পরিচ্ছেদঃ ৬১. সূরা আল-মুমতাহিনাহ
৩৩০৫। উবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ রাফি (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আবূ তলিব-এর পুত্র ’আলী (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে অর্থাৎ আমাকে, যুবাইরকে ও মিক্দাদ ইবনুল আসওয়াদকে (চিঠি উদ্ধারের জন্য) পাঠিয়ে বললেনঃ তোমরা রাওনা হয়ে রাওযা খাখ’ নামক জায়গায় পৌছে যাও, সেখানে (মক্কার লক্ষ্যে) গমনরত এক নারীকে পাওয়া যাবে। তার নিকট একটি পত্র আছে। তোমরা তার নিকট হতে সেই পত্র উদ্ধার করে তা সরাসরি আমার নিকট নিয়ে আসবে। অতঃপর আমরা রাওনা হয়ে গেলাম। আমাদেরকে নিয়ে আমাদের ঘোড়া অতীব দ্রুত গতিতে এগিয়ে গেল এবং আমরা সেই রাওযা খাখ’ নামক জায়গায় গিয়ে পৌছলাম।
আমরা সেই নারীকে সেখানে পেয়ে গেলাম। আমরা তাকে বললাম, পত্রটি বের করে দাও। সে বলল, আমার সঙ্গে কোন পত্র নেই। আমরা বললাম, অবশ্যই তুমি পত্রটি বের করে দাও, তা না হলে তোমার পরিধেয় পোশাক ত্যাগ কর। আলী (রাযিঃ) বলেন, সে তার চুলের খোপা হতে অবশেষে পত্রটি বের করে দিল এবং তা নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আমরা হাযির হলাম। দেখা গেল যে, এটি মক্কার কিছু সংখ্যক মুশরিকের লক্ষ্যে লিখিত হাতিব ইবনু আবী বালতা’আর পত্র। তিনি এই পত্রের মাধ্যমে তাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিছু পদক্ষেপ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে হাতিব! এ কি? হাতিব (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার সম্পর্কে তাড়াতাড়ি করে কোন পদক্ষেপ নিবেন না। আমি কুরাইশদের সঙ্গে বসবাস করতাম, কিন্তু আমি তাদের সম্প্রদায়ের লোক নই। যে সকল মুহাজির আপনার সঙ্গে রয়েছেন মক্কায় পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে। আমি চিন্তা করলাম, মক্কায় আমার কোন আত্মীয়-স্বজন নেই। যদি আমি তাদের প্রতি কোন রকম উপকার করতে পারি তবে তার বিনিময়ে তারা আমার আত্মীয়-স্বজনকে সাহায্য-সহযোগিতা করবে। আমি কাফির হয়ে কিংবা আমার ধর্ম ছেড়ে দিয়ে বা কুফরীর প্রতি খুশী হয়ে এ কাজ করিনি।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে সত্য কথা বলেছে। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে অনুমতি দিন, আমি এ মুনাফিকের ঘাড় উড়িয়ে দেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। তুমি কি জান! নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা বদরের মুজাহিদদের প্রতি উকি মেরেছেন এবং বলেছেনঃ “তোমরা যা চাও কর, আমি তোমাদেরকে মাফ করে দিয়েছি”।
আলী (রাযিঃ) বলেন, উক্ত বিষয়েই এই সূরা অবতীর্ণ হয়েছেঃ “হে মু’মিনগণ! তোমরা আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুর মতো করে গ্রহণ করো না। তোমরা তাদের নিকট বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও; অথচ তারা তোমাদের নিকট যে সত্য এসেছে তা স্বীকার করেনি....”। আমর (রহঃ) বলেন, আমি উবাইদুল্লাহ ইবনু আবী রাফি’কে দেখেছি। তিনি আলী (রাযিঃ)-এর সচিব ছিলেন।
সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (হাঃ ২৩৮১), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে উমার ও জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। সুফইয়ান ইবনু উয়াইনাহ হতেও একাধিক বর্ণনাকারী একই অর্থে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। তাতে এ কথা রয়েছেঃ “তোমাকে পত্র বের করে দিতে হবে, তা না হলে তোমার বস্ত্র ত্যাগ করতে হবে"। এ হাদীসটি ’আবদুর রাহমান আস-সুলামীর সূত্রে ’আলী (রাযিঃ) হতে একই রকম বর্ণিত হয়েছে। কেউ কেউ এ কথাগুলো উল্লেখ করেছেনঃ “তোমাকে অবশ্যই পত্রটি বের করে দিতে হবে, নতুবা তোমাকে আমরা উলঙ্গ করব।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، هُوَ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، يَقُولُ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَالزُّبَيْرَ وَالْمِقْدَادَ بْنَ الأَسْوَدِ فَقَالَ " انْطَلِقُوا حَتَّى تَأْتُوا رَوْضَةَ خَاخٍ فَإِنَّ بِهَا ظَعِينَةً مَعَهَا كِتَابٌ فَخُذُوهُ مِنْهَا فَائْتُونِي بِهِ " . فَخَرَجْنَا تَتَعَادَى بِنَا خَيْلُنَا حَتَّى أَتَيْنَا الرَّوْضَةَ فَإِذَا نَحْنُ بِالظَّعِينَةِ فَقُلْنَا أَخْرِجِي الْكِتَابَ . فَقَالَتْ مَا مَعِي مِنْ كِتَابٍ . فَقُلْنَا لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَتُلْقِيَنَّ الثِّيَابَ . قَالَ فَأَخْرَجَتْهُ مِنْ عِقَاصِهَا . قَالَ فَأَتَيْنَا بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى نَاسٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ بِمَكَّةَ يُخْبِرُهُمْ بِبَعْضِ أَمْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا هَذَا يَا حَاطِبُ " . قَالَ لاَ تَعْجَلْ عَلَىَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ امْرَأً مُلْصَقًا فِي قُرَيْشٍ وَلَمْ أَكُنْ مِنْ أَنْفُسِهَا وَكَانَ مَنْ مَعَكَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ لَهُمْ قَرَابَاتٌ يَحْمُونَ بِهَا أَهْلِيهِمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِمَكَّةَ فَأَحْبَبْتُ إِذْ فَاتَنِي ذَلِكَ مِنْ نَسَبٍ فِيهِمْ أَنْ أَتَّخِذَ فِيهِمْ يَدًا يَحْمُونَ بِهَا قَرَابَتِي وَمَا فَعَلْتُ ذَلِكَ كُفْرًا وَلاَ ارْتِدَادًا عَنْ دِينِي وَلاَ رِضًا بِالْكُفْرِ بَعْدَ الإِسْلاَمِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " صَدَقَ " . فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله عنه دَعْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا الْمُنَافِقِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهُ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا فَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ " . قَالَ وَفِيهِ أُنْزِلَتْ هَذِهِ السُّورَةُ : (يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ ) السُّورَةَ . قَالَ عَمْرُو وَقَدْ رَأَيْتُ ابْنَ أَبِي رَافِعٍ وَكَانَ كَاتِبًا لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِيهِ عَنْ عُمَرَ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ . وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ هَذَا الْحَدِيثَ نَحْوَ هَذَا وَذَكَرُوا هَذَا الْحَرْفَ فَقَالُوا لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَتُلْقِيَنَّ الثِّيَابَ . وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ عَلِيٍّ نَحْوُ هَذَا الْحَدِيثِ . وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ فِيهِ فَقَالَ لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَنُجَرِّدَنَّكِ .
Al-Hasan bin Muhammad – and he is Al-Hanafiyyah- narrated from Ubaidallah bin Abi Rafi who said:
“I heard Ali bin Abi Talib saying: “the Messenger of Allah dispatched us – myself, Az-Zubair, and Al-Miqad bin Al- Aswad. He said: “Proceed until you reach Rawdah Khakh, where there is a lady carrying a letter. Take the letter from her and bring it to me.” So we proceeded on our way with our horses galloping until we reached the Rawdah. There we found the lady and said to her: “Give me the letter.” She said: “I have no letter.” We said: “Either you take out the letter, or we shall take off your clothes.’” He said: ‘So she took it out of her braid.’ He said: ‘We brought it to the Messenger of Allah, and it was from Hatib bin Abi Balta’ah, addressed to some of people among the idolaters of Makkah, infrmed them of some matter regarding the Prophet. So he said: “What is this O Hatib?” He said: “Do not be hasty with me O Messenger of Allah! I was a person who is an ally to the Quraish, not being related to them. The Muhajirun who are with you have relatives who can protect their families and their wealth in Makkah. So since I have no lineage among them, I wanted to do them a favor, so they might protect my relatives. I did not do this out of disbelief, nor to renegade from my religion, nor did I do it to chose disbelief [after Islam].” The Prophet said: “He said the truth.” Umar bin Al-Khattab said: “Allow me to chop off the head of this hypocrite!” The Prophet said: “Indeed he participated in (the battle of) Badr. You do not know, perhaps Allah looked at those who attended Badr and said: ‘O people of Badr! Do as you like, for I have forgiven you.’” He said: ‘It was about him, that this Surah was revealed: O you who believe! Do not take My enemies and your enemies as protecting friends showing affection towards them.’”
পরিচ্ছেদঃ ৬১. সূরা আল-মুমতাহিনাহ
৩৩০৬। আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াতটির জন্য লোকদের পরীক্ষা করতেন (অনুবাদ) “হে নবী! মু’মিন মহিলারা তোমার নিকট এসে এই মর্মে যদি বাই’আত করে যে, তারা আল্লাহ তা’আলার সঙ্গে কোন শারীক স্থির করবে না, চুরি করবে না, যিনা করবে না....."— (সূরা মুমতাহিনাহ ১২)। মামার (রহঃ) বলেন, ইবনু তাউস তার বাবার সূত্রে আমার কাছে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাত নিজস্ব মালিকানাধীন স্ত্রীলোক ব্যতীত অপর কারো হাত স্পর্শ করেনি।
সহীহঃ বুখারী (হাঃ ৪৮৯১), মুসলিম (হাঃ ৬/২৯)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْتَحِنُ إِلاَّ بِالآيَةِ الَّتِي قَالَ اللَّهُ : (إذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ ) الآيَةَ .
قَالَ مَعْمَرٌ فَأَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَا مَسَّتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَ امْرَأَةٍ إِلاَّ امْرَأَةً يَمْلِكُهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Ma’mar narrated from Az-Zuhri, from Urwah that Aishah said:
“The Messenger of Allah would not have examined (the women) except for the Ayah in which Allah said: When believing come to you pledging to you.” Ma’mar said: “Ibn Tawus informed me from his father who said: ‘The hand of the Messenger of Allah did not touch the hand of a women he had not acquired.’”
পরিচ্ছেদঃ ৬১. সূরা আল-মুমতাহিনাহ
৩৩০৭। উম্মু সালামাহ্ আল-আনসারিয়্যাহ (রাযিঃ) বলেন, মহিলাদের মধ্য থেকে একজন প্রশ্ন করল, মা’রূফ’ বলতে কি বুঝায়, যাতে আপনার নাফরমানী করা আমাদের জন্য বৈধ নয়? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা বিলাপ করো না। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! অমুক সম্প্রদায়ের নারীরা আমার চাচার বিলাপে আমাকে সাহায্য করেছে। কাজেই তাদের প্রতিদান দেয়া আমারও কর্তব্য। আমার কথায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একমত হলেন না। অতঃপর আমি পর্যায়ক্রমে তার নিকট অনুমতি চাইলে তিনি আমাকে তাদের প্রতিদান দেয়ার অনুমতি দিলেন। আমি তাদের বিলাপের প্রতিদান দেয়ার পর কিয়ামত পর্যন্ত আর কোন দিন বিলাপ করব না। কিন্তু আমি ব্যতীত অপর সব মহিলাই পরবর্তীতে বিলাপ করেছে।
হাসানঃ তা’লীক আ’লা ইবনু মাজাহ।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় উম্মু আতিয়াহ (রাযিঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। "আবদ ইবনু হুমাইদ (রহঃ) বলেন, উম্মু সালামাহ্ আল-আনসারিয়্যাহ (রাযিঃ)-এর নাম আসমা বিনতু ইয়াযীদ ইবনুস সাকান।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ شَهْرَ بْنَ حَوْشَبٍ، قَالَ حَدَّثَتْنَا أُمُّ سَلَمَةَ الأَنْصَارِيَّةُ، قَالَتْ قَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسْوَةِ مَا هَذَا الْمَعْرُوفُ الَّذِي لاَ يَنْبَغِي لَنَا أَنْ نَعْصِيَكَ فِيهِ قَالَ " لاَ تَنُحْنَ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ بَنِي فُلاَنٍ قَدْ أَسْعَدُونِي عَلَى عَمِّي وَلاَ بُدَّ لِي مِنْ قَضَائِهِنَّ فَأَبَى عَلَىَّ فَعَاتَبْتُهُ مِرَارًا فَأَذِنَ لِي فِي قَضَائِهِنَّ فَلَمْ أَنُحْ بَعْدُ عَلَى قَضَائِهِنَّ وَلاَ غَيْرِهِ حَتَّى السَّاعَةِ وَلَمْ يَبْقَ مِنَ النِّسْوَةِ امْرَأَةٌ إِلاَّ وَقَدْ نَاحَتْ غَيْرِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَفِيهِ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ رضى الله عنها . قَالَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ أُمُّ سَلَمَةَ الأَنْصَارِيَّةُ هِيَ أَسْمَاءُ بِنْتُ يَزِيدَ بْنِ السَّكَنِ .
Shahr bin Hawshab said:
“Umm Salamah Al-Ansariyyah narrated to us, she said: ‘A woman said: “What is this Ma’ruf for which we are not to disobey in?” He (pbuh) said: “[That you not wail.]” I said: “O Messenger of Allah! Verily Banu so-and-so comforted me in the case of my uncle, and I must reciprocate for them.’ But he refused to allow me. So I asked him again numerous times, then he permitted me to reciprocate for them. So after reciprocating for the, I did not wail for anyone else until this time. And there does not remain a woman except that she has wailed besides me.’”
পরিচ্ছেদঃ ৬১. সূরা আল-মুমতাহিনাহ
৩৩০৮। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, “তোমাদের নিকট মু’মিন নারীরা হিযরাত করে এলে তোমরা তাদের পরীক্ষা কর” (সূরাঃ আল-মুমতাহিনাহ- ১০) শীর্ষক আল্লাহর বাণী প্রসঙ্গে তিনি বলেনঃ কোন স্ত্রীলোক ইসলাম গ্রহণের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হাযির হলে তিনি তাকে আল্লাহ তা’আলার নামে শপথ করাতেনঃ আমি আমার স্বামীর প্রতি বিরাগভাজন হয়ে চলে আসিনি, আমি শুধু আল্লাহ তা’আলা ও তার রাসূলের প্রতি ভালোবাসায় জাগ্রত হয়েই চলে এসেছি।
যঈফ, বিচ্ছিন্ন, ইতহাফুল খাইরাহ আল মাহরাহ (৮/১৭৪)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব।
حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنِ الأَغَرِّ بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ خَلِيفَةَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي نَصْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى : ( إذَا جَاءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ ) قَالَ كَانَتِ الْمَرْأَةُ إِذَا جَاءَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لِتُسْلِمَ حَلَّفَهَا بِاللَّهِ مَا خَرَجْتُ مِنْ بُغْضِ زَوْجِي مَا خَرَجْتُ إِلاَّ حُبًّا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
[Abu An-Nasr narrated :
from Ibn Abbas, regarding the saying of Allah, the Most High: When believing women come to you as emigrants, examine them. He said: “When a woman come to the Prophet to accept Islam, she would have to take and an oath by Allah: ‘I have not left out of anger with my husband, I have not left except out of love for Allah and His Messenger.’”]