পরিচ্ছেদঃ ১০৪. জান্নাতের অধিবাসী ও এর নিয়ামতসমূহের বর্ণনা
২৮৬৩. যাইদ ইবনু আরকাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “জান্নাতের অধিবাসীদের একজন লোককে পানাহার, সহবাস ও কামশক্তি ইত্যাদির ক্ষেত্রে একশত পুরুষের শক্তি প্রদান করা হবে।” তখন এক ইয়াহুদী বললো, যারা পানাহার করবে, এজন্য তাদের তো প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ (তথা পেশাব-পায়খানা) করতে হবে। তিনি বললেন: “তাদের গাত্র চামড়া হতে ঘাম বের হবে, তখন তাদের পেট আবার সংকুচিত হয়ে যাবে।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৪/৩৭১; ইবনু আবী শাইবা ১৩/১০৮ নং ১৫৮৪১; তাবারাণী, কাবীর ৫/১৭৮ নং ৫০০৪, ৫০০৫, ৫০০৬, ৫০০৭, ৫০০৮, ৫০০৯; হুসাইন মারওয়াযী, যাওয়াইদ আলা যুহদি ইবনুল মুবারক নং ১৪৫৯; আবী নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ৩২৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪২৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৬৩৭ তে।
باب فِي أَهْلِ الْجَنَّةِ وَنَعِيمِهَا
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ عُقْبَةَ الْمُحَلِّمِيِّ قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الرَّجُلَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ لَيُعْطَى قُوَّةَ مِائَةِ رَجُلٍ فِي الْأَكْلِ وَالشُّرْبِ وَالْجِمَاعِ وَالشَّهْوَةِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ الْيَهُودِ إِنَّ الَّذِي يَأْكُلُ وَيَشْرَبُ تَكُونُ مِنْهُ الْحَاجَةُ قَالَ يَفِيضُ مِنْ جِلْدِهِ عَرَقٌ فَإِذَا بَطْنُهُ قَدْ ضَمَرَ
পরিচ্ছেদঃ ১০৪. জান্নাতের অধিবাসী ও এর নিয়ামতসমূহের বর্ণনা
২৮৬৪. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুলস্নাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: জান্নাতের অধিবাসীগণ যুবক, লোমহীন- দাড়ি-গোঁফহীন এবং সুরমা লাগানো চোখ বিশিষ্ট হবেন। তাদের পোষাক-পরিচ্ছেদ কখনও পুরাতন ও জীর্ণ হবে না এবং তাঁদের যৌবন কখনও শেষ হবে না।”[1]
তাখরীজ: তিরমিযী, সিফাতুল জান্নাত ২৫৪২।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে: আবী নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ৩২৯; তাবারাণী, সগীর ৫/১৭৮; আবীশ শাইখ, আল আযিমাহ নং ৫৮৪; বাইহাকী, বা’আছ ওয়ান নুশূর নং ৪১৮; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৩/৫৬, এ সনদটি সহীহ যদি হারুণ ইবনু রিয়ার আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে শ্রবণ করে থাকেন। (এর পূর্বে তিনি এ ব্যক্তির আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে হাদীস শ্রবণ করা সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের মতভেদ উল্লেখ করেছেন।–অনুবাদক))
এর অপর শাহিদ রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে: আহমাদ ২/২৯৫, ৩৪৩, ৫১৫; ইবনু আবী শাইবা ১৩/১১৪ নং ১৫৮৫৩; তাবারাণী, সগীর ২/১৭; আওসাত নং ৫৪১৮; আবীশ শাইখ, আল আযিমাহ নং ৫৯৬; আবী নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ২৫৫; ইবনু আবী দাউদ, বা’আছ নং ৬৩; বাইহাকী, বা’আছ ওয়ান নুশূর নং ৪১৯, ৪২০; ইবনু আদী, আল কামিল ৫/১৮৪২; তবে এ সনদে আলী ইবনু যাইদ ইবনু জুদ’আন রয়েছে আর সে যয়ীফ।
باب فِي أَهْلِ الْجَنَّةِ وَنَعِيمِهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ يْعَنِي ابْنَ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَامِرٍ الْأَحْوَلِ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَهْلُ الْجَنَّةِ شَبَابٌ جُرْدٌ مُرْدٌ كُحْلٌ لَا تَبْلَى ثِيَابُهُمْ وَلَا يَفْنَى شَبَابُهُمْ
পরিচ্ছেদঃ ১০৪. জান্নাতের অধিবাসী ও এর নিয়ামতসমূহের বর্ণনা
২৮৬৫. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতী লোকেরা তথায় পানাহার করবে। তবে তারা তথায় পেশাব করবেনা, নাকও ঝাড়বেনা, আবার পায়খানা করবে না। তাদের ঐগুলি হবে ঢেকুর আকারে। তারা আহার করবে, পান করবে, আর তাসবীহ-তাহলীলের যোগ্যতা তাদের অন্তকরণে ইলহাম করা হবে যেমনি ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস তাদের মাঝে ইলহাম করা হয়।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৯০৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪৩৫ তে।
সংযোজনী: খতীব বাগদাদী, তারীখ বাগদাদ ১৩/১৯৭; আব্দ ইবনু হুমাইদ, মুনতাখাব নং ১০৩০; আবীশ শাইখ, আল আযিমাহ নং ৫৮৩।
باب فِي أَهْلِ الْجَنَّةِ وَنَعِيمِهَا
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا قِيلَ لِأَبِي عَاصِمٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ لَا يَبُولُونَ وَلَا يَمْتَخِطُونَ وَلَا يَتَغَوَّطُونَ وَيَكُونُ ذَلِكَ مِنْهُمْ جُشَاءً يَأْكُلُونَ وَيَشْرَبُونَ وَيُلْهَمُونَ التَّسْبِيحَ وَالْحَمْدَ كَمَا يُلْهَمُونَ النَّفَسَ