পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
২৯৭. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’জামাআতের সাথে ব্যাক্তির সালাত বাড়ীতে ও বাজারে পড়ার চেয়ে পঁচিশগুণ বেশী ছোয়াব। কারণ সে যখন ওযু করে এবং সুন্দরভাবে তা সম্পাদন করে, অতঃপর মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়। তার এ বের হওয়া সালাত ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে হয় না। তবে সে যতবার পা উঠাবে তার প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে, একটি করে পাপ মোচন হবে। সালাত আদায় করার পর যতক্ষণ মুসল্লায় (নামাযের স্থানে) বসে থাকবে, ফেরেশতাগণ তার জন্য (মাগফিরাতের) দু’আ করতে থাকবেঃ হে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করুন, তার প্রতি রহম করুন। আর যতক্ষণ সে সালাতের অপেক্ষায় থাকবে, ততক্ষণ সালাত অবস্থায় আছে বলে গণ্য হবে।’’
অন্য বর্ণনায় এসেছেঃ
(ফেরেশতাগণ বলবেনঃ) হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা কর, তার তওবা কবূল কর। যতক্ষণ সে কাউকে কষ্ট না দিবে, যতক্ষণ তার ওযু নষ্ট না হবে। (ততক্ষণ তারা এরুপ দু’আ করতে থাকবে।)
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ৬৪৭, মুসলিম ৬৪৯, আবু দাউদ ৫৫৯, তিরমিযী ৬৩, সংক্ষিপ্তভাবে ইবনু মাজাহ্ ৭৭৪ এবং মুআত্বা মালেক ১/৩৩।) তবে মালেকের শব্দবিন্যাস এভাবেঃ
مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ خَرَجَ عَامِدًا إِلَى الصَّلَاةِ فَإِنَّهُ فِي صَلَاةٍ مَا دَامَ يَعْمِدُ إِلَى الصَّلَاةِ وَإِنَّهُ يُكْتَبُ لَهُ بِإِحْدَى خُطْوَتَيْهِ حَسَنَةٌ وَيُمْحَى عَنْهُ بِالْأُخْرَى سَيِّئَةٌ فَإِذَا سَمِعَ أَحَدُكُمْ الْإِقَامَةَ فَلَا يَسْعَ فَإِنَّ أَعْظَمَكُمْ أَجْرًا أَبْعَدُكُمْ دَارًا قَالُوا لِمَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ مِنْ أَجْلِ كَثْرَةِ الْخُطَا
’’যে ব্যাক্তি ওযু করবে এবং সুন্দরভাবে তা সম্পাদন করবে। তারপর সালাতের ইচ্ছায় বের হবে। সে যতক্ষণ সালাতের ইচ্ছাতে থাকবে ততক্ষণ সালাতের মধ্যেই আছে বলে গণ্য হবে। তার দু’টি পদক্ষেপের একটিতে একটি পূণ্য লিখা হবে, অপরটিতে মোচন করা হবে একটি পাপ। যখন তোমাদের কোন ব্যাক্তি ইকামত শুনবে, তখন সে যেন না দৌড়ায়। কেননা তোমাদের মধ্যে যার ঘর বেশী দূরে, সে অধিক ছোয়াবের অধিকারী।’’ তাঁরা বললেনঃ কেন (অধিক ছোয়াব) হে আবু হুরায়রা!? তিনি বললেনঃ অধিক পদক্ষেপের কারণে। (অর্থাৎ বেশী দূর থেকে বেশী পা ফেলে হেঁটে আসার কারণে)
এবং ইবনু হিব্বান [সহীহ্] গ্রন্থে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর শব্দরুপ এভাবেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
مِنْ حِينِ يَخْرُجُ أَحَدُكُمْ مِنْ مَنْزِلِهِ إِلَى مَسْجِدِي ، فَرِجُلٌ تَكْتُبُ لَهُ حَسَنَةً ، وَرِجْلٌ تَحُطُّ عَنْهُ سَيِّئَةً حَتَّى يَرْجِعَ
’’তোমাদের কোন ব্যাক্তি যখন তার গৃহ থেকে আমার মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়, তখন থেকে তার এক পদক্ষেপে একটি নেকী লিখা হয়, আরেক পদক্ষেপে একটি গুনাহ মাফ হয়- এরুপ হতে থাকবে যতক্ষণ সে প্রত্যাবর্তন না করে।’’
(হাদীছটি ইবনু হিব্বানের প্রায় অনুরূপ ভাষায় নাসাঈ ২/৪২ ও হাকেম ১/২১৭ রেওয়ায়াত করেন। তবে তাদের বর্ণনায় ’’এরুপ হতে থাকবে যতক্ষণ সে প্রত্যাবর্তন না করে।’’ এ কথাটি নেই। হাকেম বলেনঃ হাদীছটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ্।)
(সহীহ্) ইতোপূর্বে আবু হুরায়রা (রাঃ) এর হাদীছে (দ্রঃ ২৯৩ নং হাদীছ) উল্লেখ হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ إذا توضأ أحدكم في بيته ثم أتى المسجد كان في صلاة حتى يرجع
’’তোমাদের কেউ যখন বাড়ীতে ওযু করে, অতঃপর মসজিদে গমণ করে, তখন সে ফিরে আসা পর্যন্ত ছালাতেই থাকে।’’
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) عن أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةُ الرَّجُلِ فِي الْجَمَاعَةِ تُضَعَّفُ عَلَى صَلَاتِهِ فِي بَيْتِهِ وَفِي سُوقِهِ خَمْسًا وَعِشْرِينَ درجة وَذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ لَا يُخْرِجُهُ إِلَّا الصَّلَاةُ لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلَّا رُفِعَتْ لَهُ بِهَا دَرَجَةٌ وَحُطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةٌ فَإِذَا صَلَّى لَمْ تَزَلْ الْمَلَائِكَةُ تُصَلِّي عَلَيْهِ مَا دَامَ فِي مُصَلَّاهُ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ وَلَا يَزَالُ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاةٍ مَا انْتَظَرَ الصَّلَاةَ
وفي رواية اللهم اغفر له اللهم تب عليه ما لم يؤذ فيه ما لم يحدث فيه.
رواه البخاري ومسلم وأبو داود والترمذي وابن ماجه باختصار
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
২৯৮. (সহীহ্) উক্ববা বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ ’’কোন ব্যাক্তি যখন পবিত্রতা অর্জন করে সালাত আদায়ের লক্ষ্যে মসজিদে আসে, তবে মসজিদের দিকে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে লেখক ফেরেশতাদ্বয় বা লেখক ফেরেশতা দশটি নেকী লিখে নেন। আর সালাতের উদ্দেশ্যে অপেক্ষমান উপবিষ্ট ব্যাক্তি কুনূতকারী তথা সালাতরত ব্যাক্তির ন্যায় ছোয়াবের অধিকারী হবে। আর সে ব্যাক্তিকে তার বাড়ী হতে বের হয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত মুসল্লীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৪/১৫৭, আবু ইয়ালা ১৭৪৭, ত্বাবরানী [কাবীর ও আওসাত] গ্রন্থে, ইবনু খুযায়মাহ্ ২/৩৭৪ ও ইবনু হিব্বান ২০৩৬ তাদের [সহীহ্] গ্রন্থদ্বয়ে)
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) وَعَنْ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: " إِذَا تَطَهَّرَ الرَّجُلُ، ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ يَرْعَى الصَّلَاةَ، كَتَبَ لَهُ كَاتِبَاهُ أَوْ كَاتِبُهُ، بِكُلِّ خُطْوَةٍ يَخْطُوهَا إِلَى الْمَسْجِدِ عَشْرَ حَسَنَاتٍ، وَالْقَاعِدُ يَرْعَى الصَّلَاةَ كَالْقَانِتِ ، وَيُكْتَبُ مِنَ الْمُصَلِّينَ مِنْ حِينِ يَخْرُجُ مِنْ بَيْتِهِ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْهِ "
. رواه أحمد وأبو يعلى والطبراني في الكبير والأوسط وابن خزيمة في صحيحه ورواه ابن حبان في صحيحه
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
২৯৯. (সহীহ্) আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যাক্তি জামাআত আদায় হয় এমন মসজিদে যাবে, তার এক পদক্ষেপে একটি পাপ মিটিয়ে দেয়া হবে, আর এক পদক্ষেপে তার জন্য একটি নেকী লেখা হবে। যাওয়া এবং ফিরে আসা উভয় অবস্থায় এরুপ লিখা হবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন হাসান সনদে আহমদ ২/১৭২, ত্বাবরানী ও ইবনু হিব্বান তাঁর [সহীহ্] গ্রন্থে।)
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(حسن ) وَعَنْ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرِو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ رَاحَ إِلَى مَسْجِدِ الْجَمَاعَةِ فَخَطْوَةٌ تَمْحُو سَيِّئَةً، وَخَطْوَةٌ تُكْتَبُ لَهُ حَسَنَةٌ، ذَاهِبًا وَرَاجِعًا "
رواه أحمد بإسناد حسن والطبراني وابن حبان في صحيحه
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩০০. (সহীহ্) উছমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একথা বলতে শুনেছিঃ ’’যে ব্যাক্তি ওযু করবে এবং তা পরিপূর্ণ করবে। অতঃপর ফরয সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে (মসজিদে) গমণ করবে। তারপর ইমামের সাথে তা আদায় করবে, তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইবনু খুযায়মাহ্ ২/৩৭৩, শায়খ আলবানী বলেনঃ হাদীছটি প্রায় একইভাবে ইমাম মুসলিমও রেওয়ায়াত করেন। আরো রেওয়ায়াত করেন ইমাম নাসাঈ।)
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) وَ عَنْ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : مَنْ تَوَضَّأَ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ ، ثُمَّ مَشَى إِلَى صَلاَةٍ مَكْتُوبَةٍ فَصَلاَّهَا مَعَ الإِمَامِ ، غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ.
. رواه ابن خزيمة
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩০১. (হাসান লি গাইরিহী) সাঈদ বিন মুসাইয়্যেব থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক আনসারী সাহাবীর মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে একটি হাদীছ শোনাবো। শুধুমাত্র ছওয়াবের আশাতেই আমি তোমাদের সামনে হাদীছটি বর্ণনা করব। আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একথা বলতে শুনেছিঃ
’’তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন ওযু করে, অতঃপর ওযুকে সুন্দররূপে সম্পাদন করে। তারপর নামাযের জন্যে বের হয় যখনই সে ডান পা উঠায় তখনই তার জন্যে আল্লাহ্ একটি নেকী লিখে দেন। যখনই বাম পা রাখে তখনই আল্লাহ তার একটি গুনাহকে মোচন করে দেন। সুতরাং তোমরা মসজিদের নিকটে বা দূরে বসবাস কর। (পদক্ষেপ অনুযায়ী ছওয়াব পাওয়া যাবে) মসজিদে এসে সে জামাতের সাথে নামায আদায় করলে তাকে ক্ষমা করা হবে। মসজিদে এসে যদি দেখে যে লোকেরা কিছু নামায পড়ে নিয়েছে এবং কিছু নামায বাকী রয়েছে, তবে যা পাবে তা তাদের সাথে আদায় করবে এবং যা ছুটে গেছে তা পুরা করবে, তবে সে অনুরূপই ছোয়াব পাবে। আর যদি মসজিদে এসে দেখতে পায় যে জামাত শেষ হয়ে গেছে, তবে সে নামাযকে পূর্ণ করবে তবে সে অনুরূপই (জামাতের সাথে নামায পড়ার) ছোয়াব পাবে।’’
(হাদীছটি আবু দাউদ ৫৬৩ মুরসালভাবে বর্ণনা করেছেন)
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح لغيره) وَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ حَضَرَ رَجُلًا مِنْ الْأَنْصَارِ الْمَوْتُ فَقَالَ إِنِّي مُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا مَا أُحَدِّثُكُمُوهُ إِلَّا احْتِسَابًا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلَاةِ لَمْ يَرْفَعْ قَدَمَهُ الْيُمْنَى إِلَّا كَتَبَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ حَسَنَةً وَلَمْ يَضَعْ قَدَمَهُ الْيُسْرَى إِلَّا حَطَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَنْهُ سَيِّئَةً فَلْيُقَرِّبْ أَحَدُكُمْ أَوْ لِيُبَعِّدْ فَإِنْ أَتَى الْمَسْجِدَ فَصَلَّى فِي جَمَاعَةٍ غُفِرَ لَهُ فَإِنْ أَتَى الْمَسْجِدَ وَقَدْ صَلَّوْا بَعْضًا وَبَقِيَ بَعْضٌ صَلَّى مَا أَدْرَكَ وَأَتَمَّ مَا بَقِيَ كَانَ كَذَلِكَ فَإِنْ أَتَى الْمَسْجِدَ وَقَدْ صَلَّوْا فَأَتَمَّ الصَّلَاةَ كَانَ كَذَلِكَ
. رواه أبو داود
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩০২. (সহীহ লি গাইরিহী) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’আজ রাতে স্বপ্নযোগে আমার পালনকর্তা সর্বোত্তম আকৃতিতে আমার কাছে এসে আমাকে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি কি জানেন নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ কি বিষয় নিয়ে পরস্পর বির্তক করছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তা হচ্ছে মর্যাদা উন্নীতকরণ, পাপ মোচন, জামাআতে নামায আদায় করার জন্য পা উঠিয়ে মসজিদে যাওয়া, কঠিন ঠান্ডার সময় পরিপূর্ণরূপে ওযু করা, এক নামায আদায় করার পর পরবর্তী নামাযের জন্য অপেক্ষা করা। যে ব্যক্তি এগুলোর প্রতি যত্নবান হবে সে কল্যাণের সাথে জীবন-যাপন করবে এবং কল্যাণের মাঝে তার মৃত্যু হবে। আর সে তার পাপ থেকে এমনভাবে মুক্ত হবে যেমন তার মাতা তাকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ট করেছিল।’’
(ইমাম তিরমিযী ৩২৩১ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)[1]
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح لغيره) وَعَنْ ابن عباس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أتاني الليلة ربي - فذكر الحديث إلى أن قال: - قال لي يا محمد أتدري فيم يختصم الملأ الأعلى قلت نعم في الدرجات والكفارات ونقل الأقدام إلى الْجُمُعَاتِ وَإِسْبَاغُ الْوُضُوءِ ، فِي السَّبُرَاتِ ، وَانْتِظَارُ الصَّلاةِ بَعْدَ الصَّلَوَاتِ.
ومن حافظ عليهن عاش بخير ومات بخير وكان من ذنوبه كيوم ولدته أمه. رواه الترمذي
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩০৩. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’তোমাদের মাঝে এমন কোন ব্যাক্তি নেই যে ওযু করবে এবং সুন্দরভাবে তা সম্পাদন করবে, অতঃপর শুধুমাত্র সালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসবে; অথচ আল্লাহ তা’আলা হাসি মুখে তার সাথে সাক্ষাত করবেন না। যেমন কোন অনুপস্থিত ব্যাক্তি হাযির হলে তাকে দেখে তার পরিবারের লোকেরা খুশী হয়।’’
(ইবনু খুযায়মাহ্ তাঁর [সহীহ্] গ্রন্থে হাদীছটি রেওয়ায়াত করেন। ২/৩৭৪)
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لا يتوضأ أحدكم فيحسن وضوءه فيسبغه ثم يأتي المسجد لا يريد إلا الصلاة إلا تبشش الله إليه كما يتبشش أهل الغائب بطلعته. رواه ابن خزيمة في صحيحه
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩০৪. (সহীহ্) জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মসজিদের পাশে একটি স্থান খালি হলে বনু সালামা গোত্রের লোকেরা মসজিদের নিকটবর্তী সে জায়গায় স্থানান্তরিত হওয়ার ইচ্ছা করল। এ সংবাদ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট পৌঁছলে তিনি তাদেরকে বললেনঃ
’’শুনলাম তোমরা নাকি মসজিদের নিকটে স্থানান্তরিত হওয়ার ইচ্ছা করেছ?’’ তারা বলল হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এরুপ ইচ্ছা করেছি। তিনি বললেনঃ ’’হে বনু সালমা গোত্র! তোমরা পূর্বের স্থানেই থাক, তোমাদের পদক্ষেপ সমূহ লিখা হবে। তোমরা তোমাদের আগের বাসস্থানেই রয়ে যাও, (মসজিদের প্রতি) তোমাদের পদক্ষেপ সমূহ লিখে রাখা হবে।’’ একথা শুনে তারা বললঃ এতে আমরা যত খুশী হয়েছি, স্থানান্তরিত হয়ে গেলে এত খুশী হতে পারতাম না।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম ৬৬৫ প্রমূখ। মুসলিমের অনুরূপ এক রেওয়ায়াতের শেষে রয়েছেঃ ’’তোমাদের প্রত্যেক পদক্ষেপে রয়েছে একটি করে মর্যাদা।’’
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) وَ عَنْ جَابِرِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ: خَلَتِ الْبِقَاعُ حَوْلَ الْمَسْجِدِ فَأَرَادَ بَنُو سَلِمَةَ أَنْ يَنْتَقِلُوا قُرْبَ الْمَسْجِدِ فَبَلَغَ ذَلِكَ النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُمْ: بَلَغَنِي أَنَّكُمْ تُرِيدُونَ أَنْ تَنْتَقِلُوا قُرْبَ الْمَسْجِدِ " قَالُوا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ قَدْ أَرَدْنَا ذَلِكَ فَقَالَ: " يَا بَنِي سَلَمَةَ دِيَارُكُمْ تَكْتُبُ آثَارَكُمْ ، دِيَارُكُمْ تَكْتُبُ آثَارَكُمْ فقالوا ما يسرنا أنا كنا تحولنا. رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩০৫. (সহীহ্ লি গাইরিহী মাওকূফ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আনসার সাহাবীদের বাড়ী-ঘর মসজিদে নববী থেকে দূরে দূরে ছিল। তারা মসজিদের সন্নিকটে চলে আসার ইচ্ছা পোষণ করলে এই আয়াত নাযিল হলঃ (وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآَثَارَهُمْ) ’’এবং আমি তাদের কর্ম ও পদচারণাসমূহ লিপিবদ্ধ করি।’’ (সূরা ইয়াসীনঃ ১২) তখন তারা আগের স্থানেই রয়ে গেলেন।
(ইবনু মাজাহ্ উত্তম সনদে ৭৮৫ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।)
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح لغيره موقوف) وَعَنْ ابن عباس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قال: كَانَتْ الْأَنْصَارُ بَعِيدَةً مَنَازِلُهُمْ مِنْ الْمَسْجِدِ فَأَرَادُوا أَنْ يَقْتَرِبُوا فَنَزَلَتْ [ وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ ] قَالَ فَثَبَتُوا. رواه ابن ماجه بإسناد جيد
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩০৬. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ ’’সর্বাধিক প্রতিদানের অধিকারী ঐ ব্যাক্তি যে মসজিদ থেকে অধিক দূরে থাকে এবং পায়ে হেঁটে হেঁটে মসজিদে আসে।’’[1]
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ২/৪২৮, আবু দাউদ ৫৫৬, ইবনু মাজাহ্ ৭৮২ ও হাকেম ১/২০৮। হাকেম বলেনঃ হাদীছটি সহীহ্ এবং সনদের রাবীগণ মাদানী।)
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح لغيره) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْأَبْعَدُ فَالْأَبْعَدُ مِنْ الْمَسْجِدِ أَعْظَمُ أَجْرًا. رواه أحمد وأبو داود وابن ماجه والحاكم وقال حديث صحيح مدني الإسناد
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩০৭. (সহীহ্) আবু মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’সালাতে সর্বাধিক ছোয়াবের অধিকারী সেই ব্যাক্তি যে সর্বাধিক দূর থেকে পথ চলে মসজিদে আসে। তারপর সেই ব্যাক্তি যে তার থেকে কিছু কম দূরে। আর যে ব্যাক্তি ইমামের সাথে সালাত আদায় করার জন্যে অপেক্ষায় থাকে সে ঐ ব্যাক্তি থেকে অধিক প্রতিদানের অধিকারী যে সালাত আদায় করার পর ঘুমিয়ে পড়ে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ৬৫১, মুসলিম ৬৬২ প্রমূখগণ)
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) و عَنْ أَبِي مُوسَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَعْظَمَ النَّاسِ أَجْرًا فِي الصَّلَاةِ أَبْعَدُهُمْ إِلَيْهَا مَمْشًى فَأَبْعَدُهُمْ وَالَّذِي يَنْتَظِرُ الصَّلَاةَ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الْإِمَامِ أَعْظَمُ أَجْرًا مِنْ الَّذِي يُصَلِّيهَا ثُمَّ يَنَامُ. رواه البخاري ومسلم وغيرهما
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩০৮. (সহীহ্) উবাই বিন কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আনসার সাহাবীদের মধ্যে জনৈক ব্যাক্তি ছিল। মসজিদে নববী থেকে তার চাইতে অধিক দূরে আর কেউ বসবাস করত এমন কাউকে আমি জানতাম না। কখনও তার জামাআতে সালাত ছুটত না। তাকে বলা হলঃ তুমি যদি একটি গাধা খরিদ করতে, তবে অন্ধকার রাস্তায় এবং সূর্যের প্রচন্ড তাপের সময় তাতে আরোহণ করে (মসজিদে আসতে) পারতে। সে তখন বললঃ আমার ঘর মসজিদের পাশে হলে তা আমাকে আনন্দ দিত না। আমি চাই মসজিদের প্রতি চলা এবং বাড়ীতে ফিরে আসার সময় পথ চলার ছোয়াব যেন আমার জন্যে লিখা হয়। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
’’আল্লাহ্ অবশ্যই সে ছোয়াব তোমার জন্যে একত্রিত করে দিয়ে দিবেন।’’
অন্য রেওয়ায়াতে এসেছেঃ
উবাই বলেনঃ আমি তার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করলাম এবং বললামঃ হে উমুক ব্যাক্তি! তুমি যদি একটি গাধা খরিদ করতে, তবে উহা তোমাকে প্রচন্ড রোদের তাপ এবং মাটিতে বিচরণকারী বিষাক্ত প্রাণীর ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারতো। সে বললঃ কিন্তু আমি আল্লাহর কসম এটা পছন্দ করি না যে, আমার ঘর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর ঘরের পাশে অবস্থান করবে।[1] তিনি (উবাই) বলেনঃ একথায় আমি খুবই ব্যাথা পেলাম এবং তা খুবই খারাপ মনে করলাম এমনকি আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কাছে এসে অভিযোগ পেশ করলাম। তিনি তাকে ডাকালেন। তখন সে আগের মতই কথা বলল। আর উল্লেখ করল যে, সে এতে পথ চলার ছোয়াবের আশা করে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ’’তুমি যে ছোয়াবের আশা করেছ তা অবশ্যই লাভ করবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম প্রমূখ ৬৬৩। ইবনু মাজাহ্ ৭৮৩ দ্বিতীয় বর্ণনাটির অনুরূপ রেওয়ায়াত করেন।)
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) وَعَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَانَ رَجُلٌ لَا أَعْلَمُ رَجُلًا أَبْعَدَ مِنْ الْمَسْجِدِ مِنْهُ وَكَانَ لَا تُخْطِئُهُ صَلَاةٌ قَالَ فَقِيلَ لَهُ أَوْ قُلْتُ لَهُ لَوْ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا تَرْكَبُهُ فِي الظَّلْمَاءِ وَفِي الرَّمْضَاءِ قَالَ مَا يَسُرُّنِي أَنَّ مَنْزِلِي إِلَى جَنْبِ الْمَسْجِدِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ يُكْتَبَ لِي مَمْشَايَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَرُجُوعِي إِذَا رَجَعْتُ إِلَى أَهْلِي فَقاَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَمَعَ اللَّهُ لَكَ ذَلِكَ كُلَّهُ.
وفي رواية: فَتَوَجَّعْتُ لَهُ ، فَقُلْتُ لَهُ: يَا فُلاَنُ لَوْ أَنَّكَ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا يَقِيكَ الرَّمْضَاءَ وَ هَوَامَّ الأَرْضِ ، فَقَالَ: إِنِّي وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ بَيْتِي مُطَنَّبٌ بِبَيْتِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : فَحَمَلْتُ بِهِ حَمْلاً حَتَّى أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فأخبرته ، قَالَ : فَدَعَاهُ فَسَأَلَهُ وَذَكَرَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ ، وَذَكَرَ أَنَّهُ يَرْجُو أجر الأثر ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَكَ مَا احْتَسَبْتَ . رواه مسلم وغيره ورواه ابن ماجه بنحو الثانية
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩০৯. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’মানুষের উপর আবশ্যক হল প্রত্যেক দিন তার শরীরের প্রতিটি হাড্ডির জোড়ার জন্য সাদকা আদায় করা। দু’জন ব্যাক্তির মাঝে ইনসাফের সাথে আপোষ করে দেয়া একটি সাদকা। কোন ব্যাক্তিকে তার বাহণে সাহায্য করা- তাকে তাতে আরোহণ করানো বা তার মালামাল তাতে উঠিয়ে পৌঁছিয়ে দেয়া একটি সাদকা। ভাল কথা একটি সাদকা। মসজিদের দিকে চলার পথে প্রতিটি পদক্ষেপ একটি করে সাদকা। রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক কোন বস্ত্ত অপসারিত করা একটি সাদকা।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ২৯৮৯ ও মুসলিম ১০০৯)
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّ سُلَامَى مِنْ النَّاسِ عَلَيْهِ صَدَقَةٌ كُلَّ يَوْمٍ تَطْلُعُ فِيهِ الشَّمْسُ قَالَ تَعْدِلُ بَيْنَ الِاثْنَيْنِ صَدَقَةٌ وَتُعِينُ الرَّجُلَ فِي دَابَّتِهِ فَتَحْمِلُهُ عَلَيْهَا أَوْ تَرْفَعُ لَهُ عَلَيْهَا مَتَاعَهُ صَدَقَةٌ قَالَ وَالْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ صَدَقَةٌ وَكُلُّ خُطْوَةٍ تَمْشِيهَا إِلَى الصَّلَاةِ صَدَقَةٌ وَتُمِيطُ الْأَذَى عَنْ الطَّرِيقِ صَدَقَةٌ. رواه البخاري ومسلم
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩১০. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’আমি কি তোমাদেরকে বলে দিব না, কোন্ কাজ পাপসমূহ মিটিয়ে দেয় ও মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়?’’ তারা বললেন, হ্যাঁ বলুন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ
’’প্রচন্ড ঠান্ডার কষ্ট স্বীকার করে পরিপূর্ণরূপে ওযু করা, মসজিদের দিকে বেশী বেশী পদচারণা করা এবং এক সালাতের পর অপর সালাতের জন্য অপেক্ষা করা[1]- এগুলোই হলো তোমাদের জন্য সীমান্ত পাহারা দেয়ার সমতুল্য, এটিই হলো তোমাদের জন্য সীমান্ত পাহারা দেয়ার সমতুল্য, এগুলোই হলো তোমাদের জন্য সীমান্ত পাহারা দেয়ার সমতুল্য।’’[2]
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মালেক ১/১০৬১, মুসলিম ২৫১, তিরমিযী ৫১, নাসাঈ ১/৮৯ ও ইবনু মাজাহ ৪২৮) তবে ইবনু মাজার শব্দরুপ এভাবেঃ
أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال كَفَّارَةُ الْخَطَايَا إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَإِعْمَالُ الْأَقْدَامِ إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصَّلَاةِ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’পাপসমূহ মোচনের মাধ্যম হল, অধিক ঠান্ডায় পরিপূর্ণরূপে ওযু সম্পাদন করা, পদ সমূহকে মসজিদের দিকে চলার কাজে ব্যবহার করা এবং এক সালাতের পর অপর সালাতের জন্যে ইন্তেযার (অপেক্ষা) করা।’’
[2] . الرباط এর অর্থঃ নিজেকে কোন সৎ আমলের উপর সর্বদা নিয়োজিত রাখা। আকাঙ্ক্ষিত বিষয়। সীমান্ত পাহারা দেয়া।
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْخُطَا إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصَّلَاةِ فَذَلِكُمْ الرِّبَاطُ فَذَلِكُمْ الرِّبَاطُ فَذَلِكُمْ الرِّبَاطُ. رواه مالك ومسلم والترمذي والنسائي وابن ماجه
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩১১. (সহীহ্) হাদীছটি ইবনু মাজাহ্ আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকেও বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’আমি কি তোমাদেরকে বলে দিব না কোন কাজের মাধ্যমে আল্লাহ্ পাপ মোচন করেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ বলুন, হে আল্লাহর রাসূল!....।
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) ورواه ابن ماجه أيضا من حديث أبي سعيد الخدري رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إلا أنه قال أَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يُكَفِّرُ اللهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ قَالُوا : بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ فذكره...؟
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩১২. (সহীহ্) উক্ত হাদীছটি ইবনু হিব্বানও তাঁর [সহীহ্] গ্রন্থে জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তাঁর বর্ণনায় এসেছেঃ ’’আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দিব না এমন কাজের, যার মাধ্যমে আল্লাহ ভুল-ত্রুটি মিটিয়ে দেন এবং পাপরাশি ক্ষমা করেন?....।
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح لغيره) ورواه ابن حبان في صحيحه من حديث جابر وَعَنْده: أَلا أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيُكَفِّرُ بِهِ الذُّنُوبَ "
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩১৩. (সহীহ্) আলী বিন আবী তালেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’প্রচন্ড ঠান্ডার কষ্ট স্বীকার করে পরিপূর্ণরূপে ওযু করা, পদযুগলকে মসজিদের দিকে ব্যবহার করা এবং এক সালাতের পর অপর সালাতের জন্য অপেক্ষা করা- (এসব কাজ) পাপ সমূহকে ধুয়ে পরিস্কার করে দেয়।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আবু ইয়ালা ৪৮৮, সহীহ্ সনদে বাযযার ৪৪৭)[1]
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) وَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ،: أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ( : إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ فِي الْمَكَارِهِ ، وَإِعْمَالُ الأَقْدَامِ إِلَى الْمَسَاجِدِ ، وَانْتِظَارُ الصَّلاةِ بَعْدَ الصَّلاةِ ، تَغْسِلُ الْخَطَايَا غَسْلا
. رواه أبو يعلى والبزار بإسناد صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩১৪. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’যে ব্যাক্তি সকালে বা সন্ধ্যায় মসজিদে গমণ করবে, আল্লাহ প্রত্যেক সকাল সন্ধ্যার গমনের বিনিময়ে তার জন্যে জান্নাতে বরকতময় খাদ্যের মেহমানদারী প্রস্ত্তত করবেন।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ৬৬২, মুসলিম ৬৬৯ প্রমূখগণ)
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) وَ عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ أَوْ رَاحَ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُ فِي الْجَنَّةِ نُزُلًا كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ
. رواه البخاري ومسلم وغيرهما
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩১৫. (সহীহ্ লি গাইরিহী) বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ ’’যারা অন্ধকারে মসজিদের দিকে বেশী বেশী চলে[1] তাদেরকে কিয়ামত দিবসে পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ দাও।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ ৫৬১ ও তিরমিযী ২২৩)
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح لغيره) وَ عَنْ بُرَيْدَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَشِّرْ الْمَشَّائِينَ فِي الظُّلَمِ إِلَى الْمَسَاجِدِ بِالنُّورِ التَّامِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
رواه أبو داود والترمذي
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
৩১৬. (সহীহ্ লি গাইরিহী) উক্ত হাদীছটি ইবনু মাজাহ্ও আনাস (রাঃ) এর বরাতে বর্ণনা করেন।
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
-