পরিচ্ছেদঃ ২০৮৬. উসমান ইবন আফফান আবু আমর কুরায়শী (রাঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা। নবী করীম (সাঃ) বলেন, রুমা কূপটি যে খনন করে দিবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা খনন করে দিলেন। নবী (সাঃ) আরো বলেন, যে সংকটপূর্ণ যুদ্ধে (তাবুক যুদ্ধে) যুদ্ধের সাজ-সারাঞ্জামের ব্যবস্থা করবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা করে দেন।
৩৪৩০। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি বাগানে প্রবেশ করলেন এবং বাগানের দরজা পাহারা দেওয়ার জন্য আমাকে আদেশ করলেন। তখন এক ব্যাক্তি এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে আসতে দাও এবং তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। আমি (দরজা খুলে) দেখলাম যে, তিনি আবূ বকর (রাঃ)।
তারপর আর একজন এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তিনি বললেন, তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সু-সংবাদ জানিয়ে দাও। (দরজা খুলে) দেখতে পেলেন, তিনি উমর (রাঃ)। তারপর আর একজন এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে পরে বললেন, তাঁকেও প্রবেশের অনুমতি দাও এবং অচিরেই তাঁর উপর বিপদ আসবে। একথাটির সাথে জান্নাতের সু-সংবাদ জানিয়ে দাও। (দরজা খুলে) দেখতে পেলাম যে, তিনি উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)।
হাম্মাদ (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। আসিম (রহঃ) (একজন রাবী) উক্ত বর্ণনায় আরো বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাগানের এমন এক জায়গায় বসা ছিলেন যেখানে পানি ছিল এবং তাঁর হাঁটু অথবা এক হাঁটুর উপর অতিরিক্ত ছিলনা। যখন উসমান (রাঃ) আসলেন তখন হাঁটু কাপড় দিয়ে ঢেকে ফেললেন।
باب مَنَاقِبُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِي عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ رضى الله عنه وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَحْفِرْ بِئْرَ رُومَةَ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَحَفَرَهَا عُثْمَانُ. وَقَالَ: «مَنْ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَجَهَّزَهُ عُثْمَانُ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي مُوسَى ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ حَائِطًا وَأَمَرَنِي بِحِفْظِ باب الْحَائِطِ، فَجَاءَ رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ، فَقَالَ " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". فَإِذَا أَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ جَاءَ آخَرُ يَسْتَأْذِنُ فَقَالَ " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". فَإِذَا عُمَرُ، ثُمَّ جَاءَ آخَرُ يَسْتَأْذِنُ، فَسَكَتَ هُنَيْهَةً ثُمَّ قَالَ " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ عَلَى بَلْوَى سَتُصِيبُهُ ". فَإِذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ. قَالَ حَمَّادٌ وَحَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، وَعَلِيُّ بْنُ الْحَكَمِ، سَمِعَا أَبَا عُثْمَانَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مُوسَى، بِنَحْوِهِ، وَزَادَ فِيهِ عَاصِمٌ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ قَاعِدًا فِي مَكَانٍ فِيهِ مَاءٌ، قَدِ انْكَشَفَتْ عَنْ رُكْبَتَيْهِ أَوْ رُكْبَتِهِ، فَلَمَّا دَخَلَ عُثْمَانُ غَطَّاهَا.
Narrated Abu Musa:
The Prophet (ﷺ) entered a garden and ordered me to guard its gate. A man came and asked permission to enter. The Prophet (ﷺ) said, "Admit him and give him the glad tidings of entering Paradise." Behold! It was Abu Bakr. Another man came and asked the permission to enter. The Prophet (ﷺ) said, "Admit him and give him the glad tidings of entering Paradise." Behold! It was `Umar. Then another man came, asking the permission to enter. The Prophet (ﷺ) kept silent for a short while and then said, "Admit him and give him the glad tidings of entering Paradise with a calamity which will befall him." Behold! It was `Uthman bin `Affan. `Asim, in another narration, said that the Prophet (ﷺ) was sitting in a place where there was water, and he was uncovering both his knees or his knee, and when `Uthman entered, he covered them (or it).
পরিচ্ছেদঃ ২০৮৬. উসমান ইবন আফফান আবু আমর কুরায়শী (রাঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা। নবী করীম (সাঃ) বলেন, রুমা কূপটি যে খনন করে দিবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা খনন করে দিলেন। নবী (সাঃ) আরো বলেন, যে সংকটপূর্ণ যুদ্ধে (তাবুক যুদ্ধে) যুদ্ধের সাজ-সারাঞ্জামের ব্যবস্থা করবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা করে দেন।
৩৪৩১। আহমদ ইবনু শাবীব ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ ইবনু আদী ইবনু খিয়ার (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মিসওয়ার ইবনু মাখরামা ও আবদুর রাহমান ইবনু আসওয়াদ ইবনু আবদ ইয়াগুস (রহঃ) আমাকে বললেন যে, উসমান (রাঃ)-এর সাথে তাঁর (বৈপিত্রিয় ভাই) অলীদের বিষয় আলোচনা করতে তোমাকে কি সে বাঁধা দেয়? জনগণ তার সম্পর্কে নানারূপ কথাবার্তা বলছে। উসমান (রাঃ) যখন সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হলেন। তখন আমি তাঁর নিকটে গিয়ে বললাম, আপনার সাথে আমার একটি প্রয়োজন আছে এবং তা আমি আপনার কল্যাণের জন্যই বলবো।
উসমান (রাঃ) বললেন, ওহে, আমি তোমা থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাচ্ছি। আমি তাদের কাছে ফিরে আসলাম। তৎক্ষণাৎ উসমান (রাঃ) এর দূত এস হাযির হল। আমি তার খেদমতে গেলাম। তিনি (আমাকে দেখে) বললেন, বল, তোমার নসিহত (উপদেশ) কি? আমি বললাম, আল্লাহ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। কুরআনে তাঁর উপর অবতীর্ণ করেছেন। আপনি ঐ সকল (মহামানব) এর অন্যতম যাঁরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আহবানে সাড়া দিয়েছেন।
আপনি (হাবসা ও মদিনা) উভয় (স্থানে) হিজরত করেছেন এবং আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাঁর চরিত্র মাধুর্য প্রত্যক্ষ করেছেন। (আপনার ভাই) অলীদ সম্পর্কে জনগণ নানারূপ কথাবার্তা বলাবলি করছে। (সে বিষয় অতি সত্বর ব্যবস্থা করা কর্তব্য)। উসমান (রাঃ) আমাকে বললেন তুমি কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ লাভ করেছ? আমি বললাম না। তবে তাঁর ইল্ম আমার পর্দানশীন কুমারীগণের কাছে যখন পৌছেছে তখন আমার কাছে অবশ্যই পৌছেছে। উসমান (রাঃ) হামদ ও সানা বর্ণনা করে বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাক সাড়া দানকারীদের মধ্যে আমিও ছিলাম। তাঁর আনীত শরীয়তের উপর আমিও ঈমান এনেছি। (হাবসা এবং মদিনায়) আমি উভয় হিজরত করেছি, যেমন তুমি বলছ।
আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য লাভ করেছি, তাঁর হাতে বয়’আত করেছি। আল্লাহর কসম, আমি তাঁর নাফরমানী করি নি ও তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। অবশেষে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে দুনিয়া হতে নিয়ে গিয়েছেন। তারপর আবূ বকর (রাঃ) এর সাথে অনুরূপ সম্পর্ক ছিল। এরপর উমর (রাঃ) এর সঙ্গেও অনুরূপ সম্পর্ক ছিল। তারপর আমার কাঁধে খিলাফতের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার কি ঐ সকল অধিকার নেই যা তাঁদের ছিল? আমি বললাম হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বললেন, তাহলে তোমাদের পক্ষ থেকে কী সব কথাবার্তা আমার নিকট পৌছেছে? অবশ্য অলীদ সম্পর্কে তুমি যা বলছ অতি সত্বর আমি সে সম্পর্কে সঠিক পদক্ষেপ নিব। এ বলে তিনি আলী (রাঃ) কে ডেকে এনে অলীদকে বেত্রাঘাত করার জন্য আদেশ দিলেন। আলী (রাঃ) তাকে আশিটি বেত্রাঘাত করলেন।
باب مَنَاقِبُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِي عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ رضى الله عنه وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَحْفِرْ بِئْرَ رُومَةَ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَحَفَرَهَا عُثْمَانُ. وَقَالَ: «مَنْ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَجَهَّزَهُ عُثْمَانُ
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ شَبِيبِ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يُونُسَ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ قَالاَ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُكَلِّمَ عُثْمَانَ لأَخِيهِ الْوَلِيدِ فَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِيهِ. فَقَصَدْتُ لِعُثْمَانَ حَتَّى خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ، قُلْتُ إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً، وَهِيَ نَصِيحَةٌ لَكَ. قَالَ يَا أَيُّهَا الْمَرْءُ ـ قَالَ مَعْمَرٌ أُرَاهُ قَالَ ـ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ. فَانْصَرَفْتُ، فَرَجَعْتُ إِلَيْهِمْ إِذْ جَاءَ رَسُولُ عُثْمَانَ فَأَتَيْتُهُ، فَقَالَ مَا نَصِيحَتُكَ فَقُلْتُ إِنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، وَكُنْتَ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ، فَهَاجَرْتَ الْهِجْرَتَيْنِ، وَصَحِبْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَأَيْتَ هَدْيَهُ، وَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِي شَأْنِ الْوَلِيدِ. قَالَ أَدْرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ لاَ وَلَكِنْ خَلَصَ إِلَىَّ مِنْ عِلْمِهِ مَا يَخْلُصُ إِلَى الْعَذْرَاءِ فِي سِتْرِهَا. قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ، فَكُنْتُ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ وَآمَنْتُ بِمَا بُعِثَ بِهِ، وَهَاجَرْتُ الْهِجْرَتَيْنِ كَمَا قُلْتَ، وَصَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَايَعْتُهُ، فَوَاللَّهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلاَ غَشَشْتُهُ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ، ثُمَّ أَبُو بَكْرٍ مِثْلُهُ، ثُمَّ عُمَرُ مِثْلُهُ، ثُمَّ اسْتُخْلِفْتُ، أَفَلَيْسَ لِي مِنَ الْحَقِّ مِثْلُ الَّذِي لَهُمْ قُلْتُ بَلَى. قَالَ فَمَا هَذِهِ الأَحَادِيثُ الَّتِي تَبْلُغُنِي عَنْكُمْ أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ شَأْنِ الْوَلِيدِ، فَسَنَأْخُذُ فِيهِ بِالْحَقِّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ دَعَا عَلِيًّا فَأَمَرَهُ أَنْ يَجْلِدَهُ فَجَلَدَهُ ثَمَانِينَ.
Narrated 'Ubaidullah bin `Adi bin Al-Khiyar:
Al-Miswar bin Makhrama and `Abdur-Rahman bin Al-Aswad bin 'Abu Yaghuth said (to me), "What forbids you to talk to `Uthman about his brother Al-Walid because people have talked much about him?" So I went to `Uthman and when he went out for prayer I said (to him), "I have something to say to you and it is a piece of advice for you " `Uthman said, "O man, from you." (`Umar said: I see that he said, "I seek Refuge with Allah from you.") So I left him and went to them. Then the messenger of `Uthman came and I went to him (i.e. `Uthman), `Uthman asked, "What is your advice?" I replied, "Allah sent Muhammad with the Truth, and revealed the Divine Book (i.e. Qur'an) to him; and you were amongst those who followed Allah and His Apostle, and you participated in the two migrations (to Ethiopia and to Medina) and enjoyed the company of Allah's Messenger (ﷺ) and saw his way. No doubt, the people are talking much about Al-Walid." `Uthman said, "Did you receive your knowledge directly from Allah's Messenger (ﷺ) ?" I said, "No, but his knowledge did reach me and it reached (even) to a virgin in her seclusion." `Uthman said, "And then Allah sent Muhammad with the Truth and I was amongst those who followed Allah and His Apostle and I believed in what ever he (i.e. the Prophet) was sent with, and participated in two migrations, as you have said, and I enjoyed the company of Allah's Messenger (ﷺ) and gave the pledge of allegiance him. By Allah! I never disobeyed him, nor did I cheat him till Allah took him unto Him. Then I treated Abu Bakr and then `Umar similarly and then I was made Caliph. So, don't I have rights similar to theirs?" I said, "Yes." He said, "Then what are these talks reaching me from you people? Now, concerning what you mentioned about the question of Al-Walid, Allah willing, I shall deal with him according to what is right." Then he called `Ali and ordered him to flog him, and `Ali flogged him (i.e. Al-Walid) eighty lashes.
পরিচ্ছেদঃ ২০৮৬. উসমান ইবন আফফান আবু আমর কুরায়শী (রাঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা। নবী করীম (সাঃ) বলেন, রুমা কূপটি যে খনন করে দিবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা খনন করে দিলেন। নবী (সাঃ) আরো বলেন, যে সংকটপূর্ণ যুদ্ধে (তাবুক যুদ্ধে) যুদ্ধের সাজ-সারাঞ্জামের ব্যবস্থা করবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা করে দেন।
৩৪৩২। মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ইবনু বাযী’ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় (মর্যাদায়) আবূ বকর (রাঃ) এর সমকক্ষ কাউকে মনে করতাম না, তারপর উমর (রাঃ) কে তারপর উসমান (রাঃ) কে (মর্যাদা দিতাম) তারপর সাহাবাগণের মধ্যে কাউকে কারও উপর প্রাধান্য দিতাম না। আবদুল্লাহ ইবনু সালিহ (রহঃ) আবদুল আযীয (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় শাবান (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
باب مَنَاقِبُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِي عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ رضى الله عنه وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَحْفِرْ بِئْرَ رُومَةَ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَحَفَرَهَا عُثْمَانُ. وَقَالَ: «مَنْ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَجَهَّزَهُ عُثْمَانُ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ بَزِيغٍ، حَدَّثَنَا شَاذَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كُنَّا فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لاَ نَعْدِلُ بِأَبِي بَكْرٍ أَحَدًا ثُمَّ عُمَرَ ثُمَّ عُثْمَانَ، ثُمَّ نَتْرُكُ أَصْحَابَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لاَ نُفَاضِلُ بَيْنَهُمْ. تَابَعَهُ عَبْدُ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ.
Narrated Ibn `Umar:
During the lifetime of the Prophet (ﷺ) we considered Abu Bakr as peerless and then `Umar and then `Uthman (coming next to him in superiority) and then we used not to differentiate between the companions of the Prophet.
পরিচ্ছেদঃ ২০৮৬. উসমান ইবন আফফান আবু আমর কুরায়শী (রাঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা। নবী করীম (সাঃ) বলেন, রুমা কূপটি যে খনন করে দিবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা খনন করে দিলেন। নবী (সাঃ) আরো বলেন, যে সংকটপূর্ণ যুদ্ধে (তাবুক যুদ্ধে) যুদ্ধের সাজ-সারাঞ্জামের ব্যবস্থা করবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা করে দেন।
৩৪৩৩। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... উসমান ইবনু মাওহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক মিসরবাসী মক্কায় এসে হাজ্জ (হজ্জ) সম্পাদন করে দেখতে পেল যে, কিছু সংখ্যক লোক একত্রে বসে আছে। সে বলল, এ লোকজন কারা? তাকে জানানো হল এরা কুরাইশ বংশের লোকজন। সে বলল, তাদের মধ্যে ঐ শায়েখ ব্যাক্তিটি কে? তারা বললেন, ইনি আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ)। সে ব্যাক্তি (তাঁর নিকট এসে) বলল, হে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ), আমি আপনাকে একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব; আপনি আমাকে বলুন, (১) আপনি কি এটা জানেন যে, উসমান (রাঃ) উহুদ যুদ্ধ (চলাকালে) যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। (২) সে বলল, আপনি জানেন কি উসমান (রাঃ) বদর যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন? ইবনু উমর (রাঃ) উত্তরে বললেন, হ্যাঁ। (৩) আপনি জানেন কি বায়’আতে রিযওয়ানে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন? ইবনু উমর (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ। লোকটি বলে উঠল, আল্লাহু আকবার। ইবনু উমর (রাঃ) তাকে বললেন, এস, তোমাকে প্রকৃত ঘটনা বলে দেই।
উসমান (রাঃ)-এর উহুদ যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যাওয়া সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাঁকে মাফ করে দিয়েছেন ও ক্ষমা করে দিয়েছেন। (কুরআনে কারীমে এ বিষয়ে উল্লেখ আছে) আর তিনি বদর যুদ্ধে এজন্য অনুপস্থিত ছিলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা তাঁর স্ত্রী [রোকাইয়া (রাঃ)] রোগগ্রস্ত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, বদরে অংশ গ্রহণকারী ব্যাক্তির সমপরিমাণ সাওয়াব ও গণীমতের অংশ মিলবে। আর বায়’আত রিযওয়ান থেকে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ হল, মক্কার বুকে তাঁর [উসমান (রাঃ)] চেয়ে সম্ভ্রান্ত, অন্য কেউ যদি থকতো তবে তাকেই তিনি উসমানের পরিবর্তে পাঠাতেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসমান (রাঃ) কে মক্কায় প্রেরেণ করেন। এবং তাঁর চলে যাওয়ার পর বায়’আতে রিযওয়ান অনুষ্ঠিত হয়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান হাতের প্রতি ঈঙ্গিত করে বললেন, এটি উসমানের হাত। তারপর ডান বাম হাতে স্থাপন করে বললেন যে, এ হল উসমানের বায়’আত। ইবনু উমর (রাঃ) ঐ (মিসরীয়) লোকটিকে বললেন, তুমি এস এই জবাব নিয়ে যাও।
باب مَنَاقِبُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِي عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ رضى الله عنه وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَحْفِرْ بِئْرَ رُومَةَ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَحَفَرَهَا عُثْمَانُ. وَقَالَ: «مَنْ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَجَهَّزَهُ عُثْمَانُ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ ـ هُوَ ابْنُ مَوْهَبٍ ـ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مَنْ أَهْلِ مِصْرَ حَجَّ الْبَيْتَ فَرَأَى قَوْمًا جُلُوسًا، فَقَالَ مَنْ هَؤُلاَءِ الْقَوْمُ قَالَ هَؤُلاَءِ قُرَيْشٌ. قَالَ فَمَنِ الشَّيْخُ فِيهِمْ قَالُوا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ. قَالَ يَا ابْنَ عُمَرَ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ شَىْءٍ فَحَدِّثْنِي هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ نَعَمْ. قَالَ تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَدْرٍ وَلَمْ يَشْهَدْ قَالَ نَعَمْ. قَالَ تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَيْعَةِ الرُّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا قَالَ نَعَمْ. قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ. قَالَ ابْنُ عُمَرَ تَعَالَ أُبَيِّنْ لَكَ أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ فَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ عَفَا عَنْهُ وَغَفَرَ لَهُ، وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَدْرٍ، فَإِنَّهُ كَانَتْ تَحْتَهُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ مَرِيضَةً، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لَكَ أَجْرَ رَجُلٍ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمَهُ ". وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَيْعَةِ الرُّضْوَانِ فَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ لَبَعَثَهُ مَكَانَهُ فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عُثْمَانَ وَكَانَتْ بَيْعَةُ الرُّضْوَانِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ الْيُمْنَى " هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ ". فَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ، فَقَالَ " هَذِهِ لِعُثْمَانَ ". فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ اذْهَبْ بِهَا الآنَ مَعَكَ.
Narrated `Uthman:
(the son of Muhib) An Egyptian who came and performed the Hajj to the Ka`ba saw some people sitting. He enquire, "Who are these people?" Somebody said, "They are the tribe of Quraish." He said, "Who is the old man sitting amongst them?" The people replied, "He is `Abdullah bin `Umar." He said, "O Ibn `Umar! I want to ask you about something; please tell me about it. Do you know that `Uthman fled away on the day (of the battle) of Uhud?" Ibn `Umar said, "Yes." The (Egyptian) man said, "Do you know that `Uthman was absent on the day (of the battle) of Badr and did not join it?" Ibn `Umar said, "Yes." The man said, "Do you know that he failed to attend the Ar Ridwan pledge and did not witness it (i.e. Hudaibiya pledge of allegiance)?" Ibn `Umar said, "Yes." The man said, "Allahu Akbar!" Ibn `Umar said, "Let me explain to you (all these three things). As for his flight on the day of Uhud, I testify that Allah has excused him and forgiven him; and as for his absence from the battle of Badr, it was due to the fact that the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) was his wife and she was sick then. Allah's Messenger (ﷺ) said to him, "You will receive the same reward and share (of the booty) as anyone of those who participated in the battle of Badr (if you stay with her).' As for his absence from the Ar-Ridwan pledge of allegiance, had there been any person in Mecca more respectable than `Uthman (to be sent as a representative). Allah's Messenger (ﷺ) would have sent him instead of him. No doubt, Allah's Messenger (ﷺ) had sent him, and the incident of the Ar-Ridwan pledge of Allegiance happened after `Uthman had gone to Mecca. Allah's Messenger (ﷺ) held out his right hand saying, 'This is `Uthman's hand.' He stroke his (other) hand with it saying, 'This (pledge of allegiance) is on the behalf of `Uthman.' Then Ibn `Umar said to the man, 'Bear (these) excuses in mind with you.'
পরিচ্ছেদঃ ২০৮৬. উসমান ইবন আফফান আবু আমর কুরায়শী (রাঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা। নবী করীম (সাঃ) বলেন, রুমা কূপটি যে খনন করে দিবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা খনন করে দিলেন। নবী (সাঃ) আরো বলেন, যে সংকটপূর্ণ যুদ্ধে (তাবুক যুদ্ধে) যুদ্ধের সাজ-সারাঞ্জামের ব্যবস্থা করবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা করে দেন।
৩৪৩৪। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদ পাহাড়ে আরোহণ করলেন। তাঁর সাথে ছিলেন আবূ বকর (রাঃ), উমর ও উসমান (রাঃ)। তাঁদেরকে পেয়ে পাহাড়টি কেঁপে উঠল। তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে উহুদ স্থির হও। (আনাস (রাঃ) বলেন) আমার মনে হয় তিনি পা দিয়ে পাহাড়কে আঘাত করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার উপর একজন নবী ও একজন সিদ্দীক ও দু’জন শহীদ ব্যতীত আর কেউ নেই।
باب مَنَاقِبُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِي عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ رضى الله عنه وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَحْفِرْ بِئْرَ رُومَةَ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَحَفَرَهَا عُثْمَانُ. وَقَالَ: «مَنْ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَجَهَّزَهُ عُثْمَانُ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ أَنَسًا ـ رضى الله عنه ـ حَدَّثَهُمْ قَالَ صَعِدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أُحُدًا، وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ، فَرَجَفَ وَقَالَ " اسْكُنْ أُحُدُ ـ أَظُنُّهُ ضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ ـ فَلَيْسَ عَلَيْكَ إِلاَّ نَبِيٌّ وَصِدِّيقٌ وَشَهِيدَانِ ".
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) ascended the mountain of Uhud and Abu Bakr, `Umar and `Uthman were accompanying him. The mountain gave a shake (i.e. trembled underneath them) . The Prophet (ﷺ) said, "O Uhud ! Be calm." I think that the Prophet (ﷺ) hit it with his foot, adding, "For upon you there are none but a Prophet, a Siddiq and two martyrs."