পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩০. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমাকে যখন সফর করানো হয় তখন মূসা (আঃ)-এর সঙ্গেও আমার সাক্ষাত হয়। এরপর তিনি তাঁর আকৃতির বিবরণ দিয়ে বললেনঃ তিনি ছিলেন হালকা পাতলা। যার মাথার চুল কুঁকড়ানো ও সোজার মাঝামাঝি। তিনি যেন শানূআ গোত্রের পুরুষের মত। ঈসা (আঃ)-এর সঙ্গেও সাক্ষাত হয়। এরপর তিনি তাঁর গঠন প্রকৃতির বিবরণ দিয়ে বললেনঃ তিনি ছিলেন মধ্যমাকৃতির লাল বর্ণের। তিনি যেন গোসলখানা থেকে বের হলেন। ইবরাহীম (আঃ) কে দেখেছি। তাঁর বংশধরদের মাঝে আমিই তাঁর অধিক সদৃশ।
আমার কাছে দু’টো পাত্র আনা হয় একটিতে দুধ আরেকটিতে ছিল মদ। আমাকে বলা হল, দু’টো থেকে যে কোনটি আপনার ইচ্ছা গ্রহণ করুন। আমি দুধ গ্রহণ করলাম এবং তা পান করলাম। আমাকে বলা হল আপনাকে ফিতরাতের দিকে হিদায়াত করা হয়েছে, কিংবা বলেছেন, আপনি ফিতরাতে পৌঁছেছেন। যদি আপনি মদ গ্রহণ করতেন তবে আপনার উম্মাত গুমরাহ হয়ে যেত।
সহীহ, বুখারি ৪৭০৯, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৩০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " حِينَ أُسْرِيَ بِي لَقِيتُ مُوسَى . قَالَ فَنَعَتُّهُ فَإِذَا رَجُلٌ حَسِبْتُهُ قَالَ مُضْطَرِبٌ رَجِلُ الرَّأْسِ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شُنُوءَةَ قَالَ وَلَقِيتُ عِيسَى . قَالَ فَنَعَتُّهُ قَالَ رَبْعَةٌ أَحْمَرُ كَأَنَّمَا خَرَجَ مِنْ دِيمَاسٍ يَعْنِي الْحَمَّامَ وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ . قَالَ وَأَنَا أَشْبَهُ وَلَدِهِ بِهِ قَالَ وَأُتِيتُ بِإِنَاءَيْنِ أَحَدُهُمَا لَبَنٌ وَالآخَرُ خَمْرٌ فَقِيلَ لِي خُذْ أَيَّهُمَا شِئْتَ . فَأَخَذْتُ اللَّبَنَ فَشَرِبْتُهُ فَقِيلَ لِيَ هُدِيتَ الْفِطْرَةَ أَوْ أَصَبْتَ الْفِطْرَةَ أَمَا إِنَّكَ لَوْ أَخَذْتَ الْخَمْرَ غَوَتْ أُمَّتُكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Prophet (ﷺ) said: "When I was taken on the Night of Isra I met Musa." He described him saying: "He was a man who was" and I think he said: "A thin man, whose hair was as if he was a man from Shanu'ah." He said: "I met 'Eisa" he described him saying: "Of average build, with a red face, as if he had just come out of the Dimas" meaning the bath-house. "And I saw Ibrahim" he said: "I am the one among his offspring that most resembles him" and he said: "I was brought two vessels, one of them containing milk and the other containing wine. I was told: 'Take whichever one of them you wish.' So I took the milk to drink from it. It was said to me: 'You were guided to the Fitrah' or: 'You chose the Fitrah, if you had take the wine your Ummah would have strayed.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩১. ইসহাক ইবন মানসূর (রহঃ) ...... আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। মি’রাজের রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে জিন পরিয়ে লাগাম লাগিয়ে বুরাক আনা হল কিন্তু সে হঠকারিতা করল। তখন জিবরীল (আঃ) বললেনঃ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাপারেও তুমি এরূপ করছ? আল্লাহর কাছে তাঁর চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কেউ তোমার উপর কখনও আরোহণ করেনি। লজ্জায় বুরাকটি ঘর্মাক্ত হয় উঠল।
এ হাদীসটি হাসান-গারীব। আবদুর রাজ্জাক (রহঃ) এর রিওয়ায়ত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৩১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِالْبُرَاقِ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ مُلْجَمًا مُسْرَجًا فَاسْتَصْعَبَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ أَبِمُحَمَّدٍ تَفْعَلُ هَذَا فَمَا رَكِبَكَ أَحَدٌ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْهُ قَالَ " فَارْفَضَّ عَرَقًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ .
Narrated Anas:
that Al-Buraq was brought to the Prophet (ﷺ) on the Night of Isra, saddled and reined, but he shied from him. So Jibra'il said to him: "is it from Muhammad that you do this? By your Lord! There is no one more honorable to your Lord than him." He said: "Then he started sweating profusely."
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩২. ইয়াকূব ইবন ইবরাহীম দাওরাকী (রহঃ) ... বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা যখন বায়তুল মুকাদ্দাস পৌঁছলাম জিবরীল তাঁর আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে একটি পাথর ছিদ্র করলেন এবং তাতে বুরাকটি বাঁধলেন।
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি গারীব।
সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৩২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ جُنَادَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَالَ جِبْرِيلُ بِإِصْبَعِهِ فَخَرَقَ بِهِ الْحَجَرَ وَشَدَّ بِهِ الْبُرَاقَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Narrated Ibn Buraidah:
from his father that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "When we reached Bait Al-Maqdis, Jibra'il pointed with his finger causing a crack in the rock, and he tied Al-Buraq to it."
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৩. কুতায়বা (রহঃ) ..... জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরায়শরা যখন (মি’রাজের বিষয়ে) আমাকে মিথ্যাবাদী বলল তখন আমি হাতীমের মধ্যে দাঁড়ালাম তখন আল্লাহ্ তা’আলা আমার জন্য বায়তুল মুকাদ্দাস উদ্ভাসিত করে দিলেন। আমি এর প্রতি তাকিয়ে তাকিয়ে তাদেরকে এর আলামতগুলো সম্পর্কে বিবরণ দিতে লাগলাম।
সহীহ, তাখরীজু ফিকহিস সিরাহ ১৪৫, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৩৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। এ বিষয়ে মালিক ইবন সা’সা’আ, আবূ সাঈদ, ইবন আব্বাস, আবূ যর এবং ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীসটি বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَمَّا كَذَّبَتْنِي قُرَيْشٌ قُمْتُ فِي الْحِجْرِ فَجَلاَ اللَّهُ لِي بَيْتَ الْمَقْدِسِ فَطَفِقْتُ أُخْبِرُهُمْ عَنْ آيَاتِهِ وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَيْهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ .
Narrated Jabir bin 'Abdullah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "When the Quraish belied me, I stood in the Hijr, and Allah displayed Bait Al-Maqdis to me, so I informed them of its features as I was looking at it."
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৪. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ...... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, (ومَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلاَّ فِتْنَةً لِلنَّاسِ) - আমি যে দৃশ্য তোমাকে দেখিয়েছি তা এবং কুরআনে উল্লিখিত অভিশপ্ত বৃক্ষটিও, কেবল মানুষের পরীক্ষার জন্য (১৭ঃ ৬০)। আয়াতটি সম্পর্কে বলেছেন যে, এ হল চাক্ষুষ দর্শন, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যে রাতে বায়তুল মুকাদ্দাস সফর করানো হয় সে রাতে দেখানো হয়েছিল। কুরআনে উল্লিখিত অভিশপ্ত বৃক্ষ সম্পর্কে তিনি বলেছেনঃ এটি হল (জাহান্নামের) যাক্কূম বৃক্ষ।
সহীহ, বুখারি ৪৭১০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৩৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ: ( ومَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلاَّ فِتْنَةً لِلنَّاسِ ) قَالَ هِيَ رُؤْيَا عَيْنٍ أُرِيَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ . قَالَ : (وَالشَّجَرَةَ الْمَلْعُونَةَ فِي الْقُرْآنِ ) هِيَ شَجَرَةُ الزَّقُّومِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Ibn 'Abbas commented on Allah, the Most High, saying:
And We made not the vision which We showed but a trial for mankind (17:60). He said: "It is the vision he saw with his eyes, on the night the Prophet (ﷺ) was taken on the journey to Bait Al-Maqdis. And the accursed tree in the Qur'an (17:60). He said: "It is the Zaqqum tree."
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৫. উবায়দ ইবন আসবাত ইবন মুহাম্মাদ কুরাশী কূফী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا) - এবং কায়েম করবে ফজরের সালাত (নামায), ফজরের সালাত (নামায) পরিলক্ষিত হয় বিশেষভাবে (১৭ঃ ৭৮)। প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রাতের ফিরিশতা এবং দিনের ফিরিশতা এ সময়ে উপস্থিত হন।
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আলী ইবন মুসহির (রহঃ) এটি আ’মাশ-আবূ সালিহ ... আবূ হুরায়রা ও আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে রিওয়ায়ত করেছেন। আলী ইবন হুজর (রহঃ) আলী ইবন মুসহির ... আ’মাশ (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৩৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ أَسْبَاطِ بْنِ مُحَمَّدٍ، - قُرَشِيٌّ كُوفِيٌّ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ : ( وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا ) قَالَ " تَشْهَدُهُ مَلاَئِكَةُ اللَّيْلِ وَمَلاَئِكَةُ النَّهَارِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
وَرَوَى عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي، سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
Narrated Abu Hurairah:
regarding Allah, Most High, saying: "And recite the Qur'an in the early dawn. Verily the recitation of the Qur'an in the early dawn is ever witnessed (17:78)." The Prophet (ﷺ) said: "It is witnessed by the angels of the night and the angels of the day."
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৬. আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ) - স্মরণ কর, সে দিনকে যখন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের নেতা সহ আহবান করব (১৭ঃ ৭১) প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এদের একজনকে ডাকা হবে এবং তার আমলনামা তার ডান হাতে দেওয়া হবে। তার দেহ ষাট হাত প্রশস্ত করা হবে। উজ্জ্বল করা হবে চেহারা আর তার মাথায় মোতির তাজ পরানো হবে। জ্বলজ্বল করতে থাকবে এর মোতিগুলো। অনন্তর সে তার সঙ্গীদের কাছে ফিরে চলবে। দূর হতে তারা তাকে দেখতে পাবে। তারা বলবে, ইয়া আল্লাহ্! আমাদেরও তা দান করুন এবং আমাদের জন্য তা বরকতময় করুন। শেষে ঐ লোকটি তাদের কাছে আসবে এবং তাদেরকে বলবেঃ তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর, তোমাদের প্রত্যেকের জন্য অনুরূপ পুরষ্কার রয়েছে।
পক্ষান্তরে কাফিরের চেহারা কালো করে দেওয়া হবে। আদম (আঃ)-এর সূরাতে তার শরীর ষাট হাত দীর্ঘ করে দেওয়া হবে। তাকে (অবমাননার) তাজ পরানো হবে। তার সঙ্গীরা তাকে দেখে বলবেঃ এর অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছেই আমরা পানাহ চাই। ইয়া আল্লাহ্! একে আমাদের কাছে আসতে দিবেন না।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ঐ লোকটি তাদের কাছে আসবে। তখন তারা বলবে, ইয়া আল্লাহ্! তুমি একে সরিয়ে দাও। সে বলবেঃ আল্লাহ্ তোমাদের দূরে রাখুন। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য অনুরূপ বস্ত রয়েছে।
হাদীসটি হাসান-গারীব। সুদ্দী (রহঃ) এর নাম হল ইসমাঈল ইবন আবদুর রহমান।
যঈফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৩৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِ اللَّهِ : ( يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ ) قَالَ " يُدْعَى أَحَدُهُمْ فَيُعْطَى كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ وَيُمَدُّ لَهُ فِي جِسْمِهِ سِتُّونَ ذِرَاعًا وَيُبَيَّضُ وَجْهُهُ وَيُجْعَلُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجٌ مِنْ لُؤْلُؤٍ يَتَلأْلأُ فَيَنْطَلِقُ إِلَى أَصْحَابِهِ فَيَرَوْنَهُ مِنْ بَعِيدٍ فَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ ائْتِنَا بِهَذَا وَبَارِكْ لَنَا فِي هَذَا حَتَّى يَأْتِيَهُمْ فَيَقُولُ أَبْشِرُوا لِكُلِّ رَجُلٍ مِنْكُمْ مِثْلُ هَذَا . قَالَ وَأَمَّا الْكَافِرُ فَيُسَوَّدُ وَجْهُهُ وَيُمَدُّ لَهُ فِي جِسْمِهِ سِتُّونَ ذِرَاعًا عَلَى صُورَةِ آدَمَ فَيُلْبَسُ تَاجًا فَيَرَاهُ أَصْحَابُهُ فَيَقُولُونَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّ هَذَا اللَّهُمَّ لاَ تَأْتِنَا بِهَذَا . قَالَ فَيَأْتِيهِمْ فَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ اخْزِهِ . فَيَقُولُ أَبْعَدَكُمُ اللَّهُ فَإِنَّ لِكُلِّ رَجُلٍ مِنْكُمْ مِثْلَ هَذَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَالسُّدِّيُّ اسْمُهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ .
Narrated Abu Hurairah:
that regarding the saying of Allah, Most High: "The Day when We shall call together all human beings with their (respective) Imam (17:71)" the Prophet (ﷺ) said: "One of you will be called out to be given his record in his right hand, he will be grown in his body to sixty forearm-lengths, his face will be whitened, and a crown of sparkling pearls will be placed upon his head. So he will go to his companions, who can see him from afar, and they will say: 'O Allah! Bring this one to us, and let us be blessed by him.' Until he reaches them, and says to them: 'Receive the good news! For each man among you shall be the likes of this.'" [He (ﷺ) said:] "As for the disbeliever, then his face shall be blackened, he will be grown in his body to sixty forearm-lengths in the image of Adam, he will given a crown, and his companions will see him and say: 'We seek refuge in Allah from the evil of this one. O Allah! Do not bring this one to us.'" He said: "So when he reaches them, they say: 'O Allah! Take him away' so they will be told: 'May Allah cast you away! Indeed for each man among you is the likes of this.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৭. আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বাণীঃ (عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا) - ’’আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে ... (১৭ঃ ৭৯) এর ব্যাখ্যায় অথবা এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এ হল শাফাআত।
সহীহ, সহীহাহ ২৬৩৯, ২৩৭০, আয যিলাল ৭৮৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৩৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি হাসান। দাঊদ যাগাফিরী (রহঃ) হলেন দাঊদ আওদী। ইনি হলেন আবদুল্লাহ্ ইবন ইদরীসের চাচা।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ يَزِيدَ الزَّعَافِرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ : ( عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا ) سُئِلَ عَنْهَا قَالَ " هِيَ الشَّفَاعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَدَاوُدُ الزَّعَافِرِيُّ هُوَ دَاوُدُ الأَوْدِيُّ ابْنُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهُوَ عَمُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ .
Narrated Abu Hurairah:
regarding Allah's saying: "It may be that your Lord will raise you to a praised station (17:79)" that the Messenger of Allah (ﷺ) was asked about it and he said: "It is the intercession."
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৮. ইবন আবূ উমর (রহঃ) .... ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের সময় মক্কায় প্রবেশ করেন। তখন কাবা শরীফের আশেপাশে তিনশত ষাটটি মূর্তি ছিল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাতের লাঠি দিয়ে এক একটিকে খোঁচা দিতে লাগলেন আর বলতে থাকলেনঃ
(جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيدُ) *** (جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا)
সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ারই (১৭ঃ ৮১)। সত্য এসেছে এবং অসত্য না পারে নতুন কিছু সৃজন করতে, না পারে পুনরাবৃত্তি করতে (৩৪ঃ ৪৯)।
সহীহ, বুখারি ৪৭২০, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৩৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। এ বিষয়ে ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ وَحَوْلَ الْكَعْبَةِ ثَلاَثُمِائَةٍ وَسِتُّونَ نُصُبًا فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَطْعَنُهَا بِمِخْصَرَةٍ فِي يَدِهِ وَرُبَّمَا قَالَ بِعُودٍ وَيَقُولُ : (جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا) : (جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيدُ) . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَفِيهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ .
Narrated Ibn Mas'ud:
"The Messenger of Allah (ﷺ) entered Makkah during the year of the Conquest, and there were three hundred and sixty Nusb (Altars to sacrifice to idols) around the Ka'bah. So the Prophet (ﷺ) started hitting them with a stick he had in his hand" - or perhaps he said: "With a piece of wood, and he was saying: The truth has come and falsehood has vanished. Surely falsehood is ever bound to vanish (17:81). The truth has come and falsehood can neither originate anything nor resurrect (anything) (34:49)."
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৯. আহমদ ইবন মানী’ (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মক্কায় তারপর তাঁকে হিজরতের হুকুম দেওয়া হয় তাঁর উপর তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ
قُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا
আর বল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রবেশ করাও কল্যাণের সাথে এবং আমাকে নিষ্ক্রান্তকরাও কল্যাণের সাথে এবং তোমার নিকট হতে আমাকে দান কর সাহায্যকারী শক্তি (১৭ : ৮০)।
এ হাদীসটি হাসান- সহীহ।
যঈফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ قَابُوسِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ ثُمَّ أُمِرَ بِالْهِجْرَةِ فَنَزَلَتْ عَلَيْهِ : ( قُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Ibn 'Abbas:
"The Prophet (ﷺ) was in Makkah, then Hijrah was ordered, so the following was revealed to him: Say: 'My Lord! Let my entry be good, and likewise my exit be good. And grant me from You a helping authority (17:80).'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪০. কুতায়বা (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরায়শরা ইয়াহূদীদের বলল, আমাদের কিছু দাও যাতে আমরা এ ব্যক্তিটিকে প্রশ্ন করতে পারি।। ইয়াহুদীটি বললঃ তোমরা তাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কর। তারপর তারা তাঁকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তখন আল্লাহ্ তা’আলা অবর্তীর্ণ করেনঃ
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً
তোমাকে এরা রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। রূহ আমার প্রতিপালকের আদেশ ঘটিত। আর তোমাদের দেওয়া হয়েছে সামান্য জ্ঞানই (১৭ঃ ৮৫)। ইয়াহুদীরা বললঃ আমাদের বিপুল ইলম দান করা হয়েছে। আমাদের দেওয়া হয়েছে তাওরাত। আর যাকে তওরাত দান করা হয়েছে তাকে প্রচুর কল্যাণ দান করা হয়েছে। তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ
قُلْ لَوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ
বল, আমার প্রতিপালকের কথা লিপিবদ্ধ করার জন্য সাগর যদি কালি হয়, তবে সাগর নি:শেষ হয়ে যাবে (১৮ঃ ১০৯)।
সহীহ, আততা’লীকাত আল-হাসসান ৯৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৪০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। এ সূত্রে গারীব।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ قُرَيْشٌ لِيَهُودَ اعْطُونَا شَيْئًا نَسْأَلُ عَنْهُ هَذَا الرَّجُلَ فَقَالَ سَلُوهُ عَنِ الرُّوحِ قَالَ فَسَأَلُوهُ عَنِ الرُّوحِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : ( يَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً ) قَالُوا أُوتِينَا عِلْمًا كَثِيرًا التَّوْرَاةُ وَمَنْ أُوتِيَ التَّوْرَاةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا فَأُنْزِلَتْْ: ( قُلْ لَوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Narrated Ibn 'Abbas:
"The Quraish said to the Jews: 'Give us something that we can ask this man about.' So he said: 'Ask him about the Ruh.' So they asked him about the Ruh. So Allah Most High, revealed: They ask you concerning the Ruh. Say: The Ruh is one of the things, the knowledge of which is only with my Lord. And of knowledge, you have been given only a little (17:85). They replied: 'We have been given immense knowledge, we were given the Tawrah, and whoever has been given the Tawrah, then he has indeed been given a wealth of knowledge.' So the following was revealed: Say: 'If the sea were ink for the Words of my Lord, surely the sea would be exhausted (before the Words of my Lord would be finished.) (18:109)'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪১. আলী ইবন খাশরাম (রহঃ) ....... আবদুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মদীনার শস্যভূমি দিয়ে হাঁটছিলাম। তিনি একটি খেজুর ডালে ভর দিয়ে চলছিলেন। এমন সময় ইয়াহুদীদের একটি দলের পাশ দিয়ে তিনি পথ অতিক্রম করছিলেন। এদের একজন (তার সঙ্গীদের) বললঃ একে যদি তোমরা একটি প্রশ্ন করতে, অন্য একজন বললঃ তাকে কোন প্রশ্ন করতে যেয়ো না। তা হলে তিনি তোমাদের এমন কথা শুনিয়ে দিতে পারেন যা তোমাদের পছন্দের নয়।
যা হোক, তারা বললঃ হে আবুল কাসিম, রূহ সম্পর্কে আমাদের কিছু বিবরণ দিন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন এবং তাঁর মাথা আকাশের দিকে তুললেন। আমি বুঝতে পারলাম যে, তাঁর উপর ওহী নাযিল হচ্ছে। ওহী গ্রহণ শেষ হলে তিনি বললেনঃ
الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً
রূহ আমার প্রতিপালকের আদেশ ঘটিত, আর তোমাদের সামান্য জ্ঞানই দেওয়া হয়েছে।
সহীহ, বুখারি ৪৭২১, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৪১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنْتُ أَمْشِي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي حَرْثٍ بِالْمَدِينَةِ وَهُوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى عَسِيبٍ فَمَرَّ بِنَفَرٍ مِنَ الْيَهُودِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لَوْ سَأَلْتُمُوهُ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ تَسْأَلُوهُ فَإِنَّهُ يُسْمِعُكُمْ مَا تَكْرَهُونَ . فَقَالُوا لَهُ يَا أَبَا الْقَاسِمِ حَدِّثْنَا عَنِ الرُّوحِ . فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَاعَةً وَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ يُوحَى إِلَيْهِ حَتَّى صَعِدَ الْوَحْىُ ثُمَّ قَالَ : (الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Abdullah:
"I took a walk with the Prophet (ﷺ) on a farm in Al-Madinah, and when he reclined upon a palm-leaf stalk, a group of Jews were passing by. Some of them said, 'We should question him.' Others said: 'Do not question him for he might tell you something that you do not like.' They said to him: 'O Abul-Qasim, narrated to us about the Ruh.' The Prophet (ﷺ) stood for some time, he raised his head toward the heavens, and I recognized revelation was coming to him, until the revelation ceased. Then he (ﷺ) said: "The Ruh is one of the things, the knowledge of which is only with my Lord. And of knowledge, you have been given only a little (17:85).'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪২. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন লোকদের তিন ভাগে হাশর করা হবে। একদল পায়ে হেঁটে, আরেক দল আরোহী হয়ে, আরেক দল তাদের চেহারার উপর উল্টো হয়ে হাশরে উঠবে। জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! চেহারার উপর তারা হাঁটবে কি করে? তিনি বললেনঃ যিনি তোমাদের পায়ের উপর হাটাতে পারেন তিনি চেহারার উপর তাদের হাঁটাতে ক্ষমতা রাখেন। শোন এরা (কাফিররা) তাদের চেহারা দিয়েই উঁচু ঢিলা ও কাঁটাবন থেকে নিজেদের বাঁচাতে চেষ্টা করবে।
যঈফ, মিশকাত, তাহকিক ছানী ৫৫৪৬, তা’লীকুর রাগীব ৪/১৯৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৪২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি হাসান। উহায়ব (রহঃ) ইবন তাঊস তার পিতা তাঊস ... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ কিছূ বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثَلاَثَةَ أَصْنَافٍ صِنْفًا مُشَاةً وَصِنْفًا رُكْبَانًا وَصِنْفًا عَلَى وُجُوهِهِمْ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَمْشُونَ عَلَى وُجُوهِهِمْ قَالَ " إِنَّ الَّذِي أَمْشَاهُمْ عَلَى أَقْدَامِهِمْ قَادِرٌ عَلَى أَنْ يُمْشِيَهُمْ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَمَا إِنَّهُمْ يَتَّقُونَ بِوُجُوهِهِمْ كُلَّ حَدَبٍ وَشَوْكٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى وُهَيْبٌ عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا مِنْ هَذَا .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "People will be gathered in three classes on the Day of Resurrection: A class walking, a class riding, and a class upon their faces." It was said: "O Messenger of Allah! How will they walk upon their faces?" He said: "Indeed the One Who made them walk upon their feet, is able to make them walk upon their faces. Verily they will try to protect their faces from every bump and thorn."
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৩. আহমদ ইবন মানী’ (রহঃ) .... বাহয ইবন হাকীম তার পিতা তার পিতামহ থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের হাশর করা হবে পদাতিক ও আরোহী রূপে এবং তোমাদের চেহারার উপর টেনে-হেঁচড়ে নেওয়া হবে (কতককে)।
হাসান, তা’লীকুর রাগীব, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৪৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ رِجَالاً وَرُكْبَانًا وَيُجَرُّونَ عَلَى وُجُوهِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
Narrated Bahz bin Hakim:
from his father, from his grandfather [who said:] "The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Indeed you shall be gathered walking, riding, and being dragged upon your faces.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৪. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ..... সাফওয়ান ইবন আসসাল মূরাদী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, একবার দুই ইয়াহূদীর একজন আরেকজনকে বললঃ এই নবীর কাছে আমাদের নিয়ে চল আমরা তাঁকে কিছু প্রশ্ন করি। অপরজন বললঃ তাকে নবী বলবে না। কারণ, যদি শুনতে পায় যে তাকে তুমি নবী বলছ তাহলে আনন্দে আটখানা হয়ে যাবে। এরা উভয়েই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসল এবং তারা আল্লাহর বাণীঃ (وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ) - আমি মূসাকে নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছিলাম (১৭ঃ ১০১) সম্পর্কে প্রশ্ন করল।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে কিছুর শরীক করবে না, যিনা করবে না, আল্লাহ্ যে প্রাণ বধ হারাম করেছেন শরীয়ত সম্মত অধিকার ছাড়া তাকে হত্যা করবে না, চুরি করবে না, যাদু-টোনা করবে না, কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে দোষ চাপিয়ে ক্ষমতাধিকারীর কাছে নিয়ে তাকে হত্যা করাবে না, সুদ খাবে না, কোন নির্দোষ ব্যাক্তিকে দোষ চাপিয়ে ক্ষমতাধিকারীর কাছে নিয়ে তাকে হত্যা করাবে না, সুদ খাবে না, সাধ্বী মহিলাকে অপবাদ দিবে না, যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করবে না। বিশেষ করে হে ইয়াহূদী সম্প্রদায়! তোমাদের জন্য কথা হল তোমরা শনিবারের বিষয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। তারপর এরা উভয়েই তাঁর হাতে ও পায়ে চুমু খেয়ে বললঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নবী। তারা বললঃ দাঊদ (আঃ) আল্লাহর কাছে দু’আ করেছিলেন যে, তাঁর বংশেই যেন সব সময় নবীর আগমন হয় আমাদের আশংকা হয় আমরা যদি ইসলাম গ্রহণ করি তবে ইয়াহূদীরা আমাদের মেরে ফেলবে।
যঈফ, ইবনু মাজাহ ৩৭০৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৪৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَأَبُو الْوَلِيدِ، وَاللَّفْظُ، لَفْظُ يَزِيدَ وَالْمَعْنَى وَاحِدٌ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ الْمُرَادِيِّ، أَنَّ يَهُودِيَّيْنِ، قَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ اذْهَبْ بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ نَسْأَلُهُ فَقَالَ لاَ تَقُلْ لَهُ نَبِيٌّ فَإِنَّهُ إِنْ سَمِعَنَا نَقُولُ نَبِيٌّ كَانَتْ لَهُ أَرْبَعَةُ أَعْيُنٍ فَأَتَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلاَهُ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ : ( وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ ) فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَزْنُوا وَلاَ تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَسْحَرُوا وَلاَ تَمْشُوا بِبَرِيءٍ إِلَى سُلْطَانٍ فَيَقْتُلَهُ وَلاَ تَأْكُلُوا الرِّبَا وَلاَ تَقْذِفُوا مُحْصَنَةً وَلاَ تَفِرُّوا مِنَ الزَّحْفِ شَكَّ شُعْبَةُ وَعَلَيْكُمُ الْيَهُودَ خَاصَّةً أَنْ لاَ تَعْدُوا فِي السَّبْتِ " . فَقَبَّلاَ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ وَقَالاَ نَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيٌّ . قَالَ " فَمَا يَمْنَعُكُمَا أَنْ تُسْلِمَا " . قَالاَ إِنَّ دَاوُدَ دَعَا اللَّهَ أَنْ لاَ يَزَالَ فِي ذُرِّيَّتِهِ نَبِيٌّ وَإِنَّا نَخَافُ إِنْ أَسْلَمْنَا أَنْ تَقْتُلَنَا الْيَهُودُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Safwan bin 'Assal Al-Muradi:
"A Jew said to his companion: 'Accompany us to this Prophet.' So his companion said: 'Do not say: "Prophet," for if he hears you calling him a Prophet then he will be happy.' So they went to the Prophet (ﷺ) to question him about Allah, the Most High, saying: And indeed we gave Musa nine clear signs (17:101). So the Messenger of Allah (ﷺ) said to them: 'Do not associate anything with Allah, nor commit unlawful intercourse, nor take a life which Allah has made prohibited, except for what is required (in the law), nor steal, nor practice magic, nor hasten to damage the reputation of an innocent person in front of a ruler, so that he will be killed, nor consume Riba, nor falsely accuse the chaste woman, nor turn to flee on the day of the march (i.e. flee from war).' - Shu'bah was in doubt - 'and for you Jews particularly, to not violate the Sabbath.'" He said: "So they kissed his hands and his feet and they said: 'We bear witness that you are a Prophet.' So he said: 'Then what prevents you from accepting Islam?' They said: 'Because Dawud supplicated to his Lord, that his offspring never be devoid of Prophets, and we feared that if we follow you then the Jews will kill us.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৫. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ...... সাঈদ ইবন জুবায়র রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। অন্য সনদে আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ) - সালাতে স্বর উচ্চ করবে না এবং অতিশয় ক্ষীণও করবে না (১৭ঃ ১১০)। তিনি আয়াতটি প্রসঙ্গে বলেন, এটি মক্কায় নাযিল হয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি উচ্চঃস্বরে তিলাওয়াত করতেন তবে মুশরিকরা স্বয়ং কুরআন এবং কুরআন যিনি নাযিল করেছেন আর যিনি নিয়ে এসেছেন সকলকে গালি-গালাজ করত।
তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ ’সালাতে স্বর উচ্চ করবে না।’ তা করলে এরা কুরআন এবং তা যিনি নাযিল করেছেন এবং যিনি নিয়ে এসেছেন সকলকে গালি দিবে। এদিকে ’আপনার সঙ্গীদের থেকে আওয়াজ অতিশয় ক্ষীনও করবেন না।’ বরং তাদেরকে আপনি শুনাবেন যেন তারা আপনার নিকট থেকে কুরআন গ্রহণ করতে পারে।
সহীহ, বুখারি ৪৭২২, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৪৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَلَمْ يَذْكُرْ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَهُشَيْمٍ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ : (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ ) قَالَ نَزَلَتْ بِمَكَّةَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ سَبَّهُ الْمُشْرِكُونَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ ) فَيَسُبُّوا الْقُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ : (وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا ) عَنْ أَصْحَابِكَ بِأَنْ تُسْمِعَهُمْ حَتَّى يَأْخُذُوا عَنْكَ الْقُرْآنَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Sa'eed bin Jubair:
from Ibn 'Abbas, regarding: 'And offer your Salat neither aloud nor in a low voice (17:110)." He said: "It was revealed in Makkah. When the Messenger of Allah (ﷺ) would raise his voice with the Qur'an, the idolaters would insult him, the One Who revealed it, and the one who came with it. So Allah revealed: And offer your Salat neither aloud so that they would not insult the Qur'an and the One who revealed it, and the one who came with it, nor in a low voice (too low) such that you can let your Companions hear it, and learn it from you."
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৬. আহমদ ইবন মানী’ (রহঃ) ..... সাঈদ ইবন জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত যেঃ (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً) - সালাতে স্বর উচ্চ করবে না এবং অতিশয় ক্ষীণও করবে না বরং এ দুয়ের মধ্যপথে অবলম্বন করবে (১৭ঃ ১১০)। আয়াতটি প্রসঙ্গে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেনঃ এ আয়াতটি যখন নাযিল হয় সে সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় লুক্কায়িত ছিলেনঃ তিনি সাহাবীদের নিয়ে যখন সালাত (নামায) আদায় করতেন তখন উচ্চঃস্বরে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। মুশরিকরা তা শুনতে পেলে কুরআন এবং যিনি তা নাযিল করেছেন ও যিনি তা নিয়ে এসেছেন সকলকে গালমন্দ করত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর নবীকে বললেনঃ আপনার সালাত (নামায) অর্থাৎ কিরাআত উচ্চ স্বরে করবে না। তা করলে মুশরিকরা শুনতে পাবে এবং কুরআনকে গাল-মন্দ করবে। আর তা আপনার সঙ্গীদের থেকে অতিশয় ক্ষীণও করবেন না এবং দুয়ের মধ্যপথ অবলম্বন করবেন।
সহীহ, বুখারি ৪৭২২, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৪৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ : (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً ) قَالَ نَزَلَتْ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُخْتَفٍ بِمَكَّةَ وَكَانَ إِذَا صَلَّى بِأَصْحَابِهِ رَفَعَ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ فَكَانَ الْمُشْرِكُونَ إِذَا سَمِعُوهُ شَتَمُوا الْقُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَقَالَ اللَّهُ لِنَبِيِّهِ : (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ ) أَىْ بِقِرَاءَتِكَ فَيَسْمَعَ الْمُشْرِكُونَ فَيَسُبُّوا الْقُرْآنَ : (وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا ) عَنْ أَصْحَابِكَ : ( وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً ) . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Sa'eed bin Jubair:
from Ibn 'Abbas regarding Allah's saying: "And offer your Salat neither aloud nor in a low voice but follow a way between." He said: "It was revealed when the Messenger of Allah (ﷺ) was hiding himself in Makkah, and when he led his Companions in Salat, he would raise his voice with the Qur'an. So when the idolaters heard it they would insult the Qur'an, the One Who revealed it, and the one who came with it. So Allah, Most High, said to His Prophet: 'And offer your Salat neither aloud' that is: Your recitation, so that the idolaters would not hear it and insult the Qur'an. 'Nor in a low voice (too low)' for your Companions, 'but follow a way between.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৭. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ..... যির ইবন হুরায়শ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হুযায়ফা ইবন ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে জিজ্ঞাসা করলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বায়তুল মুকাদ্দাসে সালাত (নামায) আদায় করেছেন?
তিনি বললেনঃ না।
আমি বললামঃ অবশ্যই তা আদায় করেছেন।
তিনি বললেনঃ হে টেকো, তুমি এ কথা বলছ? এবং তুমি কেন তা বলছ?
আমি বললামঃ কুরআন থেকে বলছি। আমার ও আপনার মাঝে কুরআন ফায়সালা করবে।
হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ কুরআন থেকে যে ব্যক্তি দলীল পেশ করে সে সফলকাম।
সুফইয়ান (রহঃ) বলেন, তিনি বলেছেন, সে সঠিক দলীল পেশ করেছে। আর অনেক সময় তিনি বলেছেন, সে সফলকাম হয়েছে।
যিরর ইবন হুবায়শ (রহঃ) বললেনঃ (سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى) - পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তার বান্দাকে রাতে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় (১৭ঃ ১)।
হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ তোমার কি মনে হয়, যে তিনি সেখানে সালাত (নামায) আদায় করেছেন?
আমি বললামঃ না।
তিনি বললেনঃ যদি সেখানে তিনি সালাত (নামায) আদায় করতেন তবে তোমাদের জন্য সেখানে সালাত (নামায) আদায় করা জরুরী হয়ে যেত যেমন মসজিদুল হারাম কা’বায় সালাত (নামায) আদায় করা জরুরী।
হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু আরো বললেনঃ রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এরূপ (হাত দিয়ে ইশারা করে দেখালেন) সুপ্রশস্ত দীর্ঘ পিঠ বিশিষ্ট একটা জন্তু আনা হল। চোখের দৃষ্টি দূরত্ব পরিমাণ ছিল তার এক একটি পদক্ষেপ। তারা বুরাকের পিঠে আরোহণ করে জান্নাত, জাহান্নাম এবং আখিরাতে ওয়াদাকৃত সবকিছু পরিদর্শণ করলেন, পরে তারা উভয়েই ফিরে আসলেন। যাত্রা শুরু মাত্রই ছিল তাদের এই প্রত্যাবর্তন। (অর্থাৎ বেশী সময় এতে লাগেনি যেন শুরু হতেই তা শেষ হয়ে গিয়েছিল)।
তিনি আরো বলেন, লোকেরা বর্ণনা করে যে, তিনি এটি বেঁধে রেখেছিলেন। কেন বাঁধবেন! পালিয়ে যাবে বলে কি? গোপন ও প্রকাশ্য সবকিছু সম্পর্কে যিনি জানেন সেই মহাসত্যই এটিকে তাঁর জন্য বাধ্যগত করে দিয়েছিলেন।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
হাসান, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৪৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ قُلْتُ لِحُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ أَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَالَ لاَ . قُلْتُ بَلَى . قَالَ أَنْتَ تَقُولُ ذَاكَ يَا أَصْلَعُ بِمَا تَقُولُ ذَلِكَ قُلْتُ بِالْقُرْآنِ بَيْنِي وَبَيْنَكَ الْقُرْآنُ . فَقَالَ حُذَيْفَةُ مَنِ احْتَجَّ بِالْقُرْآنِ فَقَدْ أَفْلَحَ قَالَ سُفْيَانُ يَقُولُ فَقَدِ احْتَجَّ . وَرُبَّمَا قَالَ قَدْ فَلَجَ فَقَالَ : (سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى ) قَالَ أَفَتَرَاهُ صَلَّى فِيهِ قُلْتُ لاَ . قَالَ لَوْ صَلَّى فِيهِ لَكُتِبَ عَلَيْكُمْ فِيهِ الصَّلاَةُ كَمَا كُتِبَتِ الصَّلاَةُ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ قَالَ حُذَيْفَةُ قَدْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِدَابَّةٍ طَوِيلَةِ الظَّهْرِ مَمْدُودَةٍ هَكَذَا خَطْوُهُ مَدُّ بَصَرِهِ فَمَا زَايَلاَ ظَهْرَ الْبُرَاقِ حَتَّى رَأَيَا الْجَنَّةَ وَالنَّارَ وَوَعْدَ الآخِرَةِ أَجْمَعَ ثُمَّ رَجَعَا عَوْدَهُمَا عَلَى بَدْئِهِمَا قَالَ وَيَتَحَدَّثُونَ أَنَّهُ رَبَطَهُ لِمَ أَيَفِرُّ مِنْهُ وَإِنَّمَا سَخَّرَهُ لَهُ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Zirr bin Hubaish:
"I said to Hudhaifah bin Al-Yaman: 'Did the Messenger of Allah (ﷺ) perform Salat in Bait Al-Maqdis?' He said: 'No.' I said: 'But he did.' He said: 'You say that, O bald one! Based upon what do you say that?' I said: 'Based upon the Qur'an, (the Judge) between you and I is the Qur'an.' So Hudhaifah said: 'Whoever argues using the Qur'an, then he has indeed succeeded.'" (One of the narrators) Sufyan said: "He means: 'He has indeed proven'" - and perhaps he (Sufyan) said: "He triumphed." He (Zirr) said: "Glorified is He Who took His slave for a journey by night from Al-Masjid Al-Haram to Al-Masjid Al-Aqsa (17:1).' He (Hudhaifah) said: 'Do you see (this proves that) he (ﷺ) performed Salat in it?' I said: 'No.' He said: 'If he had performed Salat in it, then it would have been required upon you that you perform Salat in it, just as it is required that you perform Salat in Al-Masjid Al-Haram.' Hudhaifah said: 'The Messenger of Allah (ﷺ) was brought a beast with a long back - stretching out like this - one stride of it, is as far as his vision. So, the two of them remained upon the back of Al-Buraq until they saw Paradise and the Fire, and all of what has been prepared for the Hereafter, then they returned back to where they began.' He said: 'They say that he was fettered, but for what? Because he might flee? The Knower of the unseen and the witness subdued him.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৮. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আমিই হব বনী আদমের সরদার। এতে কোন অহংকার নেই; আমার হাতেই থাকবে হামদের পতাকা, এতে কোন অহংকার নেই; আদম এবং অন্যান্য সকল নবীই ঐ দিন আমার পতাকার নিচে থাকবেন। আমিই প্রথম ব্যক্তি যিনি মাটি বিদীর্ণ করে উঠবে, এতে কোন অহংকার নেই।
ঐ দিন মানুষ তিনবার ভীষন ভীতিকর অবস্থায় পড়বে। তারা আদম (আঃ)-এর কাছে আসবে আর বলবেঃ আপনি আমাদের আদি পিতা আদম, আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রতিপালকের নিকট সুপারিশ করুন। তিনি বলবেনঃ আমি তো একটা ভূল করেছিলাম, যদ্দরুন আমাকে পৃথিবীতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বরং তোমরা নূহ (আঃ)-এর কাছে যাও। তারা নূহ (আঃ)-এর কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি তো পৃথিবীতে একটি দু’আ করেছিলাম। এতে তারা ধ্বংস হয়েছে। তোমরা বরং ইবরাহীম (আঃ)-এর কাছে যাও। তারা ইবরাহীম (আঃ)-এর কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি তো তিনটি অসত্য কথা বলেছিলাম।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মূলত এর একটিও মিথ্যা ছিল না। আসলে আল্লাহর দীনের পক্ষে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই তিনি তা করেছিলেন।
যা হোক, তিনি বলবেনঃ তোমরা বরং মূসা (আঃ)-এর কাছে যাও। তারা মূসা (আঃ)-এর কাছে আসবে।
তিনি বলবেনঃ আমি তো একজনকে হত্যা করে ফেলেছিলাম। তোমরা বরং ঈসা (আঃ)-এর কাছে যাও। তারা ঈসা (আঃ)-এর কাছে আসবে তিনি বলবেনঃ আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে উপসনা করা হয়েছে। তোমরা বরং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যাও। এরপর তারা আমার কাছে আসবে। আমি তাদের সঙ্গে চলব।
ইবন জুদআন (রহঃ) বলেন, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেনঃ আমি যেন এখনও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখছি। তিনি বলেন, এরপর আমি জান্নাতের দরওয়াজার আংটা ধরে তা খটখটাব। বলা হবে কে?
উত্তরে বলা হবেঃ মুহাম্মাদ।
আমার জন্য জান্নাতের দ্বার তারা (ফিরিশতারা) খুলে দিবেন এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে বলবেনঃ মারহাবা, এরপর আমি (রাব্বুল আলামীনের হুযুরে) সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। আল্লাহ্ তা’আলাই আমাকে হামদ ও ছানার ইলহাম করবেন। আমাকে বলা হবেঃ আপনার মাথা তুলুন। যাঞ্ছা করুন আপনাকে তা দেওয়া হবে। সুপারিশ করুন আপনার সুপারিশ গ্রহন করা হবে। আপনি বলুন আপনার কথা শোনা হবে।
এই হল মাকামে মাহমূদ যার কথা আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন, (عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا) আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে (১৭ঃ ৭৯)।
সুফইয়ান (রহঃ) বলেন, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে ই কেবল এই বাক্যটি ’’আমি জান্নাতের দরওয়াজার আংটা ধরে তা খটখটাব’’ বর্ণিত আছে।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ৪৩০৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান। কোন কোন রাবী এ হাদীসটি আবূ নাযরা ... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে দীর্ঘ বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَبِيَدِي لِوَاءُ الْحَمْدِ وَلاَ فَخْرَ وَمَا مِنْ نَبِيٍّ يَوْمَئِذٍ آدَمُ فَمَنْ سِوَاهُ إِلاَّ تَحْتَ لِوَائِي وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الأَرْضُ وَلاَ فَخْرَ قَالَ فَيَفْزَعُ النَّاسُ ثَلاَثَ فَزَعَاتٍ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ أَبُونَا آدَمُ فَاشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ . فَيَقُولُ إِنِّي أَذْنَبْتُ ذَنْبًا أُهْبِطْتُ مِنْهُ إِلَى الأَرْضِ وَلَكِنِ ائْتُوا نُوحًا . فَيَأْتُونَ نُوحًا فَيَقُولُ إِنِّي دَعَوْتُ عَلَى أَهْلِ الأَرْضِ دَعْوَةً فَأُهْلِكُوا وَلَكِنِ اذْهَبُوا إِلَى إِبْرَاهِيمَ . فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُ إِنِّي كَذَبْتُ ثَلاَثَ كَذَبَاتٍ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْهَا كَذْبَةٌ إِلاَّ مَاحَلَ بِهَا عَنْ دِينِ اللَّهِ وَلَكِنِ ائْتُوا مُوسَى . فَيَأْتُونَ مُوسَى فَيَقُولُ إِنِّي قَدْ قَتَلْتُ نَفْسًا وَلَكِنِ ائْتُوا عِيسَى . فَيَأْتُونَ عِيسَى فَيَقُولُ إِنِّي عُبِدْتُ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلَكِنِ ائْتُوا مُحَمَّدًا قَالَ فَيَأْتُونَنِي فَأَنْطَلِقُ مَعَهُمْ " . قَالَ ابْنُ جُدْعَانَ قَالَ أَنَسٌ فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فَآخُذُ بِحَلْقَةِ بَابِ الْجَنَّةِ فَأُقَعْقِعُهَا فَيُقَالُ مَنْ هَذَا فَيُقَالُ مُحَمَّدٌ . فَيَفْتَحُونَ لِي وَيُرَحِّبُونَ فَيَقُولُونَ مَرْحَبًا فَأَخِرُّ سَاجِدًا فَيُلْهِمُنِي اللَّهُ مِنَ الثَّنَاءِ وَالْحَمْدِ فَيُقَالُ لِي ارْفَعْ رَأْسَكَ سَلْ تُعْطَ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ وَقُلْ يُسْمَعْ لِقَوْلِكَ وَهُوَ الْمَقَامُ الْمَحْمُودُ الَّذِي قَالَ اللَّهُ : ( عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا ) " . قَالَ سُفْيَانُ لَيْسَ عَنْ أَنَسٍ إِلاَّ هَذِهِ الْكَلِمَةُ " فَآخُذُ بِحَلْقَةِ بَابِ الْجَنَّةِ فَأُقَعْقِعُهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ .
Narrated Abu Sa'eed Al-Khudri:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I am the chief of the children of Adam on the Day of Judgement and I am not boasting, and in my hand is the banner of praise and I am not boasting, and there has been no Prophet since Adam or other than him, except that he is under my banner. And I am the first for whom the earth will split open, and I am not boasting." He said: "The people will be frightened by three frights. So they will come to Adam saying: 'You are our father Adam, so intercede for us with your Lord.' So he says: 'I committed a sin for which I was expelled to the earth, so go to Nuh.' So they will come to Nuh and he will say: 'I supplicated against the people of the earth, so they were destroyed. So go to Ibrahim.' So they will go to Ibrahim, and he says: 'I lied three times.'" Then the Messenger of Allah (ﷺ) said: "He did not lie except defending Allah's religion." "So go to Musa.' So they will come to Musa, and he will say: 'I took a life. So go to 'Eisa. So they go to 'Eisa and he says: 'I was worshiped besides Allah. So go to Muhammad (ﷺ).'" He said: "So they will come to me, and I will go to them." (One of the narrators) Ibn Ju'dan said: "Anas said: 'It is as if I am looking at the Messenger of Allah (ﷺ), and he is saying: "So I will take hold of a ring of a gate of Paradise to rattle it, and it will be said: 'Who is there?' It will be said: 'Muhammad.' They will open it for me, and welcome me saying, 'Welcome.' I will fall prostrate and Allah will inspire me with statements of gratitude and praise and it will be said to me: 'Raise your head, ask and you shall be given, intercede, and your intercession shall be accepted, speak, and your saying shall be heard.' And that is Al-Maqam Al-Mahmud about which Allah said: It may be that your Lord will raise you to Maqaman-Mahmud (17:79)." Sufyan said: "None of it is from Anas except this sentence: 'I will take hold of a ring of a gate of Paradise to rattle it.'"