৩৪৩১

পরিচ্ছেদঃ ২০৮৬. উসমান ইবন আফফান আবু আমর কুরায়শী (রাঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা। নবী করীম (সাঃ) বলেন, রুমা কূপটি যে খনন করে দিবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা খনন করে দিলেন। নবী (সাঃ) আরো বলেন, যে সংকটপূর্ণ যুদ্ধে (তাবুক যুদ্ধে) যুদ্ধের সাজ-সারাঞ্জামের ব্যবস্থা করবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা করে দেন।

৩৪৩১। আহমদ ইবনু শাবীব ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ ইবনু আদী ইবনু খিয়ার (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মিসওয়ার ইবনু মাখরামা ও আবদুর রাহমান ইবনু আসওয়াদ ইবনু আবদ ইয়াগুস (রহঃ) আমাকে বললেন যে, উসমান (রাঃ)-এর সাথে তাঁর (বৈপিত্রিয় ভাই) অলীদের বিষয় আলোচনা করতে তোমাকে কি সে বাঁধা দেয়? জনগণ তার সম্পর্কে নানারূপ কথাবার্তা বলছে। উসমান (রাঃ) যখন সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হলেন। তখন আমি তাঁর নিকটে গিয়ে বললাম, আপনার সাথে আমার একটি প্রয়োজন আছে এবং তা আমি আপনার কল্যাণের জন্যই বলবো।

উসমান (রাঃ) বললেন, ওহে, আমি তোমা থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাচ্ছি। আমি তাদের কাছে ফিরে আসলাম। তৎক্ষণাৎ উসমান (রাঃ) এর দূত এস হাযির হল। আমি তার খেদমতে গেলাম। তিনি (আমাকে দেখে) বললেন, বল, তোমার নসিহত (উপদেশ) কি? আমি বললাম, আল্লাহ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। কুরআনে তাঁর উপর অবতীর্ণ করেছেন। আপনি ঐ সকল (মহামানব) এর অন্যতম যাঁরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আহবানে সাড়া দিয়েছেন।

আপনি (হাবসা ও মদিনা) উভয় (স্থানে) হিজরত করেছেন এবং আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাঁর চরিত্র মাধুর্য প্রত্যক্ষ করেছেন। (আপনার ভাই) অলীদ সম্পর্কে জনগণ নানারূপ কথাবার্তা বলাবলি করছে। (সে বিষয় অতি সত্বর ব্যবস্থা করা কর্তব্য)। উসমান (রাঃ) আমাকে বললেন তুমি কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ লাভ করেছ? আমি বললাম না। তবে তাঁর ইল্‌ম আমার পর্দানশীন কুমারীগণের কাছে যখন পৌছেছে তখন আমার কাছে অবশ্যই পৌছেছে। উসমান (রাঃ) হামদ ও সানা বর্ণনা করে বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাক সাড়া দানকারীদের মধ্যে আমিও ছিলাম। তাঁর আনীত শরীয়তের উপর আমিও ঈমান এনেছি। (হাবসা এবং মদিনায়) আমি উভয় হিজরত করেছি, যেমন তুমি বলছ।

আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য লাভ করেছি, তাঁর হাতে বয়’আত করেছি। আল্লাহর কসম, আমি তাঁর নাফরমানী করি নি ও তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। অবশেষে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে দুনিয়া হতে নিয়ে গিয়েছেন। তারপর আবূ বকর (রাঃ) এর সাথে অনুরূপ সম্পর্ক ছিল। এরপর উমর (রাঃ) এর সঙ্গেও অনুরূপ সম্পর্ক ছিল। তারপর আমার কাঁধে খিলাফতের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার কি ঐ সকল অধিকার নেই যা তাঁদের ছিল? আমি বললাম হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বললেন, তাহলে তোমাদের পক্ষ থেকে কী সব কথাবার্তা আমার নিকট পৌছেছে? অবশ্য অলীদ সম্পর্কে তুমি যা বলছ অতি সত্বর আমি সে সম্পর্কে সঠিক পদক্ষেপ নিব। এ বলে তিনি আলী (রাঃ) কে ডেকে এনে অলীদকে বেত্রাঘাত করার জন্য আদেশ দিলেন। আলী (রাঃ) তাকে আশিটি বেত্রাঘাত করলেন।

باب مَنَاقِبُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِي عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ رضى الله عنه وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَحْفِرْ بِئْرَ رُومَةَ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَحَفَرَهَا عُثْمَانُ. وَقَالَ: «مَنْ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَجَهَّزَهُ عُثْمَانُ

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ شَبِيبِ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يُونُسَ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ قَالاَ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُكَلِّمَ عُثْمَانَ لأَخِيهِ الْوَلِيدِ فَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِيهِ‏.‏ فَقَصَدْتُ لِعُثْمَانَ حَتَّى خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ، قُلْتُ إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً، وَهِيَ نَصِيحَةٌ لَكَ‏.‏ قَالَ يَا أَيُّهَا الْمَرْءُ ـ قَالَ مَعْمَرٌ أُرَاهُ قَالَ ـ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ‏.‏ فَانْصَرَفْتُ، فَرَجَعْتُ إِلَيْهِمْ إِذْ جَاءَ رَسُولُ عُثْمَانَ فَأَتَيْتُهُ، فَقَالَ مَا نَصِيحَتُكَ فَقُلْتُ إِنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، وَكُنْتَ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ، فَهَاجَرْتَ الْهِجْرَتَيْنِ، وَصَحِبْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَأَيْتَ هَدْيَهُ، وَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِي شَأْنِ الْوَلِيدِ‏.‏ قَالَ أَدْرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ لاَ وَلَكِنْ خَلَصَ إِلَىَّ مِنْ عِلْمِهِ مَا يَخْلُصُ إِلَى الْعَذْرَاءِ فِي سِتْرِهَا‏.‏ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ، فَكُنْتُ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ وَآمَنْتُ بِمَا بُعِثَ بِهِ، وَهَاجَرْتُ الْهِجْرَتَيْنِ كَمَا قُلْتَ، وَصَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَايَعْتُهُ، فَوَاللَّهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلاَ غَشَشْتُهُ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ، ثُمَّ أَبُو بَكْرٍ مِثْلُهُ، ثُمَّ عُمَرُ مِثْلُهُ، ثُمَّ اسْتُخْلِفْتُ، أَفَلَيْسَ لِي مِنَ الْحَقِّ مِثْلُ الَّذِي لَهُمْ قُلْتُ بَلَى‏.‏ قَالَ فَمَا هَذِهِ الأَحَادِيثُ الَّتِي تَبْلُغُنِي عَنْكُمْ أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ شَأْنِ الْوَلِيدِ، فَسَنَأْخُذُ فِيهِ بِالْحَقِّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ دَعَا عَلِيًّا فَأَمَرَهُ أَنْ يَجْلِدَهُ فَجَلَدَهُ ثَمَانِينَ‏.‏

حدثني احمد بن شبيب بن سعيد، قال حدثني ابي، عن يونس، قال ابن شهاب اخبرني عروة، ان عبيد الله بن عدي بن الخيار، اخبره ان المسور بن مخرمة وعبد الرحمن بن الاسود بن عبد يغوث قالا ما يمنعك ان تكلم عثمان لاخيه الوليد فقد اكثر الناس فيه‏.‏ فقصدت لعثمان حتى خرج الى الصلاة، قلت ان لي اليك حاجة، وهي نصيحة لك‏.‏ قال يا ايها المرء ـ قال معمر اراه قال ـ اعوذ بالله منك‏.‏ فانصرفت، فرجعت اليهم اذ جاء رسول عثمان فاتيته، فقال ما نصيحتك فقلت ان الله سبحانه بعث محمدا صلى الله عليه وسلم بالحق، وانزل عليه الكتاب، وكنت ممن استجاب لله ولرسوله، فهاجرت الهجرتين، وصحبت رسول الله صلى الله عليه وسلم ورايت هديه، وقد اكثر الناس في شان الوليد‏.‏ قال ادركت رسول الله صلى الله عليه وسلم قلت لا ولكن خلص الى من علمه ما يخلص الى العذراء في سترها‏.‏ قال اما بعد فان الله بعث محمدا صلى الله عليه وسلم بالحق، فكنت ممن استجاب لله ولرسوله وامنت بما بعث به، وهاجرت الهجرتين كما قلت، وصحبت رسول الله صلى الله عليه وسلم وبايعته، فوالله ما عصيته ولا غششته حتى توفاه الله، ثم ابو بكر مثله، ثم عمر مثله، ثم استخلفت، افليس لي من الحق مثل الذي لهم قلت بلى‏.‏ قال فما هذه الاحاديث التي تبلغني عنكم اما ما ذكرت من شان الوليد، فسناخذ فيه بالحق ان شاء الله، ثم دعا عليا فامره ان يجلده فجلده ثمانين‏.‏


Narrated 'Ubaidullah bin `Adi bin Al-Khiyar:

Al-Miswar bin Makhrama and `Abdur-Rahman bin Al-Aswad bin 'Abu Yaghuth said (to me), "What forbids you to talk to `Uthman about his brother Al-Walid because people have talked much about him?" So I went to `Uthman and when he went out for prayer I said (to him), "I have something to say to you and it is a piece of advice for you " `Uthman said, "O man, from you." (`Umar said: I see that he said, "I seek Refuge with Allah from you.") So I left him and went to them. Then the messenger of `Uthman came and I went to him (i.e. `Uthman), `Uthman asked, "What is your advice?" I replied, "Allah sent Muhammad with the Truth, and revealed the Divine Book (i.e. Qur'an) to him; and you were amongst those who followed Allah and His Apostle, and you participated in the two migrations (to Ethiopia and to Medina) and enjoyed the company of Allah's Messenger (ﷺ) and saw his way. No doubt, the people are talking much about Al-Walid." `Uthman said, "Did you receive your knowledge directly from Allah's Messenger (ﷺ) ?" I said, "No, but his knowledge did reach me and it reached (even) to a virgin in her seclusion." `Uthman said, "And then Allah sent Muhammad with the Truth and I was amongst those who followed Allah and His Apostle and I believed in what ever he (i.e. the Prophet) was sent with, and participated in two migrations, as you have said, and I enjoyed the company of Allah's Messenger (ﷺ) and gave the pledge of allegiance him. By Allah! I never disobeyed him, nor did I cheat him till Allah took him unto Him. Then I treated Abu Bakr and then `Umar similarly and then I was made Caliph. So, don't I have rights similar to theirs?" I said, "Yes." He said, "Then what are these talks reaching me from you people? Now, concerning what you mentioned about the question of Al-Walid, Allah willing, I shall deal with him according to what is right." Then he called `Ali and ordered him to flog him, and `Ali flogged him (i.e. Al-Walid) eighty lashes.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ আম্বিয়া কিরাম (আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء)