পরিচ্ছেদঃ ৬১/১. আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنٰكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَّأُنْثٰى وَجَعَلْنٰكُمْ شُعُوْبًا وَّقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوْا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقٰكُمْ (الحجرات : 13) وَقَوْلِهِ وَاتَّقُوْا اللهَ الَّذِيْ تَسَّآءَلُوْنَ بِهٰ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيْبًا (النساء : 1) وَمَا يُنْهَى عَنْ دَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ الشُّعُوْبُ النَّسَبُ الْبَعِيْدُ وَالْقَبَائِلُ دُوْنَ ذَلِكَ
আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি একজন পুরুষ ও একজন স্ত্রীলোক থেকে এবং তোমাদেরকে পরিণত করেছি বিভিন্ন জাতিতে ও বিভিন্ন গোত্রে। (আল-হুজুরাত ১৩) আল্লাহর বাণীঃ তোমরা ভয় কর আল্লাহকে যাঁর নামে তোমরা একে অপরের কাছে প্রার্থনা করে থাক এবং আত্মীয়-জ্ঞাতিদের সম্পর্কে সতর্ক থাক। নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখেন- (আন্-নিসা ১)। এবং জাহিলীয়্যাত আমলের কথা-বার্তা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে। الشُّعُوْبُ পূর্বতন বড় বংশ এবং الْقَبَائِلُ এর চেয়ে ছোট বংশ।
৩৪৮৯. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়াতে বর্ণিত الشُّعُوْبُ অর্থ বড় গোত্র এবং الْقَبَائِلُ অর্থ ছোট গোত্র। (আধুনিক প্রকাশনীঃ , ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৩৯)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ يَزِيْدَ الْكَاهِلِيُّ حَدَّثَنَا أَبُوْ بَكْرٍ عَنْ أَبِيْ حَصِيْنٍ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَجَعَلْنٰكُمْ شُعُوْبًا وَّقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوْا (الحجرات : 13) قَالَ الشُّعُوْبُ الْقَبَائِلُ الْعِظَامُ وَالْقَبَائِلُ الْبُطُونُ
Narrated Ibn `Abbas:
Regarding the Verse: 'And (We) made you into Shu'ub and Qabail-- (49.13) that Shu'uib means the big Qabail (i.e. nations) while the Qabail (i.e. tribes) means the branch tribes.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/১. আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
৩৪৯০. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! মানুষের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাবান কে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে সবচেয়ে আল্লাহভীরু, সে-ই অধিক সম্মানিত। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এ ধরনের কথা জিজ্ঞেস করিনি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে আল্লাহর নবী ইউসুফ (আঃ)। (৩৩৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪০)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيْدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِيْ سَعِيْدُ بْنُ أَبِيْ سَعِيْدٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قِيْلَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَنْ أَكْرَمُ النَّاسِ قَالَ أَتْقَاهُمْ قَالُوْا لَيْسَ عَنْ هَذَا نَسْأَلُكَ قَالَ فَيُوْسُفُ نَبِيُّ اللهِ
Narrated Abu Huraira:
Once Allah's Messenger (ﷺ) was asked, "Who is the most honorable amongst the people?" He said, "The most righteous (i.e. Allah-fearing) amongst you." They said, "We do not ask you about this." He said, "Then Joseph, the prophet of Allah."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/১. আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
৩৪৯১. কুলায়েব ইবনু ওয়ায়িল (রহ.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তত্ত্বাবধানে পালিতা আবূ সালমার কন্যা যায়নাবকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি বলুন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি মুযার গোত্রের ছিলেন? তিনি বললেন, বনু নযর ইবনু কিনানা উদ্ভুত গোত্র মুযার ব্যতীত আর কোন্ গোত্র হতে হবেন? এবং মুযার গোত্র নাযর ইবনু কিনানা গোত্রের একটি শাখা ছিল। (৩৪৯২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪১)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا كُلَيْبُ بْنُ وَائِلٍ قَالَ حَدَّثَتْنِيْ رَبِيْبَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم زَيْنَبُ بِنْتُ أَبِيْ سَلَمَةَ قَالَ قُلْتُ لَهَا أَرَأَيْتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَكَانَ مِنْ مُضَرَ قَالَتْ فَمِمَّنْ كَانَ إِلَّا مِنْ مُضَرَ مِنْ بَنِي النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ
Narrated Kulaib bin Wail:
I asked Zainab bint Abi Salama (i.e. daughter of the wife of the Prophet, "Tell me about the Prophet (ﷺ) . Did he belong to the tribe of Mudar?" She replied, "Yes, he belonged to the tribe of Mudar and was from the offspring of An-Nadr bin Kinana."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/১. আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
৩৪৯২. কুলায়ব বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তত্ত্বাবধানে পালিতা কন্যা বলেনঃ আর আমার ধারণা তিনি হলেন যায়নাব। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কদুর বাওশ, সবুজ মাটির পাত্র মুকাইয়ার ও মুযাফ্ফাত (আলকাতরা লাগানো পাত্র বিশেষ) ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। কুলায়ব বলেন, আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম, বলেন তো দেখি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন গোত্রের ছিলেন? তিনি কি মুযার গোত্রের অন্তর্গত ছিলেন? তিনি জবাব দিলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযার গোত্র ব্যতীত আর কোন গোত্রের হবেন? আর মুযার নাযর ইবনু কিনানার বংশধর ছিল। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪২)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
حَدَّثَنَا مُوْسَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا كُلَيْبٌ حَدَّثَتْنِيْ رَبِيْبَةُ النَّبِيِّ وَأَظُنُّهَا زَيْنَبَ قَالَتْ نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالنَّقِيْرِ وَالْمُزَفَّتِ وَقُلْتُ لَهَا أَخْبِرِيْنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِمَّنْ كَانَ مِنْ مُضَرَ كَانَ قَالَتْ فَمِمَّنْ كَانَ إِلَّا مِنْ مُضَرَ كَانَ مِنْ وَلَدِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ
Narrated Kulaib:
I was told by the Rabiba (i.e. daughter of the wife of the Prophet) who, I think, was Zainab, that the Prophet (forbade the utensils (of wine called) Ad-Dubba, Al-Hantam, Al-Muqaiyar and Al-Muzaffat. I said to her, 'Tell me as to which tribe the Prophet (ﷺ) belonged; was he from the tribe of Mudar?'' She replied, "He belonged to the tribe of Mudar and was from the offspring of An-Nadr bin Kinana. "
পরিচ্ছেদঃ ৬১/১. আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
৩৪৯৩. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা মানুষকে খণির মত পাবে। আইয়্যামে জাহিলীয়্যাতের উত্তম ব্যক্তিগণ ইসলাম গ্রহণের পরও তারা উত্তম। যখন তারা দ্বীনী জ্ঞান অর্জন করে আর তোমরা শাসন ও কর্তৃত্বের ব্যাপারে লোকদের মধ্যে উত্তম ঐ ব্যক্তিকে পাবে যে এই ব্যাপারে তাদের মধ্যে সবচেয়ে অধিক অনাসক্ত। (৩৪৯৬, ৩৫৮৮) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪৩)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
حَدَّثَنِيْ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ أَخْبَرَنَا جَرِيْرٌ عَنْ عُمَارَةَ عَنْ أَبِيْ زُرْعَةَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَجِدُوْنَ النَّاسَ مَعَادِنَ خِيَارُهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ خِيَارُهُمْ فِي الْإِسْلَامِ إِذَا فَقِهُوْا وَتَجِدُوْنَ خَيْرَ النَّاسِ فِيْ هَذَا الشَّأْنِ أَشَدَّهُمْ لَهُ كَرَاهِيَةً
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "You see that the people are of different natures. Those who were the best in the pre-lslamic period, are also the best in Islam if they comprehend religious knowledge. You see that the best amongst the people in this respect (i.e. ambition of ruling) are those who hate it most.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/১. আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
৩৪৯৪. আর মানুষের মধ্যে সব থেকে নিকৃষ্ট ঐ দু’মুখী ব্যক্তি যে একদলের সঙ্গে এক ভাবে কথা বলে, অপর দলের সঙ্গে আরেকভাবে কথা বলে। (৬০৫৮, ৭১৭৯, মুসলিম ৪৪/৪৮ হাঃ ২৫২৬, আহমাদ ১০৭৯৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪৩ শেষাংশ)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
وَتَجِدُوْنَ شَرَّ النَّاسِ ذَا الْوَجْهَيْنِ الَّذِيْ يَأْتِيْ هَؤُلَاءِ بِوَجْهٍ وَيَأْتِيْ هَؤُلَاءِ بِوَجْهٍ
And you see that the worst among people is the double faced (person) who appears to these with one face and to the others with another face (i.e a hypocrite).
পরিচ্ছেদঃ ৬১/১. আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
৩৪৯৫. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, খিলাফত ও নেতৃত্বের ব্যাপারে সকলেই কুরাইশের অনুগত থাকবে। মুসলিমগণ তাদের মুসলিমদের এবং কাফিররা তাদের কাফিরদের অনুগত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪৪ প্রথমাংশ)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا الْمُغِيْرَةُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ النَّاسُ تَبَعٌ لِقُرَيْشٍ فِيْ هَذَا الشَّأْنِ مُسْلِمُهُمْ تَبَعٌ لِمُسْلِمِهِمْ وَكَافِرُهُمْ تَبَعٌ لِكَافِرِهِمْ
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "The tribe of Quraish has precedence over the people in this connection (i.e the right of ruling). The Muslims follow the Muslims amongst them, and the infidels follow the infidels amongst them.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/১. আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
৩৪৯৬. আর মানব সমাজ খণির মত। জাহিলী যুগের উত্তম ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণের পরও উত্তম যদি তারা দ্বীনী ইল্ম অর্জন করে। তোমরা নেতৃত্ব ও শাসনের ব্যাপারে ঐ লোককেই সবচেয়ে উত্তম পাবে যে এর প্রতি অনাসক্ত, যে পর্যন্ত না সে তা গ্রহণ করে। (৩৪৯৩, মুসলিম ৩৩/১ হাঃ ১৮১৮, আহমাদ ৯১৪৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪৪ শেষাংশ)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
وَالنَّاسُ مَعَادِنُ خِيَارُهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ خِيَارُهُمْ فِي الْإِسْلَامِ إِذَا فَقِهُوْا تَجِدُوْنَ مِنْ خَيْرِ النَّاسِ أَشَدَّ النَّاسِ كَرَاهِيَةً لِهَذَا الشَّأْنِ حَتَّى يَقَعَ فِيْهِ
People are of different natures: The best amongst them in the pre-lslamic period are the best in Islam provided they comprehend the religious knowledge. You will find that the best amongst the people in this respect (i.e. of ruling) is he who hates it (i.e. the idea of ruling) most, till he is given the pledge of allegiance."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/১. আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
৩৪৯৭. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى এ আয়াতের প্রসঙ্গে রাবী তাউস(রহ.) বলেন যে, সায়িদ ইবনু জুবায়র (রাঃ) বলেন, কুরবা শব্দ দ্বারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আত্মীয়কে বুঝান হয়েছে। তখন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, কুরাইশের এমন কোন শাখা-গোত্র নেই যাঁদের সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আত্মীয়তার বন্ধন ছিল না। আয়াতটি তখনই নাযিল হয়। অর্থাৎ তোমরা আমার ও তোমাদের মধ্যকার আত্মীয়তার প্রতি খেয়াল রাখ। (৪৮১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪৫)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ حَدَّثَنِيْ عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبٰى (الشوري : 23) قَالَ فَقَالَ سَعِيْدُ بْنُ جُبَيْرٍ قُرْبَى مُحَمَّدٍ فَقَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ بَطْنٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَّا وَلَهُ فِيْهِ قَرَابَةٌ فَنَزَلَتْ عَلَيْهِ إِلَّا أَنْ تَصِلُوْا قَرَابَةً بَيْنِيْ وَبَيْنَكُمْ
Narrated Tawus:
Ibn `Abbas recited the Qur'anic Verse:--'Except to be kind to me for my kin-ship to you--" (42.23) Sa`id bin Jubair said, "(The Verse implies) the kinship of Muhammad." Ibn `Abbas said, "There was not a single house (i.e. sub-tribe) of Quraish but had a kinship to the Prophet (ﷺ) and so the above Verse was revealed in this connection, and its interpretation is: 'O Quraish! You should keep good relation between me (i.e. Muhammad) and you."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/১. আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
৩৪৯৮. আবূ মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এই পূর্বদিক হতে ফিতনা-ফাসাদের উৎপত্তি হবে। নির্মমতা ও অন্তরের কাঠিন্য উট ও গরু নিয়ে ব্যস্ত লোকদের মধ্যে। পশ্মী তাঁবুর অধিবাসীরা রাবী‘আ ও মুযার গোত্রের যারা উট ও গরুর পিছনে চিৎকার করে (হাঁকায়), তাদের মধ্যেই রয়েছে নির্মমতা ও কঠোরতা। (৩৩০২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪৬)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِسْمَاعِيْلَ عَنْ قَيْسٍ عَنْ أَبِيْ مَسْعُوْدٍ يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مِنْ هَا هُنَا جَاءَتْ الْفِتَنُ نَحْوَ الْمَشْرِقِ وَالْجَفَاءُ وَغِلَظُ الْقُلُوْبِ فِي الْفَدَّادِيْنَ أَهْلِ الْوَبَرِ عِنْدَ أُصُوْلِ أَذْنَابِ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ فِيْ رَبِيْعَةَ وَمُضَرَ
Narrated Abi Mas`ud:
The Prophet (ﷺ) said, "From this side from the east, afflictions will appear. Rudeness and lack of mercy are characteristics of the rural bedouins who are busy with their camels and cows (and pay no attention to religion). Such are the tribes of Rabi`a and Mudar."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/১. আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
৩৪৯৯. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছি যে, গর্ব-অহংকার পশমের তৈরি তাঁবুতে বসবাসকারী যারা (উট-গরু হাঁকানোর সময় চিৎকার করে) তাদের মধ্যে الْمَشْأَمَةُ অর্থ বাম দিক, বাম হাতকে الشُّؤْمَى এবং বাম দিককে أشْأَمُُ বলা হয়। আর শান্তভাব রয়েছে বকরী পালকদের মধ্যে। ঈমানের দৃশ্যতা এবং হিক্মাত ইয়ামানবাসীদের মধ্যে রয়েছে। ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন, ইয়ামান নাম দেয়া হয়েছে যেহেতু তা কা‘বা ঘরের ডানদিকে (দক্ষিণ) অবস্থিত এবং শাম (সিরিয়া) কা’বা ঘরের বাম (উত্তর) দিকে অবস্থিত বিধায় তার শাম নাম দেয়া হয়েছে। (৩৩০১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪৭)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
حَدَّثَنَا أَبُوْ الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ أَبُوْ سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ الْفَخْرُ وَالْخُيَلَاءُ فِي الْفَدَّادِيْنَ أَهْلِ الْوَبَرِ وَالسَّكِيْنَةُ فِيْ أَهْلِ الْغَنَمِ وَالْإِيْمَانُ يَمَانٍ وَالْحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ قَالَ أَبُوْ عَبْد اللهِ سُمِّيَتْ الْيَمَنَ لِأَنَّهَا عَنْ يَمِيْنِ الْكَعْبَةِ وَالشَّأْمَ لِأَنَّهَا عَنْ يَسَارِ الْكَعْبَةِ وَالْمَشْأَمَةُ الْمَيْسَرَةُ وَالْيَدُ الْيُسْرَى الشُّؤْمَى وَالْجَانِبُ الأَيْسَرُ الأَشْأَمُ
Narrated Abu Huraira:
I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "Pride and arrogance are characteristics of the rural bedouins while calmness is found among the owners of sheep. Belief is Yemenite, and wisdom is also Yemenite i.e. the Yemenites are well-known for their true belief and wisdom)." Abu `Abdullah (Al-Bukhari) said, "Yemen was called so because it is situated to the right of the Ka`ba, and Sham was called so because it is situated to the left of the Ka`ba."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২. কুরাইশদের মর্যাদা ও গুণাবলী
৩৫০০. মুহাম্মাদ ইবনু জুবায়ের ইবনু মুত্‘ঈম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর নিকট কুরাইশ প্রতিনিধিদের সাথে তার উপস্থিতিতে সংবাদ পৌঁছলো যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) বর্ণনা করেন, শীঘ্রই কাহতান বংশীয় জনৈক বাদশাহর আগমন ঘটবে। এতদশ্রবণে মু‘আবিয়াহ (রাঃ) ক্রুদ্ধ হয়ে খুৎবা দেয়ার উদ্দেশে দাঁড়িয়ে আল্লাহর যথাযোগ্য হামদ ও সানার পর তিনি বললেন, আমি জানতে পেরেছি, তোমাদের মধ্য থেকে কিছু লোক এমন সব কথাবার্তা বলতে শুরু করেছে যা আল্লাহর কিতাবে নেই এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতেও বর্ণিত হয়নি। এরাই মূর্খ, এদের হতে সাবধান থাক এবং এমন কাল্পনিক ধারণা হতে সতর্ক থাক যা ধারণাকারীকে বিপথগামী করে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছি যে, যত দিন তারা দ্বীন কায়েমে লেগে থাকবে তত দিন খিলাফত ও শাসন ক্ষমতা কুরাইশদের হাতেই থাকবে। এ বিষয়ে যে-ই তাদের সাথে শত্রুতা করবে আল্লাহ্ তাকে অধোঃমুখে নিক্ষেপ করবেন। (৭১৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪৮)
بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ
حَدَّثَنَا أَبُوْ الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ كَانَ مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ يُحَدِّثُ أَنَّهُ بَلَغَ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ عِنْدَهُ فِيْ وَفْدٍ مِنْ قُرَيْشٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَيَكُوْنُ مَلِكٌ مِنْ قَحْطَانَ فَغَضِبَ مُعَاوِيَةُ فَقَامَ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّهُ بَلَغَنِيْ أَنَّ رِجَالًا مِنْكُمْ يَتَحَدَّثُوْنَ أَحَادِيْثَ لَيْسَتْ فِيْ كِتَابِ اللهِ وَلَا تُؤْثَرُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأُوْلَئِكَ جُهَّالُكُمْ فَإِيَّاكُمْ وَالأَمَانِيَّ الَّتِيْ تُضِلُّ أَهْلَهَا فَإِنِّيْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ إِنَّ هَذَا الأَمْرَ فِيْ قُرَيْشٍ لَا يُعَادِيْهِمْ أَحَدٌ إِلَّا كَبَّهُ اللهُ عَلَى وَجْهِهِ مَا أَقَامُوْا الدِّينَ
Narrated Muhammad bin Jubair bin Mut`im:
That while he was with a delegation from Quraish to Muawiya, the latter heard the news that `Abdullah bin `Amr bin Al-`As said that there would be a king from the tribe of Qahtan. On that Muawiya became angry, got up and then praised Allah as He deserved, and said, "Now then, I have heard that some men amongst you narrate things which are neither in the Holy Book, nor have been told by Allah's Messenger (ﷺ). Those men are the ignorant amongst you. Beware of such hopes as make the people go astray, for I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'Authority of ruling will remain with Quraish, and whoever bears hostility to them, Allah will destroy him as long as they abide by the laws of the religion.' "
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২. কুরাইশদের মর্যাদা ও গুণাবলী
৩৫০১. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এ বিষয় (খিলাফত ও শাসন ক্ষমতা) সর্বদাই কুরাইশদের হাতে থাকবে, যতদিন তাদের দু’জন লোকও বেঁচে থাকবে। (৭১৪০, মুসলিম ৩৩/১ হাঃ ১৮২০, আহমাদ ২০৯৭৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪৯)
بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ
حَدَّثَنَا أَبُوْ الْوَلِيْدِ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبِيْ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا يَزَالُ هَذَا الأَمْرُ فِيْ قُرَيْشٍ مَا بَقِيَ مِنْهُمْ اثْنَانِ
Narrated Ibn `Umar:
The Prophet (ﷺ) said, "Authority of ruling will remain with Quraish, even if only two of them remained."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২. কুরাইশদের মর্যাদা ও গুণাবলী
৩৫০২. জুবায়র ইবনু মুত‘ঈম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং ‘উসমান ইবনু আফ্ফান (রাঃ) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে হাযির হলাম। ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি মুত্তালিবের সন্তানদেরকে দান করলেন এবং আমাদেরকে বাদ দিলেন। অথচ তারা ও আমরা আপনার বংশগতভাবে সম স্তরের। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিব এক ও অভিন্ন। (৩১৪০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৪১ প্রথমাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৫০ প্রথমাংশ)
بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ قَالَ مَشَيْتُ أَنَا وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَعْطَيْتَ بَنِي الْمُطَّلِبِ وَتَرَكْتَنَا وَإِنَّمَا نَحْنُ وَهُمْ مِنْكَ بِمَنْزِلَةٍ وَاحِدَةٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا بَنُوْ هَاشِمٍ وَبَنُوْ الْمُطَّلِبِ شَيْءٌ وَاحِدٌ
Narrated Jubair bin Mut`im:
`Uthman bin `Affan went (to the Prophet) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! You gave property to Bani Al-Muttalib and did not give us, although we and they are of the same degree of relationship to you." The Prophet (ﷺ) said, "Only Bani Hashim and Bani Al Muttalib are one thing (as regards family status).
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২. কুরাইশদের মর্যাদা ও গুণাবলী
৩৫০৩. ‘উরওয়াহ ইবনু যুবায়র হতে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু জুবায়র (রাঃ) বনূ যুহরার কতিপয় লোকের সঙ্গে ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকটে হাযির হলেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) তাদের প্রতি অত্যন্ত নম্র ও দয়ার্দ্র ছিলেন। কেননা, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে তাঁদের আত্মীয়তা ছিল। (৩৫০৫, ৬০৭৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৪১ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৫০ শেষাংশ)
بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِيْ أَبُوْ الأَسْوَدِ مُحَمَّدٌ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ ذَهَبَ عَبْدُ اللهِ بْنُ الزُّبَيْرِ مَعَ أُنَاسٍ مِنْ بَنِيْ زُهْرَةَ إِلَى عَائِشَةَ وَكَانَتْ أَرَقَّ شَيْءٍ عَلَيْهِمْ لِقَرَابَتِهِمْ مِنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم
Narrated `Urwa bin Az-Zubair:
`Abdullah bin Az-Zubair went with some women of the tribe of Bani Zuhra to `Aisha who used to treat them nicely because of their relation to Allah's Messenger (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২. কুরাইশদের মর্যাদা ও গুণাবলী
৩৫০৪. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কুরাইশ, আনসার, জুহায়না, মুযায়না, আসলাম, আশজা‘ ও গিফার গোত্রগুলো আমার সাহায্যকারী। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল ছাড়া তাঁদের সাহায্যকারী আর কেউ নেই। (৩৫১২, মুসলিম ৪৪/৪৭ হাঃ ২৫২০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৫০)
بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ
حَدَّثَنَا أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ سَعْدٍ قَالَ يَعْقُوْبُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا أَبِيْ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ هُرْمُزَ الأَعْرَجُ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قُرَيْشٌ وَالأَنْصَارُ وَجُهَيْنَةُ وَمُزَيْنَةُ وَأَسْلَمُ وَأَشْجَعُ وَغِفَارُ مَوَالِيَّ لَيْسَ لَهُمْ مَوْلًى دُوْنَ اللهِ وَرَسُوْلِهِ
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "The tribe of Quraish, the Ansar, the (people of the tribe of) Julhaina, Muzaina, Aslam, Ashja', and Ghifar are my disciples and have no protectors except Allah and His Apostle."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২. কুরাইশদের মর্যাদা ও গুণাবলী
৩৫০৫. ’উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রহ.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ)-এর পর ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট সকল লোকদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়পাত্র ছিলেন এবং তিনি সকল লোকদের মধ্যে ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর প্রতি সবচেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট আল্লাহর পক্ষ হতে রিয্ক হিসেবে যা কিছু আস্ত তা জমা না রেখে সাদাকা করে দিতেন। এতে ’আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, অধিক দান খয়রাত করা হতে তাকে বারণ করা উচিত। তখন ’আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, আমাকে দান করা হতে বারণ করা হবে? আমি যদি তার সঙ্গে কথা বলি, তাহলে আমাকে কাফ্ফারা দিতে হবে এবং ’আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) তাঁর নিকট কুরাইশের কিছু লোক, বিশেষভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাতৃবংশের কিছু লোক দ্বারা সুপারিশ করালেন। তবুও তিনি তাঁর সঙ্গে কথা বলা হতে বিরত থাকলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাতৃবংশ বনী যুহরার কতক বিশিষ্ট লোক যাদের মধ্যে ’আবদুর রহমান ইবনু আস্ওয়াদ এবং মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) ছিলেন তারা বললেন, আমরা যখন ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর গৃহে প্রবেশের অনুমতি চাইব তখন তুমি পর্দার ভিতরে ঢুকে পড়বে। তিনি তাই করলেন। পরে ইবনু যুবায়র (রাঃ) কাফ্ফারা আদায়ের জন্য তার নিকট দশটি ক্রীতদাস পাঠিয়ে দিলেন। ’আয়িশাহ (রাঃ) তাদের সবাইকে আযাদ করে দিলেন। অতঃপর তিনি বরাবর আযাদ করতে থাকলেন। এমন কি তার সংখ্যা চল্লিশে পৌঁছে। ’আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, আমি যখন কোন কাজ করার কসম করি, তখন আমার এরাদা থাকে যে আমি যেন সে কাজটা করে দায়িত্ব মুক্ত হয়ে যাই এবং তিনি আরো বলেন, আমি যখন কোন কাজ করার কসম করি তা যথাযথ পূরণের ইচ্ছা রাখি। (৩৫০৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৫২)
بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبُوْ الأَسْوَدِ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ كَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ الزُّبَيْرِ أَحَبَّ الْبَشَرِ إِلَى عَائِشَةَ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِيْ بَكْرٍ وَكَانَ أَبَرَّ النَّاسِ بِهَا وَكَانَتْ لَا تُمْسِكُ شَيْئًا مِمَّا جَاءَهَا مِنْ رِزْقِ اللهِ إِلَّا تَصَدَّقَتْ فَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَنْبَغِيْ أَنْ يُؤْخَذَ عَلَى يَدَيْهَا فَقَالَتْ أَيُؤْخَذُ عَلَى يَدَيَّ عَلَيَّ نَذْرٌ إِنْ كَلَّمْتُهُ فَاسْتَشْفَعَ إِلَيْهَا بِرِجَالٍ مِنْ قُرَيْشٍ وَبِأَخْوَالِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَاصَّةً فَامْتَنَعَتْ فَقَالَ لَهُ الزُّهْرِيُّوْنَ أَخْوَالُ النَّبِيِّ مِنْهُمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوْثَ وَالْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ إِذَا اسْتَأْذَنَّا فَاقْتَحِمْ الْحِجَابَ فَفَعَلَ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا بِعَشْرِ رِقَابٍ فَأَعْتَقَتْهُمْ ثُمَّ لَمْ تَزَلْ تُعْتِقُهُمْ حَتَّى بَلَغَتْ أَرْبَعِيْنَ فَقَالَتْ وَدِدْتُ أَنِّيْ جَعَلْتُ حِيْنَ حَلَفْتُ عَمَلًا أَعْمَلُهُ فَأَفْرُغُ مِنْهُ
Narrated `Urwa bin Az-Zubair:
`Abdullah bin Az-Zubair was the most beloved person to `Aisha excluding the Prophet (ﷺ) and Abu Bakr, and he in his turn, was the most devoted to her, `Aisha used not to withhold the money given to her by Allah, but she used to spend it in charity. (`Abdullah) bin AzZubair said, " `Aisha should be stopped from doing so." (When `Aisha heard this), she said protestingly, "Shall I be stopped from doing so? I vow that I will never talk to `Abdullah bin Az-Zubair." On that, Ibn Az-Zubair asked some people from Quraish and particularly the two uncles of Allah's Messenger (ﷺ) to intercede with her, but she refused (to talk to him). Az-Zuhriyun, the uncles of the Prophet, including `Abdur-Rahman bin Al-Aswad bin `Abd Yaghuth and Al-Miswar bin Makhrama said to him, "When we ask for the permission to visit her, enter her house along with us (without taking her leave)." He did accordingly (and she accepted their intercession). He sent her ten slaves whom she manumitted as an expiation for (not keeping) her vow. `Aisha manumitted more slaves for the same purpose till she manumitted forty slaves. She said, "I wish I had specified what I would have done in case of not fulfilling my vow when I made the vow, so that I might have done it easily."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/৩. কুরআন কুরাইশদের ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে।
৩৫০৬. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘উসমান (রাঃ), যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ), ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ), সা‘ঈদ ইবনুল ‘আস (রাঃ) ‘আবদুর রাহমান ইবনু হারিস (রাঃ)-কে ডেকে পাঠালেন। তাঁরা সংরক্ষিত কুরআনকে সমবেতভাবে লিপিবদ্ধ করলেন। ‘উসমান (রাঃ) কুরাইশ বংশীয় তিন জনকে বললেন, যদি যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) এবং তোমাদের মধ্যে কোন শব্দে মতবিরোধ দেখা দেয় তবে কুরাইশের ভাষায় তা লিপিবদ্ধ কর। যেহেতু কুরআন তাদের ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর তাঁরা তা-ই করলেন। (৪৯৮৪, ৪৯৮৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৫৩)
بَابُ نَزَلَ الْقُرْآنُ بِلِسَانِ قُرَيْشٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ عُثْمَانَ دَعَا زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ وَعَبْدَ اللهِ بْنَ الزُّبَيْرِ وَسَعِيْدَ بْنَ الْعَاصِ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ فَنَسَخُوْهَا فِي الْمَصَاحِفِ وَقَالَ عُثْمَانُ لِلرَّهْطِ الْقُرَشِيِّينَ الثَّلَاثَةِ إِذَا اخْتَلَفْتُمْ أَنْتُمْ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فِيْ شَيْءٍ مِنْ الْقُرْآنِ فَاكْتُبُوْهُ بِلِسَانِ قُرَيْشٍ فَإِنَّمَا نَزَلَ بِلِسَانِهِمْ فَفَعَلُوْا ذَلِكَ
Narrated Anas:
`Uthman called Zaid bin Thabit, `Abdullah bin Az-Zubair, Sa`id bin Al-`As and `AbdurRahman bin Al-Harith bin Hisham, and then they wrote the manuscripts of the Holy Qur'an in the form of book in several copies. `Uthman said to the three Quraishi persons. " If you differ with Zaid bin Thabit on any point of the Qur'an, then write it in the language of Quraish, as the Qur'an was revealed in their language." So they acted accordingly. (Sa`id bin Thabit was an Ansari and not from Quraish ).
পরিচ্ছেদঃ ৬১/৪. ইয়ামানবাসীর সম্পর্ক ইসমাঈল (আঃ)-এর সঙ্গে;
مِنْهُمْ أَسْلَمُ بْنُ أَفْصَى بْنِ حَارِثَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ مِنْ خُزَاعَةَ
তার মধ্যে আসলাম ইবনু আফসা ইবনু হারিসাহ ইবনু ‘আমর ইবনু ‘আমির ও খুযা‘আহ গোত্রের অন্তর্গত।
৩৫০৭. সালামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আসলাম গোত্রের কিছু লোক বাজারের নিকটে প্রতিযোগিতামূলক তীর নিক্ষেপের চর্চা করছিল। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন এবং তাদেরকে দেখে বললেন, হে ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশধর। তোমরা তীর নিক্ষেপ কর। কেননা তোমাদের পিতাও তীর নিক্ষেপে অভিজ্ঞ ছিলেন এবং আমি তোমাদের অমুক দলের পক্ষে রয়েছি। তখন একটি পক্ষ তাদের হাত গুটিয়ে নিল। বর্ণনাকারী বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কী হল? তারা বলল, আপনি অমুক পক্ষে থাকলে আমরা কী করে তীর নিক্ষেপ করতে পারি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তীর নিক্ষেপ কর। আমি তোমাদের উভয় দলের সাথে আছি। (২৮৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৫৪)
بَابُ نِسْبَةِ الْيَمَنِ إِلَى إِسْمَاعِيْلَ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ يَزِيْدَ بْنِ أَبِيْ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ قَالَ خَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَوْمٍ مِنْ أَسْلَمَ يَتَنَاضَلُوْنَ بِالسُّوقِ فَقَالَ ارْمُوْا بَنِيْ إِسْمَاعِيْلَ فَإِنَّ أَبَاكُمْ كَانَ رَامِيًا وَأَنَا مَعَ بَنِيْ فُلَانٍ لِأَحَدِ الْفَرِيْقَيْنِ فَأَمْسَكُوْا بِأَيْدِيْهِمْ فَقَالَ مَا لَهُمْ قَالُوْا وَكَيْفَ نَرْمِيْ وَأَنْتَ مَعَ بَنِيْ فُلَانٍ قَالَ ارْمُوْا وَأَنَا مَعَكُمْ كُلِّكُمْ
Narrated Salama:
Allah's Messenger (ﷺ) passed by some people from the tribe of Aslam practicing archery. He said, "O children of Ishmael! Throw (arrows), for your father was an archer. I am on the side of Bani so-andso," meaning one of the two teams. The other team stopped throwing, whereupon the Prophet (ﷺ) said, "What has happened to them?" They replied, "How shall we throw while you are with Bani so-andso?" He said, "Throw for I am with all of you."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/৫. পরিচ্ছেদ নাই।
৩৫০৮. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, কোন লোক যদি নিজ পিতা সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও অন্য কাকে তার পিতা বলে দাবী করে তবে সে আল্লাহর কুফরী করল এবং যে ব্যক্তি নিজেকে এমন বংশের সঙ্গে বংশ সম্পর্কিত দাবী করল যে বংশের সঙ্গে তার কোন বংশ সম্পর্ক নেই, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। (৬০৩৫, মুসলিম ১/২৭ হাঃ ৬১, আহমাদ ২১৫২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৫৫)
باب
بَاب حَدَّثَنَا أَبُوْ مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ عَنْ الْحُسَيْنِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ قَالَ حَدَّثَنِيْ يَحْيَى بْنُ يَعْمَرَ أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ الدِّيلِيَّ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيْ ذَرٍّ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ لَيْسَ مِنْ رَجُلٍ ادَّعَى لِغَيْرِ أَبِيْهِ وَهُوَ يَعْلَمُهُ إِلَّا كَفَرَ وَمَنْ ادَّعَى قَوْمًا لَيْسَ لَهُ فِيْهِمْ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ
Narrated Abu Dhar:
The Prophet (ﷺ) said, "If somebody claims to be the son of any other than his real father knowingly, he but disbelieves in Allah, and if somebody claims to belong to some folk to whom he does not belong, let such a person take his place in the (Hell) Fire."