পরিচ্ছেদঃ ৫৯. সূরা আল-মুজাদালাহ

৩২৯৯। সালামাহ ইবনু সাখর আল-আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি এমন এক পুরুষ, যাকে এত যৌনশক্তি দেয়া হয়েছে যা অন্য কাউকে দেয়া হয়নি। রমাযান মাস এলে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে যিহার করি, যাতে রমাযান মাসটা অতিক্রম হয়ে যায় এবং রাতে সহবাসের আশংকা হতে বেঁচে থাকতে পারি। একই ধারাবাহিকতায় আমার দিনগুলো (সঙ্গমহীন) অতিক্রম হবে এবং তাকে আমি ত্যাগও করতে পারি না।

এ পরিপ্রেক্ষিতে একদিন সে রাতের বেলা আমার সেবা করছিল, হঠাৎ তার কোন জিনিস আমার সম্মুখে উম্মুক্ত হয়ে গেলে আমি তার উপর ঝাপিয়ে পড়ি (সঙ্গম করি)। সকালে উপনিত হয়ে আমি আমার গোত্রের লোকের কাছে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আমার বিষয়টি জানাই। আমি বললাম, আমাকে নিয়ে তোমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে চলো এবং আমার বিষয়টি তাকে জানাই। তারা বলল, না আল্লাহর কসম! আমরা তা করতে অপারগ। আমাদের মনে হচ্ছে যে, আমাদের প্রসঙ্গে কুরআনে আয়াত অবতীর্ণ হবে কিংবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের প্রসঙ্গে এরূপ মন্তব্য করবেন আমাদের জন্য যা লজ্জার বিষয় হয়ে থাকবে। বরং তুমি একাই যাও এবং যা তোমার’ উপর্যুক্ত মনে হয় তাই কর।

বর্ণনাকারী বলেন, আমি রওয়ানা হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে উপস্থিত হলাম এবং তাকে আমার বিষয়টি জানালাম। তিনি বললেনঃ এ কাজ তুমি করেছ। আমি বললাম, এমন কাজ আমি করেছি। তিনি আবার বললেনঃ এ কাজ তুমি করেছ! আমি বললাম, এমন কাজ আমি করেছি। তিনি বললেনঃ এ কাজ তুমি করেছ! আমি বললাম, এমন কাজ আমি করেছি। আমি উপস্থিত। অতএব আল্লাহর বিধান আমার উপর কার্যকর করুন, আমি ধৈর্য ধারণ করব।

তিনি বললেনঃ একটি দাসী মুক্ত কর। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আমার ঘাড়ের উপরাংশে আমার হাত দিয়ে আঘাত করে বললাম, না সেই সত্তার কসম, আপনাকে যিনি সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! তাকে ছাড়া আমি আর কিছুর মালিক নই। তিনি বললেনঃ তাহলে ধারাবাহিকভাবে দুই মাস রোযা রাখ। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! যে বিপদ আমার উপর এসেছে তা তো এ রোযার কারণেই। তিনি বললেনঃ তাহলে ষাটজন দরিদ্রকে আহার করাও। আমি বললাম, সেই সত্তার কসম, আপনাকে সত্যসহ যিনি পাঠিয়েছেন। আজ রাতে আমরাই অভুক্ত ছিলাম, আমাদের কাছে রাতের খাবার ছিল না। তিনি বললেনঃ যে লোক যুরাইক গোত্রের যাকাত আদায় করে, তার কাছে তুমি যাও এবং তাকে বল, তাহলে তোমাকে সে কিছু দিবে। তার এক ওয়াসাক এর মাধ্যমে তুমি ষাটজন মিসকীনকে আহার করাবে এবং বাকি যা থাকে তা তুমি ও তোমার পরিজনের জন্য খরচ করবে।

বর্ণনাকারী বলেন, তারপর আমি আমার গোত্রের কাছে প্রত্যাবর্তন করলাম এবং তাদেরকে বললাম, তোমাদের কাছে আমি পেয়েছি সংকীর্ণতা ও কুপরামর্শ, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পেয়েছি প্রশস্ততা ও প্রাচুর্য। তিনি তোমাদের যাকাত আমাকে দান করার আদেশ দিয়েছেন। অতএব তা আমার কাছে তোমরা অর্পণ কর। অতএব তারা আমার কাছে তা অর্পণ করে।

সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ২০৬২)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ বলেন, আমার মতে সুলাইমান ইবনু ইয়াসার সালামাহ্ ইবনু সাখর-এর কোন বর্ণনা শুনেননি। তিনি আরো বলেন, তার নাম সালামাহ ইবনু সাখর, তবে সালমান ইবনু সাখর নামেও পরিচিত। এ অনুচ্ছেদে সালাবাহ (রাযিঃ)-এর কন্যা ও আওস ইবনুস সামিত (রাযিঃ)-এর সহধর্মিণী খাওলাহ (রাযিঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত রয়েছে।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كُنْتُ رَجُلاً قَدْ أُوتِيتُ مِنْ جِمَاعِ النِّسَاءِ مَا لَمْ يُؤْتَ غَيْرِي فَلَمَّا دَخَلَ رَمَضَانُ تَظَاهَرْتُ مِنَ امْرَأَتِي حَتَّى يَنْسَلِخَ رَمَضَانُ فَرَقًا مِنْ أَنْ أُصِيبَ مِنْهَا فِي لَيْلَتِي فَأَتَتَابَعَ فِي ذَلِكَ إِلَى أَنْ يُدْرِكَنِي النَّهَارُ وَأَنَا لاَ أَقْدِرُ أَنْ أَنْزِعَ فَبَيْنَمَا هِيَ تَخْدُمُنِي ذَاتَ لَيْلَةٍ إِذْ تَكَشَّفَ لِي مِنْهَا شَيْءٌ فَوَثَبْتُ عَلَيْهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ غَدَوْتُ عَلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمْ خَبَرِي فَقُلْتُ انْطَلِقُوا مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُخْبِرُهُ بِأَمْرِي ‏.‏ فَقَالُوا لاَ وَاللَّهِ لاَ نَفْعَلُ نَتَخَوَّفُ أَنْ يَنْزِلَ فِينَا قُرْآنٌ أَوْ يَقُولَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَقَالَةً يَبْقَى عَلَيْنَا عَارُهَا وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ فَاصْنَعْ مَا بَدَا لَكَ ‏.‏ قَالَ فَخَرَجْتُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ خَبَرِي ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَنْتَ بِذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْتَ بِذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْتَ بِذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ وَهَا أَنَا ذَا فَأَمْضِ فِيَّ حُكْمَ اللَّهِ فَإِنِّي صَابِرٌ لِذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَعْتِقْ رَقَبَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَضَرَبْتُ صَفْحَةَ عُنُقِي بِيَدِي فَقُلْتُ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَصْبَحْتُ أَمْلِكُ غَيْرَهَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ صُمْ شَهْرَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَهَلْ أَصَابَنِي مَا أَصَابَنِي إِلاَّ فِي الصِّيَامِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا لَيْلَتَنَا هَذِهِ وَحْشَى مَا لَنَا عَشَاءٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اذْهَبْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَقُلْ لَهُ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ فَأَطْعِمْ عَنْكَ مِنْهَا وَسْقًا سِتِّينَ مِسْكِينًا ثُمَّ اسْتَعِنْ بِسَائِرِهِ عَلَيْكَ وَعَلَى عِيَالِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَرَجَعْتُ إِلَى قَوْمِي فَقُلْتُ وَجَدْتُ عِنْدَكُمُ الضِّيقَ وَسُوءَ الرَّأْىِ وَوَجَدْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السَّعَةَ وَالْبَرَكَةَ أَمَرَ لِي بِصَدَقَتِكُمْ فَادْفَعُوهَا إِلَىَّ فَدَفَعُوهَا إِلَىَّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ لَمْ يَسْمَعْ عِنْدِي مِنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ ‏.‏ قَالَ وَيُقَالُ سَلَمَةُ بْنُ صَخْرٍ وَسَلْمَانُ بْنُ صَخْرٍ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ خَوْلَةَ بِنْتِ ثَعْلَبَةَ وَهِيَ امْرَأَةُ أَوْسِ بْنِ الصَّامِتِ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، والحسن بن علي الحلواني، حدثنا يزيد بن هارون، حدثنا محمد بن اسحاق، عن محمد بن عمرو بن عطاء، عن سليمان بن يسار، عن سلمة بن صخر الانصاري، قال كنت رجلا قد اوتيت من جماع النساء ما لم يوت غيري فلما دخل رمضان تظاهرت من امراتي حتى ينسلخ رمضان فرقا من ان اصيب منها في ليلتي فاتتابع في ذلك الى ان يدركني النهار وانا لا اقدر ان انزع فبينما هي تخدمني ذات ليلة اذ تكشف لي منها شيء فوثبت عليها فلما اصبحت غدوت على قومي فاخبرتهم خبري فقلت انطلقوا معي الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فاخبره بامري ‏.‏ فقالوا لا والله لا نفعل نتخوف ان ينزل فينا قران او يقول فينا رسول الله صلى الله عليه وسلم مقالة يبقى علينا عارها ولكن اذهب انت فاصنع ما بدا لك ‏.‏ قال فخرجت فاتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فاخبرته خبري ‏.‏ فقال ‏"‏ انت بذاك ‏"‏ ‏.‏ قلت انا بذاك ‏.‏ قال ‏"‏ انت بذاك ‏"‏ ‏.‏ قلت انا بذاك ‏.‏ قال ‏"‏ انت بذاك ‏"‏ ‏.‏ قلت انا بذاك وها انا ذا فامض في حكم الله فاني صابر لذلك ‏.‏ قال ‏"‏ اعتق رقبة ‏"‏ ‏.‏ قال فضربت صفحة عنقي بيدي فقلت لا والذي بعثك بالحق ما اصبحت املك غيرها ‏.‏ قال ‏"‏ صم شهرين ‏"‏ ‏.‏ قلت يا رسول الله وهل اصابني ما اصابني الا في الصيام ‏.‏ قال ‏"‏ فاطعم ستين مسكينا ‏"‏ ‏.‏ قلت والذي بعثك بالحق لقد بتنا ليلتنا هذه وحشى ما لنا عشاء ‏.‏ قال ‏"‏ اذهب الى صاحب صدقة بني زريق فقل له فليدفعها اليك فاطعم عنك منها وسقا ستين مسكينا ثم استعن بساىره عليك وعلى عيالك ‏"‏ ‏.‏ قال فرجعت الى قومي فقلت وجدت عندكم الضيق وسوء الراى ووجدت عند رسول الله صلى الله عليه وسلم السعة والبركة امر لي بصدقتكم فادفعوها الى فدفعوها الى ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ قال محمد سليمان بن يسار لم يسمع عندي من سلمة بن صخر ‏.‏ قال ويقال سلمة بن صخر وسلمان بن صخر ‏.‏ وفي الباب عن خولة بنت ثعلبة وهي امراة اوس بن الصامت ‏.‏


Salamah bin Sakhr Al Ansari said:
“I was a man who had an issue with intercourse with a women that none other than me had. When (the month of) Ramadan entered, I pronounced Zihar upon my wife (to last) until the end of Ramadan, fearing that I might have an encounter with her during the night, and I would continue doing that until daylight came upon me, and I would not be able to stop. One night while she was serving me, something of her became exposed for me, so I rushed myself upon her. When the morning came I went to my people to inform them about what happened to me. I said: ‘Accompany me to the Messenger of Allah to inform him about my case.’ They said: ‘No by Allah! We shall not do that, we feat that something will be revealed about us in the Qur’an, or the Messenger of Allah might say something about us, the disgrace of which will remain upon us. But you do and do whatever you want.’” He said: “So I left and I went to the Messenger of Allah, and informed him of my case. He said: ‘You are the one who did that?” I said: ‘I am the one.’ He said: ‘You are the one who did that?” I said: ‘I am the one.’ He said: ‘You are the one who did that?” I said: ‘I am the one, it is before you, so give me Allah’s judgment, for I shall be patient with that.’ He said: ‘Free a slave.’” He said: “I struck the sides of my neck with me hands, and said: ‘No by the One Who sent you with the Truth! I possess nothing besides it.’ He said: ‘Then fast for two months’ I said: ‘O Messenger of Allah! Did this occur to me other than when I was fasting?’ He said: ‘Then feed sixty poor people.’ I said: ‘By the One Who sent you with the Truth! We have spent these nights of ours hungry without an evening meal.’ He said: ‘Go to the one with the charity from Banu Ruzaiq, tell him to give it to you, then feed a Wasq of it, on your behalf, to sixty poor people. Then help yourself and your dependants with the remainder of it.’” He said: “I returned to my people and said: ‘I found dejection and bad ideas with you, and I found liberalness and blessing with the Messenger of Allah. He ordered me to take your charity, so give it to me.’ So they gave it to me.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ৫৯. সূরা আল-মুজাদালাহ

৩৩০০। আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রাসূলের সাথে চুপি চুপি কথা বলার ইচ্ছা করলে তার পূর্বে সদাকা দেবে" (সূরাঃ আল-মুজাদালাহ-১২), তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ এক দীনার নিদ্ধারণের ব্যাপারে তোমার কি মত? আমি বললাম, লোকদের সামর্থে কুলাবে না। তিনি বললেনঃ তাহলে অর্ধ দীনার? আমি বললাম, তাও তাদের সামর্থে কুলাবে না। তিনি বললেনঃ তাহলে কত নিৰ্দ্ধারণ করা যায়? আমি বললাম, এক বালির দানা পরিমাণ (সোনা)। তিনি বললেনঃ তুমি খুব কম নিৰ্দ্ধারণকারী। রাবী বলেন, তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “তোমরা কি চুপে চুপে কথা বলার পূর্বে সদাকা প্রদানকে কষ্টকর মনে কর” (সূরাঃ আল-মুজাদালাহ- ১৩)? আলী (রাঃ) বলেন, আমার কারণে আল্লাহ তা’আলা এই উন্মাতের জন্য বিধানটি হালকা (বাতিল) করেন।

সনদ দুর্বল

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ الأَشْجَعِيُّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَلْقَمَةَ الأَنْمَارِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُولَ فَقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَىْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَةً ‏)‏ ‏.‏ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا تَرَى دِينَارًا ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ لاَ يُطِيقُونَهُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَنِصْفُ دِينَارٍ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ لاَ يُطِيقُونَهُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَكَمْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ شَعِيرَةٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّكَ لَزَهِيدٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏أأَشْفَقْتُمْ أَنْ تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَىْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَاتٍ ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ فَبِي خَفَّفَ اللَّهُ عَنْ هَذِهِ الأُمَّةِ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ شَعِيرَةٌ يَعْنِي وَزْنَ شَعِيرَةٍ مِنْ ذَهَبٍ وَأَبُو الْجَعْدِ اسْمُهُ رَافِعٌ ‏.‏

حدثنا سفيان بن وكيع، حدثنا يحيى بن ادم، حدثنا عبيد الله الاشجعي، عن الثوري، عن عثمان بن المغيرة الثقفي، عن سالم بن ابي الجعد، عن علي بن علقمة الانماري، عن علي بن ابي طالب، قال لما نزلت ‏:‏ ‏(‏يا ايها الذين امنوا اذا ناجيتم الرسول فقدموا بين يدى نجواكم صدقة ‏)‏ ‏.‏ قال لي النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ما ترى دينارا ‏"‏ ‏.‏ قلت لا يطيقونه ‏.‏ قال ‏"‏ فنصف دينار ‏"‏ ‏.‏ قلت لا يطيقونه ‏.‏ قال ‏"‏ فكم ‏"‏ ‏.‏ قلت شعيرة ‏.‏ قال ‏"‏ انك لزهيد ‏"‏ ‏.‏ قال فنزلت ‏:‏ ‏(‏ااشفقتم ان تقدموا بين يدى نجواكم صدقات ‏)‏ الاية ‏.‏ قال فبي خفف الله عن هذه الامة ‏.‏ قال هذا حديث حسن غريب انما نعرفه من هذا الوجه ‏.‏ ومعنى قوله شعيرة يعني وزن شعيرة من ذهب وابو الجعد اسمه رافع ‏.‏


Ali bin Abi Talib said:
“When (the following) was revealed: ‘O you who believe! When you consult the Messenger in private, spend something in charity before your private consultation.’ The Prophet said to me: ‘What do you think? A dinar?’ I said: ‘They will not be able to.’ He said: ‘Then half a Dinar?’ I said: ‘They will not be able.’ He said: ‘Then how much?’ I said ‘A barely corn.’ He said: ‘You made it too little.’” He said: “So the Ayah was revealed: ‘Are you afraid of spending in charity before your private consultation?’ He said: “It was about my case for which Allah lightened the burden upon this Ummah.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ৫৯. সূরা আল-মুজাদালাহ

৩৩০১। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, এক ইয়াহুদী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণের কাছে এসে বলল, “আস-সামু আলাইকুম” (তোমাদের মরণ হোক)। লোকেরা তার উত্তর দিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে কী বলেছে তোমরা কি তা বুঝতে পেরেছ? তারা বলেন, আল্লাহ তা’আলা ও তার রাসূল ভালো জানেন। হে আল্লাহর নবী! সে সালাম দিয়েছে। তিনি বললেনঃ না, অথচ সে এই এই কথা বলেছে। আমার কাছে তাকে তোমরা ফিরিয়ে নিয়ে আস। অতঃপর তারা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসলে তিনি বললেনঃ তুমি কি বলেছ আস-সামু আলাইকুম? সে বলল, হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সময় বললেনঃ তোমাদেরকে আহলে কিতাবের কেউ সালাম করলে তোমরা বলবে, “আলাইকা মা কুলতা” (যা তুমি বলেছ তোমার উপর তা-ই বর্ষিত হোক)। তারপর এ আয়াত তিনি পাঠ করেন (অনুবাদ), “যখন এরা তোমার কাছে আসে তখন তোমাকে এরূপ কথা দ্বারা অভিবাদন করে যার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা তোমাকে অভিবাদন করেননি"- (সূরা মুজাদালাহ্ ৮)।

সহীহঃ ইরওয়া (হাঃ ৫/১১৭), মুসলিম আয়াতের উল্লেখ ব্যতীত।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ يَهُودِيًّا، أَتَى عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ فَقَالَ السَّامُ عَلَيْكُمْ فَرَدَّ عَلَيْهِ الْقَوْمُ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا قَالَ هَذَا ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ سَلَّمَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ لاَ وَلَكِنَّهُ قَالَ كَذَا وَكَذَا رُدُّوهُ عَلَىَّ ‏"‏ ‏.‏ فَرَدُّوهُ قَالَ ‏"‏ قُلْتَ السَّامُ عَلَيْكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ ‏"‏ إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فَقُولُوا عَلَيْكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ عَلَيْكَ مَا قُلْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏(‏وإِذَا جَاءُوكَ حَيَّوْكَ بِمَا لَمْ يُحَيِّكَ بِهِ اللَّهُ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا يونس، عن شيبان، عن قتادة، حدثنا انس بن مالك، ان يهوديا، اتى على النبي صلى الله عليه وسلم واصحابه فقال السام عليكم فرد عليه القوم فقال نبي الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هل تدرون ما قال هذا ‏"‏ ‏.‏ قالوا الله ورسوله اعلم سلم يا نبي الله ‏.‏ قال ‏"‏ لا ولكنه قال كذا وكذا ردوه على ‏"‏ ‏.‏ فردوه قال ‏"‏ قلت السام عليكم ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ قال نبي الله صلى الله عليه وسلم عند ذلك ‏"‏ اذا سلم عليكم احد من اهل الكتاب فقولوا عليك ‏"‏ ‏.‏ قال ‏"‏ عليك ما قلت ‏"‏ ‏.‏ قال ‏:‏ ‏(‏واذا جاءوك حيوك بما لم يحيك به الله ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Anas bin Malik narrated that:
A Jew came to the Prophet of Allah and his Companions and said: “As-Samu Alaikum (Death be upon you).” So the people replied to him. The Prophet of Allah said: “Do you know what this person said?” They said: “Allah and His Messenger know better – he said the Salam – O Allah’s Prophet.” He said: “No, rather he said like this and that. Bring him back for e=me.” So they brought him back and he said: “Did you say As-Samu Alaikum? He said: “Yes.” So with that Allah’s Prophet said: “When one of the People of the Book gives you the Salam, then say: “Alaika Ma Qulta (Whatever you said to you too).” He said: ‘And when they come to you, they greet you with a greeting wherewith Allah greets you not.’


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে