পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৪. রসূলুল্লাহ ﷺ -এর (অন্তিম) রোগ।
১/১৬১৮। ’উবাইদুল্লাহ্ ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আম্মা! আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (অন্তিম) রোগ সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বলেন, তিনি রোগাক্রান্ত হলে আমরা অনুভব করলাম যে, তিনি কিশমিশ ভক্ষণকারীর ন্যায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। তখনও তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে পালাক্রমে যাতায়াত করতেন। তাঁর রোগ বেড়ে গেলে তিনি তাদের নিকট ’আয়িশাহর ঘরে অবস্থান করার অনুমতি চাইলেন এবং তারা যেন পালাক্রমে তাঁর নিকট আসেন।
’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ ব্যক্তির উপর ভর করে তাঁর পদদ্বয় হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে আমার ঘরে আসেন। তাদের দু’জনের একজন ছিলেন ’আব্বাস (রাঃ)। আমি (উবাইদুল্লাহ) এ হাদীস ইবন ’আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেন, তুমি কি জানো অপর ব্যক্তি কে, যার নাম ’আয়িশাহ্ (রাঃ) উল্লেখ করেননি? তিনি হলেন ’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ أَيْ أُمَّهْ أَخْبِرِينِي عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ اشْتَكَى فَعَلَقَ يَنْفُثُ فَجَعَلْنَا نُشَبِّهُ نَفْثَهُ بِنَفْثَةِ آكِلِ الزَّبِيبِ وَكَانَ يَدُورُ عَلَى نِسَائِهِ فَلَمَّا ثَقُلَ اسْتَأْذَنَهُنَّ أَنْ يَكُونَ فِي بَيْتِ عَائِشَةَ وَأَنْ يَدُرْنَ عَلَيْهِ قَالَتْ فَدَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَهُوَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ وَرِجْلَاهُ تَخُطَّانِ بِالْأَرْضِ أَحَدُهُمَا الْعَبَّاسُ فَحَدَّثْتُ بِهِ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ أَتَدْرِي مَنْ الرَّجُلُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّهِ عَائِشَةُ هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.
It was narrated that ‘Ubaidullah bin ‘Abdullah said:
“I asked ‘Aishah: ‘O mother! Tell me about the sickness of the Messenger of Allah (ﷺ).’ She said: ‘He felt pain and started to spit (over his body), and we began to compare his spittle to the spittle of a person eating raisins. Like a person eating raisins and spitting out the seeds. He used to go around among his wives, but when he became ill, he asked them permission to stay in the house of ‘Aishah and that they should come to him in turns.’ She said: ‘The Messenger of Allah (ﷺ) entered upon me, (supported) between two men, with his feet making lines along the ground. One of them was ‘Abbas.’ I told Ibn ‘Abbas this Hadith and he said: ‘Do you know who the other man was whom ‘Aishah did not name? He was ‘Ali bin Abu Talib.’”
পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৪. রসূলুল্লাহ ﷺ -এর (অন্তিম) রোগ।
২/১৬১৯। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নোক্ত বাক্যে আশরয় প্রার্থনা করতেনঃ হে মানুষের প্রভু! আপনি বিপদ দূর করুন এবং রোগমুক্তি দান করুন। আপনি ব্যতীত অপর কারো রোগমুক্তি দানের ক্ষমতা নেই। আপনি এমন নিরাময় দান করুন যার পর আর কোন রোগ থাকবে না।’’ অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্তিম রোগ আরো বেড়ে গেলে আমি উক্ত দু’আ পড়ে তাঁর হাত ধরে তাঁর শরীরে মলে দিতাম। তিনি তাঁর হাত আমার হাত থেকে মুক্ত করে নিলেন এবং বললেনঃ ’’হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে আমার পরম বন্ধুর সাথে মিলিত করুন’’। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শেষ কথা যা শুনেছি তা এই।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَعَوَّذُ بِهَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ أَذْهِبْ الْبَاسْ رَبَّ النَّاسْ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا فَلَمَّا ثَقُلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَخَذْتُ بِيَدِهِ فَجَعَلْتُ أَمْسَحُهُ وَأَقُولُهَا فَنَزَعَ يَدَهُ مِنْ يَدِي ثُمَّ قَالَ اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِي وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ الْأَعْلَى قَالَتْ فَكَانَ هَذَا آخِرَ مَا سَمِعْتُ مِنْ كَلَامِهِ صلى الله عليه وسلم
It was narrated that ‘Aishah said:
“The Prophet (ﷺ) used to seek refuge using the following words: ‘Adhhibil-ba’s, Rabbin-nas, washfi Antash-shafi, la shifa’a illa shifa’uka, shifa’an la yughadiru saqaman (Take away the affliction, O Lord of mankind, and grant healing, for You are the Healer and there is no healing that leaves no sickness).’ When the Prophet (ﷺ) fell sick with the sickness that would be his last, I took his hand and wiped it over his body and recited these words. He withdrew his hand from mine and said: ‘O Allah, forgive me and let me meet the exalted companions (i.e., those who occupy high positions in Paradise).’ Those were the last words of his that I heard.”
পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৪. রসূলুল্লাহ ﷺ -এর (অন্তিম) রোগ।
৩/১৬২০। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ যখন কোন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগগ্রস্ত হন, তখন তাঁকে দুনিয়া ও আখেরাতের মধ্য থেকে যে কোনটি গ্রহণ করার এখতিয়ার দেয়া হয়। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, তিনি যখন অন্তিম রোগে আক্রান্ত তখন তাঁর থেকে উচ্চশব্দ বের হতো। আমি তাঁকে বলতে শুনলামঃ ’’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যনিষ্ঠগণ, শহীদগণ ও সৎকর্মপরায়ণগণ, যাদের প্রতি আল্লাহ্ অনুগ্রহ করেছেন তাদের সঙ্গে’’ (সূরা নিসাঃ ৬৯)। তখন আমি বুঝতে পারলাম, তাকেও এখতিয়ার দেয়া হয়েছে।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَا مِنْ نَبِيٍّ يَمْرَضُ إِلَّا خُيِّرَ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ قَالَتْ فَلَمَّا كَانَ مَرَضُهُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ أَخَذَتْهُ بُحَّةٌ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِمْ مِنْ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ فَعَلِمْتُ أَنَّهُ خُيِّرَ
It was narrated that ‘Aishah said:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘There is no Prophet who fell sick but he was given the choice between this world and the Hereafter.’ She said: ‘When he became sick with the illness that would be his last, (his voice) became hoarse and I heard him say, “In the company of those on whom Allah has bestowed His grace, of the Prophets, the true believers, the martyrs, and the righteous.’” [4:69] Then I knew that he had been given the choice.”
পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৪. রসূলুল্লাহ ﷺ -এর (অন্তিম) রোগ।
৪/১৬২১। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর স্ত্রীগণ সকলে একত্র হলেন, তাদের একজনও বাদ ছিলেন না। এরপর ফাতেমাহ (রাঃ) আসলেন। আর তার হাঁটাচলার ধরন ছিল যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অনুরূপ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ খোশ আমদেদ হে আমার প্রিয় কন্যা। তিনি তাকে নিজের বাম পাশে বসান, অতঃপর তাঁর সাথে চুপেচুপে কিছু কথা বলেন। এতে ফাতেমাহ (রাঃ) কাঁদেন। তিনি পুনরায় তার সাথে গোপনে কিছু কথা বলেন। এতে তিনি হাসেন। পরে আমি ফাতেমাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কেন কাঁদলে? তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোপন তথ্য প্রকাশ করবো না।
আমি বললাম, দুশ্চিন্তার পরে আজকের মত এত খুশী আমি আর কখনো দেখিনি। তার কাঁদার সময় আমি তাঁকে বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি আমাদের বাদ দিয়ে তোমার সঙ্গে বিশেষ কোন আলাপ করেছেন, তারপর তুমি কাঁদলে? আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গে যে বিষয়ে আলাপ করেছিলেন, আমি পুনরায় তা তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর গোপন তথ্য ফাঁস করবো না।
তিনি [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ইনতিকাল করার পর আমি ফাতেমাহ (রাঃ)-কে সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, জিবরীল (আঃ) প্রতি বছর আমাকে একবার কুরআন পড়ে শুনাতেন। এ বছর তিনি তা আমাকে দু’বার পড়ে শুনিয়েছেন। মনে হয় আমার মৃত্যু নিকটবর্তী হয়েছে। তুমিই আমার পরিবারের মধ্যে সবার আগে আমার সঙ্গে মিলিত হবে। আমি তোমার জন্য কত উত্তম পূর্বসূরী। এ কথায় আমি কাঁদলাম। এরপর তিনি আমাকে গোপনে বলেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তুমি মু’মিন নারীদের বা এ উম্মাতের নারীদের নেত্রী হবে? এতে আমি হেসেছি।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ زَكَرِيَّا عَنْ فِرَاسٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ اجْتَمَعْنَ نِسَاءُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ تُغَادِرْ مِنْهُنَّ امْرَأَةٌ فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ كَأَنَّ مِشْيَتَهَا مِشْيَةُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَرْحَبًا بِابْنَتِي ثُمَّ أَجْلَسَهَا عَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ إِنَّهُ أَسَرَّ إِلَيْهَا حَدِيثًا فَبَكَتْ فَاطِمَةُ ثُمَّ إِنَّهُ سَارَّهَا فَضَحِكَتْ أَيْضًا فَقُلْتُ لَهَا مَا يُبْكِيكِ قَالَتْ مَا كُنْتُ لِأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ فَرَحًا أَقْرَبَ مِنْ حُزْنٍ فَقُلْتُ لَهَا حِينَ بَكَتْ أَخَصَّكِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِحَدِيثٍ دُونَنَا ثُمَّ تَبْكِينَ وَسَأَلْتُهَا عَمَّا قَالَ فَقَالَتْ مَا كُنْتُ لِأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا قُبِضَ سَأَلْتُهَا عَمَّا قَالَ فَقَالَتْ إِنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُنِي أَنَّ جِبْرَائِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ بِالْقُرْآنِ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّةً وَأَنَّهُ عَارَضَهُ بِهِ الْعَامَ مَرَّتَيْنِ وَلَا أُرَانِي إِلَّا قَدْ حَضَرَ أَجَلِي وَأَنَّكِ أَوَّلُ أَهْلِي لُحُوقًا بِي وَنِعْمَ السَّلَفُ أَنَا لَكِ فَبَكَيْتُ ثُمَّ إِنَّهُ سَارَّنِي فَقَالَ أَلَا تَرْضَيْنَ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ أَوْ نِسَاءِ هَذِهِ الْأُمَّةِ فَضَحِكْتُ لِذَلِكَ
It was narrated that ‘Aishah said:
“The wives of the Prophet (ﷺ) gathered together and not one of them lagged behind. Fatimah came, and her gait was like that of the Messenger of Allah (ﷺ). He said, ‘Welcome to my daughter.’ Then he made her sit to his left, and he whispered something to her, and she smiled. I said to her: ‘What made you weep?’ She said: ‘I will not disclose the secret of the Messenger of Allah (ﷺ).’ I said: ‘I never saw joy so close to grief as I saw today.’ When she wept I said: ‘Did the Messenger of Allah (ﷺ) tell you some special words that were not for us, then you wept?’ And I asked her about what he had said. She said: ‘I will not disclose the secret of the Messenger of Allah (ﷺ).’ After he died I asked her what he had said, and she said: ‘He told me that Jibra’il used to review the Qur’an with him once each year, but he had reviewed it with him twice that year, (and he said:) “I do not think but that my time is near. You will be the first of my family to join me, and what a good predecessor I am for you.” So I wept. Then he whispered to me and said: “Will you not be pleased to be the leader of the women of this Ummah?” So I smiled.’”
পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৪. রসূলুল্লাহ ﷺ -এর (অন্তিম) রোগ।
৫/১৬২২। মাসরূক (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাইতে আর কারো অত কঠিন মৃত্যুযন্ত্রণা দেখিনি।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ الْمِقْدَامِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ شَقِيقٍ عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشَدَّ عَلَيْهِ الْوَجَعُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم
‘Aishah said:
“I never saw anyone suffer more pain than the Messenger of Allah (ﷺ).”
পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৪. রসূলুল্লাহ ﷺ -এর (অন্তিম) রোগ।
৬/১৬২৩। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুমূর্ষু অবস্থায় দেখলাম যে, তিনি তাঁর নিকটস্থ পানির পাত্রে তাঁর হাত ডুবিয়ে পানি নিয়ে তা তাঁর মুখমণ্ডল ে মলছেন, অতঃপর বলেনঃ ’’হে আল্লাহ্! আপনি আমাকে মৃত্যুযন্ত্রণায় সাহায্য করুন’’।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুসা বিন সারজিন সম্পর্কে হাদিস বিশারদগণ বলেন, তিনি অপরিচিত।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ مُوسَى بْنِ سَرْجِسَ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَمُوتُ وَعِنْدَهُ قَدَحٌ فِيهِ مَاءٌ فَيُدْخِلُ يَدَهُ فِي الْقَدَحِ ثُمَّ يَمْسَحُ وَجْهَهُ بِالْمَاءِ ثُمَّ يَقُولُ اللّٰهُمَّ أَعِنِّي عَلَى سَكَرَاتِ الْمَوْتِ
It was narrated that ‘Aishah said:
“I saw the Messenger of Allah (ﷺ) when he was dying, and there was a bowl of water next to him. He put his hand in the vessel and wiped his face with the water, and said: ‘O Allah, help me to bear the agonies of death.’”
পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৪. রসূলুল্লাহ ﷺ -এর (অন্তিম) রোগ।
৭/১৬২৪। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সোমবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে শেষবারের মত দেখেছি, যখন তিনি (জানালার) পর্দা সরালেন। আমি তাঁর মুখমণ্ডল ের দিকে তাকালাম, যেন কুরআনের একটি পৃষ্ঠা। তখন লোকজন আবূ বকর (রাঃ)-এর পিছনে সালাতরত ছিল। আবূ বকর (রাঃ) তার স্থান ত্যাগ করতে চাইলে, তিনি তাকে ইশারায় স্বস্থানে স্থির থাকতে বলেন এবং পর্দা নামিয়ে দেন। এ দিনের শেষভাগে তিনি ইনতিকাল করেন।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ آخِرُ نَظْرَةٍ نَظَرْتُهَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَشْفُ السِّتَارَةِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ فَنَظَرْتُ إِلَى وَجْهِهِ كَأَنَّهُ وَرَقَةُ مُصْحَفٍ وَالنَّاسُ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ فِي الصَّلَاةِ فَأَرَادَ أَنْ يَتَحَرَّكَ فَأَشَارَ إِلَيْهِ أَنْ اثْبُتْ وَأَلْقَى السِّجْفَ وَمَاتَ مِنْ آخِرِ ذَلِكَ الْيَوْمِ
It was narrated that Zuhri heard Anas bin Malik say:
“The last glance that I had of the Messenger of Allah (ﷺ) was when he drew back the curtain on Monday, and I saw his face as if it was a page of the Mushaf (Qur’an), and the people were praying behind Abu Bakr. He (Abu Bakr) wanted to move, but he (the Prophet (ﷺ)) gestured to him to stand firm. Then he let the curtain fall, and he died at the end of that day.”
পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৪. রসূলুল্লাহ ﷺ -এর (অন্তিম) রোগ।
৮/১৬২৫। উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু ব্যাধিগ্রস্ত অবস্থায় বলছিলেনঃ ’’সালাত এবং তোমাদের অধীনস্থ দাস-দাসী’’। বারবার একথা বলতে বলতে শেষে তাঁর যবান মুবারক জড়িয়ে যায়।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ عَنْ سَفِينَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي مَرَضِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ الصَّلَاةَ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ فَمَا زَالَ يَقُولُهَا حَتَّى مَا يَفِيضُ بِهَا لِسَانُهُ
It was narrated from Umm Salamah that the Messenger of Allah (ﷺ) used to say, during the illness that would be his last:
“The prayer, and those whom your hands possess.”* And he kept on saying it until his tongue could no longer utter any words.
পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৪. রসূলুল্লাহ ﷺ -এর (অন্তিম) রোগ।
৯/১৬২৬। আসওয়াদ (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা ’আয়িশাহ্ (রাঃ) -এর নিকট উল্লেখ করে যে, ’আলী (রাঃ) ছিলেন (মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর) ওসী (প্রতিনিধি)। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখন তাকে ওসী নিয়োগ করলেন? অবশ্যই আমি তাঁকে আমার বুকের সাথে বা কোলে হেলান দিয়ে রেখেছিলাম। তিনি একটি পাত্র চাইলেন। তিনি আমার কোলেই ঢলে পড়ে ইনতিকাল করেন। আমি তা বুঝতেই পারলাম না। তবে তিনি আবার কখন ওসিয়াত করলেন?
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْأَسْوَدِ قَالَ ذَكَرُوا عِنْدَ عَائِشَةَ أَنَّ عَلِيًّا كَانَ وَصِيًّا فَقَالَتْ مَتَى أَوْصَى إِلَيْهِ فَلَقَدْ كُنْتُ مُسْنِدَتَهُ إِلَى صَدْرِي أَوْ إِلَى حَجْرِي فَدَعَا بِطَسْتٍ فَلَقَدْ انْخَنَثَ فِي حِجْرِي فَمَاتَ وَمَا شَعَرْتُ بِهِ فَمَتَى أَوْصَى صلى الله عليه وسلم
It was narrated that Aswad said:
“They said in ‘Aishah’s presence that ‘Ali was appointed (by the Prophet (ﷺ) before he died), and she said: ‘When was he appointed? He (the Prophet (ﷺ)) was resting against my bosom, or in my lap, and he called for a basin, then he became limp in my lap and died, and I did not realize it. So when did he (ﷺ) appoint him?’”