পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৪২. ‘উকবা ইবনু হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আবূ বকর (রাঃ) বাদ আসর এর সালাত শেষে বের হয়ে চলতে লাগলেন। হাসান (রাঃ)-কে ছেলেদের সঙ্গে খেলা করতে দেখলেন। তখন তিনি তাঁকে স্কন্ধে তুলে নিলেন এবং বললেন, আমার পিতা কুরবান হোন! এ-ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাদৃশ্য, আলীর সাদৃশ্য নয়। তখন ‘আলী (রাঃ) হাসছিলেন। (৩৭৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৮৭)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَبُوْ عَاصِمٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيْدِ بْنِ أَبِيْ حُسَيْنٍ عَنْ ابْنِ أَبِيْ مُلَيْكَةَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ صَلَّى أَبُوْ بَكْرٍ الْعَصْرَ ثُمَّ خَرَجَ يَمْشِيْ فَرَأَى الْحَسَنَ يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ فَحَمَلَهُ عَلَى عَاتِقِهِ وَقَالَ بِأَبِيْ شَبِيْهٌ بِالنَّبِيِّ لَا شَبِيْهٌ بِعَلِيٍّ وَعَلِيٌّ يَضْحَكُ
Narrated `Uqba bin Al-Harith:
(Once) Abu Bakr offered the `Asr prayer and then went out walking and saw Al-Hasan playing with the boys. He lifted him on to his shoulders and said, " Let my parents be sacrificed for your sake! (You) resemble the Prophet (ﷺ) and not `Ali," while `Ali was smiling.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৪৩. আবূ জুহাইফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি। আর হাসান (রাঃ) তাঁরই সদৃশ। (৩৫৪৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৮৮)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ عَنْ أَبِيْ جُحَيْفَةَ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ الْحَسَنُ يُشْبِهُهُ
Narrated Abu Juhaifa:
I saw the Prophet, and Al-Hasan resembled him.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৪৪. আবূ জুহাইফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি। হাসান ইবনু ‘আলী ছিলেন (রাঃ) তাঁরই সদৃশ। (রাবী বলেন) আমি আবূ জুহায়ফাকে বললাম, আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা দিন। তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৌর বর্ণের ছিলেন। কাল কেশরাজির মধ্যে সামান্য সাদা চুলও ছিল। তিনি তেরটি সবল উটনী আমাদেরকে দেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু আমাদের হাতে আসার আগেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যু হয়। (৩৫৪৩, মুসলিম ৪৩/২৯ হাঃ ২৩৪৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৮৯)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنِيْ عَمْرُوْ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ بْنُ أَبِيْ خَالِدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا جُحَيْفَةَ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ عَلَيْهِمَا السَّلَام يُشْبِهُهُ قُلْتُ لِأَبِيْ جُحَيْفَةَ صِفْهُ لِيْ قَالَ كَانَ أَبْيَضَ قَدْ شَمِطَ وَأَمَرَ لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِثَلَاثَ عَشْرَةَ قَلُوْصًا قَالَ فَقُبِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ أَنْ نَقْبِضَهَا
Narrated Isma`il bin Abi Khalid:
I heard Abii Juhaifa saying, "I saw the Prophet, and Al-Hasan bin `Ali resembled him." I said to Abu- Juhaifa, "Describe him for me." He said, "He was white and his beard was black with some white hair. He promised to give us 13 young she-camels, but he expired before we could get them."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৪৫. আবূ জুহাইফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি আর তাঁর নীচ ঠোঁটের নিম্নভাগে দাড়িতে সামান্য সাদা চুল দেখেছি। (মুসলিম ৪৩/২৯ হাঃ ২৩৪২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৯০)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيْلُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنْ وَهْبٍ أَبِيْ جُحَيْفَةَ السُّوَائِيِّ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَرَأَيْتُ بَيَاضًا مِنْ تَحْتِ شَفَتِهِ السُّفْلَى الْعَنْفَقَةَ
Narrated Wahb Abu Juhaifa As-Sawwai:
I saw the Prophet (ﷺ) and saw some white hair below his lower lip above the chin.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৪৬. হারীয ইবনু ‘উসমান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুসরকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছেন যে, তিনি কি বৃদ্ধ ছিলেন? তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিম দাড়িতে কয়েকটি চুল সাদা ছিল। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৯১)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عِصَامُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا حَرِيْزُ بْنُ عُثْمَانَ أَنَّهُ سَأَلَ عَبْدَ اللهِ بْنَ بُسْرٍ صَاحِبَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَرَأَيْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ شَيْخًا قَالَ كَانَ فِيْ عَنْفَقَتِهِ شَعَرَاتٌ بِيْضٌ
Narrated Hariz bin `Uthman:
That he asked `Abdullah bin Busr (i.e. the companion of the Prophet), "Did you see the Prophet (ﷺ) when he was old?" He said, "He had a few white hairs between the lower lip and the chin."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৪৭. রাবী‘আহ ইবনু আবূ ‘আবদুর রহমান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা দিতে শুনেছি। তিনি বলেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকেদের মধ্যে মাঝারি গড়নের ছিলেন- বেশি লম্বাও ছিলেন না বা বেঁটেও ছিলে না। তাঁর শরীরের রং গোলাপী ধরনের ছিল, ধবধবে সাদাও নয় কিংবা তামাটে বর্ণেরও নয়। মাথার চুল কোঁকড়ানোও ছিল না, আবার একেবারে সোজাও ছিল না। চল্লিশ বছর বয়সে তাঁর উপর ওয়াহী নাযিল হওয়া শুরু হয়। প্রথম দশ বছর মক্কা্য় অবস্থানকালে ওয়াহী যথারীতি নাযিল হতে থাকে। অতঃপর দশ বছর মদিনা্য় কাটান। অতঃপর তাঁর মৃত্যুর সময়ে তাঁর মাথা ও দাড়িতে কুড়িটি সাদা চুলও ছিল না। রাবী‘আ (রহ.) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি চুল দেখেছি তা লাল রং-এর ছিল। আমি জিজ্ঞেস করলে বলা হল যে, সুগন্ধি লাগানোর জন্য তা লাল হয়েছিল। (৩৫৪৮, ৫৯০০, মুসলিম ৪৩/৩১ হাঃ ২৩৪৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৯২)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنِيْ ابْنُ بُكَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ عَنْ خَالِدٍ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ أَبِيْ هِلَالٍ عَنْ رَبِيْعَةَ بْنِ أَبِيْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَصِفُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَانَ رَبْعَةً مِنْ الْقَوْمِ لَيْسَ بِالطَّوِيْلِ وَلَا بِالْقَصِيْرِ أَزْهَرَ اللَّوْنِ لَيْسَ بِأَبْيَضَ أَمْهَقَ وَلَا آدَمَ لَيْسَ بِجَعْدٍ قَطَطٍ وَلَا سَبْطٍ رَجِلٍ أُنْزِلَ عَلَيْهِ وَهُوَ ابْنُ أَرْبَعِيْنَ فَلَبِثَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِيْنَ يُنْزَلُ عَلَيْهِ وَبِالْمَدِيْنَةِ عَشْرَ سِنِيْنَ وَقُبِضَ وَلَيْسَ فِيْ رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ عِشْرُوْنَ شَعَرَةً بَيْضَاءَ قَالَ رَبِيْعَةُ فَرَأَيْتُ شَعَرًا مِنْ شَعَرِهِ فَإِذَا هُوَ أَحْمَرُ فَسَأَلْتُ فَقِيْلَ احْمَرَّ مِنْ الطِّيبِ
Narrated Rabi`a bin Abi `Abdur-Rahman:
I heard Anas bin Malik describing the Prophet (ﷺ) saying, "He was of medium height amongst the people, neither tall nor short; he had a rosy color, neither absolutely white nor deep brown; his hair was neither completely curly nor quite lank. Divine Inspiration was revealed to him when he was forty years old. He stayed ten years in Mecca receiving the Divine Inspiration, and stayed in Medina for ten more years. When he expired, he had scarcely twenty white hairs in his head and beard." Rabi`a said, "I saw some of his hairs and it was red. When I asked about that, I was told that it turned red because of scent. "
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৪৮. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতিরিক্ত লম্বাও ছিলেন না এবং বেঁটেও ছিলেন না। ধবধবে সাদাও ছিলেন না, আবার তামাটে রং এরও ছিলেন না। কেশগুচ্ছ একেবারে কুঞ্চিত ছিল না, পুরোপুরি সোজাও ছিল না। চল্লিশ বছর বয়সে তিনি নবুওয়্যাত পান। তাঁর নবুওয়্যাত সময়ের প্রথম দশ বছর মক্কা্য় এবং পরের দশ বছর মদিনা্য় কাটান। তাঁর মৃত্যুকালে মাথা ও দাড়িতে বিশটি চুলও সাদা ছিল না। (৩৫৪৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৯৩)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ رَبِيْعَةَ بْنِ أَبِيْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُوْلُ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ بِالطَّوِيْلِ الْبَائِنِ وَلَا بِالْقَصِيْرِ وَلَا بِالأَبْيَضِ الأَمْهَقِ وَلَيْسَ بِالْآدَمِ وَلَيْسَ بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ وَلَا بِالسَّبْطِ بَعَثَهُ اللهُ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِيْنَ سَنَةً فَأَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِيْنَ وَبِالْمَدِيْنَةِ عَشْرَ سِنِيْنَ فَتَوَفَّاهُ اللهُ وَلَيْسَ فِيْ رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ عِشْرُوْنَ شَعْرَةً بَيْضَاءَ
Narrated Anas:
Allah's Messenger (ﷺ) was neither very tall nor short, neither absolutely white nor deep brown. His hair was neither curly nor lank. Allah sent him (as an Apostle) when he was forty years old. Afterwards he resided in Mecca for ten years and in Medina for ten more years. When Allah took him unto Him, there was scarcely twenty white hairs in his head and beard.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৪৯. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারা ছিল মানুষের মধ্যে[১] সর্বাপেক্ষা সুন্দর এবং তিনি ছিলেন সর্বোত্তম আখলাকের অধিকারী। তিনি বেশি লম্বাও ছিলেন না এবং বেঁটেও ছিলেন না। (মুসলিম ৪৩/২৫ হাঃ ২৩৩৭, আহমাদ ১৮৫৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৯৪)
কেননা আল্লাহ তা‘আলা উপরোক্ত বিষয়ে স্বীয় কুরআন মাজীদের মাধ্যমেই বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অন্য কারো কোন অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনা করার অবকাশ নেই। স–রা কাহফের শেষ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে লক্ষ্য করে এরশাদ করেছেন- (قُلْ إِنَّمَآ أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ) (الكهف: من الآية১১০)
হে নাবী! তুমি বলে দাও, আমি তোমাদের মতোই একজন মানুষ।(আল-কাহ্ফ ১১০ আয়াতাংশ) এ বিষয়ে অন্যত্র আরো এরশাদ হচ্ছে- (لَقَدْ مَنَّ اللهُ عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ إِذْ بَعَثَ فِيْهِمْ رَسُوْلًا مِّنْ أَنْفُسِهِمْ الخ) (آل عمران: من الآية১৬৪)
অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের মধ্য হতেই (ফেরেশতা বা মানুষ নয় এমন কোন ভিন্ন জাতির মধ্য হতে প্রেরণ করেন নি বরং) একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন। সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং- ১৬৪। উক্ত আয়াতে উল্লেখিত رسولا من أنفسهم এই শব্দ দু’টির ব্যাখ্যায় হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ তাফসীর গ্রন্থ তাফসীরে রুহুল মা‘আনীতে আল্লামা শাইখ শেহাবুদ্দীন আলুসী-আল্ হানাফী (রহ.) লিখেছেন- রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে মানুষ বলে জানা ও তাঁকে মানুষের সন্তান মানুষ বলেই গ্রহণ করা সহীহ হওয়ার জন্য একান্ত শর্ত। তাঁকে ফেরেশতা, জ্বিন, নূরের দ্বারা তৈরী এসব কিছু বলা যাবে না বা চিন্তাও করা যাবে না। যেমন রহুল মা‘আনীর নিুোদ্ধৃত ভাষ্যে পরিষ্কার করেই বলা হয়েছে -
هل العلم وبكونه صلى الله عليه وسلم بشر ومن العرب شرط في صحه الإيمان أو من فروض الكناية؟ فأجاب بأنه شرط في صحة الإيمان ثم قال فلو قال شخص أو من برسالة محمد صلى الله عليه وسلم إلآ جميع الخلق لكن لا أدري هل هة من البشر أو من الملائكة أو من الجن أو لا أدري هل هو من العرب أو العجم؟ فلا شك في كفره لتكذيبه القرآن
অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মানুষ ছিলেন, কি আরবীয় মানুষ ছিলেন, এ বিষয়ে জ্ঞাত হওয়া এবং নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে মানুষ বলেই জানা ঈমানের জন্য শর্ত না; ফারযি কিফায়াহ (كفاية)? এর জবাব এই যে, উক্ত বিষয়টি ঈমানের জন্য শর্ত বটে। অতঃপর কেউ যদি বলে, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সমস্ত মাখলুকের জন্য নাবী এটা বিশ্বাস করি, তবে তিনি মানুষ কি জ্বিন, কি ফেরেশতা, বা আরবের কি অনারবের এটা আমি জানি না। উক্ত ব্যক্তি নিঃসন্দেহে কাফের। কেননা সে কুরআনের ঘোষণাকে অস্বীকার করেছে। تفسير روح المعاني পৃষ্ঠা নং- ১১৩, ৪র্থ খণ্ড। অতএব এখানে লক্ষণীয় এই যে, কতিপয় বিভ্রান্ত লোক নিজেদেরকে হানাফী আল্-ক্বাদরী, আল্ চিশ্তী ইত্যাদি নাম দিয়ে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে অতিমাত্রায় ভক্তি ও শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে তাঁকে আল্লাহ্ও আসনে বসিয়েছে। أحد (আহাদ) ও أحمد (আহমাদ)-এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নিজেদের অজ্ঞতাবশতঃ এ ব্যাখ্যাও দিয়েছে, যে أحد ও أحمد এর মধ্যে মাত্র একটি মীমের পার্থক্য ছাড়া আর কোন পার্থক্য নেই। نعوذ بالله প্রকাশ থাকে। পাক-ভারত উপমহাদেশের বিদ‘আতীরা কুরআন ও সহীহ হাদীস বিরোধী সমস্ত কার্যাবলী চালু করে নিজেদের নাম দিয়ে রেখেছে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ্। এ যেন বেদানা ফলের মতোই অবস্থা। বেদানা ফল দানায় ভর্তি, অথচ নাম তার বেদানা তথাকথিত أهل السنة والجماعة (আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ্) নাম দিয়ে বিদ‘আতীরা এ পৃথিবীর এমন কোন বিদ‘আত নেই, যা এরা করছে না। যেমন কবর পূজা, পীর পূজা, মীলাদ, ওরশ ওরসেকূল, ইসালে সওয়াব, জশ্নে জুলুস, মিছিল, ঈদে মিলাদুন্নাবী ইত্যাদি ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, এক শ্রেণীর বিদ‘আতীরা নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে মর্যাদা তথা অত্যধিক পরিমাণে শান-মান দেয়ার নামে এতোই সীমালঙ্ঘন করছে যে, (عالم الغيب) ‘আলিমুল গায়িব আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ ক্ষমতা হলো এই যে, তিনি সমস্ত গায়িবী খবরা-খবর জানেন। এ বিষয়ে বিদ‘আতীদের আক্বীদাহ এই যে, নাউযুবিল্লাহ মহানাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও আল্লাহ তা‘আলার ন্যায় গায়িবী খবর জানতেন ও জানেন যা সরাসরি কুরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস ও জমহারে ‘উলামাসহ হাকপন্থী সর্বশ্রেণীর মুসলিমদের আক্বীদাহ্র বিপরীত এ ব্যাপারে খোদ আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন- (وَعِنْدَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لا يَعْلَمُهَا إِلاَّ هُو) (الأنعام: من الآية৫৯)
অদৃশ্য বিষয়সমূহের চাবিকাঠি আল্লাহর নিকটে, তিনি ব্যতীত উক্ত বিষয়াবলী আর কেউ জানে না। (সূরা আন‘আম ৫৯)
এ বিষয়ে ইমাম বুখারী (রহ.) বর্ণনা করেন-
عن سالم بن عبد الله عن أبيه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : مفاتح الغيب خمس لا يعلمهن إلا الله، إن الله عنده علم الساعة وينـزل الغيث ويعلم ما في الأرحام وما تدري نفس ماذا تكسب غدا أو ما تدري نفس بأي ارض تموت إن الله عليم خبير تفسير ابن كثير (جزء الثاني)
অতীতকালের বিভ্রান্ত জাতিসমূহ তাদের নবীগণকে মাত্রাতিরিক্ত মর্যাদা দিতে গিয়ে আল্লাহ্র নামে র্শিক করেছিল। ইয়াহুদী ও খৃষ্টান জাতি ‘উযাইর ও ঈসা (আঃ)-দ্বয়কে আল্লাহ্র পুত্র বানিয়ে তাঁদের পূজা অর্চনা করতে শুরু করেছে এবং বর্তমানের বিভ্রান্ত মুসলিমদের একটা শ্রেণী উল্লেখিত জাতিদ্বয়কে ছাড়িয়ে গিয়ে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে আল্লাহ্র সাথে একাকার করে ফেলেছে বা বড়ই পরিতাপের বিষয় বটে। এ জাতির বিদ‘আতীদেরকে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সেই কালজয়ীবাণীটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই لاَ تُطْرُونِيْ كَمَا أَطْرَتْ النَّصَارَى ابْنَ مَرْيَمَ فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدُهُ فَقُوْلُوْا عَبْدُ اللهِ وَرَسُوْلُهُ (البخاري : ৩৪৪৫)
নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন- মারইয়াম তনয় ‘ঈসা (আঃ)কে নিয়ে খৃষ্টানরা যেভাবে বাড়াবাড়ি করছে তোমরা আমাকে নিয়ে সেভাবে বাড়াবাড়ি করো না, আমি কেবল একজন বান্দা। অতএব তোমরা আমাকে আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল বলে সম্বোধন করবে।
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيْدٍ أَبُوْ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُوْرٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ يُوْسُفَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ يَقُوْلُ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَحْسَنَ النَّاسِ وَجْهًا وَأَحْسَنَهُ خَلْقًا لَيْسَ بِالطَّوِيْلِ الْبَائِنِ وَلَا بِالْقَصِيْرِ
Narrated Al-Bara:
Allah's Messenger (ﷺ) was the handsomest of all the people, and had the best appearance. He was neither very tall nor short.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৫০. ক্বাতাদাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুলে খেযাব লাগাতেন কি? তিনি বললেন, না। তাঁর কানের পাশে সামান্য কয়টা চুল সাদা হয়েছিল মাত্র। (৫৮৯৪, ৫৮৯৫, মুসলিম ৪৩/২৯ হাঃ ২৩৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৯৫)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ سَأَلْتُ أَنَسًا هَلْ خَضَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا إِنَّمَا كَانَ شَيْءٌ فِيْ صُدْغَيْهِ
Narrated Qatada:
I asked Anas, "Did the Prophet (ﷺ) use to dye (his) hair?" He said, "No, for there were only a few white hairs on his temples."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৫১. বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঝারি গড়নের ছিলেন। তাঁর উভয়ে কাঁধের মধ্যস্থল প্রশস্ত ছিল। তাঁর মাথার চুল দুই কানের লতি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। আমি তাঁকে লাল ডোরাকাটা জোড় চাদর পরা অবস্থায় দেখেছি। তাঁর চেয়ে বেশি সুন্দর আমি কখনো কাউকে দেখিনি। ইউসুফ ইবনু আবূ ইসহাক তাঁর পিতা হতে হাদীস বর্ণনায় বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাথার চুল কাঁধ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। (৫৮৪৮, ৫৯০১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৯৬)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَرْبُوعًا بَعِيْدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ لَهُ شَعَرٌ يَبْلُغُ شَحْمَةَ أُذُنِهِ رَأَيْتُهُ فِيْ حُلَّةٍ حَمْرَاءَ لَمْ أَرَ شَيْئًا قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهُ قَالَ يُوْسُفُ بْنُ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنْ أَبِيْهِ إِلَى مَنْكِبَيْهِ
Narrated Al-Bara:
The Prophet (ﷺ) was of moderate height having broad shoulders (long) hair reaching his ear-lobes. Once I saw him in a red cloak and I had never seen a more handsome than him."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৫২. আবূ ইসহাক তাবি-ঈ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারাআ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারা মুবারক কি তলোয়ারের মত ছিল? তিনি বললেন না, বরং চাঁদের ন্যায় ছিল। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৯৭)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ قَالَ سُئِلَ الْبَرَاءُ أَكَانَ وَجْهُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ السَّيْفِ قَالَ لَا بَلْ مِثْلَ الْقَمَرِ
Narrated Abu 'Is-haq:
Al-Bara' was asked, "Was the face of the Prophet (as bright) as a sword?" He said, "No, but (as bright) as a moon."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৫৩. হাকাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ জুহাইফাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুপুর বেলায় বাতহার দিকে বেরোলেন। সে স্থানে উযূ করে যুহরের দু’ রাকআত ও আসরের দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করেন। তাঁর সামনে একটি বর্শা পোঁতা ছিল। বর্শার বাহির দিয়ে নারীরা যাতায়াত করছিল। সালাত শেষে লোকজন দাঁড়িয়ে গেল এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দু’ হাত ধরে তারা নিজেদের মাথা ও মুখমণ্ডল ে বুলাতে লাগলেন। আমিও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাত ধরে আমার মুখমণ্ডল ে বুলাতে লাগলাম। তাঁর হাত বরফের থেকেও স্নিগ্ধ শীতল ও কস্তুরীর থেকেও বেশি সুগন্ধিময় ছিল। (১৮৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৯৮)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مَنْصُوْرٍ أَبُوْ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ الأَعْوَرُ بِالْمَصِّيصَةِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا جُحَيْفَةَ قَالَ خَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِالْهَاجِرَةِ إِلَى الْبَطْحَاءِ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ صَلَّى الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ وَالْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ وَبَيْنَ يَدَيْهِ عَنَزَةٌ قَالَ شُعْبَةُ وَزَادَ فِيْهِ عَوْنٌ عَنْ أَبِيْهِ أَبِيْ جُحَيْفَةَ قَالَ كَانَ يَمُرُّ مِنْ وَرَائِهَا الْمَرْأَةُ وَقَامَ النَّاسُ فَجَعَلُوْا يَأْخُذُوْنَ يَدَيْهِ فَيَمْسَحُوْنَ بِهَا وُجُوْهَهُمْ قَالَ فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ فَوَضَعْتُهَا عَلَى وَجْهِيْ فَإِذَا هِيَ أَبْرَدُ مِنْ الثَّلْجِ وَأَطْيَبُ رَائِحَةً مِنْ الْمِسْكِ
Narrated Abu Juhaifa:
Once Allah's Messenger (ﷺ) went to Al-Batha' at noon, performed the ablution and offered' a two rak`at Zuhr prayer and a two-rak`at `Asr prayer while a spearheaded stick was planted before him and the passersby were passing in front of it. (After the prayer), the people got up and held the hands of the Prophet and passed them on their faces. I also took his hand and kept it on my face and noticed that it was colder than ice, and its smell was nicer than musk.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৫৪. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বাপেক্ষা বেশি দানশীল ছিলেন। তাঁর দানশীলতা বহুগুণ বর্ধিত হত রমাযানের পবিত্র দিনে যখন জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন। জিব্রাঈল (আঃ) রমাযানের প্রতি রাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করে কুরআনের সবক দিতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কল্যাণ বণ্টনে প্রবাহিত বাতাসের চেয়েও বেশি দানশীল ছিলেন। (৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৯৯)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَجْوَدَ النَّاسِ وَأَجْوَدُ مَا يَكُوْنُ فِيْ رَمَضَانَ حِيْنَ يَلْقَاهُ جِبْرِيْلُ وَكَانَ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَام يَلْقَاهُ فِيْ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ فَلَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَجْوَدُ بِالْخَيْرِ مِنْ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) was the most generous of all the people, and he used to become more generous in Ramadan when Gabriel met him. Gabriel used to meet him every night during Ramadan to revise the Qur'an with him. Allah's Messenger (ﷺ) then used to be more generous than the fast wind.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৫৫. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত আনন্দিত ও খুশি মনে তাঁর নিকট প্রবেশ করলেন। খুশীর কারণে তাঁর চেহারায় খুশীর চিহ্ন পরিস্ফুট হচ্ছিল। তিনি তখন ‘আয়িশাহ্কে বললেন, হে ‘আয়িশাহ্! তুমি শুননি, মুদলাজী যায়দ ও উসামাহ সম্পর্কে কী বলেছে? পিতা-পুত্রের শুধু পা দেখে বলল, এ পাগুলোর একটা অন্যটির অংশ। (৩৭৩১, ৬৭৭০, ৬৭৭১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩০০)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوْسَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ ابْنُ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا مَسْرُوْرًا تَبْرُقُ أَسَارِيْرُ وَجْهِهِ فَقَالَ أَلَمْ تَسْمَعِيْ مَا قَالَ الْمُدْلِجِيُّ لِزَيْدٍ وَأُسَامَةَ وَرَأَى أَقْدَامَهُمَا إِنَّ بَعْضَ هَذِهِ الأَقْدَامِ مِنْ بَعْضٍ
Narrated `Aisha:
That Allah's Messenger (ﷺ) came to her in a happy mood with his features glittering with joy, and said, "Have you not heard what the Qaif has said about Zaid and Us-ama? He saw their feet and remarked. These belong to each other." (i.e. They are father and son.)
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৫৬. ‘আবদুল্লাহ ইবনু কা‘ব (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতা কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ)-কে তার তাবূক যুদ্ধে না যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলাম, খুশী ও আনন্দে তাঁর চেহারা ঝলমল করে উঠলো। তাঁর চেহারা এমনিই আনন্দে টগবগ করত। মনে হত যেন চাঁদের একটি টুকরা। তাঁর মুখমণ্ডল ের এ অবস্থা হতে আমরা তা বুঝতে পারতাম। (২৭৫৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩০১)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ كَعْبٍ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ يُحَدِّثُ حِيْنَ تَخَلَّفَ عَنْ تَبُوكَ قَالَ فَلَمَّا سَلَّمْتُ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَبْرُقُ وَجْهُهُ مِنْ السُّرُوْرِ وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سُرَّ اسْتَنَارَ وَجْهُهُ حَتَّى كَأَنَّهُ قِطْعَةُ قَمَرٍ وَكُنَّا نَعْرِفُ ذَلِكَ مِنْهُ
Narrated `Abdullah bin Ka`b:
I heard Ka`b bin Malik talking after his failure to join (the Ghazwa of) Tabuk. He said, "When I greeted Allah's Messenger (ﷺ) whose face was glittering with happiness, for whenever Allah's Messenger (ﷺ) was happy, his face used to glitter, as if it was a piece of the moon, and we used to recognize it (i.e. his happiness) from his face."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৫৭. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি বনি আদমের সর্বোত্তম যুগে আবির্ভূত হয়েছি। যুগের পর যুগ অতিবাহিত হয়ে আমি সেই যুগেই এসেছি যে যুগ আমার জন্য নির্দিষ্ট ছিল। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩০২)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَمْرٍو عَنْ سَعِيْدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بُعِثْتُ مِنْ خَيْرِ قُرُونِ بَنِيْ آدَمَ قَرْنًا فَقَرْنًا حَتَّى كُنْتُ مِنْ الْقَرْنِ الَّذِيْ كُنْتُ فِيْهِ
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "I have been sent (as an Apostle) in the best of all the generations of Adam's offspring since their Creation."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৫৮. ইবনু ‘আব্বাস (রহ.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চুল পিছনে দিকে আঁচড়ে রাখতেন আর মুশ্রিকগণ তাদের চুল দু‘ভাগ করে সিঁথি কেটে রাখত। আহলে কিতাব তাদের চুল পিছন দিকে আঁচড়ে রাখত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কোন বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আহলে কিতাবের অনুসরণ পছন্দ করতেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চুল দু’ভাগ করে সিঁথি করে রাখতে লাগলেন। (৩৯৪৪, ৫৯১৭, মুসলিম ৪৩/২৪ হাঃ ২৩৩৬, আহমাদ ১২৩৬৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩০৩)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَسْدِلُ شَعَرَهُ وَكَانَ الْمُشْرِكُوْنَ يَفْرُقُوْنَ رُءُوْسَهُمْ فَكَانَ أَهْلُ الْكِتَابِ يَسْدِلُوْنَ رُءُوْسَهُمْ وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ مُوَافَقَةَ أَهْلِ الْكِتَابِ فِيْمَا لَمْ يُؤْمَرْ فِيْهِ بِشَيْءٍ ثُمَّ فَرَقَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ
Narrated Ibn `Abbas:
Allah's Messenger (ﷺ) used to let his hair hang down while the infidels used to part their hair. The people of the Scriptures were used to letting their hair hang down and Allah's Messenger (ﷺ) liked to follow the people of the Scriptures in the matters about which he was not instructed otherwise. Then Allah's Messenger (ﷺ) parted his hair.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৫৯. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অশ্লীল ভাষী ও অসদাচরণের অধিকারী ছিলেন না। তিনি বলতেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে নৈতিকতায় সর্বোত্তম। (৩৭৫৯, ৬০২৯, ৬০৩৫, মুসলিম ৪৩/১৬ হাঃ ২৩২১, আহমাদ ৬৫১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩০৪)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ عَنْ أَبِيْ حَمْزَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ لَمْ يَكُنْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاحِشًا وَلَا مُتَفَحِّشًا وَكَانَ يَقُوْلُ إِنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أَحْسَنَكُمْ أَخْلَاقًا
Narrated `Abdullah bin `Amr:
The Prophet (ﷺ) never used bad language neither a "Fahish nor a Mutafahish. He used to say "The best amongst you are those who have the best manners and character."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৬০. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যখনই দু’টি জিনিসের একটি গ্রহণের স্বাধীনতা দেয়া হত, তখন তিনি সহজটিই গ্রহণ করতেন যদি তা গুনাহ না হত। গুনাহ হতে তিনি অনেক দূরে অবস্থান করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের ব্যাপারে কখনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তবে আল্লাহর সীমারেখা লঙ্ঘন করা হলে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য প্রতিশোধ নিতেন। (৬১২৬, ৬৭৮৬, ৬৮৫৩, মুসলিম ৪৩/২০ হাঃ ২৩২৭, আহমাদ ১৩০৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩০৫)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ مَا خُيِّرَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَمْرَيْنِ إِلَّا أَخَذَ أَيْسَرَهُمَا مَا لَمْ يَكُنْ إِثْمًا فَإِنْ كَانَ إِثْمًا كَانَ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنْهُ وَمَا انْتَقَمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِنَفْسِهِ إِلَّا أَنْ تُنْتَهَكَ حُرْمَةُ اللهِ فَيَنْتَقِمَ لِلهِ بِهَا
Narrated `Aisha:
Whenever Allah's Messenger (ﷺ) was given the choice of one of two matters, he would choose the easier of the two, as long as it was not sinful to do so, but if it was sinful to do so, he would not approach it. Allah's Messenger (ﷺ) never took revenge (over anybody) for his own sake but (he did) only when Allah's Legal Bindings were outraged in which case he would take revenge for Allah's Sake.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণনা।
৩৫৬১. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতের তালুর চেয়ে মোলায়েম কোন নরম ও গরদকেও আমি স্পর্শ করিনি। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শরীরের সুঘ্রাণ অপেক্ষা অধিক সুঘ্রাণ আমি কখনো পাইনি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩০৬)
بَابُ صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ مَا مَسِسْتُ حَرِيْرًا وَلَا دِيْبَاجًا أَلْيَنَ مِنْ كَفِّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَا شَمِمْتُ رِيْحًا قَطُّ أَوْ عَرْفًا قَطُّ أَطْيَبَ مِنْ رِيْحِ أَوْ عَرْفِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
Narrated Anas:
I have never touched silk or Dibaj (i.e. thick silk) softer than the palm of the Prophet (ﷺ) nor have I smelt a perfume nicer than the sweat of the Prophet.