পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪১৯. আইফা’ ইবনু আব্দুল কালাঈ’ বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলো, কুরআনের কোন সূরাটি সবচেয়ে মহান? তিনি বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ।” (সুরা ইখলাস: ১)

লোকটি আবারও বলল, কুরআনের কোন্ আয়াতটি সবচেয়ে মহান? তিনি বললেন, “আয়াতুল কুরসী: (আল্লাহু লা ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া আলহাইয়্যূল ক্বইয়্যূম।” (সুরাহ বাক্বারাহ: ২৫৫)

লোকটি আবার বললো, হে আল্লাহর নবী! কোন্ আয়াতটির (বরকত) আপনি ও আপনার উম্মাত লাভ করুক- আপনি তা পছন্দ করেন? তিনি বলেন, “সূরা বাক্বারার শেষাংশ; কেননা, তা আল্লাহর আরশের নিচে অবস্থিত রহমতের ভাণ্ডারসমূহের অন্যতম, তা তিনি এ উম্মাতকে প্রদান করেছেন; আর দুনিয়া ও আখিরাতের এমন কোনো কল্যাণ নেই, যা এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত নেই।”[1]

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ حَدَّثَنِي أَيْفَعُ بْنُ عَبْدٍ الْكَلَاعِيُّ قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ سُورَةِ الْقُرْآنِ أَعْظَمُ قَالَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ قَالَ فَأَيُّ آيَةٍ فِي الْقُرْآنِ أَعْظَمُ قَالَ آيَةُ الْكُرْسِيِّ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ قَالَ فَأَيُّ آيَةٍ يَا نَبِيَّ اللَّهِ تُحِبُّ أَنْ تُصِيبَكَ وَأُمَّتَكَ قَالَ خَاتِمَةُ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فَإِنَّهَا مِنْ خَزَائِنِ رَحْمَةِ اللَّهِ مِنْ تَحْتِ عَرْشِهِ أَعْطَاهَا هَذِهِ الْأُمَّةَ لَمْ تَتْرُكْ خَيْرًا مِنْ خَيْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ إِلَّا اشْتَمَلَتْ عَلَيْهِ

حدثنا ابو المغيرة حدثنا صفوان حدثني ايفع بن عبد الكلاعي قال قال رجل يا رسول الله اي سورة القران اعظم قال قل هو الله احد قال فاي اية في القران اعظم قال اية الكرسي الله لا اله الا هو الحي القيوم قال فاي اية يا نبي الله تحب ان تصيبك وامتك قال خاتمة سورة البقرة فانها من خزاىن رحمة الله من تحت عرشه اعطاها هذه الامة لم تترك خيرا من خير الدنيا والاخرة الا اشتملت عليه

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২০. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী এক জ্বিনের সাথে সাক্ষাত হলে সে তার সাথে লড়াই করতে লাগলো ফলে তিনিও তার সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হন। তখন লোকটি জ্বিনটিকে বললো, আমি লক্ষ্য করছি, তুমি খুব সুক্ষ্ম, কৃশকায় এবং তোমার হাতদু’টিও যেন কুকুরের হাতের মতোই (কৃশকায়)। আর তোমরা জ্বিন জাতি কি এমনই, কেবল তাদের মধ্যে তুমিই এমন (হালকা-পাতলা)? সে বললো, না, আল্লাহর কসম, আমিই তাদের মধ্যে সুঠামদেহী। তবে তুমি আমাকে পুণরায় আক্রমণ করে দেখ। তখন যদি তুমি আমাকে পরাজিত করতে পার, তবে আমি তোমার জন্য উপকারী একটি বিষয় তোমাকে শিখিয়ে দেব। ফলে তিনি তাকে পুণরায় আক্রমণ করলেন এবং তাকে পরাজিত করলেন।

অত:পর তিনি বললেন, এবার তবে আমাকে তা শিখিয়ে দাও। সে বললো, আচ্ছা ঠিক আছে। সে বললো, তুমি কি পাঠ করো: “আল্লাহু লা- ইলা-হা ইল্লা-হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যূম।” (সুরা বাক্বারাঃ ১৫৫)? তিনি বললেন, হাঁ, তা করি। সে বললো, যখন তুমি তা কোনো বাড়িতে পাঠ করবে, তখন অবশ্যই শয়তান তা থেকে বের হয়ে যাবে। আর তা গাধার গন্ধ ছড়ানোর মতো গন্ধ ছড়াতে ছড়াতে বেরিয়ে যাবে। এরপর সকাল পর্যন্ত আর সেখানে প্রবেশ করবে না।[1]আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’যয়ীলু’ অর্থ সুক্ষ্ম বা পাতলা, ’শাখীতু’ অর্থ ’কৃশকায়’, ’যলীউ’ অর্থ বেশ শক্তিশালী’ এবং ’খাবাজু’ অর্থ গন্ধ।

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا الشَّعْبِيُّ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ لَقِيَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ رَجُلًا مِنْ الْجِنِّ فَصَارَعَهُ فَصَرَعَهُ الْإِنْسِيُّ فَقَالَ لَهُ الْإِنْسِيُّ إِنِّي لَأَرَاكَ ضَئِيلًا شَخِيتًا كَأَنَّ ذُرَيِّعَتَيْكَ ذُرَيِّعَتَا كَلْبٍ فَكَذَلِكَ أَنْتُمْ مَعْشَرَ الْجِنِّ أَمْ أَنْتَ مِنْ بَيْنِهِمْ كَذَلِكَ قَالَ لَا وَاللَّهِ إِنِّي مِنْهُمْ لَضَلِيعٌ وَلَكِنْ عَاوِدْنِي الثَّانِيَةَ فَإِنْ صَرَعْتَنِي عَلَّمْتُكَ شَيْئًا يَنْفَعُكَ قَالَ نَعَمْ قَالَ تَقْرَأُ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّكَ لَا تَقْرَؤُهَا فِي بَيْتٍ إِلَّا خَرَجَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ لَهُ خَبَجٌ كَخَبَجِ الْحِمَارِ ثُمَّ لَا يَدْخُلُهُ حَتَّى يُصْبِحَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الضَّئِيلُ الدَّقِيقُ وَالشَّخِيتُ الْمَهْزُولُ وَالضَّلِيعُ جَيِّدُ الْأَضْلَاعِ وَالْخَبَجُ الرِّيحُ

حدثنا ابو نعيم حدثنا ابو عاصم الثقفي حدثنا الشعبي قال قال عبد الله بن مسعود لقي رجل من اصحاب محمد رجلا من الجن فصارعه فصرعه الانسي فقال له الانسي اني لاراك ضىيلا شخيتا كان ذريعتيك ذريعتا كلب فكذلك انتم معشر الجن ام انت من بينهم كذلك قال لا والله اني منهم لضليع ولكن عاودني الثانية فان صرعتني علمتك شيىا ينفعك قال نعم قال تقرا الله لا اله الا هو الحي القيوم قال نعم قال فانك لا تقروها في بيت الا خرج منه الشيطان له خبج كخبج الحمار ثم لا يدخله حتى يصبح قال ابو محمد الضىيل الدقيق والشخيت المهزول والضليع جيد الاضلاع والخبج الريح

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২১. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (বাড়িতে) রাতে সূরাহ বাক্বারার দশটি আয়াত পাঠ করবে, তবে শয়তান সেই রাতে সকাল পর্যন্ত আর ঐ বাড়িতে প্রবেশ করবে না। (আয়াত দশটি হলো:) প্রথম চারটি আয়াত, আয়াতুল কুরসী ও এর পরবর্তী দু’টি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত যার শুরু: لِلَّهِ مَا فِى السَّمَوَاتِ (“লিল্লাহি মা ফিস্ সামাওয়াতি… সুরা বাক্বারাহ: ২৮৪)[1]

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا أَبُو الْعُمَيْسِ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ مَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ لَمْ يَدْخُلْ ذَلِكَ الْبَيْتَ شَيْطَانٌ تِلْكَ اللَّيْلَةَ حَتَّى يُصْبِحَ أَرْبَعًا مِنْ أَوَّلِهَا وَآيَةُ الْكُرْسِيِّ وَآيَتَانِ بَعْدَهَا وَثَلَاثٌ خَوَاتِيمُهَا أَوَّلُهَا لِلَّهِ مَا فِي السَّمَوَاتِ

حدثنا جعفر بن عون اخبرنا ابو العميس عن الشعبي قال قال عبد الله من قرا عشر ايات من سورة البقرة في ليلة لم يدخل ذلك البيت شيطان تلك الليلة حتى يصبح اربعا من اولها واية الكرسي وايتان بعدها وثلاث خواتيمها اولها لله ما في السموات

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২২. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (বাড়িতে) সূরাহ বাক্বারার প্রথম চারটি আয়াত, আয়াতুল কুরসী ও আয়াতুল কুরসীর পরবর্তী দু’টি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত পাঠ করবে, তবে শয়তান এবং তার অপছন্দনীয় কোনো কিছু সেই দিন তার ও তার পরিবারের নিকটবর্তী হবে না। আর এটি যদি কোনো উন্মাদ বা জ্বিনগ্রস্ত ব্যক্তির উপর পাঠ করা হয়, তবে সে অবশ্যই সুস্থ্যতা লাভ করবে।[1]

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ أَرْبَعَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةَ الْكُرْسِيِّ وَآيَتَانِ بَعْدَ آيَةِ الْكُرْسِيِّ وَثَلَاثًا مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ لَمْ يَقْرَبْهُ وَلَا أَهْلَهُ يَوْمَئِذٍ شَيْطَانٌ وَلَا شَيْءٌ يَكْرَهُهُ وَلَا يُقْرَأْنَ عَلَى مَجْنُونٍ إِلَّا أَفَاقَ

اخبرنا عمرو بن عاصم حدثنا حماد عن عاصم عن الشعبي عن ابن مسعود قال من قرا اربع ايات من اول سورة البقرة واية الكرسي وايتان بعد اية الكرسي وثلاثا من اخر سورة البقرة لم يقربه ولا اهله يومىذ شيطان ولا شيء يكرهه ولا يقران على مجنون الا افاق

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৩. আবী ইসহাক এমন লোক হতে বর্ণনা করেছেন যিনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছেন, আমি জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন এমন কোনো ব্যক্তিকে দেখিনি যে ঘুমানোর সময় সূরা বাক্বারার শেষের এ সকল আয়াত গুলি না পড়ে। আর এগুলি হলো আরশের নিচের ধনভাণ্ডারের অন্যতম।[1]

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَمَّنْ سَمِعَ عَلِيًّا يَقُولُ مَا كُنْتُ أَرَى أَنَّ أَحَدًا يَعْقِلُ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ هَؤُلَاءِ الْآيَاتِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَإِنَّهُنَّ لَمِنْ كَنْزٍ تَحْتَ الْعَرْشِ

حدثنا سعيد بن عامر عن شعبة عن ابي اسحق عمن سمع عليا يقول ما كنت ارى ان احدا يعقل ينام حتى يقرا هولاء الايات من اخر سورة البقرة وانهن لمن كنز تحت العرش

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ইসহাক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৪. মুগীরা ইবনু সুবাঈ’ হতে বর্ণিত, যিনি আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সাথীদের একজন ছিলেন[1]- তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (রাতে) ঘুমানোর সময় সূরাহ বাক্বারার দশটি আয়াত পাঠ করবে, তবে সেই ব্যক্তি কুরআন ভুলে যাবে না (আয়াত দশটি হলো): এর প্রথম চারটি আয়াত, আয়াতুল কুরসী ও এর পরবর্তী দু’টি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত।[2]

ইসহাক বলেন, ’যা সে হিফজ’ (মুখস্ত) করেছে, তা ভূলে যাবে না।

আবূ মুহাম্মদ বলেন, তাদের কেউ কেউ বলেন, মুগীরাহ ইবনু সুমাঈ।

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ أَبِي سِنَانٍ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ سُبَيْعٍ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ الْبَقَرَةِ عِنْدَ مَنَامِهِ لَمْ يَنْسَ الْقُرْآنَ أَرْبَعُ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِهَا وَآيَةُ الْكُرْسِيِّ وَآيَتَانِ بَعْدَهَا وَثَلَاثٌ مِنْ آخِرِهَا قَالَ إِسْحَقُ لَمْ يَنْسَ مَا قَدْ حَفِظَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد مِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ الْمُغِيرَةُ بْنُ سُمَيْعٍ

حدثنا اسحق بن عيسى عن ابي الاحوص عن ابي سنان عن المغيرة بن سبيع وكان من اصحاب عبد الله قال من قرا عشر ايات من البقرة عند منامه لم ينس القران اربع ايات من اولها واية الكرسي وايتان بعدها وثلاث من اخرها قال اسحق لم ينس ما قد حفظ قال ابو محمد منهم من يقول المغيرة بن سميع

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৫. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসী, সুরাহ ফাতিহা এবং সূরা মু’মিনের “হা-মীম” থেকে “ইলাইহিল মাসীর” পর্যন্ত (১.২.৩ নং আয়াত) তিলাওয়াত করবে তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সে তার অপছন্দনীয় কোন কিছু দেখবে না। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তা পাঠ করবে সকাল পর্যন্ত সে তার অপছন্দনীয় কোন কিছু দেখবে না।[1]

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْمُلَيْكِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَرَأَ آيَةَ الْكُرْسِيِّ وَفَاتِحَةَ حم الْمُؤْمِنِ إِلَى قَوْلِهِ إِلَيْهِ الْمَصِيرُ لَمْ يَرَ شَيْئًا يَكْرَهُهُ حَتَّى يُمْسِيَ وَمَنْ قَرَأَهَا حِينَ يُمْسِي لَمْ يَرَ شَيْئًا يَكْرَهُهُ حَتَّى يُصْبِحَ

حدثنا اسحق بن عيسى عن ابي معاوية عن عبد الرحمن بن ابي بكر المليكي عن ابي سلمة عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قرا اية الكرسي وفاتحة حم المومن الى قوله اليه المصير لم ير شيىا يكرهه حتى يمسي ومن قراها حين يمسي لم ير شيىا يكرهه حتى يصبح

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৬. নু’মান ইবন বাশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহ তা’আলা একটি কিতাব লিপিবদ্ধ করেছেন। এর থেকে তিনি দুটো আয়াত নাযিল করেছেন, যে দুটোর মাধ্যমেই তিনি সূরা বাকারা শেষ করেছেন। যে বাড়িতে তিন রাত তা পাঠ করা হবে শয়তান সে বাড়ির নিকটবর্তী হবে না।”[1]

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَرْمِيُّ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ بِأَلْفَيْ عَامٍ فَأَنْزَلَ مِنْهُ آيَتَيْنِ خَتَمَ بِهِمَا سُورَةَ الْبَقَرَةِ وَلَا تُقْرَآنِ فِي دَارٍ ثَلَاثَ لَيَالٍ فَيَقْرَبُهَا شَيْطَانٌ

حدثنا عفان حدثنا حماد بن سلمة اخبرنا اشعث بن عبد الرحمن الجرمي عن ابي قلابة عن ابي الاشعث الصنعاني عن النعمان بن بشير ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الله كتب كتابا قبل ان يخلق السموات والارض بالفي عام فانزل منه ايتين ختم بهما سورة البقرة ولا تقران في دار ثلاث ليال فيقربها شيطان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৭. আবূ মাস’ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ যদি রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, সেদু’টিই তার জন্য যথেষ্ট হবে।”[1]

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَرَأَ الْآيَتَيْنِ الْآخِرَتَيْنِ مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ

حدثنا سعيد بن عامر عن شعبة عن منصور عن ابراهيم عن عبد الرحمن بن يزيد عن ابي مسعود عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من قرا الايتين الاخرتين من سورة البقرة في ليلة كفتاه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৮. আসমা বিনতে ইয়াযীদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহর মহান নাম (ইসমে আযম) এই দু’ আয়াতের মধ্যে নিহিত আছে: (অনুবাদ): “আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী।” (বাক্বারাঃ ২৫৫) এবং ’’আর তোমাদের ইলাহ একমাত্র ইলাহ।’’ (২: ১৬৩)[1]

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْمُ اللَّهِ الْأَعْظَمُ فِي هَاتَيْنِ الْآيَتَيْنِ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ

حدثنا ابو عاصم حدثنا عبيد الله بن ابي زياد عن شهر بن حوشب عن اسماء بنت يزيد قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اسم الله الاعظم في هاتين الايتين الله لا اله الا هو الحي القيوم والهكم اله واحد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৯. জুবাইর ইবনু নুফাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ সুরাহ বাক্বারাহ সমাপ্ত করেছেন এমন দু’টি আয়াত দ্বারা যা আমাকে প্রদান করা হয়েছে তাঁর আরশের নিচের ভাণ্ডার হতে। ফলে তোমরা এ আয়াত দু’টি শিক্ষা কর এবং তোমাদের নারীদেরকে শিখাও, কেননা, এ হলো রহমত, কুরআন এবং দু’আ।”[1]

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا مُجَاهِدٌ هُوَ ابْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا مَعْنٌ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ خَتَمَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ بِآيَتَيْنِ أُعْطِيتُهُمَا مِنْ كَنْزِهِ الَّذِي تَحْتَ الْعَرْشِ فَتَعَلَّمُوهُنَّ وَعَلِّمُوهُنَّ نِسَاءَكُمْ فَإِنَّهُمَا صَلَاةٌ وَقُرْآنٌ وَدُعَاءٌ

حدثنا مجاهد هو ابن موسى حدثنا معن حدثنا معاوية بن صالح عن ابي الزاهرية عن جبير بن نفير ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الله ختم سورة البقرة بايتين اعطيتهما من كنزه الذي تحت العرش فتعلموهن وعلموهن نساءكم فانهما صلاة وقران ودعاء

হাদিসের মানঃ মুরসাল
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে