পরিচ্ছেদঃ ৩১) পুরুষদের পেছেনের কাতারে ও মহিলাদের প্রথম কাতারে থাকা এবং কাতার বাঁকা হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫০৮. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’পুরুষের জন্য শ্রেষ্ঠ কাতার হচ্ছে প্রথম কাতার আর কম ছোয়াবের কাতার হচ্ছে শেষের কাতার। আর নারীদের জন্য উত্তম কাতার হচ্ছে শেষের কাতার, আর কম ছোয়াবের কাতার হচ্ছে প্রথম কাতার।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম ৪৪০, আবু দাউদ ৬৭৮, তিরমিযী ২২৪ ও নাসাঈ ২/৯৩)
الترهيب من تأخر الرجال إلى أواخر صفوفهم وتقدم النساء إلى أوائل صفوفهن ومن اعوجاج الصفوف
(صحيح) عن أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :خَيْرُ صُفُوفِ الرِّجَالِ أَوَّلُهَا، وَشَرُّهَا آخِرُهَا، وَخَيْرُ صُفُوفِ النِّسَاءِ آخِرُهَا، وَشَرُّهَا أَوَّلُهَا . رواه مسلم وأبو داود والترمذي والنسائي
পরিচ্ছেদঃ ৩১) পুরুষদের পেছেনের কাতারে ও মহিলাদের প্রথম কাতারে থাকা এবং কাতার বাঁকা হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫০৯. (সহীহ) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা তাঁর সাহাবীদেরকে দেখলেন যে তারা পেছনের দিকের কাতারে নামায আদায় করছেন। তখন তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ ’’তোমরা সামনের দিকে এগিয়ে আস, তোমরা আমার অনুসরণ কর, তাহলে তোমাদের পরে যারা আছে তারা তোমাদের অনুসরণ করবে। আর কোন জাতি যখন (প্রথম কাতার থেকে) পিছনে থাকবে আল্লাহ্ও তাদেরকে পিছিয়ে দেবেন।[1]’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম ৪৩৮, আবু দাউদ ৬৮০, নাসাঈ ২/৮৩, ইবনে মাজাহ ৯৭৮)
الترهيب من تأخر الرجال إلى أواخر صفوفهم وتقدم النساء إلى أوائل صفوفهن ومن اعوجاج الصفوف
(صحيح) وَعَنْ أبي سعيد رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى فِي أَصْحَابِهِ تَأَخُّرًا ، فَقَالَ لَهُمْ : تَقَدَّمُوا فَائْتَمُّوا بِي ، وَلْيَأْتَمَّ بِكُمْ مَنْ بَعْدَكُمْ ، لاَ يَزَالُ قَوْمٌ يَتَأَخَّرُونَ حَتَّى يُؤَخِّرَهُمُ اللهُ.. رواه مسلم وأبو داود والنسائي وابن ماجه
পরিচ্ছেদঃ ৩১) পুরুষদের পেছেনের কাতারে ও মহিলাদের প্রথম কাতারে থাকা এবং কাতার বাঁকা হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫১০. (সহীহ লি গাইরিহী) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’কোন জাতি যতক্ষণ প্রথম কাতারে নামায পড়া থেকে পিছিয়ে থাকবে আল্লাহও তাদেরকে পিছিয়ে দিবেন।’’
(আবু দাউদ ৬৭৯, ইবনে খুযায়মা ৩/২৭, ইবনে হিব্বান ২১৫৩)
الترهيب من تأخر الرجال إلى أواخر صفوفهم وتقدم النساء إلى أوائل صفوفهن ومن اعوجاج الصفوف
(صحيح لغيره) وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَزَالُ قَوْمٌ يَتَأَخَّرُونَ عَنْ الصَّفِّ الْأَوَّلِ حَتَّى يُؤَخِّرَهُمْ اللَّهُ .... رواه أبو داود وابن خزيمة وابن حبان
পরিচ্ছেদঃ ৩১) পুরুষদের পেছেনের কাতারে ও মহিলাদের প্রথম কাতারে থাকা এবং কাতার বাঁকা হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫১১. (সহীহ্) ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতের কাতারে আমাদের পরস্পরের কাঁধগুলোকে মিলিয়ে দিতেন। আর বলতেনঃ ’’তোমার বরাবর হও, বিছিন্ন হয়ো না, তাহলে তোমাদের অন্তরগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তোমাদের মধ্যে ধৈর্য ও দৃঢ়তা সম্পন্ন এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা যেন আমার নিকটবর্তী থাকে। তারপর থাকবে তাদের পরবর্তীগণ এরপর থাকবে তাদের পরবর্তীগণ।’’
(মুসলিম প্রমূখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৪৩২)
الترهيب من تأخر الرجال إلى أواخر صفوفهم وتقدم النساء إلى أوائل صفوفهن ومن اعوجاج الصفوف
(صحيح) وَعَنْ أَبِي مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كَأنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْمَحُ مَنَاكِبَنَا وَيَقُولُ:"اسْتَوُوا، وَلا تَخْتَلِفُوا، فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ، لِيَلِيَنِّي مِنْكُمْ أُولُو الأَحْلامِ وَالنُّهَى، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ. (رواه مسلم وغيره)
পরিচ্ছেদঃ ৩১) পুরুষদের পেছেনের কাতারে ও মহিলাদের প্রথম কাতারে থাকা এবং কাতার বাঁকা হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫১২. (সহীহ্) নো’মান বিন বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে একথা বলতে শুনেছিঃ ’’তোমরা তোমাদের কাতারগুলোকে সোজা করে নাও, অন্যথা আল্লাহ্ তোমাদের মুখমণ্ডল বিকৃত করে দিবেন।’’[1]
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মালেক, বুখারী ৭১৭, মুসলিম ৪৩৮, আবু দাউদ ৬৬৩, তিরমিযী, নাসাঈ ২/৮৯ ও ইবনে মাজাহ্ ৯৯৪)
বুখারী ব্যতীত অন্য সকলের আরেক বর্ণনায় আছেঃ
أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كاَنَ يُسَوِّي صُفُوفَنَا حَتَّى كَأَنَّمَا يُسَوِّي بِهَا الْقِدَاحَ حَتَّى رَآناَ أَنَّا قَدْ عَقَلْنَا عَنْهُ ثُمَّ خَرَجَ يَوْمًا فَقَامَ حَتَّى كَادَ يُكَبِّرُ فَرَأَى رَجُلًا بَادِيًا صَدْرُهُ مِنْ الصَّفِّ فَقَالَ عِبَادَ اللَّهِ لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ.
’’রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাতারগুলোকে সোজা করে দিতেন। এমনকি মনে হতো তিনি যেন তীর সোজা করছেন। যখন তিনি দেখতেন যে আমরা (কাতার সোজা করার বিষয়টি) বুঝে নিয়েছি তখন ছাড়তেন। তারপর একদিন তিনি বের হলেন, নামাযের জন্যে তাকবীর দিবেন এমন সময় লক্ষ্য করলেন জনৈক লোক কাতার থেকে নিজের বক্ষ বের করে দাঁড়িয়ে আছে। তখন তিনি বললেনঃ
’’আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা কাতার সোজা করবে, অন্যথা আল্লাহ্ তোমাদের মুখমণ্ডল বিকৃত করে দিবেন।’’
(সহীহ্) আবু দাউদ ও ইবনে হিব্বানের বর্ণনায় আছেঃ
أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى النَّاسِ بِوَجْهِهِ فَقَالَ أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ قَالَ فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يَلْزَقُ مَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِ صَاحِبِهِ وَرُكْبَتَهُ بِرُكْبَةِ صَاحِبِهِ وَكَعْبَهُ بِكَعْبِهِ
রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা মানুষের দিকে মুখ করে দাঁড়ালেন। তারপর বললেনঃ ’’তোমরা কাতারগুলো কায়েম (সোজা) কর, অন্যথা আল্লাহ্ তোমাদের অন্তরের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে দিবেন।’’
তিনি (নো’মান বিন বাশীর) বলেনঃ আমি দেখেছি একজন মুসল্লি পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির কাঁধের সাথে কাঁধ, হাঁটুর সাথে হাঁটু এবং টাখনুর সাথে টাখনু লাগিয়ে দাঁড়াতেন।
الترهيب من تأخر الرجال إلى أواخر صفوفهم وتقدم النساء إلى أوائل صفوفهن ومن اعوجاج الصفوف
(صحيح) وَعَنْ النعمان بن بشير رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قال: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ.
رواه مالك والبخاري ومسلم وأبو داود والترمذي والنسائي وابن ماجه
পরিচ্ছেদঃ ৩১) পুরুষদের পেছেনের কাতারে ও মহিলাদের প্রথম কাতারে থাকা এবং কাতার বাঁকা হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫১৩. (সহীহ্) বারা বিন আযেব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাঝে মধ্যে কাতারের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে চলাফেরা করতেন। তিনি আমাদের বক্ষ ও কাঁধগুলোকে হাত দিয়ে বরাবর করে দিতেন। আর বলতেনঃ ’’তোমরা আগে-পিছে হয়ো না, নতুবা তোমাদের অন্তরে বিভেদ সৃষ্টি হবে।’’ তিনি আরো বলতেনঃ ’’নিশ্চয় আল্লাহ রহমত নাযিল করেন, ফেরেশতারা দু’আ করেন প্রথম দিকের কাতারগুলোর উপর।’’ অর্থাৎ প্রথম দিকের কাতারে নামায আদায়কারীদের জন্যে।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ ৬৬৪, নাসাঈ ২/৮৯, ইবনে খুযায়মা ৩/২৬, ইবনে হিব্বান)
ইবনে হিব্বানের অপর বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ
كَأنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِينَا، فَيَمْسَحُ عَوَاتِقَنَا وَصُدُورَنَا وَيَقُولُ: " لَا تَخْتَلِفْ صُفُوفُكُمْ فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ، إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الْأَوَّلِ،
রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে এসে আমাদের কাঁধ ও বক্ষগুলোকে হাত দিয়ে বরাবর করে দিতেন। আর বলতেনঃ
’’তোমাদের কাতারগুলো যেন বক্র না হয়, নতুবা তোমাদের অন্তরে বিভেদ সৃষ্টি হবে। নিশ্চয় আল্লাহ রহমত নাযিল করেন, ফেরেশতারা দু’আ করেন প্রথম কাতারের উপর।’’
ইবনে খুযায়মার অপর বর্ণনায় আছেঃ
لَا تَخْتَلِفْ صُفُوفُكُمْ فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ
’’তোমাদের বক্ষগুলো আগপিছ রেখো না। নতুবা তোমাদের অন্তরে বিভেদ সৃষ্টি হবে।’’
الترهيب من تأخر الرجال إلى أواخر صفوفهم وتقدم النساء إلى أوائل صفوفهن ومن اعوجاج الصفوف
(صحيح) وَعَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كَأنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَخَلَّلُ الصَّفَّ مِنْ نَاحِيَةٍ إِلَى نَاحِيَةٍ يَمْسَحُ صُدُورَنَا وَمَنَاكِبَنَا وَيَقُولُ لَا تَخْتَلِفُوا فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ يَقُولُ إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصُّفُوفِ الْأُوَلِ. رواه أبو داود والنسائي وابن خزيمة وابن حبان