পরিচ্ছেদঃ ১০/৫. সূর্য গ্রহণের সালাতের জন্য আহ্বান হচ্ছেঃ আস্ সালাতু জামি'আহ।

৫২৬. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর (রাযি.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় যখন সূর্যগ্রহণ হয় তখন ’আস্-সালাতু জামিআতুন’ বলে ঘোষণা দেয়া হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন এক রাকা’আতে দু’বার রুকূ করেন, অতঃপর দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাকা’আতেও দু’বার রুকূ’ করেন অতঃপর বসেন আর ততক্ষণে সূর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে যায়। বর্ণনাকারী বলেন, ’আয়িশাহ্ (রাযি.) বলেছেন, এ সালাত ব্যতীত এত দীর্ঘ সিজদা্ আমি কখনও করিনি।

ذكر النداء بصلاة الكسوف، الصلاة جامعة

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: لَمَّا كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نُودِيَ: إِنَّ الصَّلاَةَ جَامِعَةٌ، فَرَكَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَيْنِ فِي سَجْدَةٍ، ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ فِي سَجْدَةٍ، ثُمَّ جَلَسَ، ثُمَّ جُلِّيَ عَنِ الشَّمْسِ قَالَ: وَقَالَتْ عَائِشَةُ: مَا سَجَدْتُ سُجُودًا قَطُّ كَانَ أَطْوَلَ مِنْهَا

حديث عبد الله بن عمرو بن العاص قال: لما كسفت الشمس على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم، نودي: ان الصلاة جامعة، فركع النبي صلى الله عليه وسلم ركعتين في سجدة، ثم قام فركع ركعتين في سجدة، ثم جلس، ثم جلي عن الشمس قال: وقالت عاىشة: ما سجدت سجودا قط كان اطول منها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১০/ সূর্য গ্রহণের সালাত (كتاب الكسوف)

পরিচ্ছেদঃ ১০/৫. সূর্য গ্রহণের সালাতের জন্য আহ্বান হচ্ছেঃ আস্ সালাতু জামি'আহ।

৫২৭. আবূ মাস’উদ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোকের মৃত্যুর কারণে কখনো সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তবে তা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। তাই তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হতে দেখবে, তখন দাঁড়িয়ে যাবে এবং সালাত আদায় করবে।

ذكر النداء بصلاة الكسوف، الصلاة جامعة

حديث أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ، وَلكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَقُومُوا فَصَلُّوا

حديث ابي مسعود قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: ان الشمس والقمر لا ينكسفان لموت احد من الناس، ولكنهما ايتان من ايات الله، فاذا رايتموهما فقوموا فصلوا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১০/ সূর্য গ্রহণের সালাত (كتاب الكسوف)

পরিচ্ছেদঃ ১০/৫. সূর্য গ্রহণের সালাতের জন্য আহ্বান হচ্ছেঃ আস্ সালাতু জামি'আহ।

৫২৮. আবূ মূসা (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ হল, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় উঠলেন এবং কিয়ামত সংঘটিত হবার ভয় করছিলেন। অতঃপর তিনি মসজিদে আসেন এবং এর পূর্বে আমি তাঁকে যেমন করতে দেখেছি, তার চেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কিয়াম, রুকূ’ ও সিজদা্ সহকারে সালাত আদায় করলেন। আর তিনি বললেনঃ এগুলো হল নিদর্শন যা আল্লাহ্ পাঠিয়ে থাকেন, তা কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে হয় না। বরং আল্লাহ্ তা’আলা এর মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন। কাজেই যখন তোমরা এর কিছু দেখতে পাবে, তখন ভীত বিহবল অবস্থায় আল্লাহর যিক্র, দু’আ এবং ইস্তিগফারের দিকে অগ্রসর হবে।

ذكر النداء بصلاة الكسوف، الصلاة جامعة

حديث أَبِي مُوسَى قَالَ: خَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَزِعًا، يَخْشَى أَنْ تَكُونَ السَّاعَةُ؛ فَأَتَى الْمَسْجِدَ فَصَلّى بِأَطْوَلِ قِيَامٍ وَرُكُوعٍ وَسُجُودٍ رَأَيْتُهُ قَطُّ يَفْعَلُهُ، وَقَالَ: هذِهِ الآيَاتُ الَّتِي يُرْسِلُ اللهُ، لاَ تَكُونُ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، وَلكِنْ يُخَوِّفُ اللهُ بِهِ عِبَادَهُ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْ ذلِكَ فَافْزَعُوا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَدُعَائِهِ وِاسْتِغْفَارِهِ

حديث ابي موسى قال: خسفت الشمس، فقام النبي صلى الله عليه وسلم فزعا، يخشى ان تكون الساعة؛ فاتى المسجد فصلى باطول قيام وركوع وسجود رايته قط يفعله، وقال: هذه الايات التي يرسل الله، لا تكون لموت احد ولا لحياته، ولكن يخوف الله به عباده، فاذا رايتم شيىا من ذلك فافزعوا الى ذكر الله ودعاىه واستغفاره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১০/ সূর্য গ্রহণের সালাত (كتاب الكسوف)

পরিচ্ছেদঃ ১০/৫. সূর্য গ্রহণের সালাতের জন্য আহ্বান হচ্ছেঃ আস্ সালাতু জামি'আহ।

৫২৯. ইবনু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে হয় না। তবে তা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কাজেই তোমরা যখনই গ্রহণ হতে দেখবে তখনই সালাত আদায় করবে।

ذكر النداء بصلاة الكسوف، الصلاة جامعة

حديث ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يُخْبِرُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، وَلكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَصَلُّوا

حديث ابن عمر، انه كان يخبر عن النبي صلى الله عليه وسلم: ان الشمس والقمر لا يخسفان لموت احد ولا لحياته، ولكنهما ايتان من ايات الله، فاذا رايتموهما فصلوا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১০/ সূর্য গ্রহণের সালাত (كتاب الكسوف)

পরিচ্ছেদঃ ১০/৫. সূর্য গ্রহণের সালাতের জন্য আহ্বান হচ্ছেঃ আস্ সালাতু জামি'আহ।

৫৩০. মুগীরাহ ইবনু শু’বা (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় যে দিন (তাঁর পুত্র) ইবরাহীম (রাযি.) ইন্তিকাল করেন, সেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। লোকেরা তখন বলতে লাগল, ইব্রাহীম (রাযি.) এর মৃত্যুর কারণেই সূর্যগ্রহণ হয়েছে। তখন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কারো মৃত্যু অথবা জন্মের কারণে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমরা যখন তা দেখবে, তখন সালাত আদায় করবে এবং আল্লাহর নিকট দু’আ করবে।

ذكر النداء بصلاة الكسوف، الصلاة جامعة

حديث الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ: كَسَفَتِ الشَّمْسِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ؛ فَقَالَ النَّاسُ: كَسَفَتِ الشَّمْسُ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ فَصَلُّوا وَادْعُوا اللهَ

حديث المغيرة بن شعبة، قال: كسفت الشمس على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم مات ابراهيم؛ فقال الناس: كسفت الشمس لموت ابراهيم، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان الشمس والقمر لا ينكسفان لموت احد ولا لحياته، فاذا رايتم فصلوا وادعوا الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১০/ সূর্য গ্রহণের সালাত (كتاب الكسوف)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে