পরিচ্ছেদঃ ১৯) বিশেষ করে এশা ও ফজর নামায জামাআতের সাথে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ দু’নামাযের জামাআতে অনুপস্থিত থাকার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪১৫. (সহীহ) উছমান বিন আফ্ফান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি জামাআতের সাথে এশার সালাত আদায় করল সে যেন অর্ধেক রাত্রি নফল ছালাত আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজর ছালাত জামাআতসহ আদায় করল সে যেন পূর্ণ রাত্রি নফল সালাত আদায় করল।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম মালেক ১/১৩২, মুসলিম ৬৫৬, আবু দাউদ ৫৫৫ ও তিরমিযি ২২১। হাদীছের বাক্য মুসলিমের। আবু দাউদের বাক্য নিম্নরূপঃ


مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ كَانَ كَقِيَامِ نِصْفِ لَيْلَةٍ وَمَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ وَالْفَجْرَ فِي جَمَاعَةٍ كَانَ كَقِيَامِ لَيْلَةٍ

’’যে ব্যক্তি এশার সালাত জামাআতের সাথে আদায় করবে, সে অর্ধেক রাত্রি ক্বিয়াম করার ছোয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাআতের সাথে আদায় করবে, সে পূর্ণ রাত্রি ক্বিয়াম করার ছোয়াব পাবে।’’

ইমাম তিরমিযী আবু দাউদের ৫৫৫ অনুরূপ বর্ণনা করে বলেনঃ হাদীছটি হাসান ছহীহ।

ইবনে খুযায়মা [তাঁর ছহীহ্ গ্রন্থে] বলেনঃ জামাআতের সাথে এশা ও ফজর নামায পড়ার ফযীলত। আর এশার নামায জামাআতের সাথে পড়ার চেয়ে ফজরের নামায জামাআতের সাথে পড়া অধিক ফযীলতপূর্ণ তার বর্ণনা। আর তার ফযীলত হচ্ছে এশার নামায জামাআতের সাথে পড়ার দ্বিগুণ।

এরপর তিনি মুসলিমে বর্ণিত হাদীছের অনুরূপ হাদীছ বর্ণনা করেন। কিন্তু আবু দাউদ ও তিরমিযীর হাদীছটি তিনি যে মত পোষণ করেছেন তার প্রতিবাদ করে।

الترغيب في صلاة العشاء والصبح خاصة في جماعة والترهيب من التأخر عنهما

(صحيح) عن عثمان بن عفان رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول: مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ اللَّيْلِ وَمَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا صَلَّى اللَّيْلَ كُلَّهُ. رواه مالك ومسلم واللفظ له وأبو داود

(صحيح) عن عثمان بن عفان رضي الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: من صلى العشاء في جماعة فكانما قام نصف الليل ومن صلى الصبح في جماعة فكانما صلى الليل كله. رواه مالك ومسلم واللفظ له وابو داود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৯) বিশেষ করে এশা ও ফজর নামায জামাআতের সাথে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ দু’নামাযের জামাআতে অনুপস্থিত থাকার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪১৬. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’নিশ্চয় মুনাফেকদের উপর সর্বাধিক কষ্টকর সালাত হলো ফজর ও এশার সালাত। তারা যদি জানতো এ দু’টি সালাতে কি ফযীলত রয়েছে তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত। আমি ইচ্ছা করি যে সালাতের আদেশ দিব অতঃপর উহা প্রতিষ্ঠা করা হবে, তারপর একজন লোককে আদেশ দিব সে লোকদের ইমাম হয়ে সালাত পড়াবে। অতঃপর আমি কাঠের বোঝা বহনকারী কিছু লোককে নিয়ে ঐ সকল লোকদের বাড়ীতে যাব, যারা সালাতে উপস্থিত হয়নি। তারপর তাদের বাড়ীগুলো (কাঠে আগুন লাগিয়ে) তাদেরকেসহ জ্বালিয়ে দিব।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ৬৭৫ ও মুসলিম ৬৫১)

মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছেঃ

أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  فَقَدَ نَاسًا فِي بَعْضِ الصَّلَوَاتِ فَقَالَ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلًا يُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنْهَا فَآمُرَ بِهِمْ فَيُحَرِّقُوا عَلَيْهِمْ بِحُزَمِ الْحَطَبِ بُيُوتَهُمْ وَلَوْ عَلِمَ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَظْمًا سَمِينًا لَشَهِدَهَا يَعْنِي صَلَاةَ الْعِشَاءِ

রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতিপয় লোককে কোন কোন নামাযের জামাআতে উপস্থিত দেখতে পেলেন না। তখন বললেনঃ

’’আমার ইচ্ছা হয় যে, একজন লোককে আদেশ করি সে মানুষকে নিয়ে নামায পড়াবে। তারপর আমি ঐ সমস্ত লোকদের বাড়ীতে যাই যারা জামাআতে হাযির হয়নি, অতঃপর তাদের ব্যাপারে আদেশ করি কাঠের বোঝা জ্বালিয়ে তাদেরকেসহ তাদের বাড়ী-ঘর পুড়িয়ে দেই। তাদের কেউ যদি জানতো যে নামাযে আসলে একটি মোটা হাড্ডি লাভ করবে তাহলে উক্ত নামাযে উপস্থিত হত। অর্থাৎ এশার নামাযে।’’

الترغيب في صلاة العشاء والصبح خاصة في جماعة والترهيب من التأخر عنهما

(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّ أَثْقَلَ صَلَاةٍ عَلَى الْمُنَافِقِينَ صَلَاةُ الْعِشَاءِ وَصَلَاةُ الْفَجْرِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا وَلَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَتُقَامَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَنْطَلِقَ مَعِي بِرِجَالٍ مَعَهُمْ حُزَمٌ مِنْ حَطَبٍ إِلَى قَوْمٍ لَا يَشْهَدُونَ الصَّلَاةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ بِالنَّارِ.(رواه البخاري ومسلم)

(صحيح) وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ان اثقل صلاة على المنافقين صلاة العشاء وصلاة الفجر ولو يعلمون ما فيهما لاتوهما ولو حبوا ولقد هممت ان امر بالصلاة فتقام ثم امر رجلا فيصلي بالناس ثم انطلق معي برجال معهم حزم من حطب الى قوم لا يشهدون الصلاة فاحرق عليهم بيوتهم بالنار.(رواه البخاري ومسلم)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৯) বিশেষ করে এশা ও ফজর নামায জামাআতের সাথে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ দু’নামাযের জামাআতে অনুপস্থিত থাকার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪১৭. (সহীহ মাওকূফ) আবদুল্লাহ বিন ওমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ’’আমরা যদি কোন মানুষকে ফজর ও এশার সালাত এ অনুপস্থিত পেতাম তাহলে তার সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করতাম।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বাযযার, ত্বাবরানী ও ইবনে খুযায়মা ২/৩৭১)

الترغيب في صلاة العشاء والصبح خاصة في جماعة والترهيب من التأخر عنهما

(صحيح موقوف) وَعَنْ ابن عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قال كُنَّا إِذَا فَقَدْنَا الرَّجُلَ فِي الْفَجْرِ وَالْعِشَاءِ أَسَأْنَا بِهِ الظَّنَّ. رواه البزار والطبراني وابن خزيمة

(صحيح موقوف) وعن ابن عمر رضي الله عنهما قال كنا اذا فقدنا الرجل في الفجر والعشاء اسانا به الظن. رواه البزار والطبراني وابن خزيمة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৯) বিশেষ করে এশা ও ফজর নামায জামাআতের সাথে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ দু’নামাযের জামাআতে অনুপস্থিত থাকার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪১৮. (হাসান লি গাইরিহী) নাখাআ’ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু দারদা (রাঃ)এর মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে একথা বলতে শুনেছিঃ আমি তোমাদের নিকট একটি হাদীছ বর্ণনা করব যা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছি। আমি তাঁকে একথা বলতে শুনেছিঃ

’’তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত কর যেন তুমি তাঁকে দেখছ, যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে মনে করবে তিনি তোমাকে দেখছেন। তুমি নিজেকে মৃত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত মনে করবে। মাযলুমের (উৎপীড়িতের) বদদু’আ হতে সাবধান থাকবে, কেননা তার দু’আ কবূল করা হয়। আর যদি ফজর ও এশার সালাত জামাআতের সাথে পড়া সম্ভব হয় তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করবে।’’

(ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। তিনি নাখাআ’ গোত্রের লোকটির নাম ’জাবের’ বলে উল্লেখ করেছেন।)

الترغيب في صلاة العشاء والصبح خاصة في جماعة والترهيب من التأخر عنهما

(حسن لغيره) وَ عَنْ رَجُلٍ، مِنَ النَّخَعِ قال سمعت أبا الدرداء رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ حِينَ حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ قَالَ: أُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا سَمِعَتْهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " اعْبُدِ اللهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ كُنْتَ لَا تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ، وَاعْدُدْ نَفْسَكَ فِي الْمَوْتَى، وَإِيَّاكَ وَدَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا تُسْتَجَابُ، وَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَشْهَدَ الصَّلَاتَيْنِ الْعِشَاءَ وَالصُّبْحَ وَلَوْ حَبْوًا فَلْيَفْعَلْ (رواه الطبراني في الكبير)

(حسن لغيره) و عن رجل، من النخع قال سمعت ابا الدرداء رضي الله عنه حين حضرته الوفاة قال: احدثكم حديثا سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم ، سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: " اعبد الله كانك تراه، فان كنت لا تراه فانه يراك، واعدد نفسك في الموتى، واياك ودعوة المظلوم فانها تستجاب، ومن استطاع منكم ان يشهد الصلاتين العشاء والصبح ولو حبوا فليفعل (رواه الطبراني في الكبير)

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৯) বিশেষ করে এশা ও ফজর নামায জামাআতের সাথে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ দু’নামাযের জামাআতে অনুপস্থিত থাকার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪১৯. (হাসান লি গাইরিহী) উবাই বিন কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে ফজরের নামায আদায় করলেন। অতঃপর জিজ্ঞাসা করলেন, উমুক ব্যক্তি কি এসেছে? তাঁরা বললেনঃ না। তিনি বললেনঃ উমুক ব্যক্তি কি নামাযে এসেছে? তাঁরা বললেনঃ না।

তিনি বললেনঃ ’’নিশ্চয়ই এ দু’টো নামায (এশা ও ফজর) মুনাফেকদের নিকট সবচেয়ে কঠিন নামায। তোমরা যদি জানতে এই দু’নামাযে কি প্রতিদান রয়েছে, তাহলে তোমরা হাঁটুর উপর ভর করে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে আসতে।....।[1]

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমাদ ৫/১৪০, ইবনে খুযায়মা ২/৩৬৬, ইবনে হিব্বান ২০৫৪ ও হাকেম ১/২৪৭)

الترغيب في صلاة العشاء والصبح خاصة في جماعة والترهيب من التأخر عنهما

(حسن لغيره) وَ عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا الصُّبْحَ فَقَالَ أَشَاهِدٌ فُلَانٌ قَالُوا لَا قَالَ أَشَاهِدٌ فُلَانٌ قَالُوا لَا قَالَ إِنَّ هَاتَيْنِ الصَّلَاتَيْنِ أَثْقَلُ الصَّلَوَاتِ عَلَى الْمُنَافِقِينَ وَلَوْ تَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لَأَتَيْتُمُوهُمَا وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الرُّكَبِ........ الحديث رواه أحمد وابن خزيمة وابن حبان في صحيحيهما والحاكم

(حسن لغيره) و عن ابي بن كعب رضي الله عنه قال صلى بنا رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما الصبح فقال اشاهد فلان قالوا لا قال اشاهد فلان قالوا لا قال ان هاتين الصلاتين اثقل الصلوات على المنافقين ولو تعلمون ما فيهما لاتيتموهما ولو حبوا على الركب........ الحديث رواه احمد وابن خزيمة وابن حبان في صحيحيهما والحاكم

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৯) বিশেষ করে এশা ও ফজর নামায জামাআতের সাথে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ দু’নামাযের জামাআতে অনুপস্থিত থাকার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪২০. (ছহীহ্ লি গাইরিহী) সামুরা বিন জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করল সে আল্লাহর জিম্মাদারীতে এসে গেল।’’

(ইবনে মাজাহ ছহীহ সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৩৯৪৬)

الترغيب في صلاة العشاء والصبح خاصة في جماعة والترهيب من التأخر عنهما

(صحيح لغيره) و عَنْ سمرة بن جُنْدُبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ ، رواه ابن ماجه بإسناد صحيح

(صحيح لغيره) و عن سمرة بن جندب رضي الله عنه: عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: من صلى الصبح فهو في ذمة الله ، رواه ابن ماجه باسناد صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৯) বিশেষ করে এশা ও ফজর নামায জামাআতের সাথে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ দু’নামাযের জামাআতে অনুপস্থিত থাকার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪২১. (সহীহ্ লি গাইরিহী) উক্ত হাদীছটি আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) কর্তৃকও বর্ণিত হয়েছে। তাতে একথা বৃদ্ধি করা হয়েছে, ’’অতএব তোমরা আল্লাহর অঙ্গিকারকে ভঙ্গ করো না। যে ব্যক্তি  তাকে (ফজর সালাত আদায়কারীকে) হত্যা করবে আল্লাহ্‌ তাকে পাকড়াও করবেন এবং তাকে মুখের উপর উল্টো করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’’

(ইমাম মুসলিম হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৬৫৭)

الترغيب في صلاة العشاء والصبح خاصة في جماعة والترهيب من التأخر عنهما

(صحيح لغيره) ورواه أيضا من حديث أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وزاد فيه فَلَا تُخْفِرُوا اللَّهَ فِي عَهْدِهِ فَمَنْ قَتَلَهُ طَلَبَهُ اللَّهُ حَتَّى يَكُبَّهُ فِي النَّارِ عَلَى وَجْهِه . رواه مسلم

(صحيح لغيره) ورواه ايضا من حديث ابي بكر الصديق رضي الله عنه وزاد فيه فلا تخفروا الله في عهده فمن قتله طلبه الله حتى يكبه في النار على وجهه . رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৯) বিশেষ করে এশা ও ফজর নামায জামাআতের সাথে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ দু’নামাযের জামাআতে অনুপস্থিত থাকার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪২২. (সহীহ্ মাওকূফ) মিছাম নামক নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর জনৈক সাহাবী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার কাছে এই সংবাদ পৌঁছেছে যে, ফেরেশতা পতাকা বহন করেন ঐ ব্যক্তির সাথে যে সর্বপ্রথম মসজিদে প্রবেশ করে, তিনি পতাকা নিয়ে তার সাথে অবস্থান করতেই থাকেন যতক্ষন সে তার গৃহে ফিরে না আসে। আর শয়তান পতাকা বহন করে ঐ ব্যক্তির সাথে যে সর্বপ্রথম বাজারে প্রবেশ করে, সে পতাকা নিয়ে তার সাথে অবস্থান করতেই থাকে যতক্ষন সে নিজ গৃহে ফিরে না আসে। (অর্থাৎ নামাযীর সাথে ফেরেশতা ও বেনামাযীর সাথে শয়তানের অবস্থান)

(ইবনে আবী আসেম ৫/১৮৩, আবু নুআ’ইম [মা’রেফতুস সাহাবা] গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন ২/২১৩)

الترغيب في صلاة العشاء والصبح خاصة في جماعة والترهيب من التأخر عنهما

(صحيح موقوف) وروي عن ميثم رجل من أصحاب رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال بلغني أن الملك يغدو برايته مع أول من يغدو إلى المسجد فلا يزال بها معه حتى يرجع فيدخل بها منزله وإن الشيطان يغدو برايته إلى السوق مع أول من يغدو فلا يزال بها معه حتى يرجع فيدخلها منزله
رواه ابن أبي عاصم وأبو نعيم في معرفة الصحابة وغيرها

(صحيح موقوف) وروي عن ميثم رجل من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم قال بلغني ان الملك يغدو برايته مع اول من يغدو الى المسجد فلا يزال بها معه حتى يرجع فيدخل بها منزله وان الشيطان يغدو برايته الى السوق مع اول من يغدو فلا يزال بها معه حتى يرجع فيدخلها منزله رواه ابن ابي عاصم وابو نعيم في معرفة الصحابة وغيرها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৯) বিশেষ করে এশা ও ফজর নামায জামাআতের সাথে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ দু’নামাযের জামাআতে অনুপস্থিত থাকার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪২৩. (সহীহ মাওকূফ) আবু বকর বিন সুলাইমান বিন আবি খায়ছামা থেকে বর্ণিত। একদা ওমার বিন খাত্তাব (রাঃ) সুলাইমান বিন আবি খায়ছামাকে ফজরের নামাযে মসজিদে পেলেন না। ওমার সকালের দিকে বাজারে গেলেন। সুলাইমানের বাড়ী ছিল মসজিদ ও বাজারের মাঝখানে। তিনি সুলাইমানের মাতা ’শিফা’র সাথে সাক্ষাত করে তাকে বললেন, আজ ফজর নামাযে সুলাইমানকে দেখলাম না কি ব্যাপার? তিনি বললেন, রাতে সে নফল নামায আদায় করেছিল, পরে নিদ্রার কারণে সে ফজর নামাযে যেতে পারেনি। তখন ওমার (রাঃ) বললেনঃ ’’ফজর নামায জামাআতের সাথে আদায় করা আমার নিকট সারা রাত নফল নামায পড়ার চেয়ে অধিক পছন্দনীয়।’’

(ইমাম মালেক ইহা বর্ণনা করেছেন ১/১৩১)

الترغيب في صلاة العشاء والصبح خاصة في جماعة والترهيب من التأخر عنهما

(صحيح موقوف) و عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَدَ سُلَيْمَانَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ، وَأَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ غَدَا إِلَى السُّوقِ، وَمَسْكَنُ سُلَيْمَانَ بَيْنَ الْمَسْجِدِ وَالسُّوقِ، فَمَرَّ عَلَى الشِّفَاءِ أُمِّ سُلَيْمَانَ فَقَالَ لَهاَ لَمْ أَرَ سُلَيْمَانَ فِي الصُّبْحِ فَقَالَتْ لَهُ إِنَّهُ بَاتَ يُصَلِّي فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ قَالَ عُمَرُ: " لَأَنْ أَشْهَدَ صَلَاةَ الصُّبْحِ في جماعة أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَقُومَ لَيْلَةً ". رواه مالك

(صحيح موقوف) و عن ابي بكر بن سليمان بن ابي حثمة، ان عمر بن الخطاب رضي الله عنه، فقد سليمان بن ابي حثمة في صلاة الصبح، وان عمر بن الخطاب غدا الى السوق، ومسكن سليمان بين المسجد والسوق، فمر على الشفاء ام سليمان فقال لها لم ار سليمان في الصبح فقالت له انه بات يصلي فغلبته عيناه قال عمر: " لان اشهد صلاة الصبح في جماعة احب الي من ان اقوم ليلة ". رواه مالك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৯) বিশেষ করে এশা ও ফজর নামায জামাআতের সাথে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ দু’নামাযের জামাআতে অনুপস্থিত থাকার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪২৪. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে মসজিদের দিকে গমণ করবে, সে ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে একটি নূর নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে] এবং অনুরূপভাবে ইবনে হিব্বানও বর্ণনা করেছেন ২০৪৪)

الترغيب في صلاة العشاء والصبح خاصة في جماعة والترهيب من التأخر عنهما

(صحيح لغيره) وَعَنْ أبِيْ الدَّرْداَءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: مَنْ مَشَى فِي ظُلْمَةِ اللَّيْلِ إِلَى الْمَسَاجِدِ لَقِيَ اللَّهُ عز وجل بِنُوْرٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ .رواه الطبراني في الكبير بإسناد حسن ولابن حبان في صحيحه نحوه

(صحيح لغيره) وعن ابي الدرداء رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: من مشى في ظلمة الليل الى المساجد لقي الله عز وجل بنور يوم القيامة .رواه الطبراني في الكبير باسناد حسن ولابن حبان في صحيحه نحوه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৯) বিশেষ করে এশা ও ফজর নামায জামাআতের সাথে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ দু’নামাযের জামাআতে অনুপস্থিত থাকার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪২৫. (সহীহ্ লি গাইরিহী) সাহল বিন সা’দ সায়ে’দী (রাঃ)’থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:’’অন্ধকারে মসজিদের দিকে গমণ কারীদের[1] সুসংবাদ দান কর, কিয়ামত দিবসে পরিপূর্ণ নূর বা আলোর।’’

(ইবনে মাজাহ ৭৮০, ইবনে খুযায়মা ২/৩৭৭ ও হাকেম ১/২১২ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, হাদীছের বাক্য হাকেম থেকে নেয়া)

الترغيب في صلاة العشاء والصبح خاصة في جماعة والترهيب من التأخر عنهما

(صحيح لغيره) و عَنْ سَهْلِ بن سَعْدٍ سعد الساعدي رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : عليه وسلم: بَشِّرِ الْمَشَّائِينَ فِي الظُّلَمِ إِلَى الْمَسَاجِدِ بِالنُّورِ التَّامِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ" .رواه ابن ماجه وابن خزيمة في صحيحه والحاكم

(صحيح لغيره) و عن سهل بن سعد سعد الساعدي رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : عليه وسلم: بشر المشاىين في الظلم الى المساجد بالنور التام يوم القيامة" .رواه ابن ماجه وابن خزيمة في صحيحه والحاكم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে