পরিচ্ছেদঃ ৪৪. পরিচয়হীন (নবজাতক) সন্তানের মীরাছ সম্পর্কে
৩১৩৩. শা’বী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু শুরাইহ’র কাছে লিখে পাঠান যে, প্রমাণ ব্যতীত পরিচয়হীন (নবজাতক) সন্তানের মীরাছ প্রদান করা হবে না, যদিও সে (মাতা) তাকে নিজ কাপড়ে জড়িয়ে নিয়ে আসে।[1]
তাখরীজ : আব্দুর রাযযাক ১৯১৭৩, ১৯১৭৫; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৯/৩০৩; ইবনু মানসুর, নং ২৫২ সকলেই যয়ীফ সনদে।
তবে আমি (মুহাক্বিক্ব) বলছি: এ সকল বিভিন্ন সূত্রগুলি একে অপরকে শক্তিশালী করে। আল্লাহই ভাল জানেন।
باب فِي مِيرَاثِ الْحَمِيلِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا الْأَشْعَثُ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ كَتَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى شُرَيْحٍ أَنْ لَا يُوَرِّثَ الْحَمِيلَ إِلَّا بِبَيِّنَةٍ وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ فِي خِرَقِهَا
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. পরিচয়হীন (নবজাতক) সন্তানের মীরাছ সম্পর্কে
৩১৩৪. মানসূর হতে বর্ণিত, ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, পরিচয়হীন (নবজাতক) শিশুর মীরাছ প্রদান করা হবে।[1]
তাখরীজ : ইবনু মানসুর, নং ২৫৬ সহীহ সনদে; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৯/৩০৩; ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৫২ নং ১১৪২১; আব্দুর রাযযাক ১৯১৮১ (বিভিন্ন শব্দে)।
باب فِي مِيرَاثِ الْحَمِيلِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ وَرِّثْ الْحَمِيلَ
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. পরিচয়হীন (নবজাতক) সন্তানের মীরাছ সম্পর্কে
৩১৩৫. আবী বাকর ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু আবী মারইয়াম হতে বর্ণিত, যামরাহ, ফুযাইল ইবনু ফাযালাহ, ইবনু আবী আওফ, রাশিদ ও আতিয়্যাহ, তাঁরা সকলেই বলেন: পরিচয়হীন (নবজাতক) শিশুকে মীরাছ প্রদান করা হবে না।[1]
তাখরীজ : আমি এটি এখানে ব্যতীত আর কোথাও পাইনি।
باب فِي مِيرَاثِ الْحَمِيلِ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ ضَمْرَةَ وَالْفُضَيْلِ بْنِ فَضَالَةَ وَابْنِ أَبِي عَوْفٍ وَرَاشِدٍ وَعَطِيَّةَ قَالُوا لَا يُوَرَّثُ الْحُمَلَاءُ
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. পরিচয়হীন (নবজাতক) সন্তানের মীরাছ সম্পর্কে
৩১৩৬. ইবনু আউন হতে বর্ণিত, মুহাম্মদ (রহঃ) এর নিকট এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হলো যে পরিচয়হীন (নবজাতক) শিশুর (মীরাছ প্রদান) সম্পর্কে মত প্রকাশ করেন, তখন তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে বললেন: মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণ জাহিলীযুগের বংশ-সম্পর্কের কারণে মীরাছ লাভ করেছেন।[1]
তাখরীজ : ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৫২ নং ১১৪২০।
باب فِي مِيرَاثِ الْحَمِيلِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ قَالَ قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدٍ قَالَ ذُكِرَ عِنْدَهُ قَوْلُ مَنْ يَقُولُ فِي الْحَمِيلِ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ وَقَالَ قَدْ تَوَارَثَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ بِنَسَبِهِمْ الَّذِي كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. পরিচয়হীন (নবজাতক) সন্তানের মীরাছ সম্পর্কে
৩১৩৭. হিশাম (রহঃ) হতে বর্ণিত, হাসান ও ইবনু সীরীন (রহঃ) উভয়ে বলেন: প্রমাণ ব্যতীত পরিচয়হীন (নবজাতক) সন্তানের মীরাছ প্রদান করা হবে না।[1]
তাখরীজ : ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৫১ নং ১১৪১৭; আব্দুর রাযযাক ১৯১৭৭; ইবনু মানসুর, নং ২৫৫ সহীহ সনদে।
باب فِي مِيرَاثِ الْحَمِيلِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ عَنْ ابْنِ إِدْرِيسَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ الْحَسَنِ وَابْنِ سِيرِينَ قَالَا لَا يُوَرَّثُ الْحَمِيلُ إِلَّا بِبَيِّنَةٍ
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. পরিচয়হীন (নবজাতক) সন্তানের মীরাছ সম্পর্কে
৩১৩৮. ইবরাহীম (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ বকর, উমার ও উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কখনো পরিচয়হীন (নবজাতক) সন্তানের মীরাছ প্রদান করেননি।[1]
তাখরীজ : ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৫১ নং ১১৪১৫।
باب فِي مِيرَاثِ الْحَمِيلِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ لَيْثٍ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ لَمْ يَكُنْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ يُوَرِّثُونَ الْحَمِيلَ
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. পরিচয়হীন (নবজাতক) সন্তানের মীরাছ সম্পর্কে
৩১৩৯. আশ’আছ ইবনু আবী শা’ছাআ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহারিব গোত্রের এক মহিলা এক (শিশুকে) নিয়ে এসে তার ভাইয়ের বংশের বলে উপস্থাপন করলো। তখন আব্দুল্লাহ ইবনু উতবাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে তার বোনের ওয়ারিস বানালেন।[1]
তাখরীজ : ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৫৪ নং ১১৪২৭; আব্দুর রাযযাক ১৯১৭৯; আল মুহাল্লা ৯/৩০৩।
باب فِي مِيرَاثِ الْحَمِيلِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ الْمُحَارِبِيُّ عَنْ زَائِدَةَ عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ قَالَ أَقَرَّتْ امْرَأَةٌ مِنْ مُحَارِبٍ جَلِيبَةٌ بِنَسَبٍ لَهَا جَلِيبٍ فَوَرَّثَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُتْبَةَ مِنْ أُخْتِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. পরিচয়হীন (নবজাতক) সন্তানের মীরাছ সম্পর্কে
৩১৪০. ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে বর্ণিত, কোন লোক দুনিয়া ত্যাগের সময় (মৃত্যুকালে) বললো, আমি অমুকের আযাদকৃত গোলাম। তিনি (ইবনু শিহাব যুহুরী) বলেন, যে দুনিয়া ত্যাগের সময় নিজেকে অমুকের গোলাম বলে নামকরণ করলো, সে তার মীরাছ পাবে, তবে এর উপর তাকে দলীল উপস্থাপন করতে হবে। অন্যথায়, তার কথা প্রত্যাখ্যাত হবে, আর যা (তথা যার প্রাপ্য বলে) দলীল-প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়, তার মীরাছ সে (সকল লোকের) দিকেই প্রত্যাবর্তিত হবে।[1]
তাখরীজ : এখানে ব্যতীত আমি এটি আর কোথাও পাইনি।
باب فِي مِيرَاثِ الْحَمِيلِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ رَجُلٍ قَالَ عِنْدَ فِرَاقِ الدُّنْيَا أَنَا مَوْلَى فُلَانٍ قَالَ يَرِثُ مِيرَاثَهُ لِمَنْ سَمَّى أَنَّهُ مَوْلَاهُ عِنْدَ فِرَاقِ الدُّنْيَا إِلَّا أَنْ يَأْتُوا عَلَيْهِ بِبَيِّنَةٍ بِغَيْرِ ذَلِكَ يَرُدُّونَ بِهِ قَوْلَهُ فَيُرَدُّ مِيرَاثُهُ إِلَى مَا قَامَتْ بِهِ الْبَيِّنَةُ