পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُ أُمَّتَهُ بِمَا يَحْتَاجُونَ إِلَيْهِ مِنْ أَمْرِ دِينِهِمْ قَوْلًا وَفِعْلًا مَعًا

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মাত দীনের ব্যাপারে কথা ও কাজ উভয়দিক দিয়ে যে সকল বিষয়ে তাঁর মুখাপেক্ষী, তিনি সে ব্যাপারে আদেশ দিয়ে গিয়েছেন- এ সংক্রান্ত বর্ণনাসমূহ:


১৫. ’আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক লোকের হাতে একটি সোনার আংটি দেখে তিনি সেটি টেনে খুলে নিয়ে ছুঁড়ে ফেললেন এবং বললেন, তোমাদের মাঝে কেউ কেউ আগুনের টুকরা তার হাতে রাখতে ইচ্ছে করে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে স্থান ত্যাগ করলে লোকটিকে বলা হলো, তোমার আংটিটি উঠিয়ে নাও তারপর এটি দিয়ে উপকার হাসিল করো। সে বলল, না। আল্লাহর কসম! আমি কক্ষনো ওটা নেব না। কারণ ওটা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফেলে দিয়েছেন।[1]

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّغُولِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الذُّهْلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُقْبَةَ عَنْ كُرَيْبٍ ـ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ ـ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ:
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ فِي يَدِ رَجُلٍ فَنَزَعَهُ فَطَرَحَهُ فَقَالَ:
(يَعْمِدُ أَحَدُهُمْ إِلَى جَمْرَةٍ مِنَ النَّارِ فَيَجْعَلُهَا فِي يَدِهِ) فقيل للرجل بعد ما ذَهَبَ: خُذْ خَاتَمَكَ فَانْتَفِعْ بِهِ فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ لَا آخُذُهُ أَبَدًا وَقَدْ طَرَحَهُ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم!
= [5: 2]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (آداب الزفاف) (126): م.
الجزء: 1 ¦ الصفحة: 151

اخبرنا محمد بن عبد الرحمن الدغولي حدثنا محمد بن يحيى الذهلي قال: حدثنا ابن ابي مريم قال: حدثنا محمد بن جعفر بن ابي كثير قال: حدثني ابراهيم بن عقبة عن كريب ـ مولى ابن عباس ـ عن ابن عباس: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم راى خاتما من ذهب في يد رجل فنزعه فطرحه فقال: (يعمد احدهم الى جمرة من النار فيجعلها في يده) فقيل للرجل بعد ما ذهب: خذ خاتمك فانتفع به فقال: لا والله لا اخذه ابدا وقد طرحه رسول الله صلى الله عليه وسلم! = [5: 2] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - (اداب الزفاف) (126): م. الجزء: 1 ¦ الصفحة: 151

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

১৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আযান হলে শয়তান পিঠ ফিরিয়ে পালায় যাতে সে আযান শুনতে না পায়। তখন তার পশ্চাদ-বায়ু নিঃসরণ হতে থাকে। আযান শেষ হলে সে আবার এগিয়ে আসে। আবার ইক্বামাত বলা হলে পালিয়ে যায়।অতঃপর ইক্বামাত শেষ হলে এগিয়ে আসে। তখন সে মুসল্লীর মনে কুমন্ত্রণা দিতে থাকে, এটা স্মরণ করো, ওটা স্মরণ করো, যে বিষয় তার স্মরণে ছিল না। এমনকি এমন হয় যে, সে কত রাক’আত সালাত আদায় করল তা মনে করতে পারে না। ফলে কেউ এরূপ অবস্থায় পড়লে (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় সে যেন দু’টি সিজদা করে। [1]


قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: أَمْرُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَنْ شَكَّ فِي صَلَاتِهِ فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ أَمْرٌ مُجْمَلٌ تَفْسِيرُهُ أَفْعَالُهُ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَأْخُذَ الْأَخْبَارَ الَّتِي فِيهَا ذِكْرُ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ قَبْلَ السَّلَامِ فَيَسْتَعْمِلَهُ فِي كُلِّ الْأَحْوَالِ وَيَتْرُكَ سَائِرَ الْأَخْبَارِ الَّتِي فِيهَا ذِكْرُهُ بَعْدَ السَّلَامِ وَكَذَلِكَ لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَأْخُذَ الْأَخْبَارَ الَّتِي فِيهَا ذِكْرُ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ بَعْدَ السَّلَامِ فَيَسْتَعْمِلَهُ فِي كُلِّ الْأَحْوَالِ وَيَتْرُكَ الْأَخْبَارَ الْأُخَرَ الَّتِي فِيهَا ذِكْرُهُ قَبْلَ السَّلَامِ.
وَنَحْنُ نَقُولُ: إِنَّ هَذِهِ أَخْبَارٌ أَرْبَعٌ يَجِبُ أَنْ تُسْتَعْمَلَ وَلَا يُتْرَكُ شَيْءٌ مِنْهَا فَيَفْعَلُ فِي كُلِّ حَالَةٍ مِثْلَ مَا وَرَدَتِ السُّنَّةُ فِيهَا سَوَاءً فَإِنْ سَلَّمَ مِنَ الِاثْنَتَيْنِ أَوِ الثَّلَاثِ مِنْ صَلَاتِهِ سَاهِيًا أَتَمَّ صَلَاتَهُ وَسَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ بَعْدَ السَّلَامِ عَلَى خَبَرِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَاهُمَا
وَإِنْ قَامَ مِنِ اثْنَتَيْنِ وَلَمْ يَجْلِسْ أَتَمَّ صَلَاتَهُ وَسَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ قَبْلَ السَّلَامِ عَلَى خَبَرِ ابْنِ بُحَيْنَةَ
وَإِنْ شَكَّ فِي الثَّلَاثِ أَوِ الْأَرْبَعِ يَبْنِي عَلَى الْيَقِينِ عَلَى مَا وَصَفْنَا وَسَجَدَ سَجْدَتَيِ [ص: 153] السَّهْوِ قَبْلَ السَّلَامِ عَلَى خَبَرِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ
وَإِنْ شَكَّ وَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى أَصْلًا تَحَرَّى عَلَى الْأَغْلَبِ عِنْدَهُ وَأَتَمَّ صَلَاتَهُ وَسَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ بَعْدَ السَّلَامِ عَلَى خَبَرِ ابْنِ مَسْعُودٍ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ حَتَّى يَكُونَ مُسْتَعْمِلًا لِلْأَخْبَارِ الَّتِي وَصَفْنَاهَا كُلَّهَا
فَإِنْ وَرَدَتْ عَلَيْهِ حَالَةٌ غَيْرُ هَذِهِ الْأَرْبَعِ فِي صَلَاتِهِ رَدَّهَا إِلَى مَا يُشْبِهُهَا مِنَ الْأَحْوَالِ الْأَرْبَعِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا

আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) বলেন: যে ব্যক্তি সালাতে সন্দেহে পতিত হয়, যে জানে না, কত রাকাত সালাত আদায় করেছে, সে যেন বসা অবস্থায় দুটি সাজদা করে’- এটি একটি সংক্ষিপ্ত আদেশ, যার ব্যাখ্যা হলো তা-ই, যা আমরা উল্লেখ করলাম। যে সকল বর্ণনায় সালামের পরে (সাহু সিজদা)-এর কথা বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো পরিত্যাগ করে যে সকল হাদীসে সালামের পূর্বে দু’টি সাহু সিজদার উল্লেখ করা হয়েছে, শুধু সেই সকল বর্ণনা গ্রহণ করে সকল অবস্থায় সে অনুযায়ী আমল করা কারো জন্য জায়িয নয়। অনুরূপ, যে সকল বর্ণনায় সালামের পূর্বে (সাহু সিজদা)-এর কথা বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো পরিত্যাগ করে যে সকল হাদীসে সালামের পরে দু’টি সাহু সিজদার উল্লেখ করা হয়েছে, শুধু সেই সকল বর্ণনা গ্রহণ করে সকল অবস্থায় সে অনুযায়ী আমল করাও কারো জন্য জায়িয নয়। আমাদের বক্তব্য হলো: এ চারটি বর্ণনার উপরই আমল করা ওয়াজিব, এর কোনটিকে পরিত্যাগ করা জায়িয নয়। সুন্নায় যেরূপ বর্ণিত আছে, প্রত্যেক অবস্থায় সেরূপই আমল করবে। ফলে যদি ভুল করে দ্বিতীয় বা তৃতীয় রাকাতে সালাম ফিরে ফেলে, সে তার সালাত পূর্ণ করবে এবং সালামের পরে দুটি সাহু সিজদা করবে- তাহলে সেটা হবে আবূ হুরাইরা ও ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) এর হাদীস অনুযায়ী-যা আমরা বর্ণনা করেছি।  আর যদি দ্বিতীয় রাকাতে না বসে উঠে পড়ে, তবে সে তার সালাত পূর্ণ করবে এবং সালামের পূর্বে দুটি সাহু সিজদা করবে- যা হবে ইবনু বুহাইনা (রাঃ) এর হাদীস অনুযায়ী। আর যদি সন্দেহ হয়- তৃতীয় নাকি চতুর্থ রাকাত, তবে তার দৃঢ় বিশ্বাসের উপর নির্ভর করবে – যা আমরা বর্ণনা করেছি- সে সালামের পূর্বে দুটি সাহু সিজদা করবে- যা হবে আবূ সাঈদ আল-খুদরী ও আব্দুর রহমান ইবনু আউফ (রাঃ) এর বর্ণনা অনুযায়ী। আর যদি মুলেই সন্দেহ হয় আদৌ কত রাকাত পড়েছে, তাহলে সে তার প্রবল ধারণা অনুযায়ী আমল করবে, এবং তার সালাত পূর্ণ করবে, অতঃপর সালামের পরে দুটি সাহু সিজদা করবে- যা হবে ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর হাদীস অনুযায়ী। এভাবে তখন সকল হাদীসের উপরই আমল হয়ে যাবে- যা সবই আমরা বর্ণনা করেছি। আর যদি সালাতে এ চার অবস্থা ব্যতীত অন্য কোন অবস্থায় পতিত হয়, তখন সে আমাদের উল্লেখিত চার অবস্থার যে অবস্থার সাথে মিলে যায়, সেই অনুযায়ী আমল করবে।

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: [ص: 152]
إِذَا نُودِيَ بِالْأَذَانِ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ لَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لَا يَسْمَعَ الْأَذَانَ فَإِذَا قُضِيَ الْأَذَانُ أَقْبَلَ فَإِذَا ثُوِّبَ بِهَا أَدْبَرَ فَإِذَا قُضِيَ التَّثْوِيبُ أَقْبَلَ يَخْطُرُ بَيْنَ الْمَرْءِ وَنَفْسِهِ: اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا لِمَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ إِنْ يَدْرِي كَمْ صَلَّى فَإِذَا لَمْ يَدْرِ كم صلى؟ فليسجد سجدتين وهو جالِس)
= [18: 5]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (صحيح أبي داود) (529): ق.
الحديث: 16 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 151

اخبرنا عبد الله بن محمد الازدي قال: حدثنا اسحاق بن ابراهيم قال: اخبرنا معاذ بن هشام قال: حدثني ابي عن يحيى بن ابي كثير قال: حدثنا ابو سلمة عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: [ص: 152] اذا نودي بالاذان ادبر الشيطان له ضراط حتى لا يسمع الاذان فاذا قضي الاذان اقبل فاذا ثوب بها ادبر فاذا قضي التثويب اقبل يخطر بين المرء ونفسه: اذكر كذا اذكر كذا لما لم يكن يذكر حتى يظل الرجل ان يدري كم صلى فاذا لم يدر كم صلى؟ فليسجد سجدتين وهو جالس) = [18: 5] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - (صحيح ابي داود) (529): ق. الحديث: 16 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 151

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

১৭. আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ! তোমাদের সকলেই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কেবল সেই ব্যক্তি ব্যতীত যে অস্বীকার করে ও আল্লাহর আনুগত্য থেকে বের হয়ে যায়, যেমন উট বের হয়ে যায়।” তারা বললেন, জান্নাতে প্রবেশ করতে অস্বীকার করে কোন্ ব্যক্তি, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন: যে আমার আনুগত্য করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার অবাধ্য হবে, সেই হলো অস্বীকারকারী।”[1]


قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: طَاعَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هِيَ الِانْقِيَادُ لِسُنَّتِهِ بِتَرْكِ الْكَيْفِيَّةِ وَالْكَمِّيَّةِ فِيهَا مَعَ رَفْضِ قَوْلِ كُلِّ مَنْ قَالَ شَيْئًا فِي دِينِ اللَّهِ جَلَّ وعلا بخلاف سنته الِاحْتِيَالِ فِي دَفْعِ السُّنَنِ بِالتَّأْوِيلَاتِ الْمُضْمَحِلَّةِ وَالْمُخْتَرَعَاتِ الداحضة

আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য হলো তাঁর সুন্নাতের ধরণ-প্রকৃতি এবং আকার-আকৃতি (মাপা-জোখা) নির্ণয় ব্যতিরেকেই তাঁর সুন্নাতের কাছে আত্মসমর্পণ করা। তার সাথে যারা সুন্নাতের বিপরীতে গোপন অপব্যাখ্যা এবং বাতিল নব-আবিস্কৃত বিষয়ের দ্বারা তাঁর সুন্নাতকে প্রতিহত করার জন্য আল্লাহর দীনের কোন বিষয়ে প্রতারনাপূর্ণ মতামত প্রকাশ করবে, এমন লোকদেরকে বর্জন করা।


 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمَنَاهِيَ عَنِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْأَوَامِرَ فَرْضٌ عَلَى حَسَبِ الطَّاقَةِ عَلَى أُمَّتِهِ لَا يَسَعُهُمُ التَّخَلُّفُ عَنْهَا
নাবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিষেধাজ্ঞা ও আদিষ্ট বিষয়সমূহ তাঁর উম্মাতের উপরে তাদের সাধ্য অনুসারে পালন করা ফরয- এ থেকে বিরত থাকার কোন অবকাশ নেই।

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بِبُسْتَ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ مَوْلَى ثَقِيفٍ بِنِيسَابُورَ قَالَا: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ خَلِيفَةَ عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ: قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتَدْخُلُنَّ الْجَنَّةَ كُلُّكُمْ إِلَّا مَنْ أَبَى وَشَرَدَ عَلَى اللَّهِ كَشِرَادِ الْبَعِيرِ) قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنْ يَأْبَى أَنْ يَدْخُلَ الْجَنَّةَ؟ قَالَ:
(مَنْ أَطَاعَنِي دَخَلَ الجنة ومن عصاني فقد أبى)
= [2: 1]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (الصحيحة) (2044)
الحديث: 17 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 153

اخبرنا اسحاق بن ابراهيم بن اسماعيل ببست ومحمد بن اسحاق بن ابراهيم مولى ثقيف بنيسابور قالا: حدثنا قتيبة بن سعيد قال: حدثنا خلف بن خليفة عن العلاء بن المسيب عن ابيه عن ابي سعيد الخدري: قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (والذي نفسي بيده لتدخلن الجنة كلكم الا من ابى وشرد على الله كشراد البعير) قالوا: يا رسول الله ومن يابى ان يدخل الجنة؟ قال: (من اطاعني دخل الجنة ومن عصاني فقد ابى) = [2: 1] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - (الصحيحة) (2044) الحديث: 17 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 153

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

১৮. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যে সকল বিষয় তোমাদের (বলা) থেকে বিরত থেকেছি, সে সম্পর্কে তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করো না। কারণ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতগণ তাদের নবীগণের নিকট অধিক প্রশ্নের কারণে এবং তাদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ধ্বংস হয়েছে। অতএব কোন বিষয়ে আমি তোমাদের নিষেধ করলে তা থেকে তোমরা বিরত থাকো এবং আমি তোমাদেরকে কোন বিষয়ের নির্দেশ দিলে তোমরা তা যথাসাধ্য পালন করো।[1]



قَالَ ابْنُ عَجْلَانَ: فَحَدَّثْتُ بِهِ أَبَانَ بْنَ صَالِحٍ فَقَالَ لِي: مَا أَجْوَدَ هَذِهِ الْكَلِمَةَ قَوْلَهُ: (فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ)
ইবনু ইজলান বলেন: অতঃপর আমি আবান ইবনু সালিহের নিকট এ হাদীস বর্ণনা করলে তিনি আমাকে বলেন: তাঁর এ কথাটি কতই সুন্দর: তোমাদের সাধ্যমত তা পালন কর।”

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ النَّوَاهِيَ سَبِيلُهَا الْحَتْمُ وَالْإِيجَابُ إِلَّا أَنْ تَقُومَ الدَّلَالَةُ عَلَى نَدْبِيَّتِهَا
নিষেধাজ্ঞা আবশ্যিক ও বাধ্যতামুলক হওয়ার প্রমাণ- অবশ্য যদি তা মানদূব (উদ্বুদ্ধকৃত) হওয়ার দলীল থাকে তবে তা ভিন্ন কথা।

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ الْجُمَحِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَسُفْيَانَ عَنِ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
(ذَرُونِي مَا تَرَكْتُكُمْ فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِكَثْرَةِ سُؤَالِهِمْ وَاخْتِلَافِهِمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ مَا نَهَيْتُكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَمَا أَمَرْتُكُمْ بِهِ فَأْتُوا منه ما استطعتم)
= [6: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (الإرواء) (155و314): ق.
الحديث: 18 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 154

اخبرنا الفضل بن الحباب الجمحي حدثنا ابراهيم بن بشار حدثنا سفيان عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة وسفيان عن ابن عجلان عن ابيه عن ابي هريرة ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: (ذروني ما تركتكم فانما هلك من كان قبلكم بكثرة سوالهم واختلافهم على انبياىهم ما نهيتكم عنه فانتهوا وما امرتكم به فاتوا منه ما استطعتم) = [6: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - (الارواء) (155و314): ق. الحديث: 18 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 154

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

১৯. (অপর সনদে) আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতগণ তাদের নবীগণের নিকট অধিক প্রশ্নের কারণে এবং তাদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ধ্বংস হয়েছে। অতএব কোন বিষয়ে আমি তোমাদের নিষেধ করলে তা থেকে তোমরা বিরত থাকবে এবং আমি তোমাদেরকে কোন বিষয়ের নির্দেশ দিলে তোমরা তা যথাসাধ্য পালন করবে।[1]

فَصْلٌ

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
(إِنَّمَا أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ سُؤَالُهُمْ وَاخْتِلَافُهُمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ فَإِذَا نَهَيْتُكُمْ عَنْ شَيْءٍ فَاجْتَنِبُوهُ وَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بأمر فأتوا منه ما استطعتم)
= [1: 2]

[تعليق الشيخ الألباني]
[ص: 155]
صحيح - (الإرواء) أيضاً: ق.
الحديث: 19 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 154

حدثنا عمر بن محمد الهمداني حدثنا محمد بن اسماعيل البخاري حدثنا اسماعيل بن ابي اويس حدثني مالك عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: (انما اهلك من كان قبلكم سوالهم واختلافهم على انبياىهم فاذا نهيتكم عن شيء فاجتنبوه واذا امرتكم بامر فاتوا منه ما استطعتم) = [1: 2] [تعليق الشيخ الالباني] [ص: 155] صحيح - (الارواء) ايضا: ق. الحديث: 19 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 154

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

২০. (অপর সনদে) আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন বিষয়ে আমি তোমাদের নিষেধ করি, তা থেকে তোমরা বিরত থাকবে এবং যখন আমি তোমাদেরকে কোন বিষয়ের নির্দেশ দিই, তোমরা তা যথাসাধ্য পালন করবে।[1]

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي السَّرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ قَالَ: هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(مَا نَهَيْتُكُمْ عَنْ شَيْءٍ فَاجْتَنِبُوهُ وَمَا أمرتكم بالأمر فأتوا منه ما استطعتم)
= [3: 2]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - وهو مختصر ما قبله.

اخبرنا محمد بن الحسن بن قتيبة قال: حدثنا ابن ابي السري قال: حدثنا عبد الرزاق قال: اخبرنا معمر عن همام بن منبه قال: هذا ما حدثنا ابو هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (ما نهيتكم عن شيء فاجتنبوه وما امرتكم بالامر فاتوا منه ما استطعتم) = [3: 2] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - وهو مختصر ما قبله.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

২১. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদের কাছে যে বিষয়গুলি এড়িয়ে যাই, তোমরা সে ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞাসা করো না। কেননা, নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতগণ তাদের নবীগণের নিকট অধিক প্রশ্নের কারণে এবং তাদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ধ্বংস হয়েছে। অতএব যখন আমি কোন বিষয়ে তোমাদের নিষেধ করি, তা থেকে তোমরা বিরত থাকবে এবং যখন আমি তোমাদেরকে কোন বিষয়ের নির্দেশ দিই, তোমরা তা যথাসাধ্য পালন করবে।[1]

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي السَّرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(ذَرُونِي مَا تَرَكْتُكُمْ فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ قَبْلَكُمْ بِسُؤَالِهِمْ وَاخْتِلَافِهِمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ فَإِذَا نَهَيْتُكُمْ عَنْ شَيْءٍ فَاجْتَنِبُوهُ وَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِالشَّيْءِ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ)
= [25: 2]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - وهو مكرر (18)
الحديث: 21 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 155

اخبرنا محمد بن الحسن بن قتيبة قال: حدثنا ابن ابي السري قال: حدثنا عبد الرزاق قال: اخبرنا معمر عن همام بن منبه عن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (ذروني ما تركتكم فانما هلك من قبلكم بسوالهم واختلافهم على انبياىهم فاذا نهيتكم عن شيء فاجتنبوه واذا امرتكم بالشيء فاتوا منه ما استطعتم) = [25: 2] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - وهو مكرر (18) الحديث: 21 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 155

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (وَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِشَيْءٍ) أَرَادَ بِهِ مِنْ أُمُورِ الدِّينِ لَا مِنْ أُمُورِ الدُّنْيَا

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বানী: “যখন আমি কোন বিষয়ে তোমাদের নির্দেশ দিই “- তা হলো দ্বীনী বিষয়, দুনিয়াবী বিষয়ে নয়- এ বিষয়ে বর্ণনা:


২৩. আয়েশা, ছাবিত ও আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের শোরগোল শুনতে পেয়ে জিজ্ঞেস করেনঃ এটা কিসের শোরগোল? সাহাবীগণ বলেন, লোকজন খেজুর গাছের পরাগায়ন করছে (নর খেজুর গাছের কেশর মাদী খেজুর গাছের কেশরের সাথে সংযোগ করছে)। তিনি বলেনঃ তার এরূপ না করলেই ঠিক হতো। অতএব তারা সে বছর উক্ত প্রক্রিয়া ত্যাগ করলো। এতে খেজুর নষ্ট হয়ে গেল। তারা বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জানালে তিনি বলেনঃ যখন তোমাদের পার্থিব কোন বিষয় হবে, সেটা হবে তোমাদের নিজস্ব ব্যাপার, কিন্তু যখন তোমাদের দীনের কোন বিষয় হবে, তখন তার দায়িত্ব আমার উপর অর্পিত হবে।[1]

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ وَثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ:
[ص: 156] أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعَ أَصْوَاتًا فَقَالَ:
(مَا هَذِهِ الْأَصْوَاتُ؟ ) قَالُوا: النَّخْلُ يَأْبِرُونَهُ فَقَالَ:
(لَوْ لَمْ يَفْعَلُوا لَصَلُحَ ذَلِكَ) فَأَمْسَكُوا فَلَمْ يَأْبِرُوا عَامَّتَهُ فَصَارَ شِيصًا فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فقال:
(إِذَا كَانَ شَيْءٌ مِنْ أَمْرِ دُنْيَاكُمْ فَشَأْنُكُمْ وَإِذَا كَانَ شَيْءٌ مِنْ أَمْرِ دِينِكُمْ فَإِلَيَّ)
= [25: 2]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح – ((الصحيحة)) (3977): م.

الحديث: 22 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 155

اخبرنا ابو يعلى قال: حدثنا عبد الاعلى بن حماد قال: حدثنا حماد بن سلمة قال: اخبرنا هشام بن عروة عن ابيه عن عاىشة وثابت عن انس بن مالك: [ص: 156] ان النبي صلى الله عليه وسلم سمع اصواتا فقال: (ما هذه الاصوات؟ ) قالوا: النخل يابرونه فقال: (لو لم يفعلوا لصلح ذلك) فامسكوا فلم يابروا عامته فصار شيصا فذكر ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم فقال: (اذا كان شيء من امر دنياكم فشانكم واذا كان شيء من امر دينكم فالي) = [25: 2] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح – ((الصحيحة)) (3977): م. الحديث: 22 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 155

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (فَمَا أَمَرْتُكُمْ بِشَيْءٍ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ) أَرَادَ بِهِ: مَا أَمَرْتُكُمْ بِشَيْءٍ مِنْ أَمْرِ الدِّينِ لَا مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বানী: “যখন আমি কোন বিষয়ে তোমাদের নির্দেশ দিই, তখন তোমরা সাধ্যমত তা পালন কর “- এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, আমি তোমাদের দ্বীনী বিষয়ে যে আদেশ দিই, দুনিয়ার বিষয়ে নয়- এ সংক্রান্ত বর্ণনা:


২৩. রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় আগমন করলেন, তখন লোকেরা খেজুর গাছের পরাগায়ন করছিল (নর খেজুর গাছের কেশর মাদী খেজুর গাছের কেশরের সাথে সংযোগ করছিল)। বর্ণনাকারী বলেন, তখন জিজ্ঞেস করেনঃ তারা কী করছে? সাহাবীগণ উত্তরে তারা যা করছিল, তা বললেন। তখন তিনি বলেনঃ তার এরূপ না করলেই ভালো হতো। অতএব তারা উক্ত প্রক্রিয়া ত্যাগ করলো। এতে খেজুর ঝরে পড়লো, বা উৎপাদন কমে গেল। তারা বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জানালে তিনি বলেনঃ নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মত একজন মানুষ মাত্র। যখন তোমাদের দ্বীনের কোন বিষয়ে কোন কিছু বলি, তোমরা সেটা অবলম্বন করবে, আর যখন তোমাদের দুনিয়ার কোন বিষয়ে কোন কিছু বলি, তখন (এ বিষয়ে) আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ মাত্র।”[1]

(এর একজন বর্ণনাকারী) ইকরিমাহ বলেন, একথা অথবা এর অনুরূপ (বলেছেন)।

শাইখ (ইবনু হিব্বান) বলেন, (একজন বর্ণনাকারী) আবূ নাজ্জাশী হলেন রাফি’ মুক্ত দাস, যার নাম আতা ইবনু সুহাইব।

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الرُّومِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو النَّجَاشِيِّ قَالَ: حَدَّثَنِي رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ قَالَ:
قَدِمَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَهُمْ يُؤَبِّرُونَ النَّخْلَ - يَقُولُ يُلَقِّحُونَ - قَالَ: فَقَالَ:
مَا تَصْنَعُونَ؟ فَقَالُوا: شَيْئًا كَانُوا يَصْنَعُونَهُ فَقَالَ
لَوْ لَمْ تَفْعَلُوا كَانَ خَيْرًا فَتَرَكُوهَا فَنَفَضَتْ أَوْ نَقَصَتْ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
((إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ إِذَا حَدَّثْتُكُمْ بِشَيْءٍ مِنْ أَمْرِ دِينِكُمْ فَخُذُوا بِهِ وَإِذَا [ص: 157] حَدَّثْتُكُمْ بِشَيْءٍ مِنْ دُنْيَاكُمْ فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ))
= [68: 3]
قال عكرمة: هذا أو نحوه

[تعليق الشيخ الألباني]
حسن صحيح - ((الصحيحة)) - أيضاً -: م.
أَبُو النَّجَاشِيِّ- مَوْلَى رَافِعٍ- اسْمُهُ عَطَاءُ بْنُ صُهَيْبٍ: قَالَهُ الشَّيْخُ
الحديث: 23 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 156

اخبرنا احمد بن الحسن بن عبد الجبار قال: حدثنا عبد الله بن الرومي قال: حدثنا النضر بن محمد قال: حدثنا عكرمة بن عمار قال: حدثني ابو النجاشي قال: حدثني رافع بن خديج قال: قدم نبي الله صلى الله عليه وسلم المدينة وهم يوبرون النخل - يقول يلقحون - قال: فقال: ما تصنعون؟ فقالوا: شيىا كانوا يصنعونه فقال لو لم تفعلوا كان خيرا فتركوها فنفضت او نقصت فذكروا ذلك له فقال صلى الله عليه وسلم: ((انما انا بشر اذا حدثتكم بشيء من امر دينكم فخذوا به واذا [ص: 157] حدثتكم بشيء من دنياكم فانما انا بشر)) = [68: 3] قال عكرمة: هذا او نحوه [تعليق الشيخ الالباني] حسن صحيح - ((الصحيحة)) - ايضا -: م. ابو النجاشي- مولى رافع- اسمه عطاء بن صهيب: قاله الشيخ الحديث: 23 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 156

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

 ذِكْرُ نَفْيِ الْإِيمَانِ عَمَّنْ لَمْ يَخْضَعْ لِسُنَنِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ اعْتَرَضَ عَلَيْهَا بِالْمُقَايَسَاتِ الْمَقْلُوبَةِ وَالْمُخْتَرَعَاتِ الدَّاحِضَةِ

যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ’র অনুগত হবে না, কিংবা উল্টা-পাল্টা কিয়াস (মতামত) ও বিভ্রান্তিকর নব-আবিষ্কৃত বিষয় (বিদআত) - করার দ্বারা সুন্নাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে তার ঈমান প্রত্যাখ্যাত হওয়ার বর্ণনা:



২৪. আবদুল্লাহ্ ইবনুয যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একজন আনসার ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে যুবায়র (রাঃ) -এর সাথে হাররার পানির নালা নিয়ে বিবাদ করে, যা থেকে তারা খেজুর বাগানে পানি সেচ করতেন। আনসারী বললো, তুমি পানি ছেড়ে দাও যাতে তা প্রবাহিত হতে পারে। কিন্তু যুবায়র (রাঃ) তা অস্বীকার করেন। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: হে যুবায়র! তোমার বাগানে পানি সিঞ্চন করো, অতঃপর তোমার প্রতিবেশির দিকে তা পাঠিয়ে দাও। এতে আনসারী অসন্তুষ্ট হয়ে বললো, হে আল্লাহ’র রসূল! আপনার ফুফাতো ভাই তো (তাই এরূপ ফয়সালা দিলেন)। এ কথায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুখমণ্ডল বিবর্ণ হয়ে গেলো। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বললেন: হে যুবায়র! (তোমার বাগানে) পানি সিঞ্চন করো, অতঃপর তা প্রতিরোধ করে রাখো, যতক্ষণ না তা আইল বরাবর হয়। যুবায়র (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমার মতে এ আয়াত উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নাযিল হয় (অনুবাদ): ’’কিন্তু না, তোমার প্রভুর শপথ! তারা মু’মিন হবে না, যতক্ষণ তারা তাদের বিবাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে... (সূরাহ নিসা ৪: ৬৫)[1]

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ:
أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا النَّخْلَ فَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ: سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرَّ فَأَبَى عَلَيْهِ الزُّبَيْرُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ أَرْسِلْ إِلَى جَارِكَ فَغَضِبَ الْأَنْصَارِيُّ وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ؟ فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الجَدْرِ
قَالَ الزُّبَيْرُ: فَوَاللَّهِ لَأَحْسَبُ هَذِهِ الْآيَةَ نَزَلَتْ فِي ذَلِكَ {فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ... } الآية [النساء: 65].
= [36: 5]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: ق.
الحديث: 24 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 157

اخبرنا ابو خليفة حدثنا ابو الوليد حدثنا ليث بن سعد عن ابن شهاب عن عروة بن الزبير ان عبد الله بن الزبير حدثه: ان رجلا من الانصار خاصم الزبير عند رسول الله صلى الله عليه وسلم في شراج الحرة التي يسقون بها النخل فقال الانصاري: سرح الماء يمر فابى عليه الزبير فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اسق يا زبير ثم ارسل الى جارك فغضب الانصاري وقال: يا رسول الله ان كان ابن عمتك؟ فتلون وجه رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اسق يا زبير ثم احبس الماء حتى يرجع الى الجدر قال الزبير: فوالله لاحسب هذه الاية نزلت في ذلك {فلا وربك لا يومنون حتى يحكموك فيما شجر بينهم ... } الاية [النساء: 65]. = [36: 5] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح: ق. الحديث: 24 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 157

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّ مَنِ اعْتَرَضَ عَلَى السُّنَنِ بِالتَّأْوِيلَاتِ الْمُضْمَحِلَّةِ وَلَمْ يَنْقَدْ لِقَبُولِهَا كَانَ مِنْ أَهْلِ الْبِدَعِ

সুন্নাহ’কে বিলুপ্ত করে – এমন অপবাখ্যার মাধ্যমে যে ব্যক্তি সুন্নাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং এর কাছে আত্মসমর্পণ না করে তা গ্রহণ করে, সে ব্যক্তি আহলে বিদ’আত (বিদআতী)- এর প্রমাণ সংক্রান্ত বর্ণনা:


২৫.  আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) ইয়ামান থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এক প্রকার (রঙিন) চামড়ার থলে করে সামান্য কিছু স্বর্ণ পাঠিয়েছিলেন। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার জনের মাঝে স্বর্ণখন্ডটি বণ্টন করে দিলেন। তারা হলেন, যায়দ আল-খায়ল, আকরা ইবনু হাবিস, ’উয়াইনাহ ইবনু হিসন, এবং চতুর্থ জন ’আলক্বামাহ (রাঃ)। তখন মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণের মধ্য থেকে একজন বললেন, এটা পাওয়ার ব্যাপারে তাঁদের অপেক্ষা আমরাই অধিক হাকদার ছিলাম। এরপর কথাটি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছল এবং তাঁর নিকট এটি অত্যন্ত কষ্টকর ছিল। তাই নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কি আমার উপর আস্থা রাখ না অথচ আমি আসমানের অধিবাসীদের আস্থাভাজন, সকাল-বিকাল আমার কাছে আসমানের সংবাদ আসছে।
রাবী বলেন, এমন সময়ে এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়াল। লোকটির চোখ দু’টি ছিল ফোলা, চোয়ালের হাড় যেন বেরিয়ে পড়ছে, উঁচু কপাল বিশিষ্ট, দাড়ি অতি ঘন, মাথাটি ন্যাড়া, পরনের লুঙ্গী উপরে উঠানো (গোটানো)। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহকে ভয় করুন। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার জন্য আফসোস! আল্লাহকে ভয় করার ব্যাপারে দুনিয়াবাসীদের মধ্যে আমি কি অধিক হকদার নই? এরপর লোকটি চলে গেলে আল্লাহর তরবারী, খালিদ বিন ওয়ালীদ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি লোকটির গর্দান উড়িয়ে দেব না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, হতে পারে সে সালাত আদায় করে। খালিদ (রাঃ) বললেন, অনেক সালাত আদায়কারী এমন আছে যারা মুখে এমন এমন কথা উচ্চারণ করে যা তাদের অন্তরে নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকে মানুষের অন্তর ফুঁড়ে এবং পেট ফেড়ে দেখার জন্য বলা হয়নি। তারপর তিনি লোকটির দিকে তাকিয়ে দেখলেন। তখন লোকটি পিঠ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। তিনি বললেন, এ ব্যক্তির বংশ থেকে এমন এক জাতির উদ্ভব হবে যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করবে অথচ আল্লাহর বাণী তাদের গলদেশের নিচে নামবে না। তারা দ্বীন থেকে এভাবে বেরিয়ে যাবে যেভাবে লক্ষ্যবস্তুর দেহ ভেদ করে তীর বেরিয়ে যায়। (বর্ণনাকারী) উমারাহ বলেন, আমার মনে হয় তিনি এ কথাও বলেছেন, যদি আমি তাদেরকে পাই তাহলে অবশ্যই আমি তাদেরকে সামূদ জাতির মতো হত্যা করে দেব।[1]

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ: قَالَ:
بَعَثَ عَلِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْيَمَنِ بِذَهَبٍ فِي أَدَمٍ فَقَسَمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ زَيْدِ الْخَيْلِ وَالْأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ وَعُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنٍ وَعَلْقَمَةَ بْنِ عُلَاثَةَ فَقَالَ أُنَاسٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ: نَحْنُ أَحَقُّ بِهَذَا فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَقَّ عَلَيْهِ وَقَالَ:
(أَلَا تَأْمَنُونِي وَأَنَا أَمِينُ مَنْ فِي السَّمَاءِ يَأْتِينِي خَبَرُ مَنْ فِي السَّمَاءِ صَبَاحًا وَمَسَاءً؟ ) فَقَامَ إِلَيْهِ نَاتِئُ الْعَيْنَيْنِ مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ نَاشِزُ الْوَجْهِ كَثُّ اللِّحْيَةِ مَحْلُوقُ الرَّأْسِ مُشَمَّرُ الْإِزَارِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ اتَّقِ اللَّهَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
أولست بِأَحَقِّ أَهْلِ الْأَرْضِ أَنْ أَتَّقِيَ اللَّهَ ثُمَّ أَدْبَرَ فَقَامَ إِلَيْهِ خَالِدٌ سَيْفُ اللَّهِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا أَضْرِبُ عُنُقَهُ؟ فَقَالَ
لَا إِنَّهُ لَعَلَّهُ يُصَلِّي قَالَ: إِنَّهُ رُبَّ مُصَلٍّ يَقُولُ بِلِسَانِهِ مَا لَيْسَ فِي قَلْبِهِ قَالَ:
إِنِّي لَمْ أُومَرْ أَنْ أَشُقَّ قُلُوبَ النَّاسِ وَلَا أَشُقَّ بُطُونَهُمْ فَنَظَرَ إِلَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُقَفَّى فَقَالَ:
(إِنَّهُ سيخرج من ضئضىء هَذَا قَوْمٌ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ لَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ) قَالَ عُمَارَةُ: [ص: 159] فَحَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ:
(لئن أدركتهم لأقتلنهم قتل ثمود)
= [10: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((الإرواء)) (864 و 2470): ق.
الحديث: 25 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 158

اخبرنا ابو يعلى حدثنا ابو خيثمة حدثنا جرير عن عمارة بن القعقاع عن عبد الرحمن بن ابي نعم عن ابي سعيد الخدري: قال: بعث علي الى رسول الله صلى الله عليه وسلم من اليمن بذهب في ادم فقسمها رسول الله صلى الله عليه وسلم بين زيد الخيل والاقرع بن حابس وعيينة بن حصن وعلقمة بن علاثة فقال اناس من المهاجرين والانصار: نحن احق بهذا فبلغ ذلك النبي صلى الله عليه وسلم فشق عليه وقال: (الا تامنوني وانا امين من في السماء ياتيني خبر من في السماء صباحا ومساء؟ ) فقام اليه ناتى العينين مشرف الوجنتين ناشز الوجه كث اللحية محلوق الراس مشمر الازار فقال: يا رسول الله اتق الله فقال النبي صلى الله عليه وسلم: اولست باحق اهل الارض ان اتقي الله ثم ادبر فقام اليه خالد سيف الله فقال: يا رسول الله الا اضرب عنقه؟ فقال لا انه لعله يصلي قال: انه رب مصل يقول بلسانه ما ليس في قلبه قال: اني لم اومر ان اشق قلوب الناس ولا اشق بطونهم فنظر اليه صلى الله عليه وسلم وهو مقفى فقال: (انه سيخرج من ضىضىء هذا قوم يتلون كتاب الله لا يجاوز حناجرهم يمرقون من الدين كما يمرق السهم من الرمية) قال عمارة: [ص: 159] فحسبت انه قال: (لىن ادركتهم لاقتلنهم قتل ثمود) = [10: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((الارواء)) (864 و 2470): ق. الحديث: 25 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 158

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ كُلَّ مَنْ أَحْدَثَ فِي دِينِ اللَّهِ حُكْمًا لَيْسَ مَرْجِعُهُ إِلَى الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ فَهُوَ مَرْدُودٌ غَيْرُ مَقْبُولٍ

যে ব্যক্তি আল্লাহর এই দীনের মধ্যে এমন হুকুম-আহকাম প্রবর্তন করবে যা কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা সমর্থিত নয়, এমন প্রতিটি বিষয়ই প্রত্যাখ্যাত, কবুলযোগ্য নয়’- এ সম্পর্কিত বর্ণনা:



২৭. আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের এই দীনের মধ্যে এমন কিছু প্রবর্তন করবে যা তাতে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।[1]

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الدُّولَابِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ حَدَّثَنَا أَبِي عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هذا ما ليس منه فهو رد)
= [43: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: ق _ انظر ما قبله.
الحديث: 27 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 159

اخبرنا احمد بن علي بن المثنى حدثنا محمد بن الصباح الدولابي حدثنا ابراهيم بن سعد حدثنا ابي عن القاسم بن محمد عن عاىشة قالت: قال: رسول الله صلى الله عليه وسلم: (من احدث في امرنا هذا ما ليس منه فهو رد) = [43: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح: ق _ انظر ما قبله. الحديث: 27 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 159

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

 ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنْ أَنْ يُحدِثَ الْمَرْءُ فِي أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللَّهُ ولا رسوله

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুমতি ব্যতীত মুসলিমদের ব্যাপারে কোন ব্যক্তির কথা বলার ব্যাপারে ধমকি/ নিষেধাজ্ঞা:


২৭.  আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের এই দীনের মধ্যে এমন কিছু প্রবর্তন করবে যা তাতে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত। [1]

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ:
أَنَّ رَجُلًا أَوْصَى بِوَصَايَا أَبَّرَهَا فِي مَالِهِ فذهبتُ إِلَى الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَسْتَشِيرُهُ فَقَالَ الْقَاسِمُ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا ما ليس منه فهو رد)
= [86: 2]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((الإرواء)) (88)، ((غاية المرام)) (5): ق.
الحديث: 26 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 159

اخبرنا الحسن بن سفيان قال: حدثنا محمد بن خالد بن عبد الله قال حدثنا ابراهيم بن سعد عن ابيه: ان رجلا اوصى بوصايا ابرها في ماله فذهبت الى القاسم بن محمد استشيره فقال القاسم: سمعت عاىشة تقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (من احدث في امرنا هذا ما ليس منه فهو رد) = [86: 2] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((الارواء)) (88)، ((غاية المرام)) (5): ق. الحديث: 26 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 159

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে