পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
১১/২৭৫। আবূ শুরাইহ্ খুওয়াইলিদ ইবনু ’আমর খুযা’য়ী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’হে আল্লাহ! আমি লোকদেরকে দুই শ্রেণীর দুর্বল মানুষের অধিকার সম্বন্ধে পাপাচারিতার ভীতিপ্রদর্শন করছি; এতীম ও নারী।’’ (নাসায়ী, উত্তম সূত্রে) [1]
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وَعَنْ أَبِي شُرَيحٍ خُوَيْلِدِ بنِ عَمرٍو الخُزَاعِيِّ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم: «اَللهم إنِّي أُحَرِّجُ حَقَّ الضَّعِيفَينِ : اليَتِيم وَالمَرْأةِ».حديث حسن رواه النسائي بإسناد جيد
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
Abu Shuraih Khuwailid bin 'Amr Al-Khuza'i (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "O Allah, I declare inviolable the rights of two weak ones: the orphans and women".
[An- Nasa'i].
Commentary: The poor are generally treated callously in human society. Women and orphans are regular victims of this cruelty. They are deprived of their share in property to which they are entitled under the Islamic law. In some cases their properties are usurped and they are maltreated at the hands of usurpers. The Prophet (PBUH) has
threatened them with serious consequences to prevent the Muslims from committing such injustice. The attitude of Muslims and the teachings of Islam in this matter are two different things. How can Islam be blamed for the attitude of Muslims? It is time Muslims should understand that Islam is getting a bad name because of their bad conduct. As a result of this they are committing a double crime. On the one hand, they are guilty of usurping others of their legitimate rights and perpetrating cruelties, and on the other, disgracing their religion. In other words, rather thanpreaching Islam they are creating obstacles in the way of people joining the fold of Islam. May Allah grant us guidance to follow the right path. Amin!
পরিচ্ছেদঃ ৯৪: মেহমানের খাতির করার গুরুত্ব
২/৭১২। আবূ শুরাইহ খুয়াইলিদ ইবনে ’আমর খুযা’য়ী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই মেহমানের পারিতোষিকসহ তার সম্মান করে।’’ লোকেরা বলল, ’তার পারিতোষিক কী? হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ’’একদিন ও একরাত (উত্তমভাবে পানাহারের ব্যবস্থা করা)। আর সাধারণতঃ মেহমানের খাতির তিন দিন পর্যন্ত। (অতঃপর স্বেচ্ছায় তার চলে যাওয়া উচিত)। তিনদিনের অতিরিক্ত হবে মেযবানের জন্য সাদকাহস্বরূপ।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ’’কোনো মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের নিকট এতটা থাকা বৈধ নয়, যাতে সে তাকে গোনাহগার করে ফেলে।’’ লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, ’হে আল্লাহর রাসূল! তাকে কিভাবে গোনাহগার করে ফেলে?’ উত্তরে তিনি বললেন, ’’এ ওর কাছে থেকে যায়, অথচ ওর এমন কিছু থাকে না, যার দ্বারা সে মেহমানের খাতির করতে পারে।’’
بَابُ إِكْرَامِ الضَّيْفِ - (94)
وَعَن أَبي شُرَيْح خُوَيْلِدِ بن عَمرٍو الخُزَاعِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ جَائِزَتَهُ قَالُوا: وَمَا جَائِزَتُهُ ؟ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: يَوْمُهُ وَلَيْلَتُهُ، وَالضِّيَافَةُ ثَلاَثَةُ أيَّامٍ، فَمَا كَانَ وَرَاءَ ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ عَلَيْهِ. متفقٌ عَلَيْهِ
وفي رواية لِمسلمٍ: لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أنْ يُقِيمَ عِنْدَ أخِيهِ حَتَّى يُؤْثِمَهُ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَكيْفَ يُؤْثِمُهُ ؟ قَالَ: يُقِيمُ عِنْدَهُ وَلاَ شَيْءَ لَهُ يُقْرِيه بِهِ
(94) Chapter: Honoring the Guest
Abu Shuraih Khuwailid bin 'Amr Al-Khuza'i (May Allah be pleased with him) reported:
I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying, "He who believes in Allah and the Last Day, should accommodate his guest according to his right." He was asked: "What is his right, O Messenger of Allah?" He (ﷺ) replied: "It is (to accommodate him) for a day and a night, and hospitality extends for three days, and what is beyond that is charity."
[Al-Bukhari and Muslim].
In Muslim it is added: Messenger of Allah (ﷺ) said, "It is not permissible for a Muslim to stay so long with his brother till he makes him sinful." He was asked: "O Messenger of Allah, how can he make him sinful?" He replied, "He prolongs his stay with him till nothing is left with the host to entertain him (guest)."
Commentary: This Hadith throws light on something more of the etiquette and scope of hospitality. A guest ought to be given the best entertainment on the first day and night. For the next two days, hospitality should be moderate. On the fourth day, the guest should leave for his destination. Yet if he chooses to stay, hospitality will be in the sense of charity.
পরিচ্ছেদঃ কুরআন ধারণকারী পথভ্রষ্ট হবে না
১২২. আবু শুরাইহ আল খুযা’ইয়্যূ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন আমাদের কাছে আসলেন এবং বললেন: “তোমরা শুভ সংবাদ গ্রহন করো, তোমরা শুভ সংবাদ গ্রহন করো। তোমরা কী সাক্ষ্য দাও না যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল? সাহাবীগণ বললেন যে, হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা এটা সাক্ষ্য দেই। তিনি বললেন: নিশ্চয়ই এই কুরআন এমন একটি রশি যার এক প্রান্ত আল্লাহর হাতে আর এক প্রান্ত তোমাদের হাতে রয়েছে। তোমরা এটিকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে, তাহলে তোমরা কখনই পথভ্রষ্ট হবে না, এবং কখনই ধ্বংস হয়ে যাবে না।” [1]
ذِكْرُ نَفْيِ الضَّلَالِ عَنِ الْآخِذِ بِالْقُرْآنِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: "أَبْشِرُوا وَأَبْشِرُوا أَلَيْسَ تَشْهَدُونَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ"؟ قَالُوا: نَعَم قَالَ: "فَإِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ سَبَبٌ طَرَفُهُ بِيَدِ اللَّهِ وَطَرَفُهُ بِأَيْدِيكُمْ فَتَمَسَّكُوا به فإنكم لن تضلوا ولن تهلكوا بعده أبدا".
الراوي : أَبو شُرَيْحٍ الْخُزَاعِي | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 122 | خلاصة حكم المحدث: إسناده حسن على شرط مسلم
পরিচ্ছেদঃ ১) কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দান
৩৮. (সহীহ্) আবূ শুরাইহ আল খুযায়ী বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট এসে বললেনঃ
“তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর! তোমরা কি একথার সাক্ষ্য দাও না যে, "আল্লাহ্ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই, এবং আমি আল্লাহর রাসূল?’’ তাঁরা বললেনঃ অবশ্যই।
তিনি বললেনঃ “নিশ্চয় এ কুরআনের এক দিক আল্লাহর হাতে রয়েছে এবং আর এক দিক তোমাদের হাতে রয়েছে। তোমরা উহা আঁকড়ে ধরে থাক। তাহলে এরপর তোমরা কখনই বিভ্রান্ত বা ধ্বংস হবে না।’’
(উত্তম সনদে ত্বাবরানী [কাবীর] গ্রন্থে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। শায়খ আলবানী বলেনঃ হাদীছটি সহীহ্ সনদে আরে বর্ণনা করেন, ইবনু হিব্বান স্বীয় [সহীহ্] গ্রন্থে এবং ইবনু নছর [ক্বিয়ামুল্ লাইল] গ্রন্থে।)
الترغيب في اتباع الكتاب والسنة
عن أبي شريح الخزاعي قال خرج علينا رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فقال: أَلَيْسَ تَشْهَدُونَ أَنْ لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ؟ قالوا بلى : نَعَمْ ، قَالَ :إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ طَرَفُهُ بِيَدِ اللَّهِ ، وَطَرَفُهُ بِأَيْدِيكُمْ ، فَتَمَسَّكُوا بِهِ ، فإنكم لن تضلوا وَلن تُهْلَكُوا بَعْدَهُ أَبَدًا.
(رواه الطبراني في الكبير بإسناد جيد)