পরিচ্ছেদঃ ১৪৪২. কুরবানীর উট ও তার দেখাশোনার জন্য ওয়াকীল নিয়োগ
২১৬৬। ইসমাঈল ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আমরা বিন্ত আব্দুর রাহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ’আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি নিজ হাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরবানীর জন্তুর জন্য হার পাকিয়েছি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে তাকে হার পরিয়ে (আমার পিতা) আবূ বকর (রাঃ) এর সঙ্গে পাঠিয়েছেন। কুরবানীর জন্তু যবেহ করার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর কোনো কিছু হারাম থাকেনি, যা আল্লাহ তাঁর জন্য হালাল করেছেন।
باب الْوَكَالَةِ فِي الْبُدْنِ وَتَعَاهُدِهَا
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ، عَائِشَةُ ـ رضى الله عنها ـ أَنَا فَتَلْتُ، قَلاَئِدَ هَدْىِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَىَّ، ثُمَّ قَلَّدَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَيْهِ، ثُمَّ بَعَثَ بِهَا مَعَ أَبِي، فَلَمْ يَحْرُمْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَىْءٌ أَحَلَّهُ اللَّهُ لَهُ حَتَّى نُحِرَ الْهَدْىُ.
Narrated `Aisha:
I twisted the garlands of the Hadis (i.e. animals for sacrifice) of Allah's Messenger (ﷺ) with my own hands. Then Allah's Messenger (ﷺ) put them around their necks with his own hands, and sent them with my father (to Mecca). Nothing legal was regarded illegal for Allah's Messenger (ﷺ) till the animals were slaughtered.
পরিচ্ছেদঃ ১৬০৫. মুকাতাবের সম্মতি সাপেক্ষে তাকে বিক্রি করা।
وَقَالَتْ عَائِشَةُ هُوَ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ شَيْءٌ. وَقَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ دِرْهَمٌ. وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ هُوَ عَبْدٌ إِنْ عَاشَ وَإِنْ مَاتَ وَإِنْ جَنَى، مَا بَقِيَ عَلَيْهِ شَيْءٌ
’আয়িশা (রাঃ) বলেন, ধার্যকৃত অর্থের কিছু অংশও বাকী থাকবে। মুকাতাব গোলামরূপেই গণ্য হবে। যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) বলেন, তার যিম্মায় এক দিরহাম অবশিষ্ট থাকলেও। (গোলাম বলে গণ্য হবে।) ইবন উমর (রাঃ) বলেন, যতক্ষণ তার যিম্মায় কিছু অংশও অবশিষ্ট থাকবে মুকাতাব গোলামরূপেই গণ্য হবে; সে বেঁচে থাকুক, বা মারা যাক কিংবা কোন ধরণের অপরাধ করুক।
২৩৯৪। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আম্রা বিনতে আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, বারীরা (রাঃ) একবার উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশা (রাঃ) এর কাছে সাহায্য চাইতে আসলেন। তখন তিনি বললেন, তোমরা মালিক পক্ষ চাইলে আমি তাদের এক সাথেই তোমার মূল্য দিয়ে দিব এবং তোমাকে আযাদ করে দিব। বারীরা (রাঃ) মালিক পক্ষকে তা বললেন, কিন্তু জবাবে তারা বলল, তোমার ওয়ালা আমাদের থাকবে; এছাড়া আমরা সম্মত নই। (রাবী) মালিক (রহঃ) বলেন, ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, আমরা (রহঃ) ধারণা করেন যে, ’আয়িশা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তা উত্থাপন করেছিলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, তুমি তাকে খরিদ করে আযাদ করে দাও। কেননা, ওয়ালা তারই হবে, যে আযাদ করে।
باب بَيْعِ الْمُكَاتَبِ إِذَا رَضِيَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ بَرِيرَةَ، جَاءَتْ تَسْتَعِينُ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ ـ رضى الله عنها ـ فَقَالَتْ لَهَا إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكِ أَنْ أَصُبَّ لَهُمْ ثَمَنَكِ صَبَّةً وَاحِدَةً فَأُعْتِقَكِ فَعَلْتُ. فَذَكَرَتْ بَرِيرَةُ ذَلِكَ لأَهْلِهَا، فَقَالُوا لاَ. إِلاَّ أَنْ يَكُونَ وَلاَؤُكِ لَنَا. قَالَ مَالِكٌ قَالَ يَحْيَى فَزَعَمَتْ عَمْرَةُ أَنَّ عَائِشَةَ ذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " اشْتَرِيهَا وَأَعْتِقِيهَا، فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ ".
Narrated `Amra bint `Abdur-Rahman:
Buraira went to Aisha, the mother of the faithful believers to seek her help in her emancipation Aisha said to her, "If your masters agree, I will pay them your price in a lump sum and manumit you." Buraira mentioned that offer to her masters but they refused to sell her unless the Wala' was for them. `Aisha told Allah's Messenger (ﷺ) about it. He said, "Buy and manumit her as the Wala' is for the liberator."
পরিচ্ছেদঃ ১৯৪৪. নবী (সাঃ)-এর সহধর্মিণীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সাথে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমরা নিজেদের ঘরে অবস্থান কর। (৩৩ঃ ৩৩) (হে মুসলিমগন) তোমরা নবী (সাঃ) এর ঘরে অনুমতি ব্যতিরেকে প্রবেশ করবে না। (৩৩ঃ ৫৩)
২৮৮৬। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আমরা বিনত আবদুর রাহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধীর্মণী আয়িশা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা তাঁর নিকট ছিলেন। তখন আয়িশা (রাঃ) আওয়াজ শুনতে পেলেন যে, জনৈক ব্যাক্তি হাফসা (রাঃ) এর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ ব্যাক্তি আপনার ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার মনে হয়, সে অমুক, হাফসা (রাঃ) এর দুধ চাচা। (নবীজি বললেন) দুধপান তা-ই হারাম করে, যা জন্মগত সম্পর্কে কারণে হারাম হয়।
باب مَا جَاءَ فِي بُيُوتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، وَمَا نُسِبَ مِنَ الْبُيُوتِ إِلَيْهِنَّ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ} وَ{لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ ابْنَةِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ عِنْدَهَا، وَأَنَّهَا سَمِعَتْ صَوْتَ إِنْسَانٍ يَسْتَأْذِنُ فِي بَيْتِ حَفْصَةَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ فِي بَيْتِكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُرَاهُ فُلاَنًا، لِعَمِّ حَفْصَةَ مِنَ الرَّضَاعَةِ، الرَّضَاعَةُ تُحَرِّمُ مَا تُحَرِّمُ الْوِلاَدَةُ ".
Narrated `Amra bint `Abdur-Rahman:
`Aisha, the wife of the Prophet (ﷺ) told her that once Allah's Messenger (ﷺ) was with her and she heard somebody asking permission to enter Hafsa's house. She said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! This man is asking permission to enter your house." Allah's Messenger (ﷺ) replied, "I think he is so-and-so (meaning the foster uncle of Hafsa). What is rendered illegal because of blood relations, is also rendered illegal because of the corresponding foster-relations."
পরিচ্ছেদঃ ৩০. ফিতনার আশংকা না থাকলে নারীগণ মসজিদে যেতে পারবে কিন্তু খোশবু লাগিয়ে (বাইরে) বের হবে না
৮৮৩। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা ইবনু কা’নাব (রহঃ) … আমরা বিনতে আব্দুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি এ যুগের নারীদের আচরণের অবস্থা দেখতেন, তবে তাদেরকে বনী ইসরাঈলী নারীদের ন্যায় মসজিদে প্রবেশ করতে নিষেধ করতেন। রাবী ইয়াহইয়া বলেন, আমি আমরকে জিজ্ঞাসা করলাম, বনী ইসরাঈলী নারীদেরকে কি মসজিদে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
باب خُرُوجِ النِّسَاءِ إِلَى الْمَسَاجِدِ إِذَا لَمْ يَتَرَتَّبْ عَلَيْهِ فِتْنَةٌ وَأَنَّهَا لاَ تَخْرُجُ مُطَيَّبَةً
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ يَحْيَى، - وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ - عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهَا سَمِعَتْ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ لَوْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى مَا أَحْدَثَ النِّسَاءُ لَمَنَعَهُنَّ الْمَسْجِدَ كَمَا مُنِعَتْ نِسَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ . قَالَ فَقُلْتُ لِعَمْرَةَ أَنِسَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مُنِعْنَ الْمَسْجِدَ قَالَتْ نَعَمْ .
'Amra, daughter of Abd al-Rahmin, reported:
I heard 'A'isha, the wife of the Messenger of Allah (ﷺ). say: If the Messenger of Allah (ﷺ) had seen what new things the women have introduced (in their way of life) he would have definitely prevented them from going to the mosque, as the women of BaniIsra'il were prevented.
পরিচ্ছেদঃ ৮. সালাত ও খুতবা সংক্ষিপ্তকরণ
১৮৮৫। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান দারিমী (রহঃ) ... আমর বিনত আবদুর রহমান (রাঃ) তার জনৈকা বোন থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি "কাফ ওয়াল কুরআনিল মজীদ" সূরাটি জুমু’আর দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ থেকে শুনে মুখস্ত করেছি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক জুমুআয় এ সূরাটি মিম্বরে থেকে পাঠ করতেন।
باب تَخْفِيفِ الصَّلاَةِ وَالْخُطْبَةِ
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، بْنُ بِلاَلٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُخْتٍ، لِعَمْرَةَ قَالَتْ أَخَذْتُ (ق وَالْقُرْآنِ الْمَجِيدِ) مِنْ فِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَهُوَ يَقْرَأُ بِهَا عَلَى الْمِنْبَرِ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ .
'Amra daughter of Abd al-Rahman reported on the authority of the sister of Amra:
I memorised (surah) "Qaf, by the glorious Qur'an" from the mouth of the Messenger of Allah (ﷺ) on Friday for he recited it on the pulpit on every Friday.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. যে নিজে (মক্কায়) যেতে ইচ্ছা রাখে না, তার পক্ষে কুরবানীর পশু হারাম শরীফে পাঠানো ও গলায় মালা পরানো এবং মালা পাকানো মুস্তাহাব। আর এতে সে ইহরামকারী হয়ে যাবে না এবং এ কারণে তার উপর (ইহরামধারীদের মত) কোন কিছু হারাম হবে না
৩০৭৫। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আমরাহ বিনত আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনু যিয়াদ (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) এর কাছে লিখেন যে, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ "যে ব্যক্তি (মক্কার হবমে) কুরবানীর পশু পাঠায়, হাজীদের জন্য যা করা হারাম তার জন্যও তা করা হারাম যতক্ষন না ঐ পশু কুরবানী করা হয়। আমি কুরবনীর পশু (হরমে) পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত আমাকে লিখে জানাবেন।"
আমরাহ বলেন, আয়িশা (রাঃ) বললেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) যেভাবে বলেছেন, ব্যাপারটি তা নয়। আমি নিজ হাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরবানীর পশুর (গলায় বাঁধার) জন্য মালা তৈরি করে দিয়েছি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে তা পশুর গলায় বেঁধেছেন, তারপর আমার পিতার মাধ্যমে তা (হরম শরীফ) পাঠিয়েছেন। কিন্তু এর ফলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর এমন কোন জিনিস হারাম হয়নি- যা আল্লাহ তা’আলা তাঁর জন্য হালাল করেছেন। অতঃপর পশু কুরবানী করা হয়েছে।
باب اسْتِحْبَابِ بَعْثِ الْهَدْىِ إِلَى الْحَرَمِ لِمَنْ لاَ يُرِيدُ الذَّهَابَ بِنَفْسِهِ وَاسْتِحْبَابِ تَقْلِيدِهِ وَفَتْلِ الْقَلاَئِدِ وَأَنَّ بَاعِثَهُ لاَ يَصِيرُ مُحْرِمًا وَلاَ يَحْرُمُ عَلَيْهِ شيء بِذَلِكَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ، بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ ابْنَ زِيَادٍ كَتَبَ إِلَى عَائِشَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ قَالَ مَنْ أَهْدَى هَدْيًا حَرُمَ عَلَيْهِ مَا يَحْرُمُ عَلَى الْحَاجِّ حَتَّى يُنْحَرَ الْهَدْىُ وَقَدْ بَعَثْتُ بِهَدْيِي فَاكْتُبِي إِلَىَّ بِأَمْرِكِ . قَالَتْ عَمْرَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ لَيْسَ كَمَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَا فَتَلْتُ قَلاَئِدَ هَدْىِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَىَّ ثُمَّ قَلَّدَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ ثُمَّ بَعَثَ بِهَا مَعَ أَبِي فَلَمْ يَحْرُمْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَىْءٌ أَحَلَّهُ اللَّهُ لَهُ حَتَّى نُحِرَ الْهَدْىُ .
'Amra daughter of Abd al-Rahman reported that Ibn Ziyad had written to 'A'isha (Allah be pleased with him) that 'Abdullah b. Abbas (Allah be pleased with them) bad said that he who sent a sacrificial animal (to Mecca) for him was forbidden what is forbidden for a pilgrim (in the state of Ihram) until the animal is sacrificed I have myself sent my sacrificial animal (to Mecca), so write to me your opinion. Amra reported 'A'isha (Allah be pleased with her) as saying:
It is not as Ibn 'Abbas (Allah be pleased with them) had asserted, for I wove the garlands for the sacrificial animals of Allah's Messenger (ﷺ) with my own hands. Allah's Messenger (ﷺ) then garlanded them with his own hands, and then sent them with my father, and nothing was forbidden for Allah's Messenger (ﷺ) which had been made lawful for him by Allah until the animals were sacrificed.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৪৬৭। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা কা’নবী (রহঃ) ... আমরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, যখন তিনি দুধপানের ঐ পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করলেন যাদ্বারা হুরমত সাব্যস্ত হয়। আমরাহ বললেন যে, আয়িশা (রাঃ) বলেছিলেন, আল কুরআনে নাযিল হয় عَشْرُ رَضَعَاتٍ مَعْلُومَاتٍ "নির্ধারিত দশবার দুধপানে" তারপর নাযিল হয خَمْسٌ مَعْلُومَاتٌ "নির্ধারিত পাঁচবার দুধপানে।"
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ يَحْيَى، - وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ - عَنْ عَمْرَةَ، أَنَّهَا سَمِعَتْ عَائِشَةَ، تَقُولُ - وَهْىَ تَذْكُرُ الَّذِي يُحَرِّمُ مِنَ الرَّضَاعَةِ - قَالَتْ عَمْرَةُ فَقَالَتْ عَائِشَةُ نَزَلَ فِي الْقُرْآنِ عَشْرُ رَضَعَاتٍ مَعْلُومَاتٍ ثُمَّ نَزَلَ أَيْضًا خَمْسٌ مَعْلُومَاتٌ .
'Amra reported that she heard 'A'isha (Allah he pleased with her) discussing fosterage which (makes marriage) unlawful; and she ('A'isha) said:
There was revealed in the Holy Qur'an ten clear sucklings, and then five clear (sucklings).
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৪৬৮। মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... আমরাহ সুত্রে বর্ণিত যে, তিনি আয়িশা (রাঃ) কে অনুরূপ বলতে শুনেছেন।
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَتْنِي عَمْرَةُ، أَنَّهَا سَمِعَتْ عَائِشَةَ، تَقُولُ . بِمِثْلِهِ .
Ahadith like this is transmitted by 'A'isha through another chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ২৩৫. ধনুকের উপর ভর করে খুতবা দেয়া।
১১০২. মাহমূদ ইবনে খালিদ (রহঃ) ...... আমরাহ থেকে তার ভগ্নির সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সূরা কাহাফ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যবান মোবারক হতে শুনে শুনে মুখস্থ করেছি। তিনি এই সূরাটি প্রত্যেক জুমার দিনে তিলাওয়াত করতেন।
ইমাম আবু দাউদ (রাঃ) বলেন, এই হাদীসের অন্য সনদে ’আমরাহ্’ থেকে উম্মে হিশাম বিনতে হারিছা ইবনুন্ নুমান হতে বর্ণিত। (এতে বুঝা যায় যে, বর্ণনাকারীনির নাম ছিল উম্মে হিশাম)
باب الرَّجُلِ يَخْطُبُ عَلَى قَوْسٍ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ أُخْتِهَا، قَالَتْ مَا أَخَذْتُ ق إِلاَّ مِنْ فِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَؤُهَا فِي كُلِّ جُمُعَةٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ وَابْنُ أَبِي الرِّجَالِ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ أُمِّ هِشَامٍ بِنْتِ حَارِثَةَ بْنِ النُّعْمَانِ .
'Umrah reported on the authority of her sister:
I memorized Surah al-Qaf from the mouth of the Messenger of Allah (ﷺ); he used to recite it on every friday.
Abu Dawud said: This tradition has been narrated in a similar way by Yahya b. Ayyub, Ibn Abu Ar-Rijal, from Yahya b. Sa'id, from 'Umrah from Umm Hisham hint Harithah b. al-Nu'man.
পরিচ্ছেদঃ ২৩৫. ধনুকের উপর ভর করে খুতবা দেয়া।
১১০৩. ইবনুস্ সারহ (রহঃ) .... আমরাহ্ (রাঃ) থেকে তার বোন আব্দুর রহমানের কন্যার সূত্রে উপরোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেন, আমরাহ্ এর বোন তাঁর চাইতে বয়সে বড় ছিলেন।
باب الرَّجُلِ يَخْطُبُ عَلَى قَوْسٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ أُخْتٍ، لِعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَانَتْ أَكْبَرَ مِنْهَا بِمَعْنَاهُ .
This tradition has also been transmitted to the same effect through a different chain of narrators by 'Umrah from her sister 'Umrah daughter of 'Abd al-Rahman who was older than her.
পরিচ্ছেদঃ ১১/ আয়েশা (রাঃ) থেকে আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৭৮। মুহাম্মাদ ইবনু সালামা (রহঃ) ... আমরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আয়িশা (রাঃ) তার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, এক ইয়াহুদী মহিলা তার কাছে এসে বলল আল্লাহ তা’আলা আপনাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন। আয়িশা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মানুষদের কি কবরে আযাব দেওয়া হবে? তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তা থেকে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে পানাহ চাচ্ছি। আয়িশা (রাঃ) বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণের জন্য বের হলেন, ইতিমধ্যে সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন আমরা হুজরা থেকে বের হয়ে গেলাম, এসময় আমাদের পাশে অনেক মহিলা একত্রিত হয়ে গেল এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছ ফিরে আসলেন তখন ছিল সূর্যদোয়ের এবং দ্বিপ্রহেরর মধ্যবর্তী সময়।
তিনি সালাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন। তারপর দীর্ঘ রুকু করলেন, এরপর তার মাথা উঠালেন ও দাঁড়িয়ে গেলেন, পূর্ববর্তী দাড়ানো থেকে সংক্ষিপ্তভাবে। তারপর রুকু করলেন পূর্ববর্তী রুকুর থেকে সংক্ষিপ্ত। পরে সিজদা করলেন, অতঃপর দ্বিতীয় রাকআতে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং অনুরূপই করলেন কিন্তু দ্বিতীয় রাকআতের রুকু এবং দাঁড়ানো প্রথম রাকআতের রুকু এবং দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর সিজদা করলেন এবং সূর্যও আলোকিত হয়ে গেল। যখন সালাত শেষ করলেন মিম্বরের উপর বসলেন এবং তার খুতবার মধ্যে বললেন যে, নিশ্চয়ই মানুষ তাদের কবরে দাজ্জালের পরীক্ষার ন্যায় পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমরা তাকে এরপরে শুনতাম যে তিনি কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতেন।
باب نَوْعٌ آخَرُ مِنْهُ عَنْ عَائِشَةَ،
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّ عَمْرَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهَا أَنَّ يَهُودِيَّةً أَتَتْهَا فَقَالَتْ أَجَارَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ قَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ النَّاسَ لَيُعَذَّبُونَ فِي الْقُبُورِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَائِذًا بِاللَّهِ . قَالَتْ عَائِشَةُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مَخْرَجًا فَخَسَفَتِ الشَّمْسُ فَخَرَجْنَا إِلَى الْحُجْرَةِ فَاجْتَمَعَ إِلَيْنَا نِسَاءٌ وَأَقْبَلَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَلِكَ ضَحْوَةً فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ دُونَ رُكُوعِهِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ الثَّانِيَةَ فَصَنَعَ مِثْلَ ذَلِكَ إِلاَّ أَنَّ رُكُوعَهُ وَقِيَامَهُ دُونَ الرَّكْعَةِ الأُولَى ثُمَّ سَجَدَ وَتَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ فِيمَا يَقُولُ " إِنَّ النَّاسَ يُفْتَنُونَ فِي قُبُورِهِمْ كَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ " . قَالَتْ عَائِشَةُ كُنَّا نَسْمَعُهُ بَعْدَ ذَلِكَ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ .
It was narrated from Yahya bin Sa'eed that :
'Amrah told him that Aishah told her that a Jewish woman came to her and said: "May Allah protect you from the torment of the grave." Aishah said: "O Messenger of Allah, will people be tormented in the graves?" The Messenger of Allah (ﷺ) sought refuge with Allah. 'Aishah said: "The Prophet (ﷺ) went out, and the sun became eclipsed. We went out to another room and the women gathered with us. The Messenger of Allah (ﷺ) came to us and that was at the time of forenoon. He stood for a long time, then he bowed for a long time, then he raises his head and stood for a shorter time than the first one; then he bowed for a shorter time than the first one. Then he prostrated, then he stood up for the second (rak'ah) and did the same again, except that his bowing an prostrating were shorter than in the first rak'ah. Then he prostrated, and the eclipse had ended. When he had finished, he sat on the minbar and one of the things he said was: 'The people will be tried in their graves like the trial of the Dajjal.' Aishah siad: 'After that, we used to hear him seeking refuge with Allah (SWT) from the torment of the grave."
পরিচ্ছেদঃ ১২/ অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৭৯। আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... আমরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, আমার কাছে একজন ইয়াহুদী মহিলা এসে কিছু চাচ্ছিল। সে বলল, আল্লাহ আপনাকে কবরের আযাব থেকে মুক্তি দান করুন। তারপর যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলেন, আমি তাকে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মানূষদের কি কবর আযাব দেওয়া হবে? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে (তা থেকে) পানাহ চাচ্ছি তারপর তিনি বাহনে আরোহণ করলেন, ইতিমধ্যে সূর্যগ্রহণ লেগে গেল।
তখন আমি অন্যান্য মহিলাদের সাথে হুজরা সমুহের মধ্যবর্তী স্থানে ছিলাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সওয়ারীর স্থান থেকে ফিরে এসে তাঁর সালাতের স্থানে আসলেন এবং মানুষদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। তিনি সালাতে দাঁড়ালেন এবং দাঁড়ানোকে দীর্ঘায়িত করলেন, তারপর রুকু করলেন আর রুকুকেও দীর্ঘায়িত করলেন।
তারপর তার মাথা উঠালেন ও (পরবর্তী) দাঁড়ানোকেও দীর্ঘ করলেন। পুনরায় রুকু করলেন এবং রুকু দীর্ঘায়িত করলেন। তারপর মাথা উত্তোলন করলেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। পরে সিজদা করলেন এবং সিজদাকেও দীর্ঘ করলেন, তারপর দাঁড়ালেন এবং এ দাঁড়ানো ছিল প্রথম দাঁড়ানো অপেক্ষা সংক্ষিপ্ত। তারপর রুকু করলেন পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত। পরে তার মাথা উঠালেন ও দাঁড়ালেন যা পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। পরে রুকু করলেন যা পুর্ববতী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত। এরপর তার মাথা উঠালেন ও দাঁড়ালেন এবং তা পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল।
অতএব মোট চার রুকু এবং চার সিজদা। আর (ইত্যবসরে) সূর্য আলোকিত হয়ে গেল। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের কবরে দাজ্জালের পরীক্ষার ন্যায় পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এর পরে কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতে শুনেছি।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، - هُوَ الأَنْصَارِيُّ - قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ جَاءَتْنِي يَهُودِيَّةٌ تَسْأَلُنِي فَقَالَتْ أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ . فَلَمَّا جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُعَذَّبُ النَّاسُ فِي الْقُبُورِ فَقَالَ عَائِذًا بِاللَّهِ فَرَكِبَ مَرْكَبًا - يَعْنِي - وَانْخَسَفَتِ الشَّمْسُ فَكُنْتُ بَيْنَ الْحُجَرِ مَعَ نِسْوَةٍ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَرْكَبِهِ فَأَتَى مُصَلاَّهُ فَصَلَّى بِالنَّاسِ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ قَامَ قِيَامًا أَيْسَرَ مِنْ قِيَامِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ أَيْسَرَ مِنْ رُكُوعِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ أَيْسَرَ مِنْ قِيَامِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ أَيْسَرَ مِنْ رُكُوعِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ أَيْسَرَ مِنْ قِيَامِهِ الأَوَّلِ فَكَانَتْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " إِنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ كَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ " . قَالَتْ عَائِشَةُ فَسَمِعْتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ .
Amrah said:
"I heard Aishah say: 'A Jewish woman came to me begging, and said: May Allah grant you protection from the torment of the grave.' When the Messenger of Allah (ﷺ) came, I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ), will people be tormented in their graves?' He sought refuge with Allah (SWT) and climbed onto his mount. The sun became eclipsed while I was between the apartments with some women. The Messenger of Allah (ﷺ) came from his mount and came to his prayer place, and led the people in prayer.He stood for a long time, then he bowed for a long time, then he raised his head and stood for a long time, then he bowed for a long time, then he raised his head and stood for a long time, then he prostrated for a long time. Then he stood for a shorter time than in the first (rak'ah), then he bowed for a shorter time than the first, then he raised his head and stood for a shorter time than the first, then he bowed for a shorter time than the first, then he raised his head and stood for a shorter time than the first, so he bowed four times and prostrated four times, and the eclipse ended. He said: "You will be tried in your graves like the trial of the Dajjal.' Aishah said: 'I heard him after that seeking refuge with Allah from the torment of the grave.'"
পরিচ্ছেদঃ ১৫/ মৃতের জন্য বিলাপ করা
১৮৫৯। কুতায়বা (রহঃ) ... আমরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আবূ বকর (রাঃ)-কে খরব দিয়েছেন, যখন আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে উল্লেখ করা হল যে, আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে তার জন্য জীবিতদের ক্রন্দনের কারনে শাস্তি দেওয়া হয়। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা আবূ আব্দুর রহমান (আব্দুল্লাহ ইবনু উমর) (রাঃ)-কে ক্ষমা করুন! তিনি মিথ্যে বলেন নি কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন বা ভুল করে ফেলেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার এক ইহুদি মহিলার কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যার জন্য ক্রন্দন করা হচ্ছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, তারা ঐ মৃতের জন্য ক্রন্দন করছে আর ঐ মৃতকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
باب النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا، سَمِعَتْ عَائِشَةَ، وَذُكِرَ، لَهَا أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَىِّ عَلَيْهِ . قَالَتْ عَائِشَةُ يَغْفِرُ اللَّهُ لأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَمَا إِنَّهُ لَمْ يَكْذِبْ وَلَكِنْ نَسِيَ أَوْ أَخْطَأَ إِنَّمَا مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى يَهُودِيَّةٍ يُبْكَى عَلَيْهَا فَقَالَ " إِنَّهُمْ لَيَبْكُونَ عَلَيْهَا وَإِنَّهَا لَتُعَذَّبُ " .
It was narrated from 'Amrah that she heard 'Aishah say:
, when she was told that Ibn 'Umar said that the deceased is punished due to the weeping of the living for him, 'Aishah said: "May Allah forgive Abu 'Abdur-Rahman; he is not lying, but he has forgotten or made a mistake. The Messenger of Allah passed by a (deceased) Jewish woman for whom people were weeping and he said: 'They are weeping for her and she is being punished."'
পরিচ্ছেদঃ ৪৯. রিযাআত বা দুধ পানের সম্পর্কের কারণে যারা হারাম
৩৩০৬. মুহাম্মদ ইবন উবায়দ (রহঃ) ... আমরাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আয়েশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জন্মসূত্রে যারা হারাম, দুধপান সম্পর্কেও তারা হারাম।
مَا يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ هَاشِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَمْرَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنْ الْوِلَادَةِ
It was narrated that 'Amrah said:
"I heard 'Aishah say: The Messenger of Allah said: 'What becomes unlawful (for marriage) through breast-feeding is that which becomes unlawful through birth.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫২. মহিলার দুধ পান করানো দ্বারা পুরুষের সাথেও সম্পর্ক স্থাপিত হয়
৩৩১৬. হারূন ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আমরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আয়েশা (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট ছিলেন, এমন সময় তিনি শুনতে পেলেন, এক ব্যক্তি হাফসা (রাঃ)-এর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ ব্যক্তি আপনার ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমার মনে হয় সে অমুক ব্যক্তি, যিনি হাফসার দুধ সম্পর্কের চাচা। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি বললামঃ যদি অমুক ব্যক্তি জীবিত থাকতো, সেও আমার দুধ সম্পর্কের চাচা হতো, আমার কাছে আসতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জন্মগত সম্পর্কে যা হারাম হয়, দুধ পানের সম্পর্কও তাকে হারাম করে দেয়।
لَبَنُ الْفَحْلِ
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنَا مَعْنٌ قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عِنْدَهَا وَأَنَّهَا سَمِعَتْ رَجُلًا يَسْتَأْذِنُ فِي بَيْتِ حَفْصَةَ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ فِي بَيْتِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرَاهُ فُلَانًا لِعَمِّ حَفْصَةَ مِنْ الرَّضَاعَةِ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ لَوْ كَانَ فُلَانٌ حَيًّا لِعَمِّهَا مِنْ الرَّضَاعَةِ دَخَلَ عَلَيَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الرَّضَاعَةَ تُحَرِّمُ مَا يُحَرَّمُ مِنْ الْوِلَادَةِ
It was narrated from 'Amrah that 'Aishah told her that the Messenger of Allah was with her, and she heard a man asking permission to enter Hafsah's house. 'Aishah said:
"I said: 'O Messenger of Allah, there is a man asking permission to enter your house.' The Messenger of Allah said: 'I think it is so-and-so the paternal uncle of Hafsah through breast-feeding.' 'Aishah said: If so-and-so (her own paternal uncle through breast-feeding) were alive, would he be allowed to enter upon me?' The Messenger of Allah said: 'What becomes unlawful (for marriage) through breast-feeding is that which becomes unlawful through birth.'"
পরিচ্ছেদঃ ৯. যুহরী হতে বর্ণনাকারীদের মতপার্থক্য
৪৯২৪. সুওয়ায়দ ইবন নাসর (রহঃ) ... আমরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি আয়েশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ দীনারের চতুর্থাংশ বা তদূর্ধ্বের জন্য চোরের হাত কাটা যাবে।
ذِكْرُ الِاخْتِلَافِ عَلَى الزُّهْرِيِّ
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ أَنَّهَا سَمِعَتْ عَائِشَةَ تَقُولُ يُقْطَعُ فِي رُبْعِ دِينَارٍ فَصَاعِدًا قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ هَذَا الصَّوَابُ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى
It was narrated from 'Amrah that she heard 'Aishah say:
"The hand of the thief is to be cut off for one-quarter of a Dinar or more."
Abu 'Abdur-Rahman (An-Nasai) said: This is the correct version of the narration of Yahya.
পরিচ্ছেদঃ মৃত ব্যক্তির জন্য নিরব কান্নার অনুমতি।
১০০৪. কুতায়বা (রহঃ) ....... আ’মরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আয়িশা (রাঃ) এর কাছে উল্লেখ করা হলো যে, ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিতদের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেওয়া হয়। তখন আয়িশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা’আলা আবূ আব্দুর রহমান (ইবনু উমার) কে মাফ করুন। তিনি তো মিথ্যা বলেন নি তবে হয়ত ভুলে গেছেন বা সঠিকভাবে বলতে পারেন নি। একাবর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈকা ইয়াহুদী মহিলার (লাশের) পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার জন্য কান্নাকাটি হচ্ছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এরা তো তার জন্য কান্নাকাটি করছে অথচ (এ সময়) কবরে তাকে আযাব দেওয়া হচ্ছে। - আল আহকাম ২৮, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১০০৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) বলেন, এই হাদিসটি হাসান-সহীহ্।
باب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا، سَمِعَتْ عَائِشَةَ، وَذُكِرَ، لَهَا أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَىِّ عَلَيْهِ . فَقَالَتْ عَائِشَةُ غَفَرَ اللَّهُ لأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَمَا إِنَّهُ لَمْ يَكْذِبْ وَلَكِنَّهُ نَسِيَ أَوْ أَخْطَأَ إِنَّمَا مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى يَهُودِيَّةٍ يُبْكَى عَلَيْهَا فَقَالَ " إِنَّهُمْ لَيَبْكُونَ عَلَيْهَا وَإِنَّهَا لَتُعَذَّبُ فِي قَبْرِهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
Abdullah bin Abi Bakr - and he is Ibn Muhammad bin Amr bin Hazm - narrated from his father, that:
Amrah informed him that she heard Aishah, while it was being mentioned to her that Ibn Umar had said that the deceased would be punished for the crying of the living (over him). So Aishah said: 'May Allah forgive Abu Abdur-Rahman. He has not lied, but he is mistaken in the understanding. Rather, the Messenger of Allah passed by a Jewish woman who was being cried over, so he said: 'They are crying over her and she is being punished in her grave.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪০/১৪. কুরবানীর উট ও তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ।
২৩১৭. ‘আমরাহ বিনতু আবদুর রহমান (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, ‘আয়িশাহ (রাযি.) বলেন, আমি নিজ হাতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরবানীর জন্তুর জন্য হার পাকিয়েছি। তারপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে তাকে হার পরিয়ে আমার পিতা [আবূ বকর (রাঃ)]-এর সঙ্গে পাঠিয়েছেন। কুরবানীর জন্তু যবহ করার পর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উপর কোন কিছু হারাম থাকেনি, যা আল্লাহ তাঁর জন্য হালাল করেছেন। (১৬৯৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৬৬)
بَاب الْوَكَالَةِ فِي الْبُدْنِ وَتَعَاهُدِهَا
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ عَائِشَةُ أَنَا فَتَلْتُ قَلاَئِدَ هَدْيِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَيَّ ثُمَّ قَلَّدَهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَيْهِ ثُمَّ بَعَثَ بِهَا مَعَ أَبِي فَلَمْ يَحْرُمْ عَلَى رَسُولِ اللهِ شَيْءٌ أَحَلَّهُ اللهُ لَهُ حَتَّى نُحِرَ الْهَدْيُ
Narrated `Aisha:
I twisted the garlands of the Hadis (i.e. animals for sacrifice) of Allah's Messenger (ﷺ) with my own hands. Then Allah's Messenger (ﷺ) put them around their necks with his own hands, and sent them with my father (to Mecca). Nothing legal was regarded illegal for Allah's Messenger (ﷺ) till the animals were slaughtered.
পরিচ্ছেদঃ ৫০/৪. মুকাতাবের সমর্থন সাপেক্ষে তাকে বিক্রয় করা।
وَقَالَتْ عَائِشَةُ هُوَ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ شَيْءٌ وَقَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ دِرْهَمٌ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ هُوَ عَبْدٌ إِنْ عَاشَ وَإِنْ مَاتَ وَإِنْ جَنَى مَا بَقِيَ عَلَيْهِ شَيْءٌ
‘আয়িশাহ (রাযি.) বলেন, ধার্যকৃত অর্থের কিছু অংশও বাকী থাকবে। মুকাতাব ক্রীতদাসরূপেই গণ্য হবে। যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) বলেন, তার যিম্মায় এক দিরহাম অবশিষ্ট থাকলেও। (ক্রীতদাস বলে গণ্য হবে।) ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, যতক্ষণ তার যিম্মায় কিছু অংশও অবশিষ্ট থাকবে মুকাতাব ক্রীতদাসরূপেই গণ্য হবে; সে বেঁচে থাকুক বা মারা যাক কিংবা কোন ধরনের অপরাধ করুক।
২৫৬৪. ‘আমরাহ বিনতু আবদুর রহমান (রহ.) হতে বর্ণিত যে, বারীরাহ (রাযি.) একবার উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ (রাযি.)-এর কাছে সাহায্য চাইতে আসলেন। তখন তিনি বললেন, তোমার মালিক পক্ষ চাইলে আমি তাদের এক সাথেই তোমার মূল্য দিয়ে দিব এবং তোমাকে মুক্ত করে দিব। বারীরাহ (রাযি.) মালিক পক্ষকে তা বললেন, কিন্তু জবাবে তারা বলল, তোমার ওয়ালা আমাদের থাকবে; এছাড়া আমরা সম্মত নই। (রাবী) মালিক (রহ.) বলেন, ইয়াহ্ইয়া (রহ.) বলেন, আমরা (রহ.) ধারণা করেন যে, ‘আয়িশাহ (রাযি.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে তা উত্থাপন করেছিলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, তুমি তাকে খরিদ করে মুক্ত করে দাও। কেননা, ওয়ালা তারই হবে, যে মুক্ত করে। (৪৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৯৪)
بَاب بَيْعِ الْمُكَاتَبِ إِذَا رَضِيَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ أَنَّ بَرِيرَةَ جَاءَتْ تَسْتَعِينُ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ فَقَالَتْ لَهَا إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكِ أَنْ أَصُبَّ لَهُمْ ثَمَنَكِ صَبَّةً وَاحِدَةً فَأُعْتِقَكِ فَعَلْتُ فَذَكَرَتْ بَرِيرَةُ ذَلِكَ لأَهْلِهَا فَقَالُوا لاَ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ وَلاَؤُكِ لَنَا قَالَ مَالِكٌ قَالَ يَحْيَى فَزَعَمَتْ عَمْرَةُ أَنَّ عَائِشَةَ ذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ اشْتَرِيهَا وَأَعْتِقِيهَا فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
Narrated `Amra bint `Abdur-Rahman:
Buraira went to Aisha, the mother of the faithful believers to seek her help in her emancipation Aisha said to her, "If your masters agree, I will pay them your price in a lump sum and manumit you." Buraira mentioned that offer to her masters but they refused to sell her unless the Wala' was for them. `Aisha told Allah's Messenger (ﷺ) about it. He said, "Buy and manumit her as the Wala' is for the liberator."
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা।
৩১০৫. ‘আমরাহ বিনতু ‘আবদুর রহমান (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার তাঁর নিকট ছিলেন। তখন ‘আয়িশাহ (রাঃ) আওয়াজ শুনতে পেলেন যে, এক ব্যক্তি হাফসাহ (রাঃ)-এর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এ ব্যক্তি আপনার ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছে। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার মনে হয়, সে অমুক, হাফসাহ (রাঃ)-এর দুধ চাচা। দুধপান তা-ই হারাম করে, যা জন্মগত সম্পর্ক হারাম করে। (২৬৪৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৮৩)
بَابُ مَا جَاءَ فِيْ بُيُوْتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ وَمَا نُسِبَ مِنْ الْبُيُوْتِ إِلَيْهِنَّ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ ابْنَةِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ عِنْدَهَا وَأَنَّهَا سَمِعَتْ صَوْتَ إِنْسَانٍ يَسْتَأْذِنُ فِيْ بَيْتِ حَفْصَةَ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَذَا رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ فِيْ بَيْتِكَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُرَاهُ فُلَانًا لِّعَمِّ حَفْصَةَ مِنْ الرَّضَاعَةِ الرَّضَاعَةُ تُحَرِّمُ مَا تُحَرِّمُ الْوِلَادَةُ
Narrated `Amra bint `Abdur-Rahman:
`Aisha, the wife of the Prophet (ﷺ) told her that once Allah's Messenger (ﷺ) was with her and she heard somebody asking permission to enter Hafsa's house. She said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! This man is asking permission to enter your house." Allah's Messenger (ﷺ) replied, "I think he is so-and-so (meaning the foster uncle of Hafsa). What is rendered illegal because of blood relations, is also rendered illegal because of the corresponding foster-relations."