পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
৩৪১৯. আইফা’ ইবনু আব্দুল কালাঈ’ বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলো, কুরআনের কোন সূরাটি সবচেয়ে মহান? তিনি বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ।” (সুরা ইখলাস: ১)
লোকটি আবারও বলল, কুরআনের কোন্ আয়াতটি সবচেয়ে মহান? তিনি বললেন, “আয়াতুল কুরসী: (আল্লাহু লা ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া আলহাইয়্যূল ক্বইয়্যূম।” (সুরাহ বাক্বারাহ: ২৫৫)
লোকটি আবার বললো, হে আল্লাহর নবী! কোন্ আয়াতটির (বরকত) আপনি ও আপনার উম্মাত লাভ করুক- আপনি তা পছন্দ করেন? তিনি বলেন, “সূরা বাক্বারার শেষাংশ; কেননা, তা আল্লাহর আরশের নিচে অবস্থিত রহমতের ভাণ্ডারসমূহের অন্যতম, তা তিনি এ উম্মাতকে প্রদান করেছেন; আর দুনিয়া ও আখিরাতের এমন কোনো কল্যাণ নেই, যা এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত নেই।”[1]
তাখরীজ: ছুলিছিয়াত ৬১টির মধ্যে নং ১৫ দু’ উস্তাদের তাহক্বীক্বকৃত: ১. আলী রেযা ও আহমাদ আল বাযরাহ।
হাফিজ ইবনু হাজার তার ইসাবাহ ১/২২২ তে বলেন: ‘দারেমী তার সনদে বলেন,…। এটি মুরসাল … অথবা মু’দ্বাল।’
باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ حَدَّثَنِي أَيْفَعُ بْنُ عَبْدٍ الْكَلَاعِيُّ قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ سُورَةِ الْقُرْآنِ أَعْظَمُ قَالَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ قَالَ فَأَيُّ آيَةٍ فِي الْقُرْآنِ أَعْظَمُ قَالَ آيَةُ الْكُرْسِيِّ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ قَالَ فَأَيُّ آيَةٍ يَا نَبِيَّ اللَّهِ تُحِبُّ أَنْ تُصِيبَكَ وَأُمَّتَكَ قَالَ خَاتِمَةُ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فَإِنَّهَا مِنْ خَزَائِنِ رَحْمَةِ اللَّهِ مِنْ تَحْتِ عَرْشِهِ أَعْطَاهَا هَذِهِ الْأُمَّةَ لَمْ تَتْرُكْ خَيْرًا مِنْ خَيْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ إِلَّا اشْتَمَلَتْ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
৩৪২০. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী এক জ্বিনের সাথে সাক্ষাত হলে সে তার সাথে লড়াই করতে লাগলো ফলে তিনিও তার সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হন। তখন লোকটি জ্বিনটিকে বললো, আমি লক্ষ্য করছি, তুমি খুব সুক্ষ্ম, কৃশকায় এবং তোমার হাতদু’টিও যেন কুকুরের হাতের মতোই (কৃশকায়)। আর তোমরা জ্বিন জাতি কি এমনই, কেবল তাদের মধ্যে তুমিই এমন (হালকা-পাতলা)? সে বললো, না, আল্লাহর কসম, আমিই তাদের মধ্যে সুঠামদেহী। তবে তুমি আমাকে পুণরায় আক্রমণ করে দেখ। তখন যদি তুমি আমাকে পরাজিত করতে পার, তবে আমি তোমার জন্য উপকারী একটি বিষয় তোমাকে শিখিয়ে দেব। ফলে তিনি তাকে পুণরায় আক্রমণ করলেন এবং তাকে পরাজিত করলেন।
অত:পর তিনি বললেন, এবার তবে আমাকে তা শিখিয়ে দাও। সে বললো, আচ্ছা ঠিক আছে। সে বললো, তুমি কি পাঠ করো: “আল্লাহু লা- ইলা-হা ইল্লা-হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যূম।” (সুরা বাক্বারাঃ ১৫৫)? তিনি বললেন, হাঁ, তা করি। সে বললো, যখন তুমি তা কোনো বাড়িতে পাঠ করবে, তখন অবশ্যই শয়তান তা থেকে বের হয়ে যাবে। আর তা গাধার গন্ধ ছড়ানোর মতো গন্ধ ছড়াতে ছড়াতে বেরিয়ে যাবে। এরপর সকাল পর্যন্ত আর সেখানে প্রবেশ করবে না।[1]আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’যয়ীলু’ অর্থ সুক্ষ্ম বা পাতলা, ’শাখীতু’ অর্থ ’কৃশকায়’, ’যলীউ’ অর্থ বেশ শক্তিশালী’ এবং ’খাবাজু’ অর্থ গন্ধ।
তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ৯/১৮৩-১৮৪ নং ৮৮২৪, ৮৮২৬; সূয়ূতী দুররে মানসুর ১/২০ এ বলেন: ইবনু আবীদ দুনিয়া, মাকাইদুশ শাইতান অধ্যায়ে ইবনু মাসউদ হতে বর্ণনা করেছেন…।
باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا الشَّعْبِيُّ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ لَقِيَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ رَجُلًا مِنْ الْجِنِّ فَصَارَعَهُ فَصَرَعَهُ الْإِنْسِيُّ فَقَالَ لَهُ الْإِنْسِيُّ إِنِّي لَأَرَاكَ ضَئِيلًا شَخِيتًا كَأَنَّ ذُرَيِّعَتَيْكَ ذُرَيِّعَتَا كَلْبٍ فَكَذَلِكَ أَنْتُمْ مَعْشَرَ الْجِنِّ أَمْ أَنْتَ مِنْ بَيْنِهِمْ كَذَلِكَ قَالَ لَا وَاللَّهِ إِنِّي مِنْهُمْ لَضَلِيعٌ وَلَكِنْ عَاوِدْنِي الثَّانِيَةَ فَإِنْ صَرَعْتَنِي عَلَّمْتُكَ شَيْئًا يَنْفَعُكَ قَالَ نَعَمْ قَالَ تَقْرَأُ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّكَ لَا تَقْرَؤُهَا فِي بَيْتٍ إِلَّا خَرَجَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ لَهُ خَبَجٌ كَخَبَجِ الْحِمَارِ ثُمَّ لَا يَدْخُلُهُ حَتَّى يُصْبِحَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الضَّئِيلُ الدَّقِيقُ وَالشَّخِيتُ الْمَهْزُولُ وَالضَّلِيعُ جَيِّدُ الْأَضْلَاعِ وَالْخَبَجُ الرِّيحُ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
৩৪২১. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (বাড়িতে) রাতে সূরাহ বাক্বারার দশটি আয়াত পাঠ করবে, তবে শয়তান সেই রাতে সকাল পর্যন্ত আর ঐ বাড়িতে প্রবেশ করবে না। (আয়াত দশটি হলো:) প্রথম চারটি আয়াত, আয়াতুল কুরসী ও এর পরবর্তী দু’টি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত যার শুরু: لِلَّهِ مَا فِى السَّمَوَاتِ (“লিল্লাহি মা ফিস্ সামাওয়াতি… সুরা বাক্বারাহ: ২৮৪)[1]
তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ৯/ ১৪৭ নং ৮৬৭৩। পুর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী হাদীসগুলি দেখুন।
باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا أَبُو الْعُمَيْسِ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ مَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ لَمْ يَدْخُلْ ذَلِكَ الْبَيْتَ شَيْطَانٌ تِلْكَ اللَّيْلَةَ حَتَّى يُصْبِحَ أَرْبَعًا مِنْ أَوَّلِهَا وَآيَةُ الْكُرْسِيِّ وَآيَتَانِ بَعْدَهَا وَثَلَاثٌ خَوَاتِيمُهَا أَوَّلُهَا لِلَّهِ مَا فِي السَّمَوَاتِ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
৩৪২২. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (বাড়িতে) সূরাহ বাক্বারার প্রথম চারটি আয়াত, আয়াতুল কুরসী ও আয়াতুল কুরসীর পরবর্তী দু’টি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত পাঠ করবে, তবে শয়তান এবং তার অপছন্দনীয় কোনো কিছু সেই দিন তার ও তার পরিবারের নিকটবর্তী হবে না। আর এটি যদি কোনো উন্মাদ বা জ্বিনগ্রস্ত ব্যক্তির উপর পাঠ করা হয়, তবে সে অবশ্যই সুস্থ্যতা লাভ করবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৬৬, ১৭৯; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪১২। আগের টীকাটি দেখুন।
باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ أَرْبَعَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةَ الْكُرْسِيِّ وَآيَتَانِ بَعْدَ آيَةِ الْكُرْسِيِّ وَثَلَاثًا مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ لَمْ يَقْرَبْهُ وَلَا أَهْلَهُ يَوْمَئِذٍ شَيْطَانٌ وَلَا شَيْءٌ يَكْرَهُهُ وَلَا يُقْرَأْنَ عَلَى مَجْنُونٍ إِلَّا أَفَاقَ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
৩৪২৩. আবী ইসহাক এমন লোক হতে বর্ণনা করেছেন যিনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছেন, আমি জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন এমন কোনো ব্যক্তিকে দেখিনি যে ঘুমানোর সময় সূরা বাক্বারার শেষের এ সকল আয়াত গুলি না পড়ে। আর এগুলি হলো আরশের নিচের ধনভাণ্ডারের অন্যতম।[1]
তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৭৬ তে সহীহ সনদে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য হিসেবে। সূয়ূতী দুররে মানসুর ১/৩৭৮ এ বলেন: এটি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন‘দারেমী, ইবনু নাসর, ইবনু যরীস ও ইবনু মারদুবিয়াহ …।
باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَمَّنْ سَمِعَ عَلِيًّا يَقُولُ مَا كُنْتُ أَرَى أَنَّ أَحَدًا يَعْقِلُ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ هَؤُلَاءِ الْآيَاتِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَإِنَّهُنَّ لَمِنْ كَنْزٍ تَحْتَ الْعَرْشِ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
৩৪২৪. মুগীরা ইবনু সুবাঈ’ হতে বর্ণিত, যিনি আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সাথীদের একজন ছিলেন[1]- তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (রাতে) ঘুমানোর সময় সূরাহ বাক্বারার দশটি আয়াত পাঠ করবে, তবে সেই ব্যক্তি কুরআন ভুলে যাবে না (আয়াত দশটি হলো): এর প্রথম চারটি আয়াত, আয়াতুল কুরসী ও এর পরবর্তী দু’টি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত।[2]
ইসহাক বলেন, ’যা সে হিফজ’ (মুখস্ত) করেছে, তা ভূলে যাবে না।
আবূ মুহাম্মদ বলেন, তাদের কেউ কেউ বলেন, মুগীরাহ ইবনু সুমাঈ।
[2] তাহক্বীক্ব: এটির সনদ মুগীরাহ পর্যন্ত সহীহ। আর এটি তার উপর মাওকুফ।
তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪১৩, ২৪৭৩; সাঈদ ইবনু মানসূর ১৩৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৯৮; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৮৮২; আবূ নুয়াইম, যিকরু আখবারুল আসবাহান ১/২৩৩। তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি গারীব।’ বাইহাকী এটি অপর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যা পুর্বের চেয়েও অধিক দুর্বল।
باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ أَبِي سِنَانٍ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ سُبَيْعٍ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ الْبَقَرَةِ عِنْدَ مَنَامِهِ لَمْ يَنْسَ الْقُرْآنَ أَرْبَعُ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِهَا وَآيَةُ الْكُرْسِيِّ وَآيَتَانِ بَعْدَهَا وَثَلَاثٌ مِنْ آخِرِهَا قَالَ إِسْحَقُ لَمْ يَنْسَ مَا قَدْ حَفِظَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد مِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ الْمُغِيرَةُ بْنُ سُمَيْعٍ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
৩৪২৫. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসী, সুরাহ ফাতিহা এবং সূরা মু’মিনের “হা-মীম” থেকে “ইলাইহিল মাসীর” পর্যন্ত (১.২.৩ নং আয়াত) তিলাওয়াত করবে তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সে তার অপছন্দনীয় কোন কিছু দেখবে না। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তা পাঠ করবে সকাল পর্যন্ত সে তার অপছন্দনীয় কোন কিছু দেখবে না।[1]
তাখরীজ: ((মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ দেননি। তবে আমরা ফাতহুল মান্নান হা/ ৩৬৫১ হতে সংযোজন করলাম: তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন নং ২৮৭৯ এবং তিনি বলেন, এ হাদীসটি গারীব।’ বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৯৮; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪৭৩।
باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْمُلَيْكِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَرَأَ آيَةَ الْكُرْسِيِّ وَفَاتِحَةَ حم الْمُؤْمِنِ إِلَى قَوْلِهِ إِلَيْهِ الْمَصِيرُ لَمْ يَرَ شَيْئًا يَكْرَهُهُ حَتَّى يُمْسِيَ وَمَنْ قَرَأَهَا حِينَ يُمْسِي لَمْ يَرَ شَيْئًا يَكْرَهُهُ حَتَّى يُصْبِحَ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
৩৪২৬. নু’মান ইবন বাশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহ তা’আলা একটি কিতাব লিপিবদ্ধ করেছেন। এর থেকে তিনি দুটো আয়াত নাযিল করেছেন, যে দুটোর মাধ্যমেই তিনি সূরা বাকারা শেষ করেছেন। যে বাড়িতে তিন রাত তা পাঠ করা হবে শয়তান সে বাড়ির নিকটবর্তী হবে না।”[1]
তাখরীজ: আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৩২; হাকিম নং ২০৬৫।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৮২ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৭২৬ তে।
এছাড়াও, আহমাদ ৪/২৭৪; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৮৮২; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৬৭; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪০০।
باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَرْمِيُّ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ بِأَلْفَيْ عَامٍ فَأَنْزَلَ مِنْهُ آيَتَيْنِ خَتَمَ بِهِمَا سُورَةَ الْبَقَرَةِ وَلَا تُقْرَآنِ فِي دَارٍ ثَلَاثَ لَيَالٍ فَيَقْرَبُهَا شَيْطَانٌ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
৩৪২৭. আবূ মাস’ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ যদি রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, সেদু’টিই তার জন্য যথেষ্ট হবে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, ফাযাইলূল কুরআন নং ৫০০৯; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৮০৭।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৮১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৫৭ তে।
এছাড়াও, ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৬১; নাসাঈ, ফাযাইলূল কুরআন নং ২৮, ২৯, ৪৩; আব্দুর রাযযাক নং ৬০২০;
باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَرَأَ الْآيَتَيْنِ الْآخِرَتَيْنِ مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
৩৪২৮. আসমা বিনতে ইয়াযীদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহর মহান নাম (ইসমে আযম) এই দু’ আয়াতের মধ্যে নিহিত আছে: (অনুবাদ): “আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী।” (বাক্বারাঃ ২৫৫) এবং ’’আর তোমাদের ইলাহ একমাত্র ইলাহ।’’ (২: ১৬৩)[1]
তাখরীজ: আহমাদ, আল মুসনাদ ৬/৪৬১; ইবনু আবী শাইবা ১০/২৭২ নং ৯৪১২; ইবনু মাজাহ, দু’আ ৩৮৫৫; আবূ দাউদ, সালাত ১৪৯৬; তিরমিযী, দাওয়াত নং ৩৪৭২; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৮২; তাহাবী, মুশকিলীল আছার ১/৬৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১২৬১; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৩৮৩।
باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْمُ اللَّهِ الْأَعْظَمُ فِي هَاتَيْنِ الْآيَتَيْنِ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
৩৪২৯. জুবাইর ইবনু নুফাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ সুরাহ বাক্বারাহ সমাপ্ত করেছেন এমন দু’টি আয়াত দ্বারা যা আমাকে প্রদান করা হয়েছে তাঁর আরশের নিচের ভাণ্ডার হতে। ফলে তোমরা এ আয়াত দু’টি শিক্ষা কর এবং তোমাদের নারীদেরকে শিখাও, কেননা, এ হলো রহমত, কুরআন এবং দু’আ।”[1]
তাখরীজ: আবূ দাউদ, মারাসীল নং ৯১; হাকিম নং ২০৬৭; তিবরিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭৪ মুরসাল হিসেবে।
আর হাকিম নং ২০৬৬ ও বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪০৩ তে আবী যার হতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে, যয়ীফ সনদে মুত্তাসিল হিসেবে।
মুসলিম হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন: “আমাকে সুরা বাক্বারার শেষাংশ দেওয়া হয়েছে আরশের নিচের ভাণ্ডার হতে।”
আমরা বলছি: এটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৫/৩৮৩ ও ১৫১, ১৮০; ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন ৫৩; নাসাঈ,ফাযাইলূল কুরআন নং ৪৭; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৩৯৯। এটি গত হয়েছে নং ৩৪১৫ তে।
باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا مُجَاهِدٌ هُوَ ابْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا مَعْنٌ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ خَتَمَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ بِآيَتَيْنِ أُعْطِيتُهُمَا مِنْ كَنْزِهِ الَّذِي تَحْتَ الْعَرْشِ فَتَعَلَّمُوهُنَّ وَعَلِّمُوهُنَّ نِسَاءَكُمْ فَإِنَّهُمَا صَلَاةٌ وَقُرْآنٌ وَدُعَاءٌ