পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৭৯৫। আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হজ (হজ্জ) ও ’উমরা উভয়টির জন্যে একত্রে তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ আমি ’উমরা ও হজের (হজ্জের) জন্য আপনার দরবারে উপস্থিত। আমি ’উমরা ও হজের (হজ্জের) জন্য আপনার দরবারে উপস্থিত।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، وَحُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُم سَمِعُوهُ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا، يَقُولُ: لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا، لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا
صحيح
Anas bin Malik said I heard the Apostle of Allaah(ﷺ) uttering talbiyah(labbaik) aloud for both Hajj and ‘Umrah. He was saying in a loud voice “Labbaik for ‘Umrah and Hajj, labbaik for ‘Umrah and Hajj”.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৭৯৬। আনাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল-হুলাইফাতে রাত যাপন করেন। অতঃপর সকালে সওয়ারীতে আরোহণ করে বায়দা নামক স্থানে পৌঁছে আল্লাহর প্রশংসা ও তাযবীহ পাঠ করলেন এবং তাকবীর দিলেন। তারপর তিনি হজ (হজ্জ) ও ’উমরার তালবিয়া পাঠ করলেন লোকেরা হজ (হজ্জ) ও ’উমরার জন্য তালবিয়া পড়ে। পরে আমরা মক্কায় পৌঁছলে তাঁর নির্দেশ মোতাবেক লোকেরা তাদের ইহরাম খুলে ফেলে। অতঃপর (অষ্টম তারিখ) তালবিয়ার দিনে সবাই হজের (হজ্জের) জন্য তালবিয়া পড়লো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন সাতটি উট দাঁড়ানো অবস্থায় নিজ হাতে কুরবানী করেছেন।
আবূ দাঊদ বলেন, হাদীসটি আনাস (রাযি.) বর্ণনা করেছেন, আর ভাষা হলোঃ ’’তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর প্রশংসা, গুনগান ও তাকবীর পাঠের পর হজের (হজ্জের) ইহরাম বেঁধেছেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَاتَ بِهَا يَعْنِي بِذِي الُحُلَيْفَةِ حَتَّى أَصْبَحَ، ثُمَّ رَكِبَ حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ حَمِدَ اللَّهُ وَسَبَّحَ وَكَبَّرَ، ثُمَّ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَأَهَلَّ النَّاسُ بِهِمَا، فَلَمَّا قَدِمْنَا أَمَرَ النَّاسَ فَحَلُّوا حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ أَهَلُّوا بِالْحَجِّ، وَنَحَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعَ بَدَنَاتٍ بِيَدِهِ قِيَامًا ". قَالَ أَبُو دَاوُدَ: الَّذِي تَفَرَّدَ بِهِ يَعْنِي أَنَسًا مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ بَدَأَ بِالْحَمْدِ وَالتَّسْبِيحِ وَالتَّكْبِيرِ ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ
صحيح
Anas said The Prophet(ﷺ) passed the night at Dhu al Hulaifah till the morning came. He then rode (on his she Camel) which stood up with him on her back. When he reached al Baida, he praied Allaah, glorified Him and expressed His greatness. He then raised his voice in talbiyah for Hajj and ‘Umrah. The people too raised their voices in talbiyah for both of them. When we came (to Makkah), he ordered the people to take off their ihram and they did so. When the eight of Dhu Al Hijjah came, they again raised their voices in talbiyah for Hajj (i.e., wore ihram for Hajj). The Apostle of Allaah(ﷺ) sacrificed seven Camels standing with his own hand.
Abu Dawud said The version narrated by Anas alone has the words. He began with the praise, glorification and exaltation of Allaah, then he raised his voice in talbiyah for Hajj.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৭৯৭। আল বারা’আহ ইবনু ’আযিব (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ’আলী (রাযি.)-কে ইয়ামেন দেশে শাসক করে প্রেরণ করেন তখন আমিও তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি বলেন, আমি তাঁর সাথে কয়েক ’আওকিয়া সোনার’ অধিকারী হয়েছিলাম। তিনি বলেন, যখন ’আলী (রাযি.) ইয়ামেন থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন তখন ’আলী বলেন, আমি ফাতিমা (রাযি.)-কে দেখি রঙিন কাপড় পরে আছে এবং ঘরকে সুগন্ধময় করে রেখেছে। সে আমাকে বললো, আপনার কি হয়েছে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথীদেরকে ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন, সে জন্য সবাই ইহরাম খুলে ফেলেছেন।
’আলী (রাযি.) বলেন, আমি তাকে বললাম, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইহরামের মতই ইহরাম বেঁধেছি, এ বলে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলে তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কি জন্য ইহরাম বেঁধেছো? আমি বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধেছেন আমিও ঐ উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধেছি। তখন তিনি বললেনঃ ’আমি কুরবানীর পশু সাথে এনেছি এবং ’কিরান’ হজের (হজ্জের) নিয়্যাত করেছি। অতঃপর তিনি বললেনঃ আমার জন্য সাতষট্টিটি উট কুরবানী করবে এবং তোমার নিজের জন্য তেত্রিশটি বা চৌত্রিশটি রেখে দিবে আর প্রত্যেকটি উট থেকে আমার জন্য এক টুকরা করে মাংস রেখে দিবে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُعِينٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ عَلِيٍّ حِينَ أَمَّرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْيَمَنِ قَالَ: فَأَصَبْتُ مَعَهُ أَوَاقِيَ فَلَمَّا قَدِمَ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَجَدْتُ فَاطِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَدْ لَبِسَتْ ثِيَابًا صَبِيغًا وَقَدْ نَضَحَتِ الْبَيْتَ بِنَضُوحٍ فَقَالَتْ: مَا لَكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَمَرَ أَصْحَابَهُ فَأَحَلُّوا قَالَ: قُلْتُ لَهَا: إِنِّي أَهْلَلْتُ بِإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِي: كَيْفَ صَنَعْتَ؟، فَقَالَ: قُلْتُ: أَهْلَلْتُ بِإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَإِنِّي قَدْ سُقْتُ الْهَدْيَ وَقَرَنْتُ قَالَ: فَقَالَ لِي: انْحَرْ مِنَ البُدْنِ سَبْعًا وَسِتِّينَ أَوْ سِتًّا وَسِتِّينَ، وَأَمْسِكْ لِنَفْسِكَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، أَوْ أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ، وَأَمْسِكْ لِي مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ مِنْهَا بَضْعَةً
صحيح
Narrated Al-Bara' ibn Azib:
I was with Ali (may Allah be pleased with him) when the Messenger of Allah (ﷺ) appointed him to be the governor of the Yemen. I collected some ounces of gold during my stay with him.
When Ali returned from the Yemen to the Messenger of Allah (ﷺ) he said: I found that Fatimah had put on coloured clothes and the smell of the perfume she had used was pervading the house. (He expressed his amazement at the use of coloured clothes and perfume.)
She said: What is wrong with you? The Messenger of Allah (ﷺ) has ordered his companions to put off their ihram and they did so.
Ali said: I said to her: I raised my voice in talbiyah for which the Prophet (ﷺ) raised his voice (i.e. I wore ihram for qiran). Then I came to the Prophet (ﷺ).
He asked (me): How did you do? I replied: I raised my voice in talbiyah, for which the Prophet (ﷺ) raised his voice. He said: I have brought the sacrificial animals with me and combined umrah and hajj. He said to me: Sacrifice sixty-seven or sixty-six camels (for me) and withhold for yourself thirty-three or thirty-four, and withhold a piece (of flesh) for me from every camel.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৭৯৮। আবূ ওয়াইল (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আস সুবাই ইবনু মা’বাদ (রহ.) বলেন, আমি হজ (হজ্জ) ও ’উমরার জন্য একত্রে ইহরাম বাঁধায় ’উমার (রাযি.) বললেন, তুমি তোমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতের অনুসরণ করেছো।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: قَالَ الصُّبَيُّ بْنُ مَعْبَدٍ: أَهْلَلْتُ بِهِمَا مَعًا، فَقَالَ عُمَرُ: هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
صحيح
Narrated Umar ibn al-Khattab:
As-Subayy ibn Ma'bad said: I raised my voice in talbiyah for both of them (i.e. umrah and hajj). Thereupon Umar said: You were guided to the practice (sunnah) of your Prophet (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৭৯৯। আবূ ওয়াইল (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আস-সুবাই ইবনু মা’বাদ (রহ.) বলেছেন, আমি খৃষ্টান বেদুঈন ছিলাম। ইসলাম কবূলের পর আমি আমার গোত্রের হুযাইম ইবনু সুরমুলা নামীক এক ব্যক্তির কাছে এসে তাকে বললাম, হে অমুক! আমি জিহাদে যোগদান করতে চাই। আমি দেখেছি, আমার উপর হজ (হজ্জ) ও ’উমরা ফরয হয়ে গেছে। কাজেই এ দু’টাকে আমি কিভাবে একত্র করবো? সে বললো, তুমি উভয়টি একত্রে আদায় করো এবং তোমার জন্য সহজলভ্য কুরবানী করো। সুতরাং আমি উভয়টির জন্য একত্রে ইহরাম বাঁধি। আমি যখন আল-উযাইব নামক স্থানে পৌঁছি তখন সালমান ইবনু রবি’আহ এবং যায়িদা ইবনু সূহার (রাযি.)-এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হলো। আর উভয়টির একত্রে ইহরাম বেঁধেছি। তাদের একজন আরেকজনকে বললেন, এ ব্যক্তি তার উটের চেয়ে অধিক জ্ঞানী নয়।
বর্ণনাকারী বলেন, এই মন্তব্য যেন আমার উপর পাহাড় পতিত হলো। শেষে আমি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযি.)-এর কাছে গিয়ে বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমি ছিলাম খৃষ্টান বেদুঈন। আমি ইসলাম কবূল করেছি। আমি জিহাদে অংশগ্রহণে আগ্রহী। আমি আমার উপর হজ (হজ্জ) ও ’উমরা ফরয দেখতে পাচ্ছি। কাজেই আমি আমার গোত্রের এক লোকের কাছে গেলে সে আমাকে বললো, তুমি একত্রে উভয়টির ইহরাম বাঁধো এবং তোমার জন্য সহজলভ্য কুরবানী করো। পরে আমি একত্রে উভয়টির ইহরাম বেঁধেছি। ’উমার (রাযি.) আমাকে বললেন, তুমি তোমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতের হিদায়াত পেয়েছো।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ بْنِ أَعْيَنَ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ الْمَعْنَى، قَالَا: حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: قَالَ الصُّبَيُّ بْنُ مَعْبَدٍ: كُنْتُ رَجُلًا أَعْرَابِيًّا نَصْرَانِيًّا فَأَسْلَمْتُ، فَأَتَيْتُ رَجُلًا مِنْ عَشِيرَتِي يُقَالُ لَهُ هُذَيْمُ بْنُ ثُرْمُلَةَ، فَقُلْتُ لَهُ: يَا هَنَاهْ إِنِّي حَرِيصٌ عَلَى الْجِهَادِ وَإِنِّي وَجَدْتُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ مَكْتُوبَيْنِ عَلَيَّ فَكَيْفَ لِي بِأَنْ أَجْمَعَهُمَا؟، قَالَ: اجْمَعْهُمَا وَاذْبَحْ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الهَدْيِ فَأَهْلَلْتُ بِهِمَا مَعًا، فَلَمَّا أَتَيْتُ الْعُذَيْبَ لَقِيَنِي سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَزَيْدُ بْنُ صُوحَانَ وَأَنَا أُهِلُّ بِهِمَا جَمِيعًا، فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِلْآخَرِ: مَا هَذَا بِأَفْقَهَ مِنْ بَعِيرِهِ، قَالَ: فَكَأَنَّمَا أُلْقِيَ عَلَيَّ جَبَلٌ حَتَّى أَتَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي كُنْتُ رَجُلًا أَعْرَابِيًّا نَصْرَانِيًّا وَإِنِّي أَسْلَمْتُ، وَأَنَا حَرِيصٌ عَلَى الْجِهَادِ وَإِنِّي وَجَدْتُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ مَكْتُوبَيْنِ عَلَيَّ فَأَتَيْتُ رَجُلًا مِنْ قَوْمِي فَقَالَ لِي: اجْمَعْهُمَا وَاذْبَحْ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الهَدْيِ، وَإِنِّي أَهْلَلْتَ بِهِمَا مَعًا، فَقَالَ لِي: عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
صحيح
Narrated As-Subayy ibn Ma'bad:
I was a Christian Bedouin; then I embraced Islam. I came to a man of my tribe, who was called Hudhaym ibn Thurmulah. I said to him. O brother, I am eager to wage war in the cause of Allah (i.e. jihad), and I find that both hajj and umrah are due from me. How can I combine them?
He said: Combine them and sacrifice the animal made easily available for you. I, therefore, raised my voice in talbiyah for both of them (i.e. umrah and hajj). When I reached al-Udhayb, Salman ibn Rabi'ah and Zayd ibn Suhan met me while I was raising my voice in talbiyah for both of them.
One of them said to the other: This (man) does not have any more understanding than his camel. Thereupon it was as if a mountain fell on me.
I came to Umar ibn al-Khattab (may Allah be pleased with him) and said to him: Commander of the Faithful, I was a Christian Bedouin, and I have embraced Islam. I am eager to wage war in the cause of Allah (jihad), and I found that both hajj and umrah were due from me. I came to a man of my tribe who said to me: Combine both of them and sacrifice the animal easily available for you. I have raised my voice in talbiyah for both of them.
Umar thereupon said to me: You have been guided to the practice (sunnah) of your Prophet) (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৮০০। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উমার (রাযি.) আমাকে বর্ণনা করেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, রাতে আমার মহাপরাক্রমশালী প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এক আগমনকারী এসে আমাকে বললেন, এ কল্যাণময় উপত্যকায় সালাত আদায় করুন এবং বলেছেন, ’উমরাকে হজের (হজ্জের) অন্তর্ভুক্ত করা হলো।
সহীহঃ বুখারী। ’উমরা হজের (হজ্জের) অন্তর্ভুক্ত হওয়াটা অগ্রগণ্য।
বর্ণনাকারী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন আল-’আক্বীক উপত্যকায় অবস্থানরত ছিলেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম আওযায়ী থেকে বর্ণনা করেছেন ’এবং বলুন, ’উমরা হজের (হজ্জের) সাথে সংযুক্ত হলো। ইমাম আবূ দাঊদ বলেন, অনুরূপভাবে এ হাদীসের ’আলী ইবনুল মুবারক বর্ণনা করেন, ’বলুন, হজের (হজ্জের) মধ্যে ’উমরা অন্তর্ভুক্ত হলো।[1]
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مِسْكِينٌ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ: حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " أَتَانِي اللَّيْلَةَ آتٍ مِنْ عِنْدِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ، قَالَ: وَهُوَ بِالْعَقِيقِ وَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ، وَقَالَ: عُمْرَةٌ فِي حَجَّةٍ "
صحيح بلفظ وقل عمرة في حجة وهو الأولى
قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَاهُ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ وَقُلْ عُمْرَةٌ، فِي حَجَّةٍ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَكَذَا رَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَقَالَ: وَقُلْ عُمْرَةٌ فِي حَجَّةٍ
Umar bin Al Khattab heard the Apostle of Allaah(ﷺ) say Someone came to me at night from Allaah the Exalted. The narrator said When he was staying at ‘Aqiq said Pray in his blessed valley. Then he said ‘Umrah has been included in Hajj.
Abu Dawud said Al Walid bin Musilm and ‘Umar bin Abd Al Wahid narrated in this version from Al Auza’I the words “And say An ‘Umrah included in Hajj”.
Abu Dawud said Ali bin Al Mubarak has also narrated similarly from Yahya bin said Abi Kathir in this version “And say An ‘Umrah included in Hajj”.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৮০১। আর-রাবী’ ইবনু সাবরাহ (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে রওয়ানা হলাম। যখন ’উসফান’ নামক স্থানে উপনীত হলাম তখন সুরাকাহ ইবনু মালিক আল-মুদলিজী (রাযি.) তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদেরকে হজের (হজ্জের) নিয়ম নীতি এমনভাবে (উত্তমরূপে) বুঝিয়ে দিন যেভাবে কোনো নবীন দলকে বুঝানো হয়। তিনি বললেনঃ মহাশক্তিশালী আল্লাহ তোমাদের হজের (হজ্জের) মধ্যে ’উমরাকে প্রবেশ করিয়েছেন। সুতরাং তোমরা (মক্কায়) পৌঁছে যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সাঈ করবে সে হালাল হয়ে যাবে, কিন্তু যার সাথে কুরবানীর পশু আছে সে ব্যতীত।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنِي الرَّبِيعُ بْنُ سَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِعُسْفَانَ، قَالَ لَهُ: سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ الْمُدْلَجِيُّ، يَا رَسُولَ اللَّهِ: اقْضِ لَنَا قَضَاءَ قَوْمٍ كَأَنَّمَا وُلِدُوا الْيَوْمَ، فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَدْ أَدْخَلَ عَلَيْكُمْ فِي حَجِّكُمْ هَذَا عُمْرَةً، فَإِذَا قَدِمْتُمْ فَمَنْ تَطَوَّفَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَقَدْ حَلَّ إِلَّا مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ
صحيح
Narrated Saburah:
Ar-Rabi' ibn Saburah said on the authority of his father (Saburah): We went out along with the Messenger of Allah (ﷺ) till we reached Usfan, Suraqah ibn Malik al-Mudlaji said to him: Messenger of Allah, explain to us like the people as if they were born today. He said: Allah, the Exalted, has included this umrah in your hajj. When you come (to Mecca), and he who goes round the House (the Ka'bah), and runs between as-Safa and al-Marwah, is allowed to take off ihram except he who has brought the sacrificial animals with him.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৮০২। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। মু’আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাযি.) তাকে জানিয়েছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি মারওয়ার পাশে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চুল কাঁচি দিয়ে ছোট করে দিয়েছিলাম অথবা তিনি বলেছেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মারওয়অতে কাঁচি দ্বারা চুল ছাঁটতে দেখেছি।[1]
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। তবে বুখারীতে তার এ কথাটি নেইঃأو رأتيه ....। এটাই অধিক বিশুদ্ধ।
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنِ خَلَّادٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى الْمَعْنَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، أَخْبَرَهُ قَالَ: " قَصَّرْتُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِشْقَصٍ عَلَى الْمَرْوَةِ أَوْ رَأَيْتُهُ يُقَصِّرُ عَنْهُ عَلَى الْمَرْوَةِ بِمِشْقَصٍ. قَالَ: ابْنُ خَلَّادٍ، إِنَّ مُعَاوِيَةَ لَمْ يَذْكُرْ أَخْبَرَهُ
صحيح ق وليس عند خ قوله أو رأتيه وهو الأصح
Ibn ‘Abbas said that Mu’awiyah reported to him I clipped some hair of the Prophet’s(ﷺ) head with a broad iron arrowhead at Al Marwah; or (he said) I saw him that the hair of his head was clipped with a broad iron arrowhead at Al Marwah.
The narrator Ibn Khallad said in his version “Mu’awiyah said” and not the word “reported”.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৮০৩। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। মু’আবিয়াহ (রাযি.) তাকে বলেছেন, আপনি কি জানেন, মারওয়ার উপর এক বেদুঈনের কাঁচি দ্বারা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হজের (হজ্জের) সময় তাঁর চুল ছোট করেছিলাম?[1]
সহীহঃ তার এ কথাটি বাদেঃ ’তাঁর হজের (হজ্জের) সময়।’ কেননা তা শায।
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْمَعْنَى قَالُوا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ، قَالَ لَهُ: أَمَا عَلِمْتَ أَنِّي قَصَّرْتُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِشْقَصِ أَعْرَابِيٍّ عَلَى الْمَرْوَةِ، زَادَ الْحَسَنُ فِي حَدِيثِهِ لِحَجَّتِهِ
صحيح دون قوله أو لحجته فإنه شاذ
Ibn Abbas said that Mu'awiyah told him:
do you not know that I clipped the hair of the head of the Messenger of Allah (ﷺ) with a broad iron arrowhead at al-Marwah? Al-Hasan added in his version: "during his hajj."
পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৮০৪। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’উমরার জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন এবং তাঁর সাথীরা হজের (হজ্জের) জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا ابْنُ مُعَاذٍ، أَخْبَرَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُسْلِمٍ الْقُرِّيِّ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ: أَهَلَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعُمْرَةٍ، وَأَهَلَّ أَصْحَابُهُ بِحَجٍّ
صحيح
Ibn ‘Abbas said The Prophet(ﷺ) raised his voice in talbiyah for ‘Umrah and his companions for Hajj.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৮০৫। ’আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজে (হজ্জে) হজ্জ ও ’উমরা একত্রে সম্পন্ন করে তামাত্তু ’হজ (হজ্জ) করেছেন। তিনি যুল-হুলাইফা থেকে কুরবানীর পশু সাথে নিয়ে যান। সকলকে তামাত্তু করার নির্দেশ দেয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে ’উমরার জন্য তালবিয়া পড়েন, তারপর হজের (হজ্জের) জন্য তালবিয়া পড়েন (ইহরাম বাঁধেন)। তাঁর সাথে লোকজনও হজের (হজ্জের) সাথে ’উমরার নিয়্যাত করে তামাত্তু’ করলো। কেউ কেউ সাথে কুরবানীর পশু এনেছিল আবার কেউ কেউ আনেনি।
রাসূলুল্লাহ মক্কায় পৌঁছে লোকদেরকে বললেনঃ ’যারা সাথে করে কুরবানীর পশু এনেছো তাদের জন্য হজ (হজ্জ) আদায় করা পর্যন্ত (ইহরাম অবস্থায়) নিষিদ্ধকৃত কাজ বৈধ নয়। আর তোমাদের যারা সাথে করে কুরবানীর পশু আনোনি, তারা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা মারওয়া সাঈ করে, চুল খাটো করে, ইহরাম খুলে ফেলবে এবং হজের (হজ্জের) জন্য (নতুন করে) ইহরাম বাঁধবে, অতঃপর কুরবানী করবে। কিন্তু যারা কুরবানী দিতে অক্ষম তারা হজের (হজ্জের) মৌসুমে তিনটি সত্তম এবং বাড়ীতে ফিরে সাতটি সত্তম (মোট দশটি সত্তম) পালন করবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় পৌঁছে প্রথমে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলেন, তারপর ’হাজরে আসওয়াদ’ চুম্বন করলেন। তিনি তাওয়াফের সাত চক্করের প্রথম তিন চক্করে দ্রুত পায়ে চললেন এবং অবশিষ্ট চার চক্করে স্বাভাবিক গতিতে হাঁটলেন। বায়তুল্লাহ তাওয়াফ শেষ করে তিনি মাকামে ইবরাহীমের পাশে দুই রাক’আত সালাত আদায় করলেন, সালাতের সালাম ফিরিয়ে উঠে সাফা পাহাড়ে গিয়ে সাফা মারওয়ার মাঝে সাত বার সাঈ করলেন।
অতঃপর হাজ্জ সমাপন করে কুরবানীর দিন (দশম তারিখ) কুরবানী করা পর্যন্ত তিনি ইহরাম অবস্থায় থাকলেন। অতঃপর ফিরে এসে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলেন এবং ইহরাম খুলে যেসব জিনিস এ সময় নিষিদ্ধ ছিলো তা হালাল করলেন। আর যারা সাথে করে কুরবানীর পশু এনেছিল তারাও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অনুসরণ করলো।[1]
সহীহঃ কিন্তু তার একথাটি শাযঃ ’’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে ’উমরার জন্য তালবিয়া পড়েন, তারপর হজ্জের জন্য তালবিয়া পড়েন।’’
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنِ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ: تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ، إِلَى الْحَجِّ فَأَهْدَى وَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ، وَبَدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَتَمَتَّعَ النَّاسُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَكَانَ مِنَ النَّاسِ مَنْ أَهْدَى وَسَاقَ الْهَدْيَ وَمِنْهُمْ مَنْ لَمْ يُهْدِ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ قَالَ لِلنَّاسِ: مَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَهْدَى فَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ لَهُ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْكُمْ أَهْدَى فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلْيُقَصِّرْ وَلْيَحْلِلْ، ثُمَّ لِيُهِلَّ بِالْحَجِّ، وَلْيُهْدِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا فَلْيَصُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ، وَسَبْعَةً إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ وَطَافَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ فَاسْتَلَمَ الرُّكْنَ أَوَّلَ شَيْءٍ، ثُمَّ خَبَّ ثَلَاثَةَ أَطْوَافٍ مِنَ السَّبْعِ وَمَشَى أَرْبَعَةَ أَطْوَافٍ، ثُمَّ رَكَعَ حِينَ قَضَى طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عِنْدَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ فَانْصَرَفَ فَأَتَى الصَّفَا فَطَافَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ سَبْعَةَ أَطْوَافٍ، ثُمَّ لَمْ يُحْلِلْ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى قَضَى حَجَّهُ وَنَحَرَ هَدْيَهُ يَوْمَ النَّحْرِ، وَأَفَاضَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ، ثُمَّ حَلَّ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ وَفَعَلَ النَّاسُ مِثْلَ مَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَهْدَى وَسَاقَ الْهَدْيَ مِنَ النَّاسِ
صحيح ق لكن قوله وبدأ رسول الله صلى الله عليه وسلم فأهل بالعمرة ثم أهل بالحج شاذ
‘Abd Allah bin Umar said At the Farewell Pilgrimage the Apostle of Allaah(ﷺ) put on ihram first for ‘Umrah and afterwards for Hajj and drove the sacrificial animals along with him from Dhu Al Hulaifah. The Apostle of Allaah(ﷺ) first raised his voice in talbiyah for ‘Umrah and afterwards he did so for Hajj; and the people along with the Apostle of Allaah(ﷺ) did it first for ‘Umrah and afterwards for Hajj. Some of the people had brought sacrificial animals and others had not, so when the Apostle of Allaah(ﷺ) came to Makkah , he said to the people. Those of you who have brought sacrificial animals must not treat as lawful anything which has become unlawful for you till you complete your Hajj; but those of you who have not brought sacrificial animals should go round the House(Ka’bah) and run between Al Safa’ and Al Marwah, clip their hair, put off ihram, and afterwards raise their voice in talbiyah for Hajj and bring sacrificial animals. Those who cannot get sacrificial animals should fast three days during Hajj and seven days when they return to their families. The Apostle of Allaah(ﷺ) then performed circumambulation when he came to Makkah first touching the corner then running during three circuits out of seven and walking during four and when he had finished his circumambulation of the House (Ka’bah) he prayed two rak’ahs at Maqam Ibrahim, then giving the salutation and departing he went to Al Safa’ and ran seven times between Al Safa’ and Al Marwah. After that he did not treat anything as lawful which had become unlawful for him till he had completed his Hajj, sacrificed his animals on the day of sacrifice, went quickly and performed the circumambulation of the House(the Ka’bah), after which all that had been unlawful became lawful for him. Those people who had brought sacrificial animals did as the Apostle of Allaah(ﷺ) did.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৮০৬। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী হাফসা (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কি হলো, লোকজন ইহরাম খুলে ফেলেছে, অথচ আপনি এখনো ’উমরার ইহরাম খুলেননি? তিনি বললেনঃ আমি আমর মাথার চুলে জট পাকিয়েছি এবং আমার কুরবানীর পশুর গলায় মালা পরিয়েছি। সুতরাং কুরবানী না করা পর্যন্ত আমি হালাল হতে পারবো না।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ حَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا شَأْنُ النَّاسِ قَدْ حَلُّوا وَلَمْ تُحْلِلْ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ، فَقَالَ: إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلَا أُحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ الْهَدْيَ
صحيح
Hafsah, wife of the Prophet (ﷺ) said Apostle of Allaah(ﷺ), how is it that the people have put off their ihram and you did not put off your ihram after your ‘Umrah. He said I have matted my hair and garlanded my sacrificial animal, so I shall not put off my ihram till I sacrifice my sacrificial animals.