পরিচ্ছেদঃ ২৫. হজ্জে কিরান
১৮০৫। ’আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজে (হজ্জে) হজ্জ ও ’উমরা একত্রে সম্পন্ন করে তামাত্তু ’হজ (হজ্জ) করেছেন। তিনি যুল-হুলাইফা থেকে কুরবানীর পশু সাথে নিয়ে যান। সকলকে তামাত্তু করার নির্দেশ দেয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে ’উমরার জন্য তালবিয়া পড়েন, তারপর হজের (হজ্জের) জন্য তালবিয়া পড়েন (ইহরাম বাঁধেন)। তাঁর সাথে লোকজনও হজের (হজ্জের) সাথে ’উমরার নিয়্যাত করে তামাত্তু’ করলো। কেউ কেউ সাথে কুরবানীর পশু এনেছিল আবার কেউ কেউ আনেনি।
রাসূলুল্লাহ মক্কায় পৌঁছে লোকদেরকে বললেনঃ ’যারা সাথে করে কুরবানীর পশু এনেছো তাদের জন্য হজ (হজ্জ) আদায় করা পর্যন্ত (ইহরাম অবস্থায়) নিষিদ্ধকৃত কাজ বৈধ নয়। আর তোমাদের যারা সাথে করে কুরবানীর পশু আনোনি, তারা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা মারওয়া সাঈ করে, চুল খাটো করে, ইহরাম খুলে ফেলবে এবং হজের (হজ্জের) জন্য (নতুন করে) ইহরাম বাঁধবে, অতঃপর কুরবানী করবে। কিন্তু যারা কুরবানী দিতে অক্ষম তারা হজের (হজ্জের) মৌসুমে তিনটি সত্তম এবং বাড়ীতে ফিরে সাতটি সত্তম (মোট দশটি সত্তম) পালন করবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় পৌঁছে প্রথমে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলেন, তারপর ’হাজরে আসওয়াদ’ চুম্বন করলেন। তিনি তাওয়াফের সাত চক্করের প্রথম তিন চক্করে দ্রুত পায়ে চললেন এবং অবশিষ্ট চার চক্করে স্বাভাবিক গতিতে হাঁটলেন। বায়তুল্লাহ তাওয়াফ শেষ করে তিনি মাকামে ইবরাহীমের পাশে দুই রাক’আত সালাত আদায় করলেন, সালাতের সালাম ফিরিয়ে উঠে সাফা পাহাড়ে গিয়ে সাফা মারওয়ার মাঝে সাত বার সাঈ করলেন।
অতঃপর হাজ্জ সমাপন করে কুরবানীর দিন (দশম তারিখ) কুরবানী করা পর্যন্ত তিনি ইহরাম অবস্থায় থাকলেন। অতঃপর ফিরে এসে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলেন এবং ইহরাম খুলে যেসব জিনিস এ সময় নিষিদ্ধ ছিলো তা হালাল করলেন। আর যারা সাথে করে কুরবানীর পশু এনেছিল তারাও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অনুসরণ করলো।[1]
সহীহঃ কিন্তু তার একথাটি শাযঃ ’’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে ’উমরার জন্য তালবিয়া পড়েন, তারপর হজ্জের জন্য তালবিয়া পড়েন।’’
بَابٌ فِي الْإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنِ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ: تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ، إِلَى الْحَجِّ فَأَهْدَى وَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ، وَبَدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَتَمَتَّعَ النَّاسُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَكَانَ مِنَ النَّاسِ مَنْ أَهْدَى وَسَاقَ الْهَدْيَ وَمِنْهُمْ مَنْ لَمْ يُهْدِ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ قَالَ لِلنَّاسِ: مَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَهْدَى فَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ لَهُ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْكُمْ أَهْدَى فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلْيُقَصِّرْ وَلْيَحْلِلْ، ثُمَّ لِيُهِلَّ بِالْحَجِّ، وَلْيُهْدِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا فَلْيَصُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ، وَسَبْعَةً إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ وَطَافَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ فَاسْتَلَمَ الرُّكْنَ أَوَّلَ شَيْءٍ، ثُمَّ خَبَّ ثَلَاثَةَ أَطْوَافٍ مِنَ السَّبْعِ وَمَشَى أَرْبَعَةَ أَطْوَافٍ، ثُمَّ رَكَعَ حِينَ قَضَى طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عِنْدَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ فَانْصَرَفَ فَأَتَى الصَّفَا فَطَافَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ سَبْعَةَ أَطْوَافٍ، ثُمَّ لَمْ يُحْلِلْ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى قَضَى حَجَّهُ وَنَحَرَ هَدْيَهُ يَوْمَ النَّحْرِ، وَأَفَاضَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ، ثُمَّ حَلَّ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ وَفَعَلَ النَّاسُ مِثْلَ مَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَهْدَى وَسَاقَ الْهَدْيَ مِنَ النَّاسِ صحيح ق لكن قوله وبدأ رسول الله صلى الله عليه وسلم فأهل بالعمرة ثم أهل بالحج شاذ
‘Abd Allah bin Umar said At the Farewell Pilgrimage the Apostle of Allaah(ﷺ) put on ihram first for ‘Umrah and afterwards for Hajj and drove the sacrificial animals along with him from Dhu Al Hulaifah. The Apostle of Allaah(ﷺ) first raised his voice in talbiyah for ‘Umrah and afterwards he did so for Hajj; and the people along with the Apostle of Allaah(ﷺ) did it first for ‘Umrah and afterwards for Hajj. Some of the people had brought sacrificial animals and others had not, so when the Apostle of Allaah(ﷺ) came to Makkah , he said to the people. Those of you who have brought sacrificial animals must not treat as lawful anything which has become unlawful for you till you complete your Hajj; but those of you who have not brought sacrificial animals should go round the House(Ka’bah) and run between Al Safa’ and Al Marwah, clip their hair, put off ihram, and afterwards raise their voice in talbiyah for Hajj and bring sacrificial animals. Those who cannot get sacrificial animals should fast three days during Hajj and seven days when they return to their families. The Apostle of Allaah(ﷺ) then performed circumambulation when he came to Makkah first touching the corner then running during three circuits out of seven and walking during four and when he had finished his circumambulation of the House (Ka’bah) he prayed two rak’ahs at Maqam Ibrahim, then giving the salutation and departing he went to Al Safa’ and ran seven times between Al Safa’ and Al Marwah. After that he did not treat anything as lawful which had become unlawful for him till he had completed his Hajj, sacrificed his animals on the day of sacrifice, went quickly and performed the circumambulation of the House(the Ka’bah), after which all that had been unlawful became lawful for him. Those people who had brought sacrificial animals did as the Apostle of Allaah(ﷺ) did.