পরিচ্ছেদঃ ৬০. সূরা আল-হাশর

৩৩০২। ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানু নাযীরের আল-বুওয়াইরা নামক খেজুর বাগানটি অগ্নিসংযোগ করে পুড়ে ফেলেন এবং কেটে ফেলেন। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “যে খেজুর গাছগুলো তোমরা কেটেছ এবং যেগুলো তাদের কাণ্ডের উপর স্থির রেখে দিয়েছ তা তো আল্লাহ তা’আলার আদেশানুসারেই এবং এ কারণে যে, তিনি পাপাচারী ও অন্যায়কারীদেরকে লাঞ্ছিত করবেন"- (সূরা হাশ্বর ৫)।

সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ২৮৪৪), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما قَالَ حَرَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَّعَ وَهِيَ الْبُوَيْرَةُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏ما قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ اللَّهِ وَلِيُخْزِيَ الْفَاسِقِينَ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن نافع، عن ابن عمر، رضى الله عنهما قال حرق رسول الله صلى الله عليه وسلم نخل بني النضير وقطع وهي البويرة فانزل الله ‏:‏ ‏(‏ما قطعتم من لينة او تركتموها قاىمة على اصولها فباذن الله وليخزي الفاسقين ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Ibn Umar [may Allah be pleased with him] said:
“The Messenger of Allah ordered burning and cutting down the date palms of Banu An-Nadir, and that (place was called Al-Buwairah. So Allah revealed: What you cut down of the Linah, or you left of them standing on their trunks, it was by the leave of Allah, and in order that He might disgrace the rebellious.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ৬০. সূরা আল-হাশর

৩৩০৩। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “যে খেজুর গাছগুলো তোমরা কেটেছ এবং তার কাণ্ডের উপর যেগুলো স্থির রেখে দিয়েছ" এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আল-লীনাহ অর্থঃ খেজুর গাছ। “এবং এ কারণে যে, তিনি পাপাচারী ও অন্যায়কারীদেরকে লাঞ্ছিত করবেন" আয়াতটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্থাৎ মুসলিমরা তাদেরকে তাদের দুর্গগুলো হতে বহিষ্কার করে দেয়। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) আরো বলেন, যখন তাদেরকে খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলার আদেশ দেয়া হয় সে সময় তাদের মনে ধারণা (সন্দেহ) হয়।

মুসলিমরা বলেন, আমরা কিছু বৃক্ষ কেটে ফেলেছি এবং কিছু বৃক্ষ বহাল রেখেছি। এ বিষয়ে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমরা প্রশ্ন করবো যে, যে গাছগুলো আমরা কেটেছি তার কারণে আমাদেরকে সাওয়াব প্রদান করা হবে কি এবং যে বৃক্ষগুলো বহাল রেখেছি তার জন্য আমাদের কোন গুনাহ হবে কি? তখন আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “যে খেজুর গাছগুলো তোমরা কেটেছ এবং তাদের কাণ্ডের উপর যেগুলো স্থির রেখে দিয়েছ তা তো আল্লাহ তা’আলার অনুমতিক্রমেই”- (সূরা হাশূর ৫)।

হাদীসটির সানাদ সহীহ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসটি কিছু বর্ণনাকারী হাফস ইবনু গিয়াস হতে, তিনি হাবীব ইবনু আবী আমরাহ হতে, তিনি সাঈদ ইবনু জুবাইর (রহঃ) হতে এই সূত্রে মুরসালরূপে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তার মধ্যে ইবনু আব্বাস (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান-হারূন ইবনু মু’আবিয়াহ হতে, তিনি হাফস ইবনু গিয়াস হতে, তিনি হাবীব ইবনু আবী আমরাহ হতে, তিনি সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাহঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে মুরসালরূপে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আমার কাছে শুনেছেন।

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏:‏ ‏(‏ما قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا ‏)‏ ‏.‏ قَالَ اللِّينَةُ النَّخْلَةُِيُخْزِيَ الْفَاسِقِينَ ‏)‏ قَالَ اسْتَنْزَلُوهُمْ مِنْ حُصُونِهِمْ قَالَ وَأَمَرُوا بِقَطْعِ النَّخْلِ فَحَكَّ فِي صُدُورِهِمْ ‏.‏ فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ قَدْ قَطَعْنَا بَعْضًا وَتَرَكْنَا بَعْضًا فَلَنَسْأَلَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَلْ لَنَا فِيمَا قَطَعْنَا مِنْ أَجْرٍ وَهَلْ عَلَيْنَا فِيمَا تَرَكْنَا مِنْ وِزْرٍ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏:‏ ‏(‏ما قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا ‏)‏ ‏.‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

وَرَوَى بَعْضُهُمْ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ‏.‏ حَدَّثَنِي بِذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعَ مِنِّي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏

حدثنا الحسن بن محمد الزعفراني، حدثنا عفان بن مسلم، حدثنا حفص بن غياث، حدثنا حبيب بن ابي عمرة، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، في قول الله عز وجل ‏:‏ ‏(‏ما قطعتم من لينة او تركتموها قاىمة على اصولها ‏)‏ ‏.‏ قال اللينة النخلةيخزي الفاسقين ‏)‏ قال استنزلوهم من حصونهم قال وامروا بقطع النخل فحك في صدورهم ‏.‏ فقال المسلمون قد قطعنا بعضا وتركنا بعضا فلنسالن رسول الله صلى الله عليه وسلم هل لنا فيما قطعنا من اجر وهل علينا فيما تركنا من وزر فانزل الله تعالى ‏:‏ ‏(‏ما قطعتم من لينة او تركتموها قاىمة على اصولها ‏)‏ ‏.‏ الاية ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏ وروى بعضهم، هذا الحديث عن حفص بن غياث، عن حبيب بن ابي عمرة، عن سعيد بن جبير، مرسلا ولم يذكر فيه عن ابن عباس، ‏.‏ حدثني بذلك عبد الله بن عبد الرحمن، حدثنا هارون بن معاوية، عن حفص بن غياث، عن حبيب بن ابي عمرة، عن سعيد بن جبير، عن النبي صلى الله عليه وسلم مرسلا ‏.‏ قال ابو عيسى سمع مني محمد بن اسماعيل هذا الحديث ‏.‏


Hafs bin Ghiyath narrated:
“Habib bin Abi Amrah narrated to us, from Sa’eed bin Jubair, from Ibn Abbas, regarding the saying of Allah, the Mighty and Sublime: What you cut down of the Linah, or you left of them standing on their trunks – he said: ‘The Linah is the date-palms.’ That He might disgrace the rebellious. He said: ‘They were forced from their forts.’ And they were ordered to cut down the date-pals, that caused some hesitation in their chests, so the Muslims said: “We cut some of them, and we left some of them, so let us ask the Messenger of Allah is we are to be rewarded for those that we cut down, and if we will be burdened for what we left?” So Allah [Most High] revealed the Ayah: What you cut down of the Linah, or you left of them standing on their trunks.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ৬০. সূরা আল-হাশর

৩৩০৪। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, এক রাতে আনসার লোকের এখানে একজন মেহমান আসে। তার কাছে তার ও তার সন্তানদের খাবার ছাড়া অতিরিক্ত খাবার ছিল না। তার সহধর্মিণীকে তিনি বলেন, বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে দাও, আলো নিভিয়ে ফেল এবং তোমার কাছে যে খাবার রয়েছে তা মেহমানের সম্মুখে পরিবেশন কর। এই পরিপ্রেক্ষিতে অবতীর্ণ হয়ঃ “আর নিজেদের উপর অন্যকে তারা অগ্রাধিকার দেয়, নিজেরা অভাবপীড়িত হয়েও” –(সূরা হাশর ৯)।

সহীহঃ সহীহ হাদীস সিরিজ (হাঃ ৩২৭২), বুখারী ও মুসলিম আরও পূর্ণাঙ্গরূপে বর্ণনা করেছেন।

আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ بَاتَ بِهِ ضَيْفٌ فَلَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ إِلاَّ قُوتُهُ وَقُوتُ صِبْيَانِهِ فَقَالَ لاِمْرَأَتِهِ نَوِّمِي الصِّبْيَةَ وَأَطْفِئِي السِّرَاجَ وَقَرِّبِي لِلضَّيْفِ مَا عِنْدَكِ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُُ ‏:‏ ‏(‏ ويؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ ‏)‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا وكيع، عن فضيل بن غزوان، عن ابي حازم، عن ابي هريرة، ان رجلا، من الانصار بات به ضيف فلم يكن عنده الا قوته وقوت صبيانه فقال لامراته نومي الصبية واطفىي السراج وقربي للضيف ما عندك فنزلت هذه الاية ‏:‏ ‏(‏ ويوثرون على انفسهم ولو كان بهم خصاصة ‏)‏ هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Abu Hurairah narrated:
That a man from the Ansar had a guest spend the night with him, but he did not have anything to eat but his meal and the meal for his children, so he said to his wife: ‘Put the children to sleep, extinguish the torches, and give me whatever you have with you for the guest.’ So this Ayah was revealed: And they give preference over themselves even though they were in need of that.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে