পরিচ্ছেদঃ

৩৩. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওয়াহীর সূচনা হয় ঘুমের মধ্যে সত্য স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে। তিনি যে স্বপ্নই দেখতেন তা ভোরের আলোর মত উদ্ভাসিত হতো। অতঃপর তাঁর নিকট একাকিত্বকে প্রিয় করে দেয়া হল। ফলে তিনি হেরা গুহায় গিয়ে সেখানে বেশ কয়েক রাত ’ইবাদাতে কাটিয়ে দিতেন এবং এজন্য খাদ্য দ্রব্যও সঙ্গে নিয়ে যেতেন। এরপর খাদীজাহ (রাঃ)-এর কাছে ফিরে আসতেন এবং তিনি তাকে এরূপ খাদ্য দ্রব্য তৈরি করে দিতেন। শেষে তাঁর কাছে সত্যের বাণী (ওয়াহী) আসল। আর এ সময় তিনি হেরা গুহায় ছিলেন।

সেখানে ফেরেশতা এসে তাঁকে বলল, আপনি পড়ুন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি বললামঃ আমি তো আমি পাঠক নই। তখন তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে চাপ দিলেন। এমনকি এতে আমার খুব কষ্ট হল। তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিলেন এবং বললেন, আপনি পড়ুন। আমি বললাম, আমি পাঠক নই। তিনি দ্বিতীয়বার আমাকে শক্ত করে চেপে ধরলেন। এবারেও এতে আমার খুব কষ্ট হল। অতঃপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, আপনি পড়ুন। আমি বললাম, আমি তো পাঠক নই। এরপর তিনি তৃতীয়বার আমাকে শক্ত করে এমন চেপে ধরলেন যে, এবারেও এতে আমার খুব কষ্ট হল। তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, পাঠ করুন, আপনার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন......যা সে জানত না (সূরাহ আল-আলাক ৯৬/১-৫) এ আয়াত পর্যন্ত।

এরপর তিনি তা নিয়ে খাদীজাহ (রাঃ)-এর কাছে কম্পিত হৃদয়ে ফিরে এলেন। আর বললেন, আমাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও। আমাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও। ফলে তাঁরা তাঁকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দিলেন। অবশেষে তাঁর থেকে ভীতি দূর হয়ে গেল। এরপর তিনি বললেন, হে খাদীজাহ! আমার কী হল? এবং তাকে সমস্ত ঘটনা জানালেন। আর বললেনঃ আমি আমার জীবন সম্পর্কে শঙ্কাবোধ করছি। খাদীজাহ (রাঃ) তাকে বললেন, কক্ষনো না। আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আল্লাহর কসম, আল্লাহ্ আপনাকে কখনই লাঞ্ছিত করবেন না। কেননা, আপনি তো আত্মীয়তার বন্ধন জুড়ে রাখেন, সত্যকথা বলেন, অনাথ অক্ষমদের বোঝা বহন করেন, মেহমানদের মেহমানদারী করেন এবং হকের পথে আগত যাবতীয় বিপদে সাহায্য করেন। অতপর খাদীজাহ (রাঃ) তাঁকে নিয়ে চললেন। অতঃপর তাঁকে নিয়ে ওরাকা ইবনু নাওফল-এর কাছে এলেন। আর তিনি খাজীদাহ (রাঃ)-এর চাচার পুত্র (চাচাত ভাই) ছিলেন। তিনি জাহিলীয়াতের যুগে খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরবী কিতাব লিখতেন। তাই সে ইন্জীল আরবীতে অনুবাদ করতেন- যতখানি লেখা আল্লাহর মনযুর হত। তিনি ছিলেন অতি বৃদ্ধ, দৃষ্টিশক্তিহীন লোক। খাদীজাহ (রাঃ) তাকে বললেন, হে আমার চাচাতো ভাই! তোমার ভাতিজার কথা শুন। তখন ওরাকা বললেন, হে ভাতিজা! তুমি কী দেখেছ?

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছু দেখেছিলেন তা তাকে জানালেন। তখন ওরাকা বললেন, এতো আল্লাহর সেই নামুস (জীবরীল আঃ) যাঁকে মূসা (আঃ)-এর কাছে প্রেরণ করা হয়েছিল। হায় আফসোস! যদি সেদিন আমি জীবিত থাকতাম যেদিন তোমার কাওম তোমাকে বের করে দেবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তারা কি আমাকে বের করে দেবে? ওরাকা বললেন, হ্যাঁ তুমি যা নিয়ে এসেছ, এমন বস্তু নিয়ে যে-ই এসেছে, তার সঙ্গেই শত্রুতা করা হয়েছে এবং কষ্ট  দেয়া হয়েছে। যদি তোমার জীবনকাল আমাকে পায়, তাহলে আমি সর্বতোভাবে তোমাকে সাহায্য করব। এরপর কিছু দিনের মধ্যেই ওরাকার মৃত্যু হয়। আর কিছু দিনের জন্য ওয়াহীও বন্ধ থাকে। এমনকি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অবস্থার কারণে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন। এমনকি আমরা এ সম্পর্কে তার থেকে জানতে পেরেছি যে, তিনি পর্বতের চূড়া থেকে নিচে পড়ে যাবার জন্য একাধিকবার দ্রুত সেখানে চলে গেছেন। যখনই নিজেকে ফেলে দেয়ার জন্য পর্বতের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরীল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে বলতেন, হে মুহাম্মাদ! নিঃসন্দেহে আপনি আল্লাহর সত্য রাসূল। এতে তাঁর অস্থিরতা দূর হত এবং নিজ মনে শান্তিবোধ করতেন। তাই সেখান থেকে ফিরে আসতেন। ওয়াহী বন্ধ অবস্থা যখন তাঁর উপর দীর্ঘ হত তখনই তিনি ঐরূপ উদ্দেশে দ্রুত চলে যেতেন। যখনই তিনি পর্বতের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরীল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে আগের মত বলতেন।[1]

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي السَّرِيِّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ:
(أول ما بُدىء برسول الله صلى الله عليه وسلم من الْوَحْيِ الرُّؤْيَا الصَّادِقَةُ يَرَاهَا فِي النَّوْمِ فَكَانَ لَا يَرَى رُؤْيَا إِلَّا جَاءَتْ مِثْلَ فَلَقِ الصُّبْحِ ثُمَّ حُبِّبَ لَهُ الْخَلَاءُ فَكَانَ يَأْتِي حِرَاءَ فيتحنَّث فِيهِ - وَهُوَ التَّعَبُّدُ - اللَّيَالِيَ ذَوَاتِ الْعِدَّةِ وَيَتَزَوَّدُ لِذَلِكَ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى خَدِيجَةَ فَتُزَوِّدُهُ لِمِثْلِهَا حَتَّى فَجِئَهُ الْحَقُّ وَهُوَ فِي غَارِ حِرَاءَ فَجَاءَهُ الْمَلَكُ فِيهِ فَقَالَ: اقْرَأْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
فَقُلْتُ: مَا أَنَا بِقَارِئٍ قَالَ: فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدَ ثُمَّ أَرْسَلَنِي فَقَالَ لِي: اقْرَأْ فَقُلْتُ: مَا أَنَا بِقَارِئٍ فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّانِيَةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدَ ثُمَّ أَرْسَلَنِي فَقَالَ: اقْرَأْ فَقُلْتُ: مَا أَنَا بِقَارِئٍ فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّالِثَةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدَ ثُمَّ أَرْسَلَنِي فَقَالَ: {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ} [العلق: 1] , حَتَّى بَلَغَ: {مَا لَمْ يَعْلَمْ} [العلق: 5] قَالَ: فَرَجَعَ بِهَا تَرْجُفُ بَوَادِرُهُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى خَدِيجَةَ فَقَالَ:
زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي فَزَمَّلُوهُ حَتَّى ذَهَبَ عَنْهُ الرَّوْعُ ثُمَّ قَالَ:
يَا خَدِيجَةُ مَا لِي؟ وَأَخْبَرَهَا الْخَبَرَ وَقَالَ:
قَدْ خَشِيتُهُ عَلَيَّ فَقَالَتْ: كَلَّا أَبْشِرْ فَوَاللَّهِ لَا يُخْزِيكَ اللَّهُ أَبَدًا [ص: 164] إِنَّكَ لَتَصِلُ الرَّحِمَ وَتَصْدُقُ الْحَدِيثَ وَتَحْمِلُ الْكَلَّ وَتَقْرِي الضَّيْفَ وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ ثُمَّ انْطَلَقَتْ بِهِ خَدِيجَةُ حَتَّى أَتَتْ بِهِ وَرَقَةَ بْنَ نَوْفَلٍ وَكَانَ أَخَا أبيها وكان أمرءاً تنصَّر فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَكَانَ يَكْتُبُ الْكِتَابَ الْعَرَبِيَّ فَيَكْتُبُ بِالْعَرَبِيَّةِ مِنَ الْإِنْجِيلِ مَا شَاءَ أَنْ يَكْتُبَ وَكَانَ شَيْخًا كَبِيرًا قَدْ عَمِيَ فَقَالَتْ لَهُ خَدِيجَةُ: أَيْ عَمِّ اسْمَعْ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ فَقَالَ وَرَقَةُ: ابْنَ أَخِي مَا تَرَى؟ فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا رَأَى فَقَالَ وَرَقَةُ: هَذَا النَّامُوسُ الَّذِي أُنزل عَلَى مُوسَى يَا لَيْتَنِي أَكُونُ فِيهَا جَذَعًا أَكُونُ حَيًّا حِينَ يُخْرِجُكَ قَوْمُكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
أمخرجيَّ هُمْ؟! قَالَ: نَعَمْ لَمْ يَأْتِ أَحَدٌ قَطُّ يما جِئْتَ بِهِ إِلَّا عُودِيَ وَأُوذِيَ وَإِنْ يُدْرِكْنِي يَوْمُكَ أَنْصُرْكَ نَصْرًا مُؤَزَّرًا ثُمَّ لَمْ يَنْشَبْ وَرَقَةُ أَنْ تُوُفِّيَ وَفَتَرَ الْوَحْيُ فَتْرَةً حَتَّى حَزِنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ـ فِيمَا بَلَغَنَا ـ حُزْنًا غَدَا مِنْهُ مِرَارًا لِكَيْ يتردى من رؤوس شَوَاهِقِ الْجِبَالِ فَكُلَّمَا أَوْفَى بِذِرْوَةِ جَبَلٍ كَيْ يُلْقِيَ نَفْسَهُ مِنْهَا تَبَدَّى لَهُ جِبْرِيلُ فَقَالَ لَهُ: يَا مُحَمَّدُ إِنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ حَقًّا فَيَسْكُنُ لِذَلِكَ جَأْشُهُ وتقرُّ نَفْسُهُ فَيَرْجِعُ فَإِذَا طَالَ عَلَيْهِ فَتْرَةُ الْوَحْيِ غَدَا لِمِثْلِ ذَلِكَ فَإِذَا أَوْفَى بِذِرْوَةِ الْجَبَلِ تبدَّى لَهُ جِبْرِيلُ فيقول له مثل ذلك.
= [1: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح دون جملة التردي ـ ((مختصر البخاري)) (رقم 3) ولم يذكرها (م) (1)، [ص: 165] ((فقه السيرة)).

(1) خلافاً لما توهمه المعلق على الحديث في طبعة ((مؤسسة الرسالة)) (1/ 219)، فقد عزاهُ لجمعٍ ليست هذه الزيادة الواهية عند بعضهم ـ أحدهم مسلم ـ! ولم يتنبه لها الشيخ أحمد شاكر، فلم يستدركها؛ فأوهم صحتها.

الحديث: 33 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 163

اخبرنا محمد بن الحسن بن قتيبة حدثنا ابن ابي السري حدثنا عبد الرزاق اخبرنا معمر عن الزهري اخبرني عروة بن الزبير عن عاىشة قالت: (اول ما بدىء برسول الله صلى الله عليه وسلم من الوحي الرويا الصادقة يراها في النوم فكان لا يرى رويا الا جاءت مثل فلق الصبح ثم حبب له الخلاء فكان ياتي حراء فيتحنث فيه - وهو التعبد - الليالي ذوات العدة ويتزود لذلك ثم يرجع الى خديجة فتزوده لمثلها حتى فجىه الحق وهو في غار حراء فجاءه الملك فيه فقال: اقرا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فقلت: ما انا بقارى قال: فاخذني فغطني حتى بلغ مني الجهد ثم ارسلني فقال لي: اقرا فقلت: ما انا بقارى فاخذني فغطني الثانية حتى بلغ مني الجهد ثم ارسلني فقال: اقرا فقلت: ما انا بقارى فاخذني فغطني الثالثة حتى بلغ مني الجهد ثم ارسلني فقال: {اقرا باسم ربك الذي خلق} [العلق: 1] , حتى بلغ: {ما لم يعلم} [العلق: 5] قال: فرجع بها ترجف بوادره حتى دخل على خديجة فقال: زملوني زملوني فزملوه حتى ذهب عنه الروع ثم قال: يا خديجة ما لي؟ واخبرها الخبر وقال: قد خشيته علي فقالت: كلا ابشر فوالله لا يخزيك الله ابدا [ص: 164] انك لتصل الرحم وتصدق الحديث وتحمل الكل وتقري الضيف وتعين على نواىب الحق ثم انطلقت به خديجة حتى اتت به ورقة بن نوفل وكان اخا ابيها وكان امرءا تنصر في الجاهلية وكان يكتب الكتاب العربي فيكتب بالعربية من الانجيل ما شاء ان يكتب وكان شيخا كبيرا قد عمي فقالت له خديجة: اي عم اسمع من ابن اخيك فقال ورقة: ابن اخي ما ترى؟ فاخبره رسول الله صلى الله عليه وسلم ما راى فقال ورقة: هذا الناموس الذي انزل على موسى يا ليتني اكون فيها جذعا اكون حيا حين يخرجك قومك فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: امخرجي هم؟! قال: نعم لم يات احد قط يما جىت به الا عودي واوذي وان يدركني يومك انصرك نصرا موزرا ثم لم ينشب ورقة ان توفي وفتر الوحي فترة حتى حزن رسول الله صلى الله عليه وسلم ـ فيما بلغنا ـ حزنا غدا منه مرارا لكي يتردى من رووس شواهق الجبال فكلما اوفى بذروة جبل كي يلقي نفسه منها تبدى له جبريل فقال له: يا محمد انك رسول الله حقا فيسكن لذلك جاشه وتقر نفسه فيرجع فاذا طال عليه فترة الوحي غدا لمثل ذلك فاذا اوفى بذروة الجبل تبدى له جبريل فيقول له مثل ذلك. = [1: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح دون جملة التردي ـ ((مختصر البخاري)) (رقم 3) ولم يذكرها (م) (1)، [ص: 165] ((فقه السيرة)). (1) خلافا لما توهمه المعلق على الحديث في طبعة ((موسسة الرسالة)) (1/ 219)، فقد عزاه لجمع ليست هذه الزيادة الواهية عند بعضهم ـ احدهم مسلم ـ! ولم يتنبه لها الشيخ احمد شاكر، فلم يستدركها؛ فاوهم صحتها. الحديث: 33 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 163

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ خَبَرٍ أَوْهَمَ مَنْ لَمْ يُحكِم صِنَاعَةَ الْحَدِيثِ أَنَّهُ يُضَادُّ خَبَرَ عَائِشَةَ الَّذِي تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ

হাদীসের বিষয়ে খুব দক্ষ নয়,এমন ব্যক্তি যে হাদীসটির কারণে ভ্রান্তিতে পড়ে পূর্বে আমাদের বর্ণিত আয়িশা (রাঃ) এর হাদীসের বিরোধিতা করতে পারেন- তেমনি একটি বর্ণনা:


 ৩৪. ইয়াহ্ইয়াহ ইবনু কাসীর (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সালামাহ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কুরআনের কোন্ আয়াতটি প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল? তিনি বললেন, يٓاأَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল। আমি বললাম, আমাকে বলা হয়েছে اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল। এ কথা শুনে আবূ সালামাহ (রহ.) বললেন, কুরআনের কোন্ আয়াতটি প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল, এ সম্পর্কে আমি জাবির (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করার পর তিনি বলেছেন يٓاأيُّهَا الْمُدَّثِّرُ প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল। তখন আমি বললাম, আমাকে বলা হয়েছে যে اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল। তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন, আমি তোমাকে তা ব্যতীত অন্য কিছু বলছি না।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি হেরা গুহায় অবস্থান করেছিলাম। সেখানে অবস্থান করা শেষ হলে আমি সেখান থেকে নেমে উপত্যকার মাঝামাঝি পৌঁছলে আমাকে ডাকা হল। আমি তখন সামনে, পেছনে, ডানে ও বামে তাকালাম। তথায় কাউকেই দেখতে পেলাম না। অতঃপর পুনরায় আমাকে ডাকা হল। অতঃপর আমি আমার উর্ধ্বাকাশে তাকিয়ে দেখলাম, সে আসমান ও যমীনের মধ্যস্থলে রক্ষিত একটি আসনে উপবিষ্ট আছে। তখন আমি তাকে খুব ভয় পেয়ে গেলাম। এরপর আমি খাদীজা (রাঃ)-এর কাছে এসে বললাম, আমাকে বস্ত্রাচ্ছাদিত কর, আমাকে বস্ত্রাচ্ছাদিত কর এবং আমার শরীরে ঠান্ডা পানি ঢাল। তখন আমার প্রতি অবতীর্ণ করা হলঃ ’’হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! সতর্কবাণী প্রচার কর এবং তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর।’’[1]


قَالَ أَبُو حَاتِمٍ فِي خَبَرِ جَابِرٍ هَذَا: إِنَّ أَوَّلَ مَا أُنْزِلَ مِنَ الْقُرْآنِ: {يَا أيها المدثر} وَفِي خَبَرِ عَائِشَةَ: {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ} وَلَيْسَ بَيْنَ هَذَيْنِ الْخَبَرَيْنِ تَضَادٌّ إِذِ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْزَلَ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عليه وسلم: {اقرأ باسم ربك} وَهُوَ فِي الْغَارِ بِحِرَاءَ فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ دَثَّرَتْهُ خَدِيجَةُ وَصَبَّتْ عَلَيْهِ الْمَاءَ الْبَارِدَ وأُنْزِلَ عَلَيْهِ فِي بَيْتِ خَدِيجَةَ: {يَا أَيُّهَا المدثر * قم ... } مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونَ بَيْنَ الْخَبَرَيْنِ تَهَاتُرٌ أو تضاد

আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) সম্পর্কে বলেন, জাবির (রাঃ) বর্ণিত এ হাদীস অনুযায়ী কুরআনের প্রথম অবতীর্ণ আয়াত: {يَا أيها المدثر} এবং আয়িশা (রাঃ) বর্ণিত হাদীস অনুযায়ী {اقرأ باسم ربك}। এ উভয় বর্ণনার মাঝে কোন ভুল বোঝার অবকাশ নেই। কেননা, আল্লাহ আযযা ও জাল্লা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর {اقرأ باسم ربك} আয়াতটি অবতীর্ণ করেন যখন তিনি গারে হেরায় অবস্থান করছিলেন। আর যখন গারে হেরা থেকে বাড়ি ফিরে আসলেন এবং খাদিজা (রাঃ) তাকে কাপড় বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তাঁর উপর ঠান্ডা পানি ঢাললেন, তখন খাদিজার বাড়িতে আর {يَا أيها المدثر} আয়াতটি এটি নাযিল হয়েছিল। ফলে এ দুই হাদীসের মাঝে কোন বৈপরীত্য কিংবা ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ নেই।

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ الْعَطَّارُ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ:
سَأَلْتُ أَبَا سَلَمَةَ: أَيُّ الْقُرْآنِ أُنزل أَوَّلَ؟ قال: {يا أيها المدثر} قُلْتُ: إِنِّي نُبئت أَنَّ أَوَّلَ سُورَةٍ أُنْزِلَتْ مِنَ الْقُرْآنِ: {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ} [العلق: 1] قَالَ أَبُو سَلَمَةَ: سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ: أَيُّ الْقُرْآنِ أُنزل أَوَّلَ؟ قال: {يا أيها المدثر} فَقُلْتُ لَهُ: إِنِّي نُبئت أَنَّ أَوَّلَ سُورَةٍ نَزَلَتْ مِنَ الْقُرْآنِ: {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ} قَالَ جَابِرٌ: لَا أحدِّثُكَ إِلَّا مَا حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال:
جَاوَرْتُ فِي حِرَاءَ فَلَمَّا قَضَيْتُ جِوَارِي نَزَلْتُ فَاسْتَبْطَنْتُ الْوَادِيَ فَنُودِيتُ فَنَظَرْتُ أَمَامِي وَخَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي فَلَمْ أَرَ شَيْئًا فَنُودِيتُ فَنَظَرْتُ فَوْقِي فَإِذَا أَنَا بِهِ قَاعِدٌ عَلَى عَرْشٍ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ فَجُئِثْتُ مِنْهُ فَانْطَلَقْتُ إِلَى خَدِيجَةَ فَقُلْتُ دَثِّرُونِي دَثِّرُونِي وَصَبُّوا عَلَيَّ مَاءً بَارِدًا فَأُنْزِلَتْ عَلَيَّ {يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ * قم فأنذر * وربك فكبر} [المدثر: 1 ـ3].
= [1: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((تخريج فقه السيرة)) (90): ق.
[ص: 166]

اخبرنا احمد بن علي بن المثنى حدثنا هدبة بن خالد حدثنا ابان بن يزيد العطار حدثنا يحيى بن ابي كثير قال: سالت ابا سلمة: اي القران انزل اول؟ قال: {يا ايها المدثر} قلت: اني نبىت ان اول سورة انزلت من القران: {اقرا باسم ربك الذي خلق} [العلق: 1] قال ابو سلمة: سالت جابر بن عبد الله: اي القران انزل اول؟ قال: {يا ايها المدثر} فقلت له: اني نبىت ان اول سورة نزلت من القران: {اقرا باسم ربك} قال جابر: لا احدثك الا ما حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: جاورت في حراء فلما قضيت جواري نزلت فاستبطنت الوادي فنوديت فنظرت امامي وخلفي وعن يميني وعن شمالي فلم ار شيىا فنوديت فنظرت فوقي فاذا انا به قاعد على عرش بين السماء والارض فجىثت منه فانطلقت الى خديجة فقلت دثروني دثروني وصبوا علي ماء باردا فانزلت علي {يا ايها المدثر * قم فانذر * وربك فكبر} [المدثر: 1 ـ3]. = [1: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((تخريج فقه السيرة)) (90): ق. [ص: 166]

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ الْقَدْرِ الَّذِي جَاوَرَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحِرَاءَ عِنْدَ نُزُولِ الْوَحْيِ عَلَيْهِ

ওহী অবতীর্ণ হওয়ার সময় নাবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম গারে হেরায় কত সময় অবস্থান করেছিলেন, - এ সম্পর্কিত বর্ণনা:


৩৫. ইয়াহ্ইয়াহ ইবনু কাসীর (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সালামাহ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কুরআনের কোন্ আয়াতটি প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল? তিনি বললেন, يٓاأَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল। আমি বললাম, আমাকে বলা হয়েছে اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল। এ কথা শুনে আবূ সালামাহ (রহ.) বললেন, কুরআনের কোন্ আয়াতটি প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল, এ সম্পর্কে আমি জাবির (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করার পর তিনি বলেছেন يٓاأيُّهَا الْمُدَّثِّرُ প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল। তখন আমি বললাম, আমাকে বলা হয়েছে যে اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল। তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন, আমি তোমাকে তা ব্যতীত অন্য কিছু বলছি না।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি হেরা গুহায় একমাস অবস্থান করেছিলাম। সেখানে অবস্থান করা শেষ হলে আমি সেখান থেকে নেমে উপত্যকার মাঝামাঝি পৌঁছলে আমাকে ডাকা হল। আমি তখন সামনে, পেছনে, ডানে ও বামে তাকালাম। তথায় কাউকেই দেখতে পেলাম না। অতঃপর পুনরায় আমাকে ডাকা হল। অতঃপর আমি আমার উর্ধ্বাকাশে তাকিয়ে দেখলাম, সে আসমান ও যমীনের মধ্যস্থলে শুণ্যে ভাসমান একটি আসনে উপবিষ্ট আছে। তখন আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। এরপর আমি খাদীজা (রাঃ)-এর কাছে এসে নির্দেশ দিলে আমাকে বস্ত্রাচ্ছাদিত করল এবং আমার শরীরে ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল। তখন আমার প্রতি অবতীর্ণ করা হলঃ ’’হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! সতর্কবাণী প্রচার কর এবং তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এবং তোমার পোশাক পবিত্র কর।”[1]

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ:
سَأَلْتُ أَبَا سَلَمَةَ: أَيُّ الْقُرْآنِ أُنزل أَوَّلَ؟ قَالَ: {يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ} قلت: أوِ {اقرأ} فَقَالَ: أَبُو سَلَمَةَ: سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ} فقلت: أوِ {اقرأ} فَقَالَ: إِنِّي أُحَدِّثُكُمْ مَا حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
جَاوَرْتُ بِحِرَاءَ شَهْرًا فَلَمَّا قَضَيْتُ جِوَارِي نَزَلْتُ فَاسْتَبْطَنْتُ الْوَادِيَ فَنُودِيتُ فَنَظَرْتُ أَمَامِي وَخَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي فَلَمْ أَرَ أَحَدًا ثُمَّ نُودِيتُ فَنَظَرْتُ إِلَى السَّمَاءِ فَإِذَا هُوَ عَلَى الْعَرْشِ فِي الْهَوَاءِ فَأَخَذَتْنِي رَجْفَةٌ شَدِيدَةٌ فَأَتَيْتُ خَدِيجَةَ فَأَمَرْتُهُمْ فَدَثَّرُونِي ثُمَّ صَبُّوا عليَّ الْمَاءَ وَأَنْزَلَ اللَّهُ عليَّ {يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ * قُمْ فَأَنْذِرْ * وَرَبَّكَ فكبر * وثيابك فطهر} [المدثر: 1 ـ 4].
= [1: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - وهو مكرر الذي قبله.
الحديث: 35 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 166

اخبرنا عبد الله بن محمد بن سلم حدثنا عبد الرحمن بن ابراهيم حدثنا الوليد بن مسلم حدثنا الاوزاعي حدثني يحيى بن ابي كثير قال: سالت ابا سلمة: اي القران انزل اول؟ قال: {يا ايها المدثر} قلت: او {اقرا} فقال: ابو سلمة: سالت جابر بن عبد الله عن ذلك فقال: {يا ايها المدثر} فقلت: او {اقرا} فقال: اني احدثكم ما حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: جاورت بحراء شهرا فلما قضيت جواري نزلت فاستبطنت الوادي فنوديت فنظرت امامي وخلفي وعن يميني وعن شمالي فلم ار احدا ثم نوديت فنظرت الى السماء فاذا هو على العرش في الهواء فاخذتني رجفة شديدة فاتيت خديجة فامرتهم فدثروني ثم صبوا علي الماء وانزل الله علي {يا ايها المدثر * قم فانذر * وربك فكبر * وثيابك فطهر} [المدثر: 1 ـ 4]. = [1: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - وهو مكرر الذي قبله. الحديث: 35 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 166

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)

পরিচ্ছেদঃ

৩৬. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-থেকে বর্ণিত, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা যখন আকাশে ফায়সালা করেন তখন মালায়িকাহ আল্লাহর নির্দেশের প্রতি (আনুগত্যস্বরূপ) অতি নম্রভাবে তাদের ডানা ঝাড়তে থাকে; যেন মসৃণ পাথরের উপর শিকলের আওয়াজ। যখন তাদের মনের ভয়-ভীতি দূর হয় তারা (একে অপরকে) জিজ্ঞেস করে, তোমাদের প্রতিপালক কী বলেছেন? তারা বলেন, তিনি যা বলেছেন, সত্যই বলেছেন। তিনি সর্বশ্রোতা, মহান জ্ঞানী। যে সময়ে লুকোচুরিকারী (শায়ত্বন) তা শোনে, আর লুকোচুরিকারী এরূপ একের ওপর এক। সুফ্ইয়ান তাঁর হাত উপরে উঠিয়ে আঙ্গুলগুলো ফাঁক করে দেখান।

তারপর শায়ত্বন কথাগুলো শুনে নেয় এবং প্রথমজন তার নিচের জনকে এবং সে তার নিচের জনকে জানিয়ে দেয়। এমনিভাবে এ খবর দুনিয়াতে পৌঁছে দেয়। এরপ তা কাফির ও জাদুকর (জ্যোতিষ)-এর মুখে নিক্ষেপ করা হয়। কোন কোন সময় কথা পৌঁছানোর আগে তার উপর অগ্নিশিখা নিক্ষিপ্ত হয়। আবার অগ্নিশিখা নিক্ষিপ্ত হওয়ার আগে সে কথা পৌঁছিয়ে দেয় এবং এর সাথে শত মিথ্যা মিশিয়ে বলে, অথচ একথাকে সত্য বলে মেনে নেয়া হয়। লোকেরা বলাবলি করে, ’সে কি অমুক দিন অমুক অমুক কথা আমাদের বলেনি, এমন এমন কথা? ফলে সে সত্য কথাই বলেছে।’[1]

أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ حدثنا سفيان عن عمرو بن دينار عن عِكْرِمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
(إِذَا قَضَى اللَّهُ الْأَمْرَ فِي السَّمَاءِ ضَرَبَتِ الْمَلَائِكَةُ بِأَجْنِحَتِهَا خُضْعَانًا لِقَوْلِهِ كَأَنَّهُ سِلْسِلَةٌ عَلَى صَفْوَانٍ حَتَّى إِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا: مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ؟ فَيَقُولُونَ: قَالَ الْحَقَّ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ فَيَسْتَمِعُهَا مُسْتَرِقُ السَّمْعِ فَرُبَّمَا أَدْرَكَهُ الشِّهَابُ قَبْلَ أَنْ يَرْمِيَ بِهَا إِلَى الَّذِي هُوَ أَسْفَلُ مِنْهُ وَرُبَّمَا لَمْ يُدْرِكْهُ الشِّهَابُ حَتَّى يَرْمِيَ بِهَا إِلَى الَّذِي هُوَ أَسْفَلُ مِنْهُ قَالَ: وَهُمْ هَكَذَا بَعْضُهُمْ أَسْفَلُ مِنْ بَعْضٍ – وَوَصَفَ ذَلِكَ سُفْيَانُ بِيَدِهِ – فَيَرْمِي بِهَا هَذَا إِلَى هَذَا وَهَذَا إِلَى هَذَا حَتَّى تَصِلَ إِلَى الْأَرْضِ فتُلقى عَلَى فَمِ الْكَافِرِ وَالسَّاحِرِ فَيَكْذِبُ معها مئة كِذْبَةٍ فيُصَدَّقُ وَيُقَالُ: أَلَيْسَ قَدْ قَالَ فِي يوم كذا وكذا ـ كذا وكذا فصدق)
= [1: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح – ((الصحيحة)) (1293): خ.
الحديث: 36 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 167

اخبرنا ابو خليفة حدثنا ابراهيم بن بشار حدثنا سفيان عن عمرو بن دينار عن عكرمة عن ابي هريرة يبلغ به النبي صلى الله عليه وسلم قال: (اذا قضى الله الامر في السماء ضربت الملاىكة باجنحتها خضعانا لقوله كانه سلسلة على صفوان حتى اذا فزع عن قلوبهم قالوا: ماذا قال ربكم؟ فيقولون: قال الحق وهو السميع العليم فيستمعها مسترق السمع فربما ادركه الشهاب قبل ان يرمي بها الى الذي هو اسفل منه وربما لم يدركه الشهاب حتى يرمي بها الى الذي هو اسفل منه قال: وهم هكذا بعضهم اسفل من بعض – ووصف ذلك سفيان بيده – فيرمي بها هذا الى هذا وهذا الى هذا حتى تصل الى الارض فتلقى على فم الكافر والساحر فيكذب معها مىة كذبة فيصدق ويقال: اليس قد قال في يوم كذا وكذا ـ كذا وكذا فصدق) = [1: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح – ((الصحيحة)) (1293): خ. الحديث: 36 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 167

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ وَصْفِ أَهْلِ السَّمَاوَاتِ عِنْدَ نُزُولِ الْوَحْيِ

ওহী নাযিলের সময় আসমানবাসীদের অবস্থার বর্ণনা:


৩৭. আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন মহান আল্লাহ ওহীর বাক্য বলেন, তখন আকাশের অধিবাসীগণ পাথরের উপর দিয়ে শিকল টানা শব্দের মতই আকাশ থেকে গর্জনের শব্দ শুনতে পান। আর আওয়াজ শুনে তারা বেহুশ হয়ে যায় এবং জিবরীল (আঃ) তাদের নিকট উপস্থিত হলে তাদের অন্তর থেকে ভয় বিদূরীত হয়ে তারা হুশ ফিরে পায়। অতঃপর তারা বলে, হে জিবরীল! আপনার রব কি বলেছেন? তিনি বলেন, যা সত্য তাই বলেছেন। তখন তারা ঘোষণা দিয়ে বলে, সত্যই বলেছেন, সত্যই বলেছেন।[1]

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ إِشْكَابٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(إِنَّ اللَّهَ إِذَا تَكَلَّمَ بِالْوَحْيِ سَمِعَ أَهْلُ السَّمَاءِ لِلسَّمَاءِ صَلْصَلَةً كَجَرِّ السِّلْسِلَةِ عَلَى الصَّفَا فيُصعقون فَلَا يَزَالُونَ كَذَلِكَ حَتَّى يَأْتِيَهُمْ جِبْرِيلُ فَإِذَا [ص: 168] جَاءَهُمْ فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ فَيَقُولُونَ: يَا جِبْرِيلُ مَاذَا قَالَ ربك؟ فيقول: الحق فينادون: الحق الحق)
= [1: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح – ((الصحيحة)) ـ أيضاً ـ: خ معلقاً موقوفاً.
الحديث: 37 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 167

اخبرنا محمد بن المسيب بن اسحاق حدثنا علي بن الحسين بن اشكاب حدثنا ابو معاوية عن الاعمش عن مسلم عن مسروق عن عبد الله قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (ان الله اذا تكلم بالوحي سمع اهل السماء للسماء صلصلة كجر السلسلة على الصفا فيصعقون فلا يزالون كذلك حتى ياتيهم جبريل فاذا [ص: 168] جاءهم فزع عن قلوبهم فيقولون: يا جبريل ماذا قال ربك؟ فيقول: الحق فينادون: الحق الحق) = [1: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح – ((الصحيحة)) ـ ايضا ـ: خ معلقا موقوفا. الحديث: 37 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 167

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ وَصْفِ نُزُولِ الْوَحْيِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ওহী নাযিলের অবস্থার বর্ণনা:


৩৮. উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। হারিস ইবনু হিশাম (রাঃ) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করলেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনার নিকট ওয়াহী কিরূপে আসে?’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কোন কোন সময় তা ঘণ্টা বাজার মত আমার নিকট আসে। আর এটি-ই আমার উপর সবচেয়ে বেদনাদায়ক হয় এবং তা শেষ হতেই মালাক (ফেরেশতা) যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে নেই, আবার কখনো মালাক মানুষের রূপ ধারণ করে আমার সাথে কথা বলেন। তিনি যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে নেই।

 ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি তীব্র শীতের সময় ওয়াহী নাযিলরত অবস্থায় তাঁকে দেখেছি। ওয়াহী শেষ হলেই তাঁর ললাট হতে ঘাম ঝরে পড়ত।[1]

أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ أَخْبَرَنَا أحمد بن أبي بكر عن مالك عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة:
أَنَّ الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فقال: يا رسول اللَّهِ كَيْفَ يَأْتِيكَ الْوَحْيُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
أَحْيَانًا يَأْتِينِي فِي مِثْلِ صَلْصَلَةِ الْجَرَسِ وَهُوَ أَشَدُّهُ عَلَيَّ فَيَنْفَصِمُ عَنِّي وَقَدْ وَعَيْتُ مَا قَالَ وَأَحْيَانًا يَتَمَثَّلُ لِيَ الْمَلَكُ رَجُلًا فَيُكَلِّمُنِي فَأَعِي مَا يَقُولُ قَالَتْ عَائِشَةُ: وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يَنْزِلُ عَلَيْهِ فِي الْيَوْمِ الشَّاتي الشَّدِيدِ الْبَرْدِ فَيَنْفَصِمُ عَنْهُ وَإِنَّ جبينه ليتفصَّد عرقاً
= [1: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح – ((تخريج فقه السيرة)) (91)، ((الصحيحة)) (5958): ق.
الحديث: 38 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 168

اخبرنا عمر بن سعيد بن سنان اخبرنا احمد بن ابي بكر عن مالك عن هشام بن عروة عن ابيه عن عاىشة: ان الحارث بن هشام سال رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: يا رسول الله كيف ياتيك الوحي؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: احيانا ياتيني في مثل صلصلة الجرس وهو اشده علي فينفصم عني وقد وعيت ما قال واحيانا يتمثل لي الملك رجلا فيكلمني فاعي ما يقول قالت عاىشة: ولقد رايته ينزل عليه في اليوم الشاتي الشديد البرد فينفصم عنه وان جبينه ليتفصد عرقا = [1: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح – ((تخريج فقه السيرة)) (91)، ((الصحيحة)) (5958): ق. الحديث: 38 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 168

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ اسْتِعْجَالِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تَلَقُّفِ الْوَحْيِ عِنْدَ نُزُولِهِ عَلَيْهِ

ওহী নাযিলের সময় তা ধরে রাখার (মুখস্ত রাখার) জন্য নাবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তাড়াহুড়া করার বর্ণনা:


৩৯. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর বাণীঃ ’’কুরআনের কারণে আপনার জিহ্বা দ্রুত নাড়াচাড়া করবেন না’, এ আয়াত প্রসঙ্গে বলেন, ওয়াহী নাযিল হওয়া শুরু হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুবই চেষ্টা করতেন ওহী (মুখস্ত রাখা)-এর ব্যাপারে। তিনি তার ঠোঁট দুটি নাড়াতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমি ঠোঁট দু’টি সেভাবে নাড়ছি, যেভাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে দু’টো নেড়েছিলেন। এ অবস্থায় আল্লাহ্ নাযিল করলেনঃ ’’তাড়াতাড়ি ওয়াহী আয়ত্ত করার জন্য তুমি তোমার জিহবা দ্রুততার সঙ্গে চালিত করো না, এর সংরক্ষণ ও পাঠ করাবার দায়িত্ব আমারই’’- (সূরাহ আল-ক্বিয়ামহ ৭৫/১৬-১৭)।

তিনি বলেন,  جَمْعُهُ – (সংরক্ষণ করা) -এর অর্থ আপনার বুকে সংরক্ষণ করা, যেন পরে তা পড়তে সক্ষম হন। “সুতরাং আমরা যখন তা পাঠ করি, তুমি সে পাঠের অনুসরণ কর”- (সূরাহ আল-ক্বিয়ামাহ ৭৫/১৮)। তিনি বলেন: এর অর্থ হচ্ছে আপনি তা শুনুন এবং চুপ থাকুন। (“এরপর এর বর্ণনা করার দায়িত্ব আমাদের উপর।”) অর্থাৎ আপনার কুরআন পাঠের দায়িত্ব আমাদের উপর। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জিব্রীল (আঃ) আসতেন, তিনি তখন মনোযোগ সহকারে তা শুনতেন। এরপর জিব্রীল (আঃ) যখন চলে যেতেন, তখন তিনি ঠিক তেমনি তা পাঠ করতেন, যেমনি তিনি তাঁকে পাঠ করিয়েছিলেন।[1]

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْجُنَيْدِ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: {لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ} [القيامة: 16] قَالَ: [ص: 169]
كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَالِجُ مِنَ التَّنْزِيلِ شِدَّةً كَانَ يُحَرِّكُ شَفَتَيْهِ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: أَنَا أُحَرِّكُهُمَا كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يحركهم فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ * إِنَّ عَلَيْنَا جَمَعَهُ وَقُرْآنَهُ} [القيامة: 16 ـ 17] قَالَ: جمعه في صدرك ثم تقرأه {فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ} [القيامة: 18] قَالَ: فَاسْتَمِعْ لَهُ وَأَنْصِتْ {ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ} [القيامة: 19] ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا أَنْ تَقْرَأَهُ قَالَ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إذا أَتَاهُ جِبْرِيلُ اسْتَمَعَ فَإِذَا انْطَلَقَ جِبْرِيلُ قَرَأَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا كَانَ أقرأه
= [1: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: ق.

اخبرنا محمد بن عبد الله بن الجنيد حدثنا قتيبة بن سعيد حدثنا ابو عوانة عن موسى بن ابي عاىشة عن سعيد بن جبير عن ابن عباس في قوله: {لا تحرك به لسانك لتعجل به} [القيامة: 16] قال: [ص: 169] كان النبي صلى الله عليه وسلم يعالج من التنزيل شدة كان يحرك شفتيه فقال ابن عباس: انا احركهما كما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يحركهم فانزل الله: {لا تحرك به لسانك لتعجل به * ان علينا جمعه وقرانه} [القيامة: 16 ـ 17] قال: جمعه في صدرك ثم تقراه {فاذا قراناه فاتبع قرانه} [القيامة: 18] قال: فاستمع له وانصت {ثم ان علينا بيانه} [القيامة: 19] ثم ان علينا ان تقراه قال: فكان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا اتاه جبريل استمع فاذا انطلق جبريل قراه النبي صلى الله عليه وسلم كما كان اقراه = [1: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح: ق.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)

পরিচ্ছেদঃ

 ذكر الخبر المدحض قول من زعم أن اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا لَمْ يُنْزِلْ آيَةً وَاحِدَةً إلا بكمالها

সেই সকল লোক যারা ধারণা করে যে, আল্লাহ জাল্লা ও আলা পূর্ণ আয়াত ব্যতীত কখনো (খণ্ড) আয়াত নাযিল করেন নি’- তাদের এ বক্তব্য বাতিল হওয়ার বর্ণনা:


৪০. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, لَايَسْتَوِي الْقَاعِدُوْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ .... আয়াতটি অবতীর্ণ হলে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যায়দকে আমার কাছে ডেকে আন এবং তাকে বল সে যেন কাষ্ঠখন্ড এবং দোয়াত অথবা কাঁধের হাড় এবং দোয়াত নিয়ে আসে। এরপর তিনি বললেন, লিখ: {لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ} {وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ الله} [النساء: 95]

এ সময় অন্ধ সাহাবী আমর ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, আমি তো অন্ধ, আমার ব্যাপারে আপনার কী নির্দেশ? বারা (রাঃ) বলেন: এ কথার প্রেক্ষিতে পূর্বোক্ত আয়াতের স্থলে অবতীর্ণ হলঃ ’’সমান নয় সেসব মু’মিন যারা বিনা ওজরে ঘরে বসে থাকে এবং ঐসব মু’মিন যারা আল্লাহর পথে নিজেদের জানমাল দিয়ে জিহাদ করে’’- (সূরাহ আন-নিসা ৪/৯৫)।[1]

أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُبَارَكِ الْهَرَوِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعِجْلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ:
لَمَّا نَزَلَتْ {لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ} [النساء: 95] قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
ادْعُ لِي زَيْدًا وَيَجِيءُ مَعَهُ بِاللَّوْحِ وَالدَّوَاةِ ـ أَوْ بِالْكَتِفِ وَالدَّوَاةِ ـ ثُمَّ قَالَ:
اكْتُبْ {لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ} {وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ الله} [النساء: 95] قَالَ: وَخَلْفَ ظَهْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمْرُو بْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ الْأَعْمَى [ص: 170] قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا تَأْمُرُنِي فَإِنِّي رَجُلٌ ضَرِيرُ الْبَصَرِ؟ قَالَ الْبَرَاءُ: فأُنزلت مَكَانَهَا {غَيْرَ أولي الضرر} [النساء: 95].
= [24: 4]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: خ.

اخبرنا النضر بن محمد بن المبارك الهروي قال: حدثنا محمد بن عثمان العجلي قال: حدثنا عبيد الله بن موسى عن اسراىيل عن ابي اسحاق عن البراء قال: لما نزلت {لا يستوي القاعدون من المومنين} [النساء: 95] قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ادع لي زيدا ويجيء معه باللوح والدواة ـ او بالكتف والدواة ـ ثم قال: اكتب {لا يستوي القاعدون من المومنين} {والمجاهدون في سبيل الله} [النساء: 95] قال: وخلف ظهر النبي صلى الله عليه وسلم عمرو بن ام مكتوم الاعمى [ص: 170] قال: يا رسول الله فما تامرني فاني رجل ضرير البصر؟ قال البراء: فانزلت مكانها {غير اولي الضرر} [النساء: 95]. = [24: 4] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح: خ.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)

পরিচ্ছেদঃ

৪১. বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার জন্য কাধের হাড় অথবা তক্তা আন। তিনি তাতে এই আয়াত লিখালেনঃ “মুমিনদের মধ্যে যেসব লোক ঘরে বসে থাকে তারা সমকক্ষ হতে পারে না”। (সুরাঃ নিসা-৯৫) আমর ইবনু উম্মি মাকতুম (রাঃ) তার পিছনে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, আমার জন্য (ঘরে বসে থাকার) অনুমতি আছে কি? তখন অবতীর্ণ হলঃ “ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ ব্যতীত”।[1]

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ يُوسُفَ بِنَسَا قَالَ: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ قَالَ: خبَّرنا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ أَنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم قال:
ائتوني بِالْكَتِفِ أَوِ اللَّوْحِ فَكَتَبَ: {لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ} [النساء: 95] وَعَمْرُو بْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ خَلْفَ ظَهْرِهِ فَقَالَ: هَلْ لِي مِنْ رُخْصَةٍ؟ فنزلت: {غير أولي الضرر} [النساء: 95].
= [24: 4]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - وهو مختصر ما قبله.

اخبرنا محمد بن عمر بن يوسف بنسا قال: حدثنا نصر بن علي الجهضمي قال: خبرنا معتمر بن سليمان عن ابيه عن ابي اسحاق عن البراء بن عازب ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: اىتوني بالكتف او اللوح فكتب: {لا يستوي القاعدون من المومنين} [النساء: 95] وعمرو بن ام مكتوم خلف ظهره فقال: هل لي من رخصة؟ فنزلت: {غير اولي الضرر} [النساء: 95]. = [24: 4] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - وهو مختصر ما قبله.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)

পরিচ্ছেদঃ

 ذكر الخبر المدحض قول من زعم أن أَبَا إِسْحَاقَ السَّبِيعِيَّ لَمْ يَسْمَعْ هَذَا الْخَبَرَ مِنَ الْبَرَاءِ

সেই সকল লোক যারা ধারণা করে যে, আবূ ইসহাক সাবিঈ এ হাদীস বারা (রাঃ) থেকে শোনেন নি, তাদের এ বক্তব্য বাতিল হওয়ার বর্ণনা:


৪২. আবূ ইসহাক বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি বারা’ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُوْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِيْن  আয়াতটি নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়দ (রাঃ)-কে ডেকে আনলেন। তিনি একটি কাঁধের হাড় নিয়ে আসেন এবং তাতে উক্ত আয়াতটি লিখে রাখেন। ইবনু উম্মু মাকতুম জিহাদে শরীক হওয়ার ব্যাপারে তাঁর অক্ষমতা প্রকাশ করলে  غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ  আয়াতটি নাযিল হল।[1]

أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ قَالَ: سَمِعْتُ الْبَرَاءَ يَقُولُ:
لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: {لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ} [النساء: 95] دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدًا فَجَاءَ بكتفٍ فَكَتَبَهَا فِيهِ فَشَكَا ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ ضَرَارَتَهُ فَنَزَلَتْ: {غَيْرَ أُولِي الضَّرَرِ} [النساء: 95].
= [24: 4]

[تعليق الشيخ الألباني]
[ص: 171]
صحيح: ق.

اخبرنا ابو خليفة قال: حدثنا ابو الوليد قال: حدثنا شعبة قال: حدثنا ابو اسحاق قال: سمعت البراء يقول: لما نزلت هذه الاية: {لا يستوي القاعدون من المومنين} [النساء: 95] دعا رسول الله صلى الله عليه وسلم زيدا فجاء بكتف فكتبها فيه فشكا ابن ام مكتوم ضرارته فنزلت: {غير اولي الضرر} [النساء: 95]. = [24: 4] [تعليق الشيخ الالباني] [ص: 171] صحيح: ق.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ইসহাক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ مَا كَانَ يَأْمُرُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَتَبَةِ الْقُرْآنِ عِنْدَ نُزُولِ الْآيَةِ بعد الآية

কুরআন লেখানোর সময় কোন আয়াত কোন্ আয়াতের পর লিখতে হবে এ সম্পর্কে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে নির্দেশনা দিতেন-তার বর্ণনা:


৪৩. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’উসমান ইবনু আফ্ফান (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা কিভাবে সূরাহ বারাআতকে সূরাহ আল-আনফালের অন্তর্ভুক্ত করে আল-কুরআনের সাব’উল মাসানী (সাতটি দীর্ঘ সূরাহ)-এর মধ্যে গণ্য করেন? অথচ সূরাহ্ বারাআত মিআতাইন (তথা ১০০-এর অধিক আয়াত সম্বলিত সূরাহ্)-এর অন্তর্ভুক্ত (কারণ সূরাহ্ বারাআতে ১২৯টি আয়াত আছে)। পক্ষান্তরে সূরাহ আল-আনফাল মাসানীর অন্তর্ভুক্ত (কারণ তাতে আয়াতের সংখ্যা ১০০-এর কম অর্থাৎ ৭৫ টি)।

’উসমান (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর কুরআনের কোন আয়াত অবতীর্ণ হওয়া মাত্রই তিনি ওয়াহী লিখক সাহাবীদের ডেকে বলতেনঃ এই আয়াত অমুক সূরার অমুক স্থানে সন্নিবেশিত কর যেখানে এই এই বিষয় আলোচিত হয়েছে।

সূরা আল-আনফাল ছিল মদীনায় অবতীর্ণ (প্রাথমিক) সূরাসমূহের অন্তর্ভুক্ত। আর বারাআত ছিল মদীনায় (নাযিলের দিক হতে) কুরআনের শেষ দিকের সূরা। এদিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুবরণ করেন।  অথচ তিনি আমাদের স্পষ্ট করে বলে যাননি যে, এ সূরা (বারাআত) আনফালের অন্তর্ভুক্ত কি না। সূরা বারাআতের আলোচ্য বিষয় সূরা আল-আনফালের আলোচ্য বিষয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল। (ফলে আমার ধারণা হল, বারাআত তার অন্তর্ভুক্ত।) তাই আমি উভয় সূরাকে একত্রে মিলিয়ে দিয়েছি এবং সূরা দুটোর মাঝখানে বিসমিল্লাহির রাহমাননির রাহীম বাক্যও লিখিনি, আর এটিকে সপ্ত দীর্ঘ সূরাসমূহের অন্তর্ভুক্ত করেছি।[1]

أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ الْمُؤَذِّنُ حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ:
قُلت لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ: مَا حَمَلَكُمْ عَلَى أَنْ قرنتم بين الأنفال و {براءة} [التوبة: 1] و {براءة} مِنَ الْمِئِينَ وَالْأَنْفَالُ مِنَ الْمَثَانِي فَقَرَنْتُمْ بَيْنَهُمَا؟! فَقَالَ عُثْمَانُ: كَانَ إِذَا نَزَلَتْ مِنَ الْقُرْآنِ الْآيَةُ دَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْضَ مَنْ يَكْتُبُ فَيَقُولُ لَهُ: ضَعْهُ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذكر فِيهَا كَذَا وَأُنْزِلَتِ الْأَنْفَالُ بالمدينة و {براءة} بِالْمَدِينَةِ مِنْ آخِرِ الْقُرْآنِ فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يُخْبِرْنَا أَيْنَ نَضَعُهَا فوجدتُ قِصَّتَهَا شَبِيهًا بِقِصَّةِ الْأَنْفَالِ فَقَرَنْتُ بَيْنَهُمَا وَلَمْ نَكْتُبْ بَيْنَهُمَا سَطْرَ: {بِسْمِ اللَّهِ الرحمن الرحيم} [الفاتحة: 1] فوضعتُها في السبع الطُّوَلِ
= [1: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
منكر ـ ((ضعيف أبي داود)) (140).

اخبرنا ابو خليفة حدثنا عثمان بن الهيثم الموذن حدثنا عوف بن ابي جميلة عن يزيد الفارسي قال: قال ابن عباس: قلت لعثمان بن عفان: ما حملكم على ان قرنتم بين الانفال و {براءة} [التوبة: 1] و {براءة} من المىين والانفال من المثاني فقرنتم بينهما؟! فقال عثمان: كان اذا نزلت من القران الاية دعا النبي صلى الله عليه وسلم بعض من يكتب فيقول له: ضعه في السورة التي يذكر فيها كذا وانزلت الانفال بالمدينة و {براءة} بالمدينة من اخر القران فتوفي رسول الله صلى الله عليه وسلم ولم يخبرنا اين نضعها فوجدت قصتها شبيها بقصة الانفال فقرنت بينهما ولم نكتب بينهما سطر: {بسم الله الرحمن الرحيم} [الفاتحة: 1] فوضعتها في السبع الطول = [1: 3] [تعليق الشيخ الالباني] منكر ـ ((ضعيف ابي داود)) (140).

হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْوَحْيِ لَمْ يَنْقَطِعْ عَنْ صَفِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَنْ أَخْرَجَهُ اللَّهُ مِنَ الدُّنْيَا إِلَى جَنَّتِهِ

আল্লাহর বন্ধু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণ করে জান্নাতের দিকে চলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ওহী নাযিল হওয়া সমাপ্তি ঘটেনি- এ সম্পর্কে বর্ণনা:


৪৪. আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক  যুহরী রাহি. হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তাঁর নিকট এক লোক এসে তাঁকে প্রশ্ন করছিল, আর আমি তাদের কথা শুনছিলাম। লোকটি বলল: হে আবূ বকর (যুহরী)! নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পূর্বে কিভাবে তাঁর থেকে ওহীর সমাপ্তি ঘটল? আমি যখন থেকে আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে এটি মুখস্ত করেছি, তখন থেকে কেউ কখনো একথাটি আমাকে জিজ্ঞাসা করেনি।

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন: তিনি যখন ইহলোক ত্যাগ করেন, তখন তাঁর প্রতি পূর্বের চেয়ে অধিক হারে ওহী নাযিল হচ্ছিল।[1]

حَدَّثَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ أَخْبَرَنَا خالدٌ (1) عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ [ص: 172] بْنِ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ:
أَتَاهُ رَجُلٌ وَأَنَا أَسْمَعُ فَقَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ كَمِ انْقَطَعَ الْوَحْيُ عَنْ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قبل موته؟ فقال: ماسألني عَنْ هَذَا أَحَدٌ مُذْ وَعَيْتُهَا مِنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ: لَقَدْ قُبِضَ مِنَ الدُّنْيَا وَهُوَ (2) أَكْثَرُ مِمَّا كَانَ.
= [48: 5]

[تعليق الشيخ الألباني]
حسن صحيح: ق نحوه، أتم منه دون سؤال السائل، وقول الزهري. [ص: 173]

(1) هو خالد بن عبد الله الطحان الواسطي، ثقة من رجال الشيخين.
وعبد الرحمن بن إسحاق: هو القرشي: صدوق فيه كلامٌ يسير، احتج به مسلمٌ.
والزهريُّ: هو محمد بن مسلم بن عبيد الله بن عبد الله الزهريُّ أبو بكر، الثقة الفقيه الجليل، احتج به الجميع.
والسندُ جيدٌ.
وقد تابع ابن إسحاق: صالح بن كيسان عن ابن شهابٍ ..... بأتم منه: رواه البخاري (4982)، ومسلم (8/ 238).
(2) يعني: الوحي.

الحديث: 44 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 171

حدثنا ابو يعلى حدثنا وهب بن بقية اخبرنا خالد (1) عن عبد الرحمن [ص: 172] بن اسحاق عن الزهري قال: اتاه رجل وانا اسمع فقال: يا ابا بكر كم انقطع الوحي عن نبي الله صلى الله عليه وسلم قبل موته؟ فقال: ماسالني عن هذا احد مذ وعيتها من انس بن مالك قال انس بن مالك: لقد قبض من الدنيا وهو (2) اكثر مما كان. = [48: 5] [تعليق الشيخ الالباني] حسن صحيح: ق نحوه، اتم منه دون سوال الساىل، وقول الزهري. [ص: 173] (1) هو خالد بن عبد الله الطحان الواسطي، ثقة من رجال الشيخين. وعبد الرحمن بن اسحاق: هو القرشي: صدوق فيه كلام يسير، احتج به مسلم. والزهري: هو محمد بن مسلم بن عبيد الله بن عبد الله الزهري ابو بكر، الثقة الفقيه الجليل، احتج به الجميع. والسند جيد. وقد تابع ابن اسحاق: صالح بن كيسان عن ابن شهاب ..... باتم منه: رواه البخاري (4982)، ومسلم (8/ 238). (2) يعني: الوحي. الحديث: 44 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 171

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যুহরী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ رُكُوبِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبُرَاقَ وَإِتْيَانِهِ عَلَيْهِ بَيْتَ الْمَقْدِسِ مِنْ مَكَّةَ فِي بَعْضِ اللَّيْلِ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বুরাকে আরোহন করা এবং রাতের কোন এক অংশে তার তাঁকে নিয়ে মক্কা হতে বায়তুল মাকদিসে আগমণ করা- এ সম্পর্কিত বর্ণনা:


৪৫. যির ইবনু হুবাইশ (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাযিঃ) এর নিকট আসলে তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে টেঁকো, তুমি কে? আমি বললাম, আমি যির ইবনু হুবাইশ। আপনি আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাইতুল মাকদিসে নামায আদায় করার ব্যাপারে জানান, যখন তিনি ইসরায় গমণ (নৈশ ভ্রমন) করেছিলেন। তিনি বললেন, না। আমি বললাম, হ্যাঁ তিনি নামায আদায় করেছেন। তিনি বললেন, হে টেকো! একথা তোমাকে কে বলেছে? আমি বললাম, কুরআন। তিনি বললেন: কুরআন?

তারপর তিনি (যির) এই আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ “পবিত্র মহান সেই সত্তা, যিনি এক রাতে তার বান্দাকে মাসজিদুল হারাম হতে দূরবর্তী মসজিদে নিয়ে গেলেন.. নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা”- (সূরা বনী ইসরাঈল ১)। আব্দুল্লাহর কিরায়াতে এরূপই রয়েছে।  হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) বলেন, তুমি কি তাঁকে সেখানে সালাত আদায় করতে দেখেছ? আমি বললাম, না।

হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি পশু আনা হল। বর্ণনাকারী হাম্মাদ বলেন, আসিম আমার নিকট এর গুণাবলী বর্ণনা করেছেলেন, কিন্তু আমি তা মুখস্ত রাখতে পারিনি।

জীবরীল (আঃ) তাঁকে এর পিঠে আরোহন করালেন এবং একজন অপরজনের আগেপিছে আরোহী হলেন। এরপর সেই রাতে তিনি তাঁর সাথে চলতে লাগলেন। যখন চলতে চলতে বায়তুল মাকদিসে পৌঁছলেন। এরপর তাঁকে আসমান ও জমিনের জিনিসগুলো দেখানো হলো। তারপর তারা দু’জন প্রত্যাবর্তন করেন যেখান থেকে তারা (যাত্রা) শুরু করেছিলেন। কিন্তু তিনি সেখানে সালাত আদায় করেননি। আর তিনি সালাত আদায় করলে তা তোমাদের জন্য (জরুরী) রীতিতে পরিণত হতো।[1]

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ الْبَزَّارُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ قَالَ:
أَتَيْتُ حُذَيْفَةَ فَقَالَ: مَنْ أَنْتَ يَا أَصْلَعُ؟ قُلْتُ: أَنَا زِرُّ بْنُ حُبَيْشٍ حَدِّثْنِي بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ حِينَ أُسرِيَ بِهِ قَالَ: مَنْ أَخْبَرَكَ بِهِ يَا أَصْلَعُ؟ قُلْتُ: الْقُرْآنُ قَالَ: الْقُرْآنُ؟ فَقَرَأْتُ {سُبْحَانَ الذي أسرى بعبده} [الإسراء: 1] مِنَ اللَّيْلِ ـ وَهَكَذَا هِيَ قِرَاءَةُ عَبْدِ اللَّهِ ـ إِلَى قَوْلِهِ: {إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ} [الإسراء: 1] فَقَالَ: هَلْ تَرَاهُ صَلَّى فِيهِ؟ قُلْتُ: لَا , قَالَ: إِنَّهُ أُتي بِدَابَّةٍ – قَالَ حَمَّادٌ: وَصَفَهَا عَاصِمٌ لَا أَحْفَظُ صِفَتَهَا – قَالَ: فَحَمَلَهُ عَلَيْهَا جِبْرِيلُ أَحَدُهُمَا رَدِيفُ صَاحِبِهِ فَانْطَلَقَ مَعَهُ مِنْ لَيْلَتِهِ حَتَّى أَتَى بَيْتَ الْمَقْدِسِ فأُرِيَ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ثُمَّ رَجَعَا عَوْدَهُمَا عَلَى بَدْئِهِمَا فَلَمْ يُصَلِّ فِيهِ وَلَوْ صلى لكانت سنة)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
حسن ـ ((الصحيحة)) (874)؛ لكن قوله: ((فلم يصلِّ .... )) منكرٌ؛ لمخالفته الثابت عنه صلى الله عليه وسلم أنه صلّى ـ ليلتئذٍ ـ إماماً، والصلاة في الأقصى سنةٌ، يشرع شدُّ الرَّحلِ إليه

اخبرنا احمد بن علي بن المثنى حدثنا خلف بن هشام البزار حدثنا حماد بن زيد عن عاصم بن ابي النجود عن زر بن حبيش قال: اتيت حذيفة فقال: من انت يا اصلع؟ قلت: انا زر بن حبيش حدثني بصلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم في بيت المقدس حين اسري به قال: من اخبرك به يا اصلع؟ قلت: القران قال: القران؟ فقرات {سبحان الذي اسرى بعبده} [الاسراء: 1] من الليل ـ وهكذا هي قراءة عبد الله ـ الى قوله: {انه هو السميع البصير} [الاسراء: 1] فقال: هل تراه صلى فيه؟ قلت: لا , قال: انه اتي بدابة – قال حماد: وصفها عاصم لا احفظ صفتها – قال: فحمله عليها جبريل احدهما رديف صاحبه فانطلق معه من ليلته حتى اتى بيت المقدس فاري ما في السماوات وما في الارض ثم رجعا عودهما على بدىهما فلم يصل فيه ولو صلى لكانت سنة) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] حسن ـ ((الصحيحة)) (874)؛ لكن قوله: ((فلم يصل .... )) منكر؛ لمخالفته الثابت عنه صلى الله عليه وسلم انه صلى ـ ليلتىذ ـ اماما، والصلاة في الاقصى سنة، يشرع شد الرحل اليه

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ اسْتِصْعَابِ الْبُرَاقِ عِنْدَ إِرَادَةِ رُكُوبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বুরাকে আরোহন করা কঠিন হওয়ার বর্ণনা:


৪৬. আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, যে রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (মিরাজে) ভ্রমণ করানো হয় সে রাতে তার সামনে লাগাম বাধা ও জিনপোষ আটা একটি বোরাক আনা হয়। বোরাক তার পিঠে সাওয়ার হওয়াটা তার জন্য কঠিন করে তুললে জিবরীল (আঃ) তাকে বললেন, তুমি কেন এ রকম আচরণ করছ? অথচ আল্লাহ তা’আলার সমীপে তার চেয়ে বেশি সম্মানিত কেউ কখনো তোমার পিঠে সওয়ার হয়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এতে বোরাক ঘেমে উঠে।[1]

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْعَبَّاسِ السَّامِيُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ:
(أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى الله عليه وسلم أُتِيَ بِالْبُرَاقِ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ مُسْرَجًا مُلْجَمًا لِيَرْكَبَهُ فَاسْتَصْعَبَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ: مَا يَحْمِلُكَ عَلَى هَذَا فَوَاللَّهِ مَا رَكِبَكَ أَحَدٌ أَكْرَمَ على الله منه قال: فَارْفَضَّ عَرَقاً)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح الإسناد.

اخبرنا محمد بن عبد الرحمن بن العباس السامي حدثنا احمد بن حنبل حدثنا عبد الرزاق انبانا معمر عن قتادة عن انس: (ان النبي صلى الله عليه وسلم اتي بالبراق ليلة اسري به مسرجا ملجما ليركبه فاستصعب عليه فقال له جبريل: ما يحملك على هذا فوالله ما ركبك احد اكرم على الله منه قال: فارفض عرقا) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح الاسناد.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ جِبْرِيلَ شدَّ الْبُرَاقَ بِالصَّخْرَةِ عِنْدَ إِرَادَةِ الْإِسْرَاءِ

(মে’রাজের) রাতে ভ্রমনের সময় জিবরীল (আঃ) বুরাককে পাথরের সাথে বেধেছিলেন- এর বর্ণনা:


৪৭. আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নৈশ ভ্রমণের রাতে আমরা যখন বাইতুল মাকদিসে পৌঁছলাম, তখন জিবরীল (আঃ) তার আঙ্গুল দিয়ে পাথর ফাটান এবং তার সাথে বোরাককে বাঁধেন।[1]

أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ المتوكل المقرئ حدثنا يحيى بن واضع حَدَّثَنَا الزُّبَيْرُ بْنُ جُنَادَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(لَمَّا كَانَ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي انْتَهَيْتُ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَخَرَقَ جِبْرِيلُ الصَّخْرَةَ بِإِصْبَعِهِ وَشَدَّ بِهَا الْبُرَاقَ) (1).
= [2: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((المشكاة)) (5921/ التحقيق الثاني)، ((الصحيحة)) (3487).
(1) في هامش الأصل ـ بخط الشيخ ـ: ((حسنه الترمذي، وصححه الحاكم والذهبي)).

الحديث: 47 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 174

اخبرنا ابو يعلى حدثنا عبد الرحمن بن المتوكل المقرى حدثنا يحيى بن واضع حدثنا الزبير بن جنادة عن عبد الله بن بريدة عن ابيه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (لما كان ليلة اسري بي انتهيت الى بيت المقدس فخرق جبريل الصخرة باصبعه وشد بها البراق) (1). = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((المشكاة)) (5921/ التحقيق الثاني)، ((الصحيحة)) (3487). (1) في هامش الاصل ـ بخط الشيخ ـ: ((حسنه الترمذي، وصححه الحاكم والذهبي)). الحديث: 47 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 174

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ وَصْفِ الْإِسْرَاءِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ

নৈশ ভ্রমণের (ইসরার) রাতে বায়তুল মাকদিস হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উর্ধ্ব ভ্রমণের বর্ণনা:


৪৮. মালিক ইবনু সা’সা’ (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাতে তাঁকে ভ্রমণ করানো হয়েছে সে রাতের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এক সময় আমি কা’বা ঘরের হাতিমের অংশে ছিলাম। কখনো কখনো রাবী (কাতাদাহ) বলেছেন, হিজরে শুয়েছিলাম। হঠাৎ একজন আগন্তুক আমার নিকট এলেন এবং আমার এস্থান হতে সে স্থানের মাঝের অংশটি চিরে ফেললেন। রাবী কাতাদাহ বলেন, আনাস (রাঃ) কখনো কাদ্দা (চিরলেন) শব্দ আবার কখনো শাক্কা (বিদীর্ণ) শব্দ বলেছেন। রাবী বলেন, আমি আমার পার্শ্বে বসা জারূদ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, এ দ্বারা কী বুঝিয়েছেন? তিনি বললেন, কন্ঠাস্থির নিম্নদেশ হতে নাভি পর্যন্ত। কাতাদাহ (রহ.) বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে এ-ও বলতে শুনেছি বুকের উপরিভাগ হতে নাভির নীচ পর্যন্ত। তারপর আগন্তুক আমার হৃদপিন্ড বের করলেন। তারপর আমার নিকট একটি সোনার পাত্র আনা হল যা ঈমান ও হিকমাহ (প্রজ্ঞা) দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। তারপর আমার হৃদপিন্ডটি ধৌত করা হল এবং(ঈমান দ্বারা পরিপূর্ণ করে) যথাস্থানে আবার রেখে দেয়া হল। তারপর সাদা রং এর একটি জন্তু আমার নিকট আনা হল। যা আকারে খচ্চর হতে ছোট ও গাধা হতে বড় ছিল। জারুদ তাকে বলেন, হে আবূ হামযা, এটাই কি বুরাক? আনাস (রাঃ) বললেন, হাঁ। সে একেক কদম রাখে দৃষ্টির শেষ সীমায়। আমাকে তার উপর সাওয়ার করানো হল। তারপর আমাকে নিয়ে জিবরাঈল (আঃ) চললেন। দুনিয়ার (প্রথম) আসমানে নিয়ে এসে দরজা খুলে দিতে বললেন। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হল, কে? তিনি বললেন, জিবরাঈল। আবার জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আবার জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠান হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ। তখন বলা হল, মারহাবা, উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। তারপর আসমানের দরজা খুলে দেয়া হল।

আমি যখন পৌঁছলাম, তখন সেখানে আদম (আঃ)-এর সাক্ষাৎ পেলাম। জিবরাঈল (আঃ) বললেন, ইনি আপনার আদি পিতা আদম (আঃ), আপনি তাঁকে সালাম দিন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন, নেককার পুত্র ও নেককার নবীর প্রতি স্বাগতম। তারপর তিনি উপরের দিকে চলে দ্বিতীয় আসমানে পৌঁছে দরজা খুলে দিতে বললেন, জিজ্ঞেস করা হল কে? তিনি বললেন, জিবরাঈল। জিজ্ঞেস করা হল আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি উত্তর দিলেন, হাঁ। তারপর বলা হল- স্বাগতম! উত্তম আগমনকারীর আগমন ঘটেছে। তারপর খুলে দেয়া হল। যখন সেখানে পৌঁছলাম তখন সেখানে ইয়াহ্ইয়া ও ’ঈসা (আঃ)-এর সাক্ষাৎ পেলাম। তাঁরা দু’জন ছিলেন পরস্পরের খালাত ভাই। তিনি (জিবরাঈল) বললেন, এরা হলেন, ইয়াহ্ইয়া ও ঈসা (আঃ)। তাদের প্রতি সালাম দিন। তখন আমি সালাম দিলাম। তাঁরা জবাব দিলেন, তারপর বললেন, নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি স্বাগতম।

এরপর তিনি আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানের দিকে চললেন, সেখানে পৌঁছে জিবরাঈল বললেন, খুলে দাও। তাঁকে বলা হল কে? তিনি উত্তর দিলেন, জিবরাঈল। জিজ্ঞেস করা হল আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ। বলা হল, তাঁর জন্য স্বাগতম। উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। তারপর দরজা খুলে দেয়া হল। আমি তথায় পৌঁছে ইউসুফ (আঃ)-কে দেখতে পেলাম। জিবরাঈল বললেন, ইনি ইউসুফ (আঃ) আপনি তাঁকে সালাম দিন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম, তিনিও জবাব দিলেন এবং বললেন, নেক্কার ভাই, নেক্কার নবীর প্রতি খোশ-আমদেদ। তারপর জিবরাঈল (আঃ) আমাকে নিয়ে উপর দিকে চললেন এবং চতুর্থ আসমানে পৌঁছলেন। আর দরজা খুলে দিতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হল, আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ। তখন বলা হল, তাঁর প্রতি স্বাগতম। উত্তম আগমনকারীর আগমন ঘটেছে। তখন খুলে দেয়া হল।

আমি ইদ্রীস (আঃ)-এর কাছে পৌঁছলে জিবরাঈল বললেন, ইনি ইদ্রীস (আঃ)। তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনিও জবাব দিলেন। তারপর বললেন, নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি স্বাগতম। এরপর তিনি আমাকে নিয়ে উপর দিকে গিয়ে পঞ্চম আসমানে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হল আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি উত্তর দিলেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জিজ্ঞেস করা হল। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ। বলা হল, তাঁর প্রতি স্বাগতম। উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। তথায় পৌঁছে হারূন (আঃ)-কে পেলাম। জিবরাঈল বললেন, ইনি হারূন (আঃ) তাঁকে সালাম করুন। আমি তাকে সালাম করলাম; তিনিও জবাব দিলেন, এবং বললেন, নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি স্বাগতম। তারপর আমাকে নিয়ে যাত্রা করে ষষ্ঠ আকাশে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হল, আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল, তাকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ। তখন বলা হলো, তাঁর প্রতি স্বাগতম। উত্তম আগন্তুক এসেছেন।

তথায় পৌঁছে আমি মূসা (আঃ)-কে পেলাম। জিবরাঈল (আঃ) বললেন, ইনি মূসা (আঃ)। তাঁকে সালাম দিন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি জবাব দিলেন এবং বললেন, নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি মারহাবা। আমি যখন অগ্রসর হলাম তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, আপনি কিসের জন্য কাঁদছেন? তিনি বললেন, আমি এজন্য কাঁদছি যে, আমার পর একজন যুবককে নবী বানিয়ে পাঠানো হয়েছে, যাঁর উম্মত আমার উম্মত হতে অধিক সংখ্যায় জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারপর জিবরাঈল (আঃ) আমাকে নিয়ে সপ্তম আকাশের দিকে গেলেন এবং দরজা খুলে দিতে বললেন, জিজ্ঞেস করা হল, কে? তিনি উত্তর দিলেন, আমি জিবরাঈল। আবার জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জিজ্ঞেস করা হল, তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে কি? তিনি বললেন, হাঁ। বলা হল, তাঁর প্রতি স্বাগতম। উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। আমি সেখানে পৌঁছে ইব্রাহীম (আঃ)-কে দেখতে পেলাম। জিবরাঈল (আঃ) বললেন, ইনি আপনার পিতা। তাঁকে সালাম দিন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন, নেক্কার পুত্র ও নেক্কার নবীর প্রতি স্বাগতম। তারপর আমাকে সিদ্রাতুল মুনতাহা পর্যন্ত উঠানো হল। দেখতে পেলাম, তার ফল ’হাজার’ অঞ্চলের মটকার ন্যায় এবং তার পাতাগুলি হাতির কানের মত। আমাকে বলা হল, এ হল সিদরাতুল মুন্তাহা। সেখানে আমি চারটি নহর দেখতে পেলাম, যাদের দু’টি ছিল অপ্রকাশ্য দু’টি ছিল প্রকাশ্য। তখন আমি জিব্রাঈল (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, এ নহরগুলি কী? তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য, দু’টি হল জান্নাতের দু’টি নহর। আর প্রকাশ্য দু’টি হল নীল নদী ও ফুরাত নদী।

তারপর আমার সামনে ’আল-বায়তুল মামুর’ প্রকাশ করা হল। বর্ণনাকারী কাতাদা বলেন: আমাদের নিকট আবূ হুরাইরা থেকে হাসান র. হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বায়তুল মা’মুর দেখেন, যেখানে প্রতিদিন সত্তর হাজার ফিরিশতা সালাত আদায় করে, এরপর আর সেখানে ফিরে আসে না। এরপর তিনি আবার আনাসের হাদীস বর্ণানায় ফিরে আসেন। -“এরপর আমার সামনে একটি শরাবের পাত্র, একটি দুধের পাত্র ও একটি মধুর পাত্র রাখা হল। আমি দুধের পাত্রটি গ্রহণ করলাম। তখন জিবরাঈল বললেন, এ-ই হচ্ছে ফিতরাত। আপনি ও আপনার উম্মতগণ এর উপর প্রতিষ্ঠিত। তারপর আমার উপর দৈনিক ৫০ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হল।

এরপর আমি ফিরে আসলাম। মূসা (আঃ)-এর সম্মুখ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ্ তা’আলা আপনাকে কী আদেশ করেছেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকে দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাতের আদেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বললেন, আপনার উম্মত দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে সমর্থ হবে না। আল্লাহর কসম। আমি আপনার আগে লোকদের পরীক্ষা করেছি এবং বনী ইসরাঈলের হিদায়াতের জন্য কঠোর শ্রম দিয়েছি। তাই আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট ফিরে যান এবং আপনার উম্মতের (বোঝা) হালকা করার জন্য আরয করুন। আমি ফিরে গেলাম। ফলে আমার উপর হতে দশ হ্রাস করে দিলেন। আমি আবার মূসা (আঃ)-এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি আবার আগের মত বললেন, আমি আবার ফিরে গেলাম। ফলে আল্লাহ তা’আলা আরো দশ কমিয়ে দিলেন। ফিরার পথে মূসা (আঃ)-এর নিকট পৌঁছলে, তিনি আবার আগের কথা বললেন, আমি আবার ফিরে গেলাম। আল্লাহ তা’আলা আরো দশ হ্রাস করলেন। আমি মূসা (আঃ)-এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি আবার ঐ কথাই বললেন। আমি আবার ফিরে গেলাম। তখন আমাকে প্রতিদিন দশ সালাতের আদেশ দেয়া হয়। আমি মূসা (আঃ) এর নিকট ফিরে এলাম। মূসা (আঃ) ঐ কথাই আগের মত বললেন। আমি আবার ফিরে গেলাম, তখন আমাকে পাঁচ সালাতের আদেশ করা হয়। তারপর মূসা (আঃ) নিকট ফিরে এলাম। তিনি বললেন, আপনাকে কী আদেশ দেয়া হয়েছে। আমি বললাম, আমাকে দৈনিক পাঁচবার সালাত আদায়ের আদেশ দেয়া হয়েছে? মূসা (আঃ) বললেন, আপনার উম্মত দৈনিক পাঁচ সালাত আদায় করতেও সমর্থ হবে না। আপনার পূর্বে আমি লোকদের পরীক্ষা করেছি। বনী ইসরাঈলের হিদায়াতের জন্য কঠোর শ্রম দিয়েছি। আপনি আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং আপনার উম্মতের জন্য আরো সহজ করার আরযি করুন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি আমার রবের নিকট (বারবার) আরজি করেছি, এতে আমি লজ্জাবোধ করছি। আর আমি এতেই সন্তুষ্ট হয়েছি এবং তা মেনে নিয়েছি। এরপর তিনি বললেন, আমি যখন অগ্রসর হলাম, তখন এক ঘোষণাকারী ঘোষণা দিলেন, আমি আমার অবশ্য প্রতিপাল্য নির্দেশ (ফরয) জারি করে দিলাম এবং আমার বান্দাদের উপর হালকা করে দিলাম।[1]

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ الشَّيْبَانِيُّ حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ الْقَيْسِيُّ حَدَّثَنَا [ص: 175] هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ: أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَهُمْ عَنْ لَيْلَةِ أُسْرِيَ بِهِ قَالَ:
(بَيْنَمَا أَنَا فِي الْحَطِيمِ - وَرُبَّمَا قَالَ: فِي الْحِجْرِ - إِذْ أَتَانِي آتٍ فشقَّ مَا بَيْنَ هَذِهِ إِلَى هَذِهِ - فَقُلْتُ لِلْجَارُودِ وَهُوَ إِلَى جَنْبِي: مَا يَعْنِي بِهِ؟ قَالَ: من ثُغْرَة نحره إلى شعرته - فاستخرخ قَلْبِي ثُمَّ أُتيتُ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مَمْلُوءًا إِيمَانًا وَحِكْمَةً فَغُسِلَ قَلْبِي ثُمَّ حُشي ثُمَّ أُتِيتُ بِدَابَّةٍ دُونَ الْبَغْلِ وَفَوْقَ الْحِمَارِ أَبْيَضَ - فَقَالَ لَهُ الْجَارُودُ: هُوَ الْبُرَاقُ يَا أَبَا حَمْزَةَ؟ قَالَ أَنَسٌ: نَعَمْ يَقَعُ خَطْوُهُ عِنْدَ أَقْصَى طَرْفِهِ - فحُملت عَلَيْهِ فَانْطَلَقَ بِي جِبْرِيلُ حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الدُّنْيَا فَاسْتَفْتَحَ فَقِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِيلَ: وَقَدْ أُرسل إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا فِيهَا آدَمُ، فَقَالَ: هَذَا أَبُوكَ آدَمُ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَرَدَّ السَّلَامَ ثُمَّ قَالَ: مَرْحَبًا بِالِابْنِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ ثُمَّ صَعِدَ بِي حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الثَّانِيَةَ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ قِيلَ: وَقَدْ أُرسل إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خلصتُ إِذَا يَحْيَى وَعِيسَى وَهُمَا ابْنَا خَالَةٍ قَالَ: هَذَا يَحْيَى وَعِيسَى فَسَلَّمَ عَلَيْهِمَا فَسَلَّمْتُ فَرَدَّا ثُمَّ قَالَا: مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ ثُمَّ صَعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى الله عليه وسلم قيل: أُرسل إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا يُوسُفُ قَالَ: هَذَا يُوسُفُ فَسَلَّمَ [ص: 176] عَلَيْهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ ثُمَّ قَالَ: مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ ثُمَّ صَعِدَ بِي حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الرَّابِعَةَ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى الله عليه وسلم قيل: أَوَقَدْ أُرسل إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا إِدْرِيسُ قَالَ: هَذَا إِدْرِيسُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ ثُمَّ قَالَ: مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ ثُمَّ صَعِدَ بِي حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الْخَامِسَةَ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا هَارُونُ قَالَ: هَذَا هَارُونُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ السَّلَامَ ثُمَّ قَالَ: مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ ثُمَّ صَعِدَ بِي حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ السَّادِسَةَ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عليه وسلم قيل: أَوَقَدْ أُرسل إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا مُوسَى قَالَ: هَذَا مُوسَى فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ السَّلَامَ ثُمَّ قَالَ: مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصالح والنبي فلما تجاوزت بكى قيل له: با يُبْكِيكَ؟ قَالَ: أَبْكِي لِأَنَّ غُلَامًا بُعِثَ بَعْدِي يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِهِ أَكْثَرُ مِمَّنْ يَدْخُلُهَا مِنْ أُمَّتِي ثُمَّ صَعِدَ بِي حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ السَّابِعَةَ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِيلَ: وَقَدْ أُرسل إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا إِبْرَاهِيمُ قَالَ: هَذَا أَبُوكَ إِبْرَاهِيمُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ السَّلَامَ ثُمَّ قَالَ: [ص: 177] مَرْحَبًا بِالِابْنِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ ثُمَّ رُفِعْتُ إِلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى فَإِذَا نَبْقُهَا مِثْلُ قِلَالِ هَجَرَ وَإِذَا وَرَقُهَا مِثْلُ آذَانِ الْفِيَلَةِ قَالَ: هَذِهِ سِدْرَةُ الْمُنْتَهَى وَإِذَا أَرْبَعَةُ أَنْهَارٍ: نَهْرَانِ بَاطِنَانِ وَنَهْرَانِ ظَاهِرَانِ فقلت: ما هذا جِبْرِيلُ؟ قَالَ: أَمَّا الْبَاطِنَانِ فَنَهَرَانِ فِي الْجَنَّةِ وَأَمَّا الظَّاهِرَانِ فَالنِّيلُ وَالْفُرَاتُ ثُمَّ رُفِعَ لِيَ الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ)
قَالَ قَتَادَةُ: وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ رَأَى الْبَيْتَ الْمَعْمُورَ وَيَدْخُلُهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ ثُمَّ لَا يَعُودُونَ فِيهِ.
ثُمَّ رَجَعَ إِلَى حَدِيثِ أَنَسٍ:
(ثُمَّ أُتيت بِإِنَاءٍ مِنْ خَمْرٍ وَإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ وَإِنَاءٍ مِنْ عَسَلٍ فَأَخَذْتُ اللَّبَنَ فَقَالَ: هَذِهِ الْفِطْرَةُ أَنْتَ عَلَيْهَا وَأُمَّتُكَ ثُمَّ فُرِضَتْ عَلَيَّ الصَّلَاةُ خَمْسِينَ صَلَاةً فِي كُلِّ يَوْمٍ فَرَجَعْتُ فَمَرَرْتُ عَلَى مُوسَى فَقَالَ: بِمَ أُمِرْتَ؟ قَالَ: أُمِرْتُ بِخَمْسِينَ صَلَاةً كُلَّ يَوْمٍ قَالَ: إِنَّ أُمَّتَكَ لَا تَسْتَطِيعُ خَمْسِينَ صَلَاةً كُلَّ يَوْمٍ وَإِنِّي قَدْ جَرَّبْتُ النَّاسَ قَبْلَكَ وَعَالَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَشَدَّ الْمُعَالَجَةِ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَسَلْهُ التَّخْفِيفَ لِأُمَّتِكَ فَرَجَعْتُ فَوَضَعَ عَنِّي عَشْرًا فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ مِثْلَهُ فَرَجَعْتُ فَوَضَعَ عَنِّي عشراً فرجعت إلى موسى فقال مثله فَوَضَعَ عَنِّي عَشْرًا فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ مِثْلَهُ فَرَجَعْتُ فأُمِرْتُ بِعَشْرِ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ مِثْلَهُ فَرَجَعْتُ فأُمرت بِخَمْسِ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ: بِمَ أُمِرْتَ؟ قَالَ: أُمِرْتُ بِخَمْسِ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ قَالَ: إِنَّ أُمَّتَكَ لَا تَسْتَطِيعُ خَمْسَ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ وَإِنِّي قَدْ جَرَّبْتُ النَّاسَ قَبْلَكَ [ص: 178] وَعَالَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَشَدَّ الْمُعَالَجَةِ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فسلهُ التَّخْفِيفَ لِأُمَّتِكَ قَالَ: قُلْتُ: سَأَلْتُ رَبِّي حَتَّى اسْتَحْيَيْتُ لَكِنِّي أَرْضَى وَأُسَلِّمُ فَلَمَّا جَاوَزْتُ نَادَانِي مُنَادٍ: أَمْضَيْتُ فَرِيضَتِي وخَفَّفْتُ عن عبادي)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((تخريج فقه السيرة)) (62): ق.

الحديث: 48 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 174

ذِكْرُ خَبَرٍ أَوْهَمَ عَالَمًا مِنَ النَّاسِ أَنَّهُ مُضَادُّ لِخَبَرِ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ

اخبرنا الحسن بن سفيان الشيباني حدثنا هدبة بن خالد القيسي حدثنا [ص: 175] همام بن يحيى حدثنا قتادة عن انس بن مالك عن مالك بن صعصعة: ان نبي الله صلى الله عليه وسلم حدثهم عن ليلة اسري به قال: (بينما انا في الحطيم - وربما قال: في الحجر - اذ اتاني ات فشق ما بين هذه الى هذه - فقلت للجارود وهو الى جنبي: ما يعني به؟ قال: من ثغرة نحره الى شعرته - فاستخرخ قلبي ثم اتيت بطست من ذهب مملوءا ايمانا وحكمة فغسل قلبي ثم حشي ثم اتيت بدابة دون البغل وفوق الحمار ابيض - فقال له الجارود: هو البراق يا ابا حمزة؟ قال انس: نعم يقع خطوه عند اقصى طرفه - فحملت عليه فانطلق بي جبريل حتى اتى السماء الدنيا فاستفتح فقيل: من هذا؟ قال: جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد صلى الله عليه وسلم قيل: وقد ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا فيها ادم، فقال: هذا ابوك ادم، فسلم عليه، فسلمت عليه، فرد السلام ثم قال: مرحبا بالابن الصالح والنبي الصالح ثم صعد بي حتى اتى السماء الثانية فاستفتح قيل: من هذا؟ قال: جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد قيل: وقد ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا يحيى وعيسى وهما ابنا خالة قال: هذا يحيى وعيسى فسلم عليهما فسلمت فردا ثم قالا: مرحبا بالاخ الصالح والنبي الصالح ثم صعد بي الى السماء الثالثة فاستفتح قيل: من هذا؟ قال: جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد صلى الله عليه وسلم قيل: ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا يوسف قال: هذا يوسف فسلم [ص: 176] عليه فسلمت عليه فرد ثم قال: مرحبا بالاخ الصالح والنبي الصالح ثم صعد بي حتى اتى السماء الرابعة فاستفتح قيل: من هذا؟ قال: جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد صلى الله عليه وسلم قيل: اوقد ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا ادريس قال: هذا ادريس فسلم عليه فسلمت عليه فرد ثم قال: مرحبا بالاخ الصالح والنبي الصالح ثم صعد بي حتى اتى السماء الخامسة فاستفتح قيل: من هذا؟ قال: جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد صلى الله عليه وسلم قيل: وقد ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا هارون قال: هذا هارون فسلم عليه فسلمت عليه فرد السلام ثم قال: مرحبا بالاخ الصالح والنبي الصالح ثم صعد بي حتى اتى السماء السادسة فاستفتح قيل: من هذا؟ قال جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد صلى الله عليه وسلم قيل: اوقد ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا موسى قال: هذا موسى فسلم عليه فسلمت عليه فرد السلام ثم قال: مرحبا بالاخ الصالح والنبي فلما تجاوزت بكى قيل له: با يبكيك؟ قال: ابكي لان غلاما بعث بعدي يدخل الجنة من امته اكثر ممن يدخلها من امتي ثم صعد بي حتى اتى السماء السابعة فاستفتح قيل: من هذا؟ قال: جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد صلى الله عليه وسلم قيل: وقد ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا ابراهيم قال: هذا ابوك ابراهيم فسلم عليه فسلمت عليه فرد السلام ثم قال: [ص: 177] مرحبا بالابن الصالح والنبي الصالح ثم رفعت الى سدرة المنتهى فاذا نبقها مثل قلال هجر واذا ورقها مثل اذان الفيلة قال: هذه سدرة المنتهى واذا اربعة انهار: نهران باطنان ونهران ظاهران فقلت: ما هذا جبريل؟ قال: اما الباطنان فنهران في الجنة واما الظاهران فالنيل والفرات ثم رفع لي البيت المعمور) قال قتادة: وحدثنا الحسن عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم انه راى البيت المعمور ويدخله كل يوم سبعون الف ملك ثم لا يعودون فيه. ثم رجع الى حديث انس: (ثم اتيت باناء من خمر واناء من لبن واناء من عسل فاخذت اللبن فقال: هذه الفطرة انت عليها وامتك ثم فرضت علي الصلاة خمسين صلاة في كل يوم فرجعت فمررت على موسى فقال: بم امرت؟ قال: امرت بخمسين صلاة كل يوم قال: ان امتك لا تستطيع خمسين صلاة كل يوم واني قد جربت الناس قبلك وعالجت بني اسراىيل اشد المعالجة فارجع الى ربك فسله التخفيف لامتك فرجعت فوضع عني عشرا فرجعت الى موسى فقال مثله فرجعت فوضع عني عشرا فرجعت الى موسى فقال مثله فوضع عني عشرا فرجعت الى موسى فقال مثله فرجعت فامرت بعشر صلوات كل يوم فرجعت الى موسى فقال مثله فرجعت فامرت بخمس صلوات كل يوم فرجعت الى موسى فقال: بم امرت؟ قال: امرت بخمس صلوات كل يوم قال: ان امتك لا تستطيع خمس صلوات كل يوم واني قد جربت الناس قبلك [ص: 178] وعالجت بني اسراىيل اشد المعالجة فارجع الى ربك فسله التخفيف لامتك قال: قلت: سالت ربي حتى استحييت لكني ارضى واسلم فلما جاوزت ناداني مناد: امضيت فريضتي وخففت عن عبادي) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((تخريج فقه السيرة)) (62): ق. الحديث: 48 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 174 ذكر خبر اوهم عالما من الناس انه مضاد لخبر مالك بن صعصعة الذي ذكرناه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)

পরিচ্ছেদঃ

৪৯. আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে রাত্রে আমার মি’রাজ হয়েছিল সে রাত্রে আমি মূসা (আঃ) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি তার কবরে সালাত[1] আদায় করছিলেন।[2]

[1] সালাত বলতে এখানে শরীয়াহর মুকাল্লিফ হিসেবে সাওয়াবের জন্য সালাত আদায় করছেন- তা উদ্দেশ্য নয়। বরং এখানে নবীদের বারযাখী জিন্দেগী অন্যদের থেকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত, যেমন সাধারণ মৃতের চেয়ে শহীদগণের বিশেষ জীবন রয়েছে বারযাখী জীবনে। এছাড়া, দুনিয়ার সালাতের মতও এ সালাত নয়, বরং তা ফিরিশতাদের তাসবীহ বা জান্নাতী ব্যক্তিদের তাসবীহের মতো। (বিস্তারিত দেখুন, মাজমু’ ফাতোয়া, ইবনু তাইমিয়া ৪/৩৩০; আলবানী, তাওয়াস্সুল, পৃ: ৬০।)

أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(مَرَرْتُ لَيْلَةَ أُسري بِي عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((الصحيحة)) (2627): م.

الحديث: 49 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 178

اخبرنا ابو خليفة حدثنا مسدد حدثنا عيسى بن يونس عن سليمان التيمي عن انس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (مررت ليلة اسري بي على موسى عليه السلام يصلي في قبره) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((الصحيحة)) (2627): م. الحديث: 49 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 178

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ الْمَوْضِعِ الَّذِي فِيهِ رَأَى الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُوسَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে স্থানে মূসা (আঃ) কে তার কবরে তিনি সালাত আদায় করতে দেখেছিলেন- তার বর্ণনা:


৫০. আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে রাত্রে আমার মি’রাজ হয়েছিল সে রাত্রে আমি মূসা (আঃ) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। লাল বালুকা স্তুপের নিকট তার কবরে তিনি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন।[1]

أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا هُدْبَةُ وَشَيْبَانُ قَالَا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(مَرَرْتُ بِمُوسَى لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ عند الكثيب الأحمر)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: م ـ انظر ما قبله.

[ص: 179]

اخبرنا ابو يعلى حدثنا هدبة وشيبان قالا حدثنا حماد بن سلمة عن ثابت عن انس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (مررت بموسى ليلة اسري بي وهو قاىم يصلي في قبره عند الكثيب الاحمر) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح: م ـ انظر ما قبله. [ص: 179]

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)

পরিচ্ছেদঃ

ذِكْرُ وَصْفِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُوسَى وَعِيسَى وَإِبْرَاهِيمَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ حَيْثُ رَآهُمْ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ

ইসরার রাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মূসা, ঈসা, ইবরাহীম আলাইহিমুস সালাম –কে যেমন দেখেছিলেন, তাঁদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা:

৫১. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইসরার (মিরাজের) রাতে আমি মূসা (আঃ)-এর দেখা পেয়েছি। তিনি মাথায় লম্বা চুলবিশিষ্ট, যেন শানুআ গোত্রের একজন লোক। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি ’ঈসা (আঃ)-এর দেখা পেয়েছি। তিনি হলেন মাঝারি গড়নের রক্তিম বর্ণবিশিষ্ট, যেন তিনি এই মাত্র হাম্মামখানা থেকে বেরিয়ে এসেছেন।[1] আর আমি ইব্রাহীম (আঃ)-কেও দেখেছি। তাঁর সন্তানদের মধ্যে আমিই আকৃতিতে তার অধিক সদৃশ। অতঃপর আমার সামনে দু’টি পেয়ালা আনা হল। একটিতে দুধ, অপরটিতে শরাব। আমাকে বলা হলো, আপনি যেটি ইচ্ছা গ্রহণ করতে পারেন। আমি দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করলাম (পান করলাম)। তখন আমাকে বলা হলো, আপনাকে ফিতরাত বা স্বভাবধর্মের প্রতি পথ প্রদর্শন করা হয়েছে। জেনে রাখুন, আপনি যদি শরাব গ্রহণ করতেন, তাহলে আপনার উম্মাত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।[2]

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(لَيْلَةَ أُسري بِي لَقِيتُ مُوسَى رَجِلَ الرَّأْسِ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ وَلَقِيتُ عِيسَى فَإِذَا رَجُلٌ أَحْمَرُ كَأَنَّهُ خَرَجَ مِنْ دِيمَاسٍ - يَعْنِي مِنْ حَمَّامٍ - وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ وَأَنَا أَشْبَهُ وَلَدِهِ بِهِ فأُتيت بِإِنَاءَيْنِ: أَحَدُهُمَا خَمْرٌ وَالْآخَرُ لَبَنٌ فَقِيلَ لِي: خُذْ أَيَّهُمَا شِئْتَ فَأَخَذْتُ اللَّبَنَ فَقِيلَ لِي: هُديت الفطرة أما إنك لوأخذت الخمر غوت أمتك)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((تخريج فقه السيرة)): ق.

الحديث: 51 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 182

اخبرنا عبد الله بن محمد الازدي حدثنا اسحاق بن ابراهيم انبانا عبد الرزاق انبانا معمر عن الزهري عن سعيد بن المسيب عن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (ليلة اسري بي لقيت موسى رجل الراس كانه من رجال شنوءة ولقيت عيسى فاذا رجل احمر كانه خرج من ديماس - يعني من حمام - ورايت ابراهيم وانا اشبه ولده به فاتيت باناءين: احدهما خمر والاخر لبن فقيل لي: خذ ايهما شىت فاخذت اللبن فقيل لي: هديت الفطرة اما انك لواخذت الخمر غوت امتك) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((تخريج فقه السيرة)): ق. الحديث: 51 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 182

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (فَقِيلَ هُدِيتَ الْفِطْرَةَ) أَرَادَ بِهِ: أَنَّ جِبْرِيلَ قَالَ لَهُ ذَلِكَ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “অতঃপর বলা হলো: নিশ্চয়ই আপনাকে ফিতরাত তথা স্বভাবধর্মের প্রতি পথ প্রদর্শন করা হয়েছে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য: জিবরীল আ: তাঁকে একথাটি বলেছিলেন- এ সংক্রান্ত বর্ণনা:

৫২. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইসরার (মি’রাজের) রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মুখে মদ ও দুধের দু’টি পেয়ালা পেশ করা হল। তিনি উভয়টির প্রতি লক্ষ্য করলেন। এরপর দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করেন। তখন জিবরীল (আ.) বললেনঃ যাবতীয় প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি আপনাকে স্বভাবজাত ধর্মের দিকে পথ প্রদর্শন করেছেন। অথচ যদি আপনি শরাব গ্রহণ করতেন তাহলে আপনার উম্মাত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।[1]

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ الْكَلَاعِيُّ بِحِمْصَ حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمَذْحِجِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ عَنِ الزُّبَيْدِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: [ص: 183]
(أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ أُسري بِهِ بِقَدَحَيْنِ مِنْ خَمْرٍ وَلَبَنٍ فَنَظَرَ إِلَيْهِمَا ثُمَّ أَخَذَ اللَّبَنَ فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ: هُديت الفطرة ولو أخذت الخمر غوت أمتك)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: ق، وهو مختصر الذي قبله.

الحديث: 52 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 182

اخبرنا محمد بن عبيد الله بن الفضل الكلاعي بحمص حدثنا كثير بن عبيد المذحجي حدثنا محمد بن حرب عن الزبيدي عن الزهري عن سعيد بن المسيب انه سمع ابا هريرة يقول: [ص: 183] (اتي رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة اسري به بقدحين من خمر ولبن فنظر اليهما ثم اخذ اللبن فقال له جبريل عليه السلام: هديت الفطرة ولو اخذت الخمر غوت امتك) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح: ق، وهو مختصر الذي قبله. الحديث: 52 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 182

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »