পরিচ্ছেদঃ ২৭. ‘যাবিল আরহাম’ (নিকটাত্মীয়)-দের মীরাছ
৩০১৫. আসিম ইবনু উমার ইবনু কাতাদাহ আল আনসারী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ইবনু দাহদাহা’র ওয়ারিসগণকে খুঁজেছিলেন। কিন্তু কোনো (নির্ধারিত) ওয়ারিস না পেয়ে ইবনু দাহদাহা’র মামাদের নিকট তার সম্পদ হস্তান্তর করে দিলেন।[1]
তাখরীজ: এ শব্দে এটি আর কোথাও বর্ণিত হয়নি। পরবর্তী ৩০৯৫ নং হাদীসটি দেখুন।
باب فِي مِيرَاثِ ذَوِي الْأَرْحَامِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ حَدَّثَنَا أَبُو الْأَسْوَدِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ أَنَّ عَاصِمَ بْنَ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ الْتَمَسَ مَنْ يَرِثُ ابْنَ الدَّحْدَاحَةِ فَلَمْ يَجِدْ وَارِثًا فَدَفَعَ مَالَ ابْنِ الدَّحْدَاحَةِ إِلَى أَخْوَالِ ابْنِ الدَّحْدَاحَةِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ‘যাবিল আরহাম’ (নিকটাত্মীয়)-দের মীরাছ
৩০১৬. তাউস (রহঃ) হতে বর্ণিত, আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, যার কোনো অভিভাবক নেই, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল-ই তার অভিভাবক; আর যার ওয়ারিস নেই, মামা-ই তার ওয়ারিস।[1]
তাখরীজ: তিরমিযী, ফারাইয ২১০৫; আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১৯১২৪; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১৭১; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২১৫।
ইমাম তিরমিযী, বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। কেউ কেউ এটি ‘মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন, তারা সেখানে ‘আয়িশা হতে’ কথাটি উল্লেখ করেননি।
এটি নিয়ে সাহাবীগণের মাঝে ইখতিলাফ (ভিন্নমত) মত; তাদের কেউ কেউ মামা, খালা, ফুফূ কে মীরাছ দিয়েছেন, যাবিল আরহামের মীরাছের ব্যাপারে এ হাদীস অনুসারে আমল করেছেন অধিকাংশ আহলে ইলমগণ। তবে যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাদের কাউকে মীরাছ দেননি, বরং তার মীরাছ বায়তুল মালে জমা করেছেন।”
বাইহাকী বলেন, “আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর বক্তব্য হিসেবে এটি সংরক্ষিত, মাওকুফ হিসেবে…
আর এটি আবূ আসিম তার থেকে কোনো কোনো বর্ণনায় মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, এরপর এতে সন্দেহ করেন, ফলে এটি মারফু’ হিসেবে মাহফুজ (সংরক্ষিত) নয়, আর আল্লাহই ভাল জানেন।”
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে মিকদাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ হিব্বান নং ৬০৩৫, ৬০৩৬; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২২৫, ১২২৬।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে মিকদাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ হিব্বান নং ৬০৩৭; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২২৭।
باب فِي مِيرَاثِ ذَوِي الْأَرْحَامِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ اللَّهُ وَرَسُولُهُ مَوْلَى مَنْ لَا مَوْلَى لَهُ وَالْخَالُ وَارِثُ مَنْ لَا وَارِثَ لَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ‘যাবিল আরহাম’ (নিকটাত্মীয়)-দের মীরাছ
৩০১৭. যিয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট এক লোক (মৃতের) মাতার চাচা খালা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে এলো, তখন তিনি মাতার চাচাকে দিলেন দুই তৃতীয়াংশ এবং খালাকে দিলেন এক তৃতীয়াংশ।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৬০ নং ১১১৬১; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১৫৪; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৪/৩৯৯; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২১৬-২১৭।
باب فِي مِيرَاثِ ذَوِي الْأَرْحَامِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ فِرَاسٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ زِيَادٍ قَالَ أُتِيَ عُمَرُ فِي عَمٍّ لِأُمٍّ وَخَالَةٍ فَأَعْطَى الْعَمَّ لِلْأُمِّ الثُّلُثَيْنِ وَأَعْطَى الْخَالَةَ الثُّلُثَ
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ‘যাবিল আরহাম’ (নিকটাত্মীয়)-দের মীরাছ
৩০১৮. হাসান (রহঃ) হতে বর্ণিত, উমার ইবনু খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু (মৃতের) মাতার খালাকে দিলেন এক তৃতীয়াংশ এবং ফুফুকে দিলেন দুই তৃতীয়াংশ।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১৯১১৩; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১৫৪; ইবনু আবী শাইবা ১১/২৬০, ২৬১ নং ১১১৬২, ১১১৬৮; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২১৭ সহীহ সনদে।
باب فِي مِيرَاثِ ذَوِي الْأَرْحَامِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ يُونُسَ عَنْ الْحَسَنِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَعْطَى الْخَالَةَ الثُّلُثَ وَالْعَمَّةَ الثُّلُثَيْنِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ‘যাবিল আরহাম’ (নিকটাত্মীয়)-দের মীরাছ
৩০১৯. কাইস ইবনু হাবতারী আন নাহশালী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক লোক মারওয়ান ইবনুল হাকামের নিকট খালা ও ফুফুর মীরাছ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে এলেন। তখন এক বয়স্ক ব্যক্তি দাড়িয়ে বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু খালাকে দিয়েছেন এক তৃতীয়াংশ এবং ফুফুকে দিয়েছেন দুই তৃতীয়াংশ। তিনি বলেন, তিনি ভাবলেন, তিনি এটি লিখে রাখবেন। এরপর তিনি বললেন, যাইদ কোথায়, এটি (লিখে দিক)?[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১৯১১২।
باب فِي مِيرَاثِ ذَوِي الْأَرْحَامِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ غَالِبِ بْنِ عَبَّادٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ حَبْتَرٍ النَّهْشَلِيِّ قَالَ أُتِيَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ فِي خَالَةٍ وَعَمَّةٍ فَقَامَ شَيْخٌ فَقَالَ شَهِدْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَعْطَى الْخَالَةَ الثُّلُثَ وَالْعَمَّةَ الثُّلُثَيْنِ قَالَ فَهَمَّ أَنْ يَكْتُبَ بِهِ ثُمَّ قَالَ أَيْنَ زَيْدٌ عَنْ هَذَا
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ‘যাবিল আরহাম’ (নিকটাত্মীয়)-দের মীরাছ
৩০২০. মাসরুক (রহঃ) হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, খালা মায়ের স্থলাভিষিক্ত এবং ফুফু পিতার স্থলাভিষিক্ত আর ভাইয়ের মেয়ে (ভাতিজি) ভাইয়ের স্থলাভিষিক্ত। এবং যখন মীরাছের নির্ধারিত অংশের অধিকারী নিকটতম কোনো আত্মীয় পাওয়া না যায়, তখন (যিল আরহাম) রক্ত সম্পর্কিয় নিকটাত্মীয় তার সেই নিকটাত্মীয়ের স্থলাভিষিক্ত, যার মাধ্যমে সে সম্পর্কযুক্ত হয়।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১৮১১৫; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১৫৫; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২১৭; ইবনু আবী শাইবা ১১/২৬১ নং ১১১৬৫।
باب فِي مِيرَاثِ ذَوِي الْأَرْحَامِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَالِمٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ الْخَالَةُ بِمَنْزِلَةِ الْأُمِّ وَالْعَمَّةُ بِمَنْزِلَةِ الْأَبِ وَبِنْتُ الْأَخِ بِمَنْزِلَةِ الْأَخِ وَكُلُّ رَحِمٍ بِمَنْزِلَةِ رَحِمِهِ الَّتِي يُدْلِي بِهَا إِذَا لَمْ يَكُنْ وَارِثٌ ذُو قَرَابَةٍ