পরিচ্ছেদঃ ২০) বিনা ওজরে জামাআত ত্যাগ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২৬. (সহীহ্) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ’’যে ব্যক্তি আযান শুনার পরও তার জবাব দিবে না অর্থাৎ কোন ওযর না থাকা সত্বেও সালাতে উপস্থিত হবে না তার (একাকী আদায়কৃত) সালাত হবে না।’’
(আল কাশেম বিন আসবাগ, ইবনে মাজাহ ৭৯৩, ইবনে হিব্বান ৪২৬ ও হাকেম ১/২৪৫ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من ترك حضور الجماعة لغير عذر
(صحيح) وَعَنْه (ابْنِ عَبَّاسٍ) رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَلَمْ يُجِبْ فَلاَ صَلاَةَ لَهُ إِلاَّ مِنْ عُذْرٍ. رواه القاسم بن أصبغ وابن ماجه وابن حبان والحاكم
পরিচ্ছেদঃ ২০) বিনা ওজরে জামাআত ত্যাগ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২৭. (হাসান সহীহ্) আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’তিন লোক যদি কোন গ্রামে থাকে এবং তাদের মাঝে জামাআত সহকারে সালাত প্রতিষ্ঠিত না করা হয়, তাহলে শয়তান তাদের উপর বিজয় লাভ করে। সুতরাং তোমাদের জন্যে আবশ্যক হচ্ছে জামাআতবদ্ধ হয়ে থাকা। কেননা দল ছুট ছাগলকে নেকড়ে বাঘে খেয়ে ফেলে।’’
(আহমদ ৫/১৯৬, আবু দাউদ ৫৪৭, নাসাঈ ২/১০৬, ইবনে খুযায়মা ২/২৭১, ইবনে হিব্বান ২০৯৮ ও হাকেম হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
ইতোপূর্বে আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছেঃ
وَلَوْ أَنَّكُمْ صَلَّيْتُمْ فِي بُيُوتِكُمْ كَمَا يُصَلِّي هَذَا الْمُتَخَلِّفُ فِي بَيْتِهِ لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ
’’তোমরা যদি এই নামাযগুলো বাড়িতে আদায় কর যেমন জামাআত পরিত্যাগকারী এই ব্যক্তি নিজ বাড়ীতে নামায আদায় করে থাকে, তবে তোমরা তোমাদের নবীর অনুসরণ ছেড়ে দিলে। আর তোমরা যদি তোমাদের নবীর অনুসরণ ছেড়ে দাও তাহলে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।’’[1]
الترهيب من ترك حضور الجماعة لغير عذر
(حسن صحيح ) وَعَنْ أبِيْ الدَّرْداَءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول مَا مِنْ ثَلاثَةٍ فِي قَرْيةٍ ، وَلاَ بَدْوٍ ، لا تُقَامُ فِيهِمُ الصَّلاَةُ إلاَّ قَد اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِم الشَّيْطَانُ . فَعَلَيْكُمْ بِالجَمَاعَةِ ، فَإنَّمَا يَأْكُلُ الذِّئْبُ مِنَ الغَنَمِ القَاصِيَة (رواه أحمد وأبو داود والنسائي وابن خزيمة وابن حبان في صحيحيهما والحاكم) ، الحديث (رواه مسلم وأبو داود وغيرهما(
পরিচ্ছেদঃ ২০) বিনা ওজরে জামাআত ত্যাগ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২৮. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’আমি ইচ্ছা করছি যে, কিছু যুবককে আদেশ দেব, তারা আমার জন্যে কাঠের একটি বোঝা তৈরী করবে, তারপর তা নিয়ে এমন লোকদের কাছে যাবো যারা বাড়ীতে সালাত আদায় করে অথচ তাদের কোন ওযর নেই; অতঃপর তাদেরকেসহ তাদের গৃহগুলো জ্বালিয়ে দিব।’’
ইয়াযীদ বিন আসামকে প্রশ্ন করা হল: এ দ্বারা কি নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমআর নামায না অন্য কিছু উদ্দেশ্য করেছেন? তিনি বললেনঃ আমার দু’কান বধির হয়ে যাবে আমি যদি আবু হুরায়রার (রাঃ) কাছে হাদীছটি না শুনে থাকি, তিনি তা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি জুমআ বা অন্য কিছু উল্লেখ করেন নি।
(মুসলিম ৬৫১, ইবনে মাজাহ ৭৯১, আবু দাউদ ৫৪৯ ও সংক্ষিপ্তভাবে তিরমিযী ২১৭ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من ترك حضور الجماعة لغير عذر
(صحيح) و عَنِ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ فِتْيَتِي فَيَجْمَعُوا لي حُزَمًا مِنْ حَطَبٍ، ثُمَّ آتِي قَوْمًا يُصَلُّونَ فِي بُيُوتِهِمْ، لَيْسَتْ بِهِمْ عِلَّةٌ، فَأُحَرِّقُهَا عَلَيْهِمْ فقيل لِيَزِيدَ بْنِ الْأَصَمِّ الْجُمُعَةَ عَنَى أَوْ غَيْرَهَا قَالَ صُمَّتْ أُذُنَايَ إِنْ لَمْ أَكُنْ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَأْثُرُهُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا ذَكَرَ جُمُعَةً وَلَا غَيْرَهَا. (رواه مسلم وأبو داود وابن ماجه والترمذي مختصرا)
পরিচ্ছেদঃ ২০) বিনা ওজরে জামাআত ত্যাগ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২৯. (হাসান সহীহ্) আমর ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আরয করলাম হে আল্লাহর রাসূল! আমি অন্ধ, আমার বাড়ীও দূরে। আমার একজন পথ চালক রয়েছে কিন্তু তাকে আমি সব সময় পাইনা। আপনি কি এই অবস্থায় আমাকে বাড়ীতে ছালাত আদায় করতে অনুমতি দিচ্ছেন?
তিনি বললেনঃ ’’তুমি কি আযান শুনে থাক?’’
আমি বললামঃ হ্যাঁ।
তখন তিনি বললেনঃ ’’তাহলে আমি তোমার জন্যে অনুমতির কোন সুযোগ পাই না।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমদ ৩/৪২৩, আবু দাউদ ৫৫২, ইবনে মাজাহ ৭৯২, ইবনে খুযায়মা ২/৩৬৯ ও হাকেম ১/২৪৭)
(হাসান সহীহ্) ইমাম আহমাদ অন্য বর্ণনায় বলেনঃ
أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى الْمَسْجِدَ فَرَأَى فِي الْقَوْمِ رِقَّةً، فَقَالَ: " إِنِّي لَأَهُمُّ أَنْ أَجْعَلَ لِلنَّاسِ إِمَامًا، ثُمَّ أَخْرُجُ فَلَا أَقْدِرُ عَلَى إِنْسَانٍ، يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلَاةِ فِي بَيْتِهِ إِلَّا أَحْرَقْتُهُ عَلَيْهِ " فَقَالَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّ بَيْنِي وَبَيْنَ الْمَسْجِدِ نَخْلًا، وَشَجَرًا، وَلَا أَقْدِرُ عَلَى قَائِدٍ كُلَّ سَاعَةٍ، أَيَسَعُنِي أَنْ أُصَلِّيَ فِي بَيْتِي ؟ قَالَ: " أَتَسْمَعُ الْإِقَامَةَ ؟ " قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: " فَأْتِهَا "
একদা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে এসে লোকজনের উপস্থিতি খুবই কম লক্ষ্য করলেন। তখন তিনি বললেনঃ ’’আমি ইচ্ছা করছি একজন লোককে ইমাম নির্ধারণ করে দেই সে সালাত কায়েম করুক, অতঃপর আমি বের হয়ে যাই এবং জামাআত পরিত্যাগকারী কোন লোককে গৃহে পেলে তাকে সহ তার গৃহ জ্বালিয়ে দেই।’’
তখন অন্ধ ছাহাবী ইবনে উম্মে মাকতুম বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার গৃহ ও মসজিদের মাঝখানে খেজুর গাছ ও জঙ্গল রয়েছে। আর সবসময় আমি পথচালক পাইনা, এখন গৃহে সালাত আদায় করা কি আমার জন্যে উচিত হবে?
তিনি বললেনঃ ’’তুমি কি একামত [1] শুনে থাক?’’
আমি বললামঃ হ্যাঁ।
তিনি বললেনঃ ’’তাহলে জামাআতে উপস্থিত হবে।’’
নোটঃ হাফেয আবু বকর ইবনে মুনযির বলেন:
একাধিক ছাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে, তারা বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আযান শুনে বিনা ওযরে ছালাতে আসবে না তাদের সালাত হবে না। যারা এ মত পোষণ করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন: আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবু মুসা আশআরী (রাঃ)। আর এই কথাটি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতেও বর্ণিত হয়েছে। যেমনটি ৪২৬ নং হাদীছে বর্ণিত হয়েছে।
যারা জামাআতে হাজির হওয়া ফরয মনে করেন তারা হলেন: তাবেঈ আতা, আহমাদ বিন হাম্বল, আবু ছাওর। আর ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি জামাআতে উপস্থিত হওয়ার সামর্থ্য রাখে, তার জন্যে বিনা ওজরে অনুপস্থিত থাকার কোন অুনমতি আমি খুঁজে পাই না।
ইমাম খাত্তাবী ইবনে উম্মে মাকতুম বর্ণিত হাদীছটি উল্লেখ করার পর বলেন, এই হাদীছ দ্বারা এই দলীল পাওয়া যায় যে, জামাআতে উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব। যদি এটা মুস্তাহাব বা সুন্নাত হত তাহলে অন্ধ বা দূর্বল লোকেরা সে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ছিল।
আতা ইবনে আবী রাবাহ বলেছেনঃ শহরে বা গ্রামে বসবাসকারী আল্লাহর সৃষ্টির কারো জন্যে আযান শুনার পর জামাআত ত্যাগ করার কোন অনুমতি নেই।
ইমাম আওযাঈ বলেছেনঃ জুমআর সালাত ও জামাআত পরিত্যাগ করার ব্যাপারে পিতা-মাতার আনুগত্য করা চলবে না।[2]
[2] . দ্রঃ মাআলেমুস সুনান ইমাম খাত্তাবী (২/২৯১-২৯২)
الترهيب من ترك حضور الجماعة لغير عذر
(حسن صحيح ) و عَنْ عَمْرِو بْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أنا ضَرِيرًا، شَاسِعَ الدَّارِ، وَلِي قَائِدٌ لَا يُلَائِمُنِي ، فَهَلْ تَجِدُ لِي رُخْصَةً أَنْ أُصَلِّيَ فِي بَيْتِي ؟ قَالَ: " أَتَسْمَعُ النِّدَاءَ ؟ " قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ . قَالَ: " مَا أَجِدُ لَكَ رُخْصَةً " (رواه أحمد وأبو داود وابن ماجه وابن خزيمة في صحيحه والحاكم)
পরিচ্ছেদঃ ২০) বিনা ওজরে জামাআত ত্যাগ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৩০. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কাছে জনৈক অন্ধ লোক আগমণ করে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে মসজিদে নিয়ে আসার জন্যে কোন চালক বা সহযোগী নেই। তাই তিনি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট গৃহে সালাত আদায় করার অনুমতি চাইলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিয়ে দিলেন। লোকটি চলে যাওয়ার পর তিনি তাকে আবার ডাকালেন অতঃপর জিজ্ঞেস করলেনঃ
’’তুমি কি সালাতের আযান শুনে থাক?’’
তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
তিনি বললেনঃ ’’তাহলে জবাব দিবে।’’ (অর্থাৎ সালাতের জন্য মসজিদে উপস্থিত হবে।)
(মুসলিম ৬৫৩, নাসাঈ ২/১০৯ প্রমূখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من ترك حضور الجماعة لغير عذر
) (صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ أتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ أَعْمَى فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَيْسَ لِي قَائِدٌ يَقُودُنِي إِلَى الْمَسْجِدِ فَسَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُرَخِّصَ لَهُ يُصَلِّيَ فِي بَيْتِهِ فَرَخَّصَ لَهُ فَلَمَّا وَلَّى دَعَاهُ فَقَالَ هَلْ تَسْمَعُ النِّدَاءَ بِالصَّلَاةِ قَالَ نَعَمْ قَالَ. رواه مسلم والنسائي وغيرهما
পরিচ্ছেদঃ ২০) বিনা ওজরে জামাআত ত্যাগ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৩১. (সহীহ্ মাওকূফ) আবু শা’ছা’ আল মাহারেবী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা মসজিদে বসা ছিলাম। এমন সময় মুআয্যিন আযান দিলেন। তখন মসজিদ থেকে একজন লোক উঠে হাঁটতে লাগল। আবু হুরায়রা তার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। দেখলেন লোকটি শেষ পর্যন্ত মসজিদ থেকে বের হয়ে গেল। তখন আবু হুরায়রা বললেনঃ ’’এই লোকটি আবুল কাসেম (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নাফরমানি করল।’’
(মুসলিম প্রমূখ ইহা বর্ণনা করেছেন ৬৫৫)
الترهيب من ترك حضور الجماعة لغير عذر
(صحيح موقوف) وَعَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ الْمُحَارِبِيِّ، قَالَ: كُنَّا قُعُودًا مَعَ فِي الْمَسْجِدِ، فَأَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الْمَسْجِدِ، يمشي فأتبعه أبو هريرة بصره حتى خَرَجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ، فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَمَّا هَذَا فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ . رواه مسلم وغيره
পরিচ্ছেদঃ ২০) বিনা ওজরে জামাআত ত্যাগ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৩২. (সহীহ্) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ’’যে ব্যক্তি ’হাইয়্যা আ’লাল ফালাহ্’ শুনল; অথচ সালাতে এলো না, সে মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সুন্নাত পরিত্যাগ করল।’’
(ত্বাবরানী ইহা [আওসাত গ্রন্থে] বর্ণনা করেছেন ৮/৪৭৬)
الترهيب من ترك حضور الجماعة لغير عذر
(صحيح) وَعَنْه (ابن عباس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا) أيضا قال من سمع حي على الفلاح فلم يجب فقد ترك سنة محمد رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ . رواه الطبراني في الأوسط
পরিচ্ছেদঃ ২০) বিনা ওজরে জামাআত ত্যাগ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৩৩. (সহীহ্ লি গাইরিহী) উসামা বিন যায়েদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’লোকেরা জামাআত পরিত্যাগ করার ব্যাপারে বিরত থাকুক, অন্যথা আমি তাদের ঘর জ্বালিয়ে দেব।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইবনে মাজাহ্ ৭৯৫)
الترهيب من ترك حضور الجماعة لغير عذر
(صحيح لغيره) و عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيَنْتَهِيَنَّ رِجَالٌ عَنْ تَرْكِ الْجَمَاعَةِ أَوْ لَأُحَرِّقَنَّ بُيُوتَهُمْ. . رواه ابن ماجه
পরিচ্ছেদঃ ২০) বিনা ওজরে জামাআত ত্যাগ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৩৪. (হাসান সহীহ্) আবু বুরদা থেকে বর্ণিত। তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি আযান শুনে সুস্থ ও অবসর থাকার পরেও জবাব দিবে না বা জামাআতে উপস্থিত হবে না, তার নামায হবে না।’’
(হাদীছটি হাকেম বর্ণনা করে বলেনঃ তার সনদ ছহীহ ১/২৪৬)
الترهيب من ترك حضور الجماعة لغير عذر
(حسن صحيح ) و عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؛ أنَّ النَّبِيَّ: مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَارِغًا صَحِيحًا فَلَمْ يُجِبْ ؛ فَلا صَلاةَ لَهُ ». (رواه الحاكم وقال صحيح الإسناد(