পরিচ্ছেদঃ ১১৬. রাফ‘উল ইয়াদাইন (সালাতে দু’ হাত উত্তোলন)
৭২১। সালিম (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাত আরম্ভকালে নিজের দু’ হাত স্বীয় কাঁধ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি। অনুরূপভাবে রুকু’তে গমনকালে এবং রুকু’ থেকে মাথা উঠানোর পরও তাঁকে হাত উঠাতে দেখেছি। তবে তিনি দু’ সিজদার মাঝে হাত উঠাতেন না।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
-
মুখে নিয়্যাত পাঠ বিদ‘আতঃ
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরে তাহরীমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দু’ হাত উত্তোলন করে সালাত আরম্ভ করতেন। এর পূর্বে মুখে কোনে নিয়্যাতনামা পাঠ করতেন না। সুতরাং সালাত আরম্ভের পূর্বে মুখে উচ্চারণ করে নিয়্যাত পাঠ করা বিদ‘আত। নিম্নে এ বিষয়ে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলোঃ
১। মোল্লা ‘আলী ক্বারী হানাফী (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ত্রিশ হাজার (ওয়াক্ত) সালাত আদায় করেছেন। তথাপি তাঁর থেকে এ কথা বর্ণিত নেই যে, আমি অমুক অমুক ওয়াক্ত সালাতে নিয়্যাত করছি। সুতরাং তাঁর এ নিয়্যাত না করাটাই সুন্নাত। যেমন তাঁর কোনো কাজ করাটা সুন্নাত। (জেনে রাখুন) শব্দ উচ্চারণ করে নিয়্যাত করা জায়িয নয়। কারণ এটি বিদ‘আত। সুতরাং যে কাজ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেননি তা যে করে সে বিদ‘আতী। (দেখুন, মিরকাত ১/৩৬, ৩৭)।
২। আব্দুল হাই লাখনৌভী (রহঃ) লিখেছেনঃ মুখে নিয়্যাত পাঠ করা বিদ‘আত। (দেখুন, সিরাতুল মুস্তাক্বীম)।
৩। আল্লামা ইবনুল হুমাম হানাফী (রহঃ) বলেনঃ হাদীসের কিছু হাফিয বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ ও যঈফ কোনো সনদেও এ কথা প্রমাণিত নেই য, তিনি সালাত আরম্ভ করার সময় বলতেন যে, আমি এই এই সালাত আদায় করছি। কোনো সাহাবী এবং তাবেঈ থেকেও প্রমাণিত নেই। বরং এ কথা বর্ণিত আছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আরম্ভের সময় কেবল তাক্ববীর বলতেন। তাই মুখে নিয়্যাত পাঠ করা বিদ‘আত। (দেখুন, ফাতহুল ক্বাদীর ১/৩৮৬, কাবীরী ২৫২ পৃঃ)।
৪। আব্দুল হাক্ব দেহলৌভী হানাফী (রহঃ) লিখেছেনঃ মুখে নিয়্যাত পাঠ করা না রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে, না সাহাবায়ি কিরাম থেকে, না তাবেঈ থেকে, কারো থেকেই কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন তখন শুধু আল্লাহু আকবার বলতেন। এর পূর্বে মুখে নিয়্যাত করার কোনো শব্দ হাদীসে বর্ণিত হয়নি। সেজন্য মুহাদ্দিসগণ মুখে নিয়্যাত পাঠ করাকে বিদ‘আত ও মাকরূহ বলেছেন। (দেখুন, ফাতহুল ক্বাদীর, মাদারিজুন নাবুওয়্যাত)।
৫। আল্লামা শামী হানাফী (রহঃ) বলেনঃ হিলয়্যাহতে একটা বাড়ী আছে যে, চার ইমাম থেকেও মুখে নিয়্যাত করা প্রমাণিত নেই- (দেখুন শামী ১/৩৮৬)। হানাফী ফিক্বাহ মুনয়্যাহতেও ঐরূপ আছে। (বাহরূর রায়িক ১/২৭৮)।
৬। আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) লিখেছেনঃ মুসল্লী যে সালাত আদায় করবে তা স্থির সংকল্প করে নিবে। মুখে নিয়্যাত পাঠ করা কোনই আবশ্যকতা নেই। বরং মনে মনে একটু চিন্তা করে নেয়াই যথেষ্ট যে, আমি এই (উদাহরণস্বরূপ) যুহরের সালাত আদায় করছি। এতটুকু মনে নিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধলেই হয়ে যাবে। আর জনসমাজের যেমন নিয়্যাতনামা প্রচলিত আছে তা পাঠ করার কোনই আবশ্যকতা নেই। (দেখুন, বেহেশতি জেওর ২/১৭-১৮)।
৭। কিরামাত আলী জৌনপুরী হানাফী সাহেব লিখেছেনঃ অন্তরেই সালাতের নিয়্যাত করে নিবে অর্থাৎ মনে প্রাণে বুঝবে যে, আমি (যেমন ফজরের ফারয সালাদ আদায় করছি) এ জন্য মুখে নিয়্যাত পাঠের কোনই প্রয়োজন নেই। (দেখুন, রাহেনাজাত, পৃঃ ৯)।
৮। হানাফী ফিক্বাহ দুররে মুখতারে রয়েছেঃ নিয়্যাতনামা অর্থাৎ ‘নাওয়াতুন আন...’ পাঠ সম্পর্কে সহীহ হাদীস তো দূরের কথা কোনো যঈফ হাদীসেও খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশিষ্ট চারজন ইমামের কোনো একজনও নিয়্যাতনামা পাঠ দ্বারা সালাত আদায় করতেন না। সারকথা হচ্ছে, হাদীস ও ফিক্বাহ শাস্ত্র মনস্থ করে এটাই জানা যায় যে, নিয়্যাত মুখে উচ্চারণ করার বস্তু নয়। নিয়্যাতের নামে মুখে মুখে কিছু বলা সুন্নাতের বিপরীত, কাজেই মুখে নিয়্যাত উচ্চারণ করা বিদ‘আত। (দেখুন, দুররে মুখতার ১/৪৯, হিদায়া ১/২২)।
সম্ভবতঃ এ কারণেই হানাফী ফিক্বাহর কোনো গ্রন্থে যেমন, হিদায়া, শারহু বিকায়া, কুদরি, ফাতহুল ক্বাদীর, নুরুল ইযাহ, দুররে মুখতার, মারাকিল ফারাহ, আল জাওহারুল নাইযিরাহ. রদ্দুর মুহতার, বাহরূর রায়িক, মুনয়্যাতুল মুসল্লী, গুনয়্যাতুল মুসতামলী, কানযুদ দাক্বায়িক, হাশিয়াহ, তাহতাভী প্রভৃতিতে সালাতের নিয়্যাতের কোন শব্দই খুঁজে পাওয়া যায় না। (দেখুন, সালাতে মুস্তাফা)।
৯। হাম্বলী ও মালিকী মাযহাবে ফাতাওয়াঃ মালিকী মাযহাব অনুসারীগণের মতে মুখে উচ্চারণ করে এরূপ নিয়্যাত করা মাকরূহ এবং হাম্বলীদের মতে বিদ‘আত। (দেখুন, মিরকাত ১/৩৬)।
১০। হাফিয ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) বলেনঃ নিয়্যাত হচ্ছে সংকল্প করা। এর জায়গা মন ও হৃদয় যার সাথে মুখের কোনো সম্পর্ক নেই। এ জন্যই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর কোনো সাহাবী থেকেও নিয়্যাতের ব্যাপারে কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। পাক হওয়ার এবং সালাত শুরু করার সময় নিয়্যাতের নামে যেসব শব্দ তৈরী করা হয়েছে তা হলো খুতে খুতে লোকদের ধোঁকা দেয়ার জন্য শায়ত্বানের কুমন্ত্রণা। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন তখন বলতেন ‘আল্লাহু আকবার’ এবং তার আগে কিছু বলতেন না। নিয়্যাতের শব্দ উচ্চারণ করতেন না। এ কথাও বলতেন না যে, অমুক সালাত পড়ছি ক্বিবলাহর দিকে মুখ করে, চার রাক‘আত ইমাম হয়ে কিংবা মুক্তাদী হয়ে। এ কথাও না যে, এটা আদায় করছি বা কাযা করছি কিংবা ফারজ সালাত পড়ছি। সুতরাং এসব বিদ‘আত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিশুদ্ধ সনদে কিংবা দুর্বল সনদে অথবা মুসনাদ মুরসাল সনদেও এরূপ (নিয়্যাতনামা) কখনো বর্ণিত হয়নি। তাঁর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো সাহাবী থেকেও এর কোনো প্রমাণ নেই। কোনো তাবেঈ এবং চার ইমামও (নিয়্যাতনামা) পড়াকে পছন্দ করেননি। (দেখুন, ইগাসাতুল লুহফান ১/১৩৬, যাদুল মা‘আদ ১/৫১)।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اسْتَفْتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَبَعْدَ مَا يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ - وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ . وَأَكْثَرُ مَا كَانَ يَقُولُ وَبَعْدَ مَا يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ - وَلَا يَرْفَعُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ .
- صحيح : ق
Salim reported on the authority of his father (Ibn ‘Umar):
I saw the Messenger of Allah(ﷺ) that when he began prayer, he used to raise his hands opposite his shoulders, and he did so when he bowed, and raised his head after bowing. Sufyan(a narrator) once said: “When he raised his head:; and after he used to say: “When he raised his head after bowing. He would not raise (his hands) between the two prostrations."
পরিচ্ছেদঃ ১১৬. রাফ‘উল ইয়াদাইন (সালাতে দু’ হাত উত্তোলন)
৭২২। ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়ানোর সময় স্বীয় দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। তিনি তাকবীর বলে রুকু’তে গমনকালেও দু’ হাত উপরে উঠাতেন। রুকু’ থেকে উঠার সময়ও দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে ’’সামিআল্লাহু লিমান্ হামিদাহ্’’- বলতেন। তবে তিনি সিজদার সময় হাত উঠাতেন না। প্রত্যেক রুকুর জন্য তাকবীর বলার সময় দু’ হাত উঠাতেন এবং এভাবেই সালাত সম্পন্ন করতেন।[1]
সহীহ।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْدِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى تَكُونَا حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ كَبَّرَ وَهُمَا كَذَلِكَ فَيَرْكَعُ ثُمَّ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْفَعَ صُلْبَهُ رَفَعَهُمَا حَتَّى تَكُونَا حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ وَلَا يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي السُّجُودِ وَيَرْفَعُهُمَا فِي كُلِّ تَكْبِيرَةٍ يُكَبِّرُهَا قَبْلَ الرُّكُوعِ حَتَّى تَنْقَضِيَ صَلَاتُهُ .
- صحيح
‘Abd Allah b. Umar said:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to raise his hands opposite his shoulders when he began prayer, then he uttered takbir (Allah is most great) in the same condition, and then he bowed. And when he raised his back (head) after bowing he raised them opposite his shoulders, and said: “Allah listens to him who praises Him.” But he did not raise his hand when he prostrated himself; he rather raised them when he uttered the takbir (Allah is most great) before bowing until his prayer is finished.
পরিচ্ছেদঃ ১১৬. রাফ‘উল ইয়াদাইন (সালাতে দু’ হাত উত্তোলন)
৭২৩। আবূ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত আদায় করেছি। তিনি তাকবীর বলার সময় স্বীয় দু’ হাত উত্তোলন করতেন। অতঃপর স্বীয় হাত কাপড়ে ঢুকিয়ে ডান হাত দ্বারা বাম হাত ধরতেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি রুকু’তে গমনকালে স্বীয় দু’ হাত বের করে উপরে উঠাতেন এবং রুকু’ থেকে মাথা উঠানোর সময়ও দু’ হাত উপরে উঠাতেন। তারপর সিজদাতে স্বীয় চেহারা দু’ হাতের তালুর মধ্যবর্তী স্থানে রাখতেন। অতঃপর সিজদা্ থেকে মাথা উত্তোলনের সময়ও দু’ হাত উত্তোলন করতেন। এরূপে তিনি তাঁর সালাত শেষ করতেন।
বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ বলেন, আমি হাসান ইবনু হাসানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত আদায়ের পদ্ধতি এরূপই ছিল। যে লোক এর অনুসরণ করেছে- সে তো করেছে আর যে তা বর্জন করেছে- সে তো তা বর্জন করেছে।[1]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এই হাদীস ইবনু জাহাদাহ হতে হাম্মাদ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাতে সিজদা্ থেকে মাথা উঠানোর সময় হাত উত্তোলনের কথা উল্লেখ নেই।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ الْجُشَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ كُنْتُ غُلَامًا لَا أَعْقِلُ صَلَاةَ أَبِي قَالَ فَحَدَّثَنِي وَائِلُ بْنُ عَلْقَمَةَ عَنْ أَبِي وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَكَانَ إِذَا كَبَّرَ رَفَعَ يَدَيْهِ - قَالَ - ثُمَّ الْتَحَفَ ثُمَّ أَخَذَ شِمَالَهُ بِيَمِينِهِ وَأَدْخَلَ يَدَيْهِ فِي ثَوْبِهِ قَالَ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ أَخْرَجَ يَدَيْهِ ثُمَّ رَفَعَهُمَا وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَ يَدَيْهِ ثُمَّ سَجَدَ وَوَضَعَ وَجْهَهُ بَيْنَ كَفَّيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ أَيْضًا رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ . قَالَ مُحَمَّدٌ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلْحَسَنِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ فَقَالَ هِيَ صَلَاةُ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَعَلَهُ مَنْ فَعَلَهُ وَتَرَكَهُ مَنْ تَرَكَهُ .
- صحيح
قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ هَمَّامٌ عَنِ ابْنِ جُحَادَةَ لَمْ يَذْكُرِ الرَّفْعَ مَعَ الرَّفْعِ مِنَ السُّجُودِ
‘Abd al-Jabbar b. Wa’il (b.Hujr) said:
I was a small boy and I did not understand the prayer of my father. So Wa’Il b. ‘Alqamah reported Wa’il b. Hujr as saying: I offered prayer along with the Messenger of Allah (ﷺ). He used to raise his hands when he pronounced the takbir (Allah is most great), then pulled his garment around him, then placed his right hand on his left, and entered his hands in his garment. When he was about to bow he took his hands out of his garment, and then raised them. And when he raised his head after bowing, he raised his hands. He then prostrated himself and placed his face (forehead on the ground) between his hands. And when he raised his head after prostration, he also raised his hands until he finished his prayer. Muhammad (a narrator) said: I mentioned it to al-Hasan b. Abu al-Hasan who said: This is how the Messenger of Allah(ﷺ) offered prayer; some did it and others abandoned it.
Abu Dawud said: This tradition has been narrated by Hammam from ibn Juhadah, but he did not mention the raising of hands after he raised his head at the end of the prostration.
পরিচ্ছেদঃ ১১৬. রাফ‘উল ইয়াদাইন (সালাতে দু’ হাত উত্তোলন)
৭২৪। ’আবদুল জাববার ইবনু ওয়ায়িল থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তাঁর পিতা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাতে দাঁড়িয়ে স্বীয় দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত এবং বৃদ্ধাঙ্গুলিদ্বয় কর্ণদ্বয় পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবীর বলতে দেখেছেন।[1]
দুর্বল।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ النَّخَعِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ أَبْصَرَ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم حِينَ قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى كَانَتَا بِحِيَالِ مَنْكِبَيْهِ وَحَاذَى بِإِبْهَامَيْهِ أُذُنَيْهِ ثُمَّ كَبَّرَ .
- ضعيف
Wa’il b.Hujr said:
He saw that when the Prophet(ﷺ) stood up to pray he raised his hands till they were in front of his shoulders and placed his thumbs opposite his ears; then he uttered the Takbir (Allah is most great).
পরিচ্ছেদঃ ১১৬. রাফ‘উল ইয়াদাইন (সালাতে দু’ হাত উত্তোলন)
৭২৫। ’আবদুল জাব্বার ইবনু ওয়ায়িল বলেন, আমার পরিবারের লোকজন আমার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (আমার পিতা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাকবীর বলার সময় দু’ হাত উঠাতে দেখেছেন।[1]
সহীহ।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ - حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ وَائِلٍ، حَدَّثَنِي أَهْلُ، بَيْتِي عَنْ أَبِي أَنَّهُ، حَدَّثَهُمْ أَنَّهُ، رَأَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَرْفَعُ يَدَيْهِ مَعَ التَّكْبِيرَةِ .
- صحيح
Wa’il b.Hujr said that he saw the Messenger of Allah(ﷺ) raise his hands when he uttered the takbir (Allah is most great).
পরিচ্ছেদঃ ১১৬. রাফ‘উল ইয়াদাইন (সালাতে দু’ হাত উত্তোলন)
৭২৬। ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি অবশ্যই তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত আদায়ের পদ্ধতি দেখাব। তিনি বলেন, (তা হচ্ছে এরূপঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলে স্বীয় দু’ হাত কান পর্যন্ত উত্তোলন করেন। তারপর ডান হাত দিয়ে স্বীয় বাম হাত ধরেন এবং রুকু’তে গমনকালে স্বীয় দু’ হাত তদ্রুপ উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি তাঁর উভয় হাতকে হাঁটুদ্বয়ের উপর রাখেন। রুকু’ হতে মাথা উত্তোলনের সময়ও তিনি উভয় হাত ঐভাবে উত্তোলন করেন। এরপর তিনি তাঁর বাম পা বিছিয়ে দিলেন এবং বাম হাত বাম ঊরুর উপর এবং ডান হাত ডান ঊরুর উপর আলাদাভাবে রাখেন। অতঃপর তিনি তাঁর ডান হাতের কনিষ্ঠ ও অনামিকা অঙ্গুলিদ্বয় আবদ্ধ করে রাখেন এবং মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি বৃত্তাকার করেন এবং শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করেন। (বর্ণনাকারী বলেন), আমি তাকে এভাবে বলতে দেখেছি। আর বিশর নিজের মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা বৃত্তাকার করেন এবং শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করেন।[1]
সহীহ।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ قُلْتُ لأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم كَيْفَ يُصَلِّي قَالَ فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَكَبَّرَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا أُذُنَيْهِ ثُمَّ أَخَذَ شِمَالَهُ بِيَمِينِهِ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَهُمَا مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا مِثْلَ ذَلِكَ فَلَمَّا سَجَدَ وَضَعَ رَأْسَهُ بِذَلِكَ الْمَنْزِلِ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ ثُمَّ جَلَسَ فَافْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَحَدَّ مِرْفَقَهُ الأَيْمَنَ عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَقَبَضَ ثِنْتَيْنِ وَحَلَّقَ حَلْقَةً وَرَأَيْتُهُ يَقُولُ هَكَذَا . وَحَلَّقَ بِشْرٌ الإِبْهَامَ وَالْوُسْطَى وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَةِ
- صحيح
Narrated Wa'il ibn Hujr:
I purposely looked at the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ), how he offered it. The Messenger of Allah (ﷺ) stood up, faced the direction of the qiblah and uttered the takbir (Allah is most great) and then raised his hands in front of his ears, then placed his right hand on his left (catching each other).
When he was about to bow, he raised them in the same manner. He then placed his hands on his knees. When he raised his head after bowing, he raised them in the like manner. When he prostrated himself he placed his forehead between his hands.
He then sat down and spread his left foot and placed his left hand on his left thigh, and kept his right elbow aloof from his right thigh. He closed his two fingers and made a circle (with the fingers).
I (Asim ibn Kulayb) saw him (Bishr ibn al-Mufaddal) say in this manner. Bishr made the circle with the thumb and the middle finger and pointed with the forefinger.
পরিচ্ছেদঃ ১১৬. রাফ‘উল ইয়াদাইন (সালাতে দু’ হাত উত্তোলন)
৭২৭। ’আসিম হতে এই সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি ও জোড়া আঁকড়ে ধরেন। তার ডান হাতটি তার বাম তালু, কব্জি এবং বাহুর পেছনে (পিঠে) রেখেছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি কয়েক দিন পর সেখানে গিয়ে দেখলাম, সাহাবীগণ প্রচন্ড শীতের দরুণ শরীর আবৃত করে রেখেছেন। এ সময় তাঁদের হাতগুলো নিজ নিজ কাপড়ের নীচে নড়াচড়া করছিল (রফ’উল ইয়াদাইনের কারণে)।[1]
সহীহ।
লাল মার্ক করা অংশের অনুবাদে সঠিক না হবার কারনে তা সংশোধন করা হল। - হাদিসবিডি এডমিন
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ فِيهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ الْيُسْرَى وَالرُّسْغِ وَالسَّاعِدِ وَقَالَ فِيهِ ثُمَّ جِئْتُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي زَمَانٍ فِيهِ بَرْدٌ شَدِيدٌ فَرَأَيْتُ النَّاسَ عَلَيْهِمْ جُلُّ الثِّيَابِ تَحَرَّكُ أَيْدِيهِمْ تَحْتَ الثِّيَابِ .
- صحيح
The above tradition has been transmitted by ‘Asim b. Kulaib through a different chain of narrators and to the same effect. This version has:
“He then placed his right hand on the back of his left palm and his wrist and forearm.” This also adds: “I then came back afterwards in a season when it was severe cold. I saw the people putting on heavy clothes moving their hands under the clothes (i.e. raised their hands before and after bowing).”
পরিচ্ছেদঃ ১১৬. রাফ‘উল ইয়াদাইন (সালাতে দু’ হাত উত্তোলন)
৭২৮। ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাত আরম্ভকালে স্বীয় দু’ হাত নিজের কান পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি। বর্ণনাকারী বলেন, আমি কয়েক দিন পর সেখানে গিয়ে দেখলাম, সাহাবীগণ সালাত আরম্ভকালে তাদের হাতগুলো বুক পর্যন্ত উঠাচ্ছেন। এ সময় তাঁদের শরীর কোট ও অন্যান্য কাপড়ে আবৃত ছিল।[1]
সহীহ।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم حِينَ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حِيَالَ أُذُنَيْهِ - قَالَ - ثُمَّ أَتَيْتُهُمْ فَرَأَيْتُهُمْ يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ إِلَى صُدُورِهُمْ فِي افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ وَعَلَيْهِمْ بَرَانِسُ وَأَكْسِيَةٌ
- صحيح
Narrated Wa'il ibn Hujr:
I witnessed the Prophet (ﷺ) raise his hands in front of his ears when he began to pray. I then came back and saw them (the people) raising their hands up to their chest when they began to pray. They wore long caps and blankets.