَةَ إِمَامَهُمْ وَذَكَرَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ الآخِرَةِ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى قَعَدَ ثُمَّ قَامَ .
Abu Qilabah said:
Abu sulaiman malik b. al-Huwairith came to our mosque and said: By Allah, I Shall offer prayer; and I do not intend to pray, but I intend to show you how I saw the Messenger of Allah (ﷺ) offering prayer. He (the narrator Ayyub) said: I asked Abu Qilabah: How did he pray? He replied: Like the prayer of this head after the last prostration in the first rak’ah, he used to sit, and then stand up.
পরিচ্ছেদঃ ১৪৮. প্রথম ও তৃতীয় রাকাতের পর দাঁড়ানোর নিয়ম।
৮৪৩. যিয়াদ ইবনু আইউব .... আবূ কিলাবা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ সুলায়মান মালিক ইবনুল-হুআয়রিছ (রাঃ) একদা আমাদের মসজিদে আগমন করে বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদেরকে নামায আদায়ের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যেভাবে নামায আদায় করতে দেখেছি তা প্রদর্শন করতে চাই। রাবী বলেনঃ অতঃপর তিনি প্রথম রাকাতের দ্বিতীয় সিজদা হতে মাথা উত্তোলন করে একটু বসেন।
باب النُّهُوضِ فِي الْفَرْدِ
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ جَاءَنَا أَبُو سُلَيْمَانَ مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ إِلَى مَسْجِدِنَا فَقَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لأُصَلِّي وَمَا أُرِيدُ الصَّلاَةَ وَلَكِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُرِيَكُمْ كَيْفَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي . قَالَ فَقَعَدَ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى حِينَ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ الآخِرَةِ .
Abu Qilabah said:
Abu Sulaiman Malik b. al-Huwairth came to our mosque, and said: By Allah, I Shall offer prayer, though I do not intend to pray; I only intend to show you how I saw the Messenger of Allah(ﷺ) praying. The narrator said: ( He then prayed and ) he sat at the end of the first rak’ah when he raised his head after the last prostration.
পরিচ্ছেদঃ ১০. যে ব্যক্তি এক-তৃতীয়াংশের কমে গোলাম আযাদ করে- তার সম্পর্কে।
৩৯১৮. আবূ কামিল (রহঃ) .... আবূ কিলাবা (রহঃ) উপরোক্ত হাদীছের সনদে ও অর্থে হাদীছ বর্ণনা করেছেন, তবে তাতে এর উল্লেখ নেই যে তিনি তাকে খুবই ভর্ৎসনা করেন।
باب فِيمَنْ أَعْتَقَ عَبِيدًا لَهُ لَمْ يَبْلُغْهُمُ الثُّلُثُ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُخْتَارِ - حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ وَلَمْ يَقُلْ فَقَالَ لَهُ قَوْلاً شَدِيدًا .
The tradition mentioned above has also been transmitted by Abu Qilabah through a different chain of narrators on the authority of 'Imran b. Husain to the same effect. But in this version he did not mention "He spoke severely of them."
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
৩৯৫৫. হাফস ইবন উমার (রহঃ) .... আবূ কিলাবা (রহঃ) তাঁর থেকে শ্রবণ করেন, যাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ পড়ানঃ
فَيَوْمَئِذٍ لاَ يُعَذَّبُ عَذَابَهُ أَحَدٌ * وَلاَ يُوثَقُ وَثَاقَهُ أَحَدٌ
(অর্থাৎ তিনি يُعَذَّبُ এর ’যাল’ অক্ষর এবংيُوثَقُ এর ’ছা’ অক্ষর যবর দিয়ে তিলওয়াত করেন।)
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَمَّنْ أَقْرَأَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ( فَيَوْمَئِذٍ لاَ يُعَذَّبُ عَذَابَهُ أَحَدٌ * وَلاَ يُوثَقُ وَثَاقَهُ أَحَدٌ ) .
Narrated Abu Qilabah:
That the Prophet (ﷺ) made a man read the verse: "For, that day His chastisement will be such as none (else) can be chastised. And his bonds will be such as none (other) can be bound.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
৩৯৫৬. মুহাম্মাদ ইবন উবায়দ (রহঃ) .... আবু কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমার কাছে সে ব্যক্তি বর্ণনা করেছে, যাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ পড়ানঃ فَيَوْمَئِذٍ لاَ يُعَذَّبُ (অর্থাৎ তিনিيُعَذَّبُ এর যাল অক্ষর যবর দিয়ে পড়তেন।)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ أَنْبَأَنِي مَنْ، أَقْرَأَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَوْ مَنْ أَقْرَأَهُ مَنْ أَقْرَأَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ( فَيَوْمَئِذٍ لاَ يُعَذَّبُ )
Narrated Abu Qilabah:
A man whom the Prophet (ﷺ) made the following verse read informed me, or he was informed by a man whom a man made the following verse read through a man whom the Prophet (ﷺ) made the following verse read: "For, that day His chastisement will be such as none (else) can be inflicted (la yu'adhdhabu)
পরিচ্ছেদঃ ৯১/ দু' সাজদার পরে উঠার সময় সোজা হয়ে বসা।
১১৫৪। যিয়াদ ইবনু আইয়্যুব (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ সুলায়মান মালিক ইবনু হুয়াইরিছ (রাঃ) আমাদের মসজিদে এসে বললেন, আমি তোমাদের দেখাতে ইচ্ছা করি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি কিরূপে সালাত আদায় করতে দেখেছি। (এরপর তিনি সালাত আদায় করেন) তিনি যখন প্রথম রাকাআতে শেষ সিজদা থেকে মাথা উঠালেন তখন বসে পড়লেন।
أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ جَاءَنَا أَبُو سُلَيْمَانَ مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ إِلَى مَسْجِدِنَا فَقَالَ أُرِيدُ أَنْ أُرِيَكُمْ كَيْفَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي . قَالَ فَقَعَدَ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى حِينَ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ الآخِرَةِ .
It was narrated that Abi Qibalah said:
"Abu Sulaiman Malik bin Al-Huwairith came to our masjid and said: "I want to show you how I saw the Messenger of Allah (ﷺ) pray.'" He said: "He sat during the first Rak'ah when he raised his head from the second prostration."
পরিচ্ছেদঃ ৯২/ উঠার সময় মাটিতে ভর দেয়া।
১১৫৬। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মালিক ইবনু হুয়াইরিছ (রাঃ) আমাদের নিকট এসে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত সম্বন্ধে বর্ণনা করব না? তারপর তিনি সালাতের সময় ছাড়াই (নফল) সালাত আদায় করলেন (অর্থাৎ তখন কোন ফরজ সালাতের সময় নয়)। যখন তিনি প্রথম রাকআতে দ্বিতীয় সিজদা থেকে মাথা উঠাতেন, তখন সোজা হয়ে বসতেন। তারপর মাটিতে ঠেক (মাটির উপর দু’হাতের ভর) দিয়ে উঠে দাঁড়াতেন।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ كَانَ مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ يَأْتِينَا فَيَقُولُ أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيُصَلِّي فِي غَيْرِ وَقْتِ الصَّلاَةِ فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ الثَّانِيَةِ فِي أَوَّلِ الرَّكْعَةِ اسْتَوَى قَاعِدًا ثُمَّ قَامَ فَاعْتَمَدَ عَلَى الأَرْضِ .
It was narrated that Abu Qibalah said:
"Malik bin Al-Huwairith used to come to us and say: "Shall I not tell you about the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ)?" He was praying at a time other than the time of prayer, and when he raised his head from the second prostration in the first rak'ah, he settled in a seated position, then he stood up, and he supported himself on the ground (while doing so)."