লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৯) মসজিদে গমণ করা। বিশেষ করে অন্ধকারে এবং তার ফযীলতের বর্ণনা
২৯৭. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’জামাআতের সাথে ব্যাক্তির সালাত বাড়ীতে ও বাজারে পড়ার চেয়ে পঁচিশগুণ বেশী ছোয়াব। কারণ সে যখন ওযু করে এবং সুন্দরভাবে তা সম্পাদন করে, অতঃপর মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়। তার এ বের হওয়া সালাত ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে হয় না। তবে সে যতবার পা উঠাবে তার প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে, একটি করে পাপ মোচন হবে। সালাত আদায় করার পর যতক্ষণ মুসল্লায় (নামাযের স্থানে) বসে থাকবে, ফেরেশতাগণ তার জন্য (মাগফিরাতের) দু’আ করতে থাকবেঃ হে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করুন, তার প্রতি রহম করুন। আর যতক্ষণ সে সালাতের অপেক্ষায় থাকবে, ততক্ষণ সালাত অবস্থায় আছে বলে গণ্য হবে।’’
অন্য বর্ণনায় এসেছেঃ
(ফেরেশতাগণ বলবেনঃ) হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা কর, তার তওবা কবূল কর। যতক্ষণ সে কাউকে কষ্ট না দিবে, যতক্ষণ তার ওযু নষ্ট না হবে। (ততক্ষণ তারা এরুপ দু’আ করতে থাকবে।)
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ৬৪৭, মুসলিম ৬৪৯, আবু দাউদ ৫৫৯, তিরমিযী ৬৩, সংক্ষিপ্তভাবে ইবনু মাজাহ্ ৭৭৪ এবং মুআত্বা মালেক ১/৩৩।) তবে মালেকের শব্দবিন্যাস এভাবেঃ
مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ خَرَجَ عَامِدًا إِلَى الصَّلَاةِ فَإِنَّهُ فِي صَلَاةٍ مَا دَامَ يَعْمِدُ إِلَى الصَّلَاةِ وَإِنَّهُ يُكْتَبُ لَهُ بِإِحْدَى خُطْوَتَيْهِ حَسَنَةٌ وَيُمْحَى عَنْهُ بِالْأُخْرَى سَيِّئَةٌ فَإِذَا سَمِعَ أَحَدُكُمْ الْإِقَامَةَ فَلَا يَسْعَ فَإِنَّ أَعْظَمَكُمْ أَجْرًا أَبْعَدُكُمْ دَارًا قَالُوا لِمَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ مِنْ أَجْلِ كَثْرَةِ الْخُطَا
’’যে ব্যাক্তি ওযু করবে এবং সুন্দরভাবে তা সম্পাদন করবে। তারপর সালাতের ইচ্ছায় বের হবে। সে যতক্ষণ সালাতের ইচ্ছাতে থাকবে ততক্ষণ সালাতের মধ্যেই আছে বলে গণ্য হবে। তার দু’টি পদক্ষেপের একটিতে একটি পূণ্য লিখা হবে, অপরটিতে মোচন করা হবে একটি পাপ। যখন তোমাদের কোন ব্যাক্তি ইকামত শুনবে, তখন সে যেন না দৌড়ায়। কেননা তোমাদের মধ্যে যার ঘর বেশী দূরে, সে অধিক ছোয়াবের অধিকারী।’’ তাঁরা বললেনঃ কেন (অধিক ছোয়াব) হে আবু হুরায়রা!? তিনি বললেনঃ অধিক পদক্ষেপের কারণে। (অর্থাৎ বেশী দূর থেকে বেশী পা ফেলে হেঁটে আসার কারণে)
এবং ইবনু হিব্বান [সহীহ্] গ্রন্থে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর শব্দরুপ এভাবেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
مِنْ حِينِ يَخْرُجُ أَحَدُكُمْ مِنْ مَنْزِلِهِ إِلَى مَسْجِدِي ، فَرِجُلٌ تَكْتُبُ لَهُ حَسَنَةً ، وَرِجْلٌ تَحُطُّ عَنْهُ سَيِّئَةً حَتَّى يَرْجِعَ
’’তোমাদের কোন ব্যাক্তি যখন তার গৃহ থেকে আমার মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়, তখন থেকে তার এক পদক্ষেপে একটি নেকী লিখা হয়, আরেক পদক্ষেপে একটি গুনাহ মাফ হয়- এরুপ হতে থাকবে যতক্ষণ সে প্রত্যাবর্তন না করে।’’
(হাদীছটি ইবনু হিব্বানের প্রায় অনুরূপ ভাষায় নাসাঈ ২/৪২ ও হাকেম ১/২১৭ রেওয়ায়াত করেন। তবে তাদের বর্ণনায় ’’এরুপ হতে থাকবে যতক্ষণ সে প্রত্যাবর্তন না করে।’’ এ কথাটি নেই। হাকেম বলেনঃ হাদীছটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ্।)
(সহীহ্) ইতোপূর্বে আবু হুরায়রা (রাঃ) এর হাদীছে (দ্রঃ ২৯৩ নং হাদীছ) উল্লেখ হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ إذا توضأ أحدكم في بيته ثم أتى المسجد كان في صلاة حتى يرجع
’’তোমাদের কেউ যখন বাড়ীতে ওযু করে, অতঃপর মসজিদে গমণ করে, তখন সে ফিরে আসা পর্যন্ত ছালাতেই থাকে।’’
الترغيب في المشي إلى المساجد سيما في الظلم وما جاء في فضلها
(صحيح) عن أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةُ الرَّجُلِ فِي الْجَمَاعَةِ تُضَعَّفُ عَلَى صَلَاتِهِ فِي بَيْتِهِ وَفِي سُوقِهِ خَمْسًا وَعِشْرِينَ درجة وَذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ لَا يُخْرِجُهُ إِلَّا الصَّلَاةُ لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلَّا رُفِعَتْ لَهُ بِهَا دَرَجَةٌ وَحُطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةٌ فَإِذَا صَلَّى لَمْ تَزَلْ الْمَلَائِكَةُ تُصَلِّي عَلَيْهِ مَا دَامَ فِي مُصَلَّاهُ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ وَلَا يَزَالُ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاةٍ مَا انْتَظَرَ الصَّلَاةَ وفي رواية اللهم اغفر له اللهم تب عليه ما لم يؤذ فيه ما لم يحدث فيه. رواه البخاري ومسلم وأبو داود والترمذي وابن ماجه باختصار