৪১৫

পরিচ্ছেদঃ ১৯) বিশেষ করে এশা ও ফজর নামায জামাআতের সাথে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ দু’নামাযের জামাআতে অনুপস্থিত থাকার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪১৫. (সহীহ) উছমান বিন আফ্ফান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি জামাআতের সাথে এশার সালাত আদায় করল সে যেন অর্ধেক রাত্রি নফল ছালাত আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজর ছালাত জামাআতসহ আদায় করল সে যেন পূর্ণ রাত্রি নফল সালাত আদায় করল।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম মালেক ১/১৩২, মুসলিম ৬৫৬, আবু দাউদ ৫৫৫ ও তিরমিযি ২২১। হাদীছের বাক্য মুসলিমের। আবু দাউদের বাক্য নিম্নরূপঃ


مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ كَانَ كَقِيَامِ نِصْفِ لَيْلَةٍ وَمَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ وَالْفَجْرَ فِي جَمَاعَةٍ كَانَ كَقِيَامِ لَيْلَةٍ

’’যে ব্যক্তি এশার সালাত জামাআতের সাথে আদায় করবে, সে অর্ধেক রাত্রি ক্বিয়াম করার ছোয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাআতের সাথে আদায় করবে, সে পূর্ণ রাত্রি ক্বিয়াম করার ছোয়াব পাবে।’’

ইমাম তিরমিযী আবু দাউদের ৫৫৫ অনুরূপ বর্ণনা করে বলেনঃ হাদীছটি হাসান ছহীহ।

ইবনে খুযায়মা [তাঁর ছহীহ্ গ্রন্থে] বলেনঃ জামাআতের সাথে এশা ও ফজর নামায পড়ার ফযীলত। আর এশার নামায জামাআতের সাথে পড়ার চেয়ে ফজরের নামায জামাআতের সাথে পড়া অধিক ফযীলতপূর্ণ তার বর্ণনা। আর তার ফযীলত হচ্ছে এশার নামায জামাআতের সাথে পড়ার দ্বিগুণ।

এরপর তিনি মুসলিমে বর্ণিত হাদীছের অনুরূপ হাদীছ বর্ণনা করেন। কিন্তু আবু দাউদ ও তিরমিযীর হাদীছটি তিনি যে মত পোষণ করেছেন তার প্রতিবাদ করে।

الترغيب في صلاة العشاء والصبح خاصة في جماعة والترهيب من التأخر عنهما

(صحيح) عن عثمان بن عفان رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول: مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ اللَّيْلِ وَمَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا صَلَّى اللَّيْلَ كُلَّهُ. رواه مالك ومسلم واللفظ له وأبو داود

(صحيح) عن عثمان بن عفان رضي الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: من صلى العشاء في جماعة فكانما قام نصف الليل ومن صلى الصبح في جماعة فكانما صلى الليل كله. رواه مالك ومسلم واللفظ له وابو داود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)