সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি) ১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ১. আল্লাহ তা’য়ালার হামদ্ (প্রশংসা) দ্বারা শুরু করার বিষয়ে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে

 ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ ابْتِدَاءِ الْحَمْدِ لِلَّهِ جَلَّ وَعَلَا فِي أَوَائِلِ كَلَامِهِ عِنْدَ بُغْيَةِ مَقَاصِدِهِ
কাঙ্খিত উদ্দেশ্যে বক্তব্যের শুরুতে আল্লাহ জাল্লা ওয়া ’আলা’র প্রশংসা দিয়ে শুরু করা ওয়াজিব’- এটি যে সকল হাদীসের দ্বারা সাব্যস্ত হয়, সেই সকল হাদীসের বর্ণনা


১. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যে কাজ আল্লাহ’র প্রশংসা দ্বারা শুরু করা হয় না, তা কর্তিত (ত্রুটিপূর্ণ)।”[1]

ُ مَا جَاءَ فِي الِابْتِدَاءِ بِحَمْدِ اللَّهِ تعالى

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَطَّانُ قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ أَبِي الْعِشْرِينَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ قُرَّةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(كُلُّ أَمْرٍ ذِي بَالٍ لَا يُبْدَأُ فِيهِ بِحَمْدِ اللَّهِ فَهُوَ أقطع)
[تعليق الشيخ الألباني]
ضعيف - (الإرواء) (1/ 30/2)

اخبرنا الحسين بن عبد الله القطان قال: حدثنا هشام بن عمار قال: حدثنا عبد الحميد بن ابي العشرين قال: حدثنا الاوزاعي عن قرة عن الزهري عن ابي سلمة عن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (كل امر ذي بال لا يبدا فيه بحمد الله فهو اقطع) [تعليق الشيخ الالباني] ضعيف - (الارواء) (1/ 30/2)

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ১. আল্লাহ তা’য়ালার হামদ্ (প্রশংসা) দ্বারা শুরু করার বিষয়ে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে


 ذِكْرُ الْأَمْرِ لِلْمَرْءِ أَنْ تَكُونَ فَوَاتِحُ أَسْبَابِهِ بِحَمْدِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا لِئَلَّا تَكُونَ أَسْبَابُهُ بتراً

আল্লাহর প্রশংসা দ্বারা যেন সকল কর্মের সূচনা হয়, যাতে কর্মটি ত্রুটিপূর্ণ না হয়


২. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যে কাজ আল্লাহ’র প্রশংসা দ্বারা শুরু করা হয় না, তা কর্তিত (ত্রুটিপূর্ণ)।”[1]

ُ مَا جَاءَ فِي الِابْتِدَاءِ بِحَمْدِ اللَّهِ تعالى

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْقَطَّانُ أَبُو عَلِيٍّ بِالرَّقَّةِ قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ قُرَّةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(كُلُّ أَمْرٍ ذِي بَالٍ لَا يُبْدَأُ فِيهِ بِحَمْدِ الله أقطع)
[تعليق الشيخ الألباني]
ضعيف - مكرر ما قبله.

الحديث: 2 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 143

اخبرنا الحسين بن عبد الله بن يزيد القطان ابو علي بالرقة قال: حدثنا هشام بن عمار قال: حدثنا شعيب بن اسحاق عن الاوزاعي عن قرة عن الزهري عن ابي سلمة عن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (كل امر ذي بال لا يبدا فيه بحمد الله اقطع) [تعليق الشيخ الالباني] ضعيف - مكرر ما قبله. الحديث: 2 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 143

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ

৩. আবূ মূসা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার ও আমাকে আল্লাহ্ যা কিছু দিয়ে পাঠিয়েছেন তার উদাহরণ হল এমন যে, এক লোক তার গোত্রের নিকট এসে বলল, হে আমার গোত্রের লোকেরা! আমি নিজের চোখে সেনাবাহিনীকে দেখে এসেছি। আমি সুস্পষ্ট সতর্ককারী। গোত্রের কিছু লোক তার কথা মেনে নিল, সুতরাং তারা সে জায়গা ছেড়ে কল্যাণের পথে রওনা হল ফলে তারা রক্ষা পেল। তাদের মধ্যেকার আর একদল লোক তার কথা মিথ্যা জানল, ফলে তারা নিজেদের জায়গাতেই রয়ে গেল। সকাল বেলায় শত্রুবাহিনী তাদের উপর আক্রমণ চালাল, তাদেরকে ধ্বংস করে দিল এবং তাদেরকে উৎপাটিত করে দিল। এই হল তাদের দৃষ্টান্ত যারা আমার আনুগত্য করে এবং আমি যা নিয়ে এসেছি তার অনুসরণ করে এবং তাদের দৃষ্টান্ত যারা আমার কথা অমান্য করে এবং আমি যে সত্য নিয়ে এসেছি তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।”[1]

بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً

أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا بُرَيْدٌ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
إِنَّ مَثَلِي وَمَثَلَ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَتَى قَوْمَهُ فَقَالَ: يَا قَوْمِ إِنِّي رَأَيْتُ الْجَيْشَ وَإِنِّي أَنَا النَّذِيرُ فَأَطَاعَهُ طَائِفَةٌ مِنْ قَوْمِهِ فَانْطَلَقُوا عَلَى مَهْلِهِمْ فَنَجَوْا وَكَذَّبَهُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ فَأَصْبَحُوا مَكَانَهُمْ فَصَبَّحَهُمُ الْجَيْشُ وَأَهْلَكَهُمْ وَاجْتَاحَهُمْ فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ أَطَاعَنِي وَاتَّبَعَ مَا جِئْتُ بِهِ وَمَثَلُ مَنْ عَصَانِي وَكَذَّبَ مَا جِئْتُ بِهِ مِنَ الحق)

الجزء: 1 ¦ الصفحة: 144

اخبرنا ابو يعلى حدثنا ابو كريب حدثنا ابو اسامة حدثنا بريد عن ابي بردة عن ابي موسى عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ان مثلي ومثل ما بعثني الله به كمثل رجل اتى قومه فقال: يا قوم اني رايت الجيش واني انا النذير فاطاعه طاىفة من قومه فانطلقوا على مهلهم فنجوا وكذبه طاىفة منهم فاصبحوا مكانهم فصبحهم الجيش واهلكهم واجتاحهم فذلك مثل من اطاعني واتبع ما جىت به ومثل من عصاني وكذب ما جىت به من الحق) الجزء: 1 ¦ الصفحة: 144

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ

৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে যে হিদায়াত ও ’ইল্ম দিয়ে পাঠিয়েছেন তার দৃষ্টান্ত হল ভূমির উপর পতিত প্রবল বর্ষণের ন্যায়। কোন কোন ভূমি থাকে উর্বর যা সে পানি শুষে নিয়ে প্রচুর পরিমাণে ঘাসপাতা এবং সবুজ তরুলতা উৎপাদন করে। এছাড়াও, তা পানি আটকে রাখে। পরে আল্লাহ তা’আলা তা দিয়ে মানুষের উপকার করেন; তারা নিজেরা পান করে ও (পশুপালকে) পান করায় এবং তা দ্বারা চাষাবাদ করে। আবার কোন কোন জমি রয়েছে যা একেবারে মসৃণ ও সমতল; তা না পানি আটকে রাখে, আর না কোন ঘাসপাতা উৎপাদন করে। এই হল সে ব্যক্তির দৃষ্টান্ত যে আল্লাহ’র দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করে এবং আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে যা দিয়ে প্রেরণ করেছেন তা তার উপকারে আসে। ফলে সে নিজে শিক্ষা করে এবং আমল করে। আর সে ব্যক্তির দৃষ্টান্ত- যে সে দিকে মাথা তুলেও দেখে না এবং আল্লাহর যে হিদায়াত নিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি, তা গ্রহণও করে না।”[1]

بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً

وَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(إِنَّ مَثَلَ مَا آتَانِي اللَّهُ مِنَ الْهُدَى وَالْعِلْمِ كَمَثَلِ غَيْثٍ أَصَابَ أَرْضًا فَكَانَتْ مِنْهَا طَائِفَةٌ طَيِّبَةٌ قَبِلَتْ ذَلِكَ فَأَنْبَتَتِ الْكَلَأَ وَالْعُشْبَ الْكَثِيرَ وَأَمْسَكَتِ الْمَاءَ فَنَفَعَ اللَّهُ بِهَا النَّاسَ فَشَرِبُوا مِنْهَا وَسَقَوْا وَزَرَعُوا وَأَصَابَ مِنْهَا طَائِفَةٌ أُخْرَى إِنَّمَا هِيَ قِيعَانٌ لَا تُمْسِكُ مَاءً وَلَا تُنْبِتُ كَلَأً فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ فَقُهَ فِي دِينِ اللَّهِ وَنَفَعَهُ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ فَعَلِمَ وَعَمِلَ وَمَثَلُ مَنْ لَمْ يَرْفَعْ بِذَلِكَ رَأْسًا وَلَمْ يَقْبَلْ هُدَى اللَّهِ الَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ)
[تعليق الشيخ الألباني :صحيح: ق.]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: ق.

الحديث: 3 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 144

وقال صلى الله عليه وسلم: (ان مثل ما اتاني الله من الهدى والعلم كمثل غيث اصاب ارضا فكانت منها طاىفة طيبة قبلت ذلك فانبتت الكلا والعشب الكثير وامسكت الماء فنفع الله بها الناس فشربوا منها وسقوا وزرعوا واصاب منها طاىفة اخرى انما هي قيعان لا تمسك ماء ولا تنبت كلا فذلك مثل من فقه في دين الله ونفعه ما بعثني الله به فعلم وعمل ومثل من لم يرفع بذلك راسا ولم يقبل هدى الله الذي ارسلت به) [تعليق الشيخ الالباني :صحيح: ق.] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح: ق. الحديث: 3 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 144

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ

 ذِكْرُ وَصْفِ الْفِرْقَةِ النَّاجِيَةِ مِنْ بَيْنِ الْفَرَقِ الَّتِي تَفْتَرِقُ عَلَيْهَا أُمَّةُ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত যে সকল ফিরকাসমূহে বিভক্ত হবে, তাদের মোকাবেলায় ফিরকায়ে নাজিয়াহ (মুক্তিপ্রাপ্ত দল) এর বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা:


৫. আব্দুর রাহমান ইবনু আমর আস-সুলামী ও হুজর ইবনু হুজর আলকালাঈ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা ইরবাদ ইবনু সারিয়াহ (রাঃ)-এর নিকট আসলাম। যাদের সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল হয়েছে তিনি তাদের অন্তর্ভুক্তঃ ’’তাদেরও কোনো অপরাধ নেই যারা তোমার নিকট বাহনের জন্য এলে তুমি বলেছিলেঃ আমি তোমাদের জন্য কোনো বাহনের ব্যবস্থা করতে পারছি না।’’ (সূরা আত-তাওবাঃ ৯২)।

আমরা সালাম দিয়ে বললাম, আমরা আপনাকে দেখতে এবং আপনার কাছ থেকে কিছু অর্জন করতে এসেছি। তখন ইরবাদ (রাঃ) বললেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন, অতঃপর আমাদের দিকে ফিরে আমাদের উদ্দেশ্য জ্বালাময়ী ভাষণ দিলেন, তাতে চোখগুলো অশ্রুসিক্ত হলো এবং অন্তরগুলো বিগলিত হলো।

তখন এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ যেন বিদায়ী ভাষণ! অতএব আপনি আমাদেরকে কি নির্দেশ দেন? তিনি বলেনঃ আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতির এবং শ্রবণ ও আনুগত্যের উপদেশ দিচ্ছি, যদিও সে (আমীর) একজন অঙ্গকর্তিত হাবশী গোলামও হয়। কারণ তোমাদের মধ্যে যারা জীবিত থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতবিরোধ দেখবে। তখন তোমরা অবশ্যই আমার সুন্নাত এবং আমার হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাত অনুসরণ করবে, তা আঁকড়ে ধরবে, এমনকি তা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। সাবধান থাকবে (ধর্মে) প্রতিটি নব আবিষ্কৃত বিষয় সম্পর্কে! কারণ প্রতিটি নব আবিষ্কার হলো বিদ’আত এবং প্রতিটি বিদ’আত হলো ভ্রষ্টতা।[1]

بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً

أخبرنا أحمد بن مكرم بن خالد البرتي حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو السُّلَمِيُّ وَحُجْرُ بْنُ حُجْرٍ الْكَلَاعِيُّ قَالَا:
أَتَيْنَا الْعِرْبَاضَ بْنَ سَارِيَةَ وَهُوَ مِمَّنْ نَزَلَ فِيهِ: {وَلَا عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ} [التوبة: 92] فَسَلَّمْنَا وَقُلْنَا: أَتَيْنَاكَ زَائِرَيْنَ وَمُقْتَبِسَيْنِ فَقَالَ الْعِرْبَاضُ:
(صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّبْحَ ذَاتَ يَوْمٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ فَقَالَ قَائِلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَأَنَّ هَذِهِ مَوْعِظَةَ مُوَدِّعٍ فَمَاذَا تَعْهَدُ إِلَيْنَا؟ قَالَ:
أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا مُجَدَّعًا فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ فَسَيَرَى اخْتِلَافًا كَثِيرًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ فَتَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وكل بدعة ضلالة)

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (الصحيحة) (937 و 3007) , (ظلال الجنة) (26 ـ 34).

اخبرنا احمد بن مكرم بن خالد البرتي حدثنا علي بن المديني حدثنا الوليد بن مسلم حدثنا ثور بن يزيد حدثني خالد بن معدان حدثني عبد الرحمن بن عمرو السلمي وحجر بن حجر الكلاعي قالا: اتينا العرباض بن سارية وهو ممن نزل فيه: {ولا على الذين اذا ما اتوك لتحملهم قلت لا اجد ما احملكم عليه} [التوبة: 92] فسلمنا وقلنا: اتيناك زاىرين ومقتبسين فقال العرباض: (صلى بنا رسول الله صلى الله عليه وسلم الصبح ذات يوم ثم اقبل علينا فوعظنا موعظة بليغة ذرفت منها العيون ووجلت منها القلوب فقال قاىل: يا رسول الله كان هذه موعظة مودع فماذا تعهد الينا؟ قال: اوصيكم بتقوى الله والسمع والطاعة وان عبدا حبشيا مجدعا فانه من يعش منكم فسيرى اختلافا كثيرا فعليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين فتمسكوا بها وعضوا عليها بالنواجذ واياكم ومحدثات الامور فان كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة) [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - (الصحيحة) (937 و 3007) , (ظلال الجنة) (26 ـ 34).

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ

قَالَ: أَبُو حَاتِمٍ فِي قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي) عِنْدَ ذِكْرِهِ الِاخْتِلَافَ الَّذِي يَكُونُ فِي أُمَّتِهِ بَيَانٌ وَاضِحٌ أَنَّ مَنْ وَاظَبَ عَلَى السُّنَنِ قَالَ بِهَا وَلَمْ يُعَرِّجْ عَلَى غَيْرِهَا مِنَ الْآرَاءِ مِنَ الْفِرَقِ النَّاجِيَةِ فِي الْقِيَامَةِ جَعَلَنَا اللَّهُ مِنْهُمْ بِمَنِّهِ)

আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) রাহি. রাসূলুল্লাহ বলেন: সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ বাণী: তোমরা আমার সুন্নাতকে আঁকড়ে থাকবে”- সম্পর্কে বলেন: তাঁর উম্মাতের মাঝে মতবিরোধ বর্ণনার সময়ে যার উল্লেখ তিনি করেছেন, তা সুস্পষ্ট বর্ণনা করে যে, যে ব্যক্তি সুন্নাহ’র উপর চলতে থাকবে, সুন্নাহ’র কথা বলতে থাকবে; আর এ ব্যতীত অন্য কোন রায় বা মতামতের অভিমুখী হবে না, সেই লোক কিয়ামত দিবসে ফিরকায়ে নাজিয়াহ’ (মুক্তিপ্রাপ্ত দলসমূহ)-এর অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর নিজ অনুগ্রহে আমাদের তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করুন।


 ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ لُزُومِ سُنَنِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحِفْظِهِ نَفْسَهُ عَنْ كُلِّ مَنْ يَأْبَاهَا مِنْ أَهْلِ الْبِدَعِ وَإِنْ حَسَّنُوا ذَلِكَ فِي عَيْنِهِ وزينوه

সেই সকল হাদীসসমূহের বর্ণনা - যা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহকে আঁকড়ে থাকা এবং যারা সুন্নাহকে অস্বীকার করে, এমন সকল বিদ’আতী ব্যক্তিদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখাকে ওয়াজিব বানিয়ে দেয়, যদিও তারা সেটি তাঁর নিকট সৌন্দর্যমণ্ডিত ও সুশোভিত করে উপস্থাপন করে:


৬. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি সরল রেখা টেনে বললেন: “এটা হল আল্লাহর রাস্তা। অতঃপর ডানে ও বামে আরও কতকগুলি রেখা টেনে বললেন: “এও কতকগুলি রাস্তা; তবে এর প্রত্যেক রাস্তার উপরই একটি করে শয়তান রয়েছে, তারা লোকদেরকে তার দিকে আহ্বান করছে। অতঃপর তিনি (প্রমাণ স্বরূপ) পাঠ করলেন: (“নিশ্চয়ই এটিই আমার সরল পথ, তোমরা এরই অনুসরণ কর ... (সুরা আনআম ৬: ১৫৩) আয়াতের শেষ পযর্ন্ত।[1]

بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً

أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعُمَرِيُّ بِالْمَوْصِلِ حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ:
خَطَّ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطًّا فَقَالَ:
(هَذَا سَبِيلُ اللَّهِ) ثُمَّ خَطَّ خُطُوطًا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ قَالَ:
وَهَذِهِ سُبُلٌ عَلَى كُلِّ سَبِيلٍ مِنْهَا شَيْطَانٌ يَدْعُو إِلَيْهِ ثُمَّ تَلَا: {وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا ... }) إلى أخر الآية [الأنعام: 153].
[تعليق الشيخ الألباني]
حسن صحيح - (الظلال) (16و17)
الحديث: 6 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 146

اخبرنا ابراهيم بن علي بن عبد العزيز العمري بالموصل حدثنا معلى بن مهدي حدثنا حماد بن زيد عن عاصم عن ابي واىل عن ابن مسعود قال: خط لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم خطا فقال: (هذا سبيل الله) ثم خط خطوطا عن يمينه وعن شماله ثم قال: وهذه سبل على كل سبيل منها شيطان يدعو اليه ثم تلا: {وان هذا صراطي مستقيما ... }) الى اخر الاية [الانعام: 153]. [تعليق الشيخ الالباني] حسن صحيح - (الظلال) (16و17) الحديث: 6 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 146

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ

 ذِكْرُ مَا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنْ تَرْكِ تَتَبُّعِ السُّبُلِ دُونَ لُزُومِ الطَّرِيقِ الَّذِي هُوَ الصراط المستقيم

(সঠিক) পন্থা-যেটিই সিরাতে মুস্তাকিম-তা আঁকড়ে ধরার মোকাবেলায় অন্যান্য সকল পথ-পন্থার অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকাকে ওয়াজিব করে যে সকল বর্ণনা:


৭. অপর সনদে, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ বলেন, আমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ডানে ও বামে কতকগুলি রেখা টেনে বললেন: “এ হলো কতকগুলি রাস্তা; এর প্রত্যেক রাস্তার উপরই একটি করে শয়তান রয়েছে, তারা লোকদেরকে তার দিকে আহ্বান করছে। অতঃপর তিনি (প্রমাণ স্বরূপ) পাঠ করলেন: (“নিশ্চয়ই এটিই আমার সরল পথ, তোমরা এরই অনুসরণ কর ... (সুরা আনআম ৬: ১৫৩) আয়াতের শেষ পযর্ন্ত।[1]

بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْمُعَدَّلُ بِالْفُسْطَاطِ قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنِ أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ:
خَطَّ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُطُوطًا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ وَقَالَ:
(هَذِهِ سُبُلٌ عَلَى كُلِّ سَبِيلٍ مِنْهَا شَيْطَانٌ يَدْعُو لَهُ) ثُمَّ قَرَأَ: {وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فتفرق بكم عن سبيله ... } الآية كلها [الأنعام: 153]. [ص: 147]
= [66: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
حسن صحيح - مكرر ما قبله.
الحديث: 7 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 146

اخبرنا علي بن الحسين بن سليمان المعدل بالفسطاط قال: حدثنا الحارث بن مسكين قال: حدثنا ابن وهب قال: حدثني حماد بن زيد عن عاصم عن ابي واىل عن ابي مسعود قال: خط لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم خطوطا عن يمينه وعن شماله وقال: (هذه سبل على كل سبيل منها شيطان يدعو له) ثم قرا: {وان هذا صراطي مستقيما فاتبعوه ولا تتبعوا السبل فتفرق بكم عن سبيله ... } الاية كلها [الانعام: 153]. [ص: 147] = [66: 3] [تعليق الشيخ الالباني] حسن صحيح - مكرر ما قبله. الحديث: 7 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 146

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ مَنْ أَحَبَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا وَصَفِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِيثَارِ أمرهما وابتغاء مرضاتهما على رضا مَنْ سِوَاهُمَا يَكُونُ فِي الْجَنَّةِ مَعَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর বন্ধু (নবী) সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালবাসবে, তাঁদের আদেশকে প্রাধান্য দিবে, তাঁদের ব্যতীত অন্য সকলের সন্তুষ্টির মোকাবেলায় তাঁদের সন্তুষ্টি অর্জনকে প্রাধান্য দিবে, তারা নাবী মুস্তফাসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে জান্নাতে থাকবে- এ সংক্রান্ত বর্ণনাসমূহ:



৮. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক বেদুইন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করে- আর বেদুইনরাই তাঁর সাহাবীগণের চেয়ে তাঁকে প্রশ্ন করার ব্যাপারে অধিক উপযুক্ত ছিল।[1] সে বললো, হে আল্লাহর নবী! কিয়ামত কখন হবে? তিনি বলেনঃ তুমি তার জন্য কি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছো? সে বললো, আমি ব্যাপক কিছু প্রস্তুতি নিতে পারিনি, তবে আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসি। তিনি বলেনঃ তাহলে তুমি যাকে ভালোবাসো, তুমি তার সাথেই থাকবে। আনাস (রাঃ) বলেন, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে সেদিন মুসলিমরা যতো অধিক খুশি হয়েছে, আর কোন দিন আমি তাদেরকে এতো খুশি হতে দেখিনি।[2]

بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ:
أَنَّ أَعْرَابِيًّا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَكَانُوا هُمْ أَجْدَرَ أَنْ يَسْأَلُوهُ من أصحابه - فقال: يارسول اللَّهِ مَتَى السَّاعَةُ؟ قَالَ:
(وَمَا أَعْدَدْتَ لَهَا)؟ قَالَ: مَا أَعْدَدْتُ لَهَا إِلَّا أَنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ قَالَ: (فَإِنَّكَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ)
قَالَ أَنَسٌ: فَمَا رَأَيْتُ الْمُسْلِمِينَ فَرِحُوا بِشَيْءٍ بعد الإسلام أشد من فرحهم بقوله

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (الروض النضير) (104 - 106 و 360 - 361 و 370 و 1028): ق.

اخبرنا الحسن بن سفيان حدثنا محمد بن ابي بكر المقدمي حدثنا معاذ بن هشام حدثني ابي عن قتادة عن انس بن مالك: ان اعرابيا سال النبي صلى الله عليه وسلم - وكانوا هم اجدر ان يسالوه من اصحابه - فقال: يارسول الله متى الساعة؟ قال: (وما اعددت لها)؟ قال: ما اعددت لها الا اني احب الله ورسوله قال: (فانك مع من احببت) قال انس: فما رايت المسلمين فرحوا بشيء بعد الاسلام اشد من فرحهم بقوله [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - (الروض النضير) (104 - 106 و 360 - 361 و 370 و 1028): ق.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ

 ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ لُزُومِ هَدْيِ الْمُصْطَفَى بِتَرْكِ الِانْزِعَاجِ عَمَّا أُبِيحَ مِنْ هَذِهِ الدُّنْيَا لَهُ بِإِغْضَائِهِ

দুনিয়ার বৈধ বিষয়সমূহের থেকে পাওয়া কষ্ট পরিত্যাগ করা ও এসবের প্রতি উদাসীন হওয়ার ব্যাপারে নাবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পথনির্দেশনা ওয়াজিব- এ মর্মে বর্ণনা:


৯. উরওয়াহ রাহি. হতে আয়িশা (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আয়িশা (রাঃ) এর নিকট উসমান ইবনু মাযউন (রাঃ) এর স্ত্রী খাওলাহ বিনতু হাকীম (রাঃ) প্রবেশ করলেন। তাঁর বেশ-ভুষা ছিল ‍যত্নহীন-জীর্ণ-শীর্ণ। আয়িশা (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কী অবস্থা? তখন তিনি বললেন: আমার স্বামী সারারাত সালাত আদায় করেন, দিনে সিয়াম পালন করেন। (অর্থাৎ আমার দিকে তাঁর নজর নেই।) আর তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রবেশ করলেন। আয়িশা তাঁর নিকট বিষয়টি উল্লেখ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উসমান ইবনু মাযউন (রাঃ) সাথে সাক্ষাত করে বললেন: হে উসমান! আমাদের জন্য বৈরাগ্যকে ফরয করা হয়নি। আর আমার মধ্যে কি তোমার জন্য উত্তম আদর্শ নেই? অথচ, আল্লাহর কসম! আমিই তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক আল্লাহকে ভয় করি এবং আল্লাহর সীমারেখা সর্বাধিক রক্ষা করি।[1]

بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً

َمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي السَّرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ [ص: 148] عَنْهَا قَالَتْ:
دَخَلَتِ امْرَأَةُ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ وَاسْمُهَا خَوْلَةُ بِنْتُ حَكِيمٍ عَلَى عَائِشَةَ وَهِيَ بَذَّةُ الْهَيْئَةِ فَسَأَلَتْهَا عَائِشَةُ: مَا شَأْنُكِ؟ فَقَالَتْ: زَوْجِي يَقُومُ اللَّيْلَ وَيَصُومُ النَّهَارَ فَدَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ عَائِشَةُ ذَلِكَ لَهُ فَلَقِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُثْمَانَ بْنَ مَظْعُونٍ فَقَالَ
(يَا عُثْمَانُ إِنَّ الرَّهْبَانِيَّةَ لَمْ تُكْتَبْ عَلَيْنَا أَمَا لَكَ فِيَّ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ! فوالله إني لأخشاكم لله وأحفظكم لحدوده)
= [66: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (صحيح أبي داود) (1239)
الحديث: 9 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 147

مد بن الحسن بن قتيبة قال: حدثنا ابن ابي السري قال: حدثنا عبد الرزاق قال: اخبرنا معمر عن الزهري عن عروة عن عاىشة رضي الله [ص: 148] عنها قالت: دخلت امراة عثمان بن مظعون واسمها خولة بنت حكيم على عاىشة وهي بذة الهيىة فسالتها عاىشة: ما شانك؟ فقالت: زوجي يقوم الليل ويصوم النهار فدخل النبي صلى الله عليه وسلم فذكرت عاىشة ذلك له فلقي النبي صلى الله عليه وسلم عثمان بن مظعون فقال (يا عثمان ان الرهبانية لم تكتب علينا اما لك في اسوة حسنة! فوالله اني لاخشاكم لله واحفظكم لحدوده) = [66: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - (صحيح ابي داود) (1239) الحديث: 9 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 147

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
১০

পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ

 ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ تَحَرِّي اسْتِعْمَالِ السُّنَنِ فِي أَفْعَالِهِ وَمُجَانَبَةِ كُلِّ بِدْعَةٍ تُبَايِنُهَا وَتُضَادُّهَا

কাজে-কর্মে সুন্নাহ প্রয়োগের দিকে মনোনিবেশ করা এবং পরস্পর বিরোধী ও ধ্বংসকারী বিদ’আত (দীনে নব-উদ্ভাবিত বিষয়াবলী) পরিত্যাগ করাকে ওয়াজিব করে- এমন হাদীসসমূহের বর্ণনা:


১০. জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খুতবা দিতেন তখন তার চক্ষুদ্বয় রক্তিম বর্ণ ধারণ করতো, তাঁর কণ্ঠস্বর উঁচু হত এবং কঠোর রাগ প্রকাশ পেত। মনে হত, তিনি যেন কোনো আক্রমণকারী বাহিনী সম্পর্কে সতর্ক করছেন। তিনি বলতেন, তারা তোমাদের সকালে আক্রমণ করবে এবং বিকেলে আক্রমণ করবে। তিনি বলতেন, আমি প্রেরিত হয়েছি এমন অবস্থায় যে, আমি ও কিয়ামত এ দুটির ন্যায় এবং মধ্যম আঙ্গুলি ও শাহাদাত আঙ্গুলি মিলিয়ে দেখাতেন। বলতেন, উত্তম বাণী হল আল্লাহ তা’আলার কিতাব এবং সর্বোত্তম হিদায়াত হল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিদায়াত। নিকৃষ্ট বিষয় হলো বিদআত (দ্বীনে নতুন আবিষ্কৃত বিষয়সমূহ) সকল বিদআতই হল পথভ্রষ্টতা। এরপর বলতেন, আমি প্রত্যেক মুমিনের জন্য তার প্রাণ হতে অধিক প্রিয়তর। যে মৃত ব্যাক্তি মাল সম্পদ রেখে যায়, তা তার পরিবার পরিজনদের জন্য। আর যে মৃতব্যাক্তি ঋণ অথবা ছোট ছেলেমেয়ে রেখে যায়, তা আমার প্রতি আরোপিত হবে এবং তাদের দায়িত্ব আমার উপর।[1]

بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمَوْصِلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ:
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم إذا خَطَبَ احْمَرَّتْ عَيْنَاهُ وَعَلَا صَوْتُهُ وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ حَتَّى كَأَنَّهُ نَذِيرُ جَيْشٍ يَقُولُ:
صَبَّحَكُمْ وَمَسَّاكُمْ وَيَقُولُ:
(بُعثت أَنَا وَالسَّاعَةِ كَهَاتَيْنِ) - يُفَرِّقُ بَيْنَ السَّبَّابَةِ وَالْوُسْطَى - وَيَقُولُ:
(أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ وَخَيْرَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ وَإِنَّ شَرَّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ) ثُمَّ يَقُولُ:
(أَنَا أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ مَنْ تَرَكَ مَالًا فَلِأَهْلِهِ وَمَنْ تَرَكَ دَيْنًا أَوْ [ص: 149] ضيعة فإلي وعلي)
= [66: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح ـ (الإرواء) (608 و 611) , (أحكام الجنائز) (ص29 - 30) , (خطبة الحاجة) (ص34 - 35).

الحديث: 10 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 148

اخبرنا احمد بن علي بن المثنى قال: حدثنا احمد بن ابراهيم الموصلي قال: حدثنا عبد الوهاب الثقفي قال: حدثنا جعفر بن محمد عن ابيه عن جابر قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا خطب احمرت عيناه وعلا صوته واشتد غضبه حتى كانه نذير جيش يقول: صبحكم ومساكم ويقول: (بعثت انا والساعة كهاتين) - يفرق بين السبابة والوسطى - ويقول: (اما بعد فان خير الحديث كتاب الله وخير الهدي هدي محمد وان شر الامور محدثاتها وكل بدعة ضلالة) ثم يقول: (انا اولى بكل مومن من نفسه من ترك مالا فلاهله ومن ترك دينا او [ص: 149] ضيعة فالي وعلي) = [66: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح ـ (الارواء) (608 و 611) , (احكام الجناىز) (ص29 - 30) , (خطبة الحاجة) (ص34 - 35). الحديث: 10 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 148

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
১১

পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ

 ذِكْرُ إِثْبَاتِ الْفَلَاحِ لِمَنْ كَانَتْ شِرَّتُهُ إِلَى سُنَّةِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

যে ব্যক্তির উদ্দীপনা হতে নবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর দিকে, তা তার জন্য সফলতার প্রমাণ- এ মর্মে বর্ণনা:


১১. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: প্রত্যেক কাজের উদ্দীপনা (এর সময়) রয়েছে এবং প্রত্যেক উদ্দীপনায় অবসাদ রয়েছে। আর যার উদ্দীপনা নিবেদিত হবে আমার সুন্নাতের দিকে, সে তো সফলতা লাভ করল। আর যার উদ্দীপনা নিবেদিত হবে এ ব্যতীত অন্যকিছুর দিকে, সে ধ্বংস হলো। [1]

بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(إِنَّ لِكُلِّ عَمَلٍ شِرَّةً وَإِنَّ لِكُلِّ شِرَّةٍ فَتْرَةً فَمَنْ كَانَتْ شِرَّتُهُ إِلَى سُنَّتِي فَقَدْ أَفْلَحَ وَمَنْ كَانَتْ شِرَّتُهُ إلى غير ذلك فقد أهلك)
= [89: 1]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح ـ (الظلال) (151)
الحديث: 11 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 149

اخبرنا احمد بن علي بن المثنى قال: حدثنا ابو خيثمة قال: حدثنا هاشم بن القاسم قال: حدثنا شعبة عن حصين بن عبد الرحمن عن مجاهد عن عبد الله بن عمرو قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (ان لكل عمل شرة وان لكل شرة فترة فمن كانت شرته الى سنتي فقد افلح ومن كانت شرته الى غير ذلك فقد اهلك) = [89: 1] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح ـ (الظلال) (151) الحديث: 11 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 149

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
১২

পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ

 ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُصَرِّحِ بِأَنَّ سُنَنَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلَّهَا عَنِ اللَّهِ لَا مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِهِ

নবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ’র প্রত্যেকটি বিষয় আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে, তার নিজের পক্ষ হতে নয়- এ মর্মে বর্ণিত সুস্পষ্ট হাদীসসমূহ:


১২. আল-মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জেনে রাখো! আমাকে কিতাব এবং তার সঙ্গে অনুরূপ কিছু দেয়া হয়েছে। জেনে রাখো! এমন এক সময় আসবে যখন কোনো পরিতৃপ্ত লোক তার গদিওয়ালা আসনে বসে বলবে, আমার ও তোমাদের মাঝে এ কিতাব (কুরআন)ই-রয়েছে। তাতে আমরা যা হালাল পাবো তা হালাল জানবো এবং যা হারাম পাবো, তা হারাম বলে গ্রহণ করবো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জেনে রাখো! বিষয়টি কিছুতেই তা নয়।[1]

بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ الْكَلَاعِيُّ بِحِمْصَ حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمَذْحِجِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ عَنِ الزُّبَيْدِيِّ عَنِ مَرْوَانَ بْنِ رُؤْبَةَ عَنِ ابْنِ أَبِي عَوْفٍ عن المقدام بن معدي كرب عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ:
(إِنِّي أُوتِيتُ الْكِتَابَ وَمَا يَعْدِلُهُ يُوشِكُ شَبْعَانٌ عَلَى أَرِيكَتِهِ أَنْ يَقُولَ: بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ هَذَا الْكِتَابُ فَمَا كَانَ فِيهِ مِنْ حَلَالٍ أَحْلَلْنَاهُ وَمَا كَانَ فِيهِ مِنْ حَرَامٍ حرمناه ألا وإنه ليس كذلك) [ص: 150]
= [1: 2]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح ـ (الصحيحة) (2869)، (المشكاة) (163).
الحديث: 12 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 149

اخبرنا محمد بن عبيد الله بن الفضل الكلاعي بحمص حدثنا كثير بن عبيد المذحجي حدثنا محمد بن حرب عن الزبيدي عن مروان بن روبة عن ابن ابي عوف عن المقدام بن معدي كرب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم انه قال: (اني اوتيت الكتاب وما يعدله يوشك شبعان على اريكته ان يقول: بيني وبينكم هذا الكتاب فما كان فيه من حلال احللناه وما كان فيه من حرام حرمناه الا وانه ليس كذلك) [ص: 150] = [1: 2] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح ـ (الصحيحة) (2869)، (المشكاة) (163). الحديث: 12 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 149

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
১৩

পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ

১৩. আবূ রাফি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি যেন (তোমাদের) কোনো ব্যক্তিকে এমন অবস্থায় না জানি যে, তার নিকট আমার পক্ষ হতে কোনো বিষয় পৌঁছাবে- যা আমি আদেশ করেছি কিংবা যা থেকে আমি নিষেধ করেছি, তখন সে বলবে, আমি জানিনা, এটা কী। (শুধু জানি) আমাদের নিকট আল্লাহর কিতাব রয়েছে, আর এটি তাতে নেই।[1]

بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِي رَافِعٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(لَا أَعْرِفَنَّ الرَّجُلَ يَأْتِيهِ الْأَمْرُ مِنْ أَمْرِي إِمَّا أَمَرْتُ بِهِ وَإِمَّا نَهَيْتُ عَنْهُ فَيَقُولُ: مَا نَدْرِي مَا هَذَا عِنْدَنَا كتاب الله ليس هذا فيه)
= [1: 2]
تعليق الشيخ الألباني]
صحيح ـ (المشكاة) (162)
[ الحديث: 13 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 150

حدثنا احمد بن علي بن المثنى قال: حدثنا محمد بن عبد الرحمن بن سهم قال: حدثنا ابو اسحاق الفزاري عن مالك بن انس عن سالم ابي النضر عن عبيد الله بن ابي رافع عن ابي رافع قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (لا اعرفن الرجل ياتيه الامر من امري اما امرت به واما نهيت عنه فيقول: ما ندري ما هذا عندنا كتاب الله ليس هذا فيه) = [1: 2] تعليق الشيخ الالباني] صحيح ـ (المشكاة) (162) [ الحديث: 13 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 150

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাফি‘ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
১৪

পরিচ্ছেদঃ ২. সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং এ সংশ্লিষ্ট বর্ণনা ও আদেশ-নিষেধ

 ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنِ الرَّغْبَةِ عَنْ سُنَّةِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَقْوَالِهِ وَأَفْعَالِهِ جميعاً

নাবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সকল কথা ও কাজের সুন্নাহ থেকে যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার শাস্তির বর্ণনা:


১৪. আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীদের নিকট তার গোপন ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। অতঃপর তাদের মধ্যে কেউ বললেন, আমি কখনও বিয়ে করব না, কেউ বললেন, আমি কখনও মাংস খাব না, কেউ বললেন, আমি কখনও বিছানায় ঘুমাব না। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন অতঃপর বললেনঃ “লোকদের কী হল যে, তারা এরূপ এরূপ বলছে? অথচ আমি তো সালাত আদায় করি, আবার ঘুমাই আমি সওম পালন করি, আবার রোযা ভাঙিও এবং নারীদেরকে বিয়েও করি। অতএব যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সে আমার কেউ নয়।"[1]

بَابُ الِاعْتِصَامِ بِالسُّنَّةِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا نَقْلًا وأمراً وزجراً

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي صَفْوَانَ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ:
أَنَّ نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلُوا أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ عَمَلِهِ فِي السِّرِّ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا أَتَزَوَّجُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا آكُلُ اللَّحْمَ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا أَنَامُ عَلَى فِرَاشٍ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ:
(مَا بَالُ أَقْوَامٍ قَالُوا كَذَا وَكَذَا لَكِنِّي أُصَلِّي وَأَنَامُ وَأَصُومُ وَأُفْطِرُ وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ فَمَنْ رَغِبَ عن سنتي فليس مني)
= [61: 2]
تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (الإرواء) (1782): ق.

اخبرنا محمد بن اسحاق بن خزيمة قال: حدثنا محمد بن ابي صفوان الثقفي حدثنا بهز بن اسد قال: حدثنا حماد بن سلمة عن ثابت عن انس بن مالك: ان نفرا من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم سالوا ازواج النبي صلى الله عليه وسلم عن عمله في السر فقال بعضهم: لا اتزوج وقال بعضهم: لا اكل اللحم وقال بعضهم: لا انام على فراش فحمد الله واثنى عليه ثم قال: (ما بال اقوام قالوا كذا وكذا لكني اصلي وانام واصوم وافطر واتزوج النساء فمن رغب عن سنتي فليس مني) = [61: 2] تعليق الشيخ الالباني] صحيح - (الارواء) (1782): ق.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
১৫

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُ أُمَّتَهُ بِمَا يَحْتَاجُونَ إِلَيْهِ مِنْ أَمْرِ دِينِهِمْ قَوْلًا وَفِعْلًا مَعًا

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মাত দীনের ব্যাপারে কথা ও কাজ উভয়দিক দিয়ে যে সকল বিষয়ে তাঁর মুখাপেক্ষী, তিনি সে ব্যাপারে আদেশ দিয়ে গিয়েছেন- এ সংক্রান্ত বর্ণনাসমূহ:


১৫. ’আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক লোকের হাতে একটি সোনার আংটি দেখে তিনি সেটি টেনে খুলে নিয়ে ছুঁড়ে ফেললেন এবং বললেন, তোমাদের মাঝে কেউ কেউ আগুনের টুকরা তার হাতে রাখতে ইচ্ছে করে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে স্থান ত্যাগ করলে লোকটিকে বলা হলো, তোমার আংটিটি উঠিয়ে নাও তারপর এটি দিয়ে উপকার হাসিল করো। সে বলল, না। আল্লাহর কসম! আমি কক্ষনো ওটা নেব না। কারণ ওটা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফেলে দিয়েছেন।[1]

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّغُولِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الذُّهْلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُقْبَةَ عَنْ كُرَيْبٍ ـ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ ـ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ:
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ فِي يَدِ رَجُلٍ فَنَزَعَهُ فَطَرَحَهُ فَقَالَ:
(يَعْمِدُ أَحَدُهُمْ إِلَى جَمْرَةٍ مِنَ النَّارِ فَيَجْعَلُهَا فِي يَدِهِ) فقيل للرجل بعد ما ذَهَبَ: خُذْ خَاتَمَكَ فَانْتَفِعْ بِهِ فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ لَا آخُذُهُ أَبَدًا وَقَدْ طَرَحَهُ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم!
= [5: 2]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (آداب الزفاف) (126): م.
الجزء: 1 ¦ الصفحة: 151

اخبرنا محمد بن عبد الرحمن الدغولي حدثنا محمد بن يحيى الذهلي قال: حدثنا ابن ابي مريم قال: حدثنا محمد بن جعفر بن ابي كثير قال: حدثني ابراهيم بن عقبة عن كريب ـ مولى ابن عباس ـ عن ابن عباس: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم راى خاتما من ذهب في يد رجل فنزعه فطرحه فقال: (يعمد احدهم الى جمرة من النار فيجعلها في يده) فقيل للرجل بعد ما ذهب: خذ خاتمك فانتفع به فقال: لا والله لا اخذه ابدا وقد طرحه رسول الله صلى الله عليه وسلم! = [5: 2] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - (اداب الزفاف) (126): م. الجزء: 1 ¦ الصفحة: 151

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
১৬

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

১৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আযান হলে শয়তান পিঠ ফিরিয়ে পালায় যাতে সে আযান শুনতে না পায়। তখন তার পশ্চাদ-বায়ু নিঃসরণ হতে থাকে। আযান শেষ হলে সে আবার এগিয়ে আসে। আবার ইক্বামাত বলা হলে পালিয়ে যায়।অতঃপর ইক্বামাত শেষ হলে এগিয়ে আসে। তখন সে মুসল্লীর মনে কুমন্ত্রণা দিতে থাকে, এটা স্মরণ করো, ওটা স্মরণ করো, যে বিষয় তার স্মরণে ছিল না। এমনকি এমন হয় যে, সে কত রাক’আত সালাত আদায় করল তা মনে করতে পারে না। ফলে কেউ এরূপ অবস্থায় পড়লে (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় সে যেন দু’টি সিজদা করে। [1]


قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: أَمْرُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَنْ شَكَّ فِي صَلَاتِهِ فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ أَمْرٌ مُجْمَلٌ تَفْسِيرُهُ أَفْعَالُهُ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَأْخُذَ الْأَخْبَارَ الَّتِي فِيهَا ذِكْرُ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ قَبْلَ السَّلَامِ فَيَسْتَعْمِلَهُ فِي كُلِّ الْأَحْوَالِ وَيَتْرُكَ سَائِرَ الْأَخْبَارِ الَّتِي فِيهَا ذِكْرُهُ بَعْدَ السَّلَامِ وَكَذَلِكَ لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَأْخُذَ الْأَخْبَارَ الَّتِي فِيهَا ذِكْرُ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ بَعْدَ السَّلَامِ فَيَسْتَعْمِلَهُ فِي كُلِّ الْأَحْوَالِ وَيَتْرُكَ الْأَخْبَارَ الْأُخَرَ الَّتِي فِيهَا ذِكْرُهُ قَبْلَ السَّلَامِ.
وَنَحْنُ نَقُولُ: إِنَّ هَذِهِ أَخْبَارٌ أَرْبَعٌ يَجِبُ أَنْ تُسْتَعْمَلَ وَلَا يُتْرَكُ شَيْءٌ مِنْهَا فَيَفْعَلُ فِي كُلِّ حَالَةٍ مِثْلَ مَا وَرَدَتِ السُّنَّةُ فِيهَا سَوَاءً فَإِنْ سَلَّمَ مِنَ الِاثْنَتَيْنِ أَوِ الثَّلَاثِ مِنْ صَلَاتِهِ سَاهِيًا أَتَمَّ صَلَاتَهُ وَسَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ بَعْدَ السَّلَامِ عَلَى خَبَرِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَاهُمَا
وَإِنْ قَامَ مِنِ اثْنَتَيْنِ وَلَمْ يَجْلِسْ أَتَمَّ صَلَاتَهُ وَسَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ قَبْلَ السَّلَامِ عَلَى خَبَرِ ابْنِ بُحَيْنَةَ
وَإِنْ شَكَّ فِي الثَّلَاثِ أَوِ الْأَرْبَعِ يَبْنِي عَلَى الْيَقِينِ عَلَى مَا وَصَفْنَا وَسَجَدَ سَجْدَتَيِ [ص: 153] السَّهْوِ قَبْلَ السَّلَامِ عَلَى خَبَرِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ
وَإِنْ شَكَّ وَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى أَصْلًا تَحَرَّى عَلَى الْأَغْلَبِ عِنْدَهُ وَأَتَمَّ صَلَاتَهُ وَسَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ بَعْدَ السَّلَامِ عَلَى خَبَرِ ابْنِ مَسْعُودٍ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ حَتَّى يَكُونَ مُسْتَعْمِلًا لِلْأَخْبَارِ الَّتِي وَصَفْنَاهَا كُلَّهَا
فَإِنْ وَرَدَتْ عَلَيْهِ حَالَةٌ غَيْرُ هَذِهِ الْأَرْبَعِ فِي صَلَاتِهِ رَدَّهَا إِلَى مَا يُشْبِهُهَا مِنَ الْأَحْوَالِ الْأَرْبَعِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا

আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) বলেন: যে ব্যক্তি সালাতে সন্দেহে পতিত হয়, যে জানে না, কত রাকাত সালাত আদায় করেছে, সে যেন বসা অবস্থায় দুটি সাজদা করে’- এটি একটি সংক্ষিপ্ত আদেশ, যার ব্যাখ্যা হলো তা-ই, যা আমরা উল্লেখ করলাম। যে সকল বর্ণনায় সালামের পরে (সাহু সিজদা)-এর কথা বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো পরিত্যাগ করে যে সকল হাদীসে সালামের পূর্বে দু’টি সাহু সিজদার উল্লেখ করা হয়েছে, শুধু সেই সকল বর্ণনা গ্রহণ করে সকল অবস্থায় সে অনুযায়ী আমল করা কারো জন্য জায়িয নয়। অনুরূপ, যে সকল বর্ণনায় সালামের পূর্বে (সাহু সিজদা)-এর কথা বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো পরিত্যাগ করে যে সকল হাদীসে সালামের পরে দু’টি সাহু সিজদার উল্লেখ করা হয়েছে, শুধু সেই সকল বর্ণনা গ্রহণ করে সকল অবস্থায় সে অনুযায়ী আমল করাও কারো জন্য জায়িয নয়। আমাদের বক্তব্য হলো: এ চারটি বর্ণনার উপরই আমল করা ওয়াজিব, এর কোনটিকে পরিত্যাগ করা জায়িয নয়। সুন্নায় যেরূপ বর্ণিত আছে, প্রত্যেক অবস্থায় সেরূপই আমল করবে। ফলে যদি ভুল করে দ্বিতীয় বা তৃতীয় রাকাতে সালাম ফিরে ফেলে, সে তার সালাত পূর্ণ করবে এবং সালামের পরে দুটি সাহু সিজদা করবে- তাহলে সেটা হবে আবূ হুরাইরা ও ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) এর হাদীস অনুযায়ী-যা আমরা বর্ণনা করেছি।  আর যদি দ্বিতীয় রাকাতে না বসে উঠে পড়ে, তবে সে তার সালাত পূর্ণ করবে এবং সালামের পূর্বে দুটি সাহু সিজদা করবে- যা হবে ইবনু বুহাইনা (রাঃ) এর হাদীস অনুযায়ী। আর যদি সন্দেহ হয়- তৃতীয় নাকি চতুর্থ রাকাত, তবে তার দৃঢ় বিশ্বাসের উপর নির্ভর করবে – যা আমরা বর্ণনা করেছি- সে সালামের পূর্বে দুটি সাহু সিজদা করবে- যা হবে আবূ সাঈদ আল-খুদরী ও আব্দুর রহমান ইবনু আউফ (রাঃ) এর বর্ণনা অনুযায়ী। আর যদি মুলেই সন্দেহ হয় আদৌ কত রাকাত পড়েছে, তাহলে সে তার প্রবল ধারণা অনুযায়ী আমল করবে, এবং তার সালাত পূর্ণ করবে, অতঃপর সালামের পরে দুটি সাহু সিজদা করবে- যা হবে ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর হাদীস অনুযায়ী। এভাবে তখন সকল হাদীসের উপরই আমল হয়ে যাবে- যা সবই আমরা বর্ণনা করেছি। আর যদি সালাতে এ চার অবস্থা ব্যতীত অন্য কোন অবস্থায় পতিত হয়, তখন সে আমাদের উল্লেখিত চার অবস্থার যে অবস্থার সাথে মিলে যায়, সেই অনুযায়ী আমল করবে।

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: [ص: 152]
إِذَا نُودِيَ بِالْأَذَانِ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ لَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لَا يَسْمَعَ الْأَذَانَ فَإِذَا قُضِيَ الْأَذَانُ أَقْبَلَ فَإِذَا ثُوِّبَ بِهَا أَدْبَرَ فَإِذَا قُضِيَ التَّثْوِيبُ أَقْبَلَ يَخْطُرُ بَيْنَ الْمَرْءِ وَنَفْسِهِ: اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا لِمَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ إِنْ يَدْرِي كَمْ صَلَّى فَإِذَا لَمْ يَدْرِ كم صلى؟ فليسجد سجدتين وهو جالِس)
= [18: 5]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (صحيح أبي داود) (529): ق.
الحديث: 16 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 151

اخبرنا عبد الله بن محمد الازدي قال: حدثنا اسحاق بن ابراهيم قال: اخبرنا معاذ بن هشام قال: حدثني ابي عن يحيى بن ابي كثير قال: حدثنا ابو سلمة عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: [ص: 152] اذا نودي بالاذان ادبر الشيطان له ضراط حتى لا يسمع الاذان فاذا قضي الاذان اقبل فاذا ثوب بها ادبر فاذا قضي التثويب اقبل يخطر بين المرء ونفسه: اذكر كذا اذكر كذا لما لم يكن يذكر حتى يظل الرجل ان يدري كم صلى فاذا لم يدر كم صلى؟ فليسجد سجدتين وهو جالس) = [18: 5] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - (صحيح ابي داود) (529): ق. الحديث: 16 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 151

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
১৭

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

১৭. আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ! তোমাদের সকলেই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কেবল সেই ব্যক্তি ব্যতীত যে অস্বীকার করে ও আল্লাহর আনুগত্য থেকে বের হয়ে যায়, যেমন উট বের হয়ে যায়।” তারা বললেন, জান্নাতে প্রবেশ করতে অস্বীকার করে কোন্ ব্যক্তি, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন: যে আমার আনুগত্য করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার অবাধ্য হবে, সেই হলো অস্বীকারকারী।”[1]


قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: طَاعَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هِيَ الِانْقِيَادُ لِسُنَّتِهِ بِتَرْكِ الْكَيْفِيَّةِ وَالْكَمِّيَّةِ فِيهَا مَعَ رَفْضِ قَوْلِ كُلِّ مَنْ قَالَ شَيْئًا فِي دِينِ اللَّهِ جَلَّ وعلا بخلاف سنته الِاحْتِيَالِ فِي دَفْعِ السُّنَنِ بِالتَّأْوِيلَاتِ الْمُضْمَحِلَّةِ وَالْمُخْتَرَعَاتِ الداحضة

আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য হলো তাঁর সুন্নাতের ধরণ-প্রকৃতি এবং আকার-আকৃতি (মাপা-জোখা) নির্ণয় ব্যতিরেকেই তাঁর সুন্নাতের কাছে আত্মসমর্পণ করা। তার সাথে যারা সুন্নাতের বিপরীতে গোপন অপব্যাখ্যা এবং বাতিল নব-আবিস্কৃত বিষয়ের দ্বারা তাঁর সুন্নাতকে প্রতিহত করার জন্য আল্লাহর দীনের কোন বিষয়ে প্রতারনাপূর্ণ মতামত প্রকাশ করবে, এমন লোকদেরকে বর্জন করা।


 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمَنَاهِيَ عَنِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْأَوَامِرَ فَرْضٌ عَلَى حَسَبِ الطَّاقَةِ عَلَى أُمَّتِهِ لَا يَسَعُهُمُ التَّخَلُّفُ عَنْهَا
নাবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিষেধাজ্ঞা ও আদিষ্ট বিষয়সমূহ তাঁর উম্মাতের উপরে তাদের সাধ্য অনুসারে পালন করা ফরয- এ থেকে বিরত থাকার কোন অবকাশ নেই।

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بِبُسْتَ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ مَوْلَى ثَقِيفٍ بِنِيسَابُورَ قَالَا: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ خَلِيفَةَ عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ: قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتَدْخُلُنَّ الْجَنَّةَ كُلُّكُمْ إِلَّا مَنْ أَبَى وَشَرَدَ عَلَى اللَّهِ كَشِرَادِ الْبَعِيرِ) قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنْ يَأْبَى أَنْ يَدْخُلَ الْجَنَّةَ؟ قَالَ:
(مَنْ أَطَاعَنِي دَخَلَ الجنة ومن عصاني فقد أبى)
= [2: 1]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (الصحيحة) (2044)
الحديث: 17 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 153

اخبرنا اسحاق بن ابراهيم بن اسماعيل ببست ومحمد بن اسحاق بن ابراهيم مولى ثقيف بنيسابور قالا: حدثنا قتيبة بن سعيد قال: حدثنا خلف بن خليفة عن العلاء بن المسيب عن ابيه عن ابي سعيد الخدري: قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (والذي نفسي بيده لتدخلن الجنة كلكم الا من ابى وشرد على الله كشراد البعير) قالوا: يا رسول الله ومن يابى ان يدخل الجنة؟ قال: (من اطاعني دخل الجنة ومن عصاني فقد ابى) = [2: 1] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - (الصحيحة) (2044) الحديث: 17 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 153

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
১৮

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

১৮. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যে সকল বিষয় তোমাদের (বলা) থেকে বিরত থেকেছি, সে সম্পর্কে তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করো না। কারণ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতগণ তাদের নবীগণের নিকট অধিক প্রশ্নের কারণে এবং তাদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ধ্বংস হয়েছে। অতএব কোন বিষয়ে আমি তোমাদের নিষেধ করলে তা থেকে তোমরা বিরত থাকো এবং আমি তোমাদেরকে কোন বিষয়ের নির্দেশ দিলে তোমরা তা যথাসাধ্য পালন করো।[1]



قَالَ ابْنُ عَجْلَانَ: فَحَدَّثْتُ بِهِ أَبَانَ بْنَ صَالِحٍ فَقَالَ لِي: مَا أَجْوَدَ هَذِهِ الْكَلِمَةَ قَوْلَهُ: (فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ)
ইবনু ইজলান বলেন: অতঃপর আমি আবান ইবনু সালিহের নিকট এ হাদীস বর্ণনা করলে তিনি আমাকে বলেন: তাঁর এ কথাটি কতই সুন্দর: তোমাদের সাধ্যমত তা পালন কর।”

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ النَّوَاهِيَ سَبِيلُهَا الْحَتْمُ وَالْإِيجَابُ إِلَّا أَنْ تَقُومَ الدَّلَالَةُ عَلَى نَدْبِيَّتِهَا
নিষেধাজ্ঞা আবশ্যিক ও বাধ্যতামুলক হওয়ার প্রমাণ- অবশ্য যদি তা মানদূব (উদ্বুদ্ধকৃত) হওয়ার দলীল থাকে তবে তা ভিন্ন কথা।

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ الْجُمَحِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَسُفْيَانَ عَنِ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
(ذَرُونِي مَا تَرَكْتُكُمْ فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِكَثْرَةِ سُؤَالِهِمْ وَاخْتِلَافِهِمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ مَا نَهَيْتُكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَمَا أَمَرْتُكُمْ بِهِ فَأْتُوا منه ما استطعتم)
= [6: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - (الإرواء) (155و314): ق.
الحديث: 18 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 154

اخبرنا الفضل بن الحباب الجمحي حدثنا ابراهيم بن بشار حدثنا سفيان عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة وسفيان عن ابن عجلان عن ابيه عن ابي هريرة ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: (ذروني ما تركتكم فانما هلك من كان قبلكم بكثرة سوالهم واختلافهم على انبياىهم ما نهيتكم عنه فانتهوا وما امرتكم به فاتوا منه ما استطعتم) = [6: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - (الارواء) (155و314): ق. الحديث: 18 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 154

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
১৯

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

১৯. (অপর সনদে) আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতগণ তাদের নবীগণের নিকট অধিক প্রশ্নের কারণে এবং তাদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ধ্বংস হয়েছে। অতএব কোন বিষয়ে আমি তোমাদের নিষেধ করলে তা থেকে তোমরা বিরত থাকবে এবং আমি তোমাদেরকে কোন বিষয়ের নির্দেশ দিলে তোমরা তা যথাসাধ্য পালন করবে।[1]

فَصْلٌ

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
(إِنَّمَا أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ سُؤَالُهُمْ وَاخْتِلَافُهُمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ فَإِذَا نَهَيْتُكُمْ عَنْ شَيْءٍ فَاجْتَنِبُوهُ وَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بأمر فأتوا منه ما استطعتم)
= [1: 2]

[تعليق الشيخ الألباني]
[ص: 155]
صحيح - (الإرواء) أيضاً: ق.
الحديث: 19 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 154

حدثنا عمر بن محمد الهمداني حدثنا محمد بن اسماعيل البخاري حدثنا اسماعيل بن ابي اويس حدثني مالك عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: (انما اهلك من كان قبلكم سوالهم واختلافهم على انبياىهم فاذا نهيتكم عن شيء فاجتنبوه واذا امرتكم بامر فاتوا منه ما استطعتم) = [1: 2] [تعليق الشيخ الالباني] [ص: 155] صحيح - (الارواء) ايضا: ق. الحديث: 19 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 154

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
২০

পরিচ্ছেদঃ ৩য় ভাগ

২০. (অপর সনদে) আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন বিষয়ে আমি তোমাদের নিষেধ করি, তা থেকে তোমরা বিরত থাকবে এবং যখন আমি তোমাদেরকে কোন বিষয়ের নির্দেশ দিই, তোমরা তা যথাসাধ্য পালন করবে।[1]

فَصْلٌ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي السَّرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ قَالَ: هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(مَا نَهَيْتُكُمْ عَنْ شَيْءٍ فَاجْتَنِبُوهُ وَمَا أمرتكم بالأمر فأتوا منه ما استطعتم)
= [3: 2]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - وهو مختصر ما قبله.

اخبرنا محمد بن الحسن بن قتيبة قال: حدثنا ابن ابي السري قال: حدثنا عبد الرزاق قال: اخبرنا معمر عن همام بن منبه قال: هذا ما حدثنا ابو هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (ما نهيتكم عن شيء فاجتنبوه وما امرتكم بالامر فاتوا منه ما استطعتم) = [3: 2] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - وهو مختصر ما قبله.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. মুকাদ্দিমাহ (المقدمة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »