পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৪৭. গিফার, আসলাম, জুহাইনাহ, আশাযা, মুজাইনাহ, তামিম, দাওস ও তাঈ গোত্রগুলোর ফযীলত।

১৬৩৭. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কুরাইশ, আনসার, জুহায়নাহ, মুযায়নাহ, আসলাম, আশজা ও গিফার গোত্রগুলো আমার সাহায্যকারী। আল্লাহ্ ও তার রাসূল ছাড়া তাদের সাহায্যকারী আর কেউ নেই।

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قُرَيْشٌ وَالأَنْصَارُ وَجُهَيْنَةُ وَمُزَيْنَةُ وَأَسْلَمُ وَأَشْجَعُ وَغِفَارُ، مَوَالِيَّ؛ لَيْسَ لَهُمْ مَوْلًى دُونَ اللهِ وَرَسُولِهِ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: قريش والانصار وجهينة ومزينة واسلم واشجع وغفار، موالي؛ ليس لهم مولى دون الله ورسوله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৪৭. গিফার, আসলাম, জুহাইনাহ, আশাযা, মুজাইনাহ, তামিম, দাওস ও তাঈ গোত্রগুলোর ফযীলত।

১৬৩৮. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আসলাম, গিফার এবং মুযাইনাহ ও জুহানাহ গোত্রের কিছু অংশ অথবা জুহাইনাহর কিছু অংশ কিংবা মুযায়নাহর কিছু অংশ আল্লাহর নিকট অথবা বলেছেন কিয়ামতের দিন আসাদ, তামীম, হাওয়াযিন ও গাতফান গোত্র চেয়ে উত্তম বলে বিবেচিত হবে।

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَسْلَمُ وَغِفَارُ وَشَيْءٌ مِنْ مُزَيْنَةَ وَجُهَيْنَةَ (أَوْ قَالَ) شَيْءٌ مِنْ جُهَيْنَةَ أَوْ مُزَيْنَةَ، خَيْرٌ عِنْدَ اللهِ (أَوْ قَالَ) يَوْمَ الْقَيَامَةِ، مِنْ أَسَدٍ وَتَمِيمٍ وَهَوَازِنَ وَغَطَفَانَ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اسلم وغفار وشيء من مزينة وجهينة (او قال) شيء من جهينة او مزينة، خير عند الله (او قال) يوم القيامة، من اسد وتميم وهوازن وغطفان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৪৭. গিফার, আসলাম, জুহাইনাহ, আশাযা, মুজাইনাহ, তামিম, দাওস ও তাঈ গোত্রগুলোর ফযীলত।

১৬৩৯. আবূ বকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আকরা ইবনু হাবিস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ’আরয করলেন, আসলাম গোত্রের সুররাক, হাজীজ, গিফার ও মুযায়না গোত্রদ্বয় আপনার নিকট বায়’আত করেছে এবং (রাবী বলেন) আমার ধারণা জুহায়না গোত্রও। এ ব্যাপারে ইবনু আবু ইয়াকুব সন্দেহ পোষণ করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি কি জান, আসলাম, গিফার ও মুযায়না গোত্রদ্বয়, (রাবী বলেন) আমার মনে হয় তিনি জুহায়না গোত্রের কথাও উল্লেখ করেছেন যে বনূ তামীম, বনূ ’আমির, আসাদ এবং গাতান (গোত্রগুলো) যারা ক্ষতিগ্রস্ত ও বঞ্চিত হয়েছে, তাদের তুলনায় পূর্বোক্ত গোত্রগুলো উত্তম। রাবী বলেন, হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, প্রাক্তগুলো শেষােক্ত গোত্রগুলোর তুলনায় অবশ্যই অতি উত্তম।

حديث أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّمَا بَايَعَكَ سُرَّاق الْحَجِيجِ، مِنْ أَسْلَمَ وَغِفَارَ وَمُزَيْنَةَ وَجُهَيْنَةَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ أَسْلَمُ وَغِفَارُ وَمُزَيْنَةُ وَجُهَيْنَةُ خَيْرًا مِنْ بَنِي تَمِيمٍ وَبَنِي عَامِرٍ وَأَسَدٍ وَغَطَفَانَ، خَابُوا وَخَسِرُوا قَالَ: نَعَمْ قَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بَيَدِهِ إِنَّهُمْ لَخَيْرٌ مِنْهُمْ

حديث ابي بكرة، ان الاقرع بن حابس قال للنبي صلى الله عليه وسلم: انما بايعك سراق الحجيج، من اسلم وغفار ومزينة وجهينة قال النبي صلى الله عليه وسلم: ارايت ان كان اسلم وغفار ومزينة وجهينة خيرا من بني تميم وبني عامر واسد وغطفان، خابوا وخسروا قال: نعم قال: والذي نفسي بيده انهم لخير منهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৪৭. গিফার, আসলাম, জুহাইনাহ, আশাযা, মুজাইনাহ, তামিম, দাওস ও তাঈ গোত্রগুলোর ফযীলত।

১৬৪০. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তুফাইল ইবনু আমর দাওসী ও তাঁর সঙ্গীরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! দাওস গোত্রের লোকরা ইসলাম গ্রহণে অবাধ্যতা করেছে ও অস্বীকার করেছে। আপনি তাদের বিরুদ্ধে দুআ করুন। অতঃপর বলা হলো, দাওস গোত্র ধ্বংস হোক। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আল্লাহ! আপনি দাওস গোত্রকে হিদায়াত করুন এবং তাদেরকে ইসলামে নিয়ে আসুন।

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَدِمَ طُفَيْلُ بْنُ عَمْرِو الدَّوْسِيُّ، وَأَصْحَابُهُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: يَا رسُولَ اللهِ إِنَّ دَوْسًا عَصَتْ، وَأَبَتْ فَادْعُ اللهَ عَلَيْهَا فَقِيلَ: هَلَكَتْ دَوْسٌ قَالَ: اللهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَأْتِ بِهِمْ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قدم طفيل بن عمرو الدوسي، واصحابه على النبي صلى الله عليه وسلم، فقالوا: يا رسول الله ان دوسا عصت، وابت فادع الله عليها فقيل: هلكت دوس قال: اللهم اهد دوسا وات بهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৪৭. গিফার, আসলাম, জুহাইনাহ, আশাযা, মুজাইনাহ, তামিম, দাওস ও তাঈ গোত্রগুলোর ফযীলত।

১৬৪১. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে তিনটি কথা শোনার পর হতে বনী তামীম গোত্রকে আমি ভালবেসে আসছি। আমি তাকে বলতে শুনেছি, দাজ্জালের মুকাবিলায় আমার উম্মতের মধ্যে এরাই হবে অধিকতর কঠোর। আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) বলেন, একবার তাদের পক্ষ হতে সদকার মাল আসল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ যে আমার কাওমের সাদাকা। ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর হাতে তাদের এক বন্দিনী ছিল। তা দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, একে মুক্ত করে দাও। কেননা, সে ইসমাঈলের বংশধর।

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: مَا زِلْتُ أُحِبُّ بَنِي تَمِيمٍ مُنْذُ ثَلاَثٍ سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِيهِمْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ: هُمْ أَشَدُّ أَمَّتِي عَلَى الدَّجَّالِ قَالَ: وَجَاءَتْ صَدَقَاتُهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هذِهِ صَدَقَاتُ قَوْمِنَا وَكَانَتْ سَبيَّة مِنْهُمْ عِنْدَ عَائِشَةَ فَقَالَ: أَعْتِقِيهَا، فَإِنَّهَا مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلِ

حديث ابي هريرة، قال: ما زلت احب بني تميم منذ ثلاث سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول فيهم سمعته يقول: هم اشد امتي على الدجال قال: وجاءت صدقاتهم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: هذه صدقات قومنا وكانت سبية منهم عند عاىشة فقال: اعتقيها، فانها من ولد اسماعيل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে