পরিচ্ছেদঃ মৃত ব্যক্তির জন্য নিরব কান্নার অনুমতি।

১০০৪. কুতায়বা (রহঃ) ....... আ’মরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আয়িশা (রাঃ) এর কাছে উল্লেখ করা হলো যে, ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিতদের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেওয়া হয়। তখন আয়িশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা’আলা আবূ আব্দুর রহমান (ইবনু উমার) কে মাফ করুন। তিনি তো মিথ্যা বলেন নি তবে হয়ত ভুলে গেছেন বা সঠিকভাবে বলতে পারেন নি। একাবর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈকা ইয়াহুদী মহিলার (লাশের) পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার জন্য কান্নাকাটি হচ্ছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এরা তো তার জন্য কান্নাকাটি করছে অথচ (এ সময়) কবরে তাকে আযাব দেওয়া হচ্ছে। - আল আহকাম ২৮, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১০০৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) বলেন, এই হাদিসটি হাসান-সহীহ্।

باب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا، سَمِعَتْ عَائِشَةَ، وَذُكِرَ، لَهَا أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَىِّ عَلَيْهِ ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ غَفَرَ اللَّهُ لأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَمَا إِنَّهُ لَمْ يَكْذِبْ وَلَكِنَّهُ نَسِيَ أَوْ أَخْطَأَ إِنَّمَا مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى يَهُودِيَّةٍ يُبْكَى عَلَيْهَا فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّهُمْ لَيَبْكُونَ عَلَيْهَا وَإِنَّهَا لَتُعَذَّبُ فِي قَبْرِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، عن مالك، قال وحدثنا اسحاق بن موسى، حدثنا معن، حدثنا مالك، عن عبد الله بن ابي بكر بن محمد بن عمرو بن حزم، عن ابيه، عن عمرة، انها اخبرته انها، سمعت عاىشة، وذكر، لها ان ابن عمر، يقول ان الميت ليعذب ببكاء الحى عليه ‏.‏ فقالت عاىشة غفر الله لابي عبد الرحمن اما انه لم يكذب ولكنه نسي او اخطا انما مر رسول الله صلى الله عليه وسلم على يهودية يبكى عليها فقال ‏ "‏ انهم ليبكون عليها وانها لتعذب في قبرها ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث صحيح ‏.‏


Abdullah bin Abi Bakr - and he is Ibn Muhammad bin Amr bin Hazm - narrated from his father, that:
Amrah informed him that she heard Aishah, while it was being mentioned to her that Ibn Umar had said that the deceased would be punished for the crying of the living (over him). So Aishah said: 'May Allah forgive Abu Abdur-Rahman. He has not lied, but he is mistaken in the understanding. Rather, the Messenger of Allah passed by a Jewish woman who was being cried over, so he said: 'They are crying over her and she is being punished in her grave.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)

পরিচ্ছেদঃ মৃত ব্যক্তির জন্য নিরব কান্নার অনুমতি।

১০০৫. কুতায়বা (রহঃ) ...... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য তার পরিবারের লোকদের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেওয়া হয়। তখন আয়িশা (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তাকে (ইবনু উমারকে) রহম করুন। তিনি মিথ্যা বলেন নি। তবে তাঁর বিভ্রান্তি হয়ে গেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক মৃত ইয়াহুদী ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছিলেন যে, মৃত ব্যক্তিটির তো আযাব দেওয়া হচ্ছে আর তার পরিবার-পরিজনরা তার জন্য কান্নাকাটি করছে। - আহকামুল জানাইয ২৮, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১০০৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে ইবনু আব্বাস, কারাযা ইবন কা’ব, আবূ হুরায়রা, ইবনু মাসউদ ও উসামা ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আয়িশা (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান সহীহ্। আয়িশা (রাঃ) থেকে একাধিক সূত্রে এটি বর্ণিত হয়েছে। কোন কোন আলিম এতদানুসারে আমলের অভিমত প্রদান করেছেন। তারা এই আয়াতের উল্লেখ করেছেন। আয়াতটি হল ولاتَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না। এ হলো ইমাম শাফিঈ (রহঃ) এর অভিমত।

باب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ يَرْحَمُهُ اللَّهُ لَمْ يَكْذِبْ وَلَكِنَّهُ وَهِمَ إِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِرَجُلٍ مَاتَ يَهُودِيًّا ‏"‏ إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ وَإِنَّ أَهْلَهُ لَيَبْكُونَ عَلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَقَرَظَةَ بْنِ كَعْبٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ أَهْلُ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَتَأَوَّلُوا هَذِهِ الآيَةَ (ألَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى ‏)‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا عباد بن عباد المهلبي، عن محمد بن عمرو، عن يحيى بن عبد الرحمن، عن ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ الميت يعذب ببكاء اهله عليه ‏"‏ ‏.‏ فقالت عاىشة يرحمه الله لم يكذب ولكنه وهم انما قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لرجل مات يهوديا ‏"‏ ان الميت ليعذب وان اهله ليبكون عليه ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن ابن عباس وقرظة بن كعب وابي هريرة وابن مسعود واسامة بن زيد ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عاىشة حديث حسن صحيح وقد روي من غير وجه عن عاىشة ‏.‏ وقد ذهب اهل العلم الى هذا وتاولوا هذه الاية (الا تزر وازرة وزر اخرى ‏)‏ وهو قول الشافعي ‏.‏


Yahya bin Abdur-Rahman narrated from Ibn Umar that:
The Prophet said: "The deceased is punished for the crying of his family over him." So, Aishah said: "May Allah have mercy upon him. He has not lied, but he is mistaken. It is only that the Messenger of Allah said about a Jewish man who died: 'The deceased is being punished and his family is crying over him.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)

পরিচ্ছেদঃ মৃত ব্যক্তির জন্য নিরব কান্নার অনুমতি।

১০০৬. আলী ইবনু খারশাম (রহঃ) ....... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুর রহমান ইবনু আওফের হাত ধরে তাকে সহ (অসুস্থ) পুত্র ইবরাহীম (রাঃ)-এর নিকট গেলেন। তখন ইবরাহীম (রাঃ) কে মৃত্যুমুখী অবস্থায় দেখতে পেলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ধরে স্বীয় কোলে রাখলেন। অনন্তর তিনি কেঁদে উঠলেন। আব্দুর রহমান তাঁকে বললেন, আপনিও কাঁদছেন? আপনি কি আগে কাঁদতে নিষেধ করেন নি? তিনি বললেন, না, বরং আমি তা নিষেধ করেছি দুই ধরণের আহাম্মুকী ও অন্যায় চিৎকারকে। তাহলো, বিপদের সময় চিৎকার করা। মুখ খামছানো ও গলায় কাপড় ছিড়ে ফেলা আর শয়তানের গুণগুনানী। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১০০৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদিসটিতে এর চেয়েও বেশী বক্তব্য রয়েছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদিসটি হাসান।

باب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى ابْنِهِ إِبْرَاهِيمَ فَوَجَدَهُ يَجُودُ بِنَفْسِهِ فَأَخَذَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعَهُ فِي حِجْرِهِ فَبَكَى فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ أَتَبْكِي أَوَلَمْ تَكُنْ نَهَيْتَ عَنِ الْبُكَاءِ قَالَ ‏ "‏ لاَ وَلَكِنْ نَهَيْتُ عَنْ صَوْتَيْنِ أَحْمَقَيْنِ فَاجِرَيْنِ صَوْتٍ عِنْدَ مُصِيبَةٍ خَمْشِ وُجُوهٍ وَشَقِّ جُيُوبٍ وَرَنَّةِ شَيْطَانٍ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْحَدِيثِ كَلاَمٌ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

حدثنا علي بن خشرم، اخبرنا عيسى بن يونس، عن ابن ابي ليلى، عن عطاء، عن جابر بن عبد الله، قال اخذ النبي صلى الله عليه وسلم بيد عبد الرحمن بن عوف فانطلق به الى ابنه ابراهيم فوجده يجود بنفسه فاخذه النبي صلى الله عليه وسلم فوضعه في حجره فبكى فقال له عبد الرحمن اتبكي اولم تكن نهيت عن البكاء قال ‏ "‏ لا ولكن نهيت عن صوتين احمقين فاجرين صوت عند مصيبة خمش وجوه وشق جيوب ورنة شيطان ‏"‏ ‏.‏ وفي الحديث كلام اكثر من هذا ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏


Jabir bin Abdullah narrated:
"The Prophet took Abdur-Rahman bin Awf by the hand and went with him to his son Ibrahim. He found him in his last breaths, so he took him and put him on his lap and cried. Abdur-Rahman said to him: 'You cry? Didn't you prohibit (your followers) from crying?' He said: 'No. But I prohibited two foolish immoral voices: A voice during a calamity while clawing at one's face and tearing one's clothes, and Shaitan's scream.'" And there is more that is stated in the Hadith.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে