পরিচ্ছেদঃ ৭০. মন্দ নাম পরিবর্তন করা

৪৯৫২। ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমার (রাঃ)-এর কন্যা আসিয়ার নাম পরিবর্তন করে বলেন, তোমার নাম হলো জামীলাহ।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي تَغْيِيرِ الِاسْمِ الْقَبِيحِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالَا: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: غَيَّرَ اسْمَ عَاصِيَةَ، وَقَالَ: أَنْتِ جَمِيلَةٌ

صحيح

حدثنا احمد بن حنبل، ومسدد، قالا: حدثنا يحيى، عن عبيد الله، عن نافع، عن ابن عمر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم: غير اسم عاصية، وقال: انت جميلة صحيح


Ibn ‘Umar said :
The Messenger of Allah (May peace be upon him) changed the name of ‘Asiyah and called her Jamilah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) 36. General Behavior (Kitab Al-Adab)

পরিচ্ছেদঃ ৭০. মন্দ নাম পরিবর্তন করা

৪৯৫৩। মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। যাইনাব বিনতু আবূ সালামাহ (রাঃ) তাকে প্রশ্ন করেন, তোমার মেয়ের কি নাম রেখেছো? তিনি বললেন, আমি তার নাম রেখেছি বাররা (পূণ্যবতী)। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরণের নাম রাখতে বারণ করেছেন। আমার নামও বাররা রাখা হয়েছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’’তোমরা নিজেদের পরিশুদ্ধ দাবি করো না। কেননা আল্লাহই ভালো জানেন, তোমাদের মধ্যে কে পুণ্যবান।’’ অতঃপর তিনি বললেন, আমি এর কি নাম রাখবো? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এর নাম রাখো যাইনাব।[1]

হাসান সহীহ।

بَابٌ فِي تَغْيِيرِ الِاسْمِ الْقَبِيحِ

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، سَأَلَتْهُ: مَا سَمَّيْتَ ابْنَتَكَ؟ قَالَ: سَمَّيْتُهَا مُرَّةَ، فَقَالَتْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ هَذَا الِاسْمِ، سُمِّيتُ بَرَّةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمْ، اللَّهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ فَقَالَ: مَا نُسَمِّيهَا؟ قَالَ: سَمُّوهَا زَيْنَبَ

حسن صحيح

حدثنا عيسى بن حماد، اخبرنا الليث، عن يزيد بن ابي حبيب، عن محمد بن اسحاق، عن محمد بن عمرو بن عطاء، ان زينب بنت ابي سلمة، سالته: ما سميت ابنتك؟ قال: سميتها مرة، فقالت: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن هذا الاسم، سميت برة فقال النبي صلى الله عليه وسلم: لا تزكوا انفسكم، الله اعلم باهل البر منكم فقال: ما نسميها؟ قال: سموها زينب حسن صحيح


Muhammad b. ‘Amr b. ‘Ata said :
Zainab daughter of Abu Salamah asked him: Which name did you give to your daughter? He replied : Barrah. She said: The Messenger of Allah (May peace be upon him) forbade giving this name. I was called Barrah but the Prophet (May peace be upon him) said: Do not declare yourselves pure, for Allah knows best those of you who are obedient. He said: we asked; which name should we give her? He replied: Call her Zainab.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) 36. General Behavior (Kitab Al-Adab)

পরিচ্ছেদঃ ৭০. মন্দ নাম পরিবর্তন করা

৪৯৫৪। উসামাহ ইবনু আখদারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আগত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক লোকের নাম ছিলো আসরাম (কর্কশ)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশ্ন করলেন, তোমার নাম কি? তিনি বলরেন, আমি আসরাম। তিনি বললেনঃ না, এ নাম ঠিক নয়, বরং তুমি যুর’আহ (শস্যদানা)।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي تَغْيِيرِ الِاسْمِ الْقَبِيحِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ، قَالَ: حَدَّثَنِي بَشِيرُ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ عَمِّهِ أُسَامَةَ بْنِ أَخْدَرِيٍّ، أَنَّ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ أَصْرَمُ كَانَ فِي النَّفَرِ الَّذِينَ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا اسْمُكَ؟ قَالَ: أَنَا أَصْرَمُ، قَالَ: بَلْ أَنْتَ زُرْعَةُ

صحيح

حدثنا مسدد، حدثنا بشر يعني ابن المفضل، قال: حدثني بشير بن ميمون، عن عمه اسامة بن اخدري، ان رجلا يقال له اصرم كان في النفر الذين اتوا رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ما اسمك؟ قال: انا اصرم، قال: بل انت زرعة صحيح


Narrated Usamah ibn Akhdari:

A man called Asram was among those who came to the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) said: What is your name? He replied: Asram. He said: No, you are Zur'ah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) 36. General Behavior (Kitab Al-Adab)

পরিচ্ছেদঃ ৭০. মন্দ নাম পরিবর্তন করা

৪৯৫৫। হানী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি যখন তার গোত্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার গোত্রের লোকদেরকে তাকে আবুল হাকাম উপনামে ডাকতে শুনে তাকে ডেকে বললেন, আল্লাহই হলেন হাকাম এবং তাঁর নিকটই ন্যায়বিচার ও নির্দেশ। তোমার উপনাম কি করে আবুল হাকাম হলো? তিনি বললেন, আমার গোত্রের লোকজনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হলে তারা মীমাংসার জন্য আমার নিকট আসে। আমি যে সিদ্ধান্ত দেই তাতে তারা উভয় পক্ষই সন্তুষ্ট হয়ে যায়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা তো খুবই উত্তম কাজ! তোমার কি কোনো সন্তান আছে? হানী (রাঃ) বললেন, শুরাইহ, মুসলিম ও আব্দুল্লাহ নামে আমার তিনটি ছেলে আছে। তিনি বললেন, এদের মধ্যে বড় কে? আমি বললাম, শুরাইহ। তিনি বললেন, তাহলে তুমি আবূ শুরাইহ। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইনি হলেন সেই শুরাইহ (রাঃ) যিনি শিকল ভেঙ্গেছিলেন এবং তুসতার (দুর্গে) প্রবেশ করেছিলেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, শুরাইহ (রাঃ) তুসতার দুর্গের প্রবেশ পথ ভেঙ্গে ফেলেন এবং একটি সুড়ঙ্গ পথে তাতে প্রবেশ করেন।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي تَغْيِيرِ الِاسْمِ الْقَبِيحِ

حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ يَزِيدَ يَعْنِي ابْنَ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، شُرَيْحٍ عَنْ أَبِيهِ هَانِئٍ أَنَّهُ لَمَّا وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ قَوْمِهِ سَمِعَهُمْ يَكْنُونَهُ بِأَبِي الْحَكَمِ، فَدَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَكَمُ، وَإِلَيْهِ الْحُكْمُ، فَلِمَ تُكْنَى أَبَا الْحَكَمِ؟ فَقَالَ: إِنَّ قَوْمِي إِذَا اخْتَلَفُوا فِي شَيْءٍ أَتَوْنِي، فَحَكَمْتُ بَيْنَهُمْ فَرَضِيَ كِلَا الْفَرِيقَيْنِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا أَحْسَنَ هَذَا، فَمَا لَكَ مِنَ الْوَلَدِ؟ قَالَ: لِي شُرَيْحٌ، وَمُسْلِمٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: فَمَنْ أَكْبَرُهُمْ؟ قُلْتُ: شُرَيْحٌ، قَالَ: فَأَنْتَ أَبُو شُرَيْحٍ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: شُرَيْحٌ هَذَا هُوَ الَّذِي كَسَرَ السِّلْسِلَةَ، وَهُوَ مِمَّنْ دَخَلَ تُسْتَرَ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَبَلَغَنِي أَنَّ شُرَيْحًا كَسَرَ بَابَ تُسْتَرَ، وَذَلِك أَنْهُ دَخَلَ مِنْ سِرْبٍ

صحيح

حدثنا الربيع بن نافع، عن يزيد يعني ابن المقدام بن شريح، عن ابيه، عن جده، شريح عن ابيه هانى انه لما وفد الى رسول الله صلى الله عليه وسلم مع قومه سمعهم يكنونه بابي الحكم، فدعاه رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: ان الله هو الحكم، واليه الحكم، فلم تكنى ابا الحكم؟ فقال: ان قومي اذا اختلفوا في شيء اتوني، فحكمت بينهم فرضي كلا الفريقين، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ما احسن هذا، فما لك من الولد؟ قال: لي شريح، ومسلم، وعبد الله، قال: فمن اكبرهم؟ قلت: شريح، قال: فانت ابو شريح قال ابو داود: شريح هذا هو الذي كسر السلسلة، وهو ممن دخل تستر قال ابو داود: وبلغني ان شريحا كسر باب تستر، وذلك انه دخل من سرب صحيح


Narrated Hani ibn Yazid:

When Hani went with his people in a deputation to the Messenger of Allah (ﷺ), he heard them calling him by his kunyah (surname), AbulHakam.

So the Messenger of Allah (ﷺ) called him and said: Allah is the judge (al-Hakam), and to Him judgment belongs. Why are you given the kunyah AbulHakam?

He replied: When my people disagree about a matter, they come to me, and I decide between them, and both parties are satisfied with my decision.

He said: How good this is! What children have you? He replied: I have Shurayh, Muslim and Abdullah. He asked; Who is the oldest of them? I replied: Shurayh. He said: Then you are AbuShurayh.

Abu Dawud said: This is Shuraib who broke the chain, and who entered Tustar.

Abu Dawud said: I have been told that Shuraib broke the gate of Tustar, and he entered it through tunnel.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) 36. General Behavior (Kitab Al-Adab)

পরিচ্ছেদঃ ৭০. মন্দ নাম পরিবর্তন করা

৪৯৫৬। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহঃ) থেকে তার পিতা এবং তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রশ্ন করলেন, তোমার নাম কি? তিনি বললেন, হাযন (কর্কশ)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমার নাম সাহল (সহজ)। তিনি বললেন, না কারণ সহজ-সরলকে পদদলিত করা হয়, অপমান করা হয়। বর্ণনাকারী সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমি ধারণা করলাম যে, অচিরেই আমাদের উপর বিপদ বা কঠোরতা নেমে আসতে পারে।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আস (অবাধ্য), আযীয (পরাক্রমশালী), আতলাহ (কর্কশ), শয়তান, হাকাম (বিচারক), গুরাব (কাক), হুবাব (সাপ) ও শিহাব (উল্কা) নামকে পরিবর্তন করে রেখেছেন হিশাম (বিধ্বস্তকারী)। তিনি হারব (যুদ্ধ)-এর পরিবর্তে সালাম (শান্তি), মুনবাইস (শয়নকারী)-কে মুদতাদি (জাগরিত), আফিরাহ (অনুর্বর) নামক এলাকাকে খাদিরাহ (সবুজ), আদ-দালালাহ (বিপথ) উপত্যকাকে আল-হুদা (হিদায়াতের পথ), বনূ যানিয়াহ (জারজ সন্তান)-এর নাম বনূর-রিশদাহ (নির্মল সন্তান) এবং বনূ মুগবিয়াহ (বিপথগামী নারীর সন্তান)-এর বনূ রিশদা (হিদায়াতপ্রাপ্ত নারীর সন্তান) নামকরণ করেছেন।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي تَغْيِيرِ الِاسْمِ الْقَبِيحِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لَهُ: مَا اسْمُكَ؟ قَالَ: حَزْنٌ، قَالَ: أَنْتَ سَهْلٌ قَالَ: لَا، السَّهْلُ يُوطَأُ وَيُمْتَهَنُ، قَالَ سَعِيدٌ: فَظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُصِيبُنَا بَعْدَهُ حُزُونَةٌ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَغَيَّرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْمَ الْعَاصِ، وَعَزِيزٍ، وَعَتَلَةَ، وَشَيْطَانٍ، وَالْحَكَمِ، وَغُرَابٍ، وَحُبَابٍ، وَشِهَابٍ، فَسَمَّاهُ هِشَامًا، وَسَمَّى حَرْبًا سَلْمًا، وَسَمَّى الْمُضْطَجِعَ الْمُنْبَعِثَ، وَأَرْضًا تُسَمَّى عَفِرَةَ سَمَّاهَا خَضِرَةَ، وَشَعْبَ الضَّلَالَةِ، سَمَّاهُ شَعْبَ الْهُدَى، وَبَنُو الزِّنْيَةِ، سَمَّاهُمْ بَنِي الرِّشْدَةِ، وَسَمَّى بَنِي مُغْوِيَةَ، بَنِي رِشْدَةَ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: تَرَكْتُ أَسَانِيدَهَا لِلِاخْتِصَارِ

صحيح

حدثنا احمد بن صالح، حدثنا عبد الرزاق، عن معمر، عن الزهري، عن سعيد بن المسيب، عن ابيه، عن جده، ان النبي صلى الله عليه وسلم، قال له: ما اسمك؟ قال: حزن، قال: انت سهل قال: لا، السهل يوطا ويمتهن، قال سعيد: فظننت انه سيصيبنا بعده حزونة قال ابو داود: وغير النبي صلى الله عليه وسلم اسم العاص، وعزيز، وعتلة، وشيطان، والحكم، وغراب، وحباب، وشهاب، فسماه هشاما، وسمى حربا سلما، وسمى المضطجع المنبعث، وارضا تسمى عفرة سماها خضرة، وشعب الضلالة، سماه شعب الهدى، وبنو الزنية، سماهم بني الرشدة، وسمى بني مغوية، بني رشدة قال ابو داود: تركت اسانيدها للاختصار صحيح


Sa'id b. Musayyab told that his father said on the authority of his grandfather (Hazn):
The Prophet (ﷺ) asked: What is your name? He replied: Hazn (rugged). He said: You are Sahl (smooth). He said: No, smooth is trodden upon and disgraced. Sa'id said: I then thought that ruggedness would remain among us after it.

AbuDawud said: The Prophet (ﷺ) changed the names al-'As, Aziz, Atalah, Shaytan, al-Hakam, Ghurab, Hubab, and Shihab and called him Hisham. He changed the name Harb (war) and called him Silm (peace). He changed the name al-Munba'ith (one who lies) and called him al-Mudtaji' (one who stands up). He changed the name of a land Afrah (barren) and called it Khadrah (green). He changed the name Shi'b ad-Dalalah (the mountain path of a stray), the name of a mountain path and called it Shi'b al-Huda (mountain path of guidance). He changed the name Banu az-Zinyah (children of fornication) and called them Banu ar-Rushdah (children of those who are on the right path), and changed the name Banu Mughwiyah (children of a woman who allures and goes astray), and called them Banu Rushdah (children of a woman who is on the right path).

AbuDawud said: I omitted the chains of these for the sake of brevity.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) 36. General Behavior (Kitab Al-Adab)

পরিচ্ছেদঃ ৭০. মন্দ নাম পরিবর্তন করা

৪৯৫৭। মাসরূক (রহঃ) বর্ণনা করেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি বললেন, তুমি কে? আমি বললাম, মাসরূক ইবনুল আজদা।’ উমার (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আল-আজদা হলো একটি শয়তান।[1]

দুর্বলঃ মিশকাত হা/ ৪৭৬৭।

بَابٌ فِي تَغْيِيرِ الِاسْمِ الْقَبِيحِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، حَدَّثَنَا مُجَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: لَقِيتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: مَنْ أَنْتَ؟ قُلْتُ مَسْرُوقُ بْنُ الْأَجْدَعِ، فَقَالَ عُمَرُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: الْأَجْدُعُ: شَيْطَانٌ

ضعيف، المشكاة (٤٧٦٧)

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا هاشم بن القاسم، حدثنا ابو عقيل، حدثنا مجالد بن سعيد، عن الشعبي، عن مسروق، قال: لقيت عمر بن الخطاب رضي الله عنه، فقال: من انت؟ قلت مسروق بن الاجدع، فقال عمر: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: الاجدع: شيطان ضعيف، المشكاة (٤٧٦٧)


Narrated Umar ibn al-Khattab:

Masruq said: I met Umar ibn al-Khattab (Allah be pleased with him) who said: Who are you? I replied: Masruq ibn al-Ajda'. Umar then said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: al-Ajda' (mutilated) is a devil.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) 36. General Behavior (Kitab Al-Adab)

পরিচ্ছেদঃ ৭০. মন্দ নাম পরিবর্তন করা

৪৯৫৮। সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি তোমার সন্তানের নাম ইয়াসার (সম্পদ), রাবাহ (মুনাফা), নাজীহ (সফল) বা আফলাহা (কৃতকার্য) রাখবে না। কারণ তুমি যখন প্রশ্ন করবে, সে কি এখানে আছে, জবাবদাতা বলবে, না। সামুরাহ (রাঃ) বলেন, চারটি নাম উল্লেখ করা হলো। আমার নিকট এর অতিরিক্ত প্রশ্ন করো না।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي تَغْيِيرِ الِاسْمِ الْقَبِيحِ

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ، عَنْ هِلَالِ بْنِ يَسَافٍ، عَنْ رَبِيعِ بْنِ عُمَيْلَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تُسَمِّيَنَّ غُلَامَكَ يَسَارًا، وَلَا رَبَاحًا، وَلَا نَجِيحًا، وَلَا أَفْلَحَ، فَإِنَّكَ تَقُولُ: أَثَمَّ هُوَ؟ فَيَقُولُ: لَا إِنَّمَا هُنَّ أَرْبَعٌ فَلَا تَزِيدَنَّ عَلَيَّ

صحيح

حدثنا النفيلي، حدثنا زهير، حدثنا منصور بن المعتمر، عن هلال بن يساف، عن ربيع بن عميلة، عن سمرة بن جندب، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لا تسمين غلامك يسارا، ولا رباحا، ولا نجيحا، ولا افلح، فانك تقول: اثم هو؟ فيقول: لا انما هن اربع فلا تزيدن علي صحيح


Samurah b. Jundub reported the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying:
Do not call your servant Yasar (wealth), Rabah (profit), Nijih(prosperous) and Aflah (successful), for you may ask; Is he there? And someone says: No. Samurah said: These are four (names), so do not attribute more to me.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) 36. General Behavior (Kitab Al-Adab)

পরিচ্ছেদঃ ৭০. মন্দ নাম পরিবর্তন করা

৪৯৫৯। সামুরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দাসদের নামকরণের ক্ষেত্রে চারটি নাম রাখতে বারণ করেছেন; আফলাহ, ইয়াসার, নাফি’ ও রাবাহ।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي تَغْيِيرِ الِاسْمِ الْقَبِيحِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ: سَمِعْتُ الرُّكَيْنَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَمُرَةَ، قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نُسَمِّيَ رَقِيقَنَا أَرْبَعَةَ أَسْمَاءٍ أَفْلَحَ، وَيَسَارًا، وَنَافِعًا، وَرَبَاحًا

صحيح

حدثنا احمد بن حنبل، حدثنا المعتمر، قال: سمعت الركين، يحدث عن ابيه، عن سمرة، قال: نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم ان نسمي رقيقنا اربعة اسماء افلح، ويسارا، ونافعا، ورباحا صحيح


Samurah said:
The Aposlte of Allah (May peace be upon him) forbade giving four names to our slaves : Aflah (successful), Yasar (wealth), Naf(beneficial) and Rabah (profit).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) 36. General Behavior (Kitab Al-Adab)

পরিচ্ছেদঃ ৭০. মন্দ নাম পরিবর্তন করা

৪৯৬০। জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইনশাআল্লাহ যদি আমি জীবিত থাকি তবে আমার উম্মতকে নাফি, আফলাহ, বারকাত এরূপ নামকরণ করতে বারণ করবো। আ’মাশ (রহঃ) বলেন, আমি অবহিত নই যে, তিনি নাফি’ নামটি উল্লেখ করেছেন কি না। কারণ কোনো লোক এসে যখন প্রশ্ন করে, বরকত এখানে আছে কি? লোকে বলেন, না। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আবূ যুবায়র (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন, তবে তাতে ’বারাকাত’ নাম উল্লেখ করেননি।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي تَغْيِيرِ الِاسْمِ الْقَبِيحِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنْ عِشْتُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ أَنْهَى أُمَّتِي أَنْ يُسَمُّوا نَافِعًا، وَأَفْلَحَ، وَبَرَكَةَ قَالَ الْأَعْمَشُ: وَلَا أَدْرِي ذَكَرَ نَافِعًا أَمْ لَا، فَإِنَّ الرَّجُلَ يَقُولُ إِذَا جَاءَ أَثَمَّ بَرَكَةُ فَيَقُولُونَ لَا قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَى أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ لَمْ يَذْكُرْ بَرَكَةَ

صحيح

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا محمد بن عبيد، عن الاعمش، عن ابي سفيان، عن جابر، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان عشت ان شاء الله انهى امتي ان يسموا نافعا، وافلح، وبركة قال الاعمش: ولا ادري ذكر نافعا ام لا، فان الرجل يقول اذا جاء اثم بركة فيقولون لا قال ابو داود: روى ابو الزبير، عن جابر، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه لم يذكر بركة صحيح


Narrated Jabir ibn Abdullah:

The Prophet (ﷺ) said: If I survive (God willing), I shall forbid my people to give the names Nafi' (beneficial), Aflah (successful) and Barakah (blessing). Al-A'mash said: I do not know whether he mentioned Nafi' or not. When a man comes and asks: Is there Barakah (blessing)? The people say: No.

Abu Dawud said: A similar tradition has been transmitted by Abu al-Zubair on the authority of Jabir from the Prophet (ﷺ) through a different chain of narrators. This version has no mention of Barakah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) 36. General Behavior (Kitab Al-Adab)

পরিচ্ছেদঃ ৭০. মন্দ নাম পরিবর্তন করা

৪৯৬১। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহর নিকট ঐ ব্যক্তির নামই সবচেয়ে নিকৃষ্ট হবে যার নাম রাখা হয় মালিকুল আমলাক (রাজাধিরাজ)।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي تَغْيِيرِ الِاسْمِ الْقَبِيحِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَخْنَعُ اسْمٍ عِنْدَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَجُلٌ تَسَمَّى مَلِكَ الْأَمْلَاكِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَاهُ شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ بِإِسْنَادِهِ قَالَ: أَخْنَى اسْمٍ

صحيح

حدثنا احمد بن حنبل، حدثنا سفيان بن عيينة، عن ابي الزناد، عن الاعرج، عن ابي هريرة، يبلغ به النبي صلى الله عليه وسلم قال: اخنع اسم عند الله تبارك وتعالى يوم القيامة رجل تسمى ملك الاملاك قال ابو داود: رواه شعيب بن ابي حمزة، عن ابي الزناد باسناده قال: اخنى اسم صحيح


Abu Hurairah reported the prophet (May peace be upon him) as saying :
The vilest names in Allah’s sight on the Day of resurrection will be that of a man called Malik al-Amlak.

Abu Dawud said: This tradition has also been transmitted by Shu'aib b. Abi Hamzah from Abi al-Zinad through different chain of narrators. This version has the words "akhna' ismin" (most obscene name) instead of "akhna ismin" (the vilest name).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) 36. General Behavior (Kitab Al-Adab)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে