পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।

১/১৫১৭। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মসজিদে জানাযার সালাত পড়লো, তাতে তার কোন ছওয়াব হলো না।

بَاب ذِكْرِ وَفَاتِهِ وَدَفْنِهِ ﷺ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ صَالِحٍ مَوْلَى التَّوْأَمَةِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَنْ صَلَّى عَلَى جِنَازَةٍ فِي الْمَسْجِدِ فَلَيْسَ لَهُ شَيْءٌ

حدثنا علي بن محمد حدثنا وكيع عن ابن ابي ذىب عن صالح مولى التوامة عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم من صلى على جنازة في المسجد فليس له شيء


It was narrated that Abu Hurairah said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘Whoever offers the funeral prayer in the mosque will have nothing (i.e., no reward).’”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৬/ জানাযা (كتاب الجنائز) 7/ Chapters Regarding Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।

১/১৬২৭। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইনতিকাল করেন তখন আবূ বকর (রাঃ) আওয়ালী নামক স্থানে তাঁর স্ত্রী বিনতে খারিজার ঘরে ছিলেন। লোকজন বলতে লাগলো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইনতিকাল করেননি, বরং ওহী নাযিলের সময় তাঁর যে অবস্থা হতো, এটা তাই। ইতোমধ্যে আবূ বকর (রাঃ) এসে তাঁর মুখমণ্ডল থেকে কাপড় সরিয়ে তাঁর দু’চোখের মাঝখানে চুমা দিয়ে বলেন, আপনি দ্বিতীয়বার মারা যাবেন না, আপনি আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত। আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই ইনতিকাল করেছেন। ’উমার (রাঃ) তখন মসজিদের এক কোণ থেকে বলছিলেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইনতিকাল করেননি।

আর তিনি ব্যাপকভাবে মুনাফিকদের শক্তি খর্ব না করা পর্যন্ত ইনতিকাল করবেন না। তখন আবূ বকর (রাঃ) মিম্বারে উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত করতো সে যেন মনে রাখে, আল্লাহ্ চিরঞ্জীব, তিনি কখনো মরবেন না। আর যে ব্যক্তি মুহাম্মাদের ইবাদত করতো সে জেনে রাখুক, মুহাম্মাদ তো ইনতিকাল করেছেন। ’’মুহাম্মাদ একজন রাসূলমাত্র, তার পূর্বে অনেক রাসূল গত হয়েছে। সুতরাং যদি সে মারা যায় অথবা সে শহীদ হয়, তবে কি তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে? কেউ পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলে সে কখনো আল্লাহর ক্ষতি করতে পারবে না, বরং আল্লাহ্ অচিরেই কৃতজ্ঞদের পুরস্কৃত করবেন’’ (সূরা আল ইমরানঃ ১৪৪)। ’উমার (রাঃ) বলেন, আমার মনে হলো, আমি যেন এ আয়াত আজই পড়ছি।

بَاب ذِكْرِ وَفَاتِهِ وَدَفْنِهِ ﷺ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ لَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ عِنْدَ امْرَأَتِهِ ابْنَةِ خَارِجَةَ بِالْعَوَالِي فَجَعَلُوا يَقُولُونَ لَمْ يَمُتْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا هُوَ بَعْضُ مَا كَانَ يَأْخُذُهُ عِنْدَ الْوَحْيِ فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ وَقَبَّلَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَقَالَ «أَنْتَ أَكْرَمُ عَلَى اللهِ مِنْ أَنْ يُمِيتَكَ مَرَّتَيْنِ قَدْ وَاللهِ مَاتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَعُمَرُ فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ يَقُولُ وَاللهِ مَا مَاتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَلَا يَمُوتُ حَتَّى يَقْطَعَ أَيْدِيَ أُنَاسٍ مِنْ الْمُنَافِقِينَ كَثِيرٍ وَأَرْجُلَهُمْ فَقَامَ أَبُو بَكْرٍ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَقَالَ مَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللهَ فَإِنَّ اللهَ حَيٌّ لَمْ يَمُتْ وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ (وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللهُ الشَّاكِرِينَ)» قَالَ عُمَرُ فَلَكَأَنِّي لَمْ أَقْرَأْهَا إِلَّا يَوْمَئِذٍ.

حدثنا علي بن محمد حدثنا ابو معاوية عن عبد الرحمن بن ابي بكر عن ابن ابي مليكة عن عاىشة قالت لما قبض رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وابو بكر عند امراته ابنة خارجة بالعوالي فجعلوا يقولون لم يمت النبي صلى الله عليه وسلم انما هو بعض ما كان ياخذه عند الوحي فجاء ابو بكر فكشف عن وجهه وقبل بين عينيه وقال «انت اكرم على الله من ان يميتك مرتين قد والله مات رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وعمر في ناحية المسجد يقول والله ما مات رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ولا يموت حتى يقطع ايدي اناس من المنافقين كثير وارجلهم فقام ابو بكر فصعد المنبر فقال من كان يعبد الله فان الله حي لم يمت ومن كان يعبد محمدا فان محمدا قد مات (وما محمد الا رسول قد خلت من قبله الرسل افان مات او قتل انقلبتم على اعقابكم ومن ينقلب على عقبيه فلن يضر الله شيىا وسيجزي الله الشاكرين)» قال عمر فلكاني لم اقراها الا يومىذ.


It was narrated that ‘Aishah said:
“When the Messenger of Allah (ﷺ) passed away, Abu Bakr was with his wife, the daughter of Kharijah, in villages surrounding Al-Madinah. They started to say: ‘The Prophet (ﷺ) has not died, rather he has been overcome with what used to overcome him at the time of Revelation.’ Then Abu Bakr came and uncovered his (the Prophet’s (ﷺ)) face, kissed him between the eyes and said: ‘You are too noble before Allah for Him to cause you to die twice. By Allah, the Messenger of Allah (ﷺ) has indeed died.’ ‘Umar was in a corner of the mosque saying: ‘By Allah, the Messenger of Allah (ﷺ) has not died and he will never die until the hands and feet of most of the hypocrites are cut off.’ Then Abu Bakr stood up, ascended the pulpit and said: ‘Whoever used to worship Allah, Allah is alive and will never die. Whoever used to worship Muhammad, Muhammad is dead. “Muhammad is no more than a Messenger, and indeed (many) Messengers have passed away before him. If he dies or is killed, will you then turn back on your heels (as disbelievers)? And he who turns back on his heels, not the least harm will he do to Allah; and Allah will give reward to those who are grateful.’” [3:144] ‘Umar said: ‘It was as if I had never read (that Verse) before that day.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৬/ জানাযা (كتاب الجنائز) 7/ Chapters Regarding Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।

২/১৬২৮। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কবর খননের সিদ্ধান্ত নিলে, তাঁরা আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ) এর নিকট খবর পাঠান। তিনি মক্কাবাসীদের কবর খননের ন্যায় কবর খনন করতেন। তাঁরা আবূ তালহা (রাঃ)-এর নিকটও খবর পাঠান। তিনি মদ্বীনাবাসীদের জন্য লাহাদ আকৃতির কবর খনন করতেন। তাঁরা তাদের উভয়ের নিকট দু’জন লোক পাঠান। তারা বলেন, হে আল্লাহ্! আপনার রাসূলের জন্য আপনি পছন্দ করুন। তারা আবূ তালহা (রাঃ)-কে পেয়ে গেলেন এবং তাকে নিয়ে আসা হলো, কিন্তু আবূ উবাইদাহ (রাঃ)-কে পাওয়া গেলো না। অতএব আবূ তালহা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য লাহ্দ কবর খনন করেন।

রাবী বলেন, মঙ্গলবার তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাফনের কাজ সম্পন্ন করলে তাঁকে তাঁর ঘরে খাটের উপর রাখা হয়। এরপর লোকজন দলে দলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট প্রবেশ করেন এবং তাঁর জন্য দু’আ করেন। পুরুষদের পালা শেষ হলে মহিলারা প্রবেশ করেন। তাদের পালা শেষ হলে বালকরা প্রবেশ করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জানাযায় কেউ ইমামতি করেননি। তাঁর কবর কোথায় খনন করা হবে, এ নিয়ে একদল বলেন, তাঁকে তার মসজিদে দাফন করা হবে। অপরদল বলেন, তাঁকে তাঁর সাহাবীদের সাথে (একই গোরস্থানে) দাফন করা হবে। আবূ বকর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইনতিকাল করেন, সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়।

রাবী বলেন, যে বিছানায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইনতিকাল করেন, তারা তা সরিয়ে নেন এবং তাঁর জন্য সেখানে কবর খনন করেন। অতঃপর তাঁকে বুধবার মধ্যরাতে দাফন করা হয়। ’আলী ইবনু আবূ তালিব, ফাদল ইবনু ’আব্বাস, তার ভাই কুসাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুক্তদাস শুকরান (রাঃ) তাঁর কবরে নামেন। আবূ লাইলা আওস ইবনু খাওলী (রাঃ) ’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)-কে বলেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ব্যাপারে আমাদেরও অংশ রয়েছে।

’আলী (রাঃ) তাকে বলেন, তুমিও নামো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুক্তদাস শুকরান (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিহিত চাঁদরটি সাথে নিয়েছিলেন। তিনি তাও কবরে দাফন করেন এবং বলেন, আল্লাহর শপথ! আপনার পরে তা আর কেউ কখনো পরবে না। অতএব তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে দাফন করা হয়।

بَاب ذِكْرِ وَفَاتِهِ وَدَفْنِهِ ﷺ

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ أَنْبَأَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ حَدَّثَنِي حُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ لَمَّا أَرَادُوا أَنْ يَحْفِرُوا لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثُوا إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ وَكَانَ يَضْرَحُ كَضَرِيحِ أَهْلِ مَكَّةَ وَبَعَثُوا إِلَى أَبِي طَلْحَةَ وَكَانَ هُوَ الَّذِي يَحْفِرُ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ وَكَانَ يَلْحَدُ فَبَعَثُوا إِلَيْهِمَا رَسُولَيْنِ وَقَالُوا اللّٰهُمَّ خِرْ لِرَسُولِكَ فَوَجَدُوا أَبَا طَلْحَةَ فَجِيءَ بِهِ وَلَمْ يُوجَدْ أَبُو عُبَيْدَةَ فَلَحَدَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَلَمَّا فَرَغُوا مِنْ جِهَازِهِ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ وُضِعَ عَلَى سَرِيرِهِ فِي بَيْتِهِ ثُمَّ دَخَلَ النَّاسُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَرْسَالًا يُصَلُّونَ عَلَيْهِ حَتَّى إِذَا فَرَغُوا أَدْخَلُوا النِّسَاءَ حَتَّى إِذَا فَرَغُوا أَدْخَلُوا الصِّبْيَانَ وَلَمْ يَؤُمَّ النَّاسَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَحَدٌ لَقَدْ اخْتَلَفَ الْمُسْلِمُونَ فِي الْمَكَانِ الَّذِي يُحْفَرُ لَهُ فَقَالَ قَائِلُونَ يُدْفَنُ فِي مَسْجِدِهِ وَقَالَ قَائِلُونَ يُدْفَنُ مَعَ أَصْحَابِهِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ «مَا قُبِضَ نَبِيٌّ إِلَّا دُفِنَ حَيْثُ يُقْبَضُ قَالَ فَرَفَعُوا فِرَاشَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي تُوُفِّيَ عَلَيْهِ فَحَفَرُوا لَهُ ثُمَّ دُفِنَ صلى الله عليه وسلم وَسَطَ اللَّيْلِ مِنْ لَيْلَةِ الْأَرْبِعَاءِ وَنَزَلَ فِي حُفْرَتِهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَالْفَضْلُ بْنُ الْعَبَّاسِ وَقُثَمُ أَخُوهُ وَشُقْرَانُ مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ أَوْسُ بْنُ خَوْلِيٍّ وَهُوَ أَبُو لَيْلَى لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنْشُدُكَ اللهَ وَحَظَّنَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ عَلِيٌّ انْزِلْ وَكَانَ شُقْرَانُ مَوْلَاهُ أَخَذَ قَطِيفَةً كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَلْبَسُهَا فَدَفَنَهَا فِي الْقَبْرِ وَقَالَ وَاللهِ لَا يَلْبَسُهَا أَحَدٌ بَعْدَكَ أَبَدًا فَدُفِنَتْ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم».

حدثنا نصر بن علي الجهضمي انبانا وهب بن جرير حدثنا ابي عن محمد بن اسحق حدثني حسين بن عبد الله عن عكرمة عن ابن عباس قال لما ارادوا ان يحفروا لرسول الله صلى الله عليه وسلم بعثوا الى ابي عبيدة بن الجراح وكان يضرح كضريح اهل مكة وبعثوا الى ابي طلحة وكان هو الذي يحفر لاهل المدينة وكان يلحد فبعثوا اليهما رسولين وقالوا اللهم خر لرسولك فوجدوا ابا طلحة فجيء به ولم يوجد ابو عبيدة فلحد لرسول الله صلى الله عليه وسلم قال فلما فرغوا من جهازه يوم الثلاثاء وضع على سريره في بيته ثم دخل الناس على رسول الله صلى الله عليه وسلم ارسالا يصلون عليه حتى اذا فرغوا ادخلوا النساء حتى اذا فرغوا ادخلوا الصبيان ولم يوم الناس على رسول الله صلى الله عليه وسلم احد لقد اختلف المسلمون في المكان الذي يحفر له فقال قاىلون يدفن في مسجده وقال قاىلون يدفن مع اصحابه فقال ابو بكر اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يقول «ما قبض نبي الا دفن حيث يقبض قال فرفعوا فراش رسول الله صلى الله عليه وسلم الذي توفي عليه فحفروا له ثم دفن صلى الله عليه وسلم وسط الليل من ليلة الاربعاء ونزل في حفرته علي بن ابي طالب والفضل بن العباس وقثم اخوه وشقران مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال اوس بن خولي وهو ابو ليلى لعلي بن ابي طالب انشدك الله وحظنا من رسول الله صلى الله عليه وسلم قال له علي انزل وكان شقران مولاه اخذ قطيفة كان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يلبسها فدفنها في القبر وقال والله لا يلبسها احد بعدك ابدا فدفنت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم».


It was narrated that Ibn ‘Abbas said:
“When they wanted to dig a grave for the Messenger of Allah (ﷺ), they sent for Abu ‘Ubaidah bin Jarrah, who used to dig graves in the manner of the people of Makkah, and they sent for Abu Talhah, who used to dig graves for the people of Al-Madinah, and he used to make a niche in the grave. They sent two messengers to both of them, and they said: ‘O Allah, choose what is best for Your Messenger.’ They found Abu Talhah and brought him, but they did not find Abu ‘Ubaidah. So he dug a grave with a niche for the Messenger of Allah (ﷺ). When they had finished preparing him, on Tuesday, he was placed on his bed in his house. Then the people entered upon the Messenger of Allah (ﷺ) in groups and offered the funeral prayer for him, and when they finished the women entered, and when they finished the children entered, and no one led the people in offering the funeral prayer for the Messenger of Allah (ﷺ). The Muslims differed concerning the place where he should be buried. Some said that he should be buried in his mosque. Others said that he should be buried with his Companions. Then Abu Bakr said: ‘I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: “No Prophet ever passed away but he was buried where he died.” So they lifted up the bed of the Messenger of Allah (ﷺ) on which he had died, and dug the grave for him, then he (ﷺ) was buried in the middle of Tuesday night. ‘Ali bin Abu Talib, Fadl bin ‘Abbas and his brother Qutham, and Shuqran the freed slave of the Messenger of Allah (ﷺ) went down in his grave. Aws bin Khawli, who was Abu Laila, said to ‘Ali bin Abi Talib: ‘I adjure you by Allah! Give us our share of the Messenger of Allah (ﷺ).’ So ‘Ali said to him: ‘Come down.’ Shuqran, his freed slave, had taken a Qatifah which the Messenger of Allah (ﷺ) used to wear. He buried it in his grave and said, ‘By Allah, no one will ever wear it after you.’ So it was buried with the Messenger of Allah (ﷺ).”


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৬/ জানাযা (كتاب الجنائز) 7/ Chapters Regarding Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।

৩/১৬২৯। আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মৃত্যু যন্ত্রণা তীব্রভাবে অনুভব করেন, তখন ফাতেমাহ (রাঃ) বলেন, হায় আমার আব্বার কত কষ্ট। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আজকের দিনের পরে তোমার আব্বার আর কোন কষ্ট থাকবে না। তোমার আব্বার নিকট এমন জিনিস উপস্থিত হয়েছে, যা কিয়ামত পর্যন্ত কাউকে ছাড়বে না।

بَاب ذِكْرِ وَفَاتِهِ وَدَفْنِهِ ﷺ

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الزُّبَيْرِ أَبُو الزُّبَيْرِ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ لَمَّا وَجَدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مِنْ كَرْبِ الْمَوْتِ مَا وَجَدَ قَالَتْ فَاطِمَةُ وَا كَرْبَ أَبَتَاهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَا كَرْبَ عَلَى أَبِيكِ بَعْدَ الْيَوْمِ إِنَّهُ قَدْ حَضَرَ مِنْ أَبِيكِ مَا لَيْسَ بِتَارِكٍ مِنْهُ أَحَدًا الْمُوَافَاةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

حدثنا نصر بن علي حدثنا عبد الله بن الزبير ابو الزبير حدثنا ثابت البناني عن انس بن مالك قال لما وجد رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم من كرب الموت ما وجد قالت فاطمة وا كرب ابتاه فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لا كرب على ابيك بعد اليوم انه قد حضر من ابيك ما ليس بتارك منه احدا الموافاة يوم القيامة


It was narrated that Anas bin Malik said:
“When the Messenger of Allah (ﷺ) suffered the agonies of death that he suffered, Fatimah said: ‘O my father, what a severe agony!’ The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘Your father will suffer no more agony after this day. There has come to your father that which no one can avoid, the death that everyone will encounter until the Day of Resurrection.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৬/ জানাযা (كتاب الجنائز) 7/ Chapters Regarding Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।

৪/১৬৩০। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমাহ (রাঃ) আমাকে বললেন, হে আনাস! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উপর মাটি ঢেলে দিতে তোমাদের অন্তরাত্মা কিভাবে সায় দিতে পারলো।

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইনতিকাল করলে ফাতেমাহ (রাঃ) বলেন, হায় আমার আব্বা! জিবরীল (আঃ)- তাঁর থেকে পৃথক হয়ে গেলেন। হায় আমার আব্বা! তিনি তাঁর রবের নিকটবর্তী হলেন। হায় আব্বা! জান্নাতুল ফিরদাওস তাঁর ঠিকানা। হায় আব্বা! তিনি তাঁর রবের ডাকে সাড়া দিলেন। হাম্মাদ (রহ.) বলেন, আমি সাবিত (রহ.)-কে এ হাদীস বর্ণনাকালে দেখলাম যে, তিনি কাঁদছেন, এমনকি তার হাড়ের জোড়াগুলোও কাঁপছে।

بَاب ذِكْرِ وَفَاتِهِ وَدَفْنِهِ ﷺ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنِي حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنِي ثَابِتٌ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَتْ لِي فَاطِمَةُ يَا أَنَسُ كَيْفَ سَخَتْ أَنْفُسُكُمْ أَنْ تَحْثُوا التُّرَابَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم

و حَدَّثَنَا ثَابِتٌ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ فَاطِمَةَ قَالَتْ حِينَ قُبِضَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَا أَبَتَاهُ إِلَى جِبْرَائِيلَ أَنْعَاهُ وَا أَبَتَاهُ مِنْ رَبِّهِ مَا أَدْنَاهُ وَا أَبَتَاهُ جَنَّةُ الْفِرْدَوْسِ مَأْوَاهُ وَا أَبَتَاهُ أَجَابَ رَبًّا دَعَاهُ.
قَالَ حَمَّادٌ فَرَأَيْتُ ثَابِتًا حِينَ حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ بَكَى حَتَّى رَأَيْتُ أَضْلَاعَهُ تَخْتَلِفُ.

حدثنا علي بن محمد حدثنا ابو اسامة حدثني حماد بن زيد حدثني ثابت عن انس بن مالك قال قالت لي فاطمة يا انس كيف سخت انفسكم ان تحثوا التراب على رسول الله صلى الله عليه وسلم و حدثنا ثابت عن انس ان فاطمة قالت حين قبض رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وا ابتاه الى جبراىيل انعاه وا ابتاه من ربه ما ادناه وا ابتاه جنة الفردوس ماواه وا ابتاه اجاب ربا دعاه. قال حماد فرايت ثابتا حين حدث بهذا الحديث بكى حتى رايت اضلاعه تختلف.


t was narrated that Anas bin Malik said:
“Fatimah said to me: ‘O Anas, how did you manage to scatter dust on the Messenger of Allah (ﷺ)?’” And Thabit narrated to us from Anas that Fatimah said: “When the Messenger of Allah (ﷺ) passed away: ‘O my father! To Jibra’il we announce his death; O my father, how much closer he is now to his Lord; O my father, the Paradise of Firdaws is his abode; O my father, he has answered the call of his Lord.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৬/ জানাযা (كتاب الجنائز) 7/ Chapters Regarding Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।

৫/১৬৩১। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেদিন মদিনা্য় উপনীত হন, তখন মদিনার প্রতিটি বস্তু জ্যোতির্ময় হয়ে উঠে। আর যেদিন তিনি ইনতিকাল করেন, সেদিন মদিনার প্রতিটি বস্তু অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। তাঁর দাফন সম্পন্ন করার পর আমাদের অন্তরে যেন পরিবর্তন অনুভব করলাম।

بَاب ذِكْرِ وَفَاتِهِ وَدَفْنِهِ ﷺ

- حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلَالٍ الصَّوَّافُ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ عَنْ أَنَسٍ قَالَ لَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي دَخَلَ فِيهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ أَضَاءَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَظْلَمَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ وَمَا نَفَضْنَا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْأَيْدِيَ حَتَّى أَنْكَرْنَا قُلُوبَنَا

- حدثنا بشر بن هلال الصواف حدثنا جعفر بن سليمان الضبعي حدثنا ثابت عن انس قال لما كان اليوم الذي دخل فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم المدينة اضاء منها كل شيء فلما كان اليوم الذي مات فيه اظلم منها كل شيء وما نفضنا عن النبي صلى الله عليه وسلم الايدي حتى انكرنا قلوبنا


It was narrated that Anas said:
“On the day when the Messenger of Allah (ﷺ) entered Al-Madinah, everything was lit up, and on the day when he died, everything went dark, and no sooner had we dusted off our hands (after burying him) but we felt that our hearts had changed.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৬/ জানাযা (كتاب الجنائز) 7/ Chapters Regarding Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।

৬/১৬৩২। ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যমানায় আমরা আমাদের স্ত্রীদের সাথে খোশালাপ করতে এবং মেলামেশা করতে এজন্য ভয় পেতাম যে, না জানি আমাদের সম্পর্কে কুরআনের আয়াত নাযিল হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইনতিকালের পর থেকে আমরা তাদের সাথে খোলামেলাভাবে কথাবার্তা বলতে শুরু করি।

بَاب ذِكْرِ وَفَاتِهِ وَدَفْنِهِ ﷺ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كُنَّا نَتَّقِي الْكَلَامَ وَالِانْبِسَاطَ إِلَى نِسَائِنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَخَافَةَ أَنْ يُنْزَلَ فِينَا الْقُرْآنُ فَلَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم تَكَلَّمْنَا

حدثنا محمد بن بشار حدثنا عبد الرحمن بن مهدي حدثنا سفيان عن عبد الله بن دينار عن ابن عمر قال كنا نتقي الكلام والانبساط الى نساىنا على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم مخافة ان ينزل فينا القران فلما مات رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم تكلمنا


It was narrated that Ibn ‘Umar said:
“We used to be guarded in our speech even with our wives at the time of the Messenger of Allah (ﷺ), fearing that Qur’an may be revealed amongst us, but when the Messenger of Allah (ﷺ) died, we began to speak freely.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৬/ জানাযা (كتاب الجنائز) 7/ Chapters Regarding Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।

৭/১৬৩৩। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে থাকা অবস্থায় আমাদের দৃষ্টি ছিলো একই দিকে (তাঁর দিকে)। তাঁর ইনতিকালের পর আমরা (অস্থির হয়ে) এদিক সেদিক দৃষ্টি দিতে লাগলাম (এখন কী করবো)।

بَاب ذِكْرِ وَفَاتِهِ وَدَفْنِهِ ﷺ

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ الْعِجْلِيُّ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنَّمَا وَجْهُنَا وَاحِدٌ فَلَمَّا قُبِضَ نَظَرْنَا هَكَذَا وَهَكَذَا

حدثنا اسحق بن منصور انبانا عبد الوهاب بن عطاء العجلي عن ابن عون عن الحسن عن ابي بن كعب قال كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم وانما وجهنا واحد فلما قبض نظرنا هكذا وهكذا


It was narrated that Ubayy bin Ka’b said:
“We were with the Messenger of Allah (ﷺ) and we all had a single focus, but when he passed away we started to look here and there (i.e., have different interests).”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৬/ জানাযা (كتاب الجنائز) 7/ Chapters Regarding Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।

৮/১৬৩৪। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ বিনত আবূ উমাইয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যমানায় লোকেদের অবস্থা এরূপ ছিলো যে, সালাতী যখন সালাতে দাঁড়াতেন, তখন তাদের কারো দৃষ্টি তার পদদ্বয়ের স্থান অতিক্রম করতো না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইনতিকাল করার পর মানুষের অবস্থা এরূপ হয় যে, যখন তাদের কেউ সালাতে দাঁড়াতেন, তখন তার দৃষ্টি সিজদার স্থান অতিক্রম করতো না। অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) ইনতিকাল করেন এবং ’উমার (রাঃ) খলীফা হন। তখন লোকেদের অবস্থা এরূপ হলো যে, তাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়াতেন তখন তার দৃষ্টি কিবলার দিক অতিক্রম করতো না। ’উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) খলীফা হওয়ার পর থেকে বিশৃংখলার সূত্রপাত হয়। অতএব লোকজন (সালাতরত অবস্থায়) ডানে-বামে তাকাতে থাকে।

بَاب ذِكْرِ وَفَاتِهِ وَدَفْنِهِ ﷺ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا خَالِي مُحَمَّدُ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ السَّائِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ السَّهْمِيُّ حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ الْمَخْزُومِيُّ حَدَّثَنِي مُصْعَبُ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِنْتِ أَبِي أُمَيَّةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ النَّاسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ الْمُصَلِّي يُصَلِّي لَمْ يَعْدُ بَصَرُ أَحَدِهِمْ مَوْضِعَ قَدَمَيْهِ فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَكَانَ النَّاسُ إِذَا قَامَ أَحَدُهُمْ يُصَلِّي لَمْ يَعْدُ بَصَرُ أَحَدِهِمْ مَوْضِعَ جَبِينِهِ فَتُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ وَكَانَ عُمَرُ فَكَانَ النَّاسُ إِذَا قَامَ أَحَدُهُمْ يُصَلِّي لَمْ يَعْدُ بَصَرُ أَحَدِهِمْ مَوْضِعَ الْقِبْلَةِ وَكَانَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَكَانَتْ الْفِتْنَةُ فَتَلَفَّتَ النَّاسُ يَمِينًا وَشِمَالًا

حدثنا ابراهيم بن المنذر الحزامي حدثنا خالي محمد ابن ابراهيم بن المطلب بن الساىب بن ابي وداعة السهمي حدثني موسى بن عبد الله بن ابي امية المخزومي حدثني مصعب بن عبد الله عن ام سلمة بنت ابي امية زوج النبي صلى الله عليه وسلم انها قالت كان الناس في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا قام المصلي يصلي لم يعد بصر احدهم موضع قدميه فلما توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فكان الناس اذا قام احدهم يصلي لم يعد بصر احدهم موضع جبينه فتوفي ابو بكر وكان عمر فكان الناس اذا قام احدهم يصلي لم يعد بصر احدهم موضع القبلة وكان عثمان بن عفان فكانت الفتنة فتلفت الناس يمينا وشمالا


It was narrated that Umm Salamah bint Abi Umayyah, the wife of the Prophet (ﷺ), said:
“At the time of the Messenger of Allah (ﷺ), if a person stood to pray, his gaze would not go beyond his feet. When the Messenger of Allah (ﷺ) died, if a person stood to pray, his gaze would not go beydon the place where he put his forehead when prostrating. Then Abu Bakr died and it was ‘Umar (the caliph). So, when any person stood to pray his gaze would not go beyond the Qiblah. Then came the time of ‘Uthman bin ‘Affan, and there was Fitnah (tribulation, turmoil), and the people started to look right and left.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৬/ জানাযা (كتاب الجنائز) 7/ Chapters Regarding Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।

৯/১৬৩৫। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ইনতিকালের পর আবূ বকর (রাঃ) ’উমার (রাঃ) কে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেমন উম্মু আইমানের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতে যেতেন, চলুন আমরাও তেমন তার সাথে দেখা করতে যাই। তিনি বলেন, আমরা তার নিকট গিয়ে উপস্থিত হলে তিনি কাঁদতে থাকেন। তারা দু’জন তাকে বলেন, আপনি কাঁদছেন কেন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য আল্লাহর নিকট যা আছে তা তাঁর জন্য কল্যাণকর। তিনি বলেন, আমি অবশ্যই জানি যে, আল্লাহর নিকট যা আছে তা তাঁর রাসূলের জন্য কল্যাণকর। কিন্তু আমি এজন্য কাঁদছি যে, আসমান থেকে ওহী নাযিল হওয়া বন্ধ হয়ে গেলো। রাবী বলেন, তার এ কথা তাদের উভয়কে কাঁদতে উদ্বুদ্ধ করলো এবং তারাও তার সাথে কাঁদতে লাগলেন।

بَاب ذِكْرِ وَفَاتِهِ وَدَفْنِهِ ﷺ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلَّالُ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِعُمَرَ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى أُمِّ أَيْمَنَ نَزُورُهَا كَمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَزُورُهَا قَالَ فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَيْهَا بَكَتْ فَقَالَا لَهَا مَا يُبْكِيكِ فَمَا عِنْدَ اللهِ خَيْرٌ لِرَسُولِهِ قَالَتْ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّ مَا عِنْدَ اللهِ خَيْرٌ لِرَسُولِهِ وَلَكِنْ أَبْكِي أَنَّ الْوَحْيَ قَدْ انْقَطَعَ مِنْ السَّمَاءِ قَالَ فَهَيَّجَتْهُمَا عَلَى الْبُكَاءِ فَجَعَلَا يَبْكِيَانِ مَعَهَا

حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا عمرو بن عاصم حدثنا سليمان بن المغيرة عن ثابت عن انس قال قال ابو بكر بعد وفاة رسول الله صلى الله عليه وسلم لعمر انطلق بنا الى ام ايمن نزورها كما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يزورها قال فلما انتهينا اليها بكت فقالا لها ما يبكيك فما عند الله خير لرسوله قالت اني لاعلم ان ما عند الله خير لرسوله ولكن ابكي ان الوحي قد انقطع من السماء قال فهيجتهما على البكاء فجعلا يبكيان معها


It was narrated that Anas said:
“After the Messenger of Allah (ﷺ) had died, Abu Bakr said to ‘Umar: ‘Let us go and visit Umm Ayman as the Messenger of Allah (ﷺ) used to visit her.’ He said: ‘When we reached her she wept.’ They said: ‘Why are you weeping? What is with Allah is better for His Messenger.’ She said: ‘I know that what is with Allah is better for His Messenger, but I am weeping because the Revelation from heaven has ceased.’ She moved them to tears and they started to weep with her.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৬/ জানাযা (كتاب الجنائز) 7/ Chapters Regarding Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।

১০/১৬৩৬। আওস ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে জুমু’আহর দিন সর্বোত্তম। এদিনই আদম (আঃ)--কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এদিনই শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে এবং এদিনই ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) সংঘটিত হবে। অতএব তোমরা এদিন আমার প্রতি অধিক সংখ্যায় দুরূদ ও সালাম পেশ করো। কেননা তোমাদের দুরূদ আমার সামনে পেশ করা হয়। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের দুরূদ আপনার নিকট কিভাবে পেশ করা হবে, অথচ আপনি তো মাটির সাথে মিশে যাবেন? তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামগণের দেহ ভক্ষণ যমীনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন।

بَاب ذِكْرِ وَفَاتِهِ وَدَفْنِهِ ﷺ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ النَّفْخَةُ وَفِيهِ الصَّعْقَةُ فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنْ الصَّلَاةِ فِيهِ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ تُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرِمْتَ يَعْنِي بَلِيتَ قَالَ إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَنْ تَأْكُلَ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة حدثنا الحسين بن علي عن عبد الرحمن بن يزيد بن جابر عن ابي الاشعث الصنعاني عن اوس بن اوس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ان من افضل ايامكم يوم الجمعة فيه خلق ادم وفيه النفخة وفيه الصعقة فاكثروا علي من الصلاة فيه فان صلاتكم معروضة علي فقال رجل يا رسول الله صلى الله عليه وسلم كيف تعرض صلاتنا عليك وقد ارمت يعني بليت قال ان الله حرم على الارض ان تاكل اجساد الانبياء


It was narrated from Aws bin Aws that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
‘The best of your days is Friday. On it Adam was created; on it shall be the Nafakhah,* on it all creation will swoon. So send a great deal of blessing upon me on this day, for your blessing will be presented to me.’ A man said: “O Messenger of Allah! How will our blessing be presented to you when you have disintegrated?” He said: “Allah has forbidden the earth to consume the bodies of the Prophets.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আওস ইবনু আওস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৬/ জানাযা (كتاب الجنائز) 7/ Chapters Regarding Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।

১১/১৬৩৭। আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা জুমু’আহর দিন আমার উপর অধিক দুরূদ পাঠ করবে। কেননা তা আমার নিকট পৌঁছানো হয়, ফেরেশতাগণ তা পৌঁছে দেন। যে ব্যক্তিই আমার উপর দুরূদ পাঠ করে তা থেকে সে বিরত না হওয়া পর্যন্ত তা আমার নিকট পৌঁছতে থাকে। রাবী বলেন, আমি বললাম, (আপনার) ইনতিকালের পরেও? তিনি বলেন, হ্যাঁ, ইনতিকালের পরেও। আল্লাহ তা’আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামগণের দেহ ভক্ষণ যমীনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবিত এবং তাঁকে রিযিক দেয়া হয়।

بَاب ذِكْرِ وَفَاتِهِ وَدَفْنِهِ ﷺ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْمِصْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَيْمَنَ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَيٍّ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَكْثِرُوا الصَّلَاةَ عَلَيَّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَإِنَّهُ مَشْهُودٌ تَشْهَدُهُ الْمَلَائِكَةُ وَإِنَّ أَحَدًا لَنْ يُصَلِّيَ عَلَيَّ إِلَّا عُرِضَتْ عَلَيَّ صَلَاتُهُ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْهَا قَالَ قُلْتُ وَبَعْدَ الْمَوْتِ قَالَ وَبَعْدَ الْمَوْتِ إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَنْ تَأْكُلَ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ فَنَبِيُّ اللهِ حَيٌّ يُرْزَقُ

حدثنا عمرو بن سواد المصري حدثنا عبد الله بن وهب عن عمرو بن الحارث عن سعيد بن ابي هلال عن زيد بن ايمن عن عبادة بن نسي عن ابي الدرداء قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اكثروا الصلاة علي يوم الجمعة فانه مشهود تشهده الملاىكة وان احدا لن يصلي علي الا عرضت علي صلاته حتى يفرغ منها قال قلت وبعد الموت قال وبعد الموت ان الله حرم على الارض ان تاكل اجساد الانبياء فنبي الله حي يرزق


It was narrated from Abu Darda’ that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Send a great deal of blessing upon me on Fridays, for it is witnessed by the angels. No one sends blessing upon me but his blessing will be presented to me, until he finishes them.” A man said: “Even after death?” He said: “Even after death, for Allah has forbidden the earth to consume the bodies of the Prophets, so the Prophet of Allah is alive and receives provision.’”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৬/ জানাযা (كتاب الجنائز) 7/ Chapters Regarding Funerals
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১২ পর্যন্ত, সর্বমোট ১২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে