পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাসের দলীল
৪৬৭৯। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বার দিকে নিবিষ্ট হলে সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যারা বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে সালাত পড়া অবস্থায় মারা গেছে তাদের কি হবে? তখন মহান আল্লাহ অবতীর্ণ করলেন, ’’আল্লাহ তোমাদের ঈমান (সালাত) বিনষ্ট করবেন না।’’ (সূরা বাকারাঃ ১৪৩)।[1]
সহীহ।
بَابُ الدَّلِيلِ عَلَى زِيَادَةِ الْإِيمَانِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا تَوَجَّهَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْكَعْبَةِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ الَّذِينَ مَاتُوا وَهُمْ يُصَلُّونَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ( وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ ) .
صحيح
Ibn ‘Abbas said:
when the Prophet (May peace be upon him) turned towards the Ka’bah (in prayer), the people asked : Messenger of Allah (May peace be upon him)! what will happen with those who died while they prayed with their faces towards Jerusalem ? Allah the Exalted, then revealed : “And never would Allah make your faith of no effect.”
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাসের দলীল
৪৬৮০। আবূ উমামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তির ভালোবাসা ও শত্রুতা দান করা ও না করা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হয়ে থাকে সে ব্যক্তিই পূর্ণ ঈমানদার।[1]
সহীহ।
بَابُ الدَّلِيلِ عَلَى زِيَادَةِ الْإِيمَانِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ شَابُورٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ أَحَبَّ لِلَّهِ وَأَبْغَضَ لِلَّهِ وَأَعْطَى لِلَّهِ وَمَنَعَ لِلَّهِ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ الإِيمَانَ " .
صحيح
Narrated AbuUmamah:
The Prophet (ﷺ) said: If anyone loves for Allah's sake, hates for Allah's sake, gives for Allah's sake and withholds for Allah's sake, he will have perfect faith.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাসের দলীল
৪৬৮১। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বুদ্ধি ও দীনদারীতে অপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বুদ্ধিমান পুরুষকে হতভম্ব করে দেয়ার ক্ষেত্রে তোমাদের (মহিলাদের) কোনো একজনের চেয়ে অধিক পারদর্শী আর কাউকে আমি দেখিনি। এক মহিলা বললেন, বদ্ধি ও দীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণতা কি? তিনি বললেন, বুদ্ধির অপূর্ণতা হলো, দু’ জন মহিলার সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান। আর দীনের অপূর্ণতা হলো, তোমাদের কেউ কেউ রমযানের সওম ভঙ্গ করে থাকে আর একাধারে কিছুদিন সালাত পড়া থেকে বিরত থাকে।[1]
সহীহ।
بَابُ الدَّلِيلِ عَلَى زِيَادَةِ الْإِيمَانِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ مُضَرَ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَلاَ دِينٍ أَغْلَبَ لِذِي لُبٍّ مِنْكُنَّ " . قَالَتْ وَمَا نُقْصَانُ الْعَقْلِ وَالدِّينِ قَالَ " أَمَّا نُقْصَانُ الْعَقْلِ فَشَهَادَةُ امْرَأَتَيْنِ شَهَادَةُ رَجُلٍ وَأَمَّا نُقْصَانُ الدِّينِ فَإِنَّ إِحْدَاكُنَّ تُفْطِرُ رَمَضَانَ وَتُقِيمُ أَيَّامًا لاَ تُصَلِّي " .
صحيح
'Abd Allah b. 'Umar reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
I did not see more defective in respect of reason and religion than the wise of you (women). A woman asked: What is the defect of reason and religion ? He replied: The defect of reason is the testimony of two women for one man, and the defect of faith is that one of you does not fast during Ramadan (when one is menstruating), and keep away from prayer for some days.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাসের দলীল
৪৬৮২। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঐ মু’মিন ঈমানে পরিপূর্ণ যার চরিত্র সর্বোকৃষ্ট।[1]
হাসান সহীহ।
بَابُ الدَّلِيلِ عَلَى زِيَادَةِ الْإِيمَانِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا
حسن صحيح
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: The most perfect believer in respect of faith is he who is best of them in manners.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাসের দলীল
৪৬৮৩। আমির ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু মালামাল বণ্টন করছিলেন। আমি তাঁর নিকট অনুরোধ করলাম যে, অমুক ব্যক্তিকে দিন, কেননা সে মু’মিন। তিনি বললেন, অথবা মুসলিম। আমি ঐ ব্যক্তিকে কোনো অনুদান দেয়ার চেয়ে সেই সব লোকদেরকে দেয়া পছন্দ করি যাদেরকে না দিলে (মুরতাদ হয়ে যাবে) পরিণামে তাকে মুখের উপর হেঁচড়িয়ে টেনে নেয়া হবে (জাহান্নামে যাবে)।[1]
সহীহ।
بَابُ الدَّلِيلِ عَلَى زِيَادَةِ الْإِيمَانِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، ح وحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الْمَعْنَى، قَالَا: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسَمَ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ قَسْمًا، فَقُلْتُ: أَعْطِ فُلَانًا فَإِنَّهُ مُؤْمِنٌ، قَالَ: أَوْ مُسْلِمٌ، إِنِّي لَأُعْطِي الرَّجُلَ الْعَطَاءَ وَغَيْرُهُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْهُ مَخَافَةَ أَنْ يُكَبَّ عَلَى وَجْهِهِ
صحيح
Sa’d said :
The Prophet (May peace be upon him) distributed (spoils) among the people I said to him : Give so and so for he is a believer. He said : Or he is a Muslim. I give a man something while another man is dearer to me than him, fearing that he may fall into Hell on his face.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাসের দলীল
৪৬৮৪। আমির ইবনু সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু সংখ্যক লোককে দিলেন এবং কিছু সংখ্যক লোককে কিছুই দিলেন না। সা’দ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি অমুক অমুককে দিলেন অথচ অমুক অমুককে মু’মীন হওয়া সত্ত্বেও দিলেন না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অথবা মুসলিম। এভাবে সা’দ (রাঃ) তিনবার বললেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও বলতে থাকলেনঃ অথবা মুসলিম। অতঃপর তিনি বললেনঃ আমি এমন সব লোককে দিয়ে থাকি এবং তাদের চেয়ে আমার নিকট অধিক প্রিয় লোকদেরকে বঞ্চিত করে থাকি এ ভয়ে যে, যদি না দেয়া হয় তাহলে তাদেরকে (দীন ত্যাগের কারণে) অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।[1]
সহীহ।
بَابُ الدَّلِيلِ عَلَى زِيَادَةِ الْإِيمَانِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، قَالَ وَأَخْبَرَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رِجَالاً وَلَمْ يُعْطِ رَجُلاً مِنْهُمْ شَيْئًا فَقَالَ سَعْدٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْطَيْتَ فُلاَنًا وَفُلاَنًا وَلَمْ تُعْطِ فُلاَنًا شَيْئًا وَهُوَ مُؤْمِنٌ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَوْ مُسْلِمٌ " . حَتَّى أَعَادَهَا سَعْدٌ ثَلاَثًا وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَوْ مُسْلِمٌ " . ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي أُعْطِي رِجَالاً وَأَدَعُ مَنْ هُوَ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْهُمْ لاَ أُعْطِيهِ شَيْئًا مَخَافَةَ أَنْ يُكَبُّوا فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ " .
Sa’d b. Abi Waqqas said :
The Prophet (May peace be upon him) gave some people and did not give anything to a man of them. Sa’d said : Messenger of Allah! You gave so and so, so and so, but did not give anything to so and so while he is a believer. The Prophet (May peace be upon him) said : Or he is a Muslim. Sa’d repeated it thrice and the Prophet (May peace be upon him) then said : I give some people and leave him who is dearer to me than them. I do not give him anything fearing lest he should fall into Hell on his face.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাসের দলীল
৪৬৮৫। মা’মার (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যুহরী (রহঃ) বলেছেন, আল্লাহর বাণীঃ ’’(হে নবী!) আপনি বলুন, তোমরা ঈমান আনোনি, বরং তোমরা বলো, আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি’’ (সূরা হুজুরাতঃ ১৪)। এর তাৎপর্য আমরা বুঝেছি ইসলাম হলো কালেমা শাহাদাত আর ঈমান হলো আমল করা।[1]
সনদ সহীহ মাকতু।
بَابُ الدَّلِيلِ عَلَى زِيَادَةِ الْإِيمَانِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، قَالَ: وَقَالَ [ص:٢٢١] الزُّهْرِيُّ: (قُلْ لَمْ تُؤْمِنُوا وَلَكِنْ قُولُوا أَسْلَمْنَا) [الحجرات: ١٤] قَالَ: نَرَى أَنَّ الْإِسْلَامَ الْكَلِمَةُ وَالْإِيمَانَ الْعَمَلُ
صحيح الإسناد مقطوع
Explaining the verse, “say ; You have no faith, but you only say :
We have submitted our wills to Allah”, Al-Zuhri said : We think that ISLAM is a word, and faith is an action.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাসের দলীল
৪৬৮৬। ওয়াকিদ ইবনু আব্দুল্লাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি ইবনু উমার (রাঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করতে শুনেছেন, তিনি বলেছেন, আমার পরে তোমরা মারামারিতে লিপ্ত হয়ে পুনরায় কাফির হয়ে যেও না।[1]
সহীহ।
بَابُ الدَّلِيلِ عَلَى زِيَادَةِ الْإِيمَانِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: وَاقِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: لَا تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ
صحيح
Ibn ‘Umar reported the Prophet (May peace be upon him) as saying : Do not turn unbelievers after me ; one of you may strike the neck of the other.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাসের দলীল
৪৬৮৭। ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মুসলিম ব্যক্তি অন্য মুসলিমকে কাফির বলে, সে যদি কাফির না হয় তাহলে সে-ই কাফির।[1]
সহীহ।
بَابُ الدَّلِيلِ عَلَى زِيَادَةِ الْإِيمَانِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّمَا رَجُلٍ مُسْلِمٍ أَكْفَرَ رَجُلًا مُسْلِمًا: فَإِنْ كَانَ كَافِرًا، وَإِلَّا كَانَ هُوَ الْكَافِرُ
صحيح
Ibn ‘Umar reported the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying :
If any believing man calls another believing man an unbeliever, if he is actually an infidel, it is all right ; if not, he will become an infidel.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাসের দলীল
৪৬৮৮। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চারটি স্বভাব যার মধ্যে পাওয়া যাবে সে খাঁটি মুনাফিক। আর যার মধ্যে এ চারটি স্বভাবের কোনোটি পাওয়া যায়, বর্জন করা পর্যন্ত তার ভেতরে মুনাফিকের একটি স্বভাব রয়েছে। তা হলো, যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে, প্রতিজ্ঞা করলে প্রতারণা করে এবং ঝগড়ার সময় অশ্লীল কথা বলে।[1]
সহীহ।
بَابُ الدَّلِيلِ عَلَى زِيَادَةِ الْإِيمَانِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ فَهُوَ مُنَافِقٌ خَالِصٌ وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَلَّةٌ مِنْهُنَّ كَانَ فِيهِ خَلَّةٌ مِنْ نِفَاقٍ حَتَّى يَدَعَهَا إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ
صحيح
‘Abd Allah b. ‘Amr reported the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying:
Four characteristics constitute anyone who possesses them a sheer hypocrite, and anyone who possesses one of them possesses a characteristics of hypocrisy till he abandons it : when he talks he lies, when he makes a promise he violates it, when he makes a covenant he acts treacherously, and when he quarrels, he deviates from the Truth.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাসের দলীল
৪৬৮৯। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ব্যভিচারী ব্যভিচারে লিপ্ত অবস্থায় ঈমানদার থাকে না। চোর চুরি করা কালে ঈমানদার থাকে না। মদ্যপায়ী তা পানরত অবস্থায় ঈমানদার থাকতে পারে না। এরপরও তওবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।[1]
সহীহ।
بَابُ الدَّلِيلِ عَلَى زِيَادَةِ الْإِيمَانِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ الْأَنْطَاكِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَسْرِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَالتَّوْبَةُ مَعْرُوضَةٌ بَعْدُ
صحيح
Abu Hurairah reported the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying :
When one commits fornication, one is not a believer ; when one steals, one is not a believer ; when one drinks, one is not a believer ; and repentance is placed before him.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাসের দলীল
৪৬৯০। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কেউ ব্যভিচার করতে থাকে তখন তার থেকে ঈমান বের হয়ে তার (মাথার) উপর ছায়ার ন্যায় অবস্থান করতে থাকে। অতঃপর যখন সে অবসর হয় তখন ঈমান তার নিকট ফিরে আসে।[1]
সহীহ।
بَابُ الدَّلِيلِ عَلَى زِيَادَةِ الْإِيمَانِ وَنُقْصَانِهِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُوَيْدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا زَنَى الرَّجُلُ خَرَجَ مِنْهُ الْإِيمَانُ كَانَ عَلَيْهِ كَالظُّلَّةِ، فَإِذَا انْقَطَعَ رَجَعَ إِلَيْهِ الْإِيمَانُ
صحيح
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: When a man commits fornication, faith departs from him and there is something like a canvas roof over his head; and when he quits that action, faith returns to him.