পরিচ্ছেদঃ ৪৫. নাপাক ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না
৪২৮(১). মুহাম্মদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনে আবু বাকর (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমর ইবনে হাযাম (রাঃ)-কে যে পত্র দিয়েছিলেন তাতে ছিলঃ পাক-পবিত্র অবস্থা ব্যতীত কুরআন স্পর্শ করো না। এটি মুরসাল হাদীস, তবে এর রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।
بَابٌ فِي نَهْيِ الْمُحْدِثِ عَنْ مَسِّ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي الرَّبِيعِ ، نَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : كَانَ فِي كِتَابِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ : " أَلَّا تَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا عَلَى طُهْرٍ " . مُرْسَلٌ وَرُوَاتُهُ ثِقَاتٌ
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. নাপাক ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না
৪২৯(২). ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আবু বাকর ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে হাযম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমর ইবনে হাযম (রাঃ)-কে নাজরান এলাকায় প্রেরণকালে তাকে যে পত্র লিখে দিয়েছিলেন, তাতে ছিল ... পূর্বোক্ত হাদীসের হুবহু অনুরূপ।
بَابٌ فِي نَهْيِ الْمُحْدِثِ عَنْ مَسِّ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا ابْنُ مَخْلَدٍ ، نَا حُمَيْدُ بْنُ الرَّبِيعِ ، نَا ابْنُ إِدْرِيسَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَارَةَ ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ ، قَالَ : كَانَ فِي كِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ حِينَ بَعَثَهُ إِلَى نَجْرَانَ ، مِثْلَهُ سَوَاءً
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. নাপাক ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না
৪৩০(৩). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনে মূসা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালেম (রহঃ)-কে তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ পাক-পবিত্র অবস্থা ছাড়া কুরআন স্পর্শ করবে না।
بَابٌ فِي نَهْيِ الْمُحْدِثِ عَنْ مَسِّ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَوَّابٍ ، ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ ، ثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى ، قَالَ : سَمِعْتُ سَالِمًا يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ ، قَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " لَا يَمَسُّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. নাপাক ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না
৪৩১(৪). মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ও মুহাম্মাদ ইবনে আবু বাকর (রহঃ) থেকে তাদের পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পত্র লিখেন। তাতে ছিলঃ পাক-পবিত্র অবস্থা ব্যতীত কুরআন স্পর্শ করো না।
بَابٌ فِي نَهْيِ الْمُحْدِثِ عَنْ مَسِّ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا ابْنُ زَنْجَوَيْهِ ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ ، نَا مَعْمَرٌ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَمُحَمَّدِ ابْنَيْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ ، عَنْ أَبِيهِمَا ؛ أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَتَبَ كِتَابًا فِيهِ : " وَلَا تَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرًا
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. নাপাক ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না
৪৩২(৫). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী ... আবু বাকর ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে হাযম (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়ামানবাসীর উদ্দেশ্যে একটি পত্র লিখেন। তাতে ছিলঃ পাক-পবিত্র অবস্থা ব্যতীত কুরআন স্পর্শ করবে না।
بَابٌ فِي نَهْيِ الْمُحْدِثِ عَنْ مَسِّ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى ، ح : وَثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ هَانِئٍ ، قَالَا : نَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى ، نَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ جَدِّهِ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ كِتَابًا ، فَكَانَ فِيهِ : " لَا تَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرًا
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. নাপাক ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না
৪৩৩(৬). মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... হাকীম ইবনে হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন, তুমি পাক-পবিত্র অবস্থা ব্যতীত কুরআন স্পর্শ করবে না। ইবনে মাখলাদ আমাদের বলেন, আমি জাফার (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, হাসসান ইবনে বিলাল (রহঃ) আয়েশা (রাঃ) ও আম্মার (রাঃ) থেকে হাদীস শুনেছেন। তাকে বলা হলো, মাতার (রহঃ) কি হাসসান (রহঃ) থেকে হাদীস শুনেছেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ।
بَابٌ فِي نَهْيِ الْمُحْدِثِ عَنْ مَسِّ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا جَعْفَرُ بْنُ أَبِي عُثْمَانَ الطَّيَالِسِيُّ ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمِنْقَرِيُّ ، قَالَ : سَمِعْتُ أَبِي ، نَا سُوَيْدٌ أَبُو حَاتِمٍ ، نَا مَطَرٌ الْوَرَّاقُ ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ بِلَالٍ ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ ؛ أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ لَهُ : " لَا تَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا وَأَنْتَ عَلَى طُهْرٍ " . قَالَ لَنَا ابْنُ مَخْلَدٍ : سَمِعْتُ جَعْفَرًا يَقُولُ : سَمِعَ حَسَّانُ بْنُ بِلَالٍ مِنْ عَائِشَةَ وَعَمَّارٍ . قِيلَ لَهُ : سَمِعَ مَطَرٌ مِنْ حَسَّانَ ؟ ، فَقَالَ : نَعَمْ
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. নাপাক ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না
৪৩৪(৭). মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে গায়লান (রহঃ) ... আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (ইসলাম গ্রহণের পূর্বে) উমার (রাঃ) গলায় তলোয়ার ঝুলন্ত অবস্থায় বের হলেন। তাকে বলা হলো, নিশ্চয়ই আপনার বোন এবং ভগ্নিপতি ধর্মত্যাগী হয়েছে। উমার (রাঃ) তাদের নিকট এলেন। তখন তাদের নিকট খাব্বাব নামীয় একজন মুহাজির উপস্থিত ছিলেন। তারা সূরা ত্বহা পাঠ করছিলেন। উমার (রাঃ) বললেন, আমাকে তোমাদের কিতাবখানা দাও, আমি তা পড়বো। উমার (রাঃ) কিতাব পড়তে পারতেন (লেখাপড়া জানতেন)। তার বোন তাকে বললেন, নিশ্চয়ই আপনি অপবিত্র, আর পবিত্র ব্যক্তি ব্যতীত কুরআন স্পর্শ করতে পারে না। অতএব আপনি উঠে গিয়ে গোসল করুন অথবা উযু করুন। উমার (রাঃ) উঠে গিয়ে উযু করলেন এবং কিতাব (কুরআন) নিয়ে সূরা ত্বহা পাঠ করলেন। আল-কাসেম ইবনে উসমান (রহঃ) শক্তিশালী রাবী নন।
بَابٌ فِي نَهْيِ الْمُحْدِثِ عَنْ مَسِّ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غَيْلَانَ ، نَا الْحَسَنُ بْنُ الْجُنَيْدِ ، وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الْآدَمِيُّ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْمُنَادِي ، قَالَا : نَا إِسْحَاقُ الْأَزْرَقُ ، نَا الْقَاسِمُ بْنُ عُثْمَانَ الْبَصْرِيُّ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : خَرَجَ عُمَرُ مُتَقَلِّدًا السَّيْفَ ، فَقِيلَ لَهُ : إِنَّ خَتَنَكَ وَأُخْتَكَ قَدْ صَبَوَا ، فَأَتَاهُمَا عُمَرُ وَعِنْدَهُمَا رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ ، يُقَالُ لَهُ : خَبَّابٌ ، وَكَانُوا يَقْرَءُونَ ( طه ) ، فَقَالَ : أَعْطُونِي الْكِتَابَ الَّذِي عِنْدَكُمْ ؛ أَقْرَؤُهُ . - وَكَانَ عُمَرُ يَقْرَأُ الْكُتُبَ - فَقَالَتْ لَهُ أُخْتُهُ : إِنَّكَ رِجْسٌ وَلَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ ؛ فَقُمْ فَاغْتَسِلْ أَوْ تَوَضَّأْ . فَقَامَ عُمَرُ فَتَوَضَّأَ ، ثُمَّ أَخَذَ الْكِتَابَ فَقَرَأَ ( طه ) . الْقَاسِمُ بْنُ عُثْمَانَ لَيْسَ بِقَوِيٍّ
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. নাপাক ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না
৪৩৫(৮). আলী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুবাশশির (রহঃ) ... আলকামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা এক সফরে সালমান আল-ফারিসী (রাঃ) এর সাথে ছিলাম। তিনি তার প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারলেন। আমরা তাকে বললাম, আপনি উযু করুন, আমরা আপনার নিকট কুরআনের একটি আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে চাই। তিনি বলেন, তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করো। কেননা আমি কুরআন স্পর্শ করবো না। অতএব তিনি আমাদের উদ্দিষ্ট আয়াত আমাদের নিকট পাঠ করলেন। তখন আমাদের ও তার কাছে পানি ছিল না (আমরা উযুবিহীন ছিলাম)। এই হাদীসের সমস্ত রাবী নির্ভরযোগ্য, তবে একদল রাবী এর বিপরীত বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ فِي نَهْيِ الْمُحْدِثِ عَنْ مَسِّ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُبَشِّرٍ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، قَالَا : نَا الْعَبَّاسُ الدُّورِيُّ ، نَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ ، ثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ ، عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ عَلْقَمَةَ ، قَالَ : كُنَّا مَعَ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ فِي سَفَرٍ ، فَقَضَى حَاجَتَهُ ، ، فَقُلْنَا : تَوَضَّأْ حَتَّى نَسْأَلَكَ عَنْ آيَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ . فَقَالَ : سَلُونِي ؛ فَإِنِّي لَسْتُ أَمَسُّهُ . فَقَرَأَ عَلَيْنَا مَا أَرَدْنَا ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ مَاءٌ . كُلُّهُمْ ثِقَاتٌ ، خَالَفَهُ جَمَاعَةٌ
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. নাপাক ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না
৪৩৬(৯). মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনে ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (এক সফরে) সালমান ফারসী (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। তিনি বের হয়ে গিয়ে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সাড়লেন, তারপর ফিরে আসলেন। আমি বললাম, হে আবু আবদুল্লাহ! আপনি উযু করলে আমরা আপনার নিকট কুরআনের আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতাম। তিনি বললেন, আমি তো কুরআন স্পর্শ করবো না। নিশ্চয়ই পবিত্র ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ কুরআন স্পর্শ করতে পারে না। তিনি ইচ্ছামত আমাদের নিকট আয়াত পাঠ করলেন। এই হাদীসের সমস্ত রাবী নির্ভরযোগ্য।
بَابٌ فِي نَهْيِ الْمُحْدِثِ عَنْ مَسِّ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا الْحَسَّانِيُّ ، نَا وَكِيعٌ ، نَا الْأَعْمَشُ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ ، قَالَ : " كُنَّا مَعَ سَلْمَانَ ، فَخَرَجَ فَقَضَى حَاجَتَهُ ، ثُمَّ جَاءَ ، فَقُلْتُ : يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ ، لَوْ تَوَضَّأْتَ ؛ لَعَلَّنَا أَنْ نَسْأَلَكَ عَنْ آيَاتٍ . فَقَالَ : إِنِّي لَسْتُ أَمَسُّهُ ، إِنَّمَا ( لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ ) فَقَرَأَ عَلَيْنَا مَا يَشَاءُ . كُلُّهُمْ ثِقَاتٌ
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. নাপাক ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না
৪৩৭(১০). মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনে ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে সালমান ফারিসী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা এক সফরে তার সাথে ছিলাম। তিনি (দূরে) গিয়ে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সাড়লেন, তারপর ফিরে এলেন। আমি বললাম, হে আবু আবদুল্লাহ! আপনি উযু করুন। আমরা আপনার নিকট কুরআনের কয়েকটি আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে চাই। তিনি বলেন, তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করো। আমি তা স্পর্শ করবো না। কেননা পবিত্র ব্যক্তিই কেবল তা স্পর্শ করতে পারে। অতএব আমরা তার নিকট জিজ্ঞেস করলাম। বর্ণনাগুলোর অর্থ মোটামুটি একই এবং সবগুলো বর্ণনাই সহীহ।
بَابٌ فِي نَهْيِ الْمُحْدِثِ عَنْ مَسِّ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا الصَّاغَانِيُّ ، ثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ ، ثَنَا الْأَعْمَشُ ، وَثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا إِبْرَاهِيمُ الْحَرْبِيُّ ، نَا ابْنُ نُمَيْرٍ ، ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ ، ثَنَا الْأَعْمَشُ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ ، عَنْ سَلْمَانَ ، قَالَ : كُنَّا مَعَهُ فِي سَفَرٍ ، فَانْطَلَقَ فَقَضَى حَاجَتَهُ ، ثُمَّ جَاءَ ، فَقُلْتُ : أَيْ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ ؛ تَوَضَّأْ ، لَعَلَّنَا نَسْأَلُكَ عَنْ آيٍ مِنَ الْقُرْآنِ . فَقَالَ : سَلُونِي ؛ فَإِنِّي لَا أَمَسُّهُ ؛ إِنَّهُ لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ . فَسَأَلْنَاهُ ، فَقَرَأَ عَلَيْنَا قَبْلَ أَنْ يَتَوَضَّأَ . وَالْمَعْنَى قَرِيبٌ . كُلُّهَا صِحَاحٌ
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. নাপাক ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না
৪৩৮(১১). মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনে ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে সালমান ফারিসী (রাঃ) এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
بَابٌ فِي نَهْيِ الْمُحْدِثِ عَنْ مَسِّ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا إِبْرَاهِيمُ الْحَرْبِيُّ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ ، نَا أَبُو الْأَحْوَصِ ، قَالَ : وَثَنَا عُثْمَانُ ، نَا جَرِيرٌ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ عُمَرَ ، ثَنَا وَكِيعٌ ، قَالَ : وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ ، ثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ ، عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ ، عَنْ سَلْمَانَ نَحْوَهُ . وَهَذَا مِثْلُهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. নাপাক ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করবে না
৪৩৯(১২)। মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... সালমান ফারিসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উযু নষ্ট হওয়ার পর কুরআন পড়েছেন। সবগুলো হাদীস সহীহ।
আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কুরআন তিলাওয়াত থেকে জানাবাত (সহবাস জনিত অপবিত্রতা) ছাড়া আর কিছুই বিরত রাখতো না” (আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী)। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “হায়েযগ্রস্ত মহিলা ও সংগমের ফলে অপবিত্র লোক কুরআনের কিছুই পাঠ করবে না” (আবু দাউদ, তিরমিযী)।
এ বিষয়ে সাহাবা ও তাবিঈদের যেসব মত ফিকহের কিতাবসমূহে লিপিবদ্ধ আছে তা নিম্নরূপঃ
সালমান ফারিসী (রাঃ) বিনা উযুতে কুরআন পড়াতে কোনরূপ দোষ মনে করতেন না। কিন্তু তার মতে, এরূপ অবস্থায় কুরআনে হাত লাগানো জায়েয নয়। সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) ও আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) এর মতও তাই। হাসান বসরী এবং ইবরাহীম নাখাঈও বিনা উযুতে কুরআন গ্রন্থে হাত লাগানো মাকরূহ মনে করতেন (আবু বাকর আল-জাসসাস, আহকামুল কুরআন)। আতা, শাবী এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মাদও এই মত পোষণ করেন (ইবনে কুদামা, আল-মুগনী)।
তবে বিনা উযুতে কুরআন স্পর্শ না করে তা দেখে দেখে পড়া কিংবা মুখস্ত পড়া সকলের মতেই জায়েয। জানাবাত (সহবাস জনিত নাপাকি) ও হায়েয-নিফাস অবস্থায় কুরআন পড়া উমার (রাঃ), আলী (রাঃ), হাসান বসরী, ইবরাহীম নাখাঈ ও যুহরীর মতে মাকরূহ (আল-মুগনী ও ইবনে হাযমের আল-মুহাল্লা)।
এ বিষয়ে ফিকহবিদদের অভিমত নিম্নরূপঃ
ইমাম আলাউদ্দীন আল-কাশানী তার “বাদায়ে ওয়াস-সানায়ে” গ্রন্থে হানাফী মাযহারের মত এভাবে উল্লেখ করেছেনঃ বিনা উযুতে নামায পড়া যেভাবে জায়েয নয়, ঠিক সেভাবে কুরআন স্পর্শ করাও জায়েয নয়। তবে তা আবরণের মধ্যে থাকলে তাতে হাত লাগানো যেতে পারে। আবরণের অর্থ কেউ করেছেন বাঁধাই, আর কেউ করেছেন জুযদান। তাফসীর গ্রন্থও বিনা উযুতে স্পর্শ করা উচিৎ নয়। তবে বিনা উযুতে কুরআন পড়া জায়েয। ফতোয়া আলমগিরীতে বলা হয়েছে, বালক-বালিকাদের প্রতি এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য নয়। শিক্ষা লাভের উদ্দেশে ছোটদের হাতে কুরআন দেয়া যেতে পারে, তাদের উযু থাক বা না থাক।
ইমাম নববী (রহঃ) তাঁর ‘আল-মিনহাজ’ গ্রন্থে শাফিঈ মাযহাবের মত এভাবে উল্লেখ করেছেনঃ নামায ও তাওয়াফের ন্যায় কুরআন মজীদ বা তার কোন একটি পৃষ্ঠাও বিনা উযুতে স্পর্শ করা হারাম। কুরআনের উপরের বাধাই ধরাও নিষিদ্ধ। যদি তা গেলাফে অথবা বাসে রক্ষিত থাকে বা শিক্ষাদানের উদ্দেশে তার কোন অংশ কোন কিছুর উপর লিখিত থাকে, তবে তাও বিনা উযুতে স্পর্শ করা জায়েয নয়। তবে অন্য কোন জিনিসের সাহায্যে এর পাতা উল্টানো যেতে পারে। বালক উযুবিহীন অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করতে পারে।
‘কিতাবুল-ফিকহ আলাল-মাযাহিবিল আরবাআ' গ্রন্থে মালেকী মাযহাবের অভিমত এভাবে বর্ণিত হয়েছেঃ জমহুর ফিকহবিদদের সাথে মালেকী মাযহাব এ ব্যাপারে একমত যে, হাত দিয়ে কুরআন স্পর্শ করার জন্য উযু একান্তই জরুরী শর্ত। কিন্তু কুরআনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ে এই বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত। বরং হায়েযগ্রস্ত মহিলার পক্ষেও শিক্ষার উদ্দেশে কুরআন স্পর্শ করা জায়েয। আল্লামা ইবনে কুদামা তার আল-মুগনী গ্রন্থে ইমাম। মালেকের এই মত বর্ণনা করেছেন যে, জানাবাত অবস্থায় কুরআন পড়া নিষিদ্ধ , কিন্তু হায়েযগ্রস্ত মহিলার জন্য কুরআন পড়ার অনুমতি আছে। কেননা একটা দীর্ঘ সময় ধরে যদি আমরা তাকে কুরআন পড়া থেকে বিরত রাখি, তবে সে কুরআন ভুলে যাবে।
ইবনে কুদামা (রহঃ) হাম্বলী মাযহাবের মত এভাবে উল্লেখ করেছেনঃ জানাবাত অবস্থায় এবং হায়েয-নিফাস অবস্থায় কুরআন বা তার একটি পূর্ণ আয়াতও পাঠ করা জায়েয নয়। তবে বিসমিল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ প্রভৃতি শব্দ উচ্চারণ করা জায়েয। বিনা উযুতে হাত দিয়ে কুরআন শরীফ স্পর্শ করা কোনক্রমেই জায়েয নয়। কোন জিনিসের মধ্যে কুরআন রক্ষিত থাকলে তা বিনা উযুতে ধরে উঠানো জায়েয। তাফসীরের গ্রন্থাবলী স্পর্শ করার ব্যাপারে উযুর কোন শর্ত নেই। কিতাবুল-ফিকহ আলাল-মাযাহিবিল আরবাআ গ্রন্থে হাম্বলী মাযহাব সম্পর্কে আরো লিখিত আছে যে, শিক্ষার উদ্দেশে বিনা উযুতে কুরআনে হাত লাগানো ছোটদের জন্যও জায়েয নয়। তাদের হাতে কুরআন তুলে দেয়ার পূর্বে তাদেরকে উযু করানো তাদের মুরব্বীদের কর্তব্য।
যাহিরী মাযহাবমতে, কুরআন পড়া ও তা স্পর্শ করা সর্বাবস্থায় জায়েয, বিনা উযুতে ও জানাবাত ও হায়েয অবস্থায়ও। আল্লামা ইবনে হাযম তার আল-মুহাল্লা গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং এই মতের সত্যতা ও যথার্থতার স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ পেশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ফিকহবিদগণ কুরআন পড়া ও তা হাত দিয়ে স্পর্শ করার ব্যাপারে যেসব শর্ত আরোপ করেছেন, তার একটিও কুরআন ও সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত নয় (১ম খণ্ড, পৃ. ৭৭-৮৪)।
ছাত্রগণ তাদের মাসিক ঋতু চলাকালে মূল কুরআন স্পর্শ না করে তার তাফসীর, নোটবই, গাইড বই ইত্যাদি স্পর্শ করতে এবং পড়তে পারেন (অনুবাদক)।
بَابٌ فِي نَهْيِ الْمُحْدِثِ عَنْ مَسِّ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا وَكِيعٌ ، نَا سُفْيَانُ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ زَيْدِ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْعَبْسِيِّ ، عَنْ عَلْقَمَةَ وَالَأَسْوَدِ ، عَنْ سَلْمَانَ : " أَنَّهُ قَرَأَ بَعْدَ الْحَدَثِ " . كُلُّهَا صِحَاحٌ