পরিচ্ছেদঃ ৫৩৬. তাশাহহুদে বসার পদ্ধতি।
৭৯০। ইয়াহইয়া ইবনু বুকাইর এবং লায়স (রহঃ) ... মুহাম্মদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একদল সাহাবীর সঙ্গে বসা ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত (নামায/নামাজ) সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তখন আবূ হুমাইদ সায়ীদী (রাঃ) বলেন, আমিই তোমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত সম্পর্কে বেশী স্মরণ রেখেছি। আমি তাঁকে দেখেছি (সালাত শুরু করার সময়) তিনি তাকবীর বলে দু’হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর যখন রুকূ’ করতেন তখন দু’ হাত দিয়ে হাঁটু শক্ত করে ধরতেন এবং পিঠ সমান করে রাখতেন। তারপর রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন যাতে মেরুদন্ডের হাড়গুলো স্ব-স্ব স্থানে ফিরে আসত। এরপর যখন সিজদা করতেন তখন দু’ হাত সম্পূর্ণভাবে মাটির উপর বিছিয়ে দিতেন না, আবার গুটিয়েও রাখতেন না। এবং তাঁর উভয় পায়ের আঙ্গুলীর মাথা কেবলামুখী করে দিতেন এবং যখন শেষ রাকাআতে বসতেন তখন বাঁ পা এগিয়ে দিয়ে ডান পা খাড়া করে নিতম্বের উপর বসতেন।
লায়স (রহঃ) ... ইবনু আতা (রহঃ) থেকে হাদীসটি শুনেছেন। আবূ সালিহ (রহঃ) লায়স (রহঃ) থেকে كُلُّ فَقَارٍ مَكَانَهُ বলেছেন। আর ইবনু মুবারক (রহঃ) ... মুহাম্মদ ইবনু আমর (রহঃ) থেকে শুধু كُلُّ فَقَارٍ বর্ণনা করেছেন।
بَاب سُنَّةِ الْجُلُوسِ فِي التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ،. وَحَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، وَيَزِيدَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا مَعَ نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْنَا صَلاَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ أَنَا كُنْتُ أَحْفَظَكُمْ لِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَيْتُهُ إِذَا كَبَّرَ جَعَلَ يَدَيْهِ حِذَاءَ مَنْكِبَيْهِ، وَإِذَا رَكَعَ أَمْكَنَ يَدَيْهِ مِنْ رُكْبَتَيْهِ، ثُمَّ هَصَرَ ظَهْرَهُ، فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ اسْتَوَى حَتَّى يَعُودَ كُلُّ فَقَارٍ مَكَانَهُ، فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَ يَدَيْهِ غَيْرَ مُفْتَرِشٍ وَلاَ قَابِضِهِمَا، وَاسْتَقْبَلَ بِأَطْرَافِ أَصَابِعِ رِجْلَيْهِ الْقِبْلَةَ، فَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ جَلَسَ عَلَى رِجْلِهِ الْيُسْرَى وَنَصَبَ الْيُمْنَى، وَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ قَدَّمَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَنَصَبَ الأُخْرَى وَقَعَدَ عَلَى مَقْعَدَتِهِ. وَسَمِعَ اللَّيْثُ يَزِيدَ بْنَ أَبِي حَبِيبٍ وَيَزِيدُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَلْحَلَةَ وَابْنُ حَلْحَلَةَ مِنَ ابْنِ عَطَاءٍ. قَالَ أَبُو صَالِحٍ عَنِ اللَّيْثِ كُلُّ فَقَارٍ. وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرٍو حَدَّثَهُ كُلُّ فَقَارٍ.
Narrated Muhammad bin `Amr bin `Ata':
I was sitting with some of the companions of Allah's Messenger (s) and we were discussing about the way of praying of the Prophet. Abu Humaid As-Sa`idi said, "I remember the prayer of Allah's Messenger (s) better than any one of you. I saw him raising both his hands up to the level of the shoulders on saying the Takbir; and on bowing he placed his hands on both knees and bent his back straight, then he stood up straight from bowing till all the vertebrate took their normal positions. In prostrations, he placed both his hands on the ground with the forearms away from the ground and away from his body, and his toes were facing the Qibla. On sitting In the second rak`a he sat on his left foot and propped up the right one; and in the last rak`a he pushed his left foot forward and kept the other foot propped up and sat over the buttocks."
পরিচ্ছেদঃ ২৪. অগ্নিস্পর্শ দ্রবের ক্ষেত্রে উযুর বিধান রহিত হওয়া প্রসঙ্গে
৬৮৮। আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা আব্বাস (রাঃ) এর সাথে ছিলাম। এরপর তিনি ইবনু হালহালার হাদীস (উপরোক্ত হাদীস) এর অনুরুপ বর্ণনা করেন। সেখানে উল্লেখ আছে যে, ইবনু আব্বাস (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এটা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। আর এ হাদীসের রাবী শুধু সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। ’লোকদেরকে নিয়ে’ কথাটির উল্লেখ করেননি।
باب نَسْخِ " الْوُضُوءِ مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ "
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ حَلْحَلَةَ وَفِيهِ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، شَهِدَ ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَقَالَ صَلَّى وَلَمَ يَقُلْ بِالنَّاسِ .
This hadith is narrated by Muhammad b. 'Amr b. Ata' with these words:
I was with Ibn 'Abbas, and Ibn 'Abbas saw the Messenger of Allah (ﷺ) doing like this, and it is also said that the words are: He (the Holy Prophet) offered prayer; and the word" people" is not mentioned.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩০. আহমদ ইবনু হাম্বল .... মুহাম্মাদ ইবনু আমর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুমায়েদ আস-সাইদী (রাঃ)-কে দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে যাদের মধ্যে আবূ কাতাদা (রাঃ)-ও ছিলেন- বলতে শুনেছিঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায সম্পর্কে আপনাদের চেয়ে সমধিক অবগত আছি। তাঁরা বলেন, তা কিরূপে? আল্লাহর শপথ! আপনি তাঁর অনুসরণের ও সাহচর্যের দিক দিয়ে আমাদের চাইতে অধিক অগ্রগামী নন। তিনি বলেন, হ্যাঁ। অতঃপর তারা বলেন, এখন আপনি আপনার বক্তব্য পেশ করুন। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযে দাঁড়াতেন তখন তিনি, তাঁর হস্তদ্বয় কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে পূর্ণরূপে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। তিনি কিরাআত পাঠের পর তাকবীর বলে রুকূতে যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলে নিজের উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। রুকূতে গিয়ে তিনি দুই হাতের তালু দ্বারা হাঁটুদ্বয় মজবুতভাবে ধরতেন।
অতঃপর তিনি এমনভাবে রুকু করতেন যে, তাঁর মাথা পিঠের সাথে সমান্তরাল থাকত। অতঃপর তিনি মাথা উঠিয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলে স্বীয় উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। পুনরায় আল্লাহু আকবার বলে তিনি সিজদায় গিয়ে উভয় বাহু স্বীয় পাজরের পাশ হতে দূরে সরিয়ে রাখতেন। অতঃপর সিজদা হতে মাথা উঠিয়ে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসতেন এবং সিজদার সময় পায়ের আংগুলগুলি নরম করে কিবলামুখী করে রাখতেন। তিনি আল্লাহু আকবার বলে (দ্বিতীয়) সিজদা হতে উঠে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর সোজা হয়ে বসতেন। অতঃপর তিনি সর্বশেষ রাকাতে স্বীয় বাম পা ডান দিকে বের করে দিয়ে বাম পাশের পাছার উপর ভর করে বসতেন। তখন তারা সকলে বলেন, হ্যাঁ, আপনি ঠিক বলেছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই রূপেই নামায আদায় করতেন।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهَذَا حَدِيثُ أَحْمَدَ قَالَ - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ، فِي عَشْرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو قَتَادَةَ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالُوا فَلِمَ فَوَاللَّهِ مَا كُنْتَ بِأَكْثَرِنَا لَهُ تَبَعًا وَلاَ أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً . قَالَ بَلَى . قَالُوا فَاعْرِضْ . قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يُكَبِّرُ حَتَّى يَقِرَّ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ يَقْرَأُ ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يَرْكَعُ وَيَضَعُ رَاحَتَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ يَعْتَدِلُ فَلاَ يَصُبُّ رَأْسَهُ وَلاَ يُقْنِعُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيَقُولُ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ يَقُولُ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . ثُمَّ يَهْوِي إِلَى الأَرْضِ فَيُجَافِي يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا وَيَفْتَحُ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ إِذَا سَجَدَ وَيَسْجُدُ ثُمَّ يَقُولُ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ إِلَى مَوْضِعِهِ ثُمَّ يَصْنَعُ فِي الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ إِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ كَمَا كَبَّرَ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ ثُمَّ يَصْنَعُ ذَلِكَ فِي بَقِيَّةِ صَلاَتِهِ حَتَّى إِذَا كَانَتِ السَّجْدَةُ الَّتِي فِيهَا التَّسْلِيمُ أَخَّرَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَقَعَدَ مُتَوَرِّكًا عَلَى شِقِّهِ الأَيْسَرِ . قَالُوا صَدَقْتَ هَكَذَا كَانَ يُصَلِّي صلى الله عليه وسلم .
Abu Humaid al-Sa’idi once told a company of ten of the companions of the Messenger of Allah (ﷺ) ; Abu Qatadah was one of them:
I am one among you who is more informed of the way the Messenger of Allah (ﷺ) prayed. They said: Why, By Allah, you did not follow him more than us, nor did you remain in his company longer than us? He said: Yes. They said: Then describe (how the Prophet prayed). He said: When the Messenger of Allah (ﷺ) stood up to pray, he raised his hands so as to bring them opposite his shoulders, and uttered the takbir (Allah is the most great), until every bone rested in its place properly: then re recited (some verses from the Quran); then he uttered the takbir (Allah is most great), raising his hands so as to bring them opposite his shoulders; then he bowed; placing the palms of his hands on his knees and keeping himself straight, neither raising nor lowering his head; then raised his head saying: “Allah listens to him who praise Him”; then raised his hands so as to bring them exactly opposite to his shoulders; then uttered: “Allah is most great”; then lowered himself to the ground (in prostration), keeping his arms away from his sides; then raised his head, bent his left foot and sat on it, and opened the toes when he prostrated: then he uttered: “Allah is most great”; then raised his head, bent his left foot and sat on it so that every bone returned to its place properly; then he did the same in the second (rak’ah). At the end of the two Rak’ahs he stood up and uttered the takbir (Allah is most great), raising his hands so as to bring them opposite to his shoulders; then he bowed, placing the palms of his hands on his knees and keeping himself straight, neither raising or lowering his head: then raised his head saying: “Allah listens to him who praises Him”; then raised his hands so as to bring them exactly opposite his shoulders; then uttered: “Allah is most great”; then lowered himself to the ground (in prostration), keeping his arms away from his sides; then raised his head, bent his left foot and sat on it, and opened the toes when he prostrated himself; then he prostrated; then uttered: “Allah is most great”; then raised his head, bent his left foot and sat on it so that every bone returned to its place properly; then he did the same in the second (rak’ah). At the end of two rak’ahs he stood up and uttered the takbir (Allah is most great), raising his hands so as to bring them opposite to his shoulders in the way he had uttered the Takbir (Allah is most great) at the beginning of the prayer; then he did that in the remainder of his prayer; and after prostration which if followed by the taslim (salutation) he out his left foot and sat on his left hip. They said: You have spoken the truth. This is how he(peace be upon him) used to pray.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩২. ঈসা ইবনু ইব্রাহীম আল-মিসরী .... মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা হতে হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেন, তিনি সিজদার সময় স্বীয় হস্তদ্বয় বিছানার মত বিছিয়ে দিতেন না এবং শরীরের সাথে একেবারে মিলিয়েও রাখতেন না, বরং মাঝামাঝি অবস্থায় রাখতেন এবং পায়ের আংগুলগুলি কিবলামুখী করে রাখতেন।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، نَحْوَ هَذَا قَالَ فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَ يَدَيْهِ غَيْرَ مُفْتَرِشٍ وَلاَ قَابِضِهِمَا وَاسْتَقْبَلَ بِأَطْرَافِ أَصَابِعِهِ الْقِبْلَةَ .
The above mentioned tradition has also been reported by Muhammad b. ‘Amr b. ‘Ata’ through a different chain of narrators. This version adds:
“When he prostrated himself he neither placed his arms on the ground nor closed them; putting forward his fingers towards the qiblah.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮৭. চতুর্থ রাকাতে পাছার উপর বসা সম্পর্কে।
৯৬৪. ঈসা ইবনে ইবরাহীম (রহঃ) .... মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আতা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একদল সাহাবীদের মধ্যে বসা ছিলেন, এ সময় উপরোক্ত হাদিসটি আলোচিত হয়। তবে তাতে আবু কাতাদা (রাঃ) এর নাম উল্লেখ নেই। রাবী বলেন, যখন তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দ্বিতীয় রাকাতের পরে বসতেন, তখন বাম পায়ের উপর ভর করে বসতেন এবং যখন তিনি শেষ বৈঠকে বসতেন, তখন বাম পা সামনে এগিয়ে দিয়ে এবং পাছার উপর ভর করে বসতেন।
باب مَنْ ذَكَرَ التَّوَرُّكَ فِي الرَّابِعَةِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا مَعَ نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَمْ يَذْكُرْ أَبَا قَتَادَةَ قَالَ فَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ جَلَسَ عَلَى رِجْلِهِ الْيُسْرَى فَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَةِ الأَخِيرَةِ قَدَّمَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَجَلَسَ عَلَى مَقْعَدَتِهِ .
Muhammad b. ‘Amr b.’Ata’ was sitting in the company of a few Companions of the Messenger of Allah (ﷺ). He then narrated his tradition, but he did not mention the name of Abu Qatadah. He said:
When he( the Prophet) sat up the two rak’ahs he sat on his left foot; and when sat up after the last rak’ah he put out his left foot and sat on his hip.
পরিচ্ছেদঃ ১১৮. মেয়েদের নিকট বিবাহের ব্যাপারে অনুমতি চাওয়া।
২০৯০. মুহাম্মদ ইবন আল্-আলা ..... মুহাম্মদ ইবন আমর (রহঃ) পূর্বোক্ত হাদীসের সনদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, যদি সে ক্রন্দন করে বা চুপ থাকে। এখানে بَكَتْ (সে ক্রন্দন করে) শব্দটি অতিরিক্ত।
باب فِي الاِسْتِئْمَارِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، بِهَذَا الْحَدِيثِ بِإِسْنَادِهِ زَادَ فِيهِ قَالَ " فَإِنْ بَكَتْ أَوْ سَكَتَتْ " . زَادَ " بَكَتْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَيْسَ " بَكَتْ " . بِمَحْفُوظٍ وَهُوَ وَهَمٌ فِي الْحَدِيثِ الْوَهَمُ مِنِ ابْنِ إِدْرِيسَ
The aforesaid tradition has also been transmitted through a different chain of narrators by Muhammad bin ‘Amr. This version adds “If she weeps or keeps silence”. The narrator added the word “weeps”.
Abu Dawud said:
The word "weeps" is not guarded. This is a misunderstanding of the tradition on the part of the narrator Ibn Idris or Muhammad b. al-'Ata.
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. খারাপ নাম পরিবর্তন করে ভাল নাম রাখা সম্পর্কে।
৪৮৬৯. ঈসা ইবন হাম্মাদ (রহঃ) ...... মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা যায়নব বিনত আবূ সালামা (রাঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি তোমার মেয়ের নাম কি রেখেছে? তিনি বলেনঃ আমি তার নাম রেখেছি বাররা। তখন যায়নব (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরনের নাম রাখতে নিষেধ করেছেন। আগে আমার নাম ছিল বাররা। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা নিজেদের প্রশংসা করো না, আল্লাহ্ তোমাদের মধ্যে কে ভাল তা খুবই জানেন। তখন কেউ জিজ্ঞাসা করেঃ তাহলে আমরা তার কি নাম রাখবো? তিনি বলেনঃ তোমরা তার নাম রাখ, যায়নব।
باب فِي تَغْيِيرِ الاِسْمِ الْقَبِيحِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، سَأَلَتْهُ مَا سَمَّيْتَ ابْنَتَكَ قَالَ سَمَّيْتُهَا بَرَّةَ فَقَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ هَذَا الاِسْمِ سُمِّيتُ بَرَّةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمُ اللَّهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ " . فَقَالَ مَا نُسَمِّيهَا قَالَ " سَمُّوهَا زَيْنَبَ " .
Muhammad b. ‘Amr b. ‘Ata said :
Zainab daughter of Abu Salamah asked him: Which name did you give to your daughter? He replied : Barrah. She said: The Messenger of Allah (May peace be upon him) forbade giving this name. I was called Barrah but the Prophet (May peace be upon him) said: Do not declare yourselves pure, for Allah knows best those of you who are obedient. He said: we asked; which name should we give her? He replied: Call her Zainab.
পরিচ্ছেদঃ ১/৭৪. উযূ ভঙ্গ হলেই কেবল উযূ করা জরুরী।
৪/৫১৬। মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) কে তার কাপড় শুঁকতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, এরূপ করছেন কেন? তিনি বলেন, অবশ্যই আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ বায়ুর দুর্গন্ধ পাওয়া বা আওয়াজ শোনা ব্যতীত (পুনরায়) উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতে হবে না।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ২. আবদুল আযীয বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুদতারাব ও মুনকার। ইমাম নাসাঈ বলেন তিনি সিকাহ নন এবং তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করা যাবে না। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
بَاب لَا وُضُوءَ إِلَّا مِنْ حَدَثٍ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ رَأَيْتُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ يَشَمُّ ثَوْبَهُ فَقُلْتُ مِمَّ ذَلِكَ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " لاَ وُضُوءَ إِلاَّ مِنْ رِيحٍ أَوْ سَمَاعٍ " .
It was narrated that 'Amr bin 'Ata' said:
"I saw Sa'ib bin Yazid sniffing his garment, and I said: 'Why (are you doing) that?' He said: 'I heard the Messenger of Allah say: "No ablution (is needed) unless there is an odor or a sound."
পরিচ্ছেদঃ ৫/৭২. সালাতকে পূর্ণাঙ্গ করা।
২/১০৬১। মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহ ) বলেন, আমি আবূ হুমাইদ আস-সাইদী (রাঃ) কে আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) সহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাতের (নামাযের) ব্যাপারে আমি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞাত। তারা বলেন, তা কিভাবে? আল্লাহ্র শপথ! আপনি আমাদের চেয়ে অধিক কাল তাঁর অনুসরণকারী নন এবং তাঁর সাহচর্য লাভের দিক থেকেও আমাদের অগ্রগামী নন। তিনি বলেন, হ্যাঁ। তারা বলেন, তাহলে আপনার বক্তব্য পেশ করুন।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে (নামাযে) দাঁড়িয়ে তাকবীর (তাহরীমা) বলতেন, তারপর তাঁর উভয় হাত তাঁর দু কাঁধ বরাবর উঠাতেন এবং তাঁর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যর্ঙ্গ স্ব স্ব স্থানে স্থির থাকতো। অতঃপর তিনি কিরাআত পড়তেন, অতঃপর তাকবীর বলে তাঁর উভয় কাঁধ বরাবর তাঁর উভয় হাত উঠাতেন। তারপর তিনি রুকূ করতেন এবং রুকূতে তাঁর উভয় হাত যথাযথভাবে দু হাঁটুর উপর রাখতেন, তাঁর মাথা অধিক উঁচু বা নীচু না করে সমানভাবে রাখতেন। অতঃপর তিনি সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে উভয় হাত উভয় কাঁধ বরাবর উঠাতেন, এমনকি তাঁর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্ব স্ব স্থানে স্থির হয় যেতো।
অতঃপর তিনি যমীনের দিকে (সিজদায়) ঝুঁকে যেতেন এবং পার্শ্বদেশ থেকে উভয় হাত আলাদা রাখতেন, তারপর মাথা উঠিয়ে বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসতেন এবং সিজদার সময় উভয় পায়ের আঙ্গুলগুলো ভাঁজ করে খাড়া রাখতেন, তারপর সিজদা করতেন, অতঃপর তাকবীর বলে (সিজদা্ থেকে উঠে) বাম পায়ের উপর বসতেন, এমনকি তাঁর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বস্থানে স্থির হয়ে যেত। অতঃপর তিনি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাকআতেও প্রথম রাকআতের অনুরূপ করতেন।
তিনি দ্বিতীয় রাকআত থেকে দাঁড়ানোর সময় তাঁর উভয় হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন, যেমন উঠাতেন সালাত শুরু করার সময়। তিনি অবশিষ্ট সালাত এভাবে পড়তেন। শেষ সিজদা করে তিনি সালাম ফিরিয়ে এক পা আগে-পিছে করে, বাম দিকের পাছার উপর ভর করে বসতেন। তারা বলেন, আপনি যথার্থই বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবেই সালাত আদায় করতেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩০৫, সহীহ আবী দাউদ ৭২০, ৭২১।
بَاب إِتْمَامِ الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ، فِي عَشْرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِيهِمْ أَبُو قَتَادَةَ فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . قَالُوا لِمَ فَوَاللَّهِ مَا كُنْتَ بِأَكْثَرِنَا لَهُ تَبَعَةً وَلاَ أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً . قَالَ بَلَى . قَالُوا فَاعْرِضْ . قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ كَبَّرَ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ وَيَقِرَّ كُلُّ عُضْوٍ مِنْهُ فِي مَوْضِعِهِ ثُمَّ يَقْرَأُ ثُمَّ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يَرْكَعُ وَيَضَعُ رَاحَتَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ مُعْتَمِدًا لاَ يَصُبُّ رَأْسَهُ وَلاَ يُقْنِعُ مُعْتَدِلاً ثُمَّ يَقُولُ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . وَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ حَتَّى يَقِرَّ كُلُّ عَظْمٍ إِلَى مَوْضِعِهِ ثُمَّ يَهْوِي إِلَى الأَرْضِ وَيُجَافِي يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا وَيَفْتَخُ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ إِذَا سَجَدَ ثُمَّ يَسْجُدُ ثُمَّ يُكَبِّرُ وَيَجْلِسُ عَلَى رِجْلِهِ الْيُسْرَى حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ مِنْهُ إِلَى مَوْضِعِهِ ثُمَّ يَقُومُ فَيَصْنَعُ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ إِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ كَمَا صَنَعَ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ ثُمَّ يُصَلِّي بَقِيَّةَ صَلاَتِهِ هَكَذَا حَتَّى إِذَا كَانَتِ السَّجْدَةُ الَّتِي يَنْقَضِي فِيهَا التَّسْلِيمُ أَخَّرَ إِحْدَى رِجْلَيْهِ وَجَلَسَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْسَرِ مُتَوَرِّكًا . قَالُوا صَدَقْتَ هَكَذَا كَانَ يُصَلِّي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
Muhammad bin ‘Amr bin ‘Ata’ said:
‘While he was among ten of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) including Abu Qatadah: “I heard Abu Humaid As-Sa’idi say: ‘I am the most knowledgeable of you concerning the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ).’ They said: ‘Why? By Allah, you did not follow him more than we did, and you did not accompany him for longer.’ He said: ‘Yes I am.’ They said: ‘Show us.’ He said: ‘When the Messenger of Allah (ﷺ) stood up for prayer, he would say the Takbir, then he would raise his hands parallel to his shoulders, and every part of his body would settle in place. Then he would recite, then he would raise his hands parallel to his shoulders and bow, placing his palms on his knees and supporting his weight on them. He neither lowered his head, nor raised it up, it was evenly balanced (between either extreme). Then he would say: “Sami’ Allahu liman hamidah (Allah hears those who praise Him); and he would raise his hands parallel with his shoulders, until every bone returned to its place. Then he would prostrate himself on the ground, keeping his arms away from his sides. Then he would raise his head and tuck his left foot under him and sit on it, and he would spread his toes when he prostrated.* Then he would prostrate, then say the Takbir and sit on his left foot, until every bone returned to its place. Then he would stand up and do the same in the next Rak’ah. Then when he stood up after two Rak’ah, he would raise his hands level with his shoulders as he did at the beginning of the prayer. Then he would offer the rest of his prayer in like manner until, when he did the prostration after which the Taslim comes, he would push one of his feet back and sit with his weight on his left side, Mutawarrikan.’** They said: ‘You have spoken the truth; this is how the Messenger of Allah (ﷺ) used to perform the prayer.’”
পরিচ্ছেদঃ এই বিষয়ে আরেকটি অনুচ্ছেদ।
৩০৪. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার এবং মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ আবূ কাতাদা ইবনু রিবঈও ছিলেন যাঁদের মধ্যে উপস্থিত, সেই ধরনের দশজন সাহাবীর এক সমাবেশে আমি আবূ হুমায়দ আস-সায়িদীকে বলতে শুনেছিঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত সম্পর্কে তোমাদের মধ্যে আমি অধিক অবহিত। উপস্থিত সাহাবীরা বললেনঃ আপনি তো আমাদের তুলনায় প্রবীণ নন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে আমাদের চেয়ে বেশি আসা-যাওয়া করেননি। আবূ হুমায়দ (রহঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, আমি অধিক পরিজ্ঞত। সাহাবীরা বললেনঃ আচ্ছা, এই কথা উপেক্ষা করুন।
আবূ হুমায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতের উদ্দেশ্যে দাঁড়াতেন তখন সোজা হয়ে দাঁড়াতেন এবং কাঁধ বরাবর দুই হাত তুলতেন। পরে যখন রুকূতে যেতে চাইতেন তখন কাঁধ বরাবর তাঁর দুই হাত তুলতেন এবং ’’আল্লাহু আকবার’’ বলে রুকূ করতেন। পিঠ স্থির ও সোজা করে রাখতেন, মাথা নিচে ঝুঁকিয়ে রাখতেন না এবং উপরে তুলেও রাখতেন না। রুকূতে দুই হাত রাখতেন দুই হাঁটুর উপর।
পরে ’’সামিআল্লাহু লিমান হামিদা’’ বলে দুই হাত তুলতেন এবং এমনভাবে স্থির হয়ে দাঁড়াতেন যে, প্রতিটি অঙ্গ স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসত। এরপর সিজদার উদ্দেশ্যে ভূমিতে অবনত হতেন এবং বলতেন, ’’আল্লাহু আকবার’’। তাঁর দুই বাহু বগল থেকে সরিয়ে রাখতেন। পায়ের আঙ্গুলি (সামনের দিকে) ভাঁজ করে রাখতেন। পরে বাম পা ঘুরিয়ে তার উপর এমনভাবে স্থির হয়ে বসতেন যে, প্রতিটি অঙ্গ স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসত। পরে আবার সিজদার জন্য ঝুঁকতেন এবং ’’আল্লাহু আকবার’’ বলতেন। এরপর পা ঘুরিয়ে তার উপর এমনভাবে স্থির হয়ে বসতেন যে, প্রতিটি অঙ্গ স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসত। এরপর উঠে দাঁড়াতেন।
পরে দ্বিতীয় রাকআতেও অনুরূপ আমল করতেন। দুই রাকআত শেষ করে যখন দাঁড়াতেন তখনও কাঁধ বরাবর দুই হাত তুলতেন সালাতের শুরুতে যেমন কাঁধ বরাবর দুই হাত তুলতেন। সব রাকআতে এভাবেই আমল করতেন। পরে যে রাকআতে সালাত শেষ হতো তাতে বাম পাটি বের করে নিতম্বের উপর বসতেন। এরপর সালাম ফিরাতেন। - ইবনু মাজাহ ১০৬১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ سَمِعْتُهُ وَهُوَ، فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَحَدُهُمْ أَبُو قَتَادَةَ بْنُ رِبْعِيٍّ يَقُولُ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالُوا مَا كُنْتَ أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً وَلاَ أَكْثَرَنَا لَهُ إِتْيَانًا قَالَ بَلَى . قَالُوا فَاعْرِضْ . فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ اعْتَدَلَ قَائِمًا وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . وَرَكَعَ ثُمَّ اعْتَدَلَ فَلَمْ يُصَوِّبْ رَأْسَهُ وَلَمْ يُقْنِعْ وَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَاعْتَدَلَ حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ أَهْوَى إِلَى الأَرْضِ سَاجِدًا ثُمَّ قَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . ثُمَّ جَافَى عَضُدَيْهِ عَنْ إِبْطَيْهِ وَفَتَخَ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ ثُمَّ ثَنَى رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَقَعَدَ عَلَيْهَا ثُمَّ اعْتَدَلَ حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ أَهْوَى سَاجِدًا ثُمَّ قَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . ثُمَّ ثَنَى رِجْلَهُ وَقَعَدَ وَاعْتَدَلَ حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ ثُمَّ نَهَضَ ثُمَّ صَنَعَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى إِذَا قَامَ مِنَ السَّجْدَتَيْنِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ كَمَا صَنَعَ حِينَ افْتَتَحَ الصَّلاَةَ ثُمَّ صَنَعَ كَذَلِكَ حَتَّى كَانَتِ الرَّكْعَةُ الَّتِي تَنْقَضِي فِيهَا صَلاَتُهُ أَخَّرَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَقَعَدَ عَلَى شِقِّهِ مُتَوَرِّكًا ثُمَّ سَلَّمَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَمَعْنَى قَوْلِهِ وَرَفَعَ يَدَيْهِ إِذَا قَامَ مِنَ السَّجْدَتَيْنِ يَعْنِي قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ .
Muhammad bin Amr bin Ata' narrated from Abu Humaid As-Saidi, :
he (Muhammad) said: "I heard him saying - while he was among ten of the Companions of the Prophet, one of whom was Abu Qatadah bin Ribi - 'I am the most knowledgeable among you of the Salat of the Allah's Messenger.' They said: 'You did not precede us in his companionship, nor were you in his company more than us.' He said: 'Even still." They said: 'Go ahead.' So he said: 'When Allah's Messenger stood for Salat he would stand with his back straight and raise his hands until they were at the level of his shoulder. Then he would say: (Allahu Akbar) "Allah is Most Great" and bow. Then he would straighten (his back) so that he would not lower his head, nor raise it, and he placed his hands on his knees. Then he said: (Sami Allahu liman hamidah) "Allah listens to those who praise Him." And he raised his hands and stood up straight until all of his bones completely returned to their places. Then he went down to the ground prostrating, then he said: (Allahu Akbar) "Allah is Most Great." Then he held his upper arms away from his midsection, and opened his toes on his feet (facing the Qiblah), then he bend his left foot and sat on it then straightened up until all of his bones completely returned to their placed, then he went down to prostrate. Then he said: (Allahu Akbar) "Allah is Most Great," then he bent his foot and sat and straightened up until all of his bones completely returned to their places. Then he got up. Then in the second Rak'ah he did the same as that, such that when he stood from the two prostrations, he sad the Takbir and raised his hands until they were at the level of his shoulders as he did when he opened the Salat. Then he did like that until it was the Rak'ah in which his Salat was to end, when he moved his left foot over and sat on his side (in the Mutawarrik postion). Then he said the Taslim.'"
পরিচ্ছেদঃ ১০/১৪৫. তাশাহ্হুদে বসার নিয়ম।
৮২৮. মুহাম্মাদ ইবনু ‘আমর ইবনু ‘আত্বা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর একদল সাহাবীর সঙ্গে বসা ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তখন আবূ হুমাইদ সা‘ঈদী (রাযি.) বলেন, আমিই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাত সম্পর্কে অধিক স্মরণ রেখেছি। আমি তাঁকে দেখেছি (সালাত শুরু করার সময়) তিনি তাকবীর বলে দু’ হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর যখন রুকূ‘ করতেন তখন দু’ হাত দিয়ে হাঁটু শক্ত করে ধরতেন এবং পিঠ সমান করে রাখতেন। অতঃপর রুকূ‘ হতে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন যাতে মেরুদন্ডের হাড়গুলো স্ব-স্ব স্থানে ফিরে আসতো। অতঃপর যখন সিজদা্ করতেন তখন দু’ হাত সম্পূর্ণভাবে মাটির উপর বিছিয়ে দিতেন না, আবার গুটিয়েও রাখতেন না। এবং তাঁর উভয় পায়ের আঙ্গুলির মাথা ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)মুখী করে দিতেন। যখন দু’রাকআতের পর বসতেন তখন বাম পা-এর উপর বসতেন আর ডান পা খাড়া করে দিতেন এবং যখন শেষ রাক‘আতে বসতেন তখন বাঁ পা এগিয়ে দিয়ে ডান পা খাড়া করে নিতম্বের উপর বসতেন।
লায়স (রহ.) ....... ইবনু আত্বা (রহ.) হতে হাদীসটি শুনেছেন। আবূ সালিহ্ (রহ.) লায়স (রহ.) হতে كُلُّ قَفَارٍ বলেছেন। আর ইবনু মুবারক (রহ.) ..... মুহাম্মাদ ইবনু ‘আমর (রহ.) হতে كُلُّ فَقَارٍ বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৮২ , ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৯০)
بَاب سُنَّةِ الْجُلُوسِ فِي التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ،. وَحَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، وَيَزِيدَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا مَعَ نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْنَا صَلاَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ أَنَا كُنْتُ أَحْفَظَكُمْ لِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَيْتُهُ إِذَا كَبَّرَ جَعَلَ يَدَيْهِ حِذَاءَ مَنْكِبَيْهِ، وَإِذَا رَكَعَ أَمْكَنَ يَدَيْهِ مِنْ رُكْبَتَيْهِ، ثُمَّ هَصَرَ ظَهْرَهُ، فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ اسْتَوَى حَتَّى يَعُودَ كُلُّ فَقَارٍ مَكَانَهُ، فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَ يَدَيْهِ غَيْرَ مُفْتَرِشٍ وَلاَ قَابِضِهِمَا، وَاسْتَقْبَلَ بِأَطْرَافِ أَصَابِعِ رِجْلَيْهِ الْقِبْلَةَ، فَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ جَلَسَ عَلَى رِجْلِهِ الْيُسْرَى وَنَصَبَ الْيُمْنَى، وَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ قَدَّمَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَنَصَبَ الأُخْرَى وَقَعَدَ عَلَى مَقْعَدَتِهِ. وَسَمِعَ اللَّيْثُ يَزِيدَ بْنَ أَبِي حَبِيبٍ وَيَزِيدُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَلْحَلَةَ وَابْنُ حَلْحَلَةَ مِنَ ابْنِ عَطَاءٍ. قَالَ أَبُو صَالِحٍ عَنِ اللَّيْثِ كُلُّ فَقَارٍ. وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرٍو حَدَّثَهُ كُلُّ فَقَارٍ.
Narrated Muhammad bin `Amr bin `Ata':
I was sitting with some of the companions of Allah's Messenger (ﷺ) and we were discussing about the way of praying of the Prophet. Abu Humaid As-Sa`idi said, "I remember the prayer of Allah's Messenger (ﷺ) better than any one of you. I saw him raising both his hands up to the level of the shoulders on saying the Takbir; and on bowing he placed his hands on both knees and bent his back straight, then he stood up straight from bowing till all the vertebrate took their normal positions. In prostrations, he placed both his hands on the ground with the forearms away from the ground and away from his body, and his toes were facing the Qibla. On sitting In the second rak`a he sat on his left foot and propped up the right one; and in the last rak`a he pushed his left foot forward and kept the other foot propped up and sat over the buttocks."
পরিচ্ছেদঃ ১১৫. একই বিষয়
৩০৪। মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রঃ) হতে আবু হুমাইদ আস-সাইদী (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (মুহাম্মাদ) বলেন, আমি তাকে (আবু হুমাইদকে) দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে এ হাদীস বলতে শুনেছি। আবু কাতাদা ইবনু রিবঈ (রাঃ)-ও তাদের অন্তর্ভুক্ত। তাদের সামনে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামায সম্পর্কে তোমাদের চেয়ে বেশি জানি। তারা বললেন, তা কেমন করে? তুমি তো আমাদের আগে তার সান্নিধ্য লাভ করতে পারনি। তাছাড়া তুমি তার নিকট আমাদের চেয়ে বেশি যাতায়াত করতে না। তিনি বললেন, হ্যা। তারা বললেন, ঠিক আছে বর্ণনা কর। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামাযে দাড়াতেন তখন সোজা হয়ে দাড়াতেন, কাধ পর্যন্ত হাত তুলতেন (তাকবীরে তাহরীমা করার জন্য); যখন রুকূতে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন কাঁধ পর্যন্ত হাত তুলতেন; তারপর ’আল্লাহু আকবার’ বলে রুকূতে যেতেন এবং শান্তভাবে রুকূতে থাকতেন, মাথা নীচের দিকেও ঝুঁকতেন না এবং উপরের দিকেও উঠাতেন না, উভয় হাত উভয় হাটুতে রাখতেন; তারপর সামিআল্লাহু (উভয় হাত উপরের দিকে তুলতেন) এবং সোজা হয়ে দাড়াতেন, এমনকি প্রতিটি হাড় নিজ নিজ স্থানে স্বাভাবিকভাবে এসে যেত। তারপর সিজদার জন্য যমিনের দিকে নীচু হতেন এবং আল্লাহু আকবার বলতেন; দুই বাহু দুই বগল হতে আলাদা রাখতেন; পায়ের আঙ্গুলগুলোকে ফাক করে দিতেন; বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসতেন; অতঃপর সোজা হয়ে বসতেন যাতে তার প্রতিটি হাড় নিজ নিজ স্থানে ঠিকভাবে বসে যেত; অতঃপর দ্বিতীয় সিজদায় যেতেন; "আল্লাহু আকবার’ বলে সিজদা হতে উঠে পা বিছিয়ে দিয়ে বসতেন (জলসায়ে ইস্তিরাহাত করতেন); এমনকি প্রতিটি হাড় নিজ নিজ স্থানে ঠিকভাবে বসে যেত; তারপর দাড়াতেন; তারপর দ্বিতীয় রাকাআতেও এরূপ করতেন। তারপর দুই রাকাআত আদায় করতে যখন দাড়াতেন, তখনও তাকবীর বলতেন এবং দুই হাত নামায শুরু করার সময়ের মত কাঁধ পর্যন্ত তুলতেন। বাকী নামাযেও তিনি এরূপ করতেন; তারপর যখন শেষ সিজদায় পৌছতেন যেখানে তার নামায শেষ হত তখন বা পা বিছিয়ে দিতেন এবং পাছার উপর চেপে বসতেন; তারপর সালাম ফিরাতেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১০৬১)।
আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। দুই সিজদার পর যখন দাড়াতেন’ বাক্যাংশটুকুর অর্থ দুই রাকাআত শেষ করে যখন দাড়াতেন।’
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ سَمِعْتُهُ وَهُوَ، فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَحَدُهُمْ أَبُو قَتَادَةَ بْنُ رِبْعِيٍّ يَقُولُ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالُوا مَا كُنْتَ أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً وَلاَ أَكْثَرَنَا لَهُ إِتْيَانًا قَالَ بَلَى . قَالُوا فَاعْرِضْ . فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ اعْتَدَلَ قَائِمًا وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . وَرَكَعَ ثُمَّ اعْتَدَلَ فَلَمْ يُصَوِّبْ رَأْسَهُ وَلَمْ يُقْنِعْ وَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَاعْتَدَلَ حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ أَهْوَى إِلَى الأَرْضِ سَاجِدًا ثُمَّ قَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . ثُمَّ جَافَى عَضُدَيْهِ عَنْ إِبْطَيْهِ وَفَتَخَ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ ثُمَّ ثَنَى رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَقَعَدَ عَلَيْهَا ثُمَّ اعْتَدَلَ حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ أَهْوَى سَاجِدًا ثُمَّ قَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . ثُمَّ ثَنَى رِجْلَهُ وَقَعَدَ وَاعْتَدَلَ حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ ثُمَّ نَهَضَ ثُمَّ صَنَعَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى إِذَا قَامَ مِنَ السَّجْدَتَيْنِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ كَمَا صَنَعَ حِينَ افْتَتَحَ الصَّلاَةَ ثُمَّ صَنَعَ كَذَلِكَ حَتَّى كَانَتِ الرَّكْعَةُ الَّتِي تَنْقَضِي فِيهَا صَلاَتُهُ أَخَّرَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَقَعَدَ عَلَى شِقِّهِ مُتَوَرِّكًا ثُمَّ سَلَّمَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَمَعْنَى قَوْلِهِ وَرَفَعَ يَدَيْهِ إِذَا قَامَ مِنَ السَّجْدَتَيْنِ يَعْنِي قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ .
Muhammad bin Amr bin Ata' narrated from Abu Humaid As-Saidi, :
he (Muhammad) said: "I heard him saying - while he was among ten of the Companions of the Prophet, one of whom was Abu Qatadah bin Ribi - 'I am the most knowledgeable among you of the Salat of the Allah's Messenger.' They said: 'You did not precede us in his companionship, nor were you in his company more than us.' He said: 'Even still." They said: 'Go ahead.' So he said: 'When Allah's Messenger stood for Salat he would stand with his back straight and raise his hands until they were at the level of his shoulder. Then he would say: (Allahu Akbar) "Allah is Most Great" and bow. Then he would straighten (his back) so that he would not lower his head, nor raise it, and he placed his hands on his knees. Then he said: (Sami Allahu liman hamidah) "Allah listens to those who praise Him." And he raised his hands and stood up straight until all of his bones completely returned to their places. Then he went down to the ground prostrating, then he said: (Allahu Akbar) "Allah is Most Great." Then he held his upper arms away from his midsection, and opened his toes on his feet (facing the Qiblah), then he bend his left foot and sat on it then straightened up until all of his bones completely returned to their placed, then he went down to prostrate. Then he said: (Allahu Akbar) "Allah is Most Great," then he bent his foot and sat and straightened up until all of his bones completely returned to their places. Then he got up. Then in the second Rak'ah he did the same as that, such that when he stood from the two prostrations, he sad the Takbir and raised his hands until they were at the level of his shoulders as he did when he opened the Salat. Then he did like that until it was the Rak'ah in which his Salat was to end, when he moved his left foot over and sat on his side (in the Mutawarrik postion). Then he said the Taslim.'"
পরিচ্ছেদঃ ১১৫. একই বিষয়
৩০৫। মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আবু হুমাইদ আস-সায়েদী (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দশজন সাহাবীর সামনে বলতে শুনেছি, তাদের মধ্যে কাতাদ ইবনু রিবঈ (রাঃ)-ও উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তী বর্ণনা ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদের হাদীসের অনুরূপ। তবে আবু আসিম এ হাদীসে আবদুল হামীদ ইবনু জাফরের সূত্রে এ কথাটুকুও বর্ণনা করেছেনঃ তারা বললেন, তুমি সত্যিই বলেছ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরূপভাবেই নামায আদায় করতেন। -সহীহ। দেখুন পূর্বের হাদিস।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ الْحُلْوَانِيُّ، وَسَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ النَّبِيلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ، فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو قَتَادَةَ بْنُ رِبْعِيٍّ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ بِمَعْنَاهُ وَزَادَ فِيهِ أَبُو عَاصِمٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ هَذَا الْحَرْفَ قَالُوا صَدَقْتَ هَكَذَا صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى زَادَ أَبُو عَاصِمٍ الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ هَذَا الْحَرْفَ قَالُوا صَدَقْتَ هَكَذَا صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم .
(Another chain) that Muhammad bin Amir bin Ata narrated from Abu Humaid As-Saidi,:
he (Muhammad) said: "I heard him saying - while he was among ten of the Companions of the Prophet, one of whom was Abu Qatadah bin Ribi."
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আগুনে রান্না খাবার খেয়ে ওযু করার বিধান মানসুখ (রহিত) হওয়া সম্পর্কে।
৬৮৭-(.../...) আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর সাথে ছিলাম। তারপর তিনি ইবনু হালহালাহ এর হাদীস (উপরোক্ত হাদীস) এর অনুরূপ বর্ণনা করেন। সেখানে উল্লেখ আছে যে, ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এমন করতে দেখেছেন। আর এ হাদীসের রাবী শুধু সালাত আদায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। লোকদেরকে নিয়ে কথাটির উল্লেখ করেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৮৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭০১)
باب نَسْخِ " الْوُضُوءِ مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ "
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ حَلْحَلَةَ وَفِيهِ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، شَهِدَ ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَقَالَ صَلَّى وَلَمَ يَقُلْ بِالنَّاسِ .
Chapter: Abrogation of wudu’ for that which has been touched by fire
This hadith is narrated by Muhammad b. 'Amr b. Ata' with these words: I was with Ibn 'Abbas, and Ibn 'Abbas saw the Messenger of Allah (ﷺ) doing like this, and it is also said that the words are: He (the Holy Prophet) offered prayer; and the word" people" is not mentioned.
পরিচ্ছেদঃ ৩. উত্তম নামে মন্দ নামের পরিবর্তন এবং বাররাহ্' নামকে যাইনাব, জুওয়াইরিয়াহ ও অনুরূপ নামে পরিবর্তন করা
৫৫০২-(১৯/...) ’আমর আন নাকিদ (রহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার কন্যার নাম রাখলাম বাররাহ। সে সময় যাইনাব বিনতু আবূ সালামাহ্ (রাযিঃ) আমাকে বললেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নাম রাখতে বারণ করেছেন। আমার নাম বাররাহ্- (পুণ্যবতী) রাখা হয়েছিল। তাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা স্বয়ং আত্মা পরিশুদ্ধ বলে দাবি করো না। আল্লাহ তা’আলাই অধিকতর জানেন তোমাদের মাঝে পুণ্যবানদের সম্পর্কে। অতঃপর তারা বলল, তবে আমরা তার কি নামকরণ করবো? তিনি বললেন, তার নাম রাখো যাইনাব’। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৪২৪, ইসলামিক সেন্টার ৫৪৪৬)
بَاب اسْتِحْبَابِ تَغْيِيرِ الِاسْمِ الْقَبِيحِ إِلَى حَسَنٍ وَتَغْيِيرِ اسْمِ بَرَّةَ إِلَى زَيْنَبَ وَجُوَيْرِيَةَ وَنَحْوِهِمَا
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ سَمَّيْتُ ابْنَتِي بَرَّةَ فَقَالَتْ لِي زَيْنَبُ بِنْتُ أَبِي سَلَمَةَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ هَذَا الاِسْمِ وَسُمِّيتُ بَرَّةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمُ اللَّهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ " . فَقَالُوا بِمَ نُسَمِّيهَا قَالَ " سَمُّوهَا زَيْنَبَ " .
Muhammad b. 'Amr b. 'Ata' reported:
I had given the name Barra to my daughter. Zainab, daughter of Abu Salama, told me that Allah's' Messenger (ﷺ) had forbidden me to give this name. (She said): I was also called Barra, but Allah's Messenger (ﷺ) said: Don't hold yourself to be pious. It is God alone who knows the people of piety among you. They (the Companions) said: Then, what name should we give to her? He said: Name her as Zainab.
পরিচ্ছেদঃ ১১৭. সালাত শুরু করা সম্পর্কে
৭৩০। মুহাম্মাদ ইবনু ’আমর (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুমায়িদ আস-সাঈদী (রাঃ)-কে দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে- যাদের মধ্যে আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ) ছিলেন- বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত সম্পর্কে আমি আপনাদের চেয়ে অধিক অবগত। তাঁরা বললেন, সেটা আবার কিভাবে? আল্লাহর শপথ! আপনি তো তাঁর অনুসরণ ও সাহচর্যের দিক দিয়ে আমাদের চেয়ে বেশি অগ্রগামী নন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। এরপর তাঁরা বললেন, এখন আপনি আপনার বক্তব্য পেশ করুন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়ানোর সময় নিজের দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে পূর্ণরূপে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন।
এরপর কিরাত পড়ে তাকবীর বলে রুকু’তে গমনকালে স্বীয় দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। তারপর রুকু’তে গিয়ে দু’ হাতের তালু দ্বারা হাঁটুদ্বয় দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতেন। রুকু’তে তাঁর মাথা পিঠের সাথে সমান্তরাল থাকত। এরপর রুকু’ হতে মাথা উঠিয়ে ’’সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্’’ বলে তিনি স্বীয় দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। তারপর আল্লাহু আকবার বলে তিনি সিজদায় যেতেন, সিজদাতে বাহূদ্বয় স্বীয় পাজরের পাশ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেন। তারপর সিজদা্ হতে মাথা উঠিয়ে বাম পা বিছিয়ে তাতে সোজা হয়ে বসতেন.....। অতঃপর শেষ রাক’আতে স্বীয় বাম পা ডান পাশে বের করে বাম পাশের পাছার উপর ভর করে বসতেন। তখন তাঁরা সকলে বললেন, হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবেই সালাত আদায় করতেন।[1]
সহীহ।
باب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهَذَا حَدِيثُ أَحْمَدَ قَالَ - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ، فِي عَشْرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو قَتَادَةَ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم . قَالُوا فَلِمَ فَوَاللهِ مَا كُنْتَ بِأَكْثَرِنَا لَهُ تَبَعًا وَلَا أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً . قَالَ بَلَى . قَالُوا فَاعْرِضْ . قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يُكَبِّرُ حَتَّى يَقِرَّ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ يَقْرَأُ ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يَرْكَعُ وَيَضَعُ رَاحَتَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ يَعْتَدِلُ فَلَا يَصُبُّ رَأْسَهُ وَلَا يُقْنِعُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيَقُولُ " سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ يَقُولُ " اللهُ أَكْبَرُ " . ثُمَّ يَهْوِي إِلَى الأَرْضِ فَيُجَافِي يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا وَيَفْتَحُ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ إِذَا سَجَدَ وَيَسْجُدُ ثُمَّ يَقُولُ " اللهُ أَكْبَرُ " . وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ إِلَى مَوْضِعِهِ ثُمَّ يَصْنَعُ فِي الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ إِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ كَمَا كَبَّرَ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ ثُمَّ يَصْنَعُ ذَلِكَ فِي بَقِيَّةِ صَلَاتِهِ حَتَّى إِذَا كَانَتِ السَّجْدَةُ الَّتِي فِيهَا التَّسْلِيمُ أَخَّرَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَقَعَدَ مُتَوَرِّكًا عَلَى شِقِّهِ الأَيْسَرِ . قَالُوا صَدَقْتَ هَكَذَا كَانَ يُصَلِّي صلي الله عليه وسلم .
- صحيح
Abu Humaid al-Sa’idi once told a company of ten of the companions of the Messenger of Allah (ﷺ) ; Abu Qatadah was one of them:
I am one among you who is more informed of the way the Messenger of Allah (ﷺ) prayed. They said: Why, By Allah, you did not follow him more than us, nor did you remain in his company longer than us? He said: Yes. They said: Then describe (how the Prophet prayed). He said: When the Messenger of Allah (ﷺ) stood up to pray, he raised his hands so as to bring them opposite his shoulders, and uttered the takbir (Allah is the most great), until every bone rested in its place properly: then re recited (some verses from the Quran); then he uttered the takbir (Allah is most great), raising his hands so as to bring them opposite his shoulders; then he bowed; placing the palms of his hands on his knees and keeping himself straight, neither raising nor lowering his head; then raised his head saying: “Allah listens to him who praise Him”; then raised his hands so as to bring them exactly opposite to his shoulders; then uttered: “Allah is most great”; then lowered himself to the ground (in prostration), keeping his arms away from his sides; then raised his head, bent his left foot and sat on it, and opened the toes when he prostrated: then he uttered: “Allah is most great”; then raised his head, bent his left foot and sat on it so that every bone returned to its place properly; then he did the same in the second (rak’ah). At the end of the two Rak’ahs he stood up and uttered the takbir (Allah is most great), raising his hands so as to bring them opposite to his shoulders; then he bowed, placing the palms of his hands on his knees and keeping himself straight, neither raising or lowering his head: then raised his head saying: “Allah listens to him who praises Him”; then raised his hands so as to bring them exactly opposite his shoulders; then uttered: “Allah is most great”; then lowered himself to the ground (in prostration), keeping his arms away from his sides; then raised his head, bent his left foot and sat on it, and opened the toes when he prostrated himself; then he prostrated; then uttered: “Allah is most great”; then raised his head, bent his left foot and sat on it so that every bone returned to its place properly; then he did the same in the second (rak’ah). At the end of two rak’ahs he stood up and uttered the takbir (Allah is most great), raising his hands so as to bring them opposite to his shoulders in the way he had uttered the Takbir (Allah is most great) at the beginning of the prayer; then he did that in the remainder of his prayer; and after prostration which if followed by the taslim (salutation) he out his left foot and sat on his left hip. They said: You have spoken the truth. This is how he(peace be upon him) used to pray.
পরিচ্ছেদঃ ১১৭. সালাত শুরু করা সম্পর্কে
৭৩২। মুহাম্মাদ ইবনু ’আমর ইবনু ’আত্বা সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি সিজদাতে নিজের দু’ হাত একেবারে বিছিয়েও দিতেন না আবার তা শরীরের সাথে মিলিয়েও রাখতেন না। তিনি তাঁর পায়ের আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী করে রাখতেন।[1]
সহীহ : বুখারী।
باب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، نَحْوَ هَذَا قَالَ فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَ يَدَيْهِ غَيْرَ مُفْتَرِشٍ وَلَا قَابِضِهِمَا وَاسْتَقْبَلَ بِأَطْرَافِ أَصَابِعِهِ الْقِبْلَةَ .
- صحيح : خ
The above mentioned tradition has also been reported by Muhammad b. ‘Amr b. ‘Ata’ through a different chain of narrators. This version adds:
“When he prostrated himself he neither placed his arms on the ground nor closed them; putting forward his fingers towards the qiblah.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮১. চতুর্থ রাক’আতে পাছার উপর বসা
৯৬৩। মুহাম্মাদ ইবনু ’আমর ইবনু ’আত্বা (রহঃ) বলেন, আমি আবূ হুমাইদ আস-সাইদী (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে বলতে শুনেছি, যাদের মধ্যে আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ)-ও ছিলেন। আবূ হুমাইদ (রাঃ) বললেন, আমি তোমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত। তারা বললেন, তাহলে আপনি বর্ণনা করুন। তখন তিনি হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে তিনি এও বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে সাজদার সময় দুই পায়ের আঙ্গুলগুলো খোলা রাখতেন। অতঃপর ’’আল্লাহু আকবার’’ বলে মাথা উঠাতেন এবং বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসতেন। অতঃপর দ্বিতীয় রাক’আতও তিনি অনুরূপভাবে আদায় করতেন।
এরপর তিনি হাদীসের অবশিষ্ট অংশ বর্ণনা করেন যে, সবশেষে তিনি সালাম ফিরানোর পূর্বের সিজদা্ শেষ করে বাম পা বাইরের দিকে বের করে বাম পাশের নিতম্বের উপর বসতেন। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বালের বর্ণনায় আরো রয়েছে, এভাবে হাদীস বর্ণনার পর উপস্থিত সাহাবীগণ বললেন, হাঁ, আপনি সত্যই বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবেই সালাত আদায় করতেন। কিন্তু ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল ও মুসাদ্দাদ তাদের বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বিতীয় রাক’আতে কিরূপে বসতেন তা বর্ণনা করেননি।[1]
সহীহ : এটি গত হয়েছে (৭৩০ নং)।
باب مَنْ ذَكَرَ التَّوَرُّكَ فِي الرَّابِعَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ سَمِعْتُهُ فِي، عَشْرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم - وَقَالَ أَحْمَدُ قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ فِي عَشْرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو قَتَادَةَ - قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم . قَالُوا فَاعْرِضْ . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ . قَالَ وَيَفْتَحُ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ إِذَا سَجَدَ ثُمَّ يَقُولُ اللهُ أَكْبَرُ وَيَرْفَعُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا ثُمَّ يَصْنَعُ فِي الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ . قَالَ حَتَّى إِذَا كَانَتِ السَّجْدَةُ الَّتِي فِيهَا التَّسْلِيمُ أَخَّرَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَقَعَدَ مُتَوَرِّكًا عَلَى شِقِّهِ الأَيْسَرِ . زَادَ أَحْمَدُ قَالُوا صَدَقْتَ هَكَذَا كَانَ يُصَلِّي وَلَمْ يَذْكُرَا فِي حَدِيثِهِمَا الْجُلُوسَ فِي الثِّنْتَيْنِ كَيْفَ جَلَسَ
- صحيح : مضى برقم (٧٣٠)
Abu Humaid al-sa’idi said (in the presence of ten compansions of the prophet):
I am more informed than any of you regarding the manner in which the Messenger of Allah (ﷺ) offered his prayer. They said: Present it. The narrator then reported the tradition, saying: he bent the toes of his feet turning them towards the Qiblah when he prostrated, then he uttered “ Allah is most great,” and raised (his head), and bent his left foot and sat on it, and he did the same in the second Rakah. The narrator then transmitted the tradition, and added: In the prostration (i.e., the Rakah) which ended at the salutation, he sat on the hips at the left side. ahmad (b. Hanbal) added: they said : You are right. This is how he used to pray. They (Ahmed and Musaddad) did not mention in their versions how he sat after offering two rak’ahs of prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১৮১. চতুর্থ রাক’আতে পাছার উপর বসা
৯৬৪। মুহাম্মদ ইবনু ’আমর ইবনু ’আত্বা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একদল সাহাবীর সাথে বসা ছিলেন। তখন পূর্বোক্ত হাদীসটি আলোচিত হয়। অবশ্য তাতে সাহাবী আবূ ক্বাতাদাহর নাম উল্লেখ নেই। তিনি বর্ণনা করলেন, তিনি যখন দুই রাক’আত সম্পন্ন করে বসতেন তখন বাম পা বাইরের দিকে ছড়িয়ে দিয়ে নিতম্বের উপর বসলেন।[1]
সহীহ
باب مَنْ ذَكَرَ التَّوَرُّكَ فِي الرَّابِعَةِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا مَعَ نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَمْ يَذْكُرْ أَبَا قَتَادَةَ قَالَ فَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ جَلَسَ عَلَى رِجْلِهِ الْيُسْرَى فَإِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَةِ الأَخِيرَةِ قَدَّمَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَجَلَسَ عَلَى مَقْعَدَتِهِ .
- صحيح : مضى برقم (٧٣٢)
Muhammad b. ‘Amr b.’Ata’ was sitting in the company of a few Companions of the Messenger of Allah (ﷺ). He then narrated his tradition, but he did not mention the name of Abu Qatadah. He said:
When he( the Prophet) sat up the two rak’ahs he sat on his left foot; and when sat up after the last rak’ah he put out his left foot and sat on his hip.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. মেয়েদের কাছে বিয়ের অনুমতি চাওয়া
২০৯৪। মুহাম্মাদ ইবনু ’আমর (রহ.) থেকে পূর্বোক্ত হাদীস উক্ত সনদে বর্ণিত। তবে তাতে আরো রয়েছেঃ ’’তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ’যদি সে কাঁদে অথবা নীরব থাকে।’ এখানে ’বাকাত্’ শব্দটি অতিরিক্ত। আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, ’বাকাত্’ শব্দটি নির্ভরযোগ্য নয়। এটি হাদীসের মধ্যে সংশয়। যা ইবনু ইদরীস থেকে হয়েছে।
আর ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কুমারী (বিয়ের) কথাবার্তা বলতে লজ্জাবোধ করে। তিনি বললেনঃ তার চুপ থাকা তার সম্মতি।[1]
আবূ হুরাইরাহ বর্ণিত হাদীসটি শায। আয়িশাহ বর্ণিত হাদীসটি সহীহ। ইরওয়া (১৮৩৪, ১৮৩৮)।
بَابٌ فِي الِاسْتِئْمَارِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، بِهَذَا الْحَدِيثِ بِإِسْنَادِهِ زَادَ فِيهِ قَالَ: فَإِنْ بَكَتْ أَوْ سَكَتَتْ. زَادَ بَكَتْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَلَيْسَ بَكَتْ بِمَحْفُوظٍ وَهُوَ وَهْمٌ فِي الْحَدِيثِ الْوَهْمُ مِنْ ابْنِ إِدْرِيسَ أَوْ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْعَلَاءِ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَرَوَاهُ أَبُو عَمْرٍو ذَكْوَانُ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ الْبِكْرَ تَسْتَحِي أَنْ تَتَكَلَّمَ؟ قَالَ: سُكَاتُهَا إِقْرَارُهَا
(حديث أبي هريرة) شاذ، (حديث عائشة) صحيح (حديث أبي هريرة) //، الإرواء (١٨٣٤، ١٨٣٨)
The aforesaid tradition has also been transmitted through a different chain of narrators by Muhammad bin ‘Amr. This version adds “If she weeps or keeps silence”. The narrator added the word “weeps”.
Abu Dawud said:
The word "weeps" is not guarded. This is a misunderstanding of the tradition on the part of the narrator Ibn Idris or Muhammad b. al-'Ata.
Abu Dawud said: This tradition has also been narrated by Abu 'Amr Dhakwan on the authority of 'Aishah who said: A virgin is ashamed of speaking, Messenger of Allah. He said: Her silence is her acceptance.