২৫

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّ مَنِ اعْتَرَضَ عَلَى السُّنَنِ بِالتَّأْوِيلَاتِ الْمُضْمَحِلَّةِ وَلَمْ يَنْقَدْ لِقَبُولِهَا كَانَ مِنْ أَهْلِ الْبِدَعِ

সুন্নাহ’কে বিলুপ্ত করে – এমন অপবাখ্যার মাধ্যমে যে ব্যক্তি সুন্নাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং এর কাছে আত্মসমর্পণ না করে তা গ্রহণ করে, সে ব্যক্তি আহলে বিদ’আত (বিদআতী)- এর প্রমাণ সংক্রান্ত বর্ণনা:


২৫.  আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) ইয়ামান থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এক প্রকার (রঙিন) চামড়ার থলে করে সামান্য কিছু স্বর্ণ পাঠিয়েছিলেন। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার জনের মাঝে স্বর্ণখন্ডটি বণ্টন করে দিলেন। তারা হলেন, যায়দ আল-খায়ল, আকরা ইবনু হাবিস, ’উয়াইনাহ ইবনু হিসন, এবং চতুর্থ জন ’আলক্বামাহ (রাঃ)। তখন মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণের মধ্য থেকে একজন বললেন, এটা পাওয়ার ব্যাপারে তাঁদের অপেক্ষা আমরাই অধিক হাকদার ছিলাম। এরপর কথাটি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছল এবং তাঁর নিকট এটি অত্যন্ত কষ্টকর ছিল। তাই নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কি আমার উপর আস্থা রাখ না অথচ আমি আসমানের অধিবাসীদের আস্থাভাজন, সকাল-বিকাল আমার কাছে আসমানের সংবাদ আসছে।
রাবী বলেন, এমন সময়ে এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়াল। লোকটির চোখ দু’টি ছিল ফোলা, চোয়ালের হাড় যেন বেরিয়ে পড়ছে, উঁচু কপাল বিশিষ্ট, দাড়ি অতি ঘন, মাথাটি ন্যাড়া, পরনের লুঙ্গী উপরে উঠানো (গোটানো)। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহকে ভয় করুন। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার জন্য আফসোস! আল্লাহকে ভয় করার ব্যাপারে দুনিয়াবাসীদের মধ্যে আমি কি অধিক হকদার নই? এরপর লোকটি চলে গেলে আল্লাহর তরবারী, খালিদ বিন ওয়ালীদ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি লোকটির গর্দান উড়িয়ে দেব না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, হতে পারে সে সালাত আদায় করে। খালিদ (রাঃ) বললেন, অনেক সালাত আদায়কারী এমন আছে যারা মুখে এমন এমন কথা উচ্চারণ করে যা তাদের অন্তরে নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকে মানুষের অন্তর ফুঁড়ে এবং পেট ফেড়ে দেখার জন্য বলা হয়নি। তারপর তিনি লোকটির দিকে তাকিয়ে দেখলেন। তখন লোকটি পিঠ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। তিনি বললেন, এ ব্যক্তির বংশ থেকে এমন এক জাতির উদ্ভব হবে যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করবে অথচ আল্লাহর বাণী তাদের গলদেশের নিচে নামবে না। তারা দ্বীন থেকে এভাবে বেরিয়ে যাবে যেভাবে লক্ষ্যবস্তুর দেহ ভেদ করে তীর বেরিয়ে যায়। (বর্ণনাকারী) উমারাহ বলেন, আমার মনে হয় তিনি এ কথাও বলেছেন, যদি আমি তাদেরকে পাই তাহলে অবশ্যই আমি তাদেরকে সামূদ জাতির মতো হত্যা করে দেব।[1]

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ: قَالَ:
بَعَثَ عَلِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْيَمَنِ بِذَهَبٍ فِي أَدَمٍ فَقَسَمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ زَيْدِ الْخَيْلِ وَالْأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ وَعُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنٍ وَعَلْقَمَةَ بْنِ عُلَاثَةَ فَقَالَ أُنَاسٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ: نَحْنُ أَحَقُّ بِهَذَا فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَقَّ عَلَيْهِ وَقَالَ:
(أَلَا تَأْمَنُونِي وَأَنَا أَمِينُ مَنْ فِي السَّمَاءِ يَأْتِينِي خَبَرُ مَنْ فِي السَّمَاءِ صَبَاحًا وَمَسَاءً؟ ) فَقَامَ إِلَيْهِ نَاتِئُ الْعَيْنَيْنِ مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ نَاشِزُ الْوَجْهِ كَثُّ اللِّحْيَةِ مَحْلُوقُ الرَّأْسِ مُشَمَّرُ الْإِزَارِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ اتَّقِ اللَّهَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
أولست بِأَحَقِّ أَهْلِ الْأَرْضِ أَنْ أَتَّقِيَ اللَّهَ ثُمَّ أَدْبَرَ فَقَامَ إِلَيْهِ خَالِدٌ سَيْفُ اللَّهِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا أَضْرِبُ عُنُقَهُ؟ فَقَالَ
لَا إِنَّهُ لَعَلَّهُ يُصَلِّي قَالَ: إِنَّهُ رُبَّ مُصَلٍّ يَقُولُ بِلِسَانِهِ مَا لَيْسَ فِي قَلْبِهِ قَالَ:
إِنِّي لَمْ أُومَرْ أَنْ أَشُقَّ قُلُوبَ النَّاسِ وَلَا أَشُقَّ بُطُونَهُمْ فَنَظَرَ إِلَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُقَفَّى فَقَالَ:
(إِنَّهُ سيخرج من ضئضىء هَذَا قَوْمٌ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ لَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ) قَالَ عُمَارَةُ: [ص: 159] فَحَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ:
(لئن أدركتهم لأقتلنهم قتل ثمود)
= [10: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((الإرواء)) (864 و 2470): ق.
الحديث: 25 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 158

اخبرنا ابو يعلى حدثنا ابو خيثمة حدثنا جرير عن عمارة بن القعقاع عن عبد الرحمن بن ابي نعم عن ابي سعيد الخدري: قال: بعث علي الى رسول الله صلى الله عليه وسلم من اليمن بذهب في ادم فقسمها رسول الله صلى الله عليه وسلم بين زيد الخيل والاقرع بن حابس وعيينة بن حصن وعلقمة بن علاثة فقال اناس من المهاجرين والانصار: نحن احق بهذا فبلغ ذلك النبي صلى الله عليه وسلم فشق عليه وقال: (الا تامنوني وانا امين من في السماء ياتيني خبر من في السماء صباحا ومساء؟ ) فقام اليه ناتى العينين مشرف الوجنتين ناشز الوجه كث اللحية محلوق الراس مشمر الازار فقال: يا رسول الله اتق الله فقال النبي صلى الله عليه وسلم: اولست باحق اهل الارض ان اتقي الله ثم ادبر فقام اليه خالد سيف الله فقال: يا رسول الله الا اضرب عنقه؟ فقال لا انه لعله يصلي قال: انه رب مصل يقول بلسانه ما ليس في قلبه قال: اني لم اومر ان اشق قلوب الناس ولا اشق بطونهم فنظر اليه صلى الله عليه وسلم وهو مقفى فقال: (انه سيخرج من ضىضىء هذا قوم يتلون كتاب الله لا يجاوز حناجرهم يمرقون من الدين كما يمرق السهم من الرمية) قال عمارة: [ص: 159] فحسبت انه قال: (لىن ادركتهم لاقتلنهم قتل ثمود) = [10: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((الارواء)) (864 و 2470): ق. الحديث: 25 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 158

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)