পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ
ذِكْرُ نَفْيِ الْإِيمَانِ عَمَّنْ لَمْ يَخْضَعْ لِسُنَنِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ اعْتَرَضَ عَلَيْهَا بِالْمُقَايَسَاتِ الْمَقْلُوبَةِ وَالْمُخْتَرَعَاتِ الدَّاحِضَةِ
যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ’র অনুগত হবে না, কিংবা উল্টা-পাল্টা কিয়াস (মতামত) ও বিভ্রান্তিকর নব-আবিষ্কৃত বিষয় (বিদআত) - করার দ্বারা সুন্নাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে তার ঈমান প্রত্যাখ্যাত হওয়ার বর্ণনা:
২৪. আবদুল্লাহ্ ইবনুয যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একজন আনসার ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে যুবায়র (রাঃ) -এর সাথে হাররার পানির নালা নিয়ে বিবাদ করে, যা থেকে তারা খেজুর বাগানে পানি সেচ করতেন। আনসারী বললো, তুমি পানি ছেড়ে দাও যাতে তা প্রবাহিত হতে পারে। কিন্তু যুবায়র (রাঃ) তা অস্বীকার করেন। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: হে যুবায়র! তোমার বাগানে পানি সিঞ্চন করো, অতঃপর তোমার প্রতিবেশির দিকে তা পাঠিয়ে দাও। এতে আনসারী অসন্তুষ্ট হয়ে বললো, হে আল্লাহ’র রসূল! আপনার ফুফাতো ভাই তো (তাই এরূপ ফয়সালা দিলেন)। এ কথায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুখমণ্ডল
বিবর্ণ হয়ে গেলো। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: হে যুবায়র! (তোমার বাগানে) পানি সিঞ্চন করো, অতঃপর তা প্রতিরোধ করে রাখো, যতক্ষণ না তা আইল বরাবর হয়। যুবায়র (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমার মতে এ আয়াত উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নাযিল হয় (অনুবাদ): ’’কিন্তু না, তোমার প্রভুর শপথ! তারা মু’মিন হবে না, যতক্ষণ তারা তাদের বিবাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে... (সূরাহ নিসা ৪: ৬৫)[1]
فَصْلٌ
أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ:
أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا النَّخْلَ فَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ: سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرَّ فَأَبَى عَلَيْهِ الزُّبَيْرُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ أَرْسِلْ إِلَى جَارِكَ فَغَضِبَ الْأَنْصَارِيُّ وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ؟ فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الجَدْرِ
قَالَ الزُّبَيْرُ: فَوَاللَّهِ لَأَحْسَبُ هَذِهِ الْآيَةَ نَزَلَتْ فِي ذَلِكَ {فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ... } الآية [النساء: 65].
= [36: 5]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: ق.
الحديث: 24 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 157
আরনাউত্ব: বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, ২৩৫৯-২৩৬০; মুসলিম, ২৩৫৭; আবূ দাউদ ৩৬৩৭; তিরমিযী, ১৩৬৩; নাসাঈ, ৮/২৪৫; আহমাদ ১/১৬৫।