পরিচ্ছেদঃ ১০৩. জান্নাতীদের জান্নাতে প্রবেশের সময় যা বলা হবে
২৮৬২. আবূ হুরাইরা ও আবী সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এ আয়াত): “আর তাদেরকে আহবান করা হবে যে, এ হলো তোমাদের জান্নাত, তোমাদেরকে যার অধিকারী করা হয়েছে তোমাদের কর্মফলস্বরূপ (আ’রাফ ৭: ৪৩)।” –এ সম্পর্কে বলেছেন: “তাদেরকে আহবান করে বলা হবে, ’তোমরা সদা সুস্থ থাকবে, কখনও অসুস্থ হবে না। তোমরা সদা সুখ-স্বাচ্ছন্দে থাকবে, কখনও দু:খ-কষ্টে পতিত হবে না। তোমরা সদা তরুণ থাকবে, কখনও বৃদ্ধ হবে না। তোমরা সদা জীবিত থাকবে, কখনও মরবে না।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ২/৩১৯ ৩/৩৮, ৯৫; নাসাঈ, কুবরা নং ১১১৮৪; আবূ নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ৮৭, ২৯০; মুসলিম, জান্নাত ২৮৩৭; তিরমিযী, তাফসীর ৩২৪১ (৩২৪৬ -অনুবাদক); ইবনু হুমাইদ, মুনতাখাব নং ৯৪২; বাইহাকী, বা’আছ ওয়ান নুশূর নং ২৪০, ৪৪৩; এ সনদটি সহীহ।; তাবারী, তাফসীর ৮/১৮৫ অত্যন্ত যয়ীফ সনদে; ইবনুল মুবারক, যুহদ নং ৪২৮।
তিরমিযী বলেছেন: “এ হাদীসটি ইবনুল মুবারক ও অন্যান্যরা বর্ণনা করেছেন ছাওরী থেকে, তিনি এটি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম r হতে) মারফু’ করেননি।’
আমাদের বক্তব্য: এখানে মাওকুফ বর্ণনাটি এর কোনো ক্ষতি করেনা। কারণ, এখানে মারফু’ করাটা অতিরিক্তি (যিয়াদাহ)। আর ছিকাহ বা বিশ্বস্ত রাবীর অতিরিক্ত (যিয়াদাহ) মাকবুল (গ্রহণযোগ্য)। আর অনেকেই এটি ছিকাহ বা বিশ্বস্ত রাবী হতে মারফু’ রূপে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا يُقَالُ لِأَهْلِ الْجَنَّةِ إِذَا دَخَلُوهَا
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ بْنُ يَعِيشَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ عَنْ حَمْزَةَ بْنِ حَبِيبٍ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْأَغَرِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنُودُوا أَنْ تِلْكُمْ الْجَنَّةُ قَالَ نُودُوا صِحُّوا فَلَا تَسْقَمُوا وَانْعَمُوا فَلَا تَبْؤُسُوا وَشِبُّوا فَلَا تَهْرَمُوا وَاخْلُدُوا فَلَا تَمُوتُوا