পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৭৭। ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজ্জে ইফরাদ করেছেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ
صحيح
Ai’shah said :
The Messenger of Allah (SWAS) performed Hajj exclusively (without performing `Umrah in the beginning).
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৭৮। ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যিলহজ (হজ্জ) মাসের নতুন চাঁদ উদয়ের কিছু আগে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হজের (হজ্জের) উদ্দেশ্যে রাওয়ানা হলাম। তিনি যুল-হুলাইফায় পৌঁছে বললেনঃ কেউ হজের (হজ্জের) ইহরাম বাঁধতে চাইলে বাঁধুক। আর কেউ ’উমরার ইহরাম বাঁধতে চাইলে সে যেন ’উমরার ইহরাম বাঁধে। উহাইব থেকে মূসা বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তিনি বলেছেনঃ যদি আমার সাথে কুরবানীর পশু না আনতাম তাহলে ’উমরার জন্য ইহরাম বাঁধতাম।
হাম্মাদ ইবনু সালামাহর হাদীসে রয়েছে, আমি হজের (হজ্জের) ইহরাম বেঁধেছি, কারণ আমার সাথে কুরবানীর পশু আছে। তারপর উভয় বর্ণনাকারী একইরূপ বর্ণনা করেন। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, যারা শুধু ’উমরার ইহরাম বেঁধেছিলো, আমি তাদের দলভুক্ত ছিলাম। পথিমধ্যে আমি হায়েয আরম্ভ হলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে আসলেন, এ সময় আমি কাঁদছিলাম।
তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কাঁদছো কেন? আমি বললাম, কতই না ভালো হতো আমি যদি এ বছর (ঘর থেকে) বের না হতাম। তিনি বললেনঃ তুমি ’উমরা ত্যাগ করো, মাথার খোপা খুলে ফেলো, চুল আঁচড়িয়ে নাও। মূসার বর্ণনায় রয়েছেঃ এবং হজের (হজ্জের) জন্য ইহরাম বাঁধো। সুলাইমান বলেন, মুসলিমরা হজে (হজ্জে) যেসব অনুষ্ঠান পালন করে তুমিও তা করো। অতঃপর (মক্কা থেকে) ফেরার রাত এলো ’আব্দুর রহমানকে নির্দেশ করলে তিনি ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে ’তানঈমে’ নিয়ে যান।
মূসার বর্ণনায় আরো রয়েছেঃ তিনি পূর্বের ’উমরার স্থানে ’উমরার ইহরাম বাঁধলেন, বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করলেন। ফলে আল্লাহ তাঁর উমরা ও হজ (হজ্জ) উভয়টিই পূর্ণ করলেন। হিশামের বর্ণনায় রয়েছেঃ কিন্তু এরূপ করার কারণে তাকে কাফফারাহ হিসেবে কুরবানী দিতে হয়নি। আবূ দাঊদ বলেন, হাম্মাদ ইবনু সালামাহর হাদীসে মূসা বর্ধিত করলেন যে, অতঃপর ’বাতহা’ উপত্যকায় প্রবেশের রাতে ’আয়িশাহ (রাঃ) পবিত্র হন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ، ح وحَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُوَافِينَ هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ فَلَمَّا كَانَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَالَ: مَنْ شَاءَ أَنْ يُهِلَّ بِحَجٍّ فَلْيُهِلَّ، وَمَنْ شَاءَ أَنْ يُهِلَّ بِعُمْرَةٍ فَلْيُهِلَّ بِعُمْرَةٍ. قَالَ مُوسَى: فِي حَدِيثِ وُهَيْبٍ، فَإِنِّي لَوْلَا أَنِّي أَهْدَيْتُ لَأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ، وَقَالَ: فِي حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، وَأَمَّا أَنَا فَأُهِلُّ بِالْحَجِّ فَإِنَّ مَعِي الْهَدْيَ، ثُمَّ اتَّفَقُوا فَكُنْتُ فِيمَنْ، أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ، حِضْتُ فَدَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَبْكِي، فَقَالَ: مَا يُبْكِيكِ؟، قُلْتُ: وَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ خَرَجْتُ الْعَامَ، قَالَ: ارْفِضِي عُمْرَتَكِ وَانْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي. قَالَ مُوسَى: وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ وَقَالَ سُلَيْمَانُ وَاصْنَعِي مَا يَصْنَعُ الْمُسْلِمُونَ فِي حَجِّهِمْ فَلَمَّا كَانَ لَيْلَةُ الصَّدَرِ أَمَرَ يَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَذَهَبَ بِهَا إِلَى التَّنْعِيمِ زَادَ مُوسَى فَأَهَلَّتْ بِعُمْرَةٍ مَكَانَ عُمْرَتِهَا وَطَافَتْ بِالْبَيْتِ فَقَضَى اللَّهُ عُمْرَتَهَا وَحَجَّهَا، قَال هِشَامٌ وَلَمْ يَكُنْ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ هَدْيٌ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: زَادَ مُوسَى فِي حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْبَطْحَاءِ طَهُرَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا
صحيح
Ai’shah said :
We went out along with The Messenger of Allah (SWAS) when the moon of the month of Dhu al-Hijja was going to appear shortly. When he reached Dhu al-Hulaifah he said : Anyone who wants to perform Hajj should raise his voice in Talbiyah for Hajj (after wearing Ihram); and he who wants to perform `Umrah should raise his voice in talbiyah for an `Umrah. The narrator Musa in the version of Wuhaib reported him (the Prophet) as saying if there were no sacrificial animals with me, I would raise my voice in talbiyah for an `Umrah. But according to the version of Hammad bin Salamah, he said as for myself, I shall raise my voice in talbiyah for Hajj because I have sacrificial animal with me. The agreed version goes I (Ai’shah) was one of those persons who wore Ihram for an ‘Umrah. But on my way (to Makkah) I menstruated. The Messenger of Allah (SWAS) entered upon me while I was weeping. He asked why are you weeping? I wished I would not come out (for Hajj) this year. He said give up your `Umrah; untie your hair and comb. The version of Musa said and raise your voice in talbiyah for Hajj (after wearing Ihram). Sulaiman’s version goes and do as all the Muslims do during their Hajj. When the night for performing the obligatory circumambulation (tawaf al-Ziyarah) came, the Messenger of Allah (SWAS) commanded `Abd al-Rahman. He took her to al-Tan’im (instead of the words “her ‘Umrah”). She went round the Ka’bah. Allah thus completed both her ‘Umrah and Hajj.
Hisham said : No sacrificial animal was offered during all this time.
In the version of Hammad bin Salamah, the narrator Musa added when the night of al-Batha came Ai’ shah was purified.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৭৯। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা বিদায় হজের (হজ্জের) বছরের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে হজের (হজ্জের) উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। আমাদের মধ্যকার কেউ ’উমরার ইহরাম বেঁধেছিলো, কেউ হজ (হজ্জ) ও ’উমরার দু’টির ইহরাম বেঁধেছিলো এবং কেউ শুধুমাত্র হজের (হজ্জের) ইহরাম বেঁধেছিলো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু হজের (হজ্জের) ইহরাম বেঁধেছিলেন। যারা শুধু হজ (হজ্জ) কিংবা হজ (হজ্জ) ও ’উমরা উভয়ের ইহরাম বেঁধেছিলেন তারা কুরবানীর দিন পর্যন্ত ইহরাম খুলতে পারেননি।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ، وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ، وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ، وَأَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ، فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ أَوْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ، فَلَمْ يُحِلُّوا حَتَّى كَانَ يَوْمَ النَّحْرِ
صحيح
Ai’shah wife the Prophet (SWAS) narrated we went out with the Messenger of Allah (SWAS) at the farewell pilgrimage. Some of us had put on Ihram for `Umrah and some both for Hajj and `Umrah, when the Messenger of Allah (SWAS) had put on Ihram for Hajj only.He who had put on Ihram for 'Umrah, put off Ihram after performing `Umrah and he who had worn Ihram both for Hajj and `Umrah or only for Hajj did not take it off till the tenth (of the month).
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৮০। আবুল আসওয়াদ (রহ.) থেকে পূর্ব বর্ণিত সনদে অনুরূপ বর্ণিত। তবে এতে আরো আছেঃ যারা কেবল ’উমরার ইহরাম বাঁধেন তারা ’উমরা সমাপন করে ইহরামমুক্ত হন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ زَادَ فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَأَحَلَّ
صحيح
The aforesaid tradition has also been narrated by Abu al-Aswad through a different chain of narrators. This version adds he who raises his voice in talbiyah for `Umrah (and wearing Ihram for it) should put off Ihram after performing `Umrah.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৮১। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রী ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিদায় হজের (হজ্জের) সময় আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে রওয়ানা হলাম। আমরা ’উমরার ইহরাম বাঁধলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যাদের সাথে কুরবানীর পশু আছে তারা যেন ’উমরার সাথে হজের (হজ্জের) ইহরাম বাঁধে এবং উভয়টির যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি শেষ না করা পর্যন্ত ইহরাম না খুলে। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি হায়িয অবস্থায় মক্কায় উপস্থিত হলাম।
সুতরাং আমি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা ও মারওয়াতে সাঈ করলাম না। আমি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অবহিত করলাম। তিনি বললেনঃ চুলের খোপা খুলে ফেলো, মাথায় চিরুনি করো, ’উমরার নিয়্যাত বর্জন করে কেবল হজের (হজ্জের) ইহরাম বাঁধো। তিনি বলেন, সুতরাং আমি তাই করলাম।
অতঃপর আমাদের হজ (হজ্জ) সমাপ্ত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ’আব্দুর রহমান ইবনু আবূ বকরের সাথে ’তানঈম’-এ প্রেরণ করলেন এবং আমি সেখান থেকে ’উমরা করলাম। তিনি বললেনঃ এটা তোমার পূর্বের ’উমরার পরিপূরক। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, যারা ’উমরার ইহরাম বেঁধেছিলো তারা মক্কায় পৌঁছে বায়তুল্লা তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করার পর ইহরাম খুলে ফেলে। তারপর মিনা থেকে ফিরে এসে হজের (হজ্জের) জন্য আরেকবার বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে। আর যারা হজ (হজ্জ) ও ’উমরা একত্রে আদায় করেছে তারা শুধুমাত্র একবার তাওয়াফ করেছে।[1]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, ইবরাহীম ইবনু সা’দ এবং মা’মার (রহ.) ইবনু শিহাব (রহ.) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, তবে এতে ’’যারা শুধু ’উমরার ইহরাম বেঁধেছিল এবং যারা হজ (হজ্জ) ও ’উমরা উভয়টির ইহরাম বেঁধেছে তাদের তাওয়াফের কথা’’ বর্ণিত হয়নি।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهِلَّ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ، ثُمَّ لَا يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا فَقَدِمْتُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ، وَلَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ، وَدَعِي الْعُمْرَةَ، قَالَتْ: فَفَعَلْتُ فَلَمَّا قَضَيْنَا الْحَجَّ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ إِلَى التَّنْعِيمِ فَاعْتَمَرْتُ، فَقَالَ: هَذِهِ مَكَانُ عُمْرَتِكِ قَالَتْ: فَطَافَ الَّذِينَ أَهَلُّوا بِالْعُمْرَةِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حَلُّوا، ثُمَّ طَافُوا طَوَافًا آخَرَ بَعْدَ أَنْ رَجَعُوا مِنْ مِنًى لِحَجِّهِمْ، وَأَمَّا الَّذِينَ كَانُوا جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، وَمَعْمَرٌ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، نَحْوَهُ لَمْ يَذْكُرُوا طَوَافَ الَّذِينَ أَهَلُّوا بِعُمْرَةٍ وَطَوَافَ الَّذِينَ جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ
صحيح
Ai’shah the wife of the Prophet (SWAS) said :
We went out with the Messenger of Allah (SWAS) at the farewell pilgrimage and raised the voice in talbiyah for an ‘Umrah. The Apostel of Allah (SWAS) said those who have brought the sacrificial animals with them should raise their voices in talbiyah for Hajj along with an ‘Umrah and they should not put off their Ihram till they do so after performing them both. I came to Makkah while I was menstruating and I did not go round the House (the Ka’bah) or run between al-Safa and al-Marwah. I complained about this to the Messenger of Allah (SWAS) he said: Undo your hair, comb it and raise your voice in talbiyah for Hajj and let `Umrah go. She said I did so. When we performed Hajj, the Messenger of Allah (SWAS) sent me along with `Abd al-Rahman bin Abu Bakr to al-Ta’nim and I performed `Umrah. He said, this is `Umrah in place of the one you had missed. She said those who had raised their voices in talbiyah for `Umrah put off Ihram after circumambulating the House (the Ka’bah) and after running between al-Safa and al-Marwa. Then they performed another circumambulation for their Hajj after they returned from Mina but those who combined Hajj and `Umrah performed only one circumambulation.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৮২। ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা হজের (হজ্জের) জন্য ইহরাম বাঁধলাম কিন্তু ’সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছলে আমার হায়িয আরম্ভ হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে আসলেন, তখন আমি কাঁদছিলাম। তিনি বললেনঃ হে আয়িশা! তুমি কাঁদছো কেন? আমি বললাম, গত রাতে আমি ঋতুবতী হয়েছি, আমি তো হজ (হজ্জ) করতে পারলাম না।
তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! এতো সেই বস্তু যা মহান আল্লাহ আদমের কন্যাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন। সুতরাং তুমি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ব্যতীত হজের (হজ্জের) অন্যান্য সব কাজ সম্পন্ন করো। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমরা মক্কায় প্রবেশ করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যার সাথে কুরবানীর পশু আছে সে ছাড়া যে কেউ তার ইহরাম ’উমরাতে পরিণত করতে পারে।
’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, কুরবানীর দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় স্ত্রীদের পক্ষ থেকে একটি গরু কুরবানী করেন। অতঃপর ’বাতহা’র রাতে ’আয়িশাহ (রাঃ) হায়িয থেকে পবিত্র হলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার সাথীরা হজ (হজ্জ) ও ’উমরা সম্পন্ন করে ফিরে যাবে, আর আমি কি শুধু হজ (হজ্জ) করেই ফিরবো? অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আব্দুর রহমা ইবনু আবূ বকরকে নির্দেশ দিলে তিনি ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে ’তানঈম’ নামক স্থানে নিয়ে যান এবং তিনি সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে ’উমরা করেন।[1]
সহীহ, তবে এ কথাটি বাদেঃ من شاء أن يجعلها عمرة। সঠিক হলোঃ اجعلوها عمرة মুসলিম। [যা সামনে আসছে এ গ্রন্থের হা/১৭৮৮।]
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: لَبَّيْنَا بِالْحَجِّ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِسَرِفَ حِضْتُ فَدَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَبْكِي، فَقَالَ: مَا يُبْكِيكِ يَا عَائِشَةُ؟، فَقُلْتُ: حِضْتُ لَيْتَنِي لَمْ أَكُنْ حَجَجْتُ، فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّمَا ذَلِكَ شَيْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَقَالَ: انْسُكِي الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا غَيْرَ أَنْ لَا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ، فَلَمَّا دَخَلْنَا مَكَّةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ شَاءَ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً، إِلَّا مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْيُ، قَالَتْ: وَذَبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نِسَائِهِ الْبَقَرَ يَوْمَ النَّحْرِ، فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْبَطْحَاءِ وَطَهُرَتْ عَائِشَةُ قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتَرْجِعُ صَوَاحِبِي بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَأَرْجِعُ أَنَا بِالْحَجِّ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، فَذَهَبَ بِهَا إِلَى التَّنْعِيمِ فَلَبَّتْ بِالْعُمْرَةِ
صحيح دون قوله من شاء أن يجعلها عمرة والصواب اجعلوها عمرة م
Ai’shah said :
We raised our voices in talbiyah for Hajj. When we reached Sarif, I menstruated. The Messenger of Allah (SWAS) came upon me while I was weeping. He asked, why are your weeping, Ai’shah? I replied, I menstruated. Would that I had not come out for performing Hajj. He said : Glory be to Allah, this is a thing prescribed by Allah on the daughters of Adam. He said perform all the rites of Hajj but do not go round the House (the Ka’bah). When we entered Makkah, the Messenger of Allah (SWAS) said he who desires to make (his Hajj) an `Umrah may do so, except those who have sacrificial animals with them. The Messenger of Allah (SWAS) sacrificed a cow on behalf of his wives on the day of sacrifice. When the night of al-Batha came, and Ai’shah was purified she said to the Messenger of Allah (SWAS) my fellow female pilgrims will return after performing Hajj and `Umrah and I shall return after performing only Hajj? He therefore, ordered `Abd al-Rahman bin Abu Bakr who took her to al-Ta’nim. She uttered there talbiyah for `Umrah.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৮৩। ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে রওয়ানা হলাম। তাতে হজ (হজ্জ) ছাড়া আমাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না। আমরা মক্কায় পৌঁছে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদরকে ইহরাম মুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিলেন যারা কুরবানীর পশু সাথে আনেনি। সুতরাং যারা কুরবানীর পশু সাথে আনেনি তারা ইহরাম মুক্ত হলো।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نَرَى إِلَّا أَنَّهُ الْحَجُّ، فَلَمَّا قَدِمْنَا تَطَوَّفْنَا بِالْبَيْتِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْيَ أَنْ يُحِلَّ، فَأَحَلَّ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْيَ
صحيح
A’ishah said “We went out with the Messenger of Allah(ﷺ) and we thought it nothing but a Hajj. When we came, we circumambulated the House (the Ka’bah). The Messenger of Allah(ﷺ) then commanded those who did not bring the sacrificial animals with them to take off their ihram. Therefore those who did not bring the sacrificial animals with them took off their ihram.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৮৪। ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যা পরে জানতে পেরেছি তা যদি আগে জানতে পারতাম তাহলে আমি কুরবানীর পশু সাথে আনতাম না। বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া বলেন, আমার ধারণা, আমার শায়খ (’উসমান ইবনু ’উমার) বলেছেন, ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, যারা ’উমরা সমাপ্ত করে ইহরাম খুলেছে আমিও তাদের দলভুক্ত ছিলাম। মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, সকলের কার্যক্রম যেন একইরূপ হয়।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ الذُّهَلِيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ، لَمَّا سُقْتُ الْهَدْيَ، قَالَ مُحَمَّدٌ: أَحْسَبُهُ قَالَ: وَلَحَلَلْتُ مَعَ الَّذِينَ أَحَلُّوا مِنَ الْعُمْرَةِ، قَالَ: أَرَادَ أَنْ يَكُونَ أَمْرُ النَّاسِ وَاحِدًا
صحيح ق دون قوله
A’ishah reported the Apostle of Allaah(ﷺ) as saying “If I had known beforehand about my affair what I have come to know later, I would not have brought the sacrificial animals with me. The narrator Muhammad(bin Yahya) said “ I think he(’Uthman bin ‘Umar) said and I would have taken off my ihram with those who have put their ihram after performing ‘Umrah.
He said “By this he intended that all the people might have performed equal rites(of Hajj)
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৮৫। জাবির ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে হজ্জে ইফরাদের ইহরাম বেঁধে রওয়ান হই। আর ’আয়িশাহ (রাঃ) এলেন ’উমরার ইহরাম বেঁধে। তিনি ’সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছে ঋতুবতী হলেন। আমরা (মক্কায়) পৌঁছে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সাঈ সমাপ্ত করি। আমাদের মধ্যে যার সাথে কুরবানীর পশু নেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইহরাম খুলে হালাল হওয়ার নির্দেশ দিলেন। আমরা বললাম, হালাল হওয়ার অর্থ কি? তিনি বললেনঃ সবকিছুর জন্য হালাল হওয়া। ফলে আমরা আমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করলাম এবং গায়ে সুগন্ধি মেখে আমাদের স্বাভাবিক পোশাক পরলাম। অথচ আমাদের ও ’আরাফা দিবসের মাঝে মাত্র চার দিনের ব্যবধান আছে।
অতঃপর আমরা যিলহজ (হজ্জ) মাসের অষ্টম তারিখ হজের (হজ্জের) ইহরাম বাঁধলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে দেখলেন তিনি কাঁদছেন। জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কি হয়েছে? তিনি বললেন, আমি ঋতুবতী হয়েছি। অথচ সকল লোক (’উমরা সম্পন্ন করে) ইহরাম খুলে ফেলেছে, আর আমি বায়তুল্লাহ তাওযাফ করতে পারিনি। আর লোকজন এখনই হজের (হজ্জের) উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। তিনি বললেনঃ মহান আল্লাহ তো এটা আদমের সকল কন্যাদের উপর নির্ধারিত করে দিয়েছেন। তুমি গোসল করো এবং হজের (হজ্জের) জন্য ইহরাম বাঁধো।
সুতরাং তিনি তাই করলেন এবং যাবতীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন করলেন, পরে যখন পবিত্র হলেন তখন বায়তুল্লাহ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তোমার হজ (হজ্জ) ও ’উমরা উভয়টি হতে হালাল হয়েছো। তখন ’আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মনে (খটকা) হচ্ছে, আমি হজের (হজ্জের) সময় বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করিনি। সুতরাং তিনি বললেনঃ হে ’আব্দুর রহমান! তুমি তাকে নিয়ে যাও এবং তাকে ’তানঈম’ থেকে এর ’উমরা করাও। এটা ছিলো মুহাসসাব উপত্যকার রাতের ঘটনা (অর্থাৎ যিলহজ্জ মাসের চৌদ্দ তারিখ)।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: أَقْبَلْنَا مُهِلِّينَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ مُفْرَدًا، وَأَقْبَلَتْ عَائِشَةُ مُهِلَّةً بِعُمْرَةٍ حَتَّى إِذَا كَانَتْ بِسَرِفَ عَرَكَتْ حَتَّى إِذَا قَدِمْنَا طُفْنَا بِالْكَعْبَةِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُحِلَّ مِنَّا مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ، قَالَ: فَقُلْنَا: حِلُّ مَاذَا؟ فَقَالَ الْحِلُّ كُلُّهُ فَوَاقَعْنَا النِّسَاءَ، وَتَطَيَّبْنَا بِالطِّيبِ، وَلَبِسْنَا ثِيَابَنَا، وَلَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلَّا أَرْبَعُ لَيَالٍ، ثُمَّ أَهْلَلْنَا يَوْمَ التَّرْوِيَةِ، ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَائِشَةَ فَوَجَدَهَا تَبْكِي فَقَالَ مَا شَأْنُكِ؟ قَالَتْ: شَأْنِي أَنِّي قَدْ حِضْتُ، وَقَدْ حَلَّ النَّاسُ وَلَمْ أَحْلُلْ، وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَالنَّاسُ يَذْهَبُونَ إِلَى الْحَجِّ الْآنَ، فَقَالَ: إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَاغْتَسِلِي، ثُمَّ أَهِلِّي بِالْحَجِّ فَفَعَلَتْ، وَوَقَفَتِ الْمَوَاقِفَ حَتَّى إِذَا طَهُرَتْ طَافَتْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ قَالَ: قَدْ حَلَلْتِ مِنْ حَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ جَمِيعًا قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَجِدُ فِي نَفْسِي أَنِّي لَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ حِينَ حَجَجْتُ قَالَ: فَاذْهَبْ بِهَا يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَأَعْمِرْهَا مِنَ التَّنْعِيمِ وَذَلِكَ لَيْلَةُ الْحَصْبَةِ
صحيح
Jabir said “We went out along with the Messenger of Allah(ﷺ) raising our voices in talbiyah for Hakk alone(Ifrad) while A’ishah raised her voice in talbiyah for an ‘Umrah. When she reached Sarif, she menstruated. When we came to (Makkah) we circumambulated the Ka’bah and ran between al Safa’ and al Marwah. The Messenger of Allah(ﷺ) then commanded us that those who had not brought sacrificial animals withthem should put off their ihram (after ‘Umrah). We asked “Which acts are lawful(and which not)? He replied All acts are lawful (that are permissible usually). We had therefore intercourse with our wives, used perfumes, put on our clothes. There remained only four days to perform Hajj at ‘Arafah. We then raised our voice in talbiyah (wearing Ihram for Hajj) on the eighth of Dhu al Hijjah. The Messenger of Allah(ﷺ) entered upon A’ishah and found her weeping. He said What is the matter with you? My problem is that I have menstruated, while the people have put on their ihram but I have not done so, nor did I go round the House(the Ka’bah). Now the people are proceeding for Hajj. He said This is a thing destined by Allah to the daughters of Adam. Take a bath, then raise your voice in talbiyah for Hajj(i.e, wear ihram for Hajj). She took a abtah and performed all the rites of the Hajj(lit. she stayed at all those places where the pilgrims stay). When she was purified, she circumambulated the House (the Ka’bah), and ran between al Safa’ and al Marwah. He (the Prophet) said “Now you have performed both your Hajj and your ‘Umrah. She said Messenger of Allah, I have some misgiving in my mind that I did not go round the Ka’bah when I performed Hajj (in the beginning). He said ‘Abd al Rahman (her brother), take her and have her perform ‘Umrah from Al Tan’im. This happened on the night of Al Hasbah(i.e., the fourteenth of Dhu Al Hijjah).
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৮৬। আবুয যুবায়র জাবির (রাযি.) থেকে এ ঘটনার অংশবিশেষ শুনেছেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথাঃ এবং তুমি হজের (হজ্জের) ইহরাম বাঁধো অতঃপর হজ (হজ্জ) করো এবং অন্যান্য হাজীগণ যা করে তুমিও তাই করো, কিন্তু বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করবে না এবং সালাত আদায় করবে না।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا، قَالَ: دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَائِشَةَ بِبَعْضِ هَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ: عِنْدَ قَوْلِهِ وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ، ثُمَّ حُجِّي وَاصْنَعِي مَا يَصْنَعُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لَا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ وَلَا تُصَلِّي
صحيح
The aforesaid tradition has also been transmitted by Jabir through a different chain of narrators. This version has The Prophet(ﷺ) said “Raise your voice in talbiyah for Hajj and then perform Hajj, and do so all the pilgrims do, except that you should not circumambulate the Hose(the Ka’bah) and should not pray.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৮৭। জাবির ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে শুধুমাত্র হজের (হজ্জের) জন্য ইহরাম বাঁধি, এতে অন্য কিছু ছিলো না। যিলহজ (হজ্জ) মাসের চার তারিখ আমরা মক্কায় উপস্থিত হয়ে (বায়তুল্লাহ) তাওয়াফ এবং (সাফা-মারওয়া) সাঈ করি। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইহরাম খুলে হালাল হবার নির্দেশ দিয়ে বললেনঃ আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে আমিও ইহরাম খুলে ফেলতাম। তখন সুরাকাহ ইবনু মালিক (রাযি.) উঠে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের এই ’হজে (হজ্জে) তামাত্তু’ কি শুধু এ বছরের জন্য, নাকি সর্বকালের জন্য? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, বরং এটা সর্বকালের জন্য।
ইমাম আওযাঈ বলেন, আমি এই হাদীস ’আতা ইবনু আবূ রাবাহকে বলতে শুনেছি, কিন্তু তা স্মরণ রাখতে পারিনি। অবশেষে ইবনু জুরাইজ এর সাথে সাক্ষাৎ করলে আমাকে তা যথাযথভাবে স্মরণ করিয়ে দেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي مَنْ، سَمِعَ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ، حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: أَهْلَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ خَالِصًا، لَا يُخَالِطُهُ شَيْءٌ فَقَدِمْنَا مَكَّةَ لِأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَطُفْنَا وَسَعَيْنَا ثُمَّ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نُحِلَّ، وَقَالَ: لَوْلَا هَدْيِي لَحَلَلْتُ، ثُمَّ قَامَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ مُتْعَتَنَا هَذِهِ أَلِعَامِنَا هَذَا أَمْ لِلْأَبَدِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَلْ هِيَ لِلْأَبَدِ. قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ، يُحَدِّثُ بِهَذَا فَلَمْ أَحْفَظْهُ حَتَّى لَقِيتُ ابْنَ جُرَيْجٍ فَأَثْبَتَهُ لِي
صحيح
Jabir bin Abdullah said “We raised our voices in talbiyah along with the Apostle of Allaah(ﷺ) exclusively for Hajj, not combining anything with it. When we came to Makkah four days of Dhu al Hijjah had already passed. We the circumambulated (the Ka’bah) and ran between Al Safa’ and Al Marwah . The Apostle of Allaah(ﷺ) then commanded us to put off ihram. He said if I had not brought the sacrificial animals, I would have taken off Ihram. Suraqah bin Malik then stood up and said Apostle of Allaah , what do you think, have you provided this facility to us for this year alone or forever? The Apostle of Allaah said No, this forever and forever.
Al Awza’l said I heard Ata bin Abi Rabah narrating this tradition, but I did not memorize it till I met Ibn Juraij who confirmed it for me.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৮৮। জাবির (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথীরা যিলহজ (হজ্জ) মাসের চার তারিখ (মক্কায়) আসেন। তাঁরা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সাঈ সম্পন্ন করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যার সাথে কুরবানীর পশু আছে সে ব্যতীত তোমরা সকলেই এ কাজগুলোকে ’উমরা গণ্য করো। অতঃপর (অষ্টম তারিখ) তারবিয়ার দিন এলে তারা হজের (হজ্জের) ইহরাম বাঁধলেন। তারপর কুরবানীর দিন দশ তারিখ তারা (মক্কায়) এসে শুধু বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলেন, সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ (সাঈ) করলেন না।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ لِأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، فَلَمَّا طَافُوا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اجْعَلُوهَا عُمْرَةً إِلَّا مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْيَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ أَهَلُّوا بِالْحَجِّ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ قَدِمُوا فَطَافُوا بِالْبَيْتِ، وَلَمْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ
صحيح
Jabir said The Apostle of Allaah(ﷺ) and his companions came to Makkah on the fourth of Dhu Al Hijjah. When they circumambulated the Ka’bah and ran between al Safa’ and al Marwah the Apostle of Allaah(ﷺ) said Change this (Hajj) into ‘Umrah, except those who have brought the sacrificial animals with them. When the eighth of Dhul Al Hijjah came, they raised their voices in talbiyah for Hall. When the tenth of Dhul Al Hijjah came, they circumambulated the Ka’bah, but did not run between al Safa’ and Al Marwah.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৮৯। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথীরা ইহরাম বেঁধে হজের (হজ্জের) উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তালহা (রাযি.) ব্যতীত কারো সাথেই কুরবানীর পশু ছিলো না। ’আলী (রাযি.) ইয়ামেন দেশ থেকে আসলেন, তখন তাঁর সাথে কুরবানীর পশু ছিলো। ’আলী (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধেছেন, আমিও ঐ উদ্দেশ্যেই ইহরাম বেঁধেছি।
অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিলো না তাদের হজ্জকে ’উমরায় রূপান্তরিত করে বায়তুল্লাহ তাওয়াফের নির্দেশ দেন এবং মাথা মুন্ডন করে হালাল হতে বললেন। কিন্তু যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিলো তারা ব্যতীত। তারা বললেন, আমরা কিভাবে মিনার দিকে রওয়ানা হবো অথচ আমাদের কেউ কেউ স্ত্রী সহবাস করেছে। এসব কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেনঃ আমার ব্যাপারে আমি যা পরে জেনেছি তা যদি আগে জানতাম, তাহলে আমি কুরবানীর পশু সাথে করে আনতাম না। আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে আমিও ইহরাম খুলে ফেলতাম।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا حَبِيبٌ يَعْنِي الْمُعَلِّمَ، عَنْ عَطَاءٍ، حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ هُوَ وَأَصْحَابُهُ بِالْحَجِّ وَلَيْسَ مَعَ أَحَدٍ مِنْهُمْ يَوْمَئِذٍ هَدْيٌ إِلَّا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَطَلْحَةَ وَكَانَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَدِمَ مِنَ الْيَمَنِ وَمَعَهُ الْهَدْيُ فَقَالَ: أَهْلَلْتُ بِمَا أَهَلَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً يَطُوفُوا، ثُمَّ يُقَصِّرُوا وَيُحِلُّوا إِلَّا مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْيُ فَقَالُوا: أَنَنْطَلِقُ إِلَى مِنًى وَذُكُورُنَا تَقْطُرُ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: لَوْ أَنِّي اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ، وَلَوْلَا أَنَّ مَعِي الْهَدْيَ لَأَحْلَلْتُ
صحيح
Jabir bin Abdullah said The Apostle of Allaah(ﷺ) and his companions raised their voices in talbiyah for Hajj. No one of them had brought the sacrificial animals with them except the Prophet(ﷺ) and Talhah. Ali (may Allaah be pleased with him) had returned from Yemen and had brought sacrificial animals with him. He said I raised my voice in talbiyah for which the Apostle of Allaah (ﷺ) raised his voice. The Prophet (ﷺ) commanded his companions to change it into ‘Umrah and clip their hair after running (between Al Safa’ and Al Marwah), and then take off their ihram except those who brought the sacrificial animals with them. They remarked should we go to Mina with our penises dripping with prostatic fluid? These remarks reached the Apostle of Allaah(ﷺ). Thereupon he said “had I known before hand about my affair what I have come to know later, I would not have brought sacrificial animals. Had I not brought sacrificial animals with me, I would have put off my ihram. “
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৯০। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ সেই ’উমরা যা থেকে আমরা উপকৃত হয়েছি। কাজেই যার সাথে কুরবানীর পশু নেই সে সবকিছু থেকে সম্পূর্ণ হালাল হয়ে যাবে। আর ’উমরা কিয়ামত পর্যন্ত হজের (হজ্জের) মধ্যে প্রবেশ করলো। ইমাম আবূ দাঊদ বলেন, এ হাদীসটি মুনকার এবং এগুলো ইবনু ’আব্বাস (রাযি.)-এর বক্তব্য।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: هَذِهِ عُمْرَةٌ اسْتَمْتَعْنَا بِهَا فَمَنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ هَدْيٌ فَلْيُحِلَّ الْحِلَّ كُلَّهُ وَقَدْ دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: هَذَا مُنْكَرٌ إِنَّمَا هُوَ قَوْلُ ابْنِ عَبَّاسٍ
صحيح
Ibn ‘Abbas reported the Prophet (ﷺ) as saying This is an ‘Umrah from which we have benefitted. Anyone who has brought sacrificial animal with him should take off ihram totally. ‘Umrah has been included in Hajj till the Day of Judgment.
Abu Dawud said This is a munkar (uncommon) tradition. This is in fact the statement of Ibn ‘Abbas himself.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৯১। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তি হজের (হজ্জের) ইহরাম বেঁধে মক্কায় উপস্থিত হয়ে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সাঈ করলে সে অবশ্যই হালাল হয়ে গেলো। আর এটাই হচ্ছে ’উমরা। আবূ দাঊদ বলেন, ইবনু জুরাইজ এক ব্যক্তি থেকে ’আতা সূত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ শুধুমাত্র হজের (হজ্জের) ইহরাম বেঁধে (মক্কায়) প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা ’উমরায় রূপান্তরিত করেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا النَّهَّاسُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا أَهَلَّ الرَّجُلُ بِالْحَجِّ، ثُمَّ قَدِمَ مَكَّةَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَقَدْ حَلَّ وَهِيَ عُمْرَةٌ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عَطَاءٍ، دَخَلَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ خَالِصًا، فَجَعَلَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُمْرَةً
صحيح
Ibn ‘Abbas reported the Prophet(ﷺ) as saying If a man raises his voice in talbiya for Hajj, then he comes to Makkah, goes round the House(the Ka’bah) and runs between Al Safa’ and Al Marwah he may take off his ihram. That will be considered as ihram for ‘Umrah.
Abu Dawud said Ibn Juraij narrated from a man on the authority of ‘Ata that the companions of the Prophet (ﷺ) entered Makkah raising their voices in talbiyah for Hajj alone, but the Prophet (ﷺ) changed it to ‘Umrah.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৯২। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজের (হজ্জের) উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধে (মক্কায়) পৌঁছে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সাই করলেন। ইবনু শাওকার বলেন, কুরবানীর পশু সাথে থাকার কারণে তিনি চুল খাটো করেননি এবং ইহরাম থেকেও মুক্ত হননি। তবে যারা সাথে করে কুরবানীর পশু আনেননি তাদেরকে তাওয়াফ ও সাঈ করার পর চুল ছেটে ইহরাম মুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিলেন। ইবনু মানী’ বর্ধিত করেছেন যে, অথবা মাথা মুন্ডন করে যে হালাল হয়।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ شَوْكَرٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، قَالَ ابْنُ مَنِيعٍ: أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْمَعْنَى، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: أَهَلَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ فَلَمَّا قَدِمَ طَافَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ. وَقَالَ ابْنُ شَوْكَرٍ، وَلَمْ يُقَصِّرْ، ثُمَّ اتَّفَقَا وَلَمْ يُحِلَّ مِنْ أَجْلِ الْهَدْيِ، وَأَمَرَ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْيَ أَنْ يَطُوفَ وَأَنْ يَسْعَى وَيُقَصِّرَ، ثُمَّ يُحِلَّ زَادَ ابْنُ مَنِيعٍ فِي حَدِيثِهِ أَوْ يَحْلِقَ ثُمَّ يُحِلَّ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Abbas:
The Prophet (ﷺ) raised his voice in talbiyah for hajj. When he came (to Mecca) he went round the House (the Ka'bah) and ran between as-Safa and al-Marwah. The narrator Ibn Shawkar said: He did not clip his hair, nor did he take off his ihram due to sacrificial animals. But he commanded those who did not bring sacrificial animals with them to go round the Ka'bah, to run between as-Safa and al-Marwah, to clip their hair, and then put off their ihram. The narrator Ibn Mani' added: Or shave their heads, then take off their ihram."
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৯৩। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক সাহাবী ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযি.)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর মৃত্যুশয্যায় হজের (হজ্জের) পূর্বে ’উমরা করতে নিষেধ করতে শুনেছেন।[1]
দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি্’উস সাগীর (৬০৫১)।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ، أَخْبَرَنِي أَبُو عِيسَى الْخُرَاسَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمسَيِّبِ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَشَهِدَ عِنْدَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ يَنْهَى عَنِ الْعُمْرَةِ قَبْلَ الْحَجِّ
ضعيف
Narrated Sa'id ibn al-Musayyab:
A man from the Companions of the Prophet (ﷺ) came to Umar ibn al-Khattab (may Allah be pleased with him). He bore witness before him that when he (the Prophet) was suffering from a disease of which he died he heard the Messenger of Allah (ﷺ) prohibiting performing of umrah before hajj.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ
১৭৯৪। মু’আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের জিজ্ঞেস করেন, আপনারা কি জানেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমুক অমুক কাজ করতে এবং চিতাবাঘের চামড়ার উপর আরোহণ করতে নিষেধ করেছেন? তারা বললেন, হ্যাঁ। মু’আবিয়াহ বললেন, আপনারা কি জানেন যে, তিনি হজ (হজ্জ) ও ’উমরাকে একক করতে নিষেধ করেছেন? তারা বললেন, এটা আমাদের জানা নেই। অতঃপর তিনি বললেন, এটাকেও ঐসব নিষিদ্ধ জিনিসের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, কিন্তু আপনারা ভুলে গেছেন।[1]
সহীহঃ তবে হজ (হজ্জ) ও ’উমরা একত্রে করা নিষেধ কথাটি শায। যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৬০২৩)।
بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا مُوسَى أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ الْهُنَائِيِّ خَيْوَانَ بْنِ خَلْدَةَ، مِمَّنْ قَرَأَ عَلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، قَالَ لِأَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ كَذَا وَكَذَا، وَعَنْ رُكُوبِ جُلُودِ النُّمُورِ؟، قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: فَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ نَهَى أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَقَالُوا: أَمَّا هَذَا فَلَا، فَقَالَ: أَمَا إِنَّهَا مَعَهُنَّ وَلَكِنَّكُمْ نَسِيتُمْ
صحيح إلا النهي عن القران فهو شاذ
Narrated Mu'awiyah ibn AbuSufyan:
Mu'awiyah said to the Companions of the Prophet (ﷺ): Do you know that the Messenger of Allah (ﷺ) prohibited from doing so and so (and he prohibited from) riding on the skins of leopards? They said: Yes.
He again said: You know that he prohibited combining hajj and umrah. They replied: This we do not (know). He said: This was prohibited along with other things, but you forgot.