১৭৮৫

পরিচ্ছেদঃ ২৪. হজ্জে ইফরাদ

১৭৮৫। জাবির ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে হজ্জে ইফরাদের ইহরাম বেঁধে রওয়ান হই। আর ’আয়িশাহ (রাঃ) এলেন ’উমরার ইহরাম বেঁধে। তিনি ’সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছে ঋতুবতী হলেন। আমরা (মক্কায়) পৌঁছে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সাঈ সমাপ্ত করি। আমাদের মধ্যে যার সাথে কুরবানীর পশু নেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইহরাম খুলে হালাল হওয়ার নির্দেশ দিলেন। আমরা বললাম, হালাল হওয়ার অর্থ কি? তিনি বললেনঃ সবকিছুর জন্য হালাল হওয়া। ফলে আমরা আমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করলাম এবং গায়ে সুগন্ধি মেখে আমাদের স্বাভাবিক পোশাক পরলাম। অথচ আমাদের ও ’আরাফা দিবসের মাঝে মাত্র চার দিনের ব্যবধান আছে।

অতঃপর আমরা যিলহজ (হজ্জ) মাসের অষ্টম তারিখ হজের (হজ্জের) ইহরাম বাঁধলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে দেখলেন তিনি কাঁদছেন। জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কি হয়েছে? তিনি বললেন, আমি ঋতুবতী হয়েছি। অথচ সকল লোক (’উমরা সম্পন্ন করে) ইহরাম খুলে ফেলেছে, আর আমি বায়তুল্লাহ তাওযাফ করতে পারিনি। আর লোকজন এখনই হজের (হজ্জের) উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। তিনি বললেনঃ মহান আল্লাহ তো এটা আদমের সকল কন্যাদের উপর নির্ধারিত করে দিয়েছেন। তুমি গোসল করো এবং হজের (হজ্জের) জন্য ইহরাম বাঁধো।

সুতরাং তিনি তাই করলেন এবং যাবতীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন করলেন, পরে যখন পবিত্র হলেন তখন বায়তুল্লাহ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তোমার হজ (হজ্জ) ও ’উমরা উভয়টি হতে হালাল হয়েছো। তখন ’আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মনে (খটকা) হচ্ছে, আমি হজের (হজ্জের) সময় বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করিনি। সুতরাং তিনি বললেনঃ হে ’আব্দুর রহমান! তুমি তাকে নিয়ে যাও এবং তাকে ’তানঈম’ থেকে এর ’উমরা করাও। এটা ছিলো মুহাসসাব উপত্যকার রাতের ঘটনা (অর্থাৎ যিলহজ্জ মাসের চৌদ্দ তারিখ)।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: أَقْبَلْنَا مُهِلِّينَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ مُفْرَدًا، وَأَقْبَلَتْ عَائِشَةُ مُهِلَّةً بِعُمْرَةٍ حَتَّى إِذَا كَانَتْ بِسَرِفَ عَرَكَتْ حَتَّى إِذَا قَدِمْنَا طُفْنَا بِالْكَعْبَةِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُحِلَّ مِنَّا مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ، قَالَ: فَقُلْنَا: حِلُّ مَاذَا؟ فَقَالَ الْحِلُّ كُلُّهُ فَوَاقَعْنَا النِّسَاءَ، وَتَطَيَّبْنَا بِالطِّيبِ، وَلَبِسْنَا ثِيَابَنَا، وَلَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلَّا أَرْبَعُ لَيَالٍ، ثُمَّ أَهْلَلْنَا يَوْمَ التَّرْوِيَةِ، ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَائِشَةَ فَوَجَدَهَا تَبْكِي فَقَالَ مَا شَأْنُكِ؟ قَالَتْ: شَأْنِي أَنِّي قَدْ حِضْتُ، وَقَدْ حَلَّ النَّاسُ وَلَمْ أَحْلُلْ، وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَالنَّاسُ يَذْهَبُونَ إِلَى الْحَجِّ الْآنَ، فَقَالَ: إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَاغْتَسِلِي، ثُمَّ أَهِلِّي بِالْحَجِّ فَفَعَلَتْ، وَوَقَفَتِ الْمَوَاقِفَ حَتَّى إِذَا طَهُرَتْ طَافَتْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ قَالَ: قَدْ حَلَلْتِ مِنْ حَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ جَمِيعًا قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَجِدُ فِي نَفْسِي أَنِّي لَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ حِينَ حَجَجْتُ قَالَ: فَاذْهَبْ بِهَا يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَأَعْمِرْهَا مِنَ التَّنْعِيمِ وَذَلِكَ لَيْلَةُ الْحَصْبَةِ
صحيح

حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا الليث، عن ابي الزبير، عن جابر، قال: اقبلنا مهلين مع رسول الله صلى الله عليه وسلم بالحج مفردا، واقبلت عاىشة مهلة بعمرة حتى اذا كانت بسرف عركت حتى اذا قدمنا طفنا بالكعبة وبالصفا والمروة، فامرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ان يحل منا من لم يكن معه هدي، قال: فقلنا: حل ماذا؟ فقال الحل كله فواقعنا النساء، وتطيبنا بالطيب، ولبسنا ثيابنا، وليس بيننا وبين عرفة الا اربع ليال، ثم اهللنا يوم التروية، ثم دخل رسول الله صلى الله عليه وسلم على عاىشة فوجدها تبكي فقال ما شانك؟ قالت: شاني اني قد حضت، وقد حل الناس ولم احلل، ولم اطف بالبيت والناس يذهبون الى الحج الان، فقال: ان هذا امر كتبه الله على بنات ادم فاغتسلي، ثم اهلي بالحج ففعلت، ووقفت المواقف حتى اذا طهرت طافت بالبيت وبالصفا والمروة، ثم قال: قد حللت من حجك وعمرتك جميعا قالت: يا رسول الله، اني اجد في نفسي اني لم اطف بالبيت حين حججت قال: فاذهب بها يا عبد الرحمن فاعمرها من التنعيم وذلك ليلة الحصبة صحيح


Jabir said “We went out along with the Messenger of Allah(ﷺ) raising our voices in talbiyah for Hakk alone(Ifrad) while A’ishah raised her voice in talbiyah for an ‘Umrah. When she reached Sarif, she menstruated. When we came to (Makkah) we circumambulated the Ka’bah and ran between al Safa’ and al Marwah. The Messenger of Allah(ﷺ) then commanded us that those who had not brought sacrificial animals withthem should put off their ihram (after ‘Umrah). We asked “Which acts are lawful(and which not)? He replied All acts are lawful (that are permissible usually). We had therefore intercourse with our wives, used perfumes, put on our clothes. There remained only four days to perform Hajj at ‘Arafah. We then raised our voice in talbiyah (wearing Ihram for Hajj) on the eighth of Dhu al Hijjah. The Messenger of Allah(ﷺ) entered upon A’ishah and found her weeping. He said What is the matter with you? My problem is that I have menstruated, while the people have put on their ihram but I have not done so, nor did I go round the House(the Ka’bah). Now the people are proceeding for Hajj. He said This is a thing destined by Allah to the daughters of Adam. Take a bath, then raise your voice in talbiyah for Hajj(i.e, wear ihram for Hajj). She took a abtah and performed all the rites of the Hajj(lit. she stayed at all those places where the pilgrims stay). When she was purified, she circumambulated the House (the Ka’bah), and ran between al Safa’ and al Marwah. He (the Prophet) said “Now you have performed both your Hajj and your ‘Umrah. She said Messenger of Allah, I have some misgiving in my mind that I did not go round the Ka’bah when I performed Hajj (in the beginning). He said ‘Abd al Rahman (her brother), take her and have her perform ‘Umrah from Al Tan’im. This happened on the night of Al Hasbah(i.e., the fourteenth of Dhu Al Hijjah).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৫/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب المناسك)