পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৩৭. (সহীহ্) এরবায বিন সারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে এমন ওয়ায করলেন যে, তাতে অন্তর সমূহ ভীত-সন্ত্রস্ত হল, চক্ষুগুলো অশ্রুসিক্ত হল। আমরা আরয করলাম: হে আল্লাহর রাসূল! মনে হচ্ছে এটি বিদায়ী নসীহত, তাই আমাদেরকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ
“আমি তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছি তাক্বওয়া তথা আল্লাহ্ ভীতির এবং নেতার কথা শোনা ও তার আনুগত্য করার- যদিও একজন কৃতদাস তোমাদের নেতৃত্ব দেয়। নিঃসন্দেহে তোমাদের মধ্যে থেকে যে আমার পর জীবিত থাকবে অচিরেই সে অনেক মতভেদ দেখতে পাবে। (সে সময়) তোমাদের উপর আবশ্যক হল আমার সুন্নাত ও সুপথপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা। তোমরা উহা মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। দ্বীনের মাঝে নতুনত্ব থেকে তোমরা সাবধান। কেননা প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ্ ও ইবনু হিব্বান। তিরমিযী বলেনঃ হাদীছটি হাসান সহীহ্।)
“তোমরা উহা মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে।’’ একথার অর্থঃ সুন্নাতকে তোমরা আঁকড়ে ধরে থাকবে, তা নিয়ে গবেষণা করবে, তার প্রতি সর্বদা আমল করবে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে- যেমন করে হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে কোন ব্যাক্তি কোন জিনিসকে দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকে।
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
(صحيح) عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: وَعَظَناَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَوْعِظَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ وَ ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ فَقُلْناَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَأَنَّهَا مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَأَوْصِنَا، قَالَ: أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ تَأَمَّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ، وَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ بَعْدِي فَسَيَرَى اخْتِلَافًا كَثِيرًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسَنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ . رواه أبو داود والترمذي وابن ماجه وابن حبان في صحيحه وقال الترمذي حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৩৮. (সহীহ্) আবূ শুরাইহ আল খুযায়ী বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট এসে বললেনঃ
“তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর! তোমরা কি একথার সাক্ষ্য দাও না যে, "আল্লাহ্ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই, এবং আমি আল্লাহর রাসূল?’’ তাঁরা বললেনঃ অবশ্যই।
তিনি বললেনঃ “নিশ্চয় এ কুরআনের এক দিক আল্লাহর হাতে রয়েছে এবং আর এক দিক তোমাদের হাতে রয়েছে। তোমরা উহা আঁকড়ে ধরে থাক। তাহলে এরপর তোমরা কখনই বিভ্রান্ত বা ধ্বংস হবে না।’’
(উত্তম সনদে ত্বাবরানী [কাবীর] গ্রন্থে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। শায়খ আলবানী বলেনঃ হাদীছটি সহীহ্ সনদে আরে বর্ণনা করেন, ইবনু হিব্বান স্বীয় [সহীহ্] গ্রন্থে এবং ইবনু নছর [ক্বিয়ামুল্ লাইল] গ্রন্থে।)
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
عن أبي شريح الخزاعي قال خرج علينا رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فقال: أَلَيْسَ تَشْهَدُونَ أَنْ لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ؟ قالوا بلى : نَعَمْ ، قَالَ :إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ طَرَفُهُ بِيَدِ اللَّهِ ، وَطَرَفُهُ بِأَيْدِيكُمْ ، فَتَمَسَّكُوا بِهِ ، فإنكم لن تضلوا وَلن تُهْلَكُوا بَعْدَهُ أَبَدًا.
(رواه الطبراني في الكبير بإسناد جيد)
পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৩৯. (সহীহ্ লি গাইরিহী) জুবাইর বিন মুতইম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ’জুহফা’ নামক স্থানে একদা নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ
’’তোমরা কি সাক্ষ্য দাও না যে, আল্লাহ্ ব্যতীত সত্য কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, আর কুরআন আল্লাহর নিকট থেকে এসেছে?
আমরা বললাম, হ্যাঁ।
তিনি বললেনঃ ’’অতএব তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো, এই কুরআনের একাংশ আল্লাহর হাতে, আরেকাংশ তোমাদের হাতে। তোমরা উহাকে আঁকড়ে ধর। তাহলে তোমরা তার পরে (কুরআন আঁকড়ে ধরার পরে) কখনই ধ্বংস হবে না, কখনই বিভ্রান্ত হবে না।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বায্যার ও ত্বাবরানী [কাবীর ও আওসাত] গ্রন্থে)
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
(صحيح لغيره) وروي عَنْ مُحَمَّدِ بن جُبَيْرِ بن مُطْعِمٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، بِالْجُحْفَةِ فَقَالَ: أَلَيْسَ تَشْهَدُونَ أَنْ لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وحده لا شريك له، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ، وَأَنَّ الْقُرْآنَ جَاءَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ ؟ قُلْنَا : نَعَمْ ، قَالَ: فَأَبْشِرُوا فَإِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ طَرَفُهُ بِيَدِ اللَّهِ ، وَطَرَفُهُ بِأَيْدِيكُمْ ، فَتَمَسَّكُوا بِهِ، فإنكم لن تُهْلَكُوا ولن تضلوا بَعْدَهُ أَبَدًا.
رواه البزار والطبراني في الكبير والصغير
পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৪০. (সহীহ্) ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জে মানুষের সামনে এ খুতবা প্রদান করেন, তিনি বলেনঃ
“নিশ্চয় শয়তান এ মর্মে নিরাশ হয়ে গেছে যে, তোমাদের এ যমীনে কেউ তার দাসত্ব করবে না। কিন্তু তারপরও সে একথার উপরই সন্তুষ্ট যে, তোমাদের ছোটখাট তুচ্ছ বিষয়ে তার আনুগত্য করা হবে। সুতরাং তোমরা সাবধান থেকো। নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু ছেড়ে যাচ্ছি- তোমরা যদি উহা আঁকড়ে ধরে থাক তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হল আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাত।’’
(হাদীছটি হাকেম বর্ণনা করে বলেন: সনদ সহীহ্।)
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
(صحيح) عن ابن عباس أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ الناَّسَ فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فقالَ إنَّ الشيطانَ قَدْ يَئِسَ أنْ يُعْبَدَ بِأرْضِكُمْ ولكِنْ رَضِيَ أنْ يُطاَعَ فِيْماَ سِوَى ذلِكَ مِمَّا تَحَاقَرُوْنَ مِنْ أعْماَلِكُمْ فَاحْذَرُوْا إنِّيْ قَدْ تَرَكْتُ فِيْكُمْ ماَ إنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ فَلَنْ تُضِلُّوْا أبداً كِتاَبَ اللهِ وسُنَّةَ نَبِيِّهِ. (رواه الحاكم وقال صحيح الإسناد)
পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৪১. (সহীহ্ মাওকূফ) আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ’’বিদআত নিয়ে গবেষণা করার চেয়ে সুন্নতকে যথেষ্ট মনে করা অনেক উত্তম।’’
(হাকেম মওকুফ সূত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, এর সনদ বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ্)
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
(صحيح موقوف) عن ابن مسعود رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قاَلَ الاقْتِصَاُد فِيْ السُّنَّةِ أحْسَنُ مِنْ الْاجْتِهاَدِ فِيْ الْبِدْعَةِ. رواه الحاكم موقوفا وقال إسناده صحيح على شرطهما
পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৪২. (সহীহ্) আবু আইয়ূব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আওফ বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা আমাদের নিকট ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় বের হয়ে এসে বললেনঃ
’’তোমাদের মাঝে অমি যতক্ষণ আছি, তোমরা আমার আনুগত্য কর। তোমরা আল্লাহর কিতাব আকড়ে ধর। তার মধ্যে হালাল ঘোষিত বিষয়কে হালাল গণ্য কর ও হারাম বিষয়কে হারাম গণ্য কর।’’
(ত্বাবরানী স্বীয় কাবীর গ্রন্থে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
( صحيح) عن أبي أيوب الأنصاري قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مَرْعُوبٌ، فَقَالَ:"أَطِيعُونِي مَا كُنْتُ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ، وَعَلَيْكُمْ بِكتاب اللَّهِ، أَحِلُّوا حَلالَهُ وَحَرِّمُوا حَرَامَهُ". (رواه الطبراني في الكبير)
পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৪৩. (সহীহ্) ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত মাওকূফ সূত্রে যে হাদীছটি (যঈফ তারগীব গ্রন্থে) উল্লেখ হয়েছে তা উত্তম সনদে জাবের থেকে মারফূ’ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।[1]
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
-
পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৪৪. (সহীহ্) আবেস বিন রাবীআহ্ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি দেখেছি ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) হজরে আসওয়াদকে চুম্বন করছেন আর বলছেনঃ
’’আমি জানি নিঃসন্দেহে তুমি একটি পাথর। কোন অপকার করতে পারনা, কোন উপকারও করতে ক্ষমতা রাখ না। তোমায় চুম্বন করতে আমি যদি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে না দেখতাম তবে তোমাকে চুম্বন করতাম না।’’
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
(صحيح) عَنْ عَابِسِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يُقَبِّلُ لْحَجَرَ يعني الأسود ويقولُ: إِنِّي أَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لَا تَنْفَعُ وَلَا تَضُرُّ وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ (رواه البخاري ومسلم وأبو داود والترمذي والنسائي)
পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৪৫. (সহীহ্) ওরওয়া বিন আবদুল্লাহ বিন কুশায়র থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মুআবিয়া বিন কুররা তার পিতার বরাতে হাদীছ বর্ণনা করেন। মুআবিয়ার পিতা কুররা বলেনঃ মুযায়না থেকে আগত একটি দলের সাথে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর দরবারে এলাম। আমরা তার হাতে বায়আত করলাম। সে সময় তাঁর জামার গলাবন্দের বোতাম খোলা ছিল। আমি তাঁর জামার খোলা গলাবন্দ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিলাম অতঃপর তাঁর (পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত) মোহরে নবুয়ত স্পর্শ করলাম। ওরওয়া বলেনঃ এর পর থেকে শীতকাল বা গ্রীষ্মকালে মুআবিয়া বা তার পুত্রকে তাদের জামার গলাবন্দ খোলা ছাড়া অন্য কোন অবস্থায় দেখিনি।
(ইবনু মাজাহ ও ইবনু হিব্বান হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।)
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
(صحيح) عن عروة بن عبد الله بن قشير قال حدثني معاوية بن قرة عن أبيه قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَهْطٍ مِنْ مُزَيْنَةَ فَبَايَعْنَاهُ وَإِنَّ قَمِيصَهُ لَمُطْلَقُ الْأَزْرَارِ قَالَ فأَدْخَلْتُ يَدَيَّ فِي جَيْبِ قَمِيصِهِ فَمَسِسْتُ الْخَاتَمَ قَالَ عُرْوَةُ فَمَا رَأَيْتُ مُعَاوِيَةَ وَلَا ابْنَهُ قَطُّ في شتاء ولا صيف إِلَّا مُطْلِقَيْ الأَزْرَارِ * (رواه ابن ماجه وابن حبان في صحيحه واللفظ له وقال ابن ماجه إلا مطلقة أزرارهما)
পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৪৬. (সহীহ্) মুজাহিদ (রঃ) বলেনঃ একদা কোন এক সফরে আমরা ইবনে ওমার (রাঃ) (আল্লাহ তার উপর রহম করুন) এর সাথে ছিলাম। তিনি এক জায়গা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় তিনি একটু সরে গিয়ে ডান দিক বা বাম দিক দিয়ে গেলেন। জিজ্ঞেস করা হল, কেন আপনি এরুপ করলেন? তিনি বললেনঃ আমি দেখেছি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে এরুপ করতে, তাই আমি এরুপ করলাম।
(আহমদ ও বায্যার উত্তম সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
(صحيح) عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ كُنَّا مَعَ ابْنِ عُمَرَ فِي سَفَرٍ فَمَرَّ بِمَكَانٍ فَحَادَ عَنْهُ فَسُئِلَ لِمَ فَعَلْتَ فَقَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ هَذَا فَفَعَلْتُ (رواه أحمد والبزار بإسناد جيد)
পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৪৭. (হাসান) ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। মক্কা এবং মদীনার মাঝে অবস্থিত একটি বৃক্ষের নিকট যখন তিনি আসতেন তখন তার নীচে শুয়ে বিশ্রাম করতেন। তিনি বলতেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরুপ করতেন।
(বায্যার হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
(حسن) عن ابن عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أنه كان يأتي شجرة بين مكة والمدينة فيقيل تحتها ويخبر أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كان يفعل ذلك (رواه البزار بإسناد لا بأس به)
পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৪৮. (সহীহ্) আনাস বিন সীরীন থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একবার আরাফাতের ময়দানে ইবনে ওমার (আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন)এর সাথে ছিলাম। যখন তিনি (আরাফাতের উদ্দেশ্যে) গমন করলেন আমিও তার সাথে গমন করলাম। ইমাম এলে তাঁর সাথে তিনি যোহর ও আসরের নামায (একসাথে কসর করে যোহরের সময়ই) আদায় করলেন। অতঃপর তিনি, আমি এবং আমার কতিপয় সাথী আরাফাতে অবস্থান নিলাম। ইমাম যখন আরাফাত ত্যাগ করে মুযদালিফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন আমরাও তার সাথে যাত্রা করলাম। ’মাযেমায়ন’ নামক স্থানের পূর্বে এক গিরীপথে পৌঁছে তিনি উট থামালেন ও অবতরণ করলেন। আমরাও উট থামালাম। আমরা ভাবলাম তিনি হয়ত সালাত আদায় করবেন। কিন্তু তার বাহনের রশি ধারণকারী ত্রুীতদাস বললেনঃ তিনি এখানে কোন সালাতের ইচ্ছা করেন নি; বরং তিনি স্মরণ করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ স্থানে এসে স্বীয় প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করেছেন। তাই তিনিও পছন্দ করলেন এ স্থানে প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করবেন।
(ইমাম আহমাদ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
হাফেয মুনযেরী (রহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর অনুসরণ ও তাঁর সুন্নাতের অনুকরণের ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে অনেক বেশী আছার বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহই তওফীকদাতা। তিনি ছাড়া সত্য কোন রব নেই।
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
(صحيح) عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ كُنْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ بِعَرَفَاتٍ فَلَمَّا كَانَ حِينَ رَاحَ رُحْتُ مَعَهُ حَتَّى أَتَى الْإِمَامَ فَصَلَّى مَعَهُ الْأُولَى وَالْعَصْرَ ثُمَّ وَقَفَ مَعَهُ وَأَنَا وَأَصْحَابٌ لِي حَتَّى أَفَاضَ الْإِمَامُ فَأَفَضْنَا مَعَهُ حَتَّى انْتَهَيْنَا إِلَى الْمَضِيقِ دُونَ الْمَأْزِمَيْنِ فَأَنَاخَ وَأَنَخْنَا وَنَحْنُ نَحْسَبُ أَنَّهُ يُرِيدُ أَنْ يُصَلِّيَ فَقَالَ غُلَامُهُ الَّذِي يُمْسِكُ رَاحِلَتَهُ إِنَّهُ لَيْسَ يُرِيدُ الصَّلَاةَ وَلَكِنَّهُ ذَكَرَ أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا انْتَهَى إِلَى هَذَا الْمَكَانِ قَضَى حَاجَتَهُ فَهُوَ يُحِبُّ أَنْ يَقْضِيَ حَاجَتَهُ * (رواه أحمد ورواته محتج بهم في الصحيح)
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৯. (সহীহ্) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেনঃ “যে ব্যাক্তি আমার এই দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু সৃষ্টি করবে যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে তা প্রত্যাখ্যাত বা অগ্রহণযোগ্য।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী, মুসলিম ও ইবনে মাজাহ)
আবু দাঊদের বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ ’’আমার নিদের্শ ব্যতিরেকে যে ব্যাক্তি কোন কর্ম সম্পাদন করবে, তবে উহা প্রত্যাখ্যাত।’’
মুসলিমের অপর বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ ’’যে ব্যাক্তি এমন কোন আমল করল, যে ব্যাপারে আমার নির্দেশ নেই। তবে উহা প্রত্যাখ্যাত।’’
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ.
(رواه البخاري ومسلم وأبو داود) ولفظه مَنْ صَنَعَ أَمْرًا عَلَى غَيْرِ أَمْرِنَا فَهُوَ رَدٌّ وابن ماجه
وفي رواية لمسلم مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫০. (সহীহ্) জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন খুতবা দিতেন তখন তার চক্ষুযুগল লালবর্ণ ধারণ করত। কণ্ঠস্বর উঁচু হত এবং ত্রেুাধ কঠিন আকার ধারণ করত। দেখে মনে হত তিনি কোন সৈন্য বাহিনীকে সতর্কবানী শুনাচ্ছেন। বলতেনঃ সকালে বা বিকালে শত্রু আত্রুমন থেকে তোমরা সতর্ক হও। আর বলতেনঃ এমন সময় আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে যখন আমি এবং কিয়ামত এরুপ। একথা বলে তিনি স্বীয় তর্জনী ও মধ্যমাকে একত্রিত করতেন।
তিনি আরো বলতেনঃ ’’অতঃপর, সর্বোত্তম বাণী হল আল্লাহর কিতাব। সর্বোত্তম হেদায়াত হল মুহাম্মাদের হেদায়াত। সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যাপার হল এর মাঝে নতুন কিছু সৃষ্টি করা। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। অতঃপর বলতেনঃ প্রত্যেক মুমিনের নিজ প্রাণের চেয়ে আমি তার অধিক নিকটবর্তী বন্ধু। যে ব্যাক্তি কোন সম্পদ রেখে মৃত্যু বরণ করবে সে সম্পদ তার উত্তরাধিকারদের জন্য হবে। আর যে ব্যাক্তি কোন ঋণ বা সন্তান ছেড়ে যাবে, সে ঋণ আমিই পরিশোধ করব, সে সন্তানদের ভরণ-পোষণ আমারই দায়িত্বে।’’
(মুসলিম, ইবনু মাজাহ প্রমুখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ كَأنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهم عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَطَبَ احْمَرَّتْ عَيْنَاهُ وَعَلَا صَوْتُهُ وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ حَتَّى كَأَنَّهُ مُنْذِرُ جَيْشٍ يَقُولُ صَبَّحَكُمْ وَمَسَّاكُمْ وَيَقُولُ بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ وَيَقْرُنُ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ السَّبَّابَةِ وَالْوُسْطَى وَيَقُولُ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ وَخَيْرُ الْهُدَى هُدَى مُحَمَّدٍ وَشَرُّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ مَنْ تَرَكَ مَالًا فَلِأَهْلِهِ وَمَنْ تَرَكَ دَيْنًا أَوْ ضَيَاعًا فَإِلَيَّ وَعَلَيَّ. (رواه مسلم وابن ماجه وغيرهما)
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫১. (হাসান সহীহ্) মুআবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে দন্ডায়মান হলেন, অতঃপর বললেনঃ
’’জেনে রেখো! তোমাদের পূর্ব যুগের আহলে কিতাবগণ বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল। নিঃসন্দেহে এই উম্মত অচিরেই তেহাত্তর দলে বিভক্ত হবে। তনমধ্যে বাহাত্তর দলই জাহান্নামে যাবে, আর একটি মাত্র দল যাবে জান্নাতে, সে দলটি হল জামাআত।[1]
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ও আবু দাউদ)
অন্য বর্ণনায় আবু দাউদ বৃদ্ধি করেছেনঃ
’’এবং অচিরেই আমার উম্মতের মধ্যে কতিপয় দল বের হবে। কুকুরের দংশনে কালাব নামক[2] একধরণের রোগের জীবানু যেমন রোগীর সমস্ত শরীর প্রবাহিত হয় তেমনি প্রবৃত্তি তাদের মধ্যে প্রবাহিত হবে। তার কোন শিরা-উপশিরা বা কোন জোড়া অবশিষ্ট থাকবে না।
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(حسن صحيح) عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ أَنَّهُ قَامَ فِينَا فَقَالَ أَلَا أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ فِينَا فَقَالَ أَلَا إِنَّ مَنْ قَبْلَكُمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ افْتَرَقُوا عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَإِنَّ هَذِهِ الْمِلَّةَ سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ ثِنْتَانِ وَسَبْعُونَ فِي النَّارِ وَوَاحِدَةٌ فِي الْجَنَّةِ وَهِيَ الْجَمَاعَةُ.
رواه أحمد وأبو داود وزاد في رواية
وَإِنَّهُ لَيَخْرُجُ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ تَتَجَارَى بِهِمْ الْأَهْوَاءُ كَمَا يَتَجَارَى الْكَلَبُ بِصَاحِبِهِ لَا يَبْقَى مِنْهُ عِرْقٌ وَلَا مَفْصِلٌ إِلَّا دَخَلَهُ *
[2] . রোগটিকে ইংরেজীতে বলা হয় (Hydrophobia)। ইমাম খাত্তাবী বলেন, কালাব হচ্ছে মানুষকে পাগলা কুকুরের দংশনের ফলে সৃষ্ট এক প্রকার রোগের নাম। যার লক্ষণ হচ্ছে, কুকুরের চোখ লাল হয়ে থাকবে, দু’পায়ের মধ্যে লেজ ঢুকিয়ে রাখবে। অতঃপর কোন মানুষ দেখলেই তাকে দংশন করার জন্য তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫২. (সহীহ্) আবু বারযাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
’’নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর যা আশংকা করছি তা হচ্ছে, পেটের ব্যাপারে এবং যৌনাঙ্গের বিষয়ে লোভে পড়ে পথভ্রষ্ট হওয়া এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করে বিভ্রান্ত হওয়া।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ, ত্বাবরানী ও বায্যার)
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عَنْ أَبِي بَرْزَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ مِمَّا أَخْشَى عَلَيْكُمْ شَهَوَاتِ الْغَيِّ فِي بُطُونِكُمْ وَفُرُوجِكُمْ وَمُضِلَّاتِ الْهَوَى. رواه أحمد والبزار والطبراني
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫৩. (হাসান লি গাইরিহী) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’আর ধ্বংসকারী বিষয় সমূহ হলঃ অনুগত লোভ, অনুসৃত প্রবৃত্তি এবং মানুষের নিজেকে নিয়ে অহংকার বা (আত্মগরিমা)।’’
(বায্যার, বায়হাকী প্রমূখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(حسن لغيره) عن أنس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال وأما المهلكات فشح مطاع وهوى متبع وإعجاب المرء بنفسه (رواه البزار والبيهقي وغيرهما)
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫৪. (সহীহ্) আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’আল্লাহ্ তা’আলা বিদআতকারীর তওবায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখেন যতক্ষণ না সে তার বিদআত পরিত্যাগ করে।’’
(ত্বাবরানী হাসান সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عن أنَسِ بْنِ ماَلِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللهَ تَعَالَى حَجَزَ التَّوْبَةَ عَنْ كُلِّ صَاحِبِ بِدْعَةٍ حتى يدع بدعته (رواه الطبراني وإسناده حسن )
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫৫. (সহীহ্) এরবায বিন সারিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’(ধর্মের মাঝে) নতুন কিছু সৃষ্টি করা থেকে তোমরা সাবধান! কেননা প্রত্যেক নতুন সৃষ্টি পথভ্রষ্টতা।’’
(আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, ইবনু হিব্বান হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٌ ضَلَالَةٌ. رواه أبو داود والترمذي وابن ماجه وابن حبان
পরিচ্ছেদঃ ২) সুন্নাত পরিত্যাগ এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিদআত চর্চার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫৬. (সহীহ্) আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেনঃ
’’প্রতিটি কর্মের একটি উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে। আর সে উদ্দীপনার মধ্যে অবসন্নতা এবং বিরতী আসে। সুতরাং সুন্নাত পর্যন্ত গিয়ে যার বিরতী ঘটে সেই সঠিক পথপ্রাপ্ত হয়। আর যার বিরতী হয় অন্য কিছুতে সে নিশ্চিতভাবে ধ্বংস প্রাপ্ত।’’
(ইবনু আবী আছেম ও ইবনু হিব্বান হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।)[1]
الترهيب من ترك السنة وارتكاب البدع والأهواء
(صحيح) عن عبد الله بن عمرو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِكُلِّ عَمَلٍ شِرَّةً , وَلِكُلِّ شِرَّةٍ فَتْرَةٌ فَإِمَّا إِلَى سُنَّةٍ وَإِمَّا إِلَى بِدْعَةٍ , فَمَنْ كَانَتْ فَتْرَتُهُ إِلَى سُنَّتِي فَقَدِ اهْتَدَى , وَمَنْ كَانَتْ فَتْرَتُهُ إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ فَقَدْ هَلَكَ. رواه ابن أبي عاصم وابن حبان في صحيحه