পরিচ্ছেদঃ ২৮. আসাবাহ সম্পর্কে
৩০২১. দাহহাক ইবনু কায়িস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, উমার আমাউসের মহামারী (প্লেগ) রোগে মৃতব্যক্তির সম্পর্কে ফায়সালা করেছিলেন যে, তারা পিতাকুলের দিক থেকে সম পর্যায়ের হলে মাতৃকুলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আর যখন তারা পিতার দিক থেকে একে অপরের চেয়ে অধিক নিকটতম ছিল, তখন তারাই সম্পদের অধিক হকদার হয়েছিল।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৩৯; আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১৯০৩৯, ১৯১৩৬।
باب الْعَصَبَةِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ قَالَ حَدَّثَنِي الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ أَنَّ عُمَرَ قَضَى فِي أَهْلِ طَاعُونِ عَمَوَاسَ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا كَانُوا مِنْ قِبَلِ الْأَبِ سَوَاءً فَبَنُو الْأُمِّ أَحَقُّ وَإِذَا كَانَ بَعْضُهُمْ أَقْرَبَ مِنْ بَعْضٍ بِأَبٍ فَهُمْ أَحَقُّ بِالْمَالِ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. আসাবাহ সম্পর্কে
৩০২২. আব্দুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ ইবনুল হাদী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়ামামা’র যুদ্ধের দিন আবী হুযাইফা’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর দাস সালিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নিহত হন। তার মীরাছ দুইশত দিরহাম পর্যন্ত পৌঁছেছিল। উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, এটা তার মায়ের জন্য সংরক্ষণ করো, যাতে সে এর শেষ পর্যন্তও (তথা পুরোটা) সে পেতে পারে।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১৬২৩৭।
باب الْعَصَبَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَقَ الشَّيْبَانِيُّ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ قَالَ أُصِيبَ سَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ فَبَلَغَ مِيرَاثُهُ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَقَالَ عُمَرُ احْبِسُوهَا عَلَى أُمِّهِ حَتَّى تَأْتِيَ عَلَى آخِرِهَا
পরিচ্ছেদঃ ২৮. আসাবাহ সম্পর্কে
৩০২৩. আলী ইবনে আবূ তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “একই মায়ের সন্তানরা পরস্পরের ওয়ারিস হবে, বৈমাত্রেয় ভাইগণ নয়। মানুষ তার সহোদর ভাই-বোনের ওয়ারিস হবে, বৈমাত্রেয় ভাই-বোনের নয়।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩০০, ৩৬১, ৬২৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৫। এছাড়াও, ইবনু মাজাহ, ফারাইয নং ২৭৩৯ তে।
باب الْعَصَبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْإِخْوَةُ مِنْ الْأُمِّ يَتَوَارَثُونَ دُونَ بَنِي الْعَلَّاتِ يَرِثُ الرَّجُلُ أَخَاهُ لِأَبِيهِ وَأُمِّهِ دُونَ أَخِيهِ لِأَبِيهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. আসাবাহ সম্পর্কে
৩০২৪. নু’মান ইবনু সালিম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বললাম, কোনো লোক তার মেয়ের ছেলেকে রেখে মৃত্যুবরণ করলো, আপনি কি মনে করেন যে, সে তার ওয়ারিস হবে? তিনি বললেন, না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৮৬ নং ১১২৪৫;
باب الْعَصَبَةِ
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ قَالَ قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ أَرَأَيْتَ رَجُلًا تَرَكَ ابْنَ ابْنَتِهِ أَيَرِثُهُ قَالَ لَا
পরিচ্ছেদঃ ২৮. আসাবাহ সম্পর্কে
৩০২৫. ইবরাহীম (রহঃ) হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যার আসাবাহ নেই, মা-ই তার আসাবাহ বলে গণ্য এবং যার আসাবাহ নেই, বোন তার আসাবাহ হিসেবে গণ্য।[1]
তাখরীজ: সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১৬৬।
باب الْعَصَبَةِ
حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ الْأُمُّ عَصَبَةُ مَنْ لَا عَصَبَةَ لَهُ وَالْأُخْتُ عَصَبَةُ مَنْ لَا عَصَبَةَ لَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. আসাবাহ সম্পর্কে
৩০২৬. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “সুনির্দিষ্ট অংশের হকদারদের মীরাস পৌঁছে দাও। অতঃপর যা বাকী থাকবে, তা (মৃতের) নিকটতম পুরুষের জন্য।[1]
তাখরীজ: বুখারী, ফারাইয, ৬৭৩২; মুসলিম, ফারাইয ১৬১৫;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০২৮, ৬০২৯, ৬০৩০ তে।
باب الْعَصَبَةِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَلْحِقُوا الْفَرَائِضَ بِأَهْلِهَا فَمَا بَقِيَ فَهُوَ لِأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ