পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৬৯১। ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কাদরিয়াগণ হচ্ছে এ উম্মাতের অগ্নিপূজক। সুতরাং তারা রোগাক্রান্ত হলে তোমরা তাদেরকে দেখতে যাবে না এবং তারা মারা গেলে তাদের জানাযায় উপস্থিত হবে না।[1]

হাসান।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي بِمِنًى، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الْقَدَرِيَّةُ مَجُوسُ هَذِهِ الْأُمَّةِ: إِنْ مَرِضُوا فَلَا تَعُودُوهُمْ، وَإِنْ مَاتُوا فَلَا تَشْهَدُوهُمْ

حسن

حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا عبد العزيز بن ابي حازم، قال: حدثني بمنى، عن ابيه، عن ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: القدرية مجوس هذه الامة: ان مرضوا فلا تعودوهم، وان ماتوا فلا تشهدوهم حسن


Narrated Abdullah ibn Umar:

The Prophet (ﷺ) said: The Qadariyyah are the Magians of this community. If they are ill, do not pay a sick visit to them, and if they die, do not attend their funerals.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৬৯২। হুযাইফাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক উম্মাতে অগ্নিপূজক রয়েছে। এ উম্মাতের অগ্নিপূজক হলো যারা বলে, তাকদীর বলতে কিছু নেই। তাদের মধ্যকার কেউ মারা গেলে তোমরা তার জানাযায় উপস্থিত হবে না এবং তাদের কেউ অসুস্থ হলে তোমরা তাদেরকে দেখতে যাবে না। তারা হচ্ছে দাজ্জালের অনুসারী এবং আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে দাজ্জালের সঙ্গে মিলিত করবেন।[1]

দুর্বলঃ যঈফাহ হা/ ৫৭১৪।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُمَرَ، مَوْلَى غُفْرَةَ، عَنْ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِكُلِّ أُمَّةٍ مَجُوسٌ وَمَجُوسُ هَذِهِ الْأُمَّةِ الَّذِينَ يَقُولُونَ لَا قَدَرَ، مَنْ مَاتَ مِنْهُمْ فَلَا تَشْهَدُوا جَنَازَتَهُ، وَمَنْ مَرِضَ مِنْهُمْ فَلَا تَعُودُوهُمْ، وَهُمْ شِيعَةُ الدَّجَّالِ، وَحَقٌّ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُلْحِقَهُمْ بِالدَّجَّالِ

ضعيف، الضعيفة (٥٧١٤)

حدثنا محمد بن كثير، اخبرنا سفيان، عن عمر بن محمد، عن عمر، مولى غفرة، عن رجل من الانصار عن حذيفة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لكل امة مجوس ومجوس هذه الامة الذين يقولون لا قدر، من مات منهم فلا تشهدوا جنازته، ومن مرض منهم فلا تعودوهم، وهم شيعة الدجال، وحق على الله ان يلحقهم بالدجال ضعيف، الضعيفة (٥٧١٤)


Hudhaifah reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
Every people have Magians, and the Magians of this community are those who declare that there is no destination by Allah. If any one of them dies, do not attend his funeral, and if any one of them is ill, do not pay a sick visit to him. They are the partisans of the Antichrist (Dajjal), and Allah will surely join them with the Antichrist.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৬৯৩। আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম (আঃ)-কে একমুঠো মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, যা তিনি সমগ্র পৃথিবী থেকে নিয়েছিলেন। তাই আদম সন্তান মাটির বিভিন্ন বর্ণ ও প্রকৃতি অনুসারে হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ লোহিত, কেউবা সাদা, কেউ কালো এবং কেউবা এসবের মধ্যবর্তী বর্ণের হয়েছে। এরূপে কেউ কোমল, কেউ কঠোর এবং কেউ অসৎ এবং কেউ সৎ হয়েছে।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، وَيَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، حَدَّثَاهُمْ قَالَا: حَدَّثَنَا عَوْفٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَسَامَةُ بْنُ زُهَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ مِنْ قَبْضَةٍ قَبَضَهَا مِنْ جَمِيعِ الْأَرْضِ، فَجَاءَ بَنُو آدَمَ عَلَى قَدْرِ الْأَرْضِ: جَاءَ مِنْهُمُ الْأَحْمَرُ، وَالْأَبْيَضُ، وَالْأَسْوَدُ، وَبَيْنَ ذَلِكَ، وَالسَّهْلُ، وَالْحَزْنُ، وَالْخَبِيثُ، وَالطَّيِّبُ زَادَ فِي حَدِيثِ يَحْيَى وَبَيْنَ ذَلِكَ وَالْإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ يَزِيدَ

صحيح

حدثنا مسدد، ان يزيد بن زريع، ويحيى بن سعيد، حدثاهم قالا: حدثنا عوف، قال: حدثنا قسامة بن زهير، قال: حدثنا ابو موسى الاشعري، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان الله خلق ادم من قبضة قبضها من جميع الارض، فجاء بنو ادم على قدر الارض: جاء منهم الاحمر، والابيض، والاسود، وبين ذلك، والسهل، والحزن، والخبيث، والطيب زاد في حديث يحيى وبين ذلك والاخبار في حديث يزيد صحيح


Abu Musa al-Ash’ari reported the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying :
Allah created Adam from a handful which he took from the whole of the earth ; so the children of Adam are in accordance with the earth : some red, some white, some black, some a mixture, also smooth and rough, bad and good.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৬৯৪। আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বাকি আল-গারকাদে এক জানাযায় ছিলাম। সেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও উপস্থিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে বসলেন এবং তাঁর সঙ্গের লাঠি দিয়ে মাটির উপর আঁচড় দিতে লাগলেন। অতঃপর তিনি মাথা তুলে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, এমন কোনো নিঃশ্বাসধারী নেই যার জাহান্নামে বা জান্নাতে নেককার ও বদকার হিসেবে ঠিকানা লিখে রাখা হয়নি।

আলী (রাঃ) বলেন, উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে একজন বললো, হে আল্লাহর নবী! তাহলে আমরা কি আমাদের ঐ লেখার উপর নির্ভর করে আমল ছেড়ে দিবো না? অতঃপর যার সৌভাগ্যবান হিসেবে লেখা আছে সে ভালো কাজেই অবসর হবে, আর আমাদের মধ্যে যার নাম হতভাগা ও পাপীষ্ঠ হিসেবে আছে সে পাপ কাজেই অগ্রসর হবে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা আমল করতে থাকো। কেননা প্রত্যেকের জন্য সেটাই সহজ করা হয়েছে যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। যে ভাগ্যবান সৎকর্ম তার জন্য সহজ হয়, আর যে পাপিষ্ঠ তার জন্য পাপ কাজ সহজ হয়। অতঃপর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের এ আয়াত পাঠ করলেনঃ সুতরাং দান করলে, মুক্তাকী হলে এবং যা উত্তম তা গ্রহণ করলে, আমি তার জন্য সুগম করে দিবো সহজ পথ। আর কেউ কৃপণতা করলে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করলে, আর যা উত্তম তা বর্জন করলে আমি তার জন্য সুগম করে দিবো কঠোর পরিণতির পথ।’’ (সূরা আল-লাইলঃ ৫-১০)।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ: سَمِعْتُ مَنْصُورَ بْنَ الْمُعْتَمِرِ، يُحَدِّثُ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَبِيبٍ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلَام، قَالَ: كُنَّا فِي جَنَازَةٍ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَقِيعِ الْغَرْقَدِ، فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ وَمَعَهُ مِخْصَرَةٌ، فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِالْمِخْصَرَةِ فِي الْأَرْضِ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ، مَا مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ إِلَّا كَتَبَ اللَّهُ مَكَانَهَا مِنَ النَّارِ أَوْ مِنَ الْجَنَّةِ، إِلَّا قَدْ كُتِبَتْ شَقِيَّةً، أَوْ سَعِيدَةً، قَالَ: فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَفَلَا نَمْكُثُ عَلَى كِتَابِنَا وَنَدَعُ الْعَمَلَ فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ السَّعَادَةِ لَيَكُونَنَّ إِلَى السَّعَادَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الشِّقْوَةِ لَيَكُونَنَّ إِلَى الشِّقْوَةِ؟ قَالَ: اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ: أَمَّا أَهْلُ السَّعَادَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِلسَّعَادَةِ، وَأَمَّا أَهْلُ الشِّقْوَةِ، فَيُيَسَّرُونَ لِلشِّقْوَةِ ثُمَّ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ: (فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى، وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى) [الليل: ٦]

صحيح

حدثنا مسدد بن مسرهد، حدثنا المعتمر، قال: سمعت منصور بن المعتمر، يحدث عن سعد بن عبيدة، عن عبد الله بن حبيب ابي عبد الرحمن السلمي، عن علي عليه السلام، قال: كنا في جنازة فيها رسول الله صلى الله عليه وسلم ببقيع الغرقد، فجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم، فجلس ومعه مخصرة، فجعل ينكت بالمخصرة في الارض، ثم رفع راسه فقال: ما منكم من احد، ما من نفس منفوسة الا كتب الله مكانها من النار او من الجنة، الا قد كتبت شقية، او سعيدة، قال: فقال رجل من القوم: يا نبي الله افلا نمكث على كتابنا وندع العمل فمن كان من اهل السعادة ليكونن الى السعادة ومن كان من اهل الشقوة ليكونن الى الشقوة؟ قال: اعملوا فكل ميسر: اما اهل السعادة فييسرون للسعادة، واما اهل الشقوة، فييسرون للشقوة ثم قال نبي الله: (فاما من اعطى واتقى وصدق بالحسنى فسنيسره لليسرى، واما من بخل واستغنى وكذب بالحسنى فسنيسره للعسرى) [الليل: ٦] صحيح


‘Ali said:
We attended a funeral at Baql’ al-Gharqad which was also attended by the Messenger of Allah (May peace be upon him). The Messenger of Allah (May peace be upon him) came and sat down. He had a stick (in his hand) by which he began to scratch up the ground. He then raised his head and said : The place which every one of you and every soul of you will occupy in Hell or in Paradise has been recorded, and destined wicked or blesses. A man from among the people asked : Prophet of Allah! Should we not then trust simply in what has been recorded for us and abandon (doing good) deeds? Those who are among the number of the blessed will be inclined to blessing, and those of us who are among the number of the wicked will be inclined to wickedness. He replied : Go on doing good actions, for everyone is helped to do that for which he was created. Those who are among the number of wicked will be helped to do wicked deeds. The Prophet of Allah (May peace be upon him) then recited: “So he who gives (in charity) and fears (Allah), and in all sincerity testifies to the best, we will indeed make smooth for him the path to bliss. But he who is a greedy miser and thinks himself self-sufficient, and gives the lie to the best, We will indeed make smooth for him the path of misery.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৬৯৫। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়া’মার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাসরাতে সর্বপ্রথম তাকদীর সম্বন্ধে বিতর্ক সৃষ্টি করে মা’বাদ আল-জুহানী। আমি ও হুমাইদ ইবনু আব্দুর রাহমান আল-হিমাইয়ারি হজ (হজ্জ) অথবা উমরা করতে গেলাম। আমরা বললাম, যদি আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোনো সাহাবীর সাক্ষাৎ পাই তাহলে আমরা এসব লোক তাকদীর সম্পর্কে যা বলে, সে সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করবো। অতঃপর আল্লাহ আমাদেরকে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ লাভে সাহায্য করলেন, যিনি মসজিদে প্রবেশ করছিলেন। আমিও আমার সাথী তাকে ঘিরে বসলাম। আমি চিন্তা করলাম যে, আমার সাথী কথা বলার দায়িত্ব আমার উপর ন্যস্ত করবেন।

আমি বললাম, হে আব্দুর রাহমানের পিতা! আমাদের এখানে কিছু সংখ্যক লোকের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে, যারা কুরআন পড়ে, জ্ঞানচর্চা ও বিতর্কও করে এবং মত পোষণ করে যে, তাকদীর বলতে কিছু নেই এবং প্রতিটি বিষয়ে পূর্ব সিদ্ধান্ত ছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটছে। তিনি বললেন, তুমি ঐসব লোকের সাক্ষাৎ পেলে তাদেরকে সংবাদ দিবে যে, আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্কহীন আর তারাও আমার থেকে বিচ্ছিন্ন। বিশেষ করে আব্দুল্লাহ কসম করে বলেন, ’’তাদের কারো যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকে এবং তা দান করে দেয়, তবুও তাকদীরের উপর ঈমান আনা পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহ তাদের এ দান কবূল করবেন না।’’

অতঃপর তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, তখন ধবধবে সাদা কাপড় পরিহিত ও মিশমিশে কালো চুলধারী এক ব্যক্তি আমাদের নিকট আসলেন। তার মধ্যে ভ্রমণের কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না, আবার আমাদের মধ্যকার কেউ তাকে চিনতে পারছে না। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বসলেন।

অতঃপর তাঁর (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দু’ হাঁটুর সঙ্গে নিজের দু’ হাঁটু মিশিয়ে এবং নিজের দু’ হাত তাঁর দু’ উরূর উপর রেখে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমাকে ইসলাম সম্বন্ধে বলুন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইসলাম হলো এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রাসূল। সালাত কায়িম করবে, যাকাত দিবে, রামাযানের সিয়াম পালন করবে এবং বাইতুল্লাহর হজ (হজ্জ) করবে যদি সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য থাকে। তিনি বললেন, ঠিক আছে। তিনি (উমার) বলেন, তাঁর আচরণে আমরা বিস্মিত হলাম, কারণ তিনি প্রশ্ন করেছেন আবার নিজেই তার সমর্থন করছেন।

পুনরায় তিনি বলেন, আমাকে বলুন ঈমান কি? তিনি বললেন, আপনি আল্লাহর উপর, ফিরিশতাগণ কিতাবসমূহে, তাঁর রাসূলগণ পরকাল ও তাকদীরের ভালো-মন্দের উপর বিশ্বাস করবেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। এবার আমাকে বলুন ইহসান কি? তিনি বললেন, ’’আল্লাহর ইবাদাত এরূপ নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন। আর যদি আপনি তাঁকে দেখতে নাও পান তবুও মনে করবেন যে, তিনি আপনাকে দেখছেন। অতঃপর তিনি বলেন, কিয়ামত কবে হবে তা আমাকে বলুন, তিনি বললেনঃ এ বিষয়ে যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি প্রশ্নকারীর চেয়ে অধিক জানেন না।

তিনি এবার বললেন, তাহলে কিয়ামতের নির্দশনসমূহ বলুন। তিনি বললেনঃ দাসী আপন মনিবকে জন্ম দিবে এবং নাঙ্গা পা ওয়ালা বস্ত্রহীন দেহ গরীব মেষ চালকদেরকে দালানকোঠা নিয়ে গর্ব করতে দেখবে। তিনি (উমার) বলেন, তারপর লোকটি চলে গেলেন এবং এরপর আমি তিনদিন কাটালাম। অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে উমার! তুমি কি জানো, প্রশ্নকারী কে? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বলেন, তিনি হচ্ছেন জিবরীল (আঃ), তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন শিখানোর জন্য তোমাদের নিকট এসেছিলেন।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ: كَانَ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْقَدَرِ بِالْبَصْرَةِ مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَاجَّيْنِ، أَوْ مُعْتَمِرَيْنِ، فَقُلْنَا: لَوْ لَقِينَا أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْنَاهُ عَمَّا يَقُولُ هَؤُلَاءِ فِي الْقَدَرِ، فَوَفَّقَ اللَّهُ لَنَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ دَاخِلًا فِي الْمَسْجِدِ، فَاكْتَنَفْتُهُ أَنَا وَصَاحِبِي فَظَنَنْتُ أَنَّ صَاحِبِي سَيَكِلُ الْكَلَامَ إِلَيَّ، فَقُلْتُ: أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، إِنَّهُ قَدْ ظَهَرَ قِبَلَنَا نَاسٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَفَقَّرُونَ الْعِلْمَ يَزْعُمُونَ أَنْ لَا قَدَرَ، وَالْأَمْرَ أُنُفٌ، فَقَالَ: إِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي بَرِيءٌ مِنْهُمْ، وَهُمْ بُرَآءُ مِنِّي، وَالَّذِي يَحْلِفُ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَوْ أَنَّ لِأَحَدِهِمْ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فَأَنْفَقَهُ مَا قَبِلَهُ اللَّهُ مِنْهُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ، ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ، شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعْرِ، لَا يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلَا نَعْرِفُهُ، حَتَّى جَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ، وَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَخْبِرْنِي عَنِ الْإِسْلَامِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْإِسْلَامُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ، وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ، وَتَصُومَ رَمَضَانَ، وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلًا» قَالَ: صَدَقْتَ، قَالَ: فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ، قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ الْإِيمَانِ، قَالَ: أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ، وَمَلَائِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ، وَرُسُلِهِ، وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ قَالَ: صَدَقْتَ، قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ الْإِحْسَانِ، قَالَ: أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ السَّاعَةِ، قَالَ: مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا، بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنْ أَمَارَاتِهَا، قَالَ: أَنْ تَلِدَ الْأَمَةُ رَبَّتَهَا، وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ، رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ، قَالَ: ثُمَّ انْطَلَقَ، فَلَبِثْتُ ثَلَاثًا، ثُمَّ قَالَ: يَا عُمَرُ، هَلْ تَدْرِي مَنِ السَّائِلُ؟ قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: فَإِنَّهُ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ دِينَكُمْ

صحيح

حدثنا عبيد الله بن معاذ، حدثنا ابي، حدثنا كهمس، عن ابن بريدة، عن يحيى بن يعمر، قال: كان اول من تكلم في القدر بالبصرة معبد الجهني فانطلقت انا وحميد بن عبد الرحمن الحميري حاجين، او معتمرين، فقلنا: لو لقينا احدا من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فسالناه عما يقول هولاء في القدر، فوفق الله لنا عبد الله بن عمر داخلا في المسجد، فاكتنفته انا وصاحبي فظننت ان صاحبي سيكل الكلام الي، فقلت: ابا عبد الرحمن، انه قد ظهر قبلنا ناس يقرءون القران ويتفقرون العلم يزعمون ان لا قدر، والامر انف، فقال: اذا لقيت اولىك فاخبرهم اني بريء منهم، وهم براء مني، والذي يحلف به عبد الله بن عمر لو ان لاحدهم مثل احد ذهبا فانفقه ما قبله الله منه حتى يومن بالقدر، ثم قال: حدثني عمر بن الخطاب، قال: بينما نحن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم اذ طلع علينا رجل شديد بياض الثياب، شديد سواد الشعر، لا يرى عليه اثر السفر ولا نعرفه، حتى جلس الى النبي صلى الله عليه وسلم فاسند ركبتيه الى ركبتيه ووضع كفيه على فخذيه، وقال: يا محمد، اخبرني عن الاسلام، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: الاسلام ان تشهد ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله، وتقيم الصلاة، وتوتي الزكاة، وتصوم رمضان، وتحج البيت ان استطعت اليه سبيلا» قال: صدقت، قال: فعجبنا له يساله ويصدقه، قال: فاخبرني عن الايمان، قال: ان تومن بالله، وملاىكته، وكتبه، ورسله، واليوم الاخر، وتومن بالقدر خيره وشره قال: صدقت، قال: فاخبرني عن الاحسان، قال: ان تعبد الله كانك تراه، فان لم تكن تراه فانه يراك قال: فاخبرني عن الساعة، قال: ما المسىول عنها، باعلم من الساىل قال: فاخبرني عن اماراتها، قال: ان تلد الامة ربتها، وان ترى الحفاة العراة العالة، رعاء الشاء يتطاولون في البنيان، قال: ثم انطلق، فلبثت ثلاثا، ثم قال: يا عمر، هل تدري من الساىل؟ قلت: الله ورسوله اعلم، قال: فانه جبريل اتاكم يعلمكم دينكم صحيح


Yahya b. Ya`mur said :
The first to speak on Divine decree in al-Basrah was Ma`bad al Juhani. I and Humaid b. `Abd al-Rahman al-Himyari proceeded to perform Hajj or `Umrah. We said : would that we meet any of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) so that we could ask him about what they say with regard to divine decree. So Allah helped us to meet `Abd Allah b. `Umar who was entering the mosque. So I and my companion surrounded him, and I thought that my companion would entrust me the task of speaking to him. Then I said : Abu ‘Abd al-Rahman, there appeared on our side some people who recite the Qur'an and are engaged in the hair-splitting of knowledge. They conceive that there is no Divine decree and everything happens freely without predestination. He said : When you meet those people, tell them that I am free from them, and they are free from me. By Him by Whom swears ‘Abd Allah b. ‘Umar, if one of them has gold equivalent to Uhud and he spends it, Allah will not accept it from him until he believes in Divine decree. He then said : ‘Umar b. Khattab transmitted to me a tradition, saying : One day when we were with the Messenger of Allah (ﷺ) a man with very white clothing and very black hair came up to us. No mark of travel was visible on him, and we did not recognize him. Sitting down beside the Messenger of Allah (ﷺ), leaning his knees against his and placing his hands on his thighs, he said : tell me, Muhammad, about Islam. The Messenger of Allah (ﷺ) said : Islam means that you should testify that there is no god but Allah, and Muhammad is Allah’s Apostle, that you should observe prayer, pay Zakat, fast during Ramadan, and perform Hajj to the house (i.e., Ka`bah), If you have the means to go. He said : You have spoken the truth. We were surprised at his questioning him and then declaring that he spoke the truth. He said : Now tell me about faith. He replied : It means that you should believe in Allah, his angels, his Books, his Apostles and the last day, and that you should believe in the decreeing both of good and evil. He said : You have spoken the truth. He said : now tell me about doing good (ihsan). He replied: It means that you should worship Allah as though you are seeing him; if you are not seeing him, he is seeing you. He said: Now tell me about the hour. He replied : The one who is asked about it is no better informed than the one who is asking. He said : Then tell me about its signs. He replied : That a maidservant should beget her mistress, and that you should see barefooted, naked, poor men and shepherds exalting themselves in buildings. ‘Umar said : He then went away, and I waited for three days, then he said : Do you know who the questioner was, `Umar? I replied : Allah and his Apostle know best. He said : He was Gabriel who came to you to teach you your religion.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৬৯৬। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়া’মুর ও হুমাইদ ইবনু আব্দুর রাহমান (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, একদা আমরা আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে তাকদীর ও এ বিষয়ে সমালোচনাকারীদের বক্তব্যও তুলে ধরি। অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। এতে আরো রয়েছেঃ তিনি বলেন, মুজাইনাহ ও যুহাইনাহ গোত্রের এক ব্যক্তি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যা করি তা কি পূর্ব নির্ধারিত অনুযায়ী করি, না স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটে থাকে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ আমাদের আমল পূর্ব-নির্ধারিত। তখন লোকটি বা উপস্থিত লোকদের কেউ বললো, তাহলে আমাদের আমলের মূল্য কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ জান্নাতীদের জন্য জান্নাতের উপযোগী আমল করা সহজ করে দেয়া হয় এবং জাহান্নামীদের জন্য জাহান্নামের উপযোগী আমল সহজ করে দেয়া হয়।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، وَحُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَا: لَقِيَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَذَكَرْنَا لَهُ الْقَدَرَ وَمَا يَقُولُونَ فِيهِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ زَادَ قَالَ: وَسَأَلَهُ رَجُلٌ مِنْ مُزَيْنَةَ أَوْ جُهَيْنَةَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فِيمَا نَعْمَلُ أَفِي شَيْءٍ قَدْ خَلَا أَوْ مَضَى أَوْ فِي شَيْءٍ يُسْتَأْنَفُ الْآنَ؟ قَالَ: فِي شَيْءٍ قَدْ خَلَا وَمَضَى فَقَالَ الرَّجُلُ أَوْ بَعْضُ الْقَوْمِ: فَفِيمَ الْعَمَلُ؟ قَالَ: إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ يُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَإِنَّ أَهْلَ النَّارِ يُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ

صحيح

حدثنا مسدد، حدثنا يحيى، عن عثمان بن غياث، قال: حدثني عبد الله بن بريدة، عن يحيى بن يعمر، وحميد بن عبد الرحمن، قالا: لقينا عبد الله بن عمر فذكرنا له القدر وما يقولون فيه فذكر نحوه زاد قال: وساله رجل من مزينة او جهينة فقال يا رسول الله فيما نعمل افي شيء قد خلا او مضى او في شيء يستانف الان؟ قال: في شيء قد خلا ومضى فقال الرجل او بعض القوم: ففيم العمل؟ قال: ان اهل الجنة ييسرون لعمل اهل الجنة، وان اهل النار ييسرون لعمل اهل النار صحيح


The tradition mentioned above has also been transmitted by Yahya b. Yamur and Humaid b. ‘Abd al-Rahman through a different chain of narrators. This version has :
we met ‘Abd Allah b. ‘Umar. We told him about divine decree and what they said about it. He then mentioned something similar to it. He added : A man of Muzainah or juhainah asked : What is the good in doing anything, Messenger of Allah ? should we think that a thing has passed and gone or a thing that has happened now (without predestination)? He replied : About a thing that has passed and gone (i.e. predestined). A man or some people asked: Then, why action? He replied: Those who are among the number of those who go to Paradise will be helped to do the deeds of the people who will go to Paradise, and those who are among the number of those who go to Hell will be helped to do the deeds of those who will go to Hell.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৬৯৭। ইবনু ইয়া’মুর (রাঃ) সূত্রে এ হাদীস কিছু কম-বেশী বক্তব্যসহ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বললেন, ইসলামী কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সালাত কায়িম করা, যাকাত দেয়া, বাইতুল্লাহর হজ (হজ্জ) করা, রামযান মাসের সাওম রাখা এবং জানাবাতের গোসল করা। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আলকামাহ ইবনু মারসাদ হলেন মুরযিয়া সম্প্রদায়ের ভুক্ত।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ يَعْمَرَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ يَزِيدُ وَيَنْقُصُ، قَالَ: فَمَا الْإِسْلَامُ؟ قَالَ: إِقَامُ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَحَجُّ الْبَيْتِ، وَصَوْمُ شَهْرِ رَمَضَانَ، وَالِاغْتِسَالُ مِنَ الْجَنَابَةِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: عَلْقَمَةُ مُرْجِئٌ

صحيح

حدثنا محمود بن خالد، حدثنا الفريابي، عن سفيان، قال: حدثنا علقمة بن مرثد، عن سليمان بن بريدة، عن ابن يعمر، بهذا الحديث يزيد وينقص، قال: فما الاسلام؟ قال: اقام الصلاة، وايتاء الزكاة، وحج البيت، وصوم شهر رمضان، والاغتسال من الجنابة قال ابو داود: علقمة مرجى صحيح


The tradition mentioned above has also been transmitted by Ibn Ya’mur, with additions and omissions, through a different chain of narrators. This version adds; He asked :
What is Islam? He replied : It means saying prayer, payment of zakat, performing HAJJ, fasting during RAMADAN, and taking a bath on account of sexual defilement.

Abu Dawud said: 'Alqamah was a Murji'i.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৬৯৮। আবূ যার ও আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে সাধারণত সাহাবীদের মধ্যেই বসতেন। ফলে কোনো পরিচিত ব্যক্তি আসলে প্রশ্ন না করা পর্যন্ত বলতে পারতেন না যে, কোন ব্যক্তিটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। অতএব আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আবেদন করলাম যে, আমরা তাঁর জন্য একটা বিশেষ স্থান নির্দিষ্ট করব যেন আগন্তুকরা দেখেই তাঁকে চিনতে পারে।

বর্ণনাকারী বলেন, সুতরাং আমরা তাঁর জন্য মাটি দিয়ে একটি বসার স্থান বানালাম এবং তিনি তার উপর বসলেন আর আমরা তাঁর নিকটে বসলাম। অতঃপর বর্ণনাকারী অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এমন সময় এক ব্যক্তি এসে উপস্থিত হলো। বর্ণনাকারী তার দৈহিক গঠনেরও বর্ণনা দিলেন। সে উপস্থিত জনতার এক প্রান্ত থেকে সালাম দিলো। সে বললো, হে মুহাম্মাদ! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। বর্ণনাকারী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সালামের জবাব দিলেন।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ قَالَا: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْلِسُ بَيْنَ ظَهْرَيْ أَصْحَابِهِ، فَيَجِيءُ الْغَرِيبُ فَلَا يَدْرِي أَيُّهُمْ هُوَ حَتَّى يَسْأَلَ، فَطَلَبْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَجْعَلَ لَهُ مَجْلِسًا يَعْرِفُهُ الْغَرِيبُ إِذَا أَتَاهُ، قَالَ: فَبَنَيْنَا لَهُ دُكَّانًا مِنْ طِينٍ، فَجَلَسَ عَلَيْهِ، وَكُنَّا نَجْلِسُ بِجَنْبَتَيْهِ، وَذَكَرَ نَحْوَ هَذَا الْخَبَرِ، فَأَقْبَلَ رَجُلٌ فَذَكَرَ هَيْئَتَهُ، حَتَّى سَلَّمَ مِنْ طَرَفِ السِّمَاطِ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مُحَمَّدُ قَالَ: فَرَدَّ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

صحيح

حدثنا عثمان بن ابي شيبة، حدثنا جرير، عن ابي فروة الهمداني، عن ابي زرعة بن عمرو بن جرير، عن ابي ذر، وابي هريرة قالا: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يجلس بين ظهري اصحابه، فيجيء الغريب فلا يدري ايهم هو حتى يسال، فطلبنا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم ان نجعل له مجلسا يعرفه الغريب اذا اتاه، قال: فبنينا له دكانا من طين، فجلس عليه، وكنا نجلس بجنبتيه، وذكر نحو هذا الخبر، فاقبل رجل فذكر هيىته، حتى سلم من طرف السماط، فقال: السلام عليك يا محمد قال: فرد عليه النبي صلى الله عليه وسلم صحيح


Narrated AbuDharr and AbuHurayrah:

The Messenger of Allah (ﷺ) used to sit among his Companions. A stranger would come and not recognize him (the Prophet) until he asked (about him). So we asked the Messenger of Allah (ﷺ) to make a place where he might take his seat so that when a stranger came, he might recognise him. So we built a terrace of soil on which he would take his seat, and we would sit beside him. He then mentioned something similar to this Hadith saying: A man came, and he described his appearance. He saluted from the side of the assembly, saying: Peace be upon you, Muhammad. The Prophet (ﷺ) then responded to him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৬৯৯। আবূ ’আব্দুল্লাহ ইবনুদ দায়লামী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-এর নিকট এসে তাকে বললাম, তাকদীর সম্পর্কে আমার মনে একটা দ্বিধার উদ্রেক হয়েছে। তাই আপনি আমাকে এমন কিছু বলুন যার বিনিময়ে আশা করি মহান আল্লাহ আমার দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করবেন। তিনি বললেন, মহান আল্লাহ তাঁর আসমান ও পৃথিবাসী সকলকে শাস্তি দিতে পারেন। তারপরও তিনি তাদের প্রতি অন্যায়কারী সাব্যস্ত হবেন না। পক্ষান্তরে তিনি যদি তাদের সকলকে দয়া করেন তাহলে তাঁর এ দয়া তাদের জন্য তাদের নেক আমল থেকে উত্তম হবে।

সুতরাং যদি তুমি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর পথে দান করো আর তাকদীরে বিশ্বাস না রাখো, তবে তা গ্রহণ করা হবে না যতক্ষণ না তুমি পুনরায় তাকদীরে বিশ্বাস করবে এবং উপলদ্ধি করবে যে, যা তোমার ঘটেছে তা ভুলেও তোমাকে এড়িয়ে যাওয়ার ছিলো না। আর এ বিশ্বাস ছাড়া তুমি মারা গেলে জাহান্নামে যাবে। ইবনুদ দায়লামী বলেন, অতঃপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উদ্ধৃতি দিয়ে একই কথা বলেন।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ خَالِدٍ الْحِمْصِيِّ، عَنِ ابْنِ الدَّيْلَمِيِّ، قَالَ: أَتَيْتُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ، فَقُلْتُ: لَهُ وَقَعَ فِي نَفْسِي شَيْءٌ مِنَ الْقَدَرِ، فَحَدِّثْنِي بِشَيْءٍ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُذْهِبَهُ مِنْ قَلْبِي، قَالَ: لَوْ أَنَّ اللَّهَ عَذَّبَ أَهْلَ سَمَاوَاتِهِ وَأَهْلَ أَرْضِهِ عَذَّبَهُمْ وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ، وَلَوْ رَحِمَهُمْ كَانَتْ رَحْمَتُهُ خَيْرًا لَهُمْ مِنْ أَعْمَالِهِمْ، وَلَوْ أَنْفَقْتَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا قَبِلَهُ اللَّهُ مِنْكَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ، وَتَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ، وَأَنَّ مَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ، وَلَوْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا لَدَخَلْتَ النَّارَ، قَالَ: ثُمَّ أَتَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ، قَالَ: ثُمَّ أَتَيْتُ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ، فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ، قَالَ: ثُمَّ أَتَيْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَحَدَّثَنِي عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ

صحيح

حدثنا محمد بن كثير، اخبرنا سفيان، عن ابي سنان، عن وهب بن خالد الحمصي، عن ابن الديلمي، قال: اتيت ابي بن كعب، فقلت: له وقع في نفسي شيء من القدر، فحدثني بشيء لعل الله ان يذهبه من قلبي، قال: لو ان الله عذب اهل سماواته واهل ارضه عذبهم وهو غير ظالم لهم، ولو رحمهم كانت رحمته خيرا لهم من اعمالهم، ولو انفقت مثل احد ذهبا في سبيل الله ما قبله الله منك حتى تومن بالقدر، وتعلم ان ما اصابك لم يكن ليخطىك، وان ما اخطاك لم يكن ليصيبك، ولو مت على غير هذا لدخلت النار، قال: ثم اتيت عبد الله بن مسعود فقال مثل ذلك، قال: ثم اتيت حذيفة بن اليمان، فقال مثل ذلك، قال: ثم اتيت زيد بن ثابت فحدثني عن النبي صلى الله عليه وسلم مثل ذلك صحيح


Ibn al-Dailami said :
I went to Ubayy b. Ka’b and said him : I am confused about Divine decree, so tell me something by means of which Allah may remove the confusion from my mind. He replied : were Allah to punish everyone in the heavens and in the earth. He would do so without being unjust to them, and were he to show mercy to them his mercy would be much better than their actions merited. Were you to spend in support of Allah’s cause an amount of gold equivalent to Uhud, Allah would not accept it from you till you believed in divine decree and knew that what has come to you could not miss you and that what has missed you could not come to you. Were you to die believing anything else you would enter Hell. He said : I then went to ‘Abd Allah b. MAs’ud and he said something to the same effect. I next went to Hudhaifah b. al-Yaman and he said something to the same effect. I next went to Zaid b. Thabit who told me something from the Prophet (May peace be upon him) to the same effect.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৭০০। আবূ হাফসাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) তার ছেলেকে বললেন, হে আমার প্রিয় পুত্র! তুমি ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত ঈমানের স্বাদ পাবে না যতক্ষণ না তুমি জানতে পারবে ’’যা তোমার উপর ঘটেছে তা ভুলেও এড়িয়ে যাওয়ার ছিলো না। পক্ষান্তরে, যা এড়িয়ে গেছে তা তোমার উপর ভুলেও ঘটবার ছিলো না।

আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ মহান আল্লাহ সর্বপ্রথম যে বস্তু সৃষ্টি করেছেন তা হচ্ছে কলম। অতঃপর তিনি তাকে বললেন, লিখো! কলম বললো, হে রব! কি লখবো? তিনি বললেন, কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক বস্তুর তাকদীর লিখো। হে আমার প্রিয় পুত্র! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি এরূপ বিশ্বাস ছাড়া মারা যায় সে আমার (উম্মাতের) নয়।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ الْهُذَلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ رَبَاحٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي عَبْلَةَ، عَنْ أَبِي حَفْصَةَ، قَالَ: قَالَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ لِابْنِهِ: يَا بُنَيَّ، إِنَّكَ لَنْ تَجِدَ طَعْمَ حَقِيقَةِ الْإِيمَانِ حَتَّى تَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ، وَمَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: إِنَّ أَوَّلَ مَا خَلَقَ اللَّهُ الْقَلَمَ، فَقَالَ لَهُ: اكْتُبْ قَالَ: رَبِّ وَمَاذَا أَكْتُبُ؟ قَالَ: اكْتُبْ مَقَادِيرَ كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ يَا بُنَيَّ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ مَاتَ عَلَى غَيْرِ هَذَا فَلَيْسَ مِنِّي

صحيح

حدثنا جعفر بن مسافر الهذلي، حدثنا يحيى بن حسان، حدثنا الوليد بن رباح، عن ابراهيم بن ابي عبلة، عن ابي حفصة، قال: قال عبادة بن الصامت لابنه: يا بني، انك لن تجد طعم حقيقة الايمان حتى تعلم ان ما اصابك لم يكن ليخطىك، وما اخطاك لم يكن ليصيبك، سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم، يقول: ان اول ما خلق الله القلم، فقال له: اكتب قال: رب وماذا اكتب؟ قال: اكتب مقادير كل شيء حتى تقوم الساعة يا بني اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: من مات على غير هذا فليس مني صحيح


Ubadah b. al Samit said to his son :
Son! You will not get the taste of the reality of faith until you know that what has come to you could not miss you, and that what has missed you could not come to you. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: The first thing Allah created was the pen. He said to it: Write. It asked: What should I write, my Lord? He said: Write what was decreed about everything till the Last Hour comes. Son! I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say : He who dies on something other than this does not belong to me.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৭০১। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আদম (আঃ) ও মূসা (আঃ) পরস্পর বিতর্কে প্রবৃত্ত হলেন। মূসা (আঃ) বললেন, হে আদম! আপনি আমাদের পিতা, আপনি আমাদেরকে জান্নাত থেকে বঞ্চিত ও বিতাড়িত করেছেন। আদম (আঃ) বললেন, তুমি তো সেই মূসা, আল্লাহ তোমাকে তাঁর কালামের জন্য মনোনীত করেছেন এবং নিজ হাতে তোমার জন্য তাওরাত লিখে দিয়েছেন। তুমি আমাকে এমন একটি কাজের জন্য তিরস্কার করছো যা আমি করবো বলে আমার সৃষ্টির চল্লিশ বছর পূর্বে তিনি সিদ্ধান্ত করে রেখেছেন। অতএব এ বিতর্কে আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর উপর বিজয়ী হলেন।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ الْمَعْنَى، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ طَاوُسًا، يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يُخْبِرُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى، فَقَالَ مُوسَى: يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُونَا خَيَّبْتَنَا وَأَخْرَجْتَنَا مِنَ الْجَنَّةِ، فَقَالَ آدَمُ: أَنْتَ مُوسَى اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلَامِهِ وَخَطَّ لَكَ التَّوْرَاةَ بِيَدِهِ، تَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدَّرَهُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي بِأَرْبَعِينَ سَنَةً؟ فَحَجَّ آدَمُ، مُوسَى قَالَ: أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ طَاوُسٍ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ

صحيح

حدثنا مسدد، حدثنا سفيان، ح وحدثنا احمد بن صالح المعنى، قال: حدثنا سفيان بن عيينة، عن عمرو بن دينار، سمع طاوسا، يقول: سمعت ابا هريرة، يخبر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: احتج ادم وموسى، فقال موسى: يا ادم انت ابونا خيبتنا واخرجتنا من الجنة، فقال ادم: انت موسى اصطفاك الله بكلامه وخط لك التوراة بيده، تلومني على امر قدره علي قبل ان يخلقني باربعين سنة؟ فحج ادم، موسى قال: احمد بن صالح، عن عمرو، عن طاوس، سمع ابا هريرة صحيح


Abu Hurairah reported the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying :
Adam and Moses held a disputation. Moses said : Adam you are our father. You deprived us and caused us to come out from Paradise. Adam said : You are Moses Allah chose you for his speech and wrote the Torah for you with his hand. Do you blame me for doing a deed which Allah had decreed that I should do forty year before he created me? So Adam got the better of Moses in argument.

Ahmad b. Salih said from 'Amr from Tawus who heard Abu Hurairah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৭০২। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মূসা (আঃ) বললেন, হে রব! যে আদম (আঃ) আমাদেরকে ও তাঁর নিজেকে জান্নাত থেকে বিতাড়িত করেছেন, তাঁকে আমি দেখতে চাই। অতঃপর মহান আল্লাহ তাঁকে আদম (আঃ)-কে দেখালেন। তিনি বললেন, আপনিই আমাদের পিতা আদম (আঃ)? আদম (আঃ) বললেন, হ্যাঁ।

অতঃপর তিনি বললেন, আপনি সেই মহান ব্যক্তি যাঁর মধ্যে মহান আল্লাহ তাঁর পক্ষ থেকে রূহ সঞ্চার করেছেন এবং আপনাকে সকল কিছুর নাম শিখিয়েছেন, আর ফিরিশতাদেরকে হুকুম দিলে তারা আপনাকে সিজদা করেছেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি পুনরায় বললেন, আমাদেরকে ও আপনার নিজেকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করার জন্য আপনাকে কোন বস্তু উদ্ধুদ্ধ করেছিল?

এবার তাঁকে আদম (আঃ) বললেন, তুমি কে? তিনি বললেন, আমি মূসা (আঃ)। তিনি বললেন, তুমি বনী ইসরাঈলের এমন একজন নবী যাঁর সাথে আল্লাহ পর্দার অন্তরাল থেকে সরাসরি কথা বলেছেন এবং তোমার ও তাঁর মাঝে সৃষ্টি জগতের কাউকে বার্তাবহক হিসেবে গ্রহণ করেননি। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তুমি কি আল্লাহর কিতাবে দেখতে পাওনি যে, সেটি নির্ধারিত ছিলো আমাকে সৃষ্টি করার পূর্বেই? তিনি বললেন, হ্যাঁ।

তিনি বললেন, যে বিষয়ে মহান আল্লাহর সিদ্ধান্ত আমার পূর্ব থেকেই লিপিবদ্ধ সে ব্যাপারে আমাকে কেন অভিযুক্ত করছো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সুতরাং এ বিতর্কে আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর উপর জয়ী হলেন।[1]

হাসান।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ مُوسَى قَالَ: يَا رَبِّ، أَرِنَا آدَمَ الَّذِي أَخْرَجَنَا وَنَفْسَهُ مِنَ الْجَنَّةِ، فَأَرَاهُ اللَّهُ آدَمَ، فَقَالَ: أَنْتَ أَبُونَا آدَمُ؟ فَقَالَ لَهُ آدَمُ: نَعَمْ، قَالَ: أَنْتَ الَّذِي نَفَخَ اللَّهُ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ، وَعَلَّمَكَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا وَأَمَرَ الْمَلَائِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: فَمَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ أَخْرَجْتَنَا وَنَفْسَكَ مِنَ الْجَنَّةِ؟ فَقَالَ لَهُ آدَمُ: وَمَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا مُوسَى، قَالَ: أَنْتَ نَبِيُّ بَنِي إِسْرَائِيلَ الَّذِي كَلَّمَكَ اللَّهُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ لَمْ يَجْعَلْ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ رَسُولًا مِنْ خَلْقِهِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: أَفَمَا وَجَدْتَ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي كِتَابِ اللَّهِ قَبْلَ أَنْ أُخْلَقَ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: فِيمَ تَلُومُنِي فِي شَيْءٍ سَبَقَ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى فِيهِ الْقَضَاءُ قَبْلِي؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذَلِكَ فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى

حسن

حدثنا احمد بن صالح، قال: حدثنا ابن وهب، قال: اخبرني هشام بن سعد، عن زيد بن اسلم، عن ابيه، ان عمر بن الخطاب، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان موسى قال: يا رب، ارنا ادم الذي اخرجنا ونفسه من الجنة، فاراه الله ادم، فقال: انت ابونا ادم؟ فقال له ادم: نعم، قال: انت الذي نفخ الله فيك من روحه، وعلمك الاسماء كلها وامر الملاىكة فسجدوا لك؟ قال: نعم، قال: فما حملك على ان اخرجتنا ونفسك من الجنة؟ فقال له ادم: ومن انت؟ قال: انا موسى، قال: انت نبي بني اسراىيل الذي كلمك الله من وراء الحجاب لم يجعل بينك وبينه رسولا من خلقه؟ قال: نعم، قال: افما وجدت ان ذلك كان في كتاب الله قبل ان اخلق؟ قال: نعم، قال: فيم تلومني في شيء سبق من الله تعالى فيه القضاء قبلي؟ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم عند ذلك فحج ادم موسى، فحج ادم موسى حسن


‘Umar b. al-Khattab reported the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying :
Moses said : My lord, show us Adam who caused us and himself to come out from Paradise. So Allah showed him Adam. He asked : Are you our father, Adam? Adam said to him : Yes. He said : Are you the one into whom Allah breathed of his spirit, taught you all the names, and commanded angels (to prostrate) and they prostrated to you? He replied : Yes. He asked : Then what moved you to cause us and yourself to come out from paradise? Adam asked him : And who are you? He said : Yes. He asked : Did you not find that was decreed in the book (records) of Allah before I was created? He replied : Yes. He asked : Then why do you blame me about a thing for which Divine decree had already passed before me ? The Messenger of Allah (May peace be upon him) said : So Adam got the better of Moses in argument (peace be upon him).


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৭০৩। মুসলিম ইবনু ইয়াসার আল-জুহানী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে এ আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলোঃ ’’যখন তোমার রব আদম সন্তানের পিঠ থেকে তাদের সমস্ত সন্তানদেরকে বের করলেন...’’ (সূরা আল-আ’রাফঃ ১৭২)। বর্ণনাকারী বলেন, আল-কা’নবী এ আয়াত পড়েছিলেন। উমার (রাঃ) বলেন, আমি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর স্বীয় ডান হাতে তাঁর পিঠ বুলিয়ে তা থেকে তাঁর একদল সন্তান বের করে বললেন, আমি এদেরকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং এরা জান্নাতবাসীর উপযোগী কাজই করবে।

অতঃপর আবার তাঁর পিঠে হাত বুলিয়ে একদল সন্তান বেরিয়ে এনে বললেন, এদেরকে আমি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং জাহান্নামীদের উপযোগী কাজই করবে। একথা শুনে এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে আমলের কি মূল্য রইলো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মহান আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন তখন তার দ্বারা জান্নাতবাসীদের কাজই করিয়ে নেন। শেষে সে জান্নাতীদের কাজ করেই মারা যায়। আর আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যখন তিনি কোনো বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তার দ্বারা জাহান্নামীদের কাজ করিয়ে নেন। অবশেষে সে জাহান্নামীদের কাজ করে মারা যায়। অতঃপর এজন্য তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করান।[1]

সহীহ, পিঠ বুলানো কথাটি বাদে।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أُنَيْسَةَ، أَنَّ عَبْدَ الْحَمِيدِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، أَخْبَرَهُ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، سُئِلَ عَنْ هَذِهِ الْآيَةِ، (وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ) [الأعراف: ١٧٢] قَالَ: قَرَأَ الْقَعْنَبِيُّ الْآيَةَ فَقَالَ عُمَرُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ خَلَقَ آدَمَ، ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ بِيَمِينِهِ، فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً، فَقَالَ: خَلَقْتُ هَؤُلَاءِ لِلْجَنَّةِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَعْمَلُونَ، ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً، فَقَالَ: خَلَقْتُ هَؤُلَاءِ لِلنَّارِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ يَعْمَلُونَ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَفِيمَ الْعَمَلُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلْجَنَّةِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيُدْخِلَهُ بِهِ الْجَنَّةَ، وَإِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلنَّارِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ النَّارِ فَيُدْخِلَهُ بِهِ النَّارَ

صحيح، إلا مسح الظهر

حدثنا عبد الله القعنبي، عن مالك، عن زيد بن انيسة، ان عبد الحميد بن عبد الرحمن بن زيد بن الخطاب، اخبره عن مسلم بن يسار الجهني، ان عمر بن الخطاب، سىل عن هذه الاية، (واذ اخذ ربك من بني ادم من ظهورهم) [الاعراف: ١٧٢] قال: قرا القعنبي الاية فقال عمر: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم سىل عنها، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان الله عز وجل خلق ادم، ثم مسح ظهره بيمينه، فاستخرج منه ذرية، فقال: خلقت هولاء للجنة وبعمل اهل الجنة يعملون، ثم مسح ظهره فاستخرج منه ذرية، فقال: خلقت هولاء للنار وبعمل اهل النار يعملون، فقال رجل: يا رسول الله، ففيم العمل؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان الله عز وجل اذا خلق العبد للجنة استعمله بعمل اهل الجنة حتى يموت على عمل من اعمال اهل الجنة فيدخله به الجنة، واذا خلق العبد للنار استعمله بعمل اهل النار حتى يموت على عمل من اعمال اهل النار فيدخله به النار صحيح، الا مسح الظهر


Narrated Umar ibn al-Khattab:

Muslim ibn Yasar al-Juhani said: When Umar ibn al-Khattab was asked about the verse "When your Lord took their offspring from the backs of the children of Adam" - al-Qa'nabi recited the verse--he said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say when he was questioned about it: Allah created Adam, then passed His right hand over his back, and brought forth from it his offspring, saying: I have these for Paradise and these will do the deeds of those who go to Paradise. He then passed His hand over his back and brought forth from it his offspring, saying: I have created these for Hell, and they will do the deeds of those who go to Hell.

A man asked: What is the good of doing anything, Messenger of Allah? The Messenger of Allah (ﷺ) said: When Allah creates a servant for Paradise, He employs him in doing the deeds of those who will go to Paradise, so that his final action before death is one of the deeds of those who go to Paradise, for which He will bring him into Paradise. But when He creates a servant for Hell, He employs him in doing the deeds of those who will go to Hell, so that his final action before death is one of the deeds of those who go to Hell, for which He will bring him into Hell.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৭০৪। নু’আইম ইবনু রবী’আহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। অতঃপর অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তবে ইমাম মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীস অধিক পূর্ণাঙ্গ।[1]

আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ جُعْثُمٍ الْقُرَشِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَحَدِيثُ مَالِكٍ أَتَمُّ

لم أجده في الصحيح و لا في الضعيف

حدثنا محمد بن المصفى، حدثنا بقية، قال: حدثني عمر بن جعثم القرشي، قال: حدثني زيد بن ابي انيسة، عن عبد الحميد بن عبد الرحمن، عن مسلم بن يسار، عن نعيم بن ربيعة، قال: كنت عند عمر بن الخطاب بهذا الحديث وحديث مالك اتم لم اجده في الصحيح و لا في الضعيف


Nu’aim b. Rabl’ah said :
I was with ‘Umar b. al-Khattab when he transmitted this tradition. The tradition of Malik is more perfect.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৭০৫। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ছেলেটিকে খাদির (খিযির) হত্যা করেছিলেন, তাকে কাফির হিসেবেই সীলমোহর করা হয়েছিল। সে বেঁচে থাকলে তার পিতা-মাতাকে সীমালঙ্ঘন ও কুফরীর দ্বারা বিব্রত করতো।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَقَبَةَ بْنِ مَصْقَلَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْغُلَامُ الَّذِي قَتَلَهُ الْخَضِرُ طُبِعَ كَافِرًا، وَلَوْ عَاشَ لَأَرْهَقَ أَبَوَيْهِ طُغْيَانًا وَكُفْرًا

صحيح

حدثنا القعنبي، حدثنا المعتمر، عن ابيه، عن رقبة بن مصقلة، عن ابي اسحاق، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، عن ابي بن كعب، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: الغلام الذي قتله الخضر طبع كافرا، ولو عاش لارهق ابويه طغيانا وكفرا صحيح


Ubayy b. Ka’b said :
The boy whom al-Khidr had killed was created an infidel. Had he lived, he would have moved his parents to rebellion and unbelief.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৭০৬। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আল্লাহর এ বাণী সম্পর্কে বলতে শুনেছিঃ ’’আর কিশোরটি, যার মাতা-পিতা ছিলো মু’মিন’’ (সূরা কাহফঃ ৮০), যেদিন মোহর মারা হয়েছিল সেদিন তাকে কাফির হিসেবেই সীলমোহর মারা হয়েছিল।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَقُولُ فِي قَوْلِهِ (وَأَمَّا الْغُلَامُ فَكَانَ أَبَوَاهُ مُؤْمِنَيْنِ) [الكهف: ٨٠] وَكَانَ طُبِعَ يَوْمَ طُبِعَ كَافِرًا

صحيح

حدثنا محمود بن خالد، حدثنا الفريابي، عن اسراىيل، حدثنا ابو اسحاق، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، قال: حدثنا ابي بن كعب، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم: يقول في قوله (واما الغلام فكان ابواه مومنين) [الكهف: ٨٠] وكان طبع يوم طبع كافرا صحيح


Ubayy b. Ka’b said :
I heard the Messenger of Allah (May peace be upon him) explaining the verse “As for the youth his parents were people of Faith,” he was created infidel the day when he was created.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৭০৭। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ খাদির (খিযির) একটি কিশোরকে বালকদের সঙ্গে খেলাধূলারত দেখতে পেলেন। অতঃপর তিনি তার মাথা ধরে কাবু করে তাকে হত্যা করলেন। তখন মূসা (আঃ) বললেনঃ ’আপনি এক নিষ্পাপ জীবন হত্যা করলেন...’’ (সূরা কাহলঃ ৭৪)।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ حَدَّثَنِي أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَبْصَرَ الْخَضِرُ غُلَامًا يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ، فَتَنَاوَلَ رَأْسَهُ فَقَلَعَهُ، فَقَالَ مُوسَى: (أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً) [الكهف: ٧٤] الْآيَةَ

صحيح

حدثنا محمد بن مهران الرازي، حدثنا سفيان بن عيينة، عن عمرو، عن سعيد بن جبير، قال: قال ابن عباس حدثني ابي بن كعب، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ابصر الخضر غلاما يلعب مع الصبيان، فتناول راسه فقلعه، فقال موسى: (اقتلت نفسا زكية) [الكهف: ٧٤] الاية صحيح


Ibn ‘Abbas said :
Ubayy b. Ka’b told me that the Messenger of Allah (May peace be upon him) said : Al-khidr saw a youth playing with boys. He took him by his head and uprooted it. Moses then said : Hast thou slain an innocent person who had slain none.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৭০৮। আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট বর্ণনা করেনঃ তিনি তো ছিলেন সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে স্বীকৃত। তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টি চল্লিশ দিন তার মায়ের গর্ভে শুক্ররূপে থাকে, অতঃপর চল্লিশ দিন রক্তপিন্ডরূপে বিরাজ করে; তারপর চল্লিশ দিনে মাংসপিন্ডরূপ ধারণ করে। অতঃপর মহান আল্লাহ তার নিকট একজন ফিরিশতা প্রেরণ করেন এবং তাকে চারটি বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়। তখন সে তার রিযিক, মৃত্যু, আমল এবং সে নেককার নাকি বদকার তাও লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর তার মধ্যে রূপ প্রবেশ করানো হয়।

বস্তুতঃ তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ জান্নাতের উপযোগী কাজ করতে থাকে। এমন কি তার ও জান্নাতের মধ্যে মাত্র এক হাত বা এক হাত পরিমাণ দূরত্ব থাকে, এমন সময় তার সামনে তার তাকদীরের লেখা অগ্রবর্তী হয়, তখন সে জাহান্নামীদের কাজ করে, ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। আবার তোমাদের কেউ জাহান্নামীদের কাজ করতে থাকে, এমন কি তার ও জাহান্নামের মধ্যে মাত্র এক হাত বা এক হাত পরিমাণ দূরত্ব থাকে। এমন সময় তার সামনে সে লেখা অগ্রবর্তী হয় এবং সে জান্নাতীদের আমল করে, ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ الْمَعْنَى وَاحِدٌ وَالْإِخْبَارُ، فِي حَدِيثِ سُفْيَانَ عَنِ الْأَعْمَشِ، قَالَ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ إِنَّ خَلْقَ أَحَدِكُمْ يُجْمَعُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ يُبْعَثُ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ: فَيُكْتَبُ رِزْقُهُ، وَأَجَلُهُ، وَعَمَلُهُ، ثُمَّ يُكْتَبُ شَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ، ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ الرُّوحُ، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلَّا ذِرَاعٌ، أَوْ قِيدُ ذِرَاعٍ، فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُهَا، وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلَّا ذِرَاعٌ، أَوْ قِيدُ ذِرَاعٍ، فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا

صحيح

حدثنا حفص بن عمر النمري، حدثنا شعبة، ح وحدثنا محمد بن كثير، اخبرنا سفيان المعنى واحد والاخبار، في حديث سفيان عن الاعمش، قال: حدثنا زيد بن وهب، حدثنا عبد الله بن مسعود، قال: حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو الصادق المصدوق ان خلق احدكم يجمع في بطن امه اربعين يوما، ثم يكون علقة مثل ذلك، ثم يكون مضغة مثل ذلك، ثم يبعث اليه ملك فيومر باربع كلمات: فيكتب رزقه، واجله، وعمله، ثم يكتب شقي او سعيد، ثم ينفخ فيه الروح، فان احدكم ليعمل بعمل اهل الجنة حتى ما يكون بينه وبينها الا ذراع، او قيد ذراع، فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعمل اهل النار فيدخلها، وان احدكم ليعمل بعمل اهل النار حتى ما يكون بينه وبينها الا ذراع، او قيد ذراع، فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعمل اهل الجنة فيدخلها صحيح


‘Abd Allah b. Mas’ud said :
The Messenger of Allah (May peace be upon him) who spoke the truth and whose word was belief told us the following : The constituents of one of you are collected for forty days in his mother’s womb, then they become a piece of congealed blood for a similar period, then they become a lump of flesh for a similar period. Then Allah sends to him an angel with four words who records his provision the period of his life, his deeds, and whether he will be miserable or blessed ; thereafter he breathes the spirit into him. One of you will do the deeds of those who go to Paradise so that there will be only a cubit between him and it or will be within a cubit, then what is decreed will overcome him so that he will do the deeds of those who go to Hell and will enter it; and one of you will do the deeds of those who go to hell, so that there will be only a cubit between him and it or will be within a cubit, then what is decreed will overcome him, so that he will do the deeds of those who go to Paradise and will enter it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৭০৯। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! কে জান্নাতবাসী আর কে জাহান্নামবাসী তা কি জানা গেছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। প্রশ্নকারী বললো, তাহলে কিসের জন্য আমলকারীরা আমল করবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ প্রত্যেকের জন্য তাই সহজতর যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُطَرِّفٌ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ: قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعُلِمَ أَهْلُ الْجَنَّةِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ؟ قَالَ: نَعَمْ قَالَ: فَفِيمَ يَعْمَلُ الْعَامِلُونَ؟ قَالَ: كُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ

صحيح

حدثنا مسدد، حدثنا حماد بن زيد، عن يزيد الرشك، قال: حدثنا مطرف، عن عمران بن حصين، قال: قيل لرسول الله صلى الله عليه وسلم: يا رسول الله، اعلم اهل الجنة من اهل النار؟ قال: نعم قال: ففيم يعمل العاملون؟ قال: كل ميسر لما خلق له صحيح


‘Imran b. Husain said :
The Messenger of Allah (May peace be upon him) was asked : Is it known who are those who will go to paradise and those who will go to hell? He said : Yes. He asked : Then what is the good of doing anything by those who act? He replied : Everyone is helped to do for which he has been created.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে

৪৭১০। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যারা তাকদীরে বিশ্বাস করে না তোমরা তাদের সঙ্গে ওঠা-বসা করো না এবং তোমাদেরকে সম্বোধন করার আগে তাদেরকে সম্বোধন করো না।[1]

দুর্বলঃ মিশকাত হা/ ১০৮।

بَابٌ فِي الْقَدَرِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِيُّ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ شَرِيكٍ الْهُذَلِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ مَيْمُونٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لَا تُجَالِسُوا أَهْلَ الْقَدَرِ وَلَا تُفَاتِحُوهُمْ

ضعيف، المشكاة (١٠٨)

حدثنا احمد بن حنبل، حدثنا عبد الله بن يزيد المقري ابو عبد الرحمن، قال: حدثني سعيد بن ابي ايوب، حدثني عطاء بن دينار، عن حكيم بن شريك الهذلي، عن يحيى بن ميمون الحضرمي، عن ربيعة الجرشي، عن ابي هريرة، عن عمر بن الخطاب، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: لا تجالسوا اهل القدر ولا تفاتحوهم ضعيف، المشكاة (١٠٨)


‘Umar reported the Prophet (May peace be upon him) was asked :
Do not sit which those who believe in free will and do not address them before they address you.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35. Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে