পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫১০. আবী কিলাবাহ হতে বর্ণিত, তিনি মারফু’ হিসেবে (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে) বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ শুরু করার সময় সেখানে উপস্থিত রইলো, সে যেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে বিজয় লাভের সময় উপস্থিত রইলো। আর যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ শেষ (খতম) করার সময় সেখানে উপস্থিত রইলো, সে যেন (জিহাদে প্রাপ্ত সম্পদ) গণিমত বন্টনের সময় উপস্থিত রইলো।”[1]
তাখরীজ: আবূ উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. নং ১০৭-১০৮; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৭৭; আরও দেখুন, সাখাবী, জামালুল কুর্রা’ ১/১১২।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا صَالِحٌ الْمُرِّيُّ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ رَفَعَهُ قَالَ مَنْ شَهِدَ الْقُرْآنَ حِينَ يُفْتَحُ فَكَأَنَّمَا شَهِدَ فَتْحًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَنْ شَهِدَ خَتْمَهُ حِينَ يُخْتَمُ فَكَأَنَّمَا شَهِدَ الْغَنَائِمَ تُقْسَمُ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫১১. কাতাদা (রহঃ) হতে বর্ণিত, মদীনার মসজিদে এক ব্যক্তি কুরআন পাঠ করছিল, তখন ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখছিলেন। এরপর যখন তার খতমের দিন এলো, তিনি দাঁড়িয়ে তার দিকে এগিয়ে গেলেন।[1]
তাখরীজ: আবূ উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. নং ১০৭-১০৮; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৭৭।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا صَالِحٌ الْمُرِّيُّ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ كَانَ رَجُلٌ يَقْرَأُ فِي مَسْجِدِ الْمَدِينَةِ وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَدْ وَضَعَ عَلَيْهِ الرَّصَدَ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ خَتْمِهِ قَامَ فَتَحَوَّلَ إِلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫১২. ছাবিত আল বুনানী (রহঃ) হতে বর্ণিত, আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যদি রাতে কুরআন খতমের নিকটবর্তী হতেন, তবে সকাল না হওয়া পর্যন্ত তা (কুরআন পাঠ) থেকে কিছুটা বাকী রাখতেন। এরপর সকাল হলে তিনি তার পরিবার-পরিজনদের একত্রিত করে তাদের সাথে নিয়ে তা খতম (শেষ) করতেন।[1]
তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৭৮।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا صَالِحٌ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ قَالَ كَانَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ إِذَا أَشْفَى عَلَى خَتْمِ الْقُرْآنِ بِاللَّيْلِ بَقَّى مِنْهُ شَيْئًا حَتَّى يُصْبِحَ فَيَجْمَعَ أَهْلَهُ فَيَخْتِمَهُ مَعَهُمْ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫১৩. ছাবিত আল বুনানী (রহঃ) হতে বর্ণিত, আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যখন কুরআন খতম করতেন, তখন তিনি তার সন্তান-সন্তুতি ও পরিবার-পরিজনদের একত্রিত করে তাদের জন্য দু’আ করতেন।[1]
তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ১/২৪২ নং ৬৭৪; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২০৭০; আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. ১০৯।
বাইহাকী, শুয়াব ২০৭১ এ এটি মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এর সনদে একাধিক অজ্ঞাত পরিচয় রাবী (মাজাহিল) রয়েছে।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ قَالَ كَانَ أَنَسٌ إِذَا خَتَمَ الْقُرْآنَ جَمَعَ وَلَدَهُ وَأَهْلَ بَيْتِهِ فَدَعَا لَهُمْ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫১৪. আওযাঈ হতে বর্ণিত, আব্দাহ বলেন, কোন লোক দিনের বেলায় কুরআন খতম করলে সন্ধ্যা পর্যন্ত মালাইকা (ফিরিশতা)-গণ তার জন্য রহমতের দু’আ করতে থাকে। আর রাতের বেলায় কুরআন খতম (শেষ) করলে সকাল পর্যন্ত মালাইকা (ফিরিশতা)-গণ তার জন্য রহমতের দু’আ করতে থাকে।[1]
তাখরীজ: আবূ নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৬/১১৩।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ عَبْدَةَ قَالَ إِذَا خَتَمَ الرَّجُلُ الْقُرْآنَ بِنَهَارٍ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ فَرَغَ مِنْهُ لَيْلًا صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ حَتَّى يُصْبِحَ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫১৫. যুরারাহ ইবনু আওফা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করা হল, আল্লাহ’র নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি? তিনি বললেন: “’আলহাল্লুল মুরতাহিলু।’ (যে ব্যক্তি গন্তেব্যে এসেই আবার রওনা হয়ে যায়।)” তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ’আলহাল্লুল মুরতাহিলু’ আবার কী? ”কুরআনের সাথী যে কুরআনের শুরু থেকেপড়ে খতম করে, আবার শেষ করেই শুরু থেকে পাঠ আরম্ভ করে। যখনই (শেষে) আগমণ করে, তখনই সে আবার রওনা হয়ে যায়।”[1]
তাখরীজ: তিরমিযী, কিরাআত নং ২৯৪৯; আব্দুর রহমান ইবনু আহমাদ আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৭৯; তাবারাণী, কাবীর ১২/১৬৮ নং ১২৭৮৩; আবূ নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ২/২৬০, ৬/১৭৪; হাকিম নং ২০৮৮, ২২৮৯; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২০৬৯; ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. নং ২৮৭; যাহাবী, মু’জামুশ শুয়ূখ ২/২৯১ সনদ যয়ীফ।
আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা হতে হাকিম নং ২০৯০ তে এর সনদও যয়ীফ।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ صَالِحٍ الْمُرِّيِّ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ أَيُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ قَالَ الْحَالُّ الْمُرْتَحِلُ قِيلَ وَمَا الْحَالُّ الْمُرْتَحِلُ قَالَ صَاحِبُ الْقُرْآنِ يَضْرِبُ مِنْ أَوَّلِ الْقُرْآنِ إِلَى آخِرِهِ وَمِنْ آخِرِهِ إِلَى أَوَّلِهِ كُلَّمَا حَلَّ ارْتَحَلَ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫১৬. আ’মাশ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম বলেন, কোন লোক দিনের বেলায় কুরআন খতম করলে সন্ধ্যা পর্যন্ত মালাইকা (ফিরিশতা)-গণ তার জন্য রহমতের দু’আ করতে থাকে। আর রাতের বেলায় কুরআন খতম (শেষ) করলে সকাল পর্যন্ত মালাইকা (ফিরিশতা)-গণ তার জন্য রহমতের দু’আ করতে থাকে।
সুলাইমান বলেন, এরপর আমার সাথীদেরকে আমি দেখেছি যে, তারা দিনের শুরুতে ও রাতের শুরুতে কুরআন খতম করতে আনন্দ বোধ করতেন।[1]
তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৫০, ৫১, ৫২, ৮০; আবূ উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. নং ১০৯ সহীহ সনদে। দেখুন,
বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২০৭৬। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى عَنْ جَرِيرٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ إِذَا قَرَأَ الرَّجُلُ الْقُرْآنَ نَهَارًا صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ قَرَأَهُ لَيْلًا صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ حَتَّى يُصْبِحَ قَالَ سُلَيْمَانُ فَرَأَيْتُ أَصْحَابَنَا يُعْجِبُهُمْ أَنْ يَخْتِمُوهُ أَوَّلَ النَّهَارِ وَأَوَّلَ اللَّيْلِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫১৭. (অপর সনদে) আ’মাশ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম (রহঃ) হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তাতে সুলাইমানের বক্তব্যটুকু নেই।[1]
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ مِثْلَهُ إِلَّا أَنَّهُ لَيْسَ فِيهِ قَوْلُ سُلَيْمَانَ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫১৮. আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব হতে বর্ণিত, মুহারিব ইবনু দীছার বলেন, যে ব্যক্তি তার অন্তরের অন্ত:স্থল হতে কুরআন পাঠ করবে, তবে সে দুনিয়ায় অথবা আখিরাতে একটি দু’আ লাভ করবে।[1]
তাখরীজ: এটি আমি আর কোথাও পাইনি।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا فَرْوَةُ بْنُ أَبِي الْمَغْرَاءِ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مَالِكٍ الْمُزَنِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ عَنْ ظَهْرِ قَلْبِهِ كَانَتْ لَهُ دَعْوَةٌ فِي الدُّنْيَا أَوْ فِي الْآخِرَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫১৯. ইয়াযীদ ইবনু আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত, তালহাহ ও আব্দুর রহমান ইবনুল আসওয়াদ উভয়ে বলেন: কোন লোক দিনে বা রাতে কুরআন পাঠ করলে রাত পর্যন্ত মালাইকা (ফিরিশতা)-গণ তার জন্য রহমতের দু’আ করতে থাকে। অপরজন বলেছেন: তাকে ক্ষমা করা হবে।[1]
আব্দুর রহমান ইবনুল আসওয়াদ-এর হাদীসটি বর্ণনা করেছেন: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২০৭৫ যয়ীফ সনদে। ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৯০ নং ১০০৮৮ সনদ মুনকাতি’, কখনো মু’দ্বাল। তবে তালহার হাদীসটি এর শাহিদ।
তালহার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৫৪ মাহফুজ হলে সনদ সহীহ।
আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৫/২৬; সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন খতম করে ….।” এর সনদ যয়ীফ।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ طَلْحَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ قَالَا مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ لَيْلًا أَوْ نَهَارًا صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ إِلَى اللَّيْلِ وَقَالَ الْآخَرُ غُفِرَ لَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫২০. ক্বাযায়াহ ইবনু সুওয়াইদ হতে বর্ণিত, হুমাইদ আল আ’রাজ বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এরপর দু’আ করে, চার হাজার মালাক (ফিরিশতা) তার দু’আ সংরক্ষণে নিয়োজিত থাকে।[1]
তাখরীজ: ((মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ দেননি।–অনুবাদক))
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا قَزَعَةُ بْنُ سُوَيْدٍ عَنْ حُمَيْدٍ الْأَعْرَجِ قَالَ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ ثُمَّ دَعَا أَمَّنَ عَلَى دُعَائِهِ أَرْبَعَةُ آلَافِ مَلَكٍ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫২১. শু’বাহ হতে বর্ণিত, হাকাম বলেন, মুজাহিদ আমার নিকট লোক পাঠিয়ে বললেন, আমরা কুরআন খতম করার ইচ্ছা করেছি, সেজন্য আপনাকে দাওয়াত করছি। আর আমাদের নিকট একথা পৌঁছেছে যে, কুরআন খতমের সময়কালীন দু’আ কবুল করা হয়।তিনি বলেন, তাহলে (কুরআন খতমের সময়) তোমরা বেশি বেশি দু’আ কর।[1]
তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৪৯; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২০৭২; আবূ উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. নং ১০৭; ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৯১ নং ১০০৮৯।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ بَعَثَ إِلَيَّ قَالَ إِنَّمَا دَعَوْنَاكَ أَنَّا أَرَدْنَا أَنْ نَخْتِمَ الْقُرْآنَ وَإِنَّهُ بَلَغَنَا أَنَّ الدُّعَاءَ يُسْتَجَابُ عِنْدَ خَتْمِ الْقُرْآنِ قَالَ فَدَعَوْا بِدَعَوَاتٍ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫২২. মুসআব ইবনু সা’দ হতে বর্ণিত, সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, কোন লোক রাতের প্রথমভাগে (সন্ধ্যায়) কুরআন খতম করলে সকাল পর্যন্ত মালাইকা (ফিরিশতা)-গণ তার জন্য রহমতের দু’আ করতে থাকে। আর রাতের শেষ ভাগে কুরআন খতম (শেষ) করলে সন্ধ্যা পর্যন্ত মালাইকা (ফিরিশতা)-গণ তার জন্য রহমতের দু’আ করতে থাকে। ফলে কখনো কখনো আমাদের মধ্যকার কারো (খতম করতে) কিছু অংশ বাকী থাকলে আমরা তা সন্ধ্যা পর্যন্ত পিছিয়ে দিতাম কিংবা সকাল পর্যন্ত।[1]আবূ মুহাম্মদ বলেন, সা’দ হতে এ হাদীসটি হাসান।
তাখরীজ: এটি আমি আর কোথাও পাইনি।
তবে নববী, হিলইয়াতুল আবরার পৃ: ১৮৩ তে একে দারেমীর প্রতি সন্বোন্ধিত করেছেন।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا هَارُونُ عَنْ عَنْبَسَةَ عَنْ لَيْثٍ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ سَعْدٍ قَالَ إِذَا وَافَقَ خَتْمُ الْقُرْآنِ أَوَّلَ اللَّيْلِ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ حَتَّى يُصْبِحَ وَإِنْ وَافَقَ خَتْمُهُ آخِرَ اللَّيْلِ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ حَتَّى يُمْسِيَ فَرُبَّمَا بَقِيَ عَلَى أَحَدِنَا الشَّيْءُ فَيُؤَخِّرَهُ حَتَّى يُمْسِيَ أَوْ يُصْبِحَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد هَذَا حَسَنٌ عَنْ سَعْدٍ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫২৩. সাফওয়ান ইবনু সুলাইম হতে বর্ণিত, আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) বলেন, কুরআন বহন করা (হিফজ করা) জান্নাত বাসীদের সুগন্ধি হবে।[1]
তাখরীজ: ((মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ দেননি।–অনুবাদক))
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا مَعْنٌ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُهَاجِرِ بْنِ مِسْمَارٍ ابْنِ أَخِي بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ حَدَّثَنِي صَفْوَانُ بْنُ سُلَيْمٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ حَمَلَةُ الْقُرْآنِ عُرَفَاءُ أَهْلِ الْجَنَّةِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫২৪. আব্দুল মালিক হতে বর্ণিত, সাঈদ ইবনু জুবাইর (রহঃ) প্রতি দু’রাতে কুরআন খতম করতেন।[1]
তাখরীজ: আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৩/২৭৩।
আবূ উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. নং ১৮২; ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. নং ২৫৮; সাঈদ ইবনু জুবাইর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বায়তুল হারামে এক রাকাআতে কুরআন খতম করতাম। সনদ সহীহ। দেখুন, ইবনু আবী শাইবা ২/৫০৩।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ أَنَّهُ كَانَ يَخْتِمُ الْقُرْآنَ كُلَّ لَيْلَتَيْنِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫২৫. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি কত দিনে কুরআন খতম করতে পারি? তিনি বললেন, “তুমি এক মাসে কুরআন খতম করো।” আমি (আরো অধিক) কষ্ট করতে সক্ষম। তিনি বললেন, তাহলে পঁচিশ দিনে খতম করো।” আমি (আরো অধিক) কষ্ট করতে সক্ষম। তিনি বললেন, “তাহলে বিশ দিনে খতম করো।” আমি (আরো অধিক) কষ্ট করতে সক্ষম। তিনি বললেন, “তাহলে পনেরো দিনে খতম করো।” আমি (আরো অধিক) কষ্ট করতে সক্ষম। তিনি বললেন, তাহলে দশ দিনে খতম করো।” আমি (আরো অধিক) কষ্ট করতে সক্ষম। তিনি বললেন, তাহলে পাঁচ দিনে খতম করো।” আমি (আরো অধিক) কষ্ট করতে সক্ষম। তিনি বললেন, “না” (এর কমে করো না)।[1]
তাখরীজ: আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৮৫৬, ৮৫৭ তে। এছাড়াও, নাসাঈ, ফাযাইলূল কুরআন নং ৯১; ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. নং ২৪৭।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مُطَرِّفٍ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فِي كَمْ أَخْتِمُ الْقُرْآنَ قَالَ اخْتِمْهُ فِي شَهْرٍ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُطِيقُ قَالَ اخْتِمْهُ فِي خَمْسٍ وَعِشْرِينَ قُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ قَالَ اخْتِمْهُ فِي عِشْرِينَ قُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ قَالَ اخْتِمْهُ فِي خَمْسَ عَشْرَةَ قُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ قَالَ اخْتِمْهُ فِي عَشْرٍ قُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ قَالَ اخْتِمْهُ فِي خَمْسٍ قُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ قَالَ لَا
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কুরআন খতম করা সম্পর্কে
৩৫২৬. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম r আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমি যেন তিনদিনের কম সময়ে কুরআন খতম না করি।[1]
তাখরীজ: এ শব্দে আমি এটি কোথাও পাইনি। তবে, আহমাদ ২/১৫৮ তে রয়েছে: “তবে প্রতি তিন দিনে খতম করো।’ এর সনদ যয়ীফ।
আবূ দাউদ, সালাত ১৩৯১; আবূ নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৪/১২২ তে রয়েছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “তুমি প্রতি তিন দিনে তা পাঠ (খতম) কর।” এর সনদ হাসান। আগের টীকাটি দেখুন।
আর “যে তিনদিনের কমে কুরআন খতম করবে, সে তা বুঝবে না।” শব্দে গত হয়েছে। সেখানে এর তাখরীজ দিয়েছি।
باب فِي خَتْمِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ رَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَا أَقْرَأَ الْقُرْآنَ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلَاثٍ