আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১৫ টি

পরিচ্ছেদঃ ১৯. কৃত আমল ও না করা আমলের অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাওয়া

৬৬৬৪। ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... আসিম ইবনু কুলায়ব (রহঃ) এই সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এভাবে বলতে বলেছেনঃ "হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে হিদায়াত ও সঠিকতা কামনা করছি।" এরপর তিনি তার অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

باب التَّعَوُّذِ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلَ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ يَعْمَلْ

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ إِدْرِيسَ - أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ قُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالسَّدَادَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِهِ ‏.‏


This hadith has been narrated on the authority of 'Asim b. Kulaib with the same chain of transmitters that Allah's Messenger (ﷺ) said to me: Say:" O Allah, I beg of Thee righteousness and adhering to the straight path."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১২২. রাফউল ইয়াদাইন (নামাযের মধ্যে উভয় হাত উপরে উঠানো)

৭২৭. আল-হাসান ইবনু আলী ..... আসেম থেকে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় ডান হাত দ্বারা বাম হাতের কব্জি ও এর জোড়া আকড়িয়ে ধরেন। তার বাম তালু, কব্জি এবং বাহুর পেছনে (পিঠে) রেখেছিলেন। রাবী বলেন, অতঃপর আমি কিছুদিন পর সেখানে গিয়ে দেখতে পাই যে, সাহাবায়ে কিরাম অত্যধিক শীতের কারণে শরীর আবৃত করে রেখেছেন এবং তাদের হাতগুলো স্ব-স্ব কাপড়ের মধ্যে নড়াচড়া করছে।


লাল মার্ক করা অংশের অনুবাদে সঠিক না হবার কারনে তা সংশোধন করা হল। - হাদিসবিডি এডমিন

باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ فِيهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ الْيُسْرَى وَالرُّسْغِ وَالسَّاعِدِ وَقَالَ فِيهِ ثُمَّ جِئْتُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي زَمَانٍ فِيهِ بَرْدٌ شَدِيدٌ فَرَأَيْتُ النَّاسَ عَلَيْهِمْ جُلُّ الثِّيَابِ تَحَرَّكُ أَيْدِيهِمْ تَحْتَ الثِّيَابِ ‏.‏


The above tradition has been transmitted by ‘Asim b. Kulaib through a different chain of narrators and to the same effect. This version has: “He then placed his right hand on the back of his left palm and his wrist and forearm.” This also adds: “I then came back afterwards in a season when it was severe cold. I saw the people putting on heavy clothes moving their hands under the clothes (i.e. raised their hands before and after bowing).”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সোনা, রূপা এবং গণীমতের প্রথম মাল হতে অতিরিক্ত প্রদান প্রসংগে।

২৭৪৫. হান্নাদ (রহঃ) ..... ’আসিম ইবন কুলাইব (রহঃ) পূর্বোক্ত হাদীছের সনদ ও অর্থের অনুরূপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন।

باب فِي النَّفْلِ مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَمِنْ أَوَّلِ مَغْنَمٍ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ ‏.‏


The tradition mentioned above has also been transmitted by ‘Asim bin Kulaib through a different chain of narrators to the same effect.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮২. কুরবানীর পশুর বয়স কত হবে সে সম্পর্কে।

২৭৯০. হাসান ইবন ’আলী (রহঃ) ...... আসিম ইবন কুলায়ব (রাঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ একদা আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জনৈক সাহাবীর সঙ্গে ছিলাম, যার নাম ছিল মুজাশী’ এবং তিনি ছিলেন বনূ সুলায়ম গোত্রের অধিবাসী। হঠাৎ এক বছর বকরী প্রায় দুষ্প্রাপ্র হয়ে পড়লে তিনি একজন ঘোষককে এ মর্মে ঘোষণা দিতে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ ঐ ব্যাক্তির জন্য ছ’মাস বয়সের দুম্বা কুরবানী করা যথেষ্ট হবে, যার জন্য এক বছর বয়সের বকরী যবাহ করার দরকার ছিল (এক বছর বয়সের বকরী না পাওয়ার কারণে)।

باب مَا يَجُوزُ مِنَ السِّنِّ فِي الضَّحَايَا

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُقَالُ لَهُ مُجَاشِعٌ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ فَعَزَّتِ الْغَنَمُ فَأَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ الْجَذَعَ يُوَفِّي مِمَّا يُوَفِّي مِنْهُ الثَّنِيُّ ‏"


Narrated 'Asim b. Kulaib: On the authority of his father: We were with a man from the Companions of the Prophet (ﷺ) called Mujashi' who belonged to Banu Sulaim. There was a scarcity if goats (in those days). He commanded a man to announce (among the people); so he announced that the Messenger of Allah (ﷺ) used to say: A lamb may be given as full payent for that for which has full-grown animal is payment.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০/৭. যে ধরনের পশু কোরবানী করা উচিত

৩/৩১৪০। আসেম ইবনে কুলাইব (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সুলাইম গোত্রের মুজাশে (রাঃ) নামক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবীর সাথে ছিলাম। মেষ-বকরীর স্বল্পতা দেখা দিলে তিনি একজন ঘোষককে নির্দেশ দিলেন এবং তদনুযায়ী সে ঘোষণা করলোঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ এক বছর বয়সের বকরী দ্বারা যে কাজ হয় (কোরবানীর ক্ষেত্রে) ছয় মাস বয়সের মেষ দ্বারাও তা হতে পারে।

بَاب مَا تُجْزِئُ مِنْ الْأَضَاحِيِّ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُقَالُ لَهُ مُجَاشِعٌ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ فَعَزَّتِ الْغَنَمُ فَأَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ الْجَذَعَ يُوفِي مِمَّا تُوفِي مِنْهُ الثَّنِيَّةُ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from ‘Asim bin Kulaib that his father said: “We were with a man from among the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) who was called Mujashi’, from Banu Sulaim, and sheep became scarce. He ordered a caller to call out that the Messenger of Allah (ﷺ) used to say: ‘A Jadha’a suffices for whatever a two-year-old sheep suffices.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

৩৫৮৭. উকাবা ইবন মুকাররাম (রহঃ) ... আসিম ইবন কুলায়ব জারামী তৎপিতা, তৎপিতামহ শিহাব থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। তিনি তখন সালাত আদায় করছিলেন। তিনি (বসা অবস্থায়) তাঁর বাম হাত রেখেছিলেন তাঁর বাম উরুতে আর ডান হাত রেখেছিলেন তার ডান উরুতে এবং (ডান হাতের) আঙ্গুলগুলো বন্ধ করে তর্জনীটিকে সোজা রেখে বলছিলেনঃ (يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ)

এই বর্ণনায় হাদিসটি মুনকার, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৮৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি এই সূত্রে গারীব।

باب

حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُفْيَانَ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَعْدَانَ، أَخْبَرَنِي عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ الْجَرْمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي وَقَدْ وَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَقَبَضَ أَصَابِعَهُ وَبَسَطَ السَّبَّابَةَ وَهُوَ يَقُولُ ‏ "‏ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏


`Asim bin Kulaib Al-Jarmi narrated from his father, from his grandfather, who said: “I entered upon the Prophet (ﷺ) while he was praying and he had placed his left hand on his left thigh, and he had placed his right hand on his right thigh, and clasped his fingers, and extended his index finger, and he was saying: ‘O changer of the hearts, make my heart firm upon Your religion (Yā muqallibal-qulūbi thabbit qalbī `alā dīnik).’”


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১২৫. (হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী)

৩৫৮৭। আসিম ইবনু কুলাইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ আল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট গেলাম, তখন তিনি নামায আদায় করছিলেন। তিনি তার বাম হাত বাম উরুর উপর এবং ডান হাত ডান উরুর উপর রাখেন এবং তর্জনী উঠিয়ে অবশিষ্ট আঙ্গুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ করে রেখে বলেনঃ “হে অন্তরসমূহের ওলট-পালটকারী! তুমি আমার অন্তরকে তোমার দীনের উপর অটল রাখ"।

এই বর্ণনায় হাদীসটি মুনকার, দেখুন হাদীস নং (২৯১,.২৯২, ২১:২৮, ৩৩৫০)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি উক্ত সনদূত্রে গারীব।

باب

حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُفْيَانَ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَعْدَانَ، أَخْبَرَنِي عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ الْجَرْمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي وَقَدْ وَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَقَبَضَ أَصَابِعَهُ وَبَسَطَ السَّبَّابَةَ وَهُوَ يَقُولُ ‏ "‏ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏


`Asim bin Kulaib Al-Jarmi narrated from his father, from his grandfather, who said: “I entered upon the Prophet (ﷺ) while he was praying and he had placed his left hand on his left thigh, and he had placed his right hand on his right thigh, and clasped his fingers, and extended his index finger, and he was saying: ‘O changer of the hearts, make my heart firm upon Your religion (Yā muqallibal-qulūbi thabbit qalbī `alā dīnik).’”


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮. কৃত ‘আমল ও না করা আমলের খারাবী থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা

৬৮০৫-(…/...) ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আসিম ইবনু কুলায়ব (রাযিঃ) এ সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এ রকম বলতে বলেছেনঃ “আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল হুদা ওয়াস্ সাদা-দ", অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট হিদায়াত ও সরলপথ প্রার্থনা করছি।" অতঃপর তিনি তার মতই হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৬৬৪, ইসলামিক সেন্টার ৬৭১৭)

باب التَّعَوُّذِ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلَ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ يَعْمَلْ

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ إِدْرِيسَ - أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ قُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالسَّدَادَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِهِ ‏.‏


This hadith has been narrated on the authority of 'Asim b. Kulaib with the same chain of transmitters that Allah's Messenger (ﷺ) said to me: Say:" O Allah, I beg of Thee righteousness and adhering to the straight path."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯৪২-[৭৫] ’আসিম ইবনু কুলায়ব (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর পিতা হতে, তিনি (কুলায়ব) জনৈক আনসারী লোক হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে এক লোকের জানাযায় গেলাম। পরে আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ (সা.) কবরের কাছে উপস্থিত হয়ে কবর খননকারীকে নির্দেশ দিয়ে বলছেন, (এর কবরকে) পায়ের দিকে ও মাথার দিকে আরো প্রশস্ত কর। অতঃপর তিনি (সা.) দাফন কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরে আসলে মৃত লোকের (বিধবা) স্ত্রীর পক্ষ হতে এক লোক এসে নবী (সা.) -কে খাদ্যের দাওয়াত দিল। রাসূল (সা.) দাওয়াত গ্রহণ করলেন এবং তাঁর সঙ্গে আমরাও খেতে গেলাম। তাঁর সামনে খাদ্য আনা হলে তিনি তাতে হাত রাখলেন, অতঃপর লোকেরাও হাত বাড়িয়ে খেতে শুরু করল। এ সময় আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তিনি মাংসের একটি গ্রাসকে মুখের ভিতরে রেখে নাড়াচাড়া করছেন। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, এমন একটি বকরির মাংস বলে আমি একে অনুভব করছি, যা তার মালিকের অনুমতি ছাড়াই আনা হয়েছে। তখন মহিলাটি [রাসূল (সা.) -এর সন্দেহ জানতে পেরে] একজন লোক পাঠিয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! বকরি ক্রয় করার জন্য আমি এক লোককে নাকী বাজারে পাঠিয়েছিলাম। তা এমন একটি স্থান, যেখানে ভেড়া, বকরি ও দুম্বা ইত্যাদি বিক্রয় হয়; কিন্তু সেখানে কোন ভেড়া-বকরি পাওয়া যায়নি। অতঃপর আমার একজন প্রতিবেশীর কাছে পাঠালাম। সে নিজের জন্য একটি বকরি ক্রয় করেছিল। আমি এই বলে লোকটিকে পাঠিয়েছিলাম, সে যে দামে বকরিটি ক্রয় করেছে, ঠিক সেই দামেই বকরিটি যেন আমার জন্য পাঠিয়ে দেয়, কিন্তু সে ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। অতঃপর আমি তার স্ত্রীর কাছে লোক পাঠালাম। তখন তার স্ত্রী আমার জন্য বকরিটি পাঠিয়ে দিয়েছে (এটা সেই বকরিরই মাংস)। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, এ খাদ্যগুলো বন্দিদেরকে খাইয়ে দাও। (আবূ দাউদ ও বায়হাক্বী’র “দালায়িলুন নুবুওয়্যাহ্")

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جَنَازَةٍ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى الْقَبْرِ يُوصِي الْحَافِرَ يَقُولُ: «أَوْسِعْ مِنْ قِبَلِ رِجْلَيْهِ أَوْسِعْ مِنْ قِبَلِ رَأْسِهِ» فَلَمَّا رَجَعَ اسْتَقْبَلَهُ دَاعِيَ امْرَأَتِهِ فَأَجَابَ وَنَحْنُ مَعَه وَجِيء بِالطَّعَامِ فَوَضَعَ يَدَهُ ثُمَّ وَضَعَ الْقَوْمُ فَأَكَلُوا فَنَظَرْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يلوك لقْمَة فِي فَمه ثُمَّ قَالَ أَجِدُ لَحْمَ شَاةٍ أُخِذَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ أَهْلِهَا فَأَرْسَلَتِ الْمَرْأَةُ تَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَرْسَلْتُ إِلَى النَّقِيعِ وَهُوَ مَوْضِعٌ يُبَاعُ فِيهِ الْغَنَمُ لِيُشْتَرَى لِي شَاةٌ فَلَمْ تُوجَدْ فَأَرْسَلْتُ إِلَى جَارٍ لِي قَدِ اشْتَرَى شَاة أَن أرسل إِلَيّ بهَا بِثَمَنِهَا فَلَمْ يُوجَدْ فَأَرْسَلْتُ إِلَى امْرَأَتِهِ فَأَرْسَلَتْ إِلَيَّ بِهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَطْعِمِي هَذَا الطَّعَامَ الْأَسْرَى» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ والْبَيْهَقِيُّ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ

اسنادہ صحیح ، رواہ ابوداؤد (3332) [و عنہ] و البیھقی فی دلائل النبوۃ (6 / 310) * قولہ ’’ داعی امراتہ ‘‘ خطا من الناسخ اوغیرہ ، و الصواب :’’ داعی امراۃ ‘‘ کما فی سنن ابی داود وغیرہ ولو صح فمعناہ ’’ ای امراۃ الحافر ‘‘ و لا یدل ھذا اللفظ الی ما ذھب الیہ البریلویۃ و من و افقھم بان المراد منہ ’’ داعی امراۃ المیت ‘‘ و لم یاتو بای دلیل علی تحریفھم ھذا ! ۔
(صَحِيح)

ব্যাখ্যা: (فَأَكَلُوا) অর্থ- তারা খেল, মিরকাতের ভাষ্যকার মুল্লা আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, মৃতকে উপলক্ষ করে প্রস্তুতকৃত খাবারের ব্যাপারে ফুকাহায়ে কিরামের যে সকল মতামত রয়েছে বাহ্যিক দৃষ্টিতে এ হাদীস তার বিপরীত। যেমন “আল বাযযারিয়্যাহ্” কিতাবে লেখা আছে, মৃতের উত্তরাধিকারীদের পক্ষ থেকে প্রথম দিন তথা মৃত্যুর দিন অথবা তৃতীয় দিন অথবা সপ্তম দিন খানা খাওয়ানো মাকরূহ। তদ্রুপ “আল খুলাসাহ” গ্রন্থে উল্লেখ আছে, তৃতীয় দিন খানার ব্যবস্থা করা এবং মানুষকে উক্ত খাবারের দিকে আহ্বান করা বৈধ নয়।
‘আল্লামাহ যায়লা'ঈ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তিনদিন পর্যন্ত শোক পালনের জন্য বসে থাকাতে কোন ক্ষতি নেই। তবে শর্ত হলো নিষিদ্ধ কোন বিষয় যেন সংঘটিত না হয়, যেমন- খাবার প্রস্তুত করা এবং দা'ওয়াত ও যিয়াফাতের ব্যবস্থা করা।
ইবনু হুমাম (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, মৃত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনদের জন্য যিয়াফাতের ব্যবস্থা করা মাকরূহ। আর সকল ফক্বীহ তার কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যে, যিয়াফাত খুশির ক্ষেত্রে বৈধ, শোকের ক্ষেত্রে বৈধ নয়। তিনি আরো বলেন, মৃত্যের জন্য যে খাবার খাওয়ানো হয় তা বিদআতে সায়্যিআহ্।  ইমাম আহমাদ ও ইমাম ইবনু হিব্বান (রহিমাহুল্লাহ) সহীহ সনদে উল্লেখ করেছেন-
عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَنْدِ اللهِ الْبَجَلِيِّ قَالَ: كُنَّا نَعُدُّ الِا جْتِمَاعَ إِلَى أَهْلِ الْمَيِّتِ وَصَنِيعَةَ الطَّعَامِ بَعْدَ دَفْنِهِ مِنَ النِّيَا حَةِ.
জারীর ইবনু আবদুল্লাহ আল বাজালী (রাঃ) বলেন, দাফনের পর মৃতের ঘরে লোকজন একত্রিত হওয়া এবং মৃতের আত্মীয়স্বজনের পক্ষ থেকে খাবার পরিবেশনকে আমরা মৃতের জন্য বিলাপের অন্তর্ভুক্ত করতাম। (মুসনাদ আহমাদ ৬৯০৫)। (যা শরী'আতে কঠোরভাবে নিষেধ)।
কাযী খান (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, বিপদের দিন যিয়াফাত খাওয়ানো মাকরূহ। কেননা তা হলো দুঃখের দিন। অতএব ঐ দিনে এমন কাজ করা উচিত নয় যাতে আনন্দ প্রকাশ পায়। তবে যদি ফকীরদের খাবার ব্যবস্থা করা হয় তবে তা ভালো। মৃত্যুর পরে তিন দিন খাদ্য খাওয়ানোর ওয়াসিয়াত করা হলে তা বাত্বিল হবে। এটিই সঠিক মত।
(أَرْسَلْتُ إِلَى النَّقِيعِ) নাকী’ লেখা হয় নূন দিয়ে। আর এটা এমন একটা জায়গা যেখানে ছাগল বিক্রি করা হয়। অর্থাৎ- এ বাক্যটি মূলত বাক্যের অংশ নয়; বরং কোন বর্ণনাকারী নাক্বী'-এর বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বর্ণনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আল মুকদ্দিমাহ্ গ্রন্থে এসেছে আন নাক্বী হলো মদীনার পূর্ব দিকের একটি জায়গার নাম। আত্ তাহযীব গ্রন্থে এসেছে, নাকী মদীনাহ্ হতে ‘আক্বীক উপত্যকার দিকে প্রায় বিশ মাইল দূরত্বে অবস্থিত একটি জায়গার নাম। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।
(أَطْعِمِي هَذَا الطَّعَامَ الْأَسْرَى) “তুমি এ খাদ্যগুলো বন্দীদেরকে খাইয়ে দাও।” কারণ তারা ফকীর বা দরিদ্র লোক। আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তারা ছিল কাফির। খাদ্য হালাল হওয়ার জন্য যখন ছাগলের মালিককে পাওয়া যায়নি, আর সে খাবার নষ্টের ভয়ও ছিল, তাই সে খাদ্য তাদেরকে খাওয়ানোর দরকার হয়ে পড়েছিল। ফলে তিনি তাদেরকে খাওয়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর এটি নষ্ট করার কারণে তার উপর ছাগলের মূল্য দেয়া জরূরী ছিল। তাই এ খাবার খাওয়ানো তার থেকে সদাকাহ হলো। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩১. কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে গোসল করার নির্দেশ দেয়া

৩৫৬। ’উসাইম ইবনু কুলাইব তার পিতা হতে তার দাদার সূত্রে বর্ণনা করে বলেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে বললেন, আমি ইসলাম কবুল করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি কুফর অবস্থার চুল ফেলে দাও (মুন্ডন করো)। ’উসাইমের দাদা বলেন, আমাকে অন্য একজন বলেছেন, তার সাথে আরেকজন ছিল, তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কুফর অবস্থার চুল ফেলে দাও এবং খাতনা করে নাও।[1]

হাসান।

باب فِي الرَّجُلِ يُسْلِمُ فَيُؤْمَرُ بِالْغُسْلِ

حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أُخْبِرْتُ عَنْ عُثَيْمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَقَالَ : قَدْ أَسْلَمْتُ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم ‏"‏ أَلْقِ عَنْكَ شَعْرَ الْكُفْرِ "‏ ‏.‏ يَقُوْلُ احْلِقْ‏.‏ قَالَ : وَأَخْبَرَنِي آخَرُ أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ لآخَرَ مَعَهُ ‏"‏ أَلْقِ عَنْكَ شَعْرَ الْكُفْرِ وَاخْتَتِنْ ‏"‏ ‏.‏

- حسن


'Uthaim b. Kulaib reported from his father (Kuthair) on the authority of his grandfather (Kulaib) that he came to the Prophet (ﷺ): I have embraced Islam. The Prophet (ﷺ) said to him: Remove from yourself the hair that grew during of unbelief, saying "shave them". He further says that another person (other than the grandfather of 'Uthaim) reported to him that the Prophet (ﷺ) said to another person who accompanied him: Remove from yourself the hair that grew during the period of unbelief and get yourself circumcised.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৬. রাফ‘উল ইয়াদাইন (সালাতে দু’ হাত উত্তোলন)

৭২৭। ’আসিম হতে এই সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি ও জোড়া আঁকড়ে ধরেন। তার ডান হাতটি তার বাম তালু, কব্জি এবং বাহুর পেছনে (পিঠে) রেখেছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি কয়েক দিন পর সেখানে গিয়ে দেখলাম, সাহাবীগণ প্রচন্ড শীতের দরুণ শরীর আবৃত করে রেখেছেন। এ সময় তাঁদের হাতগুলো নিজ নিজ কাপড়ের নীচে নড়াচড়া করছিল (রফ’উল ইয়াদাইনের কারণে)।[1]

সহীহ।


লাল মার্ক করা অংশের অনুবাদে সঠিক না হবার কারনে তা সংশোধন করা হল। - হাদিসবিডি এডমিন

باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ فِيهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ الْيُسْرَى وَالرُّسْغِ وَالسَّاعِدِ وَقَالَ فِيهِ ثُمَّ جِئْتُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي زَمَانٍ فِيهِ بَرْدٌ شَدِيدٌ فَرَأَيْتُ النَّاسَ عَلَيْهِمْ جُلُّ الثِّيَابِ تَحَرَّكُ أَيْدِيهِمْ تَحْتَ الثِّيَابِ ‏.‏

- صحيح


The above tradition has been transmitted by ‘Asim b. Kulaib through a different chain of narrators and to the same effect. This version has: “He then placed his right hand on the back of his left palm and his wrist and forearm.” This also adds: “I then came back afterwards in a season when it was severe cold. I saw the people putting on heavy clothes moving their hands under the clothes (i.e. raised their hands before and after bowing).”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩৮. শত্রু এলাকায় খাদ্য ঘাটটি হলেও তা লুটপাট করা নিষেধ

২৭০৫। ’আসিম ইবনু কুলাইব (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি একজন আনসারীর নিকট থেকে বর্ণনা করেন যে, আনসার লোকটি বললেন, একদা ’আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে এক সফরে বের হই। লোকেরা ভীষণ খাদ্যকষ্টের শিকার হলো। ইতোমধ্যে কিছু সংখ্যক বকরী তাদের হস্তগত হয়। কিন্তু বণ্টনের পূর্বেই তারা সেগুলো লুণ্ঠন করে নেয়। আমাদের হাঁড়িগুলোতে মাংস টগবগ করে ফুটছিল। এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ধনুকে ভর দিয়ে এখানে উপস্থিত হলেন এবং ধনুক দিয়ে মাংসের হাঁড়ি উল্টিয়ে ফেলে দিয়ে তা বালির সাথে মিশিয়ে দিলেন। তিনি বললেনঃ এই লুটের মাল মৃত জন্তুর চেয়ে কিছু কম নয় অথবা বলেছেনঃ মৃত জন্তু এই লুটের মালের চেয়ে কিছু কম নয়।[1]

بَابٌ فِي النَّهْيِ عَنِ النُّهْبَى إِذَا كَانَ فِي الطَّعَامِ قِلَّةٌ فِي أَرْضِ الْعَدُوِّ

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ عَاصِمٍ يَعْنِي ابْنَ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ فَأَصَابَ النَّاسَ حَاجَةٌ شَدِيدَةٌ وَجَهْدٌ، وَأَصَابُوا غَنَمًا فَانْتَهَبُوهَا، فَإِنَّ قُدُورَنَا لَتَغْلِي إِذْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي عَلَى قَوْسِهِ، فَأَكْفَأَ قُدُورَنَا بِقَوْسِهِ، ثُمَّ جَعَلَ يُرَمِّلُ اللَّحْمَ بِالتُّرَابِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ النُّهْبَةَ لَيْسَتْ بِأَحَلَّ مِنَ الْمَيْتَةِ أَوْ إِنَّ الْمَيْتَةَ لَيْسَتْ بِأَحَلَّ مِنَ النُّهْبَةِ الشَّكُّ مِنْ هَنَّادٍ

صحيح


Narrated A man of the Ansar: Kulayb reported from a man of the Ansar. He said: We went out with the Messenger of Allah (ﷺ) on a journey. The people suffered from intense need and strain. They gained booty and then plundered it. While our pots were boiling the Messenger of Allah (ﷺ) came walking with his bow touching the ground. He turned over our pots with his bow and smeared the meat with the soil, and said: "Plunder is more unlawful than carrion," or he said: "Carrion is more unlawful than plunder." The narrator Hannad was doubtful.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. কুরবানীর পশুর বয়স কত হওয়া চাই

২৭৯৯। ’আসিম ইবনু কুলাইব (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (কুলাইব) বলেন, ’আমরা বনী সুলাইম গোত্রের মুজাশি নামক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক সাহাবীর সাথে ছিলাম। একবার বকরীর মূল্য অত্যধিক বৃদ্ধি পেলে তিনি ঘোষককে নির্দেশ দেয়ায় সে ঘোষণা করলো- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ এক বছর বয়সের ছাগলের স্থানে ছয়মাস বয়সের ভেড়া যথেষ্ট। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, তিনি মাসঊদের পুত্র মুজাশি (রাঃ)।[1]

بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ السِّنِّ فِي الضَّحَايَا

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَالُ لَهُ: مُجَاشِعٌ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ فَعَزَّتِ الْغَنَمُ، فَأَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ: إِنَّ الْجَذَعَ يُوَفِّي مِمَّا يُوَفِّي مِنْهُ الثَّنِيُّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهُوَ مُجَاشِعُ بْنُ مَسْعُودٍ

صحيح


Narrated 'Asim b. Kulaib: On the authority of his father: We were with a man from the Companions of the Prophet (ﷺ) called Mujashi' who belonged to Banu Sulaim. There was a scarcity if goats (in those days). He commanded a man to announce (among the people); so he announced that the Messenger of Allah (ﷺ) used to say: A lamb may be given as full payent for that for which has full-grown animal is payment. Abu Dawud said: His name is Mujashi' b. Mas'ud.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩. সন্দেহমূলক বস্তু পরিহার করা

৩৩৩২। ’আসিম ইবনু কুলাইব (রহঃ) থেকে তার পিতা থেকে (কুলাইব) গোত্রের জনৈক ব্যক্তির সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে এক ব্যক্তির জানাযায় অংশগ্রহণের জন্য রওয়ানা হলাম। আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের কাছে দাঁড়িয়ে খননকারীকে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ পায়ের দিকটা আরো প্রশস্ত করো, মাথার দিকটা আরো প্রশস্ত করো। তিনি সেখান থেকে ফিরতে উদ্যত হলে এক মহিলার পক্ষ থেকে দাওয়াত দানকারী এসে তাঁকে স্বাগত জানালেন। তিনি তার বাড়িতে এলে খাবার উপস্থিত করা হলো। তিনি খেতে শুরু করলে অন্যরাও খাওয়া শুরু করলো।

বর্ণনাকারী বলেন, আমাদের মুরববীরা লক্ষ্য করলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবারের একটি লোকমা মুখে তুলে তা নাড়াচাড়া করছেন। তিনি বললেনঃ আমার মনে হচ্ছে, বকরীর মালিকের অনুমতি ছাড়াই এটি নিয়ে আসা হয়েছে। মহিলাটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একটি বকরী কিনতে বাকী নামক বাজারে লোক পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে বকরী পাওয়া যায়নি। অতঃপর আমার প্রতিবেশীর কাছে এই বলে লোক পাঠালাম যে, তুমি যে বকরীটি কিনেছো তা তোমার ক্রয়মূল্যে আমাকে দিয়ে দাও। কিন্তু তাকেও (বাড়িতে) পাওয়া যায়নি। আমি তার স্ত্রীর কাছে লোক পাঠালে সে বকরীটিা পাঠিয়ে দেয়। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ মাংস বন্দীদেরকে খাওয়াও।[1]

بَابٌ فِي اجْتِنَابِ الشُّبُهَاتِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَجُلٍ، مِنَ الْأَنْصَارِ، قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جَنَازَةٍ، فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى الْقَبْرِ يُوصِي الْحَافِرَ: أَوْسِعْ مِنْ قِبَلِ رِجْلَيْهِ، أَوْسِعْ مِنْ قِبَلِ رَأْسِهِ، فَلَمَّا رَجَعَ اسْتَقْبَلَهُ دَاعِي امْرَأَةٍ فَجَاءَ وَجِيءَ بِالطَّعَامِ فَوَضَعَ يَدَهُ، ثُمَّ وَضَعَ الْقَوْمُ، فَأَكَلُوا، فَنَظَرَ آبَاؤُنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلُوكُ لُقْمَةً فِي فَمِهِ، ثُمَّ قَالَ: أَجِدُ لَحْمَ شَاةٍ أُخِذَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ أَهْلِهَا، فَأَرْسَلَتِ الْمَرْأَةُ، قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَرْسَلْتُ إِلَى الْبَقِيعِ يَشْتَرِي لِي شَاةً، فَلَمْ أَجِدْ فَأَرْسَلْتُ إِلَى جَارٍ لِي قَدِ اشْتَرَى شَاةً، أَنْ أَرْسِلْ إِلَيَّ بِهَا بِثَمَنِهَا، فَلَمْ يُوجَدْ، فَأَرْسَلْتُ إِلَى امْرَأَتِهِ فَأَرْسَلَتْ إِلَيَّ بِهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَطْعِمِيهِ الْأُسَارَى

صحيح


Asim ibn Kulayb quoted his father's authority for the following statement by one of the Ansar: We went out with the Messenger of Allah (ﷺ) to a funeral, and I saw the Messenger of Allah (ﷺ) at the grave giving this instruction to the grave-digger: Make it wide on the side of his feet, and make it wide on the side of his head. When he came back, he was received by a man who conveyed an invitation from a woman. So he came (to her), to it food was brought, and he put his hand (i.e. took a morsel in his hand); the people did the same and they ate. Our fathers noticed that the Messenger of Allah (ﷺ) was moving a morsel around his mouth. He then said: I find the flesh of a sheep which has been taken without its owner's permission. The woman sent a message to say: Messenger of Allah, I sent (someone) to an-Naqi' to have a sheep bought for me, but there was none; so I sent (a message) to my neighbour who had bought a sheep, asking him to send it to me for the price (he had paid), but he could not be found. I, therefore, sent (a message) to his wife and she sent it to me. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Give this food to the prisoners.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. রুকূ অবস্থায় দুই হাঁটুর মাঝখানে হাত রাখা রহিত হয়েছে এবং তা উভয় হাঁটুতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে

১২৫৩(২). মুহাম্মাদ ইবনুল কাসেম ইবনে যাকারিয়া (রহঃ) ... আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ) থেকে এই সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীস বর্ণিত। রাবী বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকবীর বলে তার দুই হাত উপরে উত্তোলন করেন। তিনি রুকূতে গিয়ে তার দুই হাতের পাতা একত্রে মিলিয়ে দুই হাঁটুর মাঝখানে রাখেন। এ খবর সা’দ (রাঃ)-এর কাছে পৌছলে তিনি বলেন, আমার ভাই সঠিক বলেছেন, আমরা তাই করতাম। অতঃপর আমাদেরকে এরূপ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তিনি (সা’দ) তার উভয় হাত উভয় হাঁটুতে রাখেন। এই হাদীসের সনদসূত্র সহীহ ও প্রমাণিত।

بَابُ ذِكْرِ نَسْخِ التَّطْبِيقِ ، وَالْأَمْرِ بِالْأَخْذِ بِالرُّكَبِ

ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ بْنِ زَكَرِيَّا ، ثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ ، ثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ : بِهَذَا ، وَقَالَ : فَكَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ ، فَلَمَّا رَكَعَ طَبَّقَ يَدَيْهِ بَيْنَ رُكْبَتَيْهِ ، فَبَلَغَ ذَلِكَ سَعْدًا ، فَقَالَ : صَدَقَ أَخِي ، كُنَّا نَفْعَلُ هَذَا ، ثُمَّ أُمِرْنَا بِهَذَا ، وَوَضَعَ الْكَفَّيْنِ عَلَى الرُّكْبَتَيْنِ . هَذَا إِسْنَادٌ ثَابِتٌ صَحِيحٌ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আসেম ইবনে কুলাইব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে